পোস্টস

উপন্যাস

মাই সেকেন্ড ক্রাশ (৩)

১৭ জুন ২০২৪

রাজিয়া সুলতানা জেনি

আগের পর্ব

 

 

ঠিক করে এসেছিলাম, বাসায় ফিরেই দুটো কাজ করব। প্রথমটা, মিস রসময় গুপ্ত ডট কম সাইটটায় ঢুকব আর দ্বিতীয়টা, সুমনের খোঁজ করব। তবে তার আগে লিভিং রুমে বসে থাকা মা আর নিশি আপাকে ফেস করতে হবে। উনারা যে অপেক্ষা করে থাকবেন, সেটা অনেকটাই অবধারিত। তাই সারারাস্তা ভাবতে ভাবতে এসেছিলাম, ‘উনাদের কি বলব?'। ‘ইয়েস' বলব, না ‘নো’?

বাসায় ঢোকার ঠিক আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ‘ভেবে দেখি’ বা 'কালকে জানাবো' জাতীয় কিছু একটা বলব।

অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম নিশি আপার 'কেমন লাগল মেয়েটাকে?’ প্রশ্নটার উত্তরে একটু আগে ঠিক করে রাখা উত্তরটা কেন যেন দিতে পারলাম না। ‘ভেবে দেখি’ মানে যদি ‘নো' ভেবে বসে? নাকি অন্য কিছু ভেবে চুপ ছিলাম? সেই মুহূর্তে আমার ভেতর কি চলছিল জানি না। শুধু জানি নিশি আপার সামনে একটা কথাও বলতে পারিনি। চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলাম।

নিশি আপা তীক্ষ্ণ চোখে আমাকে কিছুক্ষণ দেখলেন। ঐ অন্তর্ভেদী দৃষ্টির সামনে কেমন যেন অসহায় ফিল করছিলাম। এরপরে যখন কোন উত্তর না দিয়ে জাস্ট শূন্য দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকালাম, তখন সম্ভবতঃ আমার উত্তরটা উনি গেস করে ফেলেন। কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে বেশ নরম গলায় বললেন

— ঠিক আছে। গিয়ে ফ্রেশ হ।

কেমন যেন 'হাঁফ ছেড়ে বাঁচার’ অনুভূতি হল। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আর এক মুহূর্ত না দাঁড়িয়ে সোজা নিজের রুমে চলে গেলাম। স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম আমার মতামত শোনার জন্য উৎসুক মা অসহায় চোখে নিশি আপার দিকে তাকিয়ে আছে। ধীরে ধীরে সেই চোখে জেগে উঠছে কিছুটা বিরক্তি। কিন্তু সেটা নিশি আপাকে না বলে চুপ করে গেলেন মা।

রুমে ঢুকে বিছানায় হেলান দিয়ে প্রথমে মনে হয়েছিল, আসলেই পরে উত্তর শুনতে চান নিশি আপা। পরে মনে হল, ব্যাপারটা তা না। উনার যা বোঝার, উনি বুঝে গেছেন। আয়নার দিকে তাকিয়ে বুঝলাম আমি যে কনফিউজড, কথাটা আমার চেহারায় বোল্ড লেটারে টাইপ করা আছে। আমি সিওর, আমার মনের অবস্থা বুঝতে সময় লাগেনি নিশি আপার। সেজন্য আমার উত্তরের জন্য আর অপেক্ষা না করে রুমে পাঠিয়ে দিলেন।

যা হবার, কাল দেখা যাবে। নিশি আপার হাত থেকে বাঁচা গেছে! আর টের পেলাম 'নিশি আপা' প্রবলেমটা সলভ হয়ে যাওয়ায় মাথার ভেতর এখন কিলবিল করতে শুরু করেছে ‘অনন্যা'। মেয়েটার চাহনি, ওর ঠোঁটের কোণের দুষ্টুমির হাসি, সবকিছু মনের ভেতর ঘুরছে। ড্রেস ছাড়তে ছাড়তে একবার মনে হল ল্যাপটপ খুলে এখনই বসে যাই। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলালাম। সাইটটা তো কোথাও চলে যাচ্ছে না।

ফ্রেস হয়ে এসে প্রথমেই মোবাইলটা হাতে তুলে নিলাম। খোকনকে ফোন করলাম। আর প্রথম যে কথাটা বললাম সেটা হচ্ছে, 'সুমনের কোন খোঁজ জানিস?’

