প্রথম যেদিন ভেটের কাছে গেলাম
১৮ মে ২০২৪
সুহৃদ সরকার
প্রথম যেদিন ভেটের কাছে গেলাম, সেই দিনটার কথা আজও মনে পড়লে আমার গা শিউরে ওঠে। তখন আমি ছোট্ট, সবে মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়েছি। সাদা অচেনা একটা বাক্সে করে আমাকে মানুষ দুটো কোথায় যেন নিয়ে যাচ্ছিল। আমি ভয়ে কুঁকড়ে গিয়েছিলাম, মনে হচ্ছিল যেন একটা অজানা বিপদের মুখে পড়েছি।
আমাকে নিয়ে যাওয়া হলো একটা সাদা ঘরে, যেখানে সাদা কাপড় পরা মানুষজন আমার দিকে এগিয়ে আসছিল। তাদের হাতে নানান রকম অদ্ভুত যন্ত্রপাতি। কী যেন একটা গন্ধ পাচ্ছিলাম, যা আমাকে আরও বেশি ভয় পাচ্ছিল।
তারপর শুরু হলো আমার পরীক্ষা-নিরীক্ষা। আমাকে ওলট-পালট করে দেখা হলো, কানের ভেতর আলো ফেলা হলো, এমনকি একটা ধাতব জিনিস আমার পেটে চেপে ধরা হলো। সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো, আমার শরীরে একটা সুচ ঢোকানো হলো। আমি ব্যথায় চিৎকার করে উঠলাম, কিন্তু কেউ আমার কথা শুনলো না।
সেই দিনটা আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিন। আমার মনে হচ্ছিল যেন আমাকে নিয়ে কোনো পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। আমি বুঝতে পারছিলাম না, আমার মানুষ দুটো কেন আমাকে এমন যন্ত্রণা দিচ্ছে।
কিন্তু পরে বুঝলাম, ওরা আমার ভালোর জন্যই এসব করছে। ওরা চাইছে আমি সুস্থ থাকি, সুন্দর থাকি। ভেটের কাছে যাওয়াটা হয়তো কষ্টকর, কিন্তু এটা আমার স্বাস্থ্যের জন্য জরুরী।
এখন, বড় হয়ে আমি বুঝতে পারি, ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু ভয়কে জয় করা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার ভেটের ভয়টা এখন অনেক কমে গেছে। আমি জানি, ভেটের কাছে গেলে আমি ভালো থাকব। তাই এখন আর আমি ভয় পাই না।