ছুটছ কেন?
ছুট রে ভাই!
সোনার হরিণ দেখছ-না ধায়
ওড়ছে টাকা বাতাসে দেখি
আজব কারখানা!
মানুষের ছুটোছুটি—
তক্ষকের বেচাকেনায় রাতারাতি রাজা
অজগরের বাজার কিছুটা ক্ষীণ
বউয়ে শোনায় কথা—
খেয়েদেয়ে ঘুমানো ছাড়া আছে কি আর
কথায় শুধু বাঘমারা—পারে না ঘোড়ার ডিম
বনেজঙ্গলে কি এতই অভাব একটা তক্ষু!
খুঁজলে মিলে বাঘের দুধ
নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা
আলস্যরা কেবল ঘরকোণো
রহস্য কী?
বুকে বেঁধে রাখো তোমার তামার পয়সা
হরহর করে বিকছে দেখ—সোনার ডিম
হায় আল্লাহ্!
গেল না আমার কপালের দুখ
গিন্নির কী আফসোস—
নারী হয়ে জন্মানোটাই বৃথা
রানী হলেও অন্তরালে
ধরতে পারি না হাতের নাগালে চাঁদ
বলি একটু হেসে—
মীমাংসা কি চাও এবার তবে
চিলে নেবে কান
ছুটবে কি শুধুই চিলের পিছে?
ওই দেখ গুজবে কী হয় সময়ে
বলল গিন্নি হাঁপ ছেড়ে—
রক্ষা করে বিধি যাকে...
এসব কারখানার উৎপাদন বড়ই হাস্যকর
কোত্থেকে যে ওঠে ওসব হলুদরঙের ঝড়
একেকটা সময় একেকটা বাঙালিবায়
ঢিল ছুড়ে ছুটে আর দৌড়ায় চিলের পেছনে হায়!
১৭/৫/২০১৮—মানামা, আমিরাত