লেখক প্রোফাইল

আলতাফ শেহাব
  • স্ট্যাটাস অ্যাক্টিভ
  • মেম্বার হয়েছেন ১২ জুন ২০২৪
  • পোস্ট সংখ্যা ১৭
  • পোস্ট কিনেছেন ০
  • পোস্ট বিক্রি হয়েছে ০

আলতাফ শেহাব

কবি ও কথাকার

বিপ্লবী ধারার প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের কর্মী ছিলেন ২০০৭ সাল পর্যন্ত। সম্পাদনা করেছেন ছাত্র আন্দোলনের কাগজ ‘প্রেক্ষণ’। লেখালেখির শুরু তারও আগে, প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় সাহিত্যপত্রিকা ‘প্রভাত’-এ ১৯৯৭ সালে।  সম্পাদনা করেছেন ‘কবিতাপত্র’। ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম কবিতার বই ‘নুন আগুনের সংসার’। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করছেন।
ফেসবুক প্রোফাইল

নির্বাচিত পোস্টস

সব পোস্ট

শঙ্খের জিভের খোঁজে জল

শঙ্খটি সমুদ্রপাড়ের বালিঝুলির হাটে কেনা। অজস্র কাঁটার শরীর; আদরে আদরে শঙ্খের জিভ খুঁজি। বারবার শঙ্খের কাছে যাবার আকুতি।

অনল জলের চিহ্নগুলো

শহরের সব কৃষ্ণচূড়া এবং রাধাচূড়ার শরীর যেন আজ গোধূলির বিষণ্ন কাফনের মতো। জামরুলের রসালো শরীরে জমে আছে চৈত্রের দুপুরের মতো...

গন্তব্য ঘুম নয়

আমি যখন আবার আকাশের মেঘ-নৃত্যে বিভ্রান্ত হই, সময়ের অনন্ত চোখে বিদ্রুপের হাসিই খেলে যাওয়ার কথা। কিন্তু সে দুপুরের অন্তরঙ্গ শরীরে...

এ মৃত্যুর উৎসবে

একদিন মৃত্যুর যোনির ভেতর গ’লে যায় মানুষ; সাদা বরফের মতোন জল হ’য়ে যায় সকল সম্ভাবনা

একাগ্র চাতক আমি এক

এক ঝড়োসন্ধ্যায় হন্তদন্ত ছুটে এসে বলেছিলে গানদু’টি শুনিও; এমন আকুতি-উত্তাপ আর কোন দৃষ্টিতে দেখিনি

দূরতম জোছনা এবং সকাল

দায়হীন সন্ধ্যার মতো মুছে যায় দূরতম জোছনা এবং সকাল প্যাঁচার চোখের মতো দীর্ঘ সময় ব্যায় করা যায় কখনো কোন-কোন অনাঘ্রাত...

ছুটে আসে অশ্বারোহী তিরন্দাজ

প্রতিটি হলুদ দুপুরে তন্দ্রার ভেতর চলে যায় একটি মায়া হরিণ

আমায় তোমরা নিও

দিন এবং রাতের আর সন্তাপ নেই; ক্ষ্যাপা যারা তোমরা কান্না দেখো, কাঁদো আমায় তোমরা নিও

বিকেলে ঘাসের ’পরে

প্রানান্তকর সংগ্রাম শেষে একেকদিন তাহাদের সাথে বিকেলে ঘাসের ’পরে বিদির্ণ হ’তে হ’তে বিষে; পথহারা শ্রান্ত পথিকের মতো নির্জন বিকেলেরা অথচ...

এইসব ব্যধিগুলো নিত্যদিনের

সকালের রোদ বৃক্ষের মাথা ছোঁয় সবার আগে অথচ ঘনজঙ্গলে ভোরের আলো ছুটোছুটি করে ভূমিসংলগ্ন ঘাস ফুলের পায়ে পায়ে

শ্রাবণের জ্যোৎস্না

মৃদুমন্দ বাতাস, অঝোরে ঝরছে রিমঝিম বৃষ্টি। জনালার ঘোলা কাঁচে অতিকায় চাঁদের ছায়া। থেকে থেকে শিশুদের কান্নার মতো অনাহারি কুকুরের অসহায়...

সুধাময়

সুধাময়ের মোহনীয় কণ্ঠসুধায় উথাল পাথাল মোহিনীদের বসার ঘরের পড়ন্ত বিকেল। ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী মোহিনী কবিতার অন্তর্গত দৃশাবলী অনুবাদের সূত্র খোঁজেন...

খরপোষ

সাতাশ বছর পর খরপোষের মামলা দেখে প্রতিপক্ষের উকিলের মতো আপনাদের কেউ কেউও হয়তো হেঁসে উঠবেন। কিন্তু বিচারকের পক্ষে কি হেঁসে...

নুন আগুনের সংসার

ছায়া-বৃক্ষের গহীন নির্জনে মহুয়াবনে ঝর্ণার জলসিঁথানে অথবা রতিক্লান্ত দুপুরের নুন-আগুনে আগুনে... সিঁথানে... বনে... শুধুই আঁধারের আগুন তার নষ্টমনে।

স্বৈরাচারের টুঁটি চেপে ধর

এই শ্রাবণে রক্তস্নানে শুচি হলো ধরা আর কতো প্রাণে কাটবে মোহ, স্বৈরাচারের টুঁটি চেপে ধর প্রিয় সন্তান আমার চলুক বিদ্রোহ।

কবিতায় লিখব খুনের বয়ান

প্রতিটি সুরভিত নগর উদ্যানে জড়ো হবো আমরা ঢেকে দিব যতো কোলাহল সব মিছিলে মিছিলে কবিতায় লিখব খুনের বয়ান দেয়ালে দেয়ালে।

হিসাব চাই

মর্গে জমা আছে যতো অজ্ঞাত লাশ, হতে পারত আমারও আমাদের শ্রমে কেনা প্রতিটি বুলেট, আমাকেই যদি মারো প্রতিরোধ হবে তুমুল...