পোস্টস

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (৩)

১৭ মে ২০২৪

আযাহা সুলতান

মূল লেখক আযাহা সুলতান

১১ 

আল্লাহ মহান আল্লাহ মহীয়ান 

         আল্লাহ রাহিম ও রহমান। 

আল্লাহ বিধান আল্লাহ বিধিয়ান 

         আল্লাহ দরদি ও দয়াবান॥ 

 

আল্লাহু আল্লাহ আল্লাহু আল্লাহ 

         লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইল্লাল্লাহ 

চলুক হরদম অন্তরে এ জিকিরগান॥ 

 

আল্লাহ শাসক আল্লাহ সহায়ক 

         আল্লাহ অমেয় ও অমায়িক। 

আল্লাহ শ্রাবক আল্লাহ বিচারক 

         আল্লাহ ন্যায়পর ও নৈয়ায়িক॥ 

 

আল্লাহ আল্লাহ আল্লাহু সুর 

         হৃদয়ে লাগে কী যে মধুর 

এ নামের টানে বাইর হোক প্রাণ॥ 

                  ১৭ শ্রাবণ, ১৪২৩—ডি সি রোড, চট্টগ্রাম 

১২ 

জান্নাতের সুখে কাঁদে না মন বড়বেশি 

মন কাঁদে শুধু তোমার দিদারের লাগি। 

         যদি তোমার দেখা পেয়ে কখনো স্বামী 

দোজখে হাবিয়া মিলে ধন্য ধন্য আমি॥ 

 

         যেখানে যখন কেউ কারও নয় 

         ‘ইয়া নাফসি’ ‘ইয়া নাফসি’ ভয় 

সেখানে আমার অভয় আছ তুমি 

         তোমার ছায়াতলে বারো সূর্যতাপ কী॥ 

 

যা গুনা—যত অপরাধ করেছি প্রভু 

তোমার অপরাধীরে ক্ষমা করো তবু। 

         অপূর্ব দৃষ্টান্তবিচার করবে আর-রহমান 

হবে না কিছু রাহিমের রহমতের সমান॥ 

 

         কেয়ামতের ময়দান যতই সুকঠিন 

         ক্ষমার অন্তরে গাফুর রইবে সেদিন 

দীন-বেদীন করবে জপে দয়ার আশাটি 

         গুনাগার চাইবে কেবল মনিবের স্নেহদৃষ্টি॥ 

                  ২২ শ্রাবণ, ১৪২৩—ডি সি রোড, চট্টগ্রাম 

১৩ 

আমার ভালোবাসা তোমার জন্যে 

আছে প্রিয়—থাকবে জনম-জনম 

         আমি চলে গেলেও কোনেকদিনে 

আমার ভালোবাসা রইবে অনুপম॥ 

 

         জ্বেলে যাব এই প্রেমের প্রদীপ 

         তোমায় পাওয়ার সকল উদগ্রীব 

আমার প্রেমে থাকে যদি দৈন্য 

         ক্ষমা করো বন্ধু পরম প্রিয়তম॥ 

 

প্রকৃত প্রেম পায় না স্থান বরণ্য 

সত্য প্রেমের দিয়া জ্বলে হরদম 

         সততার পথে কাঁটা বলে জঘন্য 

চলনা রুখে দেওয়া ভুল একদম॥ 

 

         হতাশার কুয়াশায় ঢাকা যে-নগর 

         প্রহর হয় না জ্বলেও শ দিবাকর 

দৃঢ় আত্মবিশ্বাস থাকে যার মনে 

         দিশা পায় সে বেদিশার মাধ্যম॥ 

                  ২৭ শ্রাবণ, ১৪২৪—ডি সি রোড, চট্টগ্রাম 

১৪ 

কে তুমি? 

         কখনো আমায় নিমজ্জন কর 

                  দুঃখের অকূল সমুদ্র্রে। 

কে তুমি? 

         কখনো আবার ভাসাও তবে 

                  সুখের আনন্দ-জোয়ারে॥ 

 

প্রকৃতি? না না—মনে তো হয় না 

         সুকৃতি? হলেও হতে পারে তা 

সমীক্ষায় যা মিলে মিলুক—আরাধনায় 

                  শান্তি মনের গভীরে॥ 

 

মনে হয়! 

         কেউ তো আছে ভালোমন্দ করণে 

                  সমস্ত কিছুর শাসনে। 

মনে হয়! 

         কে যেন অদৃশ্যহাতে ধরে আছে 

                  বিশ্বহাতল দৃঢ় মনে॥ 

 

তোমার ধারণায়? যা বলে বলুক 

         আমার সাধনায়? সন্দ অহেতুক 

দীনতা ঘুচুক সকল আঁধার অন্তরের 

                  প্রসন্নতা আসুক ফিরে॥ 

                  ২৮ শ্রাবণ, ১৪২৪—ডি সি রোড, চট্টগ্রাম 

১৫ 

কী উদ্দেশ্যে এতসব আয়োজন বন্ধু! 

         কী দোষে আবার ফানা? 

কেন তবে আমায় দিয়ে কামনার সিন্ধু! 

                  রচে চলেছ প্রয়োজন বিনা?। 

 

চৌদ্দ নম্বরে আমার এ জিন্দেগি 

         চৌদ্দ রকমে হয়েছে তালি! 

যদিওবা আমার মধ্যেই সব বেরঙ্গি 

                  তবে একঘরে কেন ভিন্নতা?। 

 

কী আশা তোমার মনে—কী যে উদ্দিষ্ট! 

         তুমি কর্তা ভালো জানো গতিক। 

আমারে বিবেকবুদ্ধি দিয়ে করছ পথভ্রষ্ট! 

                  আমি বান্দা ইশারার মালিক॥ 

 

তুমি যদি পাশে থাক বেদনহারী 

         আমি কেন দরদে মরি! 

সবকিছু আয়ত্তাধীন—হাতে তোমারি 

                  তবে কেন এত অবাধ্যতা?। 

                  ২৯ শ্রাবণ, ১৪২৪—ডি সি রোড, চট্টগ্রাম