ট্যাগ

বই

প্রবন্ধ

৬টি গ্লাসে বিশ্ব ইতিহাস

“ মানবজাতির একক  ইতিহাস বলে  কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই,   যা আছে  তা হল   মানুষের জীবনের সব  ক্ষেত্রের বহু ইতিহাস।“  -  কার্ল পপার ,  বিজ্ঞানের দর্শন (১৯০২-৯৪) তৃষ্ণা ক্ষুধার চেয়ে  ভয়ংকর জীবনঘাতী। খাদ্য বঞ্চিত হয়ে কয়েক সপ্তাহ  হয়তো বেঁচে থাকতে...

সমালোচনা

হাউ টু রিড আ ফিল্ম

“ হাউ টু রিড আ ফিল্ম” এর প্রথম সংস্করণ বেরিয়েছিল ১৯৭৭ সালে। প্রায় এক প্রজন্ম পূর্বে। বই বের হওয়ার জন্য সময়টি ছিল আদর্শ। ফিল্মের ইতিহাসের একটি উত্তেজনাকর অধ্যায়ের শেষ ভাগে ছিলাম আমরা তখন। ষাট এবং সত্তরের দশকের চিত্রনির্মাতারা তাদের নিজস্ব...

উপন্যাস

দি থার্সডে মার্ডার ক্লাব

কাউকে খুন করা সহজ। সমস্যা হচ্ছে লাশ লুকানো। এটা কঠিন অংশ। এখানেই ধরাটা খাবেন। আমার ভাগ্য ভালো। দ্বিতীয় অংশটার জন্য খুব চমৎকার একটা জায়গা পেয়ে গেলাম। ঠিক করে বলতে, এর চেয়ে নিখুঁত জায়গা আর হয় না। মাঝে মাঝেই ওইখানে যাই আমি। দেখে...

উপন্যাস

ক্লারা অ্যান্ড দ্য সান

আমরা যখন নতুন ছিলাম, রোজা আর আমি তখন ছিলাম স্টোরের মাঝখানে, ম্যাগাজিন টেবিলের একপাশে, জানালার অর্ধেকের বেশি জুড়ে দেখতে পারতাম। কাজেই আমরা বাইরের জগৎটাকে দেখতে পেতাম– তাড়াহুড়ো করে দৌড়াতে থাকা অফিসকর্মী, ট্যাক্সি, রানার, পর্যটক, ভিক্ষুক আর তার কুকুর, আরপিও বিল্ডিংয়ের...

কিডজ ফ্যাক্টরি

আমি বাদামের ভক্ত

বাদাম শুনলে খাওয়ার জন্য জোরেশোরে দাও লাফ তো!জানো? এতে আছে উপকারী ফ্যাট! পরিমাণে পর্যাপ্ত!পুষ্টির গুণে বাকি সবকিছু বাদামের কাছে তুচ্ছবাদামে আমিষ, আঁশের মাত্রা অনেক অনেক উচ্চ।ভিটামিন ই, ম্যাগনেশিয়ামও বাদামে রয়েছে, জানতে?বাদামরা যদি কাছাকাছি থাকে রোগ থাকে দূর প্রান্তে।রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে...

গল্প

অণুগল্প : মুখোমুখি

'আমরা বিয়ে করেছিলাম,' লোকটি বলল, 'বছর পাঁচ আগে এক শীতে।' `আচ্ছা? শীতকালে বিয়ের ঘটনা খুব ঘটে। কোনো এক শীতে আমিও কাজটা করেছি।' বললাম আমি। 'এক গরমে চলে গেল। খুব ভ্যাপসা গরম ছিল সেদিন।' লোকটি বলল।'ডিভোর্স? আজকাল খুব ঘটছে। গরমে-শীতে সমানে। নারী-স্বাধীনতার ডেসট্রাকটিভ...

Mojaffor Hossain

Mojaffor Hossain

অনুবাদক, বাংলা একাডেমি

উপন্যাস

ক্লিপ্টোম্যানিয়াক (১)

১ আজ ছেলেপক্ষ আমাকে দেখতে এসেছিল। ছেলেপক্ষ ঠিক না, ছেলে। একটা রেস্টুরেন্টে আয়োজন করা হয়েছিল দেখাদেখিটা। বিয়ে ঘটিত ওয়েব পোর্টাল থেকে সিলেক্ট করা ক্যান্ডিডেট। খান দশেক বায়োডাটা কালেক্ট করা হয়েছিল। সেখান থেকে দুজন অলরেডি আমাকে দেখেছে। অ্যান্ড রিজেক্টেড মি। দিস গাই...

গল্প

ওরা জাদু জানে

— ঝিম ধরে বসে আছিস কেন? আমার লেখার কতদূর? তিনশ টাকা বিল নিয়ে তো বসে আছি দুইদিন ধরে।— আরে ধুর! এইমাত্র একশ টাকা ছিনতাই হয়ে গেল।— বলিস কী? তোর মতো চালাকের টাকাও ছিনতাই হয়!— হয় হয়। মেয়েগুলো তো অল্পবয়সী আর...

তাপস কুমার দত্ত

তাপস কুমার দত্ত

কথাসাহিত্যিক, চলচ্চিত্রকার

পোস্ট

নিষিদ্ধ গন্দম

নিষিদ্ধ গন্দমপাখিরা জলে প্রতিবিম্ব দেখলে তাদের প্রেম জাগে। আর হাঁটু গেড়ে বসে অধ্যাত্মের আলাপ করে স্বর্গবাসী পুরুষের দল। তাদের কেউ আবার চায় আলাপের স্বরূপ বদলাতে; চায় পঙ্কজ প্রেম নিয়ে আসতে।কেউ আবার চায় না। ভাবে,প্রেম মানেই নারী।আর নারী মানে গন্দম, নিষিদ্ধ গন্দম।

গল্প

নীল মলাটের ডায়েরি

একটা সময় ভীষণ আশাবাদী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেওয়া আমি আজ ঠিক গোধূলির মরা আলোর মতোই নিষ্প্রভ। কেন, কীভাবে এই প্রশ্নগুলো অবান্তর।  ভাবনার অতলে ডুবে যেতে যেতে হঠাৎ খাবি খায় অনুভূতিরা। আমি নড়েচড়ে বসি একটু। হাতে ধরা পুরনো ডায়েরির ধুলো ঝেড়ে ...

ভ্রমণ

একটি মেইল ট্রেনের ভ্রমণ

মেইল ট্রেনে সাধারনত সিট পাওয়া যায় না। সেই পুরোনো আমলের লাল টিকেট পাওয়া যায় শক্ত কাগজের, যেটাকে আসলেই বলা হয় টিকেট, এখনকার টিকেট তো বড় কাগজের হয়, কিন্তু লাল টিকেট যারা দেখে নাই তারা বুঝতে পারবে না যে আসলে ট্রেনের...

