অষ্টম পরিচ্ছেদ
১১ জুন ২০২৪
Naoroz Bipul
বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার কথাটা সবার আগে বন্ধু বৃত্তেই জানালো মুমিত। স্বাভাবিকভাবেই সেই আড্ডায় জাফরও উপস্থিত ছিল। ওদের আড্ডা শেষ হলো রাত পৌনে নয়টায়। রাত সাড়ে এগারোটায় বাসায় ফিরে, জুওয়াইরিয়াকে হোয়াটসএ্যাপ কল করলো জাফর। জুওয়াইরিয়া তখন ফিলাডেলফিয়ায়। ওখানে তখন দুপুর আড়াইটা বাজে হয়তো। জাফরের পরামর্শেই আয়িশাকে কিডন্যাপ করেছিল জুওয়াইরিয়া। জাফর চেয়েছিল, জুওয়াইরিয়া নিজের ক্ষোভ মেটানোর পর আয়িশাকে ওর হাতে তুলে দেবে। কিন্তু সেটা করতে জুওয়াইরিয়া রাজি হয়নি।
বাংলাদেশ থেকে অতোরাতে জাফরকে কল করতে দেখে, জুওয়াইরিয়া মনে মনে ভাবলো- নিশ্চয় কোনো না কোনো ব্যাপার আছে। সে কল রিসিভ করলো। বলল, ‘বলো, জাফর…’
‘দেশে ফিরবে কবে?’
‘আরও সপ্তাহ দুয়েক দেরি হবে। এখানে সিটিজেনশিপ পাওয়ার কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত আছি।’
‘ওখানে তুমি সিটিজেনশিপ পেয়ে গেলে, তোমার মুমিতের কী হবে?’
‘কী আবার হবে, ওকে আমার কাছে নিয়ে আসবো!’
‘কীভাবে নিয়ে যাবে?’
‘আমি সিটিজেনশিপ পেয়ে গেলে, আমার কাছে আসা ওর জন্য পানির মতো সহজ হয়ে যাবে।’
‘আরেহ্ পাগল মেয়ে, আমি সেই সহজের কথা বলিনি।’
‘তাহলে কোন কঠিনের কথা বলছো?’
‘আয়িশা আর মুমিতের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।’
‘কী বলছো এইসব, বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে মানে!’
‘মুমিত আজ নিজেই আমাদেরকে বলেছে।’ বলল জাফর, ‘তুমি এখন কী করবে, তোমার পছন্দের পুরুষকে নিয়ে আয়িশার মতো একটা মেয়ে রোমান্স করবে, আর তুমি বসে বসে মুলো খাবে?’
‘কখনোই না! মুমিত আমার, মানে আমার!’ বলল জুওয়াইরিয়া, ‘এই সিচুয়েশনে আমার করনীয় কি, তার একটা বুদ্ধি পরামর্শ দাও।’
জবাবে জাফর বলল, ‘কিডন্যাপ!’
‘আবার কিডন্যাপ করবো আয়িশাকে, কেন?’
‘আমি কি তোমাকে আয়িশাকে কিডন্যাপ করার কথা বলেছি?’
‘তাহলে?’
‘এবার কিডন্যাপ করবে মুমিতকে।’
‘কী বাজে কথা বলছো এইসব, জাফর! মুমিতকে কেন আমি কিডন্যাপ করবো?’
