মহাভারতে দুর্যোধনেরর পিতা ধৃতরাষ্ট্রের কথা বলা হয়েছে।
ধৃতরাষ্ট্র জন্মান্ধ ছিলেন। মহাভারতে বর্ণিত আছে যে, সত্যবতীর দুই ছেলের অকাল মৃত্যু ঘটলে সত্যবতীর আদেশে পরাশর মুনির ঔরসে কুমারি বয়সে গর্ভজাত পুত্র ব্যাসদেব অম্বিকার সাথে মিলিত হন।
অম্বিকা ব্যাসদেবের কুৎসিত চেহারা দেখে চোখ বন্ধ করে ফেলেন। তাই ধৃতরাষ্ট্র জন্মান্ধ হলেন।
অন্য উপ্যাখানে রয়েছে, আগের জন্মে ধৃতরাষ্ট্র একজন ক্ষত্রিয় রাজা ছিলেন।তখনকার দিনে ক্ষত্রিয় রাজাগণের হরিণের মাংস প্রিয় ছিল।একদিন তিনি জঙ্গলে হরিণ শিকারে বের হন।
জঙ্গলে একটি হরিণ দেখতে পেলেন। হরিণটি তাকে মায়ায় আবদ্ধ করে। হরিণের পিছনে ছুটতে ছুটতে তিনি জঙ্গলের গভীরে চলে গেলেন।
তখন সূর্য ডুবে গেল। প্রাসাদে ফিরে না গিয়ে একটি গাছের নিচে আগুন জ্বালিয়ে তিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
দেখতে পেলেন গাছের উপর দুইটি পাখি ও একশটি ছানা বসে আছে। বুঝতে পারলেন একটা মা পাখি আরেকটা বাবা পাখি।
হঠাৎ মা পাখিটি গাছ থেকে আগুনে পড়ে যায়।রাজা পাখিটাকে আগুনে ঝলসে খেয়ে ফেললেন। খেয়ে রাজার খিদে আরো বেড়ে যায়। তাই সে গাছে ওঠে বাবা পাখি এবং ছানাগুলোকে ধরে ফেললেন। তীর দিয়ে এক একটি পাখির চোখে বিদ্ধ করে আগুনে ঝলসে খেতে লাগলেন।
বলা হয়ে থাকে তার এই কৃতকর্মের জন্য পরের জন্মে তিনি অন্ধ এবং কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে শতপুত্র হারান।
ধৃতরাষ্ট্র গান্ধার রাজ্য আক্রমণ করে রাজকন্যা গান্ধরীকে বিবাহ করেন। স্বামী অন্ধ হওয়ায় গান্ধারী নিজের চোখ ঢেকে রাখতেন।
গান্ধারী ধৃতরাষ্ট্রের ঔরসে গর্ভবতী হন।
গান্ধারী যখন গর্ভবতী তখন অন্ধ রাজা ধৃতরাষ্ট্রের সেবাযত্ন করার জন্য এক বৈশ্য দাসী রাখা হয়।দাসী অসাবধনতাবশত অন্ধ রাজাকে ছুঁয়ে ফেলে। যে কারণে রাজা কামের বশফর্তী হয়ে গান্ধারীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে দাসীকে নগ্ন করে সম্তোগ করে।
গান্ধারীর গর্ভে ধৃতরাষ্ট্রের একশ পুত্র ও একটি মেয়ে এবং বৈশ্য দাসীর গর্ভে যুযুৎসু নামক পুত্রের জন্ম হয়।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যুযুৎসু ব্যাতীত সকল পুত্র নিহত হয়।যুদ্ধের পর জুজুৎসু যুধিষ্ঠিরের আশ্রয়ে কিছুকাল থাকেন।
শেষকালে গভীর তপস্যারত অবস্থায় গান্ধারী ও কুন্তির সাথে ধৃতরাষ্ট্রের অগ্ণিকুন্ডে মৃত্যু হয়।
ধৃতরাষ্ট্র জন্মান্ধ ছিলেন। মহাভারতে বর্ণিত আছে যে, সত্যবতীর দুই ছেলের অকাল মৃত্যু ঘটলে সত্যবতীর আদেশে পরাশর মুনির ঔরসে কুমারি বয়সে গর্ভজাত পুত্র ব্যাসদেব অম্বিকার সাথে মিলিত হন।
অম্বিকা ব্যাসদেবের কুৎসিত চেহারা দেখে চোখ বন্ধ করে ফেলেন। তাই ধৃতরাষ্ট্র জন্মান্ধ হলেন।
অন্য উপ্যাখানে রয়েছে, আগের জন্মে ধৃতরাষ্ট্র একজন ক্ষত্রিয় রাজা ছিলেন।তখনকার দিনে ক্ষত্রিয় রাজাগণের হরিণের মাংস প্রিয় ছিল।একদিন তিনি জঙ্গলে হরিণ শিকারে বের হন।
জঙ্গলে একটি হরিণ দেখতে পেলেন। হরিণটি তাকে মায়ায় আবদ্ধ করে। হরিণের পিছনে ছুটতে ছুটতে তিনি জঙ্গলের গভীরে চলে গেলেন।
তখন সূর্য ডুবে গেল। প্রাসাদে ফিরে না গিয়ে একটি গাছের নিচে আগুন জ্বালিয়ে তিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
দেখতে পেলেন গাছের উপর দুইটি পাখি ও একশটি ছানা বসে আছে। বুঝতে পারলেন একটা মা পাখি আরেকটা বাবা পাখি।
হঠাৎ মা পাখিটি গাছ থেকে আগুনে পড়ে যায়।রাজা পাখিটাকে আগুনে ঝলসে খেয়ে ফেললেন। খেয়ে রাজার খিদে আরো বেড়ে যায়। তাই সে গাছে ওঠে বাবা পাখি এবং ছানাগুলোকে ধরে ফেললেন। তীর দিয়ে এক একটি পাখির চোখে বিদ্ধ করে আগুনে ঝলসে খেতে লাগলেন।
বলা হয়ে থাকে তার এই কৃতকর্মের জন্য পরের জন্মে তিনি অন্ধ এবং কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে শতপুত্র হারান।
ধৃতরাষ্ট্র গান্ধার রাজ্য আক্রমণ করে রাজকন্যা গান্ধরীকে বিবাহ করেন। স্বামী অন্ধ হওয়ায় গান্ধারী নিজের চোখ ঢেকে রাখতেন।
গান্ধারী ধৃতরাষ্ট্রের ঔরসে গর্ভবতী হন।
গান্ধারী যখন গর্ভবতী তখন অন্ধ রাজা ধৃতরাষ্ট্রের সেবাযত্ন করার জন্য এক বৈশ্য দাসী রাখা হয়।দাসী অসাবধনতাবশত অন্ধ রাজাকে ছুঁয়ে ফেলে। যে কারণে রাজা কামের বশফর্তী হয়ে গান্ধারীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে দাসীকে নগ্ন করে সম্তোগ করে।
গান্ধারীর গর্ভে ধৃতরাষ্ট্রের একশ পুত্র ও একটি মেয়ে এবং বৈশ্য দাসীর গর্ভে যুযুৎসু নামক পুত্রের জন্ম হয়।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যুযুৎসু ব্যাতীত সকল পুত্র নিহত হয়।যুদ্ধের পর জুজুৎসু যুধিষ্ঠিরের আশ্রয়ে কিছুকাল থাকেন।
শেষকালে গভীর তপস্যারত অবস্থায় গান্ধারী ও কুন্তির সাথে ধৃতরাষ্ট্রের অগ্ণিকুন্ডে মৃত্যু হয়।