মাছ বনাম মাংস

১৭ মে ২০২৪

সুহৃদ সরকার

আমার মানুষ দুটোর একটা অদ্ভুত অভ্যাস আছে– ওরা মাংস অনেক খায়, কিন্তু মাছ খুব কম। আমার কাছে এটা একটা রহস্যের মতো। কারণ মাছের গন্ধটা এতো সুন্দর, এতো মন-লোভনীয়! আমি যখন ফ্রিজের দিকে তাকিয়ে থাকি, আমার নাক এই সুগন্ধে ভরে ওঠে। তখন আমার মনে হয়, মাছের থেকে সুস্বাদু আর কী হতে পারে?

অথচ ওরা? ওরা মাছের দিকে ফিরেও তাকায় না। বরং হাঁস, মুরগি, গরু, এমনকি খাসির মাংসও ওদের পছন্দের তালিকায় আছে। আমি ভাবতে থাকি, ওদের এই মাংস প্রীতির রহস্য কী?

আমার মাথায় কয়েকটা সম্ভাবনা আসে:
১. মাংসের গন্ধ না পাওয়া: হয়তো ওরা মাছের গন্ধটা পায় না। তাই মাছের স্বাদ বোঝে না। তাই ওদের পছন্দ মাংস। কিন্তু অতটা গন্ধ না পেলেও মাছের স্বাদ তো অতুলনীয়!
২. মাংস শক্তিশালী খাবার: হয়তো ওরা ভাবে মাংস খেলে শক্তি বেশি পাওয়া যায়। আমি মাঝে মাঝে ওদের শক্তি দেখে তো অবাকই হই। এতো ছোটাছুটি, এতো কাজ! তাহলে হয়তো মাংসই ওদের এই শক্তির উৎস।
৩. ঐতিহ্য: হয়তো ওদের পূর্বপুরুষেরা অনেক আগে থেকেই মাংস খেত। তাই ওরাও সেই অভ্যাস ধরে রেখেছে। যেমন আমরা বিড়ালেরা সহজাতভাবেই ইঁদুর ধরি আর খাই, ওদের মাংস খাওয়ার ব্যাপারটাও হয়তো তেমনই সহজাত।
৪. অনুকরণ: হয়তো ওরা অন্য মানুষদের দেখে মাংস খেতে শিখেছে। মানুষেরা অনেক কিছুই তো একে অপরকে দেখে শেখে। তাহলে মাংস খাওয়াও হয়তো ওদের শেখা একটা ব্যাপার।

যাই হোক, আমার মাথায় যতই প্রশ্ন ঘুরপাক খাক না কেন, একটা কথা সত্যি – মাছের স্বাদ অতুলনীয়। কিন্তু ওরা বোঝে না, তাতে আমার কী! ওদের মাংস খেতে দিয়ে আমি আমার টুনা মাছেই সুখী। হয়তো কোনো একদিন, ওরা মাছের স্বাদ বুঝবে আর তখন আমরা একসঙ্গে বসে মাছ খাওয়ার আনন্দ উপভোগ করব।