দুনিয়াটা ধোঁকার কারখানা
ধোঁকা খেতে খেতে মানুষ আমি
শিশুকালে বাবার মৃত্যুই দিয়ে গেছে ধোঁকা
অবুঝ ছিলাম আমি তখন
ক্রমান্বয়ে স্বার্থের পক্ষাবলম্বনে আপনের রূপ পালটাতে দেখেছি!
বাকশক্তি হারিয়ে চিরবোবা আমি
মৃত্যুই আমাকে দিয়েছিল কোল
আমি মরে গেছি সেদিন
আমার কবর রচনা চলছে আপনের হাতে
বুঝিনি—যেই মার খেয়েছি সরলতার মাঠে
ব্যথা অনুভব হয়েছে অনেক দেরিতে
কাছের জনের আদরে বিষের ছোঁয়া
বুঝতে পারিনি কখন আপনালির অন্ধে
সেই বিষ সারা দেহে ছড়িয়ে
আস্তে আস্তে করে দিল আমাকে নীল
আমার কবর হয়েছে আজ বাস্তবে
এই যে এতকাল বেঁচেছি হাসিমুখে
হেসে হেসে মিশেছি সবার সঙ্গে
হাসিতে দেখে কে দরদ লুকানো
শুনে কে নীরবকান্নার করুণ-আওয়াজ
যে চোখের ভেতরে লুকাতে পারে অশ্রুসমুদ্র
সে বহন করতে পারে দরদের পাহাড় হাসিতে
আমি জন্মেছি ধোঁকাবাজের রাজ্যে
আপন আপন আর আপন
আপনের মধ্যেই দেখেছি আমি বেগানার বিষরং
স্বার্থ হাসিলে জানপ্রাণ দিয়েছে বের করে
স্বার্থশেষে জানের রূপ পালটে যায় কাতিলে
বিনা আঘাতে রক্ত বহার স্রোত কী
আমার থেকে বুঝবে কে? বুঝবে না কেউ বেশি
বুঝতে চাও? বুঝতে যেয়ো—
দেখতে পাবে আমার সমাধি
আমার সমাধিতে ফুটবে তবে বেদনার নীলগোলাপটি
২০/৯/২০২২—মানামা, আমিরাত