‘আরেহ্ বোকা মেয়ে- মাথাটা খাটাও, চিন্তা করো।’ বলল জাফর, ‘মুমিত স্বেচ্ছায় কোনো দিন তোমাকে বিয়ে করবে না। ওকে তুলে নিয়ে যাও। তোমাকে বিয়ে করতে বাধ্য করো। আয়িশার সাথে বিয়ে হয়ে গেলে, ওকে কিন্তু তুমি আর কোনো দিনই পাবে না।’
জুওয়াইরিয়া কয়েক মুহুর্ত ভেবে দেখলো, ভালো একটা পরামর্শ দিয়েছে জাফর। এছাড়া মুমিতকে পাওয়ার আর কোনো উপায় নাই জুওয়াইরিয়ার সামনে। মুমিতকে বিয়ে করে একবার আমেরিকায় নিয়ে আসতে পারলে, জুওয়াইরিয়া আর পায় কে? সে বলল, ‘আমি তো দেশে নাই। কিডন্যাপিংয়ের দায়িত্বটা তুমিই নাও, জাফর। সাথে আমার দুজন লোক দিচ্ছি তোমাকে।’
‘ওকে, দায়িত্ব নিলাম। তোমার লোকদেরকে কালই আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে বলো।’
‘বলে দিবো। কিন্তু জাফর, আমার মুমিতের শরীরে একটা ফুলের টোকাও যদি পড়ে, তোমার পরিনতি কিন্তু ভালো হবে না।’
‘ডোন্ট ওউরি, বেইবি। ফুলের টোকা, চুলের টোকা- কোনো টোকাই পড়বে না।’ বলল জাফর, ‘তোমার লোকদের পাঠাও। প্ল্যান সাজাতে হবে।’
পরের দিন সন্ধ্যার পর বডি বিল্ডার টাইপের দুজন লোক আসলো জাফরের কাছে। জুওয়াইরিয়ার পরিচয় দিলো। ওদেরকে নিয়ে প্ল্যান সাজালো জাফর। সুযোগের অপেক্ষায় থাকলো। সুযোগ আসলো প্রায় এক সপ্তাহ পর। নিজের কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলো মুমিত। রাত তখন প্রায় বারোটা বাজে। ওদের বাসার সামনের গলিটা তখন একেবারে নির্জন। প্ল্যান অনুযায়ী জুওয়াইরিয়ার দুজন লোক ওঁৎ পেতে ছিল। ওদের থেকে দুইশো গজ দূরে আড়ালে দাঁড়িয়ে আছে জাফর।
মুমিত এসে বাইক থামালো। বাইকে বসে থেকেই মাথা থেকে হেলমেট খুললো। এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিল ওঁৎ পেতে থাকা দুই বডি বিল্ডার। মুহুর্তেই ওরা আড়াল থেকে বের হলো। কিছু বুঝে উঠার আগেই মুমিতের মাথায় পরালো কালো কাপড়ের একটা ব্যাগ। একজন মুমিতের দুই হাত মুচড়িয়ে পেছনে নিয়ে আসলো। স্ট্র্যাপ দিয়ে পেঁচিয়ে বেধে ফেললো। আরেকজন ওর মুখ চেপে ধরলো- যাতে মুমিত চিৎকার করতে না পারে। দুইজন বডি বিল্ডারের সাথে শক্তিতে মুমিত পেরে উঠলো না। একজন পকেট থেকে আরও একটা স্ট্র্যাপ বের করে মুমিতের মুখ বেঁধে ফেললো। মুমিতকে শূন্যে তুলে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে তুললো ওরা। একজন বসলো মুমিতের পাশে। আরেকজন বসলো ড্রাইভিং সীটে। সে গাড়ি ছাড়লো। মুমিতের বাইক নিয়ে গাড়ির পেছনে পেছনে যেতে থাকলো জাফর।
জুওয়াইরিয়ার রেস্ট হাউজে মুমিতকে নিয়ে আসতে গভীর রাত হয়ে গেলো। গাড়ি চলে আসলো রেস্ট হাউজের আন্ডারগ্রাউন্ড ফ্লোরে। সাউণ্ড প্রুফ একটা রুমে ঢুকানো হলো মুমিতকে। পেছনে হাত বাধা অবস্থায় বসানো হলো একটা চেয়ারে। মাথা থেকে ব্যাগটা টেনে খুললো কেউ। মুমিত দেখতে পেলো, ওর সামনে হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে দুজন মেয়ে। দুজনের পরনে একই রকম জিন্স টপস।
দুজনের মধ্যে একজন বলল, ‘হ্যালো স্যার, আমি পিংকি।’
পিংকির পাশের মেয়েটা বলল, ‘হ্যালো স্যার, আমি রিংকি।’
দুজনকেই ভালোভাবে দেখলো মুমিত। রিংকি পিংকি দুজনেই বেশ সুন্দরী। মুমিতের মুখ এখনও বাধা। খুলে দেয়ার জন্য ইশারা করলো সে। রিংকি এগিয়ে গিয়ে বাঁধন খুলে দিলো। মুমিত বলল, ‘তোমরা তুলে নিয়ে এসেছো আমাকে?’
