৬
হে আমার জন্মভূমি
দিনরাত মনে পড় তুমি
দিনরাত ভাবি তোমার ছবি।
তোমার নদীপাড়ের হাওয়া
তোমার দিঘিজলে নাওয়া
তোমার খালেবিলে যাওয়া
ভুলতে পারি না আমি—
হে আমার জন্মভূমি॥
তোমার শহর তোমার বন্দর
তোমার গ্রামগঞ্জ কী মনোহর
তোমার জমিনে নেই কিছু কমি।
হাটখোলা রথখোলা বটতলা
টিলটিলা বনবনানী শৈলশীলা
দেখে দেখে মন কার হয় না উতলা
কী মনোমুগ্ধকর তোমার জমি—
হে আমার জন্মভূমি॥
২৩ ভাদ্র, ১৪১৫—মানামা, আমিরাত
৭
অনন্যা,
এতই কিরে হয়ে গেলাম অচেনা
এত সহজেই করতে পারলে বেগানা—
অনন্যা!।
ক্ষমা চাই ক্ষমা চাই ক্ষমা চাই বারবার
দুঃখ যদি দিয়ে থাকি অজান্তে একবার
ক্ষমা চাই বারবার।
জানে আল্লাহ এ অন্তরে কার জল্পনা—
অনন্যা॥
নিরবধি,
ভাবো যদি ভাবতে পারো বেদরদি
প্রমাণ নেই দিতে পারি প্রাণাবধি—
নিরবধি॥
বুঝে নিয়ো তবে—বোঝাতে পারি ক্ষমতা নেই
আঘাত বেসুমারে বাকশক্তিও থাকে না যে
বুঝে নিয়ো তবে।
বলব না-নিরলে বসে করো কল্পনা—
অনন্যা॥
২৩ কার্তিক, ১৪১৫—মানামা, আমিরাত
৮
হে শোন, হাঁ তুমি—তোমাকেই বলছি
দুটো কথা ছিল চলনা কোথাও নির্জনে বসি।
চল-না যাই আরেকটু নিরলে
কথা দুটোতে কত-না সময় লাগে
আঠারোটা বছর স্থানকোনো বাকি নেই খুঁজছি॥
এ মন একেমন মায়াজালে বুনেছে নির্মাতা
ক্ষণের দেখা কেমনে হয় জীবনের ভালো লাগা।
মনে আছে হিমছড়ি সাক্ষাৎকার?
কথা না আঠারো বছর মনে থাকার
তোমার দোষ নয় সারা আমার স্বীকার করছি॥
২১ বৈশাখ, ১৪২০—মানামা, আমিরাত
৯
ছোটবেলার খুনসুটি কী মমতামধুর জীবনস্মৃতি
আসমানে ঠেকালেও মাথা ভুলা যায় না সেটি।
দিন চলে যায়—যায়—সময় রুখে না
দূরে গেলে বোঝা যায় আপন কী আপনা
তের নদী পাড়ি দিয়েও ভুলা যায় না পিছুটি॥
বয়স বাড়ুক-না যতই আচরণ থাকুক শিশুসুলভ
কী হবে কপালে লাগিয়ে অতসব বুদ্ধির তিলক।
সীমানার পৃথিবী হারাক-না সীমানা যত
ঘুরেফিরে আসতে হবে সীমানা মতো
নীতি হেরে গতি নেই—গতি হেরে রাখা চাই নীতি॥
২০ বৈশাখ, ১৪২১—ডি সি রোড, চট্টগ্রাম
১০
আমার মনে বড় এ আফসোস—
ভালোবেসেছি প্রাণ উজাড় করে তোমারে
এ আমার দোষ!।
বুঝেছি সবই বুঝতে পারিনি তোমায়
আমার পৃথিবী অন্ধকারের কারণ একটাই
সহজে বিশ্বাস করেছি বলে বোকা মানুষ—
এ আমার দোষ॥
আমি তো চেয়েছিলাম দুজনে হব সুখী
তুমি তো আমারে পুড়ে উজালা করে নিলে
তোমার পৃথিবী!।
হও হও সুখী হও—সুখে থাকলে তুমি
যত অসুখে থাকি-না কেন, বড় সুখী আমি
আমার ভালোবাসা ছিল—থাকবে নিরঙ্কুশ—
এ আমার দোষ॥
১০ ফাল্গুন, ১৪২৫—ডি সি রোড, চট্টগ্রাম