গিটারটা এখন আর খাটের নিচে রাখার প্রয়োজন হয় না। দুই জানালার মাঝখানের দেয়ালে ঠাঁই পেয়েছে গিটারটা। বাবার দেখে ফেলার ভয়ে গিটারটা প্রথম প্রথম খাটের নিচে রাখতাম। এখন বাবার অনুমতি পাওয়া গেছে, তাই আর লুকিয়ে রাখতে হয় না।
সাধারনত জানালার পাশের চেয়ারটাতে বসে গিটার বাজাই, কিন্তু আজ বিছানায় উঠে বসেছি। একটা হ্যান্ডি রেকর্ডার জোগাড় করা গেছে। রেকর্ডারটা স্টেডিয়ামের একটা রিপেয়ারের দোকান থেকে আনা। বাসার ক্যাসেট প্লেয়ারটা ঠিক করতে নিয়ে গিয়েছিলাম, ঠিক তখনি রেকর্ডারটা চোখে পড়ে। এই ধরনের একটা ছোট্ট রেকর্ডারই অনেক দিন ধরে আমি মনে মনে খুঁজছিলাম। গিটারে রিদম করে গান গাওয়ার সময়, এখন সহজেই রেকর্ড করা যাবে। রেকর্ডারটা যদিও পুরনো, এমনকি একটা বাটন পর্যন্ত ভাঙা!
দোকানি বলল, “নিলে এই অবস্থায় নিতে হবে।বুঝেন না, ক্যান পানির দামে ছাইড়া দিচ্ছি? আমার ছোট্ট দোকান এইসব নষ্ট জিনিস দিয়া ঠাঁসা। এইসব জঞ্জাল একটু পরিষ্কার হইলে একটু শান্তিতে বইসা কাজ করা যাইব।”
আমি বললাম, “এর মানে কী? এটা নষ্ট নাকি?”
দোকানি বলল, “শেষমেশ তো ঠিকই ছিল, ভিতরে একটা দামি ক্যাসেটও আছে। নিলে, নেন। যে দাম কইছি, ওজন দিলে ভাঙারির দোকানে আরও বেশিই পাওয়া যাইত।”
কথা একদম খারাপ বলে নাই দোকানি। যে দামে সে আমাকে দিচ্ছে, জিনিস অনুযায়ী তা একরকম ফ্রিতেই দিয়ে দেয়া বলা যায়। কিন্তু এই দুইশো টাকাই তো আমার পকেটে নাই!