রমজান মাস ইসলামের অন্যতম পবিত্র মাস, যেখানে ইবাদত-বন্দেগির গুরুত্ব অনেক বেশি। এই মাসে বেশি বেশি নেক আমল করা উচিত, যাতে আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত অর্জন করা যায়। রমজানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো—
১. রোজা রাখা
- সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার ও কু-প্রবৃত্তি থেকে বিরত থাকা।
- রোজার নিয়ত করা ও ইফতার সময় সুন্নত অনুসারে খেজুর বা পানি দিয়ে ইফতার করা।
২. তারাবিহ নামাজ আদায় করা
- ইশার নামাজের পর ২০ রাকাত তারাবিহ নামাজ পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
- পুরো রমজান মাসজুড়ে কুরআন খতমসহ তারাবিহ পড়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
৩. তাহাজ্জুদ ও নফল ইবাদত করা
- রাতের শেষ প্রহরে ওঠে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা।
- নফল নামাজ, তাসবিহ, তাহলিল, দোয়া ও ইস্তিগফার করা।
৪. কুরআন তিলাওয়াত করা
- রমজান মাস কুরআন নাজিলের মাস, তাই নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করা।
- কুরআনের তাফসির ও অর্থ বুঝে পড়ার চেষ্টা করা।
৫. দোয়া ও ইস্তিগফার করা
- বেশি বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া (আস্তাগফিরুল্লাহ পড়া)।
- নবিজি (সা.) এর শেখানো দোয়া ও অন্যান্য মাসনুন দোয়াগুলো পড়া।
৬. সদকা ও জাকাত আদায় করা
- গরীব-দুঃখীদের সাহায্য করা, দান-খয়রাত করা।
- যারা জাকাত দেওয়ার উপযুক্ত, তারা এই মাসেই জাকাত আদায় করা।
৭. লাইলাতুল কদর তালাশ করা
- রমজানের শেষ ১০ রাত বিশেষত বিজোড় রাতগুলোতে বেশি ইবাদত করা।
- ২৭শে রমজানসহ অন্যান্য রাতগুলোতে ইবাদতের মাধ্যমে লাইলাতুল কদর পাওয়া যেতে পারে।
৮. ইফতার করানো
- রোজাদারকে ইফতার করানো খুব সওয়াবের কাজ।
- হাদিসে আছে, কেউ রোজাদারকে ইফতার করালে সে রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।
৯. আখলাক ও ভালো আচরণ করা
- মিথ্যা, গীবত, ঝগড়া-বিবাদ থেকে বেঁচে থাকা।
- ধৈর্য ধারণ করা ও উত্তম চরিত্র গঠনের চেষ্টা করা।
১০. ইতিকাফ করা
- শেষ দশকে মসজিদে ইতিকাফ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত।
- এটি আত্মশুদ্ধির অন্যতম মাধ্যম।
রমজানের প্রতিটি মুহূর্তই অত্যন্ত মূল্যবান, তাই যতটুকু সম্ভব আল্লাহর ইবাদতে সময় ব্যয় করা উচিত।