সকালের ডাললেক একেবারেই অপরিচিতা। রাতের নিস্তব্ধতার কিছুই আর নেই । ‘শিকারা’ (ডাললেকে চলাচল করা সাজানো ছোট কাঠের নৌকা, ছবিতে দৃশ্যমান) নিয়ে হাঁকডাক দিয়ে বেড়াচ্ছে শিকারার মাঝি । অদূরেই উচু পাহাড় এর ফাঁক দিয়ে সূর্যের আরামদায়ক আলো মুখে আলতো করে ছুয়ে যাচ্ছে । চারপাশে মানুষের কর্মব্যাস্ততা বাড়ছে । আমরাও বেরিয়ে পড়লাম আমাদের হাউসবোট থেকে । জাভেদ ভাই গাড়ি নিয়ে আগে থেকেই তৈরি । আমাদের কাশ্মীরে গন্তব্য পেহেল্গাম, গুলমার্গ আর লাদাখ যাবার পথে সোনমার্গ । দেরি না করে তাই যাত্রা শুরু । পথিমধ্যে আপেল বাগান, আখরোট দেখতে দেখতে পৌঁছে গেলাম পেহেলগাম । রাস্তায় আমাদের সঙ্গি ছিল বিখ্যাত ‘লিদার’ নদী । যারা বলিউড-এর পোকা, তারা নানান মুভিতে দেখে থাকবেন এই নদী । জায়গায় জায়গায় বোল্ডার আর ছোট ছোট ফটোজেনিক সেতু । সাথে আরামদায়ক ঠাণ্ডা বাতাস । উদাসী হতে আর লাগে কি! পেহেলগাম অনেকগুলা ভ্যালি-এর সমন্বয় । এখানে ছিল বেতাব ভ্যালি, আরু ভ্যালি । পাহাড়-নদীর পাশে বসে থেকে এখানে সময় কন্দিন দিয়ে চলে যায়, টের পাওয়া দায় । দূরে বরফে ঢাকা সাদা পাহাড়, পাহাড়ের নিচে দৌড়ে বেড়াচ্ছে বেয়াড়া ঘোড়া । এখানে বৃষ্টির কোন ঠিকঠিকানা নাই, অযাচিত অতিথির মত যখন তখন এসে ভিজিয়ে যায় ।
এটি একটি প্রিমিয়াম পোস্ট। পুরোটা পড়তে অনুগ্রহ করে পোস্টটি কেনার মাধ্যমে লেখককে সাপোর্ট করুন।