সমালোচনা

বিপ্লবী আলোয় ‘কবিতাসমগ্র মাও সে-তুঙ’

বিপ্লবী আলোয় ‘কবিতাসমগ্র মাও সে-তুঙ’ লাবণী মণ্ডল‘কুচকাওয়াজের মাঠে প্রথম সূর্যের আলোয়পাঁচফুট-রাইফেল কাঁধেকি উজ্জ্বল আর সাহসী দেখাচ্ছে তাদের।রোখা মেজাজে ভরপুর চীনের মেয়েরাতারা হাতিয়ারগুলির প্রেমিকা,সিলক আর শাটিনের নয়।হুঁশিয়ারএই সময়কোনো কথা বলতে নেই।এই সময়কারো ডাকে সাড়া দিতে নেই।তাহলেইতোমার ভাইবেরাদরদের ভেতর থেকেতোমাকে ছোঁ মেরে নিয়ে...

লাবণী মণ্ডল

লাবণী মণ্ডল

Internal Reviewer at Kathaprokash

সমালোচনা

গ্রন্থকথন :: ‘বস্তার’ রাষ্ট্র-কর্পোরেট-হিন্দুত্ববাদের যৌথ সন্ত্রাস

শিল্প ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে সমালোচনা হলো সংগ্রাম ও বিকাশের অন্যতম প্রধান পদ্ধতি। এর গুরুত্ব উপলব্ধি করেই ‘বস্তার’ বইটি নিয়ে দু’চার কথা লিখতে বসলাম। এই আলোচনা বা সমালোচনা কতটুকু সাহিত্যমানসম্পন্ন হবে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত নই। সেক্ষেত্রে এটিকে আমার উপলব্ধির বিকাশ ধরে...

লাবণী মণ্ডল

লাবণী মণ্ডল

Internal Reviewer at Kathaprokash

চিন্তা

মনের ভাব

মানুষের জীবন বই হলে ঠিক কেমন হত?একেকটা জীবনের গল্প যেন একটা বই।সহজেই পড়া যায়।মানুষের জীবন তো আর বই না যে চাইলেই পড়া যাবে।বইয়ের পাতায় পাতায় রহস্যের গন্ধ থাকলে সেই রহস্য একসময় ফুরাবেই।কিন্ত মানুষের জীবনের গল্প অফুরন্ত। শুরু কবে বা শেষটাই...

সমালোচনা

বোধ ও বোধন

337867087_896777924957387_2126686987394699012_n.jpg 75.83 KB বোধ ও বোধনলাবণী মণ্ডল সাহিত্যের প্রতিটি শাখার যেমন মৌলিক মানদণ্ড রয়েছে, কবিতারও তেমন একটি শক্তিশালী মৌলিক ভিত্তি রয়েছে। তবে কবিতাকে সংজ্ঞাবদ্ধ করা সহজ কাজ নয়। সাহিত্যের অন্য সব ক্ষেত্রের মতো কবিতাও সর্বজনীন নয়। সব কবিতা সবার ভালো লাগবে বা...

লাবণী মণ্ডল

লাবণী মণ্ডল

Internal Reviewer at Kathaprokash

চিন্তা

কুত্তার মতন রাজীব আশরাফ

 রাজীবকে নিয়া কী লিখবো? কী কী লিখবো? কী কী লিখবো না! এইটা একটা গবেষণার বিষয় আমার কাছে। তবে লিখতে যে হবে এইটা নিশ্চিত! লেখা ছাড়া যেহেতু মুক্তি নাই, কাজেই লিখতে হবে। সমস্যা হইলো, আমার কাছে গদ্যভাষারা আসতেছে না। রাজীবের স্মরণসভার...

চিন্তা

নারী কর্মজীবী

আমরা কি মানুষ চিনি? আমরা সবাই মানুষ, সবাইকেই খেতে হয় সবাইকেই হাটতে হয় সবারই চোখ,কান,নাক আছে, তবে প্রথমে আমাদের দেখতে হবে আমরা মানুষ, দ্বিতীয়ত আমরা লিঙ্গ ভেদে বিচার করবো মানুষকে।চলুন আজকে আলোচনা করা যাক কর্মজীবী নারী নিয়ে   নারী নামটা চোখের সামনেই আসলে...

বিশ্ব সাহিত্য

সিদ্ধার্থ শুধু একটি বই নয় একটি জীবন দর্শন

সিদ্ধার্থ নামটা সামনে আসলে বোঝাই যায় না বইটি আসলে কি নিয়ে লেখা। এটি একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস।আজ থেকে আড়াই হাজার বছর পূর্বে যখন বৌদ্ধ ধর্মের আবির্ভাব ঘটে তখনকার আমল কে কল্পনা করে লেখা হয়েছে। লিখেছেন হেরমান হেসে।এই উপন্যাসের চরিত্রগুলো খুব সহজ সরল...

নন ফিকশন

আপনি একটি ট্র্যাজেডি পড়তে চান?

‘ওয়েব ট্র্যাজেডির’ প্রথম অধ্যায় (১৭ ফেব্রুয়ারি)আমার ফোন ভাইব্রেট করলো।আমি আমার ফোন খুললাম, চেক করার জন্য ।ফেসবুকে ১০০০ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এসেছে। আমার প্রোফাইল একরকম পুরো বুস্ট হয়েছে আরকি।সর্বশেষ বন্ধুত্ব অনুরোধকারী ছিল উইলিয়ামস অ্যাডামস । আমি প্রথমেই তার নামে অতিরিক্ত 's' লক্ষ্য করলাম:...

নন ফিকশন

আপনি একটি ট্র্যাজেডি পড়তে চান?

আমার ফোন ভাইব্রেট করলো।আমি আমার ফোন খুললাম, চেক করার জন্য ।ফেসবুকে ১০০০ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এসেছে। আমার প্রোফাইল একরকম পুরো বুস্ট হয়েছে আরকি।সর্বশেষ বন্ধুত্ব অনুরোধকারী ছিল উইলিয়ামস অ্যাডামস । আমি প্রথমেই তার নামে অতিরিক্ত 's' লক্ষ্য করলাম: Wiliams । মনে হল,...

চিন্তা

বিশ্বায়ন

বিশ্বায়ন। লেখাঃ তাহসিন আলম উৎসঅলীক মায়ার বশে বন্দী সবাই,পুতিন থেকে জিনপিং-ভুগছে সবাই বিষণ্নতায়। “কমলালেবু”র এই জঞ্জাল ভরা আস্তানায়,সবাই উঠেছে মেতে অশ্রু-রক্তের নেশায়।ভয় আজও পিছু ছাড়েনি মধ্যবিত্তের,দুর্ভিক্ষ এখনও পথের কাঁটা পথিকের।ভাইরাসের দুনিয়ায় বেজেছে দামামা যুদ্ধের,আবারও ফাঁসিতে ঝুলতে হবে বিপ্লবীদের। এখানেই শেষ নয়-এশিয়া থেকে...

