একদিন কাক ডাকা দুপুরে, যনকোলাহলের গলে যাওয়া পিচ ঢালা রাস্তায় চিৎকার করে বললাম
এই শহরে আজই আমার শেষ দিন,আমার যা কিছু আছে দেহে সবকিছু নিয়ে যাও,
চার চাকায় বসা এক গুরুত্বপূর্ণ লোক ওয়াক করে থু থু মেরে চলে গেলো।
ট্রাফিক পুলিশ কিছুক্ষন ধুম ধরে দাঁড়িয়ে থেকে মানিব্যাগের খুচরো দুই চার পয়সা যা ছিলো পকেটে পুরে নিলো।
আশি কেজি ওজনের এক ব্যাক্তি ঘাম নিয়ে গেলো,ডাক্তার নাকি বলেছে ঘাম ঝড়ালে ওজন কমবে।
নতুন জুতো জোড়া নিয়ে গেলো সদ্য ইন্টারভিউ দিতে যাবে এমন এক হতাশ বেকার যুবক।
তার পছন্দের সাদা ধবধবে শার্টটা আমার গাঁ থেকে খুলে নিয়ে পড়তে শুরু করলেন চাপা মড়ানো এক মধ্য বয়সী রিকশা চালক।
যে চমশায় আটকে ছিলো প্রেমিকার অপুর্ব হাসি , সেই চমশা নিয়ে গেলো বৃদ্ধা মহিলা, কাঁথা সেলাই করবে বলে।
আমার টিফিন বক্সটি নিয়ে গেলেন মা,চোখের জল জমাবেন বলে।
জীবনের যত হাহাকার ছিলো, একজন কবি তার থলেতে নিয়ে উধাও হলেন। তার কবিতায় নাকি দুঃখের অভাব।
জীবনের যত উল্লাস, আনন্দ সব কিছু দৌড়ে এসে নিয়ে গেলো গুটি কয়েক বন্ধু।তাদের আনন্দের বড্ড অভাব।
সদ্য প্রেমে পড়া এক কিশোরী অভিমান নিতে এসে দেখে,অভিমান বলতে ছিটেফোঁটাও নেই,সেখানকার দগদগে ঘা দেখে দৌড়ে পালালো কিশোরী।
ভোর রাতের লিখা কবিতা গুলো নিয়ে গেলো এক কিশোর, তার প্রেমিকাকে শোনাবে বলে।
রাত জেগে প্রেমিকার জন্য লিখা সত্তর পৃষ্ঠার চিঠি নিয়ে গেলেন প্রকাশক,বই ছাপাবে।
সবচেয়ে চালাক বন্ধু রুদ্র, আমার কষ্ট সহ্য ক্ষমতা নিয়ে উধাও।কারণ সে জানে, আমি কি কষ্ট চেপে রেখেছি বুকে।
আমার ভিতর থাকা অদ্ভুত রকমের ভালোবাসার দাবি করে বসলো আমার প্রেমিকা।
সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে আফসোস সাথে নিয়ে আমি হাটতে লাগলাম গন্তব্যে। পুরো পৃথিবীর কেউ একজন আমাকে চাইলো না?
হঠাৎ পিছু ডাক.…....!
এই শহরে আজই আমার শেষ দিন,আমার যা কিছু আছে দেহে সবকিছু নিয়ে যাও,
চার চাকায় বসা এক গুরুত্বপূর্ণ লোক ওয়াক করে থু থু মেরে চলে গেলো।
ট্রাফিক পুলিশ কিছুক্ষন ধুম ধরে দাঁড়িয়ে থেকে মানিব্যাগের খুচরো দুই চার পয়সা যা ছিলো পকেটে পুরে নিলো।
আশি কেজি ওজনের এক ব্যাক্তি ঘাম নিয়ে গেলো,ডাক্তার নাকি বলেছে ঘাম ঝড়ালে ওজন কমবে।
নতুন জুতো জোড়া নিয়ে গেলো সদ্য ইন্টারভিউ দিতে যাবে এমন এক হতাশ বেকার যুবক।
তার পছন্দের সাদা ধবধবে শার্টটা আমার গাঁ থেকে খুলে নিয়ে পড়তে শুরু করলেন চাপা মড়ানো এক মধ্য বয়সী রিকশা চালক।
যে চমশায় আটকে ছিলো প্রেমিকার অপুর্ব হাসি , সেই চমশা নিয়ে গেলো বৃদ্ধা মহিলা, কাঁথা সেলাই করবে বলে।
আমার টিফিন বক্সটি নিয়ে গেলেন মা,চোখের জল জমাবেন বলে।
জীবনের যত হাহাকার ছিলো, একজন কবি তার থলেতে নিয়ে উধাও হলেন। তার কবিতায় নাকি দুঃখের অভাব।
জীবনের যত উল্লাস, আনন্দ সব কিছু দৌড়ে এসে নিয়ে গেলো গুটি কয়েক বন্ধু।তাদের আনন্দের বড্ড অভাব।
সদ্য প্রেমে পড়া এক কিশোরী অভিমান নিতে এসে দেখে,অভিমান বলতে ছিটেফোঁটাও নেই,সেখানকার দগদগে ঘা দেখে দৌড়ে পালালো কিশোরী।
ভোর রাতের লিখা কবিতা গুলো নিয়ে গেলো এক কিশোর, তার প্রেমিকাকে শোনাবে বলে।
রাত জেগে প্রেমিকার জন্য লিখা সত্তর পৃষ্ঠার চিঠি নিয়ে গেলেন প্রকাশক,বই ছাপাবে।
সবচেয়ে চালাক বন্ধু রুদ্র, আমার কষ্ট সহ্য ক্ষমতা নিয়ে উধাও।কারণ সে জানে, আমি কি কষ্ট চেপে রেখেছি বুকে।
আমার ভিতর থাকা অদ্ভুত রকমের ভালোবাসার দাবি করে বসলো আমার প্রেমিকা।
সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে আফসোস সাথে নিয়ে আমি হাটতে লাগলাম গন্তব্যে। পুরো পৃথিবীর কেউ একজন আমাকে চাইলো না?
হঠাৎ পিছু ডাক.…....!