কবিতা

এই কান্না রোষের জগত মাড়িয়ে কি-ই বা আছে ম্লান মৃত্যু ভয় ছাড়া; সেও বছরের পর বছর হুমকির ডালা হাতে খুঁজে দেখে নির্ভীক এই আমাকে ।

দু'টি পথের বিচ্ছেদ, মাঝে হেমন্তের বন! আমি ব্যথিত! একা মুসাফির, দু'টো পথের কেউই সম-বণ্টন পেলো না সঙ্গী-সাথির। সঙ্কটের এ মোহনায় দাঁড়িয়েছিলাম দীর্ঘক্ষণ।

কিছুই আর নেই। ক্ষয়িষ্ণু চারিদিকে খালি ধ্বংসাবশেষে,অপার শূন্যতা স্থিত সীমাহীন একাকীত্বে বালি আর বালি।

তোমরা! চাইলেই আমার বুকে চালাতে পারো কথার গুলি। চাইলেই রাঙ্গা-চোখের আঘাতে কেটে ফেলতে পারো আমায়, তোমাদের ঘৃণায় চাইলেই আমাকে হত্যা করতে পারো, কিন্তু তবুও, বাতাসের মতোই আমি উঠবো পুনরায়!

সম্ভব হয়নি, মৃত্যুর প্রতীক্ষায় থাকা। সৌজন্যতা দেখিয়ে মৃত্যুই এলো; দরজায় কড়া নেড়ে দাঁড়িয়ে রইলো–একা। অপেক্ষারত রথে চড়ে বসলাম – আমি,মৃত্যু এবং অমরত্ব।