কিছু বই আছে, একবার পড়া শুরু হয়ে গেলে থেমে থাকাটা বেশ কঠিনই। না, কোন টানটান উত্তেজনাময় থ্রিলার কিংবা রোমান্টিক বই নয় এসব বই। বরং এ ধরণের গ্রন্থ পাঠকালে কোন এক বিগত শতকের গন্ধ, বর্ণ, রূপ, ইতিহাস, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং সেই সময়ের বিশেষ ক'জন মানুষজনের মধ্যকার অ্যাম্পেথির জাদুকরি রঙ দেখা যায়।
১৪ ইস্ট নাইনটি-ফিফথ স্ট্রিট, নিউ ইয়র্ক সিটি। যেখান থেকে বই ক্রয় করার উদ্দেশ্যে চিঠি লিখে যাচ্ছেন হেলেন হ্যানফ।
মার্কস অ্যান্ড কোম্পানি, ৮৪, চ্যারিং ক্রস রোড লন্ডন, ডাব্লিউ সি ২, ইংল্যান্ড। ফ্র্যাঙ্ক ডোয়েল টাকার প্রাপ্তি স্বীকার এবং হেলেনের কাছে বই পাঠানোর খবর পাঠিয়ে যাচ্ছেন।
অদ্ভুত এ পত্রব্যবসামিতালিতে হেলেন যেমন উচ্ছ্বল, প্রাণবন্ত ও উইটের সমন্বয়ে লিখে যাচ্ছেন, আপাত দৃষ্টিতে ইন্ট্রোভার্ট ফ্র্যাঙ্ক পেশাদারি ভাষায় উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন।
এক সময় এই পত্রযোগাযোগে মারফত ইংল্যান্ডের তৎকালিন অর্থনৈতিক মন্দার ব্যাপারে সম্যক জ্ঞান থাকা এইচ.এইচ ফ্র্যাঙ্কশুদ্ধ পুরো মার্কস অ্যান্ড কোম্পানির আরো কয়েকজনের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য পাঠানো শুরু করেন।
সাত সমুদ্রের ওপার থেকে কখনো দেখা না হওয়া এক সহমর্মিতায় পূর্ণ বন্ধুত্বের সূত্রপাত ঘটে যা প্রায় আজীবন টিকে থাকে।
এ গ্রন্থ পড়ার সময় উৎসুক পাঠকেরা খোঁজ পাবেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্মের। দুষ্প্রাপ্য বইয়ের অনুসন্ধানে লিপ্ত থাকা রিডারদের জন্য বইটি ট্রিটই বশা যায়।
হেলেন হ্যানফের সাথে ফ্র্যাঙ্ক রিলেটেড আরো কর্মি, পরিবারের সদস্যবৃন্দের সাথে চিঠি মারফত যে উষ্ণ যোগাযোগ ঘটে সেসবের মাঝ দিয়ে যাওয়ার সময় যেকোন পাঠকের মনে অ্যাম্পেথির কানায় কানায় পূর্ণ অনুভূতি সৃষ্টি হতে পারে।
এসব নিরেট সত্য ঘটনাকে অবলম্বন করে পরবর্তিতে নির্মিত হয়েছে থিয়েটার শো থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র পর্যন্ত।
'৮৪, চ্যারিং ক্রস রোড' গ্রন্থটি কুড়িয়েছে ব্যাপক খ্যাতি। টিভি নাটকের স্ক্রিপ্টরাইটার হেলেন এবং বইদোকানের উদ্যমী কর্মচারী ফ্র্যাঙ্কের এ সকল চিঠির সুন্দর ভাষান্তর করেছেন আঞ্জুমান লায়লা নওশিন ও অরূপরতন।
বইটিতে পাওয়া পত্রযোগাযোগ শুধুমাত্র সাহিত্য নিয়ে আলাপ করে না, শুধুমাত্র দুষ্প্রাপ্য বইয়ের কন্ডিশন নিয়ে কথা বলেনা, শুধুমাত্র ঐ রাস্তার কথা বলে না। বরঞ্চ সব মিলিয়ে মিলিয়ে যাওয়া ঘটনাবহুল এক শতাব্দীর ইতিহাস এবং কিছু মানুষের জীবনের কথা বলে, ধীর-স্থির-শান্ত কায়দায়, অনেক দুর্যোগ ও ভালোবাসা সঙ্গে করে।
বই রিভিউ
নাম : ৮৪, চ্যারিং ক্রস রোড
লেখক : হেলেন হ্যানফ
ভাষান্তর : আঞ্জুমান লায়লা নওশিন / অরূপরতন
প্রচ্ছদ : রৌদ্র মিত্র