‘না স্যার, দুজন পুরুষ লোক নিয়ে এসেছে আপনাকে।’ বুলল পিংকি, ‘আমাদের হাতে নিয়ে গেছে। এখন থেকে আপনার সেবাশুশ্রূষার সব দায়িত্ব আমাদের।’
‘কোথায় আছি আমি?’
‘সেটা বলা যাবে না, স্যার।’ বলল রিংকি, ‘নিষেধ আছে।’
‘কার নির্দেশে আমাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে?’
‘সেটাও বলা যাবে না, স্যার।’ বলল পিংকি, ‘নিষেধ আছে।’
‘সবই যদি নিষেধ করা থাকে, তাহলে তোমরা আমার কী সেবাশুশ্রূষা করবে?’
‘আপনি যে কয়দিন এখানে থাকবেন, সেই কয়দিন আপনার জন্য রান্নাবান্না করবো। আপনাকে খাওয়াবো।’ বলল রিংকি, ‘আর আপনি চাইলে, আদর করে ঘুম পাড়িয়ে দিবো।’
মুমিত বুঝতে পারলো না, এতো আরাম আয়েশের ব্যবস্থায় যদি রাখা হয়, তাহলে ওকে কিডন্যাপ কেন করা হলো? কে কী উদ্দেশ্যে কিডন্যাপ করলো ওকে? রিংকি পিংকির কাছ থেকে সেটা জানার চেষ্টা করতে হবে। সে বলল, ‘আমাকে কী উদ্দেশ্যে কিডন্যাপ করা হয়েছে সেটা বলতে পারবে তোমরা কেউ?’
‘সেইসব আমরা জানি না, স্যার।’ বলল পিংকি, ‘আমরা শুধু এখানে জব করি। কিছু জানানো হয়নি আমাদেরকে।’
‘ওকে, আমার হাত খুলে দাও। আমি ওয়াশরুমে যাবো।’
‘খুলে দিবো, স্যার।’ বলল রিংকি, ‘কিন্তু আপনি আমাদের উপর কোনো রকম এ্যাটাক করতে পারবেন না।’
‘আর এ্যাটাক করে আমাদেরকে আহত করলেও কোনো লাভ হবে না, স্যার।’ বলল পিংকি, ‘রিমোট ছাড়া এই ঘরের দরজা ভেতর থেকেও খোলা যায় না, বাহিরে থেকেও খোলা যায় না। আর রিমোট আমাদের কাছে নাই।’
‘ঠিক আছে, এ্যাটাক করবো না। খোলো।’
রিংকি এসে মুমিতের হাত খুলে দিলো। এদের উপর আক্রমণ করার কোনো রকম চিন্তা-ভাবনা নাই মুমিতের। কিডন্যাপারের হুকুমে ওরা শুধু মুমিতকে সেবা দিতে এসেছে। ওয়াশরুম থেকে ফিরে আসলো মুমিত। টি-টেবিলের উপর সাজানো বিভিন্ন ধরনের খাবার দেখতে পেলো। মুমিত ওয়াশরুমে গেলে খাবার নিয়ে এসে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
‘রাতের খাওয়ার সময় অনেক আগে পেরিয়ে গেছে।’ বলল পিংকি, ‘খেয়ে নিন, স্যার।’
‘আপনি চাইলে, নিজের হাতে আপনাকে খেতেও হবে না, স্যার।’ বলল রিংকি, ‘আমাদের দুজনের মধ্যে যাকে আপনার ভালো লাগে, শুধু বললেই হবে- আপনাকে খাইয়ে দিবো।’
