পোস্টস

বাংলা সাহিত্য

শঙ্খবীণা (৩)

৩০ জুন ২০২৪

আযাহা সুলতান

মূল লেখক আযাহা সুলতান

১১ 

জান জান হে আমার জান 

         তুমি আমার প্রাণ 

তোমার ভালোবাসার যায় না দেয়া 

 কোনো প্রতিদান—

                  জান জান হে আমার জান। 

তুমি হাসলে মুক্তা ঝরে 

         তুমি বললে প্রাণ কাড়ে 

তোমার হাঁটাচলা 

                  চাহাচাহান

চোখের দেখা দেখে পারে কে নিজেকে 

         ঠিক রাখান—

                  জান জান হে আমার জান॥ 

 

প্রিয় হে প্রিয়া আমার প্রিয়া

         পাব না পাব না 

তোমার মতন জগতে খুঁজে আর 

         পাব না গো হাঁ—

                  প্রিয় হে প্রিয়া আমার প্রিয়া। 

ভেবে দেখেছিও দেখেছি 

         মনে মনে খুঁজেছিও খুঁজেছি 

আমার তিলোত্তমার 

                   মতো রূপবান 

হতে পারে না-স্বর্গের অপ্সরা কে বা 

         কোনো হুরিয়ান—

                  জান জান হে আমার জান॥ 

                  ৬ পৌষ, ১৪২৭—মানামা, আমিরাত 

১২ 

ভাবনা 

         হে প্রাণের ভাবনা 

                  তুমি সঙ্গে এস এস-না 

পার করি চল আকাশের সীমানা—

         দুজনা 

                  চল-না চল-না 

হারিয়ে যাই দূরে-অনেক দূরে 

         খুঁজে যেন না পায় কেউ দুজনারে, 

তুমি আমি কখনো না করি ছলনা—

                  চল-না চল-না 

পার করি চল আকাশের সীমানা॥ 

 

তোমার হাত 

         এ আমার হাত 

                  মিলে যদি হয় এক 

আমরা সৃষ্টি করতে পারি না? 

         পৃথিবী আরেক 

                  হেসো না হেসো না 

স্রষ্টার বড় অবদান-তুমি 

         তোমাতে লুকিয়ে রেখেছে আমি, 

তুমি ছাড়া আমার কিছুই সৃষ্টি হয় না—

                  চল-না চল-না 

পার করি চল আকাশের সীমানা॥ 

                  ৮ পৌষ, ১৪২৭—মানামা, আমিরাত 

১৩ 

প্রায়—

         প্রায়ই বছর দশেক পরে 

তার সাথে হলো দেখা সমুদ্রতীরে। 

         সেই হাসিমুখ 

                  সেই ভালোবাসিচোখ 

সেই হাঁটাচলা, 

         সে আগের মতোই 

                  রয়ে গেল 

হাসিয়ে কথা বলা 

         রয়ে গেল অবিকলে 

আমি কেন বদলে যাই—বোঝাই কী করে॥ 

 

হায়—

         নাই—আমি তো নাই আমার মধ্যে

সেকথা ভেঙে বলার শক্তি নেই আমাতে। 

         কিছু কথা

                  কিছু ব্যথা 

দেখানো যায় সহজেই, 

         কিছু গোপনীয়তা

                  গোপনে রাখাই 

ভালো বলে অনেকেই 

         সত্যিকারের ভালোবাসলে 

কখনো ভুলা যায় না তারে—হাঁ তারে॥ 

                  ২৯ শ্রাবণ, ১৪২৮—           ডি সি রোড, চট্টগ্রাম 

১৪ 

দুনিয়াটা ঝগড়ার কেন্দ্রকারখানা 

         এখানে বাপে-পুতে ঝগড়া 

                  মায়ে-ঝিয়ে ঝগড়া 

ভাইয়ে-ভাইয়ে ঝগড়া 

         কোনো সম্পর্ক নেই ঝগড়া ছাড়া—

দুনিয়াটা ঝগড়ার কেন্দ্রকারখানা॥ 

 

রক্তারক্তি আর খুনোখুনি—যুদ্ধ ও যুদ্ধ 

         ঘরে-ঘরে দেশে দেশে মৃত্যুর নৃত্য 

                  কে মরল কে বাঁচল 

কে হারল কে জিতল 

         কে দেখল—সবে ঝগড়ার মধ্যে খাড়া—

দুনিয়াটা ঝগড়ার কেন্দ্রকারখানা॥ 

                  ১৪ ভাদ্র, ১৪২৮—-ডি সি রোড, চট্টগ্রাম 

১৫ 

ভালোবেসো ভালোবেসো—

         ভালোবেসে যাও দুনিয়ার সবারে 

                  আদম হতে মহম্মদে—

এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গাম্বরে 

         ভালোবেসো পথের ঐ পাগলটারে। 

                  ভালোবেসো ভালোবেসো—

ভালোবেসে যাও দুনিয়ার সবারে॥ 

 

করো না করো না ঘৃণা—

         পিছে খঞ্জর নিয়ে ঘুরা সে দুশমনে 

                  কখন যে কে কখন—

কার উপকারে আসে তা কে জানে 

         ঘৃণা করো না মাথায় বারি দেয়া তারে। 

                  ভালোবেসো ভালোবেসো—

ভালোবেসে যাও দুনিয়ার সবারে॥ 

                  ১৯ ভাদ্র, ১৪২৮—ডি সি রোড, চট্টগ্রাম