ধাতস্ত হতে কিছুটা সময় নিল খোকন। এমন বলা নেই কওয়া নেই, সেই ক্লাস সিক্সে একসাথে পড়া ফ্রেন্ড সম্পর্কে জানতে ফোন করা, হতবাক হওয়ার মতোই ব্যাপার। অবাক গলায় শুধু জানতে চাইল

— কোন সুমন?

— আমাদের সাথে পড়ত না? স্কুলে? চটি সুমন?

— চটি সুমন?

— হ্যাঁ, চটি সুমন।

— ওর খোঁজ জেনে কি করবি?

— কি করব জানি না, নাম্বারটা লাগবে। যোগাড় করতে পারবি?

— শালা বেঁচে আছে কি না তাই তো জানি না।

— জান। জেনে আমাকে জানা।

 

এই ফাঁকে খোকনের একটা ইন্ট্রো দিয়ে নিই। প্রত্যেক ফ্রেন্ডগ্রুপে এমন একজন বিবিসি টাইপ ক্যারেক্টার থাকে না, যার নখদর্পণে সবার হাঁড়ির খবর থাকে? খোকন হচ্ছে তেমন একজন ফ্রেন্ড। আর ওকে ফোন করে সুমনের খোঁজ করছি, কারণ আজকে অনন্যা ইন্সিডেন্টের পর থেকে কেন যেন ওর কথাই খুব করে মনে পড়ছে। চটির বিশাল কালেকশান ছিল ওর। শুধু তা ই না, পুরো ক্লাসকে চটি সাপ্লাই দিতো বলে, হারামজাদার নিকনেমই হয়ে গিয়েছিল, 'চটি সুমন’।

যদিও ভেবে এসেছিলাম প্রথমটা আগে সারব, তারপরও কেন যেন দ্বিতীয় কাজটাই আগে সারলাম। আর প্রথম কাজটায় তখনো হাত দিলাম না। কেবল মনে হতে লাগল, সাইটটায় ঢুকলেই তো এক্সাইটমেন্ট শেষ। চটি তো চটিই। ঐ একই সব লেখা। তার চেয়ে বরং আজকের ঘটনাটা নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় আরেকবার ভাবি।

ফোনটা রেখে বিছানায় হেলান দিয়ে চোখটা বন্ধ করলাম। আমাদের 'কনে দেখা' অবলিগ 'পাত্র দেখা' মিটিং এর শেষ দৃশ্যটা ভাববার চেষ্টা করলাম। দেখলাম চোখের সামনে সব কিছু ভেসে উঠছে। ওর বাড়িয়ে দেয়া কার্ডটা হাতে নিয়ে পকেটে রাখবার আগে এক ঝলক নজর বুলিয়েছিলাম কার্ডটার দিকে। ‘মিস রসময় গুপ্ত' নামটা পুরনো ঘটাং প্রেসের ছাপার অক্ষরে লেখা। এই কম্পিউটার কম্পোজের যুগে, ঘটাং প্রেসের ফন্ট ইউজ, সম্ভবতঃ ইচ্ছেকৃত। দেখার সাথে সাথেই কেমন একটা অনুভূতি হল। শুধু ইরোটিক না। অন্যরকম। চটি পড়ার সময় যেমন থ্রিল, নিষিদ্ধ কিছু করার এক্সাইটমেন্ট আর ইরোটিক ফিল হত, তেমন। আর সম্ভবতঃ কিছুটা নস্টালজিয়া।