তাহসিন আলম উৎস

তাহসিন আলম উৎস

একজন পাঠক, অতঃপর লেখক

চিন্তা

আকাশ মেঘলা হলেই আমি মানুষ দেখি

খুবডুব"আকাশ মেঘলা হলেই আমি মানুষ দেখি। হুট করেই যেনো তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। বাড়ি ফেরার ব্যস্ততা। ঢাকা শহরের মানুষ বোধহয় বৃষ্টি পছন্দ করে না। কিংবা কে জানে, হয়তো ভিজতে ভয় পায়। অসুখ হবার ভয়। তবে এ শহরের কাকগুলো বৃষ্টিতে ভেজে...

চিন্তা

যান্ত্রিক এই শহরে আমরা যন্ত্র মানব

আমি মানুষ দেখছি"-যান্ত্রিক এই শহরে আমরা যন্ত্র মানব।সারাদিনে অফিস বাদে কিছুই করা হয়নি, হঠাৎ করে মনে হল কিছু একটা করা দরকার। কি করা যায়, তখন মনে হল আজকে মানুষ দেখবো। কোন কিছু চমৎকার ভাবে অবলোকন করতে দাড়াতে হবে এক কোনায়...

ফিকশন

বেয়নেটের টুঁটি টিপে ধরার স্পর্ধা বাড়ে |||

খুবডুব"আমি নির্বিষ। আমি ঐক্য। আমি শান্তি। আমি দুঃখ। আমি শৈত্য। আমি বর্ষা। আমি বর্শা। ধার বাড়ে। ঔদ্ধত্য বাড়ে। বেয়নেটের টুঁটি টিপে ধরার স্পর্ধা বাড়ে |||

ফিকশন

মৃত মানুষকে ঘিরে থাকা সকলের নিষ্ফল আয়োজন |||

KhoobDoobপার্থ আহম্মেদমৃত মানুষেরও কখনো কখনো চোখ খোলা থাকে। যেনো সে দেখতে চায় তাকে ঘিরে থাকা সকলের নিষ্ফল আয়োজন। সেই চোখ বন্ধ করে দেয়াই নাকি নিয়ম।  তাছাড়া কারই বা অভিযোগপূর্ণ দৃষ্টি বেশিক্ষণ দেখতে ভালো লাগে বলো |||

নিউজ

কানাডার লাখ ডলারের সাহিত্য পুরস্কার পেলেন সারাহ বার্নস্টেইন

চলতি বছর কানাডার সম্মানজনক সাহিত্য পুরস্কার স্কোশিয়াব্যাংক গিলার প্রাইজ জিতেছেন সারাহ বার্নস্টেইন। পুরস্কার হিসেবে কানাডিয়ান এই লেখক পেয়েছেন এক লাখ মার্কিন ডলার। অর্থমূল্যের দিক থেকে এটি দেশটির সাহিত্য জগতে সবচেয়ে মূল্যবান পুরস্কার।      ‘স্টাডি ফর ওবেডিয়েন্স’ উপন্যাসের জন্য বার্নস্টেইন এই...

পোস্ট

অনাকাঙ্খিত প্রত্যাবর্তন

বিশ্বাস কর প্রিয়তমা এই মনেআজ আর অবশিষ্ট নেই কন প্রেমঅনেক দিয়েছিলাম তোমায় ভালোবাসা;তুমি নিলেনা। আমারও অভ্যেস নেইফেরত নেবার কিংবা অন্যকে দেবার।তাই গলাধাক্বা খাওয়া অবহেলিত পথশিশুদের মতই আমার ভালোবাসারা মুখ থুবড়ে পড়ল মাটিতে।সেখান থেকে জন্ম নিল কত শত বৃক্ষ........ওরা আমার মতই নিঃস্বার্থ প্রেমিকআজন্ম...

পোস্ট

প্রেমিকার আক্ষেপ

জ্যাকলিন কাব্য তুমি সেইদিন জানতে পারবে,বিদীর্ণ এই পৃথিবীর বুকে ক্ষুদ্র এক নিষ্প্রাণ দেহটা আমি যার অস্তিত্ব দিনদিন বিলীন হতে চলেছে। সেই শুষ্ক সমাধির বুকে দু'ফোটা চোখের জল..!তুমি সেইদিন বুঝতে পারবে আমাকে হয়তো তুমি ভালবেসেছিলে। আমার দেহের প্রাণহীনতা তোমারমধ্যে সেই অজানা ভালবাসাবোধ জাগাবে। তোমার ভেতরে জেগে উঠবে মৃতপ্রায় প্রেমিকের সাহসী...

গল্প

দাদুভাইয়ের অবোল তাবোল

ছোট্টবেলায় এক বিকেলে আমার মন খারাপ দেইখা দাদুভাই আমারে ডাকল। মা বকাবকি করলে যেমন হয় ...  যাক দাদু বড় বড় রুদ্রাক্ষ মালা গলায় দিয়া আমাকে ধর্মজ্ঞানী রূপে বলল , "শোন শোন, এদিকে আয়, মন খারাপ! আইসক্রিম খাবি?"আমি বললাম, " আমি...

Sajib Sen

Sajib Sen

Visual Artist & Writer

চিন্তা

এক বুলেট এক শত্রু

'এক বুলেট এক শত্রু'কি আশ্চর্য উক্তি!ব্যাটারি চালিত টমটমে পহাড়ের মাঝে ১২-১৪ ফিটের চওড়া পিচঢালা আঁকা বাঁকা, উঁচু নিচু রাস্তায় আবারো সেই পরিচিত ব্যারিকেট । যেখানে কোনটায় লেখা সাবধান, কোনটায় লেখা থামুন, কোনটায় লেখা সামনে...টমটমটি সেই ব্যারিকেটরে নাইন ডি মুভির মত...

Sajib Sen

Sajib Sen

Visual Artist & Writer

পোস্ট

কিন্তু সেদিন ওঠেছিলাম

পার্থ আহমেদসকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা ব্যাপারটা আমার একদমই হয়না। কিন্তু সেদিন ওঠেছিলাম। পৃথিবীর বৃহত্তম সুপেয় পানির হূদ ‘লেক সুপেরিয়র’-এর পশ্চিম তীরে একটা লাইট হাউজ থেকে সূর্যোদয় দেখব বলে |||

গল্প

বাবা তুমি আমার

"বাবা তুমি তো বলেছিলে পিতৃ ঋণ কোনদিন শোধ হয় না। তুমি ছাব্বিশ বছরে আমার পেছনে যত টাকা খরচ করেছো তুমি কি জানো আমি আগামী তিন বছরে সে টাকা তোমায় ফিরিয়ে দিতে পারবো"।বাবা : ( কিছুটা মুচকি হেসে) "একটা গল্প শুনবি?"ছেলেটা...

