আধারের শহরে
১১ জুন ২০২৪
শ্রাবন দেবনাথ
ঘটনাগুলো মজার হলেও, সেদিন থেকে আমি খুঁজতে শুরু করি,আদৌও কি ছায়ামানবী রয়েছে!?আমি খুঁজতে থাকি ঐ অন্ধকার ঘরের রহস্য। এর মাঝেই, আবার এক রাতে আনুমানিক ৩:০১ হবে,আমার ঘুম ভেঙে যায় নুপুরের শব্দে।স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছিলাম,কেউ যেন আমার মাথার ঠিক উপরে ছাদে নুপুর পড়ে হেটে যাচ্ছে।ভয়াবহ!আমি ভয়ে রীতিমতো আধমরা। এরপর থেকে,মাঝে মাঝেই সন্ধ্যায়,গভীর রাতে আমি ছায়া দেখতে পেতাম,আর সেই বিকট আর্তনাদ তো রয়েছেই।এই ঘটনাগুলোর প্রায় দু সপ্তাহ পরে বাড়ির গেটে আধপাগলাটে এক বৃদ্ধের সাথে দেখা হয়।ওনাকে দেখলেই মনে হয়,হিন্দি মুভির 'রামুকাকা'।কিন্তু ওনার কথায়,আমার ঠাট্টা, হাসি, মজা এক মুহূর্তের জন্য হারিয়ে গেল।বুঝতে পারি যে,সেই অন্দরমহলের ভৌতিক পরিবেশের বাতাসে নৃশংস বাস্তবতার গন্ধ ভাসছে।সেই বৃদ্ধ লোকটি বলতে শুরু করেনঃ
সময় তখন দেশ স্বাধীন হওয়ার ২১ বছর পেরিয়ে ১৯৯২ বা ১৯৯৩ হবে।তখন সবেমাত্র এই অন্দরমহলের পাশে এই বাড়িটি বানানো হয়।তখনও এখানে ভুত আছে এইরকম শোনা যেত।কিন্তু আমি ছিলাম ঐ গুজবের বাস্তবদর্শী।তো তৎকালীন সময়ে এই বাড়িটিতে আমার এক বন্ধু থাকত।এই জমিটা ওদের পিতৃসূত্রেই পাওয়া।ওদের বাসায় এক রাতে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।মাসিমার রান্নার জন্যই,নয়তো খিদের জন্যই আমি একটু বেশিই খেয়ে ফেলি তখন।রাতে যেই বাড়ি ফিরবো ওমনি ঝড় শুরু।ওর বাসার সবাই এই ঝড়ে আমাকে ছাড়ছে না।বুঝে গেলাম আমার আজ থেকেই যেতে হবে।ঐ রাতে থেকে গেলাম।রাত দুটো হবে,পেটের কারণে আসফাস করছি।সবাই তো গভীর ঘুম।আমার তখন তারুণ্য। ভয় কি সেটা তো জানিই না।আমি ঠিক করলাম ওদের দোতলার থেকে নিচে নেমে একটু হাঁটাহাঁটি করবো।নেমে গেলাম।হঠাৎই একটা বিকট চিৎকার তারপর সব চুপ হয়ে গেল।আমার কিছু বুঝে ওঠার আগেই বারবার সেই একই চিৎকার ভেসে আসছিলো কানে।আমি তখনও কিছু বুঝে উঠতে পারছি না কি হচ্ছে!দিক-বেদিক ছুটতে শুরু করি। কিন্তু কিছু বুঝে উঠার আগেই আবার এক বিকট চিৎকার আর সব চুপ হয়ে যায়।আমি ছুটতে ছুটতে সেই অন্ধকার ঘরের সামনে এসে হাজির হই।আমি আবছা আলোয় যা দেখছিলাম,তার জন্য আমি কখনোই প্রস্তুত ছিলাম না।আমার পা মাটিতে এঁটে গিয়েছিল।আমি আবছা আলোয় দেখলাম...।