ও যখন একটা রিক্সায় উঠে আমার সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছিল, তখন আমার দিকে তাকিয়ে একটা স্মাইল দিয়েছিল। আমার জীবনে দেখা শ্রেষ্ঠ স্মাইল ছিল সেটা।

আমি তখন পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলেও, অনেকটাই স্বাভাবিক। তারপরও, ও দৃষ্টি সীমার বাইরে যাওয়া পর্যন্ত সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। বাকী সব রিক্সার ভিড়ে অনন্যার রিক্সাটা হারিয়ে যাওয়ার পরে ধীরে ধীরে হেঁটে আমার গাড়ীর কাছে ফিরে আসি। স্টার্ট দিতে দিতে প্রথম যে রিয়াকশানটা হয়েছিল, সেটাকে বাংলায় কি বলে? ‘দ্বিধা'? না 'সন্দেহ'? না দুটোই? আই অ্যাম নট সিওর। মনে তখন একটা প্রশ্নই কিলবিল করছে, ‘এই মেয়েকে বিয়ে করা কি ঠিক হবে?’

 

মাথার অন্য এক কোণে তখনো নিশি আপা ঘুরছে। আজকের দিন তো না হয় পার হল। কাল যখন আবার দেখা হবে, তখন নিশি আপাকে কি বলব?

সিদ্ধান্ত যা নেয়ার আমাকে এখনই নিতে হবে। বাসায় নিশি আপা আর মা দুজনে আমার মাথার ওপরে থাকলেও, দুজনের কেউই তাঁদের সিদ্ধান্ত আমার ওপর চাপাবেন না। ‘ইয়েস' বলতে হলে আমাকেই বলতে হবে। আর ‘নো' ও আমকেই বলতে হবে। আমার খুঁতখুঁতে স্বভাব দিয়ে ‘তোমরা যা ভালো বোঝো কর' বলার অপশান আমি নিজেই ডিস্ট্রয় করেছি।

তখন ভাবতে না পারলেও, এখন কনফিউশানের কারণটা বোঝার চেষ্টা করলাম। আমি কি অনন্যার প্রেমে পড়ে গেছি? না জাস্ট একটা ইরোটিক অ্যাট্রাকশান ফিল করছি? ‘হ্যাঁ' বলতে পারছি না, তার কারণ হচ্ছে, আমার ভেতরে লালিত আজন্ম সংস্কার। মন বলছে, যে মেয়ে চটি লেখে, হবু বরকে জিজ্ঞেস করে, ‘চটি পড়েন কি না?' এধরনের মেয়ের ক্যারেক্টার খুব সুবিধের হওয়ার কথা না। কিংবা বলা যায়, চটিতে যে ধরণের তরল টাইপ ভাবি টাবির ডেস্ক্রিপশান থাকে, যাদের নিয়ে ইরোটিক ঘটনাগুলো ঘটে, এ মেয়ে তেমন টাইপের একটা মেয়ে হবে।

তারপরও ‘না' বলতে পারছি না কিংবা কনফিউশানের অন্য পাড়ে ছিল একটাই ব্যাপার, মেয়েটা আমাকে দারুণভাবে টানছে। ‘নো' বললেই তো সমস্ত সম্ভাবনা শেষ।

 

এর আগে যে চারটা মেয়ে দেখেছি, তাঁদের ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি। সবাই বেশ সুন্দরী ছিল, আকর্ষণীয় ছিল। নিশি আপা বেশ বেছে বেছেই মেয়ে সিলেক্ট করেছিলেন। বাট ওদের ক্ষেত্রে ডিসিশান নিতে সমস্যা হয়নি। মন থেকে ‘ইয়েস' আসেনি। তাই এসে সোজাসুজি জানিয়ে দিই, ‘নো'।

