পোস্টস

বাংলা সাহিত্য

শঙ্খবীণা (৫)

২ জুলাই ২০২৪

আযাহা সুলতান

মূল লেখক আযাহা সুলতান

২১ 

ধোঁকা খেয়ে খেয়ে আনলে জীবনের শেষপ্রান্তে 

আর কত ধোঁকা খাব—খাওয়াবে বিধি বল হে? 

         যারা ধোঁকা দিচ্ছে 

         তাদের কপাল লিখলে প্রসন্নে 

তা হলে তোমার সুবিচার বলে কথা কথার মাঝে?। 

 

বাবা নিয়ে গেলে অকালে মাথায় ওঠালে সংসারের বোঝা 

যাদের দায়িত্ব চাপালে কাঁধে তাদের থেকে খাবালে ধোঁকা! 

         স্বার্থের পৃথিবীতে 

         নিঃস্বার্থ কারে না পাঠালেও পারতে 

বিধিলিখন লিখলে তো লিখলে বিধি ধোঁকা-ভরপুরে!। 

                  ৩ আষাঢ়, ১৪২৯—মানামা, আমিরাত 

২২ 

“লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ 

         মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ 

সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” 

                  মুস্তাফা মুস্তাফা 

প্রাণের নবি মুস্তাফা 

         আপনার সুরত নুরানি 

                  দেখিনি দেখিনি 

দেখেছি আপনার দেখানো রাস্তা—

         প্রাণের নবি মুস্তাফা॥ 

 

“লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ 

         মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ 

সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম” 

                  ইয়া নবি ইয়া নবি

ইয়া হাবিব ইয়া হাবিবি 

         জীবনের চেয়ে বেশি 

                  ভালোবাসি ভালোবাসি 

সবই বৃথা আপনার ভালোবাসা ছাড়া—

         প্রাণের নবি মুস্তাফা॥ 

                  ৮ আষাঢ়, ১৪২৯—মানামা, আমিরাত 

২৩ 

আমি ভালোবাসি তোমায় ওগো তোমায় 

         ভালোবাসি তোমার জমিনের ক্ষুদ্রটি 

ও আমার জন্মভূমি তুমি ও তোমার 

                  জমির তুলনা নাই তুলনা নাই॥ 

আমাদের বাড়ির পিছে 

         বাঁশঝাড় আর হিজলগাছে 

                  কী অপূর্বতা জড়িয়ে আছে 

দেখে দেখে ভরে না মন এতটাই এতটাই॥ 

 

জল খেলে খালেবিলে কলকলে কলকলে

         একটু বৃষ্টি হলে মরাগাঙ ওঠে হাসি 

ভাসি ভাসি ভাসিয়ে যাচ্ছে ধুরুং 

                  আষাঢ়-শ্রাবণের জলে জলে॥ 

দেখেছি—পুকুরডোবা দিঘদিঘি 

         মাছরাঙার মাছধরার দৃশ্যাবলি 

                  গাছে গাছে পাখির কূজনকাকলি

আমি মরে গিয়েও ভুলা দায় ভুলা দায়॥ 

                  ১৭ ভাদ্র, ১৪২৯—মানামা, আমিরাত 

২৪ 

দেখ, আমায় তারা কীভাবে ঠকাল আল্লাহ 

যাই হোক, তাতে দুঃখ করি না—করব না 

         তোমার হুকুমেই তো হয়েছে তা 

বান্দা আমি মন খারাপের মানুষ না—না॥ 

 

আমাকে তুমি করলে দেহে দুর্বল—তাতে কি 

মন ও মস্তিষ্কে আমি সবল—ভরসা রাখি 

         আমার কেউ হবে না কখনো পর 

আমি পাই বা না পাই কারও সমবেদনা—হাঁ॥ 

                  ২১ আশ্বিন, ১৪২৯—মানামা, আমিরাত 

২৫ 

আমার কপালের মতো কপাল কারও 

         লেখনি তো প্রভু আর? 

মনে মনে হাসতে না হয় আমার মতো 

                  কপালের লেখা দেখে তার!। 

না না—পরিহাসের হাসি নয় 

         চেষ্টা করেও অনেকে ব্যর্থ হয় 

কথাটি বলা হলেও বলার মতো কেউ 

         বলে যেতে পারেনি আর—

আমার কপালের মতো কপাল কারও 

                  লেখনি তো প্রভু আর?। 

 

জীবনের পদেপদে কষ্ট আর কষ্ট 

         যারে তুমি দিয়েছ ধরায়! 

কী বলেন—ওপারের জিন্দেগি শ্রেষ্ঠ 

                  সে কেমনে বুঝে পায়?। 

হাঁ হাঁ—নিদর্শনের ঘাটতি নেই 

         স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি হয় কেমনেই 

তবু কেন জানি সন্দের ঘোলাজল আরও 

         ঘোলাটে হতে চার—

আমার কপালের মতো কপাল কারও 

                  লেখনি তো প্রভু আর?। 

                  ২৩ আশ্বিন, ১৪২৯—মানামা, আমিরাত