পোস্টস

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (২)

১৫ মে ২০২৪

আযাহা সুলতান

মূল লেখক আযাহা সুলতান

৬ 

বিশ্বসৃষ্টির স্রষ্টা তুমিই এক জন 
তোমার পায়ে মাথা নত সর্বক্ষণ। 
         বলে অনেকে তুমি নাকি নেই 
         বুঝি না বলে তারা কোন যুক্তিতে 
আমি তো দেখছি হাজার নিদর্শন! 
বিশ্বসৃষ্টির স্রষ্টা তুমিই এক জন॥ 

 

দেখা যদি দিতেও তুমি চাক্ষুষ 
বিশ্বাস হতো না—আমি যে মানুষ। 
         কোরান পুরাণ গীতা বাইবেলে 
         মানুষ হতে পারেনি যে আদলে 
কোথা সে পাবে আর জ্ঞানধন! 
বিশ্বসৃষ্টির স্রষ্টা তুমিই এক জন॥ 

                  ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৩—ডি সি রোড, চট্টগ্রাম 

৭ 

তুমি আছ আমি আছি এত যে কাছাকাছি 
এত যে তোমার আমার মাঝে বোঝাবুঝি! 
         তবু আমি বুঝি না কিছু—চলছি অপথে 
আমায় তবে চালাচ্ছ কেন তুমি ভুলের পথে! 
কেন তবে ঘটাচ্ছ মন ও মস্তিষ্কে জোঝাজুঝি?। 

 

তুমি কত সরল হলে আমায় করলে বঙ্কিম 
কী সাধ্য ছিল আমার হই অবাধ্যতায় অসীম! 
         আমার অন্তরে সব সময় তোমার বাস 
আমায় তবে দিলে না একটু বোঝার আভাস! 
আর কত রাখবে হে বন্ধু সান্ত্বনার মাঝামাঝি?। 

                  ১৯ আষাঢ়, ১৪২৩—ডি সি রোড, চট্টগ্রাম 

৮ 

কেউ বলে তুমি আছ—কেউ বলে নেই 
কেউ বলে দেখি আমি মনের আয়নাতে। 
         আমি বলি—ঠিক আছে ঠিক আছে 
তুমি আমি সে থাকি-না তফাতে যে, 
মধ্যিখানে না রই দোটানার টানাটানিতে॥ 

 

এপার নয় ওপার মধ্যম কোনো আশ্রম নেই 
কূলকিনারা হারালে সমস্ত বিপর্যয় মধ্যমেই। 
         মনে যে করে—চলছি আমি সঠিক 
দেখা যায়—আসলে সে ভ্রান্তপথিক, 
আসলে কোনো ঠিকানা নেই ধারণার পথে॥ 

                  ২ শ্রাবণ, ১৪২৩—ডি সি রোড, চট্টগ্রাম 

৯ 

যে যাই ভাবে ভাবুক গে তোমে 
আমি আছি তোমার ভরসা পরে। 
         যে যত বিদ্রূপ করে করুক গে হে 
তুমি আছ—থাকবে আমার অন্তরে॥

 

         এই এত হাজার নিদর্শন তোমার 
দেখে যারা দেখে না—কী বলি আর! 
         আমি শুধু করছি দুঃখ—বলছি দরদে 
         মানুষ বানাইয়েও বানালে না সবারে!। 

 

ওই আকাশ আর এই মাটি দর্শনে 
খুঁজে পায় না তোমার নিগূঢ়তথ্য যে! 
         আমি চিন্তা করি আর ভাবি মনে মনে 
চক্ষুষ্মান ও জ্ঞানবান করলে তাদেরে!। 

 

         তুমি এখন বলছ হাসি—চাও কি ধরায়? 
আমি বলব না—দিলে কমত কোথায়! 
         ফরমানে তুমি যদি থাক বান্দায় খুশে 
         নাফরমানি থেকে বাঁচাও জীবন-আখেরে॥ 

                  ৮ শ্রাবণ, ১৪২৩—         ডি সি রোড, চট্টগ্রাম

১০ 

শোকরান শোকরান 
         আল্লাহ তুমি মহান কত মেহেরবান—
                  শোকরান শোকরান। 
যা কিছু আমায় করেছ দান তুলনা ছাড়া 
         বৃষ্টি বায়ু মিষ্টি জল কত যে অমিয়ধারা। 
তোমার দয়ার সাগরে আমি ভাসমান—
                  শোকরান শোকরান॥ 

 

আমার এ জিন্দেগি 
         ধন্য যে কী—অপূর্ণ রাখনি এতটি—
                  আমার এ জিন্দেগি। 
আমি কভু অবাধ্য তবু আমার প্রতি কৃপা 
         রোগে-শোকে ফেলে আবার দান কর শেফা। 
দুর্যোগ-দুর্দিনদ্বারা বোঝাও যে কতখান—
                  শোকরান শোকরান॥ 

                  ১৪ শ্রাবণ, ১৪২৩—ডি সি রোড, চট্টগ্রাম