মৃত্যুর আগে মৃত্যুর ভয়ংকর বীভৎস চেহারা দেখেছে তোফাজ্জল
ভাত খাওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত সে জানত না মৃত্যুর রূপ কী জঘন্য
চোখে অভয় নেই—গায়ে কাপড় নেই তবু আত্মবিশ্বাসে অন্তর সজল
হায়েনার দল ঘিরে আছে ভয়দ হাসির ভয়াল দৃষ্টে—এরা নাপাকি পাকফসল?
‘ভাত কেমন হয়েছে’ ভাত কেমন হয় ক্ষুধার্তকে জিজ্ঞেস করে কে?
রক্তাক্ত তোফাজ্জল আবার ভাত খেয়েছে—খেতে বাধ্য হয়েছে মৃত্যুর ভয়ে
‘ডাল যত বেশি খাবে—বেশি খেতে পারবে তত বাঁচতে পারবে’ বেঁচেছে?
দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ এটা—শিক্ষিতবিবেক—সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী এরা!
ক্ষুধার যন্ত্রণায় মানসিক ভবঘুরে ঘুরতে ঘুরতে গিয়ে পৌঁছে মৃত্যুনগরে
ভাতের সন্ধান এখানে পেয়েছিল সে—বিনিময়ে প্রাণটা দিতে হলো মাত্র
তার কেউ নেই—মা নেই বাবা নেই ভাইবোন আপনজন কেউ নেই
নেই বলতে একমাত্র বিধাতা ছাড়া আর কেউ নেই আপন এ পৃথিবীতে
কত ডেকেছে বিধাতারে ‘সহ্য করতে পারছি না তুমি বাঁচাও আল্লাহ’
‘ভাই আমি চোর নই—চুরি করিনি—দোহাই—আমাকে আর মেরো না ভাই
আল্লাহ...আল্লাহ...বাঁচাও এবার একটু আল্লাহ’ কে দেখে—বিধাতার চোখে কান্না
তাকে মরতে হলো এমন একটি স্থানে—এমন কিছু লোকের হাতে—স্তব্ধ দুনিয়া
২১/৯/২০২৪—ডি সি রোড, চট্টগ্রাম