বন্দুকের রোষানলে
মৃদু হাওয়া বয়ে যায়
নিরবের কিনারায়
একা একা ভেবে কাকা
জীবনটা ঘুম খায়
দুই ফিতায় বাধা সোল
ভবঘুরে চঞ্চল
সরলেই হাসি খাই
পথে আমি অবিচল
একা একা আসি নি
রাত জেগে বুঝেছি
দিনটাকে চিনি গিয়ে
ক্রমশ মরেছি
ক্লাসের ফাঁকে জানালার বাকে
দেখেছি পেশাজীবির চাহনি
পঁচিশ বছর পড়ে অকেজো হয়েছি তাই
জানি না লোকের কাহিনী
কংক্রিটে চাপা ঢেউ
বলবে না কাকে কেউ
জাদুঘরের পাপী তাই
দূর্ভিক্ষে কাগজ ছাপায়
পুঁজিতেই নাকি বাড়ে বল
সত্যের ভাঙা কল
পশ্চিমের হাওয়া লেগে
মুসলিমরা বাধে দল
চোখে চোখে হয় কথা
মুখ খোলে কাগজে
আপন পর ভুলে গিয়ে কবে
বাঙালিরা মগজে
প্রাচ্যের লোক তাই
ভেঙে ভেঙে জুড়ে যাই
মোমবাতির আগুনেই
সমঝোতা সুখ চাই
রক্ত রক্ত হয়ে গেছে শক্ত
মানুষের নিবাসে নই
মানবের ভক্ত
সত্য সত্য গায়েবি সত্য
তৃতীয় চোখ বিনা
দুইপাড়েই বন্ধ
ললাটকে দোষ দিয়ে
চোখ খুলে অন্ধ
দোষ কার সমাজের
ভোগবাদী আমেজে
দর্শকদের ভূমিকায়
ভোক্তার অধিকার
নিজ হাতের রান্নায়
চাটু করে জমিদার
ছলনায় জিতে গিয়ে
প্রজার নামে সৎকার
সমাজের কি দোষ
জনে জনে নেই হুশ
শান্তির কথা বলে
রক্তকে টেনে চোষ
কংকাল মরে গেলেও
ছাড়বে না একটি কোষ
জীব জীব লড়ে হায়
সমানে সমানে কি জেতা যায়
জিত এমন প্রাপ্তি যা
মরে গিয়ে জানা যায়।
This is a premium post.