নিশি আপা কারণ জানতে চেয়েছিল প্রথম বার। উত্তরে শুধু বলেছিলাম, 'জানি না। মন টানছে না।' এরপর থেকে আর জিজ্ঞেস করেননি। বোধহয় বুঝে গিয়েছিলেন, আমি কি চাই, নিজেই জানি না। তবে হাল ছাড়েননি। কিংবা বলা যায়, কনে খোঁজার এই কাজটা এঞ্জয় করছিলেন।

কালকে কি উত্তর দেব, তা নিয়ে বেশ কিছু সময় ভেবে যখন কোন উত্তর ঠিক করতে পারলাম না, তখন দেখা গেল মাথায় আবার অনন্যা ফিরে আসলো। দেখলাম সাইটটায় ঢোকার জন্য একটা অস্থিরতা কাজ করছে। ল্যাপটপ খুললাম।

কাজটা কি করব? মন বলছে, এই পথে আর এক পা বাড়িয়েছি কি, ফেরত আসতে পারব না। ডালাটা বন্ধ করে স্লিপ মোডে পাঠিয়ে দিলাম ল্যাপটপটাকে।

ঘুমাবার আপ্রাণ চেষ্টা করলাম। লাভ হল না। অনন্যার শেষ মুহূর্তের সেই চাহনি চোখে ভাসছে। ঠিক স্মাইল না, দুষ্টুমি না, আবার বিদ্রূপও না।

অবশেষে রণে ভঙ্গ দিলাম। ঠিক করলাম, যা হওয়ার হবে। সাইটে ঢুকব। রাত সাড়ে দশটার দিকে ঢুকলাম ঐ ওয়েব সাইটে। পর্ণ সাইটগুলো যেমনটা হয়, তেমন না। বিভিন্ন রকমের ন্যুড ছবিতে ঠাঁসা একটা ল্যান্ডিং পেজ নেই।। নামটাই বড় করে লেখা। পুরনো একটা চটি বইয়ের দুমড়ানো একটা কভারের ছবি দিয়ে করেছে ল্যান্ডিং পেজ। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম পুরো স্ক্রিন জুড়ে। তবে বোঝা যাচ্ছে লেখকের নাম রসময় গুপ্ত। আর রসময় গুপ্ত লেখাটার ঠিক আগে লাল রঙে লেখা 'মিস'।

নিচে কিছু স্যাম্পল পেজ আছে। পর্ণ গল্পে সেক্সের যে ডিস্ক্রিপশান, সেটা শুরুর আগের ভূমিকা অংশটুকু আছে। তা ও আবার এক্সাইটমেন্ট শুরুর আগে পর্যন্ত। পড়লাম কয়েকটা। বাকীটা পড়তে চাইলে সাবস্ক্রিপশান নিতে হবে। এধরনের লেখায় আসলে লেখকের পার্থক্য বোঝার চেষ্টা করার কোন মানে হয় না। তারপরও, একটু আলাদা লাগল। হতে পারে, অনন্যাকে মনে ধরেছে, সেজন্য। আবার হতে পারে, আসলেই ওর লেখায় নতুনত্ব আছে।

যদিও এধরনের পর্ণ সাইট হাজারে হাজারে আছে। যখন এসবে ঘোরাঘুরি করেছি তখন দেখেছি, বেশিরভাগেই সব কমন গল্প। খুব বেশি ভ্যারিয়েশান নেই। আর গল্প কমন পড়লে, এক্সাইটমেন্ট সেভাবে আসে না। ইদানীং যে খুব একটা এসব সাইটে ঢোকা হয়, তা না। কিছুটা সময়ের অভাব আর কিছুটা কাজের চাপ। তাছাড়া, ওসব পড়ার একটা বয়স থাকে।

