চিঠি
সকাল থেকেই আকাশটা ঘন কালো মেঘে ঢাকা
বৃষ্টি হচ্ছে ,আমি জানালার পাশে বসে বৃষ্টি দেখছি
হাতে চায়ের কাপ, চায়ের কাপের ধোয়া
নিমিষেই মিশে যাচ্ছে বাতাসে ,মনটা একটু অস্থির লাগছে
আমার স্ত্রী হুট করেই তার গ্রামের বাড়ি চলে গেছে
তার ছোট বোনের বিয়ের আয়োজন করতে।
আমি যেতে চাইনি বলে স্ত্রী বেশি আর পীড়াপীড়ি করেনি।
এমন সময় দরজায় টোকা, চিঠি হাতে এক অচেনা ডাকপিয়ন। চিঠি খুলে দেখলাম, লেখাগুলো পরিচিত।
চিঠিটিতে লেখা
তুমি কি আমাকে ভুলে গেছ?
এই শহরে আমি এখনো আছি একদম একা
এখনও তোমার অপেক্ষায় দিন গুনছি।
চিঠি পড়ে থমকে গেলাম।
মনে পড়ে গেল ফেলে আসা, সেই সব দিনের কথা
কলেজ ফাঁকি দিয়ে , খালি পায়ে ছাতা ছাড়া
শহরের রাস্তায় বৃষ্টিতে ভিজতাম। কত স্বপ্ন দেখতাম দুজন মিলে আজ সেসব শুধুই স্মৃতি ।
আকাশ আবার কালো মেঘে ঢেকে গেল, মনে হলো আমি এক অন্ধকার আকাশের মাঝে দাঁড়িয়ে।
জানালার বাইরে তাকিয়ে থাকি,
মেঘে ঢাকা আকাশটাকে, মনের মধ্যে জমে থাকা কালো মেঘের সাথে কিছুটা মিলানোর চেষ্টা করি।
আচ্ছা, আকাশ কি কখনো মন খারাপের কথা বুঝতে পারে?
বাহিরে এখনও বৃষ্টি পড়ছে, চিঠির দিকে চোখ চলে যায় আবারও, কিন্তু আমি কোনো উত্তর দিতে পারি না। শুধুই মনে পড়ে যায় এই শহরের কথা, এই বৃষ্টির কথা,সবকিছু যেন শেষ হয়ে গেছে। কিছুই আর অবশিষ্ট নেই ।