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রকাশক : পেন্ডুলাম পাবলিশার্স
পশ্চিমবঙ্গ পরিবেশক : ইতিকথা পাবলিকেশন
জনরা : পত্রসাহিত্য / পত্রসংকলন
রিভিউয়ার : ওয়াসিম হাসান মাহমুদ
১৪ ইস্ট নাইনটি-ফিফথ স্ট্রিট, নিউ ইয়র্ক সিটি। যেখান থেকে বই ক্রয় করার উদ্দেশ্যে চিঠি লিখে যাচ্ছেন হেলেন হ্যানফ।
মার্কস অ্যান্ড কোম্পানি, ৮৪, চ্যারিং ক্রস রোড লন্ডন, ডাব্লিউ সি ২, ইংল্যান্ড। ফ্র্যাঙ্ক ডোয়েল টাকার প্রাপ্তি স্বীকার এবং হেলেনের কাছে বই পাঠানোর খবর পাঠিয়ে যাচ্ছেন।
অদ্ভুত এ পত্রব্যবসামিতালিতে হেলেন যেমন উচ্ছ্বল, প্রাণবন্ত ও উইটের সমন্বয়ে লিখে যাচ্ছেন, আপাত দৃষ্টিতে ইন্ট্রোভার্ট ফ্র্যাঙ্ক পেশাদারি ভাষায় উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন।
এক সময় এই পত্রযোগাযোগে মারফত ইংল্যান্ডের তৎকালিন অর্থনৈতিক মন্দার ব্যাপারে সম্যক জ্ঞান থাকা এইচ.এইচ ফ্র্যাঙ্কশুদ্ধ পুরো মার্কস অ্যান্ড কোম্পানির আরো কয়েকজনের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য পাঠানো শুরু করেন।
সাত সমুদ্রের ওপার থেকে কখনো দেখা না হওয়া এক সহমর্মিতায় পূর্ণ বন্ধুত্বের সূত্রপাত ঘটে যা প্রায় আজীবন টিকে থাকে।
এ গ্রন্থ পড়ার সময় উৎসুক পাঠকেরা খোঁজ পাবেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্মের। দুষ্প্রাপ্য বইয়ের অনুসন্ধানে লিপ্ত থাকা রিডারদের জন্য বইটি ট্রিটই বশা যায়।
হেলেন হ্যানফের সাথে ফ্র্যাঙ্ক রিলেটেড আরো কর্মি, পরিবারের সদস্যবৃন্দের সাথে চিঠি মারফত যে উষ্ণ যোগাযোগ ঘটে সেসবের মাঝ দিয়ে যাওয়ার সময় যেকোন পাঠকের মনে অ্যাম্পেথির কানায় কানায় পূর্ণ অনুভূতি সৃষ্টি হতে পারে।
এসব নিরেট সত্য ঘটনাকে অবলম্বন করে পরবর্তিতে নির্মিত হয়েছে থিয়েটার শো থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র পর্যন্ত।
'৮৪, চ্যারিং ক্রস রোড' গ্রন্থটি কুড়িয়েছে ব্যাপক খ্যাতি। টিভি নাটকের স্ক্রিপ্টরাইটার হেলেন এবং বইদোকানের উদ্যমী কর্মচারী ফ্র্যাঙ্কের এ সকল চিঠির সুন্দর ভাষান্তর করেছেন আঞ্জুমান লায়লা নওশিন ও অরূপরতন।
বইটিতে পাওয়া পত্রযোগাযোগ শুধুমাত্র সাহিত্য নিয়ে আলাপ করে না, শুধুমাত্র দুষ্প্রাপ্য বইয়ের কন্ডিশন নিয়ে কথা বলেনা, শুধুমাত্র ঐ রাস্তার কথা বলে না। বরঞ্চ সব মিলিয়ে মিলিয়ে যাওয়া ঘটনাবহুল এক শতাব্দীর ইতিহাস এবং কিছু মানুষের জীবনের কথা বলে, ধীর-স্থির-শান্ত কায়দায়, অনেক দুর্যোগ ও ভালোবাসা সঙ্গে করে।
বই রিভিউ
নাম : ৮৪, চ্যারিং ক্রস রোড
লেখক : হেলেন হ্যানফ
ভাষান্তর : আঞ্জুমান লায়লা নওশিন / অরূপরতন
প্রচ্ছদ : রৌদ্র মিত্র
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রকাশক : পেন্ডুলাম পাবলিশার্স
পশ্চিমবঙ্গ পরিবেশক : ইতিকথা পাবলিকেশন
জনরা : পত্রসাহিত্য / পত্রসংকলন
রিভিউয়ার : ওয়াসিম হাসান মাহমুদ