অনিরুদ্ধ রনি

অনিরুদ্ধ রনি

কবি ও লেখক

চিন্তা

রূপ আজীবন থাকে না, মানুষটাই থাকে

সফল পুরুষদের স্ত্রী কিংবা প্রেমিকা আহামরি সুন্দরী হন না। আবার প্রেমিকা আহামরি সুন্দরী হন না বলেই হয়তো তারা সফল পুরুষ। এই ব্যাপারটা কাকতালীয় না। বেশ লজিকাল। বুদ্ধিমান পুরুষরা নিজের জন্য রূপসী খোঁজার পরিবর্তে শ্রেয়সী খোঁজেন। যে মানুষটা মানুষ হিসেবে পারফেক্ট না...

অনিরুদ্ধ রনি

অনিরুদ্ধ রনি

কবি ও লেখক

পোস্ট

Let Them Miss You

"আমি সবসময় চার শব্দের একটা ছোট্ট বাক্যে বিশ্বাস করি:"Let them MISS you"'কষ্ট হয়' , 'পারি না' , 'হয় না' - এই কথাগুলা দুর্বলদের জন্য... নিজেকে দুর্বল ভাবার কোন কারণ নাই... শক্ত হইতে হবে... শক্ত হওয়া ছাড়া পৃথিবীতে টিকে থাকা খুব...

অনিরুদ্ধ রনি

অনিরুদ্ধ রনি

কবি ও লেখক

বাংলা সাহিত্য

অর্থ বন্দনা

কিছুদিন আগে গেল ঠাকুরে শ্রাদ্ধকতশত লোক তার কত পদ রান্নাযেন বিয়ে উৎসব বড় কোন শোক না,কেউ করে তদারকি কেউ মারে ঠাট্টাগ্রাম সহ ভূরিভোজ উচ্ছল সবটা,অবনীর তিন ছেলে খায়নি ক দুইরাতকেঁদে কেটে মরছে ঘরে নেই ডাল ভাতঠাকুরের বাড়ি গেল দুমুঠো চাল...

রেদোয়ান আহমেদ

রেদোয়ান আহমেদ

লেখক ও সাংবাদিক

চিন্তা

গ্রিন কোজি কটেজ, বাড়ি# ০২, নিউ বেইলি রোড, ঢাকা- ১২১৭

আমাদের সয়ে গেছে,সয়ে গেছে মানুষ পোড়া গন্ধখেকো জিভের লালায় মগজ ডুবছে,মুনাফা, লাভ-ক্ষতির হিসেবেহিসেব না মেলায় দুশ্চিন্তা!কংক্রিটের ইউনিট করা থরে থরে শ্মশান,দাঁড়িয়ে আছে ব্যস্ত শহরের বাস্তবতা হয়ে।খবরে, ব্যানারে, সোশ্যালে ফাঁপা শোকের পটপটানি,সমব্যাথির মুখোশে ধান্দাবাজির কচকচানি,এগ্রেসিভ মার্কেটিং-এর নতুন সংযোজনভয়হীন ২০০% নিরাপদ নিশ্চয়তা...

Sajib Sen

Sajib Sen

Visual Artist & Writer

ফিকশন

আমি তো আমি-ই

আমরা প্রায়ই খুব আমি আমি করি। বলি 'আমাকে এ'রকম বলল!', কিংবা 'আমার সাথে এ'রকম করল!' এখানে এই 'আমি'র ওপর জোর দেওয়াটা হচ্ছে অহঙ্কার। মনে করি আমরা হয়ত সত্যের জায়গা থেকে বলছি, কিন্তু আসলে অহঙ্কারই চলে আসে। শুরুতে সত্যবোধ থাকলেও কখন...

অনিরুদ্ধ রনি

অনিরুদ্ধ রনি

কবি ও লেখক

ফিকশন

গীতাঞ্জলী ঐ ঠাকুরের লেখা না?

সঞ্জুকে গতকাল ধরা হয়েছে। ওর ছবি খবরের কাগজের প্রথম পাতায় ছাপা হয়েছে। একটা টেবিলে একসেট তবলা, এক কপি গীতাঞ্জলী। সঞ্জুর দুই পাশে জলপাই রঙের কবলী পরা দুইজন মুজাহিদ একে ফরর্টি সেভেন হাতে পোজ দিয়ে দাঁড়িয়েছিল।সকাল থেকে পাড়ায় এই নিয়ে আলাপ।...

অনিরুদ্ধ রনি

অনিরুদ্ধ রনি

কবি ও লেখক

গল্প

নিয়তি

তিআজকে চার মাসের এক অন্তঃসত্ত্বাকে বিয়ে করলাম যদিও সে সন্তানের পিতা আমি না।কিন্তু নিয়তির এই খেলায় বিয়েটা আমাকে করতেই হল।বিয়ের আগে যখন মেয়েটার সাথে আমার কথা হয়েছিল তখন প্রথমেই মেয়েটা আমাকে প্রশ্ন করেছিল,,,,  আমি অন্তঃসত্ত্বা এটা জানার পরেও আপনি আমাকে...

অনিরুদ্ধ রনি

অনিরুদ্ধ রনি

কবি ও লেখক

গল্প

রিইনকার্নেশন

প্রাণপণে দৌঁড়াতে থাকা লোকটা হঠাৎই মুখথুবড়ে পড়ে রাস্তার উপর।তার পেছন পেছন এগিয়ে আসা পায়ের শব্দটা গতি কমিয়ে দুলকি চালে হেঁটে আসতে থাকে তার দিকে।লোকটা তড়িঘড়ি করে উঠে দাঁড়াতে চায়।তখনই সজোরে একটা লাথি এসে পড়ে তার পিঠ বরাবর।আবারও মুখথুবড়ে পড়ে রাস্তায়।তারপর...

ফিকশন

A little encounter

কে এসেছে? পাব্লিকেশন থেকে এসেছে, চাচ্ছে আপনি নতুন করে বই লেখুন। চলে যেতে বলুন, আর বলে দিবেন আমি এখন আর বই লিখিনা। ঠিক আছে।ঠিক পাঁচ মিনিট পরেই আবার ফারহানের কম বয়স্ক ম্যানেজার হাজির হলো।কী কিছু বলবে?মেয়েটা যেতে চাইছে না।কোন মেয়ে?ঐ...

গল্প

হতেম যদি আরব

এক.ঘড়িতে কাঁটায় কাঁটায় ঠিক দশটা। সেকেন্ড আর মিনিটের কাঁটা ষাটের ঘরে আসার সাথে সাথেই ম্যামের হুংকার, ‘স্টপ রাইটিং!’কিন্তু নূরা তখনও লিখে চলেছে। লিখেই যাচ্ছে। যেন কোনোদিকে খেয়াল নেই। ম্যামের কথাও শুনতে পায়নি খুব সম্ভবত।-‘এক্সাম টাইম পেরিয়ে গেছে নূরা!’ হাল্কা ধাক্কা...

