বহু বছর আগের কথা, সবুজ ঘাসে ঢাকা এক বিশাল মাঠের পাশে ছিল একটি ছোট গ্রাম। সেই গ্রামের শেষ প্রান্তে, যেখানে মাঠ শেষ হয়ে গভীর জঙ্গল শুরু হতো, সেখানে বাস করত রূপা নামের একটি মেয়ে। রূপার চোখগুলো ছিল সাগরের মতো নীল, আর চুলগুলো ছিল সোনালী ধানের মতো। সে গ্রামের সবচেয়ে সুন্দরী এবং দয়ালু ছিল।
একদিন, রূপা জঙ্গলের ধারে ঘুরতে গিয়েছিল। হঠাৎ, সে দেখল একটি হরিণ শাবক ঘাস খাচ্ছে। হরিণ শাবকটি খুব ছোট এবং দুর্বল ছিল। রূপার মায়া হলো। সে হরিণ শাবকটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এল।
রূপা হরিণ শাবকটির নাম দিল 'তারা'। ‘তারা’ খুব দ্রুত বড় হতে লাগল। 'তারা' আর রূপা খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেল। তারা সারাদিন একসাথে খেলা করত, জঙ্গলে ঘুরত, আর রূপা তারার সাথে গল্প করত।
একদিন, জঙ্গলে একদল খারাপ মানুষ এল। তারা জঙ্গল থেকে মূল্যবান গাছ কাটতে শুরু করল। রূপা খুব ভয় পেল। সে জানত, জঙ্গল ধ্বংস হলে 'তারা'র বাড়িও ধ্বংস হয়ে যাবে।
রূপা গ্রামের সবাইকে ডাকল। সবাই মিলে খারাপ মানুষদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালো। রূপা তার বুদ্ধিমত্তা আর সাহসের সাথে সবাইকে পথ দেখালো। গ্রামের মানুষ এবং বন্য প্রাণীরা একসাথে যুদ্ধ করল।
শেষ পর্যন্ত, খারাপ মানুষেরা হার মানল এবং জঙ্গল ছেড়ে চলে গেল। রূপা এবং তার বন্ধুরা জঙ্গলকে রক্ষা করল। এরপর থেকে, রূপা হয়ে উঠল গ্রামের বীর । তারা সবাই খুব সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগল। 🌳
36
View
Comments
-
Anjuara khatun 1 week ago
This is Best!