বাংলা সাহিত্য

সবচেয়ে হতাশার কথা হইলো, যে অগ্রজকে নিয়ে লেখা হইতেছে, লেখায় সে অগ্রজেরই গুণকীর্তনই করা লাগবে, নিজের বোঝাপড়ার কথা সে লিখতে পারবেবেনা। যেহেতু অগ্রজরা মনেই করে তাকে নিয়ে লিখতেছে তাকে খুশি করার জন্যই লিখবে। যথার্থ্য সমালোচনা এক্ষেত্রে তাকে করা যাবেনা। করলেও...

বিনয়ের দেখভাল কে করবে? তার জীবন কিভাবে চলবে? তখন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বিনয় মজুমদারকে প্রতি মাসে বিশ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রথম প্রথম দেওয়ার পর সেটা আর কন্টিনিউ করেন নাই। এর পরে, প্রায় অর্থাভাবে, অনাহারে, প্রায় অর্ধউন্মাদ জীবন যাপন করতে হয়েছিল।

সাহিত্য সম্পাদনায় কোনোভাবেই ব্যক্তিগত সম্পর্ক, মুখ চেনাচেনিকে প্রায়োরিটি দেয়া যাবেনা। একজন সত্যিকারের সম্পাদক নীতি ও নৈতিকতার সাথে কখনোই আপোষ করবেনা।

কলকাতার কবিরা বাংলাদেশের কবিদেরেক কখনোই গুরুত্বের চোখ দিয়ে দেখে নাই। যেকারণে তারা তাদের পত্রিকায় শামসুর রাহমানের লেখা ভুল বানানে ছাপে। শামসুর রাহমানের নামের জায়গায় শামসুর রহমান লেখে।

"বাহির সংসারে মানুষ মরলে তাকে পুড়িয়ে ছাই করি, মাটির তলায় কবর দি। মনের সংসারে মানুষ জীবিতকেও মাটির তলায় চাপা দিয়ে নিশ্চিন্ত হয়।" ভূমিকায় তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কোন এক ফাঁকে এই অতীব নিষ্ঠুর কিন্তু দরকারি সত্যটি উচ্চারণ করেছেন। ভূমিকাটি সপ্তপদীর।