গল্প

কোন পাপে 'রঙ্গ' ধ্বংস

রঙ্গ নামাজ শেষ করে তার ঠিক বা পাশে তাকিয়ে দেখে একটা অবয়ব ছায়া যুবক নামাজ পড়ছে,আসলে এটা ছায়া ছিল না এটা ছিল রঙ্গের কল্পনা।যুবকটি বেশ সময় ধরে মোনাজাত করলো,এই দৃশ্য দেখে রঙ্গয়ের চোখ জুড়িয়ে গেলো,সে উৎফুল্ল হয়ে জিজ্ঞেস করলো"মোনাজাতে এতোক্ষণ...

পোস্ট

তোমাকে চাই

তোমাকে চাইআহমেদ চিশতিকত দিন হয়ে গেলো তোমার সাথে আমার যোগাযোগ নেই। তোমার মন কখনো কি ছটপট করে না আমাকে দেখার জন্য?কিন্তু আমি তো আর পারছি না , আমার হৃদয় জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। মন ছটপট করছে। উড়াল দিয়ে তোমার কাছে যেতে...

গল্প

দ্বিতীয় সত্তা

রাত এগারোটা বাজতে চলেছে। আগামীকাল ভার্সিটিতে চার ক্রেডিটের কোর্সের কুইজ। সেই অনুযায়ী আমার নাক মুখ বুজে পড়ার কথা। কিন্তু আমি আমার স্বভাবসুলভ মতো পনের মিনিট কার্ভ সেটিং করার চেষ্টা করে ধৈর্য হারিয়ে ইউটিউবে ঢুকে ডেভিড কুশনারের একটার পর একটা গান...

ফিকশন

বাড়ি ছেড়ে যাওয়া কবিতা 'ঘর'

ঘর,যেটা গোলপাতার কিংবা মার্বেলেরশীর্ন হোক অথবা অট্রালিকার সেখানে মা থাকে বাবা বাস করেভাই বোন প্রিয় কুকুর কখনো বিড়ালএক হাড়ির তরকারি সবার রিজিকে। ঘর, অভাব থাকে তবু শান্তি খুঁজা যায়দু:খ ভরা কিন্তু মায়া কে ধরা যায় একই ঘটনায় সবাই মিলে হাসা যায় সমান্তরালে অনুভূতি বাস করে মূর্ছা...

ফিকশন

বাড়ি ছেড়ে যাওয়া কবিতা 'ঘর'

ঘর,যেটা গোলপাতার কিংবা মার্বেলেরশীর্ন হোক অথবা অট্রালিকার সেখানে মা থাকে বাবা বাস করেভাই বোন প্রিয় কুকুর কখনো বিড়ালএক হাড়ির তরকারি সবার রিজিকে। ঘর, অভাব থাকে তবু শান্তি খুঁজা যায়দু:খ ভরা কিন্তু মায়া কে ধরা যায় একই ঘটনায় সবাই মিলে হাসা যায় সমান্তরালে অনুভূতি বাস করে মূর্ছা...

চিন্তা

তিন্নি নাকি এলেভেন

“অন্য ভুবন” উপন্যাসটি হুমায়ূন আহমেদ এর মিসির আলি সিরিজের অন্তর্গত।স্বভাবতই এটি কিছুটা সাইন্স ফিকশন থ্রিলার এ পরিণত হয়েছে। গল্পের মূল চরিত্র এবার তিন্নি, নয় বছরের বালিকা; যার সাথেই তুলনা করা হবে “স্ট্রেঞ্জার থিংস” ওয়েব সিরিজ এর এলেভেন এর। তিন্নি নয়...

গল্প

অন্ধকার (পর্ব-১)

হঠাৎ কোন এক বিকট শব্দে ঘুম ভাঙল তপুর।অন্ধকার ঘরে সে নিজেকে আবিষ্কার করল।চারিদিকে হাতরে বেড়াচ্ছ, তবুও নিজের রুমের লাইটের সুইচ খুজে পাচ্ছে না।তার মনে হচ্ছে যেন সে অন্য কোন এক ঘরে আছে,তার নিজের ঘর তো তার সব কিছুই চেনা।এটা কেমন...

গল্প

ভালো আছি মা

শনিবার। রিশাদ ঘুম থেকে উঠলো ২ টার পরে। দেরি করার উদ্দেশ্য যেন সকালের খাবার খরচটা বেঁচে যায়। গোসল সেরে খেতে বসলো ও। আলু ভর্তা আর পাতলা ডাল মাখিয়ে খেতে খেতে বুক ফেটে কান্না আসলো। পানি দিয়ে কোনোমতে ভাতটুকু গিলে বারান্দায়...

গল্প

স্ন্যাপ শটের গল্পগুলো

আমি আজন্ম লোনার৷ জীবনে জীবন জড়ায়ে  মানুষের  যাবতীয়  যেই সব গল্পেরা থাকে, সেই সব গল্পে চরিত্র হয়ে ঢুকতে পারি না কখনো। গভীর রাতে একলা শুয়ে নেটফ্লিক্স দেখতেছি, ওই সিনেমাই যেনো জীবন। হেডফোনে ডার্ক মেটাল, নর্ডিক, ভাইকিং বা প্যাগান ফোক--- বাজতেছে...

গল্প

স্ন্যাপ শটের গল্পগুলো

আমি আজন্ম লোনার৷ জীবনে জীবন জড়ায়ে  মানুষের  যাবতীয়  যেই সব গল্পেরা থাকে, সেই সব গল্পে চরিত্র হয়ে ঢুকতে পারি না কখনো। গভীর রাতে একলা শুয়ে নেটফ্লিক্স দেখতেছি, ওই সিনেমাই যেনো জীবন। হেডফোনে ডার্ক মেটাল, নর্ডিক, ভাইকিং বা প্যাগান ফোক--- বাজতেছে...

উপন্যাস

কুহকজাল

সন্ধ্যা সেই কবেই ঘনিয়েছে। এখন নিকষ কালো অন্ধকার। এই কালো অন্ধকারে আমার ভালবাসা আরো তিমির অন্ধকার লাগছে। চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে আমার হৃদয়।

শামসুল আদনান

শামসুল আদনান

লেখালেখি

গল্প

কুহকজাল

পর্ব-১ছেলেটি ইচ্ছা করেই আমার সাথে ধাক্কা খেয়েছে। আর এই বিষয়ে একশোর উপরে কোন পার্সেন্ট থেকে থাকলেও তত পার্সেন্ট সিওর আমি। শুধু এই ছেলে কেন? আজকাল প্রায় ছেলেদের দেখা যায়, তারা মেয়েদের সাথে এমনিতেই ধাক্কা খাচ্ছে বা ঘষাঘষি করছে। ঠিক কিছু...

