রায়না নতুন শহরে কলেজে ভর্তি হতে আসে, পুরনো সব ভুলে নতুনভাবে শুরু করতে। কিন্তু একদিন হঠাৎ বৃষ্টির রাতে এক অচেনা ছেলের সঙ্গে দেখা হয়, আর সেই মূহূর্তেই তার জীবনে শুরু হয় এক নতুন গল্প—ভালোবাসা, রহস্য আর বিপদের। কে সেই ছেলে? আর কেনই বা তাকে ঘিরে রহস্য এত ঘন? ---
📖 *অধ্যায় ১: বৃষ্টিতে দেখা* আকাশটা যেন হঠাৎ করেই রেগে গেল। কিছুক্ষণ আগেও সূর্য ছিল, আর এখন—টপটপ করে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। কলেজ শেষে বাড়ি ফিরছিল রায়না। তার হাতে শুধু একটা খাতা আর ছোট ব্যাগ। না ছাতা, না রেইনকোট। হঠাৎ চোখে পড়লো—একটা পুরনো ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে আছে এক ছেলে। কালো হুডি পরা, মুখটা অন্ধকারে স্পষ্ট না, কিন্তু চোখ দুটো খুব গভীর। সে একটাও কথা না বলে এগিয়ে এসে ছাতাটা এগিয়ে দিল। “ধন্যবাদ,” রায়না বলল হালকা কণ্ঠে। কোনো উত্তর দিল না ছেলে। চুপচাপ দুজনে পাশাপাশি হাঁটলো কলেজ গেট পর্যন্ত। পৌঁছেই ছেলেটা হঠাৎ করেই উধাও। রুমে ফিরে এসে ভেজা জামাকাপড় ছেড়ে ডায়েরিতে একটা লাইন লিখলো রায়না— *"সে কে ছিল?"* সে জানতো না, এই প্রশ্নের উত্তরটা তার জীবন বদলে দেবে... ---চমৎকার! তাহলে নিচে *অধ্যায় ২* দিলাম, যেখানে রহস্য একটু গাঢ় হবে — পাঠক যেন আরও গভীরে ডুবে যায় গল্পে। --- 📖 *অধ্যায় ২: পুরনো ছবির ছায়া* পরদিন সকালে রায়না কলেজে গেল ঠিকই, কিন্তু মনটা কেমন অস্থির ছিল। চোখ যেন চারদিকে খুঁজছিল সেই ছেলেটাকে—কালো হুডির সেই ছায়া। কিন্তু সে ছিল না। কোনোকিছুই ছিল না, শুধুই একরাশ প্রশ্ন। দুপুরের দিকে লাইব্রেরিতে বসে পড়ছিল সে। বইয়ের পেছনে একটা পুরনো নিউজপেপারের কাটা কাগজ আটকে ছিল। কৌতূহলবশত সেটা টেনে বের করলো। কাগজটা হলুদ হয়ে গেছে, কিন্তু ছবিটা স্পষ্ট। *ছবিতে যে ছেলেটা, সে দেখতে একদম সেই ছেলেটার মতো!* নিচে লেখা — *"স্থানীয় কলেজ ছাত্র আরভ-এর অস্বাভাবিক মৃত্যু, ৫ বছর আগে বৃষ্টির রাতে উধাও হয়েছিলেন। পরে নদীতে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।"* রায়নার গা শিউরে উঠলো। সে তো গতকাল যে ছেলেটার সাথে হাঁটলো... তার মুখ এই ছবির সাথে হুবহু মিলে! হলরুমে ফিরে এসে সে বারবার ভাবলো—*"আমি কি মৃত একজনের সাথে হাঁটলাম? না কি কিছু গোপন সত্য লুকিয়ে আছে?"* রাত নামার সাথে সাথে রায়নার জানালায় আবার বৃষ্টি পড়লো। হঠাৎ জানালার কাঁচে হাতের ছাপ... সে ধাক্কা খেয়ে পেছনে সরে গেল। কিন্তু জানালার বাইরে কেউ ছিল না। শুধু একটা কাগজ উড়ে এসে জানালার ফাঁকে আটকে গেল। তাতে লেখা ছিল— *"তুমি আমাকে দেখেছো, কিন্তু চিনতে পারোনি। শিগগিরই সব জানবে..."* --- *অধ্যায় ৩ লিখব?* ?দারুন! তাহলে নিচে *অধ্যায় ২* দিচ্ছি যেখানে *প্রেম ও রহস্য—দুটোই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে*। --- 📖 *অধ্যায় ২: ছায়ার মাঝে আলো* পরের দিন ক্লাসে রায়নার মন যেন একদম অন্যমনস্ক। বইয়ের পাতা ওল্টালেও চোখ ছিল জানালার বাইরে। কাল রাতের সেই ছেলে, তার চোখ, আর অদ্ভুত নিরবতা—সব মিলে এক অজানা টান তৈরি করে ফেলেছে। ক্লাস শেষে ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়ায় এককোণে বসে কফি খাচ্ছিল সে। হঠাৎ পেছন থেকে একটি কণ্ঠস্বর, খুবই চেনা, খুবই নরম— "তোমার খাতা ফেলে গিয়েছিলে কাল।" ঘুরে দাঁড়িয়ে চমকে উঠলো রায়না। সেই ছেলেটাই! তার হাতে তারই খাতাটি। এবার একটু ভালোভাবে দেখতে পেল তাকে। চেহারায় একটা রহস্যময় শান্ত ভাব। চোখে যেন অনেক না বলা কথা। "তুমি… কে?" — জিজ্ঞেস করলো রায়না। ছেলেটা একটু হাসল। "আারাভ। আমি ইংরেজি অনার্সের ছাত্র।" রায়নার মনে হল, হাসিটা একদম সোজা হৃদয়ে গিয়ে লাগলো। "তুমি কাল… হঠাৎ চলে গেলে কেন?" আারাভ চোখ নামিয়ে বলল, "সবাই সব প্রশ্নের উত্তর একসাথে দেয় না, রায়না। সময়ের সাথে সাথে জানবে।" সে জানলো রায়নার নাম… অথচ সে তো বলেনি! এক মুহূর্তে এক অদ্ভুত অনুভূতি ছেয়ে গেল রায়নার মনে—ভয় নয়, বরং একটা রহস্যময় নিরাপত্তা। আর সেই অনুভূতির মাঝে কোথাও প্রেমের ক্ষীণ আলো যেন জ্বলে উঠলো। --- *চাইলে অধ্যায় ৩-এ আমি গল্পে আরও প্রেম, টানটান উত্তেজনা আর রহস্য নিয়ে আসতে পারি।