শীতকাল
শামীম আহমেদ
প্রবন্ধ
পৌষ-মাঘ এই দুই মাস মিলে শীতকাল যদিও শীতের আমেজ শুরু হয়ে যায় হেমন্তেই।
বড়দের কাছে শুনেছি মাঘের শীত বাঘের গায়ও লাগে।শীতে শিশুদের সমস্যাটা হয় বেশি।তাদেরকে গরম কাপড় পড়িয়ে রাখা উচিৎ।বড়দেরই এগুলো খেয়াল রাখা দরকার।ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে।
শীত আমাদের দেশে ছয় ঋতুর মধ্য একটি ঋতু।শীতকালে যা বেশি ভাললাগে তাহলো খেজুরের রস।প্রথমে গাছের মাথা থেকে কিছু ডিগা ছাড়িয়ে নেয় তারপরে দুইদিক থেকে নালা নিচের দিকে কেটে এনে একটি বাঁশেরগাঁট বসানো হয়।তারপরে সেখান থেকে ফোটায় ফোটায় সংগৃহীত হয় রস।
শীতকালে পাওয়া যায় কিছু সুস্বাদু পিঠেও।যেমন ধরুন,চিতাই,বাফাপিঠে এরমধ্যে অন্যতম।আমাদের দেশে অসাধারনত শীতকালে ফুটপাতে রাস্তার পাশে শীতের পিঠা বিক্রি করতে দেখা যায়।বাফাপিঠে প্রথমে চাউলেরগুড়া একটি ছোট্ট পাত্রে চাপাদিয়ে তারমধ্যে একটু আখেরগুর মিশিয়ে আর একটি কাপড়ে চেপে গরমপানির ফুটন্ত বাষ্পে ঢাকনায় একটি ছোট ছিদ্র করে তার উপর কিছুক্ষণ রেখে দিতে হয়।তাহলেই তৈরী হয়ে যায় এই পিঠে।
শীতকালে ঠাণ্ডা, সর্দী, কাশি লেগে যেতে পারে বড়দেরও সেজন্য বাতাসে চলাফেরা এবং বেশি ঠাণ্ডাপানিতে গোসল এড়িয়ে চলতে হয়।
শীতকালে নদী নালা হাওড় ভাওর শুকিয়ে যায়।তাই প্রচুর মাছ পাওয়া যায় সহজে।
এসময় সল্প পানি ডোবা-ডাঙাগুলো সেচে মাছ ধরা যেতে পারে।কী কী মাছ পাওয়া যায় যেমন-টেংড়া,ফলি,মাগুর, শিং,বোয়াল,কৈ,শৌল,টাকি,পুঁঠিমাছ ইত্যাদি।
এরপরে বনভোজনের মতো প্রিয়জনের সঙে ঘুরতে যাওয়ার মুহুর্ততগুলো ঘটে শীতকালেই।এবছর শীতের তীব্রতা গতবারের তুলনায় অনেক বেশিই হবে বলে আশা করি।
এসময় অনেক ফুল ফোটে গাধা-গোলাপ ও শরিষা ফুল।এসময় রাত বড় ও দিন ছোট হয়।শীতকালে ঘন কুয়াশা
আর শিশিরে ভেজা পথ কারনা ভাললাগে। ঝরে যাওয়া শুকনো পাতায় আগুন ধরিয়ে গা হাতপা গরম করতে দেখা যায়।
সূর্যিমামাকে তো একেবারে দেখাই যায়না কোনো কোনো দিন।আবার মাঝেমাঝে হালকা বৃষ্টিও হয়।
চায়ের কাপে মুখদিয়ে কনকনে শীতে দোকানে জমে উঠে আড্ডা।এক শীত পেড়ুতে আর এক শীতের আগমনের অপেক্ষায় থাকি।