ফিকশন

মিস্টার আমান কিছুটা কড়া গলায় বললেন, — "আমি তৃষাকে বিয়ে করেছি, সেটা কোন পরিস্থিতিতে হয়েছে—সেটা এখন আর লুকোনোর কিছু নেই। সবাই জানে। কিন্তু তুমি, আরিয়ান, তুমিই বলো... তৃষার মতো একটা মেয়ের বিয়ের দিনে তুমি হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেলে, কাউকে...

মিস্টার আমান খেয়াল করলেন। তৃষার চোখের দিক অনুসরণ করে তাকাতেই চোখে পড়লো আরিয়ান। ভিড়ের মধ্যেও, এত মানুষের ভেতরেও, তাকে আলাদা করে চিনে নিতে ভুল হলো না আমানের।

দুইজনকে একসাথে বসানো হলো এক জায়গায়। আশেপাশে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ, মানুষের করতালি আর দাদির খুশির কণ্ঠ:

ওই দিকে হঠাৎ করেই যেন খুশির এক ঢেউ বয়ে গেলো গোটা বাড়িতে। সবার ব্রেকফাস্ট শেষ করে। ডিজাইনার টিম, মেকআপ আর্টিস্ট, স্টাইলিস্ট, হেয়ার এক্সপার্ট—সবাই ব্যস্ত হয়ে উঠেছে নিজেদের কাজে।

তৃষার বাসা থেকে আসা মহিলা গুলো এবার পাশের বাসা—অর্থাৎ আরিয়ানদের বাসায় গেল। দরজায় কড়া নাড়তেই আরিয়ানের মা একটু থমকে গিয়ে দরজা খুললেন।