জন্মদিন
যেদিন প্রথম মাতৃজঠর এর অন্ধকার পেরিয়ে চোখদুটো পৃথিবীর আলো দেখেছিল, কেমন ছিলো সে অনূভুতি?
জানতে ইচ্ছে করে।
চোখদুটো নিষ্পলক তাকিয়ে ছিল, না মিটিমিটি দেখছিল নীল গ্রহের আকাশ বাতাস।
মস্তিষ্ক কিভাবে অনুবাদ করছিল লাল, নীল, হলুদ, কমলা!
জলীয় প্রকোষ্ঠ থেকে বেরিয়ে প্রথম যখন শ্বাস নিলো নাসারন্ধ্র, কেমন ছিলো সে অনুভুতি?
জানতে ইচ্ছে করে।
আনাড়ি ফুসফুসটার সংগে গ্যাসীয় অক্সিজেনের প্রথম
সাক্ষাৎটা কেমন ছিলো।
এলভিওলির প্রকোষ্ঠে-পর্দায় প্রথম কার্বন ডাই অক্সাইড এর ছাকুনিতে পুরো দেহে সাড়া পড়ে গিয়েছিল কিনা?
অনেক বড় ঘটনা তো এটা!
নাড়িটা কেটে ফেলা হল।
বিচ্ছেদের বেদনায় কেমন কেঁদেছিলাম?
কেমন ছিলো প্রথম মাতৃদুগ্ধ আস্বাদন!
পরিপাকতন্ত্রের সুবিশাল কর্মযজ্ঞ কিভাবে চলছিল।
দুগ্ধ বিভাজিত হয়ে বিবিধ পুষ্টিকণা রূপে পৌছে গেল প্রতিটি কোষকণিকায়।
শক্তি উৎপাদন কতটা ঘটা করে উদযাপিত হয়েছিল সেদিন?
জানতে ইচ্ছে করে।
সেদিন ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম অনেক।
ঘুমের ঘোরে হেসেছি নাকি।
কে শেখালো হাসিটা? হাসিতেই যে আনন্দপ্রকাশ, কে জানালো?
কেনোইবা হেসেছিলাম?
কি স্বপ্নই বা দেখেছিলাম?
এতো অজানা, প্রশ্ন, যে দিনটি ঘিরে,
সে দিনটিই জন্মদিন।
উত্তরগুলো জমা আছে সৃষ্টিকর্তার কাছে।
একদিন জিজ্ঞাসিব তারে!
ততদিন,
জন্মদিন এর মত স্বপ্ন দেখি আর হাসি।
হাসি আর দেখি,
জন্মদিন!