মুমিতের মনে হলো, কিডন্যাপ করে নিয়ে এসে কিডন্যাপার ওকে বেহেশতে ঢুকিয়ে দিয়েছে। বরাদ্দ দিয়েছে দুইটা হুর। দুই হুরের কারো হাতেই খেলো না সে। নিজের হাতেই মুখরোচক সব খাবার গোগ্রাসে গিলে ফেললো সে। খাবার যখন সামনে আছে, নিজেকে তখন কষ্ট দিয়ে লাভ নাই। খাওয়া শেষে তৃপ্তির ঢেকুর তুললো সে। কে কী উদ্দেশ্যে ওকে কিডন্যাপ করেছে, তা কিডন্যাপার সামনে আসলেই জানা যাবে। যতক্ষণ কিডন্যাপার আসেনি, ততক্ষণ আরাম আয়েস করা যাক।
‘এবার ঘুমিয়ে পড়ুন, স্যার।’ বলল পিংকি, ‘আমরা চলে যাচ্ছি।’
সঠিক কথা বলেছে মেয়েটা। কিডন্যাপ করে নিয়ে এসে, আরাম আয়েসের ব্যবস্থা করেই যখন দিয়েছে, তখন মুমিতের ঘুমিয়ে পড়লে সমস্যা কোথায়? সে বিছানায় গিয়ে পজিশন নিলো। রিংকি গিয়ে দরজায় নক করলো। দরজার দুই পার্ট দুই পাশে দেয়ালের ভেতর ঢুকে গেলো। না, মেয়েটার হাতে কোনো জাদু নাই। ওর নক শুনে বাইরে থেকে রিমোট টিপে দরজা খুলে দিয়েছে কেউ। কে খুলেছে তা মুমিত দেখতে গেলো না। ততক্ষণে আরাম করে শুয়ে পড়েছে সে। এখান থেকে পালানোর কোনো ইচ্ছে নাই ওর। ওকে কে কী উদ্দেশ্যে কিডন্যাপ করেছে তা ওর জানা দরকার।
পরের দিনই মুমিতের জন্য একটা প্রাথমিক টুইস্ট অপেক্ষা করছিল। ঘুম ভেঙ্গে গেলে যখন চোখ খুললো, তখন রিংকি পিংকি নামক দুই হুরকে দেখতে পেলো মুমিত। ওর প্রয়োজনীয় সেবাশুশ্রূষা করলো ওরা। কিছুক্ষণ পরে আসলো ষণ্ডামার্কা দুই বডিবিল্ডার। কোনো কথা বলল না। মুমিতকে শূন্যে তুলে নিয়ে গেলো। একটা চেয়ারের সাথে পিছমোড়া করে বাঁধলো। মুমিত ভাবলো, এবার হয়তো মূল কিডন্যাপার আসবে। যখন আসলো, মুমিত তাকে দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেলো। ওর বন্ধু জাফর! ওকে দেখে বাকহত হয়ে শুধু তাকিয়ে থাকলো মুমিত। মনে একটায় প্রশ্ন- জাফর ওকে কেন কিডন্যাপ করবে?
সোফার ঠিক মাঝামাঝি জায়গায় বসলো জাফর। বলল, ‘তোহ্ বন্ধু, কেমন কাটলো তোর গত কয়েক ঘন্টা? ঘুম ভালো হয়েছে তো?’
জাফরের প্রশ্নের কোনো জবাব দিলো না মুমিত। বলল, ‘জাফর, তুই আমাকে কিডন্যাপ করেছিস! কেন?’