শামসুল আদনান

শামসুল আদনান

লেখালেখি

ফিকশন

বজ্জাত বউ

রবিউল আলম সাহেব একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর। তিনি ভেবেছিলেন অবসর হওয়ার পর বাকি জীবন খুব মুক্তভাবে কাটাবেন। কিন্তু এখন দেখছেন এই জীবন পরকালের নরকের মত। দুনিয়ার দোযখী জীবন বলা যায়। দিনরাত তার অশান্তিতে কাটে।ঘুমের ঔষধ সেবন করেও ঘুম আসেনা।আর এই সব...

শামসুল আদনান

শামসুল আদনান

লেখালেখি

গল্প

হঠাৎ দেখা শেষ ফাগুনে

আজ প্রায় আজ তিন যুগ পর নিজের ভালোবাসার মানুষকে দেখে স্তব্ধ হয়ে গেছি।আজ পহেলা ফাল্গুন। প্রকৃতি সেজেছে আপন রঙে। শীতের মৃতপ্রায় বসুধায় প্রাণ সঞ্চার করতেই যেন ফাগুনের আগমন। গাছে গাছে নতুন পাতার ফাঁকে ফাঁকে যেন উঁকি দিচ্ছে লাল কৃষ্ণচূড়া। প্রকৃতির...

গল্প

ভালোবাসার সংজ্ঞা

পৃথিবীতে তুই বোধহয় একমাত্র প্রাণী যে আজকের মতো এমন একটি সুন্দর দিনে এতো বেলা পর্যন্ত ঘুমিয়ে আছিস।সকাল সকাল ষাঁড়ের মতো চিল্লাচিল্লিতে দৃঢ়তার শখের ঘুমটার দফারফা হয়ে গেছে।তাই শব্দের উৎসের মালিকের সন্ধানে অক্ষিযুগল অবরোধমুক্ত করতে ব্যস্ত হলো। কিন্তু মস্তিষ্কের নিউরন গুলো...

গল্প

মহাকালের দেয়াল

শরতের বিকেল। ঘড়িতে ৫টা বেজে ৪০।চারিদিকে একটা আবছা শীতল বাতাস, আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, শাড়ি-পাঞ্জাবি পরে আসা একঢল রমণী ও সুদর্শন যুবকদের ভীড়। সবমিলিয়ে টিএসসি চত্বরের প্রকৃতি এখন এক মায়াবী রূপ ধারণ করেছে। এদের মধ্যেই সাদা-লাল কম্বিনেশনের একটা চমৎকার শাড়ি পরে...

সায়হাম রহমান শান্ত

সায়হাম রহমান শান্ত

কবি,গল্পকার ও সমালোচক

সমালোচনা

সাহিত্য_হত্যা

বইমেলা চলাকালীন সময়ে বই পড়ার গুরুত্ব এ ধরনের একটি আড্ডায় বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত মোটিভেশনাল স্পিকার ও লেখককে আমন্ত্রিত করা হয়েছিল। যিনি টাইপরাইটার বা কলম দিয়ে লিখতে পছন্দ করেন না। সফটওয়্যার এর মাধ্যমে যা লিখতে চান তা বলেন এবং এগুলোই প্রকাশিত...

গল্প

মানতু

এক‘এদিকেই কোথাও লুকিয়েছে।’ শক্ত হয়ে গেল আকরুম মানতুর দেহটা। ‘কী রে, ঠিক বলছি না?’ পরের কথাটা শুনে ভয়ে কুঁকড়ে উঠল যেন সে। গত ছটা মাস ধরে এই কণ্ঠের মালিক তার চ্যালা-চামুণ্ডা নিয়ে একরকম অত্যাচার চালাচ্ছে মানতুর ওপর। অথচ ওর দোষটা...

পোস্ট

পৃথিবীর বুকে একটি ক্ষত

অসংখ্য প্রশ্ন চেপে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে আছিসীমান্ত বিরোধে কিংবা রাজত্ব রক্ষায় বুলেটের মুখে ব্যয় হচ্ছে লক্ষাধিক প্রাণবেদুইন ক্ষমতা কি পারব—জন্ম বা মৃত্যুর সীমা পেড়িয়ে কোরতে রাজত্ব তাদের উপর?আসুন তবে রাউন্ড টেবিল মিটিং করা যাক—কে জানে মৃত্যুর অজগরটি কোথা থেকে এসেছোবল...

সব্যসাচী

সব্যসাচী

কবি ও লেখক

পোস্ট

আমাদের দ্যাখা নেই

চোখের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আমার হৃদয়ে বিধে—‌‌সৌন্দর্য স্পর্শ করে মনকেএক নৈসর্গিক ভালো লাগা থেকে জন্ম নেয় হাজার বছর আগে হারানো সুর—সৃষ্টি হতে চায় ভালোবেসে অমরত্ব লাভের অধ্যায়।বহুবছর তোমাকে পড়ে পড়ে আমার সময় কেটেছে—পৃথিবীর পথে আমাদের দ্যাখা হয় না—তুমি কি আমাকে খুঁজতে...

সব্যসাচী

সব্যসাচী

কবি ও লেখক

চিন্তা

স্যুটস ও গ্রে মানুষ

 Suits বা স্যুটস নামের টিভি সিরিজে দেখা যায় যে মাইকেল মাইক রস নামের যে ক্যারেকটারটা থাকে সে খুব ট্যালেন্টেড। সে যা পড়ে সেইটা তার সবসময় মনে থাকে এবং সে জিনিসগুলো সত্যিই শিখে। তার ইচ্ছা ছিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ল-তে ডিপ্লোমা করবে।...

বাংলা সাহিত্য

তিনটি শ্রেষ্ট অনুকাব্য

• এ জন্ম তো নির্মমতা— অসম্ভব আর মিথ্যে ছিলো,আল্লা কেবল আমার থেকে তরেই শুধু ছিনিয়ে নিলো!.....•সব হারানোর মিছিল যদি,পরের জন্মে একটু থামে—সে জন্মটা আবার আমি লিখে দেবো তোমার নামে!......• পালিয়ে যাওয়া ঢেউয়ের মতো কেউ আসেনি তীরে,মানুষ কি আর হারিয়ে গেলে...

