রাত তখন প্রায় ২টা। রিমন তার গ্রামের বাড়ির পেছনের বাঁশবনে দাঁড়িয়ে আছে, হাতে টর্চলাইট। সে শুনেছে, রাতের এই সময়টায় ওখানে নাকি অদ্ভুত কিছু দেখা যায়। গ্রামের অনেকেই বলেছে, কেউ একজন ওই বাঁশবনে ঢুকলে আর ফিরে আসে না!
কিন্তু রিমন ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করে না।
সে এগিয়ে গেল। বাতাস থমথমে, চারপাশ নিস্তব্ধ। বাঁশগুলো এলোমেলোভাবে দুলছে, যেন কেউ ধাক্কা দিচ্ছে। হঠাৎ, পেছন থেকে কারো গলার স্বর শোনা গেল—
"ফিরে যা..."
রিমনের শরীর শিউরে উঠল। টর্চলাইটের আলোয় কিছুই দেখা যাচ্ছে না, অথচ স্পষ্ট গলায় কেউ কথা বলল! সে সাহস করে আরও একটু সামনে বাড়ালো পা।
হঠাৎ, ঠাস করে একটা বাঁশ ভেঙে পড়ল তার সামনে! সে চমকে উঠল, পেছন ফিরে দৌড় দিতেই দেখল—একটা ছায়ামূর্তি তার দিকে তাকিয়ে আছে! তার চোখ দুটো আগুনের মতো জ্বলছে।
রিমন চিৎকার করতে চাইল, কিন্তু গলা দিয়ে কোনো শব্দ বের হলো না। মাটির ওপর তার পা যেন জমে গেছে। সেই ছায়ামূর্তিটি ধীরে ধীরে এগিয়ে এলো, মুখ খুলতেই রক্তে ভরা নোংরা দাঁত দেখা গেল।
"তুই...আমার জায়গায় কেন?"
রিমনের মনে পড়ল, তার দাদা বলেছিলেন, বহু বছর আগে এই বাঁশবনের জায়গাটায় এক যুবক খুন হয়েছিল, তার আত্মা নাকি এখানেই ঘুরে বেড়ায়।
রিমনের দেহ ঠান্ডা হয়ে গেল। ছায়ামূর্তিটি তার দিকে হাত বাড়াতেই অন্ধকার চারদিক ঘিরে ধরল...
পরদিন সকালে, গ্রামের লোকেরা বাঁশবনে রিমনের জুতা আর একটা পোড়া টর্চলাইট পেল। কিন্তু রিমনের কোনো হদিস মেলেনি...
বলা হয়, যে রাত ২টায় ওই বাঁশবনে যায়, সে আর ফিরে আসে না!