Posts

প্রবন্ধ

"বাবা-মা — যাঁরা নিঃশব্দে স্বপ্ন গড়েন"**

July 11, 2025

SAYED MOTIUR RAHMAN

85
View

একটি শিশুর প্রথম পৃথিবী তার মা। আর প্রথম নিরাপত্তার ছায়া—তার বাবা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই মা-বাবাই যেন পিছিয়ে পড়েন জীবনের প্রাধান্য তালিকা থেকে। আমরা এগিয়ে যাই, তারা থেকে যান অপেক্ষার ঘরে।

আজকের সমাজে আমরা যতটাই আধুনিক হচ্ছি, ততটাই যেন সম্পর্কের জায়গাগুলো হয়ে উঠছে যান্ত্রিক। মোবাইল ফোনে বাবা-মায়ের ফোন এলে আমরা বিরক্ত হই, "আরে! আবার কি!" অথচ তারা সারা দিন শুধু একটা কথাই শুনতে চায়—"ভালো আছি বাবা, চিন্তা কোরো না।"

আমাদের মা হয়তো নিজের খাবার কমিয়ে দিয়ে আমাদের নতুন জামা কিনে দেন। বাবা নিজের ব্যথা লুকিয়ে রাতে বেশি টিউশনি করেন, যেন সন্তানের কোচিংয়ের ফি দিতে পারেন। অথচ তাদের সেই ত্যাগের কথা আমরা ক’জন মনে রাখি?

মা বলতেন, "তোর জন্যই বাঁচি রে মা।"  
বাবা বলতেন, "তুই একদিন অনেক বড় হবি।"

কিন্তু যখন আমরা বড় হই, তখন এই কথাগুলোর দাম কমে যায়। আমরা তাদের ভুলে যাই সেই ব্যস্ত নগরজীবনের শব্দে, সাফল্যের হইচইয়ে।

এই প্রবন্ধটি শুধু লিখতে বসিনি। লিখছি তাদের জন্য যারা চোখের জলে স্বপ্ন দেখে গেছেন, নিজের জীবন দিয়ে আমাদের জীবন গড়েছেন।

আমাদের উচিত সময় থাকতে বাবা-মাকে ভালোবাসা দেওয়া। কারণ একদিন হঠাৎ করেই দেখা যাবে, সেই হাত দুটো আর নেই মাথায় রেখে দেওয়ার মতো, সেই কণ্ঠস্বর আর নেই ডাক দেওয়ার মতো।

তখন আপনি যতই সফল হন, সেই শূন্যতা আর কোনো অর্জন দিয়ে পূরণ হবে না।

**শেষ কথা:**  
একটি ফোন, একটি আদর, একটি কথা—“তোমরা আমার পৃথিবী”—এইটুকুই চাই তারা।  
আমরা যদি মানুষ হই, তবে বাবা-মায়ের জন্য সময় বের করাই আমাদের প্রথম দায়িত্ব।

---

**শিক্ষণীয় বার্তা:**  
সফলতা তখনই পূর্ণতা পায়, যখন তার সঙ্গে থাকে বাবা-মায়ের দোয়া ও হাসিমুখ।  
আজই সময়—ফিরে তাকানোর। ভালোবাসার মানুষগুলোর হাত ধরে বলার—“ভালোবাসি”।

Comments

    Please login to post comment. Login