‘প্ল্যান আমার।’ বলল জাফর, ‘আমার পেছনে আছে আরেকজন।’
‘কে?’
‘ধৈর্য্য ধর, বন্ধু। সে যখন তোর সামনে আসবে তখন তো দেখতেই পাবি।’
‘কখন সামনে আসবে?’
‘এই মুহুর্তে আমিও তা বলতে পারছি না। তার কথা ছাড়, আমি এই প্ল্যান কেন করলাম- সেটা আগে শোন।’
‘শোনা।’
‘সূবর্ণার কথা মনে আছে তোর?’
নামটা শুনে জাফরের প্ল্যানের পেছনে পুরো চিত্রটা মুমিতের চোখের সামনে ভেসে উঠলো। ইউনিভার্সিটিতে ওদের দুই বছরের জুনিয়র মেয়ে ছিল সূবর্ণা। তেমন একটা নজর কারার মতো সুন্দরী না। কিন্তু ওর দৈহিক যে সৌন্দর্য ছিল, তা দেখে যে কোনো পুরুষের বুকে মোচড় উঠতে বাধ্য। দেখতে তেমন সুন্দরী না হওয়ায় ইউনিভার্সিটির কোনো ছেলে ওর দিকে তেমনভাবে তাকাতো না। সহজ সরল একটা মেয়ে ছিল সূবর্ণা। ওর দিকে কুদৃষ্টি দিলো জাফর। কীভাবে কীভাবে যেন সূবর্ণাকে সে পটিয়েও ফেলেছিল। কিন্তু ওর মূল প্ল্যান অন্য কিছু। সেই প্ল্যান বন্ধু বৃত্তে শেয়ারও করেছিল জাফর। ওর সেই প্ল্যান মুমিত সফল হতে দেয়নি। জাফর সহজ সরল একটা মেয়ের কোনো রকম ক্ষতি করুক, মুমিত তা চায়নি। পালটা প্ল্যান করে সূবর্ণার চোখ খুলে দিয়েছিল মুমিত। ফলে, জাফরের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে ওর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে সূবর্ণা। সে এখন সংসার করছে অন্য কারো সাথে। ওকে বিয়ে করার কোনো প্ল্যান ছিল না জাফরের।
‘সূবর্ণার আর আমার সম্পর্ক ভেঙ্গে তুই তোর সম্পর্ক সফল করবি?’ বলল জাফর, ‘সেটা আমি কী করে হতে দিই বন্ধু, বলতো?’
‘সূবর্ণার সাথে তো তোর কোনো সম্পর্ক ছিল না। ওকে নিয়ে তোর অসৎ উদ্দেশ্য ছিল।’ বলল মুমিত, ‘আমার সম্পর্ক ভাঙ্গতে আয়িশার কাছেও তো গিয়েছিলি। আয়িশা আমাকে তা বলার পরেও তোকে কিছুই বুঝতে দিইনি। আয়িশার কাছে ব্যর্থ হয়ে যে আমাকে কিডন্যাপের প্ল্যান করবি, সেটা অনুমান করিনি। পরবর্তী প্ল্যান কি তোর?’
‘আমার আর কোনো প্ল্যান নাই।’ বলল জাফর। উঠলো সে। বলল, ‘যার হাতে তোকে তুলে দিয়েছি- পরবর্তী প্ল্যান তার। সে না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা কর। আমি চললাম।’
জাফর আর অপেক্ষা করলো না, চলে গেলো। রিংকি পিংকি আবার আসলো। মুমিতকে কোনো ভাবেই বোর ফীল করতে দিলো না। ওর সেবাশুশ্রূষা করে ওকে প্রতিটি মুহুর্ত চাঙ্গা করে রাখলো। মুমিতের জন্য পরবর্তী টুইস্ট আসলো প্রায় এক সপ্তাহ পর।