রমণী তুমি,
কোমল কলি রজনীগন্ধা নাকি ফুটন্ত গোলাপ।
তুমি শুধু প্রাণের পিপাসা মিটানো প্রেমের মিষ্টি ঘ্রাণ
বকুলের মালা বেলির সৌরভ কৃষ্ণচূড়ার লাল
রাধা পদ্মের চেয়ে থাকা শিল্পীর ছবি আঁকা স্বপ্নের মহাকাল।
রমণী তুমি
আনন্দ আসরে, মিলন বাসরে পূজারীর প্রতিমা
দিবা-নিশি ঘিরে হৃদয় মন্দিরে নিত্য নব শান্তির মহাকাশ
কালের গর্ভে থেমে থাকা জীবনে তোলা সুরের ঝঙ্কার
হৃদয়াকাসে সুখ তারা হয়ে বেড়াও সুখের হাহাকার।
রমণী তুমি
দেবালয়ের দেবী মূর্তি,প্রেমের যাদু
অসম আশার সমীকরণ।
আমার হৃদয় মঞ্চে তুমি পুষ্প শোভিত মাল্যবরণ
তুমি অনন্যা,তুমি পাহাড়ি ঝর্না তুমি সমুদ্রের কল্লোল ধ্বনি।
হৃদয় ভুবনে বয়ে চলা গোপনে যেনো অন্তহীন প্রবাহিনি।।
রমণী তুমি
প্রকৃতির সবুজ বৃক্ষরাজির মিলন মেলার শ্যামলীলা ছায়াছবি,
স্বাধীনতার আকাশে উদীয়মান এক রক্তিম লাল রবি,
তুমি জয়ন্তীর জয়,তুমি চির অক্ষয়।
তুমি নও উদ্বাস্তু,তুমি লেখকের বিষয়বস্তু
তুমি প্রেমময় কবির কবিতার খাতা।।
রমণী তুমি
এই প্রকৃতি সৃষ্টির জননী
তুমি অন্ধের দৃষ্টি, বোবার ভাষা, বোধির শোনার অভিলাষ।
প্রাণের আকুতি,মনের মিনতি সৃষ্টির মহা ইতিহাস,
তুমি বেহুলার ভেলা,আনন্দ মেলা।
তুমি স্বর্গের দেবী
আর আমি তোমায় করিয়াছি আঘাত!
মাথা নত করি তম পদ তোলে,ক্ষমা করো মোরে হে রমণী তুমি।।