এম এ ওয়াহিদ

এম এ ওয়াহিদ

কবি ও দার্শনিক।

বাংলা সাহিত্য

দিগন্তে দাঁড়িয়ে

সময়ের কড়া স্রোতেও ঠাই দাঁড়িয়ে স্বপ্ন আকি,ছবি বুনি,কবিতা গাই।দূরের গল্প ছুয়ে বাতাসের বুকেই ফাগুন মুছি!খুব খরচে দামেই শূন্যে ডুবি আকাশে হারাই।হাত বাড়িয়ে ছুতে চাই ওই রঙিন রেখা,কিন্তু চোখে ভাসে ধবল মেঘের নিযুত চাওয়ারা ।এখানে তবুও দাড়িয়ে থাকি আগুন হাতে,নেশাতুর দেহে বিরহ...

পোস্ট

পরিত্যক্ত স্মৃতি

এই নাও দুটো সিলিয়েন্থাস—যত্ন কোরো কিন্তুরেখে যাচ্ছি একটি উজ্জ্বল ভোরের স্বপ্ন আর হাজার বছরের ঘুম— সাথে অদৃশ্যমান কিছু ছিড়েফোড়া স্মৃতি। তোমার প্রাক্তন এখন নিয়ম করে মদ পানে আসক্ত—শরীর বিক্রেতাদের সাথে রাতভর তুমুল সংলাপে ব্যস্ত থাকে—জানি সম্পর্ক পুরনো হলে মানুষ অনেক কিছুই হারায়। বলেছি কোনো...

সব্যসাচী

সব্যসাচী

কবি ও লেখক

পোস্ট

মৃত্যু নয়, কেবলই শিশু হত্যা

হাইড্রোজেন বোমার আঘাত কেন আমিই অনুভব করি? যারা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করে এবং আরও শান্তির লক্ষ্যে বোমা বানায়, তাদের উদ্দেশ্য সবার কাছে পরিষ্কার হলেও আমি ভাবছি ভিন্ন কিছু। বোমা যদি বানাতেই হবে তবে আর কোনো নারী গর্ভধারণ...

নন ফিকশন

তুমি ভালোবাসলে

তুমি ভালোবাসলে এই দাড় কাক হবে বকের মতো ফ্যাকাসেতুমি ভালোবাসলেসোনালি চড়ুই এসে বসবে আমার বারান্দায় তুমি ভালোবাসলে শুধু কবিতা না, উদ্ভাবন ঘটবে শত শত উপন্যাসেরওতুমি ভালোবাসলেহাইওয়ে ধরেবিশাল আর্মাড ট্রাকে করে পাড়ি দেবো অসীমের পথতুমি ভালোবাসলে শজারুর কাটা বেদনা নিয়ে খামখেয়ালী করবে না এই হৃদয়জুড়ে

নন ফিকশন

সিক্ত স্মৃতি

সিক্ত স্মৃতি সাদিক ফুয়াদ  যতই বেলা যাইবে শৈশবের স্মৃতি ততই গাঢ় হইবেমনে পড়িবে বাবার হাত ধরিয়া প্রথম ইস্কুল যাত্রা ,  মনে পড়িবে ভোর বেলা, মায়ের দেয়া ঘুম ভাঙানির তাড়া, সেসব স্মৃতি মস্তিষ্কের কুঠুরিতে আমৃত্যু থাকিবে।বেলা বাড়িতেই থাকিবে, জীবনযাত্রা চলিতেই থাকিবে- হঠাৎ মনে...

সমালোচনা

কুত্তায় দিছে ভাাঁড়া ভাতে ছাই

মানে শুনতেছি,কুত্তায় নাকি অনেকের ভারা ভাতে ছাই দিতেছে। যাদের ভাতে ছাই দিছে তারা প্রমান স্বরুপ কিছু লিখিত দলিল বা পোস্টার নিজেদের মত বানায়া রাজ্যে ব্যাপন ঘটাইতেছে। এক বাইকার ভাই রে দেখলাম পোস্ট দিছে,যেটার ছবিতে তার বাইকের মিটারে শো করতেছে ১২০+ স্পিড...

চিন্তা

অথৈ জল

নীড়ে ভিড়িতেছে কত তরী..!  সবের খোঁজ কি রাখিতেছো প্রিয়..? যে তরী ডুবিয়াছে নীড়ে ভিড়ার আগে,তারেই তো খুজি তুমি-আমি মিলি! পঞ্চম ইন্দ্রিয় তোমারে ডরে ডোবায়। মাঝ নদে ডুবিবার পূর্বেই ডুবিয়ে যাইতেছো অথৈ জলে। এ তোমার কেমন বিচক্ষণতা? জলোচ্ছ্বাস তো গেল বছর...

গল্প

মুরগি

সকাল বেলা,কোনো এক মফস্বল শহর।মুরগির দাম সোনার দামের সমান হওয়ার বেশ আগের এক দিনের কথা।শফিক সাহেব তার একমাত্র ছেলে শাওনের জন্মদিন উপলক্ষে একটা মুরগি কিনে বাসায় আনলেন।বেশ বড়সড় আকারের মুরগি।ময়লাটে লাল আর কালোর সাথে সাদার ছোপ রঙয়ের।এইরকম মুরগি দেখলে মনে...

কবিতা

তোমারে ভুইলা যাইতে চাই

যেদিন তোমারে ভুইলা যামু, সেদিন আর ভুইলা যাওয়ার মতোন থাকবো না কিছুই। ভুইলা যামু যে, আসলে ভুইলা যাওয়া কারে কয়! ভুইলা গেলে তোমারে, কেমন কইরা আবার ভুলতে না হয়; এইভাবেই তোমারেখুব যত্ন কইরা ভুইলা যামু।মনে পড়ে তোমার? দিন গড়িয়ে সন্ধ্যার কোলে ঢলে পড়বে বলে, হাত ছাইড়া...

গল্প

জাতীয় মাছ তেলাপিয়া

রাজবাড়ী জেলায় আমার পরিচিত এক বড় ভাই ছিলেন..! (মাসখানেক আগে ঢাকায় শিফট করেছেন পরিবার সমেত।) গতবছর ফাল্গুনে ব্যাক্তিগত কিছু কাজে রাজবাড়ী যাওয়া হয় আমার। বড় ভাই কাজ শেষ করে বাসায় চা'এর দাওয়াত রাখতে বলেছিলেন..! তো সন্ধ্যায় কাজ শেষ করে ভাইয়ের...

প্রবন্ধ

সাধু-চলিত এবং সহজ-কঠিন

~ মাঝে মধ্যেই দেখতে পাওয়া যায় যে অনেকে বলেন তারা সাধু রীতি এর লেখা গল্প-উপন্যাস এগুলো পড়তে পারেন না বা পড়তে সমস্যা হয়। এইখানে অনেকের কাছে সাধু রীতিকেই দোষের বলে মনে হয়। যা সত্য নয়।কোনো লেখকের কোনো লেখা পড়তে কেমন লাগবে...

