বারান্দার রেলিংয়ে ঝুলে আছে রোদ্দুরের ছেঁড়া টুকরো,
যেন কোনো প্রাচীন ভাষায় লেখা এক গুপ্ত সংকেত—
সময়ের অমোঘ ইঙ্গিত।
চিলেকোঠার জানালায় দুটো শালিক বসে,
তাদের ছায়া লুটিয়ে পড়ে দেয়ালে—
যেন কালো আর ধূসর রেখাচিত্রের ভাঙা ব্যাকরণ!
নিচের রাস্তায় শ্লেটের মতো জমে থাকা ধুলো
আস্তে আস্তে বদলে যায়—
কখনো নদী, কখনো খাঁজকাটা মরুপ্রান্তর।
এদিকে হঠাৎ,
শালিক দুটো যেন রূপান্তরিত হলো
শম্ভুর ক্যানভাসে আঁকা বিমূর্ত প্রতিবাদে—
হাতছানি দেয় অতল বিস্মৃতি।
আর আকাশ?
সে তো এক নির্বাক দর্শক—
শতাব্দীর দীর্ঘশ্বাসে ভাসিয়ে দেয়
রেলিংয়ে আটকে থাকা রোদের সেই ছেঁড়া টুকরো—
২৬/০২/২৫ ইং।