Posts

ফিকশন

আনানের প্রিয়শি

June 14, 2025

KHURSHED

55
View

কোচিং-এ যাচ্ছিলাম হঠাৎ কোথা থেকে একটা মহিলা দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো আমি এমন আক্রমণের জন্য প্রস্তুত ছিলান নাহ কয়েক মিনিট হতবাক হয়ে দাড়িয়ে ছিলাম আসে পাশের মানুষ জন দেখে আছে হুঁশ ফিরতেই উনাকে ছাড়াতে চাইলাম কিন্তু ছাড়লো নাহ দূরে দেখলাম দুইজন ছেলে দাড়িয়ে উনাকে আর আমাকে দেখছে হয়তো উনার সাথে-ই আসছে আমি এবার অস্তির হয়ে উঠলাম 

দূরে দাড়িয়ে থাকা ছেলে গুলো হয়তো তা বুঝলো উনারা কাছে এসে মহিলা টকে ছাড়িয়ে নিলো আমি এবার উনাদের দিখে জিজ্ঞাসা দৃষ্টিতে থাকিয়ে আছি এবার মহিলা বললো।

মহিলা: আমি তোমার মা চিনতে পারছো আমাকে?

আমি: মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি আপনার? আপনি কেন আমার মা হবেন?

মহিলা: আমার মাথা ঠিক আছে মা তুমি আমার এক মাত্র মেয়ে যাকে আমি ছোট বেলায় হারিয়ে ফেলেছিলাম। 

আমি: আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে আমি আপনার মেয়ে না অন্য কেউ হবে আমার ক্লাস আছে আমি যায়। 

এবার ছেলে দুইটা আমার সামনে এলো আর প্রথম বললো

আমার নাম আহান মহিলার দিখে থাকায় দেখিয়ে বললো উনার ছেলে আর তোমার একমাত্র ভাই 

আমি : ভাই মানে আপনারা কি সবাই পাগল হয়ে গেছেন?  ককি আবোল তাবোল বলে যাচ্ছেন তখন থেকে। 

আহান: দেখো সব বলব আগে আমাদের সাথে চলো সব খুলে বলব তোমাকে এখন আর ক্লাস করতে হবে নাহ।

আমি: কেম যাবো আপনাদের সাথে আপনাদের চিনিনা জানি হুদাই গিয়ে লাভ আছে.?

মহিলা টা আবার কান্ন করে দিয়ে আমার হাত ধরে ফেললো আর বলল

মহিলা: মা আমাদের সাথে চলো পরে সব জানতে পারবা আর তখন নিজেই বোঝতে পারবা 

কিছুক্ষণ ভেবে রাজি হলাম আবার ভয় ও লাগছে কোথাও নিয়ে গিয়ে যদি বিক্রি করে দেয় বলা তো যায় নাহ আর 

উনাদের সাথে গাড়ি তে উঠলাম গাড়ি নিজের আপন গতি তে চলা শুরু করলো এবার চলুন আপনাদের আমার পরিচয় টা দিয়ে নি

আমার নাম ইমিলা জান্নত বাবা মা ছোট বোন নিয়েই আমার পরিবার। বাবা প্রবাসে থাকে মা গৃহিণী 

আমি এনার ইন্টর ফাস্ট ইয়ারের ফাইনাল এক্সাম দিচ্ছি। ছোট বোন ক্লাস ৮ এ পড়ে বাকি গুলো গল্পের মধ্যেই জানবেন..

------------- 

প্রায় এক ঘন্টা পর একটা গেইট এর সামনে গাড়ি থামলো দারোয়ান এসে গেইট খুলে দিলে ঘাড়ি বাড়িতে ঢুকলো প্রথম দেখাতেই বাড়ির উপর ক্রাস খেয়ে ফেললাম যাক এখন এসব দেখার সময় নেই বেঁচে ফিরে থাকলে তখন ভালো করে দেখে নিবো 

হঠাৎ গাড়ির দরজা খুলতেই ভাবনার জগৎ থেকে বের হলাম আহান নামের ছেলে টা দরজা খুলে দাড়িয়ে আছে পাশের জন বলল ওখানেই বসে থাকবা নাকি বের হবা উনার দিখে ভালো করে থাকালাম দবদবে সাদা গায়ের রঙ চোখ গুলো দেখলে যে কোনো মেয়ে দাড়াম করে পরে যাবে নিল রঙয়ের চোখ চেহেরায় অসম্ভব মায়া তার চাপ দাড়ি আছে লম্বা একদম তবে এগুলো আমার মনে নারা দিতে পারে নাই থাকে পাশ কাটিয়ে নেমপ পড়লাম সদর দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকলাম আমাকে সোফাতে বসতে দেওয়া হলো আমার সামনে একজন মধ্যে বয়স্ক লোক এসে বসল আমি থাকে সালাম দিলাম 

আসসালামুআলাইকুম 

লোক: ওয়ালাইকুমসালাম! ভালো আছো মা?

আমি জ্বী আলহামদুলিল্লাহ আপনি?

লোক : আলহামদুলিল্লাহ 

মহিলা: আসো তোমাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দি। 

আমি শুধু উনার দিখে থাকায়ি আছি 

এক এক করে কত গুলো মানুষ চলে এলো আমার সামমে আমি মুখ ফসকে বলেই ফেললাম 

আপনারা সবাই কি আমাকে এখন মেরে ফেলবেন?

সিরিয়াস টাইমে আমার এমন কথা শুনে সবাই হতবাক হয়ে গেলো হঠাৎ সবাই উচ্ছসরে হেসে উঠলো সবাই আমি তো বেবলার মতো তাকিয়ে আছি ওদিকে মোবাইলে সময় দেখে তো আমি আরো একবার দারাম করে আছার খেলাম ৩:১০ বাজে এখান থেকে যাবো কখন এই চিন্ত ধরে গেছে 

মহিলা টি আবার বলল : তোমার সামনে যে বসে আছে সে আমার হাসবেন্ড ওর নাম শাহরিয়ার খান, আর ও শাহরিয়ার খান আহান, আমি আমেনা আক্তার এটাই আমার পরিবার 

এখান একজন মহিলা বলে উঠলো 

আমেনা আমাদের সবার সাথে পরিচয় ওরে করালেও হবে তোদের চিনলো আর দরকার নেই আগে ওরে সব টা বলতপ হবে আর আনার দেরি হয়ে যাবে 

আমেনা : শোনো তাইলে আসল কথায় আসি তুমি আমাদের এক মাত্র মেয়ে.. 

উনাকে থামিয়ে দিয়ে শাহরিয়ার আংকেল বলে উঠলেন..

Comments

    Please login to post comment. Login