রোকন মাহমুদ ক্লাস টেনে পড়ে বয়সে কাঁচা, কিন্তু স্বভাবে পরিণত ভাব দেখাতে চায়।তার চোখে সবসময় একধরনের দুষ্টু ঝিলিক লেগে থাকে, যেন নতুন কোনো দুঃসাহসিক পরিকল্পনা পাক খাচ্ছে মনে।
পড়াশোনায় সে মন্দ নয়, তবে বইয়ের চেয়ে বাইরে পৃথিবীটা তার কাছে অনেক বেশি রোমাঞ্চকর মনে হয়।ক্লাস ফাঁকি দিয়ে সিনেমা হলে পালিয়ে যাওয়া তার কাছে কোনো অপরাধ নয়, বরং একধরনের স্বাধীনতার ঘোষণা। বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে সে যেন একপ্রকার নায়ক যে ভয় পায় না, ধরা পড়লেও হাসিমুখে সব সামলে নেয়।
রোকনের সাহস একটু বেশি, তবে সেটা সবসময় বিচক্ষণতার নয়।সিগারেট খাওয়ার সময় সে নিজেকে খুব প্রাপ্তবয়স্ক মনে করে,যেন পৃথিবীর সব রহস্য এখন তার জানা। কিন্তু ভিতরে ভিতরে সে এখনো কৌতূহলী এক কিশোর—যে বুঝতে চায়, বড়দের জগতটা আসলে কেমন।
তার হাসি প্রাণবন্ত,চোখে স্বপ্ন, আর মনে একরাশ বেপরোয়া স্পৃহা। রোকন মাহমুদ হয়তো নিয়ম মানে না, কিন্তু তার মধ্যে একধরনের স্বতঃস্ফূর্ত জীবনপ্রেম আছে,যা তাকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে।
অদ্ভুত রাতের শুরু
রাত তখন প্রায় বারোটা বাজে। গ্রামের সবাই ঘুমে মগ্ন। কুয়াশার পর্দা নেমে বেশি,ঠিক সেই সময় হঠাৎ বাতাসে এক ঠান্ডা শীতল পরশ বইল। যেন কেউ
বুঝতে পারলো লোকটা তাকে পনিতে নামাতে চাচ্ছে, আর নামলেই লোকটা তাকে মেরে ফেলবে। সে এবার দোয়া পড়তে শুর করলো, সময় যেন থেমে আছে কেটে গেল আর পাচমিনিট।সে আবার বল্ল চাচা মিয়া একটু সাইট দেন