"মেজু মিঞা ডাকবে 'বাবা',
'বাজান' বড় মিঞা,
'আব্বা' বলে ডাকবে আমায়,
ছোট শাহজাদা।
কবরপাশে দাঁড়িয়ে থেকে,
করবে দোয়া জনে জনে,
ব্যস্ত থাকা এই দুনিয়ায়,
যখন সময় রবে।
গোরের কাছে, আসার তরে,
সময় যদি নাইবা মিলে,
যখন যেথায় যেমনি থাকো,
দোয়া করো প্রাণটি খুলে।
সূরা, ক্বিরাত, দোয়া দরুদ,
পড়বে মন দিয়ে,
বখশে দোয়া দিও করে,
রুহের ক্ষমার তরে।
নামাজ নিও পড়ে সদা,
সকল কাজের আগে,
ব্যস্ত বেলায় ত্রস্তপদে,
ছুটো মসজিদ পানে।
ক্বোরান পড়ো, প্রতি ভোরে,
ফজর নামাজ পড়ে,
দোয়া করো সবে মিলে,
প্রতি জুমআ' বারে"।
বাবা তোমায় মনে পড়ে,
জীবন পথে পথে,
বাবা হয়ে করি কিছু,
তোমার নাতি'র তরে।
কেমন করে জীবন জুড়ে,
লড়ে গেলে আপন মনে,
মনের মতো, সাজিয়ে গেলে,
মানস মননে।
দেশী খেশি প্রতিবেশী,
পারার কোন জন,
ছেড়ে গেলে, এই দুনিয়া,
করতে আয়োজন।
দোয়া, ক্বোরান খতম করার,
পারা ভাগ করে,
পড়া শেষে বখশে দিতে,
মিলে পাড়ার সবে।
দাঁড়িয়ে আছে মিনার দেখো,
ঐতিহাসিক স্মারক,
তোমার বাগের ফুল-ফসলের,
ভালবাসার স্ফুরণ।
সিরাজ নগর, বাগে ওয়াহহাব,
শিক্ষার শহর যেনো,
চিন্তা ধারা, ধ্যাণ ধারণার,
স্মৃতি বয়ে শতো।