প্রতিদিন তোমার ঠিকানায় এক পৃষ্ঠা চিঠি লিখেছিলাম
প্রতিদিন তার আশ্রয় হয়েছিল কি জানি ডাস্টবিনে?
হাজার পৃষ্ঠার চিঠি লিখে ক্লান্ত হয়েছিলাম আমি অশেষ
তোমার কৌতূহল তবু জন্মেনি একটু ডাস্টবিনের কোণে!
আমার চাহাতের ঘোড়া তবু ছুটেছিল শূন্যতার প্রান্তরে
আমি চেয়েছিলাম মাটির সংসার উত্তরে দেখালে তুমি আকাশ!
ছায়াপথ ঘুরে নক্ষত্রদেশ জয় করে নিয়ে এসেছিলাম চাঁদ
বললে—শত ব্যবধান যেখানে লিখা থাকে পরিষ্কার অক্ষরে
মিলনের গান গাওয়া সেখানে মাতালের দিগন্তপার!
বুঝলাম—জীবনে অনেক কিছু জানার থাকে বাকি
জানতে পারলে হয়তো অনেকে হয় অপরাধী
অনেকের গর্বে ভরে ওঠে বুক—ভরে যায় হৃদয়
আমার পরাজয়—এখানে পরাজিত আমি—
সবার কপালে লেখা থাকে না সোনালি অধ্যায়!
বুঝি—কেউ আকাশে গেলে টেকে না আর মাটিতে
শুনেছি—কেউ আকাশ থেকে মাটির গন্ধ শুঁকে!
মানুষ ও মানুষে যেখানে ভেদ নয়—বিরাট প্রভেদ
সেখানে চাহা ও চাহাতের দূরত্ব অতি স্বাভাবিক।
দুনিয়ার রীতি—আঁধারের পর আসে যখন প্রহর বাস্তব
আঁধারের কথা কারও আর থাকে না স্মরণ ও স্মরণে!
আমার জানা ছিল সব মনে—মরেছি বিশ্বাসের প্রান্তরে
তোমার স্মরণে লক্ষ বছর ধরে কাঁদছে—কাঁদবে এ সমাধি
কালো সিন্দুকে বন্দি আমার জীবনী হাজার পৃষ্ঠার চিঠিতে।
২০/৯/২০১৬—মানামা, আমিরাত