কেবল বয়সও বোধহয় না। সেই বয়সে দুটো ফ্যাক্টর বোধহয় বেশি কাজ করে। নতুন আসা পিউবার্টি আর নিষেধাজ্ঞা। বইগুলো যে শুধু লুকিয়ে পড়তে হত তা না, লুকিয়েও রাখতে হত। ধরা পড়লে… ভয়ানক বিচ্ছিরী পরিস্থিতি।

যাই হোক, সেই সময়ে এসব বই পড়ার যে বাধা থাকত, সেটা এখন আর নেই। আমার রুমে কি বই আছে, কি নেই সেসব কেউ খুঁজে দেখে না। আলমিরা লক করে রাখা যায়। তাছাড়া নেট তো আছেই। তারপরও, এখন আর সেভাবে পড়া হয় না। নেশা তো নেইই।

কিন্তু আমার মাথায় তখন পাগলামি ছড়ি ঘোরাচ্ছে। সাবস্ক্রিপশান নিয়ে ফেলব?

টের পাচ্ছি, নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছি। একজন কারো সাথে আলাপ করতে পারলে ভাল হত। কার সাথে করব? খোকন? কি বলব? 'আজকে যে মেয়েকে দেখতে গিয়েছিলাম, সে চটি রাইটার' স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি কথাটা শোনার পরে ওর চোখ চকচক করে উঠবে। এরপরে জিজ্ঞেস করবে, 'তারপর? কি আলাপ করলি?’

না। ওকে দিয়ে হবে না। আর কে? সোহরাব ভাই? অফিস কলিগ। সিনিয়র। অফিশিয়াল কাজে মাঝে মাঝে উনার অ্যাডভাইস নিই। বাট… এই ব্যাপারে আই নিড সামওয়ান স্পেশাল। সামওয়ান হু নোজ অ্যা ফিমেইল ক্যারেক্টার বেটার।

একটা নামই মনে আসছে। লাবণী। আমার এক্স। ইউনিভার্সিটি লাইফের প্রেম। বছর দুয়েক টিকেছিল। এরপরে… পরে কখনো বলব। যাই হোক, লাবণীর বিয়ে হয়ে গেলেও, দেখা হয়। যেহেতু ক্লাসমেট ছিল, তাই ফ্রেন্ডদের বিভিন্ন গেট টুগেদারে মাঝে মাঝে দেখা হয়েই যায়। হাই হ্যালোও হয়। ‘বিয়ে করছো না কেন?’ প্রশ্নও করে। আমার কাছে লাবণীর ফোন নাম্বারও আছে। অ্যান্ড ঐ পর্যন্তই। 'জাস্ট ফ্রেন্ড’ টাইপ রিলেশান।

 

ওর বর আমাদের অতীত রিলেশান সম্পর্কে জানে কি না, কখনো জিজ্ঞেস করিনি। তবে জানাটাই স্বাভাবিক। ইউনিভার্সিটিতে আমাদের প্রেম তেমন গোপন কোন ব্যাপার ছিল না। আর জানলেও সেটা নিয়ে উনি খুব একটা বদার্ড, ওর বরের সাথে আলাপে আমার তেমনটা মনে হয়নি। অবশ্য ওদের দাম্পত্য সম্পর্কে তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে কি না, কখনো সেই প্রশ্ন লাবণীকে করিনি।

আজকে যে লাবণীর কথা মাথায় প্রথম আসল, তার কারণ আমার করণীয় নিয়ে কনফিউশানে পড়লে, একটা সময় ওর হেল্প চাইতাম। ঠাণ্ডা মাথায় একটা স্পষ্ট সিদ্ধান্ত ও দিতে পারত। ঘড়ির দিকে তাকালাম। এগারোটা। ফোন করার জন্য রাতটা একটু বেশি হয়ে যায়। তবে ‘বাড়াবাড়ি' হয় না। মোবাইলটা হাতে তুলে নিলাম

লাবণী লিখে ফোনের কন্টাক্ট সার্চ দিলাম। চলে আসল। নাম্বারটা এখন চোখের সামনে। কল করব?