হিমেল একটা অদ্ভুত চিঠি পেয়েছিল। ঠিকানাটা লেখা ছিল:
“ভবিষ্যতের তুমি, অতীতের আমাকে”
চিঠির খামে কোনো ডাকটিকিট ছিল না, ছিল না কোনো প্রেরকের নাম। তবুও চিঠিটি তার নামে তার ঠিকানায় এসেছে, যেন কল্পনার বাইরের কোনো মাধ্যম দিয়ে।
চিঠিতে লেখা:
"হিমেল,
তুমি যখন এই চিঠি পড়বে, আমি তখন আর 'তুমি' নই। আমি ছায়াপথের এক কোণে, যেখানে সময়ের ধারণা আলাদা। তুমি যা ভাবছো, তার চেয়েও বড় কিছু ঘটতে যাচ্ছে। তুমি আগামী ১৩ দিনের মধ্যে একটা স্বপ্ন দেখবে—তোমার কাজ সেই স্বপ্নটা মনে রাখা, কারণ ওটাই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ বদলাবে। আর হ্যাঁ, পেছনের পাহাড়ে যে গুহাটা আছে, সেখানে প্রবেশ করো। দরজা খুলবে শুধুই তোমার ছায়া দেখে।
—তোমার ভবিষ্যৎ ‘আমি’”
হিমেল প্রথমে হাসলো। এগুলো নিশ্চয়ই কারও প্র্যাঙ্ক। কিন্তু রাতে সে সত্যিই একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখল। স্বপ্নে সে দেখল—একটা উল্কা ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে, আর তার হাতে এক অদ্ভুত যন্ত্র যা সময়কে বাঁকিয়ে উল্কার গতিপথ বদলাতে পারে।
পরদিন সে গিয়ে পৌঁছাল পাহাড়ের সেই গুহায়। আশ্চর্যভাবে গুহার দরজা তার ছায়া দেখে খুলে গেল। ভেতরে সে দেখতে পেল সেই যন্ত্রটা—ঠিক যেমনটা স্বপ্নে দেখেছিল। তখনই সে বুঝল, এই চিঠি, এই স্বপ্ন, সবই সত্যি।
তারপর?
সেই রাতে সে ভবিষ্যতের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করল—নিজেরই এক পরিবর্তিত রূপের সঙ্গে। সময়ের সীমানা ভেঙে সে একা এক যুদ্ধ শুরু করল মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য।