প্রতিদিন তোমার ঠিকানায় এক পৃষ্ঠা চিঠি পাঠিয়েছি
প্রতিদিন তার আশ্রম ছিল জানি ছিন্নস্তূপের আবর্জনায়?
হাজার পৃষ্ঠার চিঠি লিখে ক্লান্ত হয়েছিলাম আমি বারবার
তোমার কৌতূহল জন্মেছিল একবার ডাস্টবিনের কোণে!
আমার চাহাতের ঘোড়া তখন যুদ্ধজয়ের ময়দানে পাগল।
আমি চেয়েছিলাম মাটির সংসার উত্তরে দেখালে তুমি আকাশ!
ছায়াপথ দৌড়ে নক্ষত্রদেশ জয় করে নিয়ে এসেছিলাম চাঁদ
বললে—শত ব্যবধান যেখানে লেখা থাকে পরিষ্কার অক্ষরে
মিলনের গান গাওয়া সেখানে মাতালের মত্তঘোরে দিগন্তপার!
বুঝলাম—জীবনে অনেক কিছু জানার থাকে বাকি
জানতে পারলে হয়তো অনেকে হয় অপরাধী
অনেকের গর্বে ভরে ওঠে বুক—ভরে যায় হৃদয়
আমার পরাজয় এখানে—এখানেই পরাজিত আমি—
আমার বিধিলেখায় অলিখিত বিশ্বজয়ের সোনালি অধ্যায়!
বুঝি—কেউ আকাশে গেলে টেকে না আর মাটিতে
শুনেছি—কেউ আকাশ থেকে মাটির গন্ধ শুঁকে!
মানুষ ও মানুষে যেখানে ভেদ নয়—বিরাট প্রভেদ
সেখানে চাহা ও চাহাতের দূরত্ব অতি স্বাভাবিক।
দুনিয়ার রীতি—আঁধারের পর আসে যখন প্রহর বাস্তব
আঁধারের কথা কারও আর থাকে না স্মরণে ও মনে!
আমি বুঝিনি কিছু অন্ধধ্যানে—মরেছি বিশ্বাসের প্রান্তরে
ভুলের প্রায়শ্চিত্তে লক্ষ বছর ধরে কাঁদবে আমার সমাধি
কালো সিন্দুকে বন্দি—হাজার পৃষ্ঠার চিঠির আফসোসে।