একটা ছোট্ট গ্রাম ছিল নাম টুপ টাপ পুর। সেখানে থাকত পটল কাকা।সবাই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করত, কারণ তিনি সবসময় অদ্ভুত সব জিনিস বানানোর চেষ্টা করতেন। একদিনতো তিনি হাঁসের পালকদিয়ে পাখা বানিয়ে বললেন, এবার আমি পাখির মতো উড়ব!” তারপর গাছের ডালে উঠে ঝাঁপ দিয়েই ধপাস করে নীচে পড়লেন।সবাই হেসে লুটোপুটি।
কিন্তু পটল কাকা হাল ছাড়ার মানুষ নন। একদিন তিনি ঠিক করলেন,আমি একটা উড়ন্ত সাইকেল বানাব!”সারাদিন তার আঙিনায় হাতুড়ি, করাত, বাঁশ, লোহার টুকরো, আর ঘুড়ির কাগজের ছড়াছড়ি। শিশুরা ভিড় করে দেখে কী হচ্ছে। শেষে দেখা গেল, তার সাইকেলের দুই পাশে বিশাল দুইটা বাঁশের পাখা, সামনে একটা ঘুড়ির মতো হ্যান্ডেল আর পেছনে একটা পুরোনো টেবিল ফ্যান বাঁধা
সবাই হেসে বলল, এবার বুঝি কাকা আবার ধপাস করবেন।
শিশুরা চেঁচিয়ে উঠল,পটল কাকা উড়ছে!
কিন্তু আনন্দ বেশিক্ষণ টিকল না।একে তো সাইকেল উড়ছে টালমাটাল হয়ে, সাইকেল দুলতে দুলতে কখনো বাঁশ ঝাড়ের ওপর দিয়ে, কখনো পুকুরের ওপর দিয়ে উড়ে চলল।
শেষে ধপাস করে গিয়ে পড়ল গ্রামের খেজুর গাছের মাথায়।
সবাই হেসে খুন।আর কাকার উড়ন্ত সাইকেল? সেটাকে গ্রামের শিশুরা নাম দিল,পাখনা সাইকেল।তার পর থেকে যখনই পটল কাকা নতুন কিছু বানাতে যেতেন, সবাই তাকে উৎসাহ দিত, কারণ কাকার বুদ্ধি যতই অদ্ভুত হোক না কেন,তার ভেতরে ছিল অনেক হাসি আর আনন্দ।