বিশ্ব সাহিত্য

❝লেনদেন❞

একটা জীবন কেটে-ই গেলো উদাস পাখির মতো,সূর্য ডোবার আগে যদি— ঘরে ফেরা হতো।করের ফাঁক টা ভীষণ রুক্ষ,তাকাই হাতের পানে,রোজ কতটা বিষাদ জমে— কলম শুধু জানে।বুকের বা পাশ ব্যথার শৈল্য—তুষার ঝরে রোজ,জনম জনম চিতায় পুড়ি, নেয়'না কেহ খোঁজ! অরণ্যময় জীবন আমার, ছায়ার...

এম এ ওয়াহিদ

এম এ ওয়াহিদ

কবি ও দার্শনিক।

গল্প

লাবণ্য দাশের সাথে দেখা হওয়ার পর

সন্ধ্যা হলেও বিকেলের রেশটা কাটেনি এখনো। চারদিকে হালকা আলোকনা জাঁক ধরে আছে। সড়কের পাশে দাঁড়ানো নিঃসঙ্গ দর্শক কলাগাছ। তার ডগা নাড়িয়ে সাঁই সাঁই করে গন্তব্যে দৌড়াচ্ছে দূরপাল্লার বাস। বিদায়ী আলোর পথরেখায় তাকিয়ে আছে সড়ক পাহারায় থাকা নিমগ্ন গাছের দল। গাবখান...

বাংলা সাহিত্য

প্রবাহীণি

প্রবাহীণি—অবকাশ পাইলে আসিবো ছুটে তোমার দ্বারে ;কিছু দুঃখ রাখবো তোমার তরে, তোমার স্বচ্ছ জলে ধুয়েমুছে ;রাখিবে সযত্নে। প্রবাহীণি—তোমার কাছে কইবো কাঠগোলাপের বিলাপ;যে করছে আমারে অত্যাধিক আঘাত,এখনো তার প্রতি রয়েছে আমার ;পক্ষপাত।প্রবাহীণি—সাধ জাগে নিকেতন ছেড়ে তোমার দ্বারে দারস্থ হই;দুর্বোধ্য অসুখে মরণাপন্ন এই আমি তোমাকে দেখতে দেখতে...

কে এম ইমরান

কে এম ইমরান

শিক্ষার্থী

গল্প

প্যারাভৌতিক

শীতকাল।রাস্তার মাঝ বরাবর সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান ন্যাড়া ন্যাড়া গাছ।সব পাতা ঝরে গিয়ে গাছগুলো এখন ষাটোর্ধ্ব বয়সের কোনো বৃদ্ধ যেনো।শহরে অবশ্য গাছের খুব একটা বালাই নেই।সৌন্দর্য্য বর্ধনের উদ্দেশ্যে সরকারি বাজেটে এ গাছগুলো লাগানো হয়েছে।তাছাড়া,হাতেগোনা দু-একটা বাড়িতে নামকাওয়াস্তে গাছ লাগানো হলেও,বেশিরভাগ বাসার পুরোটা...

সায়হাম রহমান শান্ত

সায়হাম রহমান শান্ত

কবি,গল্পকার ও সমালোচক

নন ফিকশন

জুলুমকারীর মনস্তত্ত্ব বুঝেছি অন্য শ্রেণির কাছে

মানুষের হক্ব মেরে ঘুষ খেয়ে, দুর্নীতি করে কীভাবে মানুষ আশ্চর্যরকম সুখে থাকে আমি জানিনা। আমার মনে হয় দুর্নীতিবাজরা, জুলুমবাজরা ঐ প্রাপ্তিটাকে নিজের প্রাপ্য মনে করে সবসময়। অথচ তার প্রাপ্য বেতন জেনেই সে চাকরিতে ঢুকেছিল, এখন কিভাবে তাদের চাহিদা বেড়ে গেল...

বাংলা সাহিত্য

জোৎস্না রাত

এই যে শুনছেন, আজ শুন্যে চাঁদ ভেসে উঠেছে ঠিক আমার মনের মতো৷ বৈশাখের আজ প্রথম পূর্ণ চাঁদ৷ রাত্রি আজ জোৎস্নায় ভরা৷ জোৎস্না তেমন উজ্জ্বল, চকচকে হয় না,বড় মধুর মিষ্টি৷   ঠিক  শ্যাম বর্ণের প্রেমিকার মতো৷ হালকা আধার ঠিক যেমনটা আশা...

তানজিদ হাসান

তানজিদ হাসান

লেখক ও সমালোচক

ফিকশন

বই: যেখানে স্মৃতিরা বেঁধেছিল

তুমি, আমি, আমরা সবাই হলাম অন্য কারোর জীবনে শিউলি ফুলের মতন। রাতের আঁধারে নিশ্চুপে ফুটি, সুগন্ধ ছড়াই। আগলে নেয় কাছে। সুবাসটুকু নিয়ে ফেলে দেয় ব্যবহার শেষে। শিউলিফুল যেমন মনুষ্য ছোঁয়ায় ক্ষণিকের মাঝে হারিয়ে ফেলে তার সৌন্দর্য, সুগন্ধ তবুও রেখে যায়।...

গল্প

আজ মন খারাপের দিন

বাস থেকে নামার পরেও নির্ঝরের মন খারাপ ব্যাপারটা সামাল দেয়া হয়ে ওঠে না। সে ফুটপাত ধরে মানুষের ভিড় ঠেলে এগোতে থাকে। গ্রীষ্মের প্রচন্ড রোদের এই গরমে তেতে ওঠা ফুটপাতে মানুষের এত ভিড় হওয়ার কথা নয়। তবুও প্রচন্ড ভিড়। ঢাকা শহর...

নন ফিকশন

অর্থনীতির ফ্রেন্ডলি ফায়ার তত্ত্ব ও আমাদের প্রাসঙ্গিকতা

অর্থনীতির ফ্রেন্ডলি ফায়ার তত্ত্বও আমাদের প্রাসঙ্গিকতাসাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো হরহামেশাই ফ্রেন্ডলি ফায়ার হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। ডঃ অমর্ত্য সেন ২০০১ সালে অর্থনীতিতে friendly fire ধারণাটি প্রবর্তন করেন। এই তত্বটি আমরা যদি সহজ ভাবে বুঝতে চাই– যুদ্ধক্ষেত্রে তুমুল যুদ্ধের সময় শত্রু-মিত্র ঠাহর...

চিন্তা

বইপড়াবিষয়ক প্যাঁচাল

আমাকে অনেকেই বলেন, বই পড়ায় সময় কই!  কিংবা বই কিনে পড়ার সময় কই। আমি  বলব এটা নিছক মিথ্যা কথা। 'আপনি প্রতিদিন দুপৃষ্ঠা করে বই পড়লে মাসে ষাট পৃষ্ঠা, বছরে সাতশো কুড়ি পৃষ্ঠা। বছরে সাতশো কুড়ি পৃষ্ঠা পড়তে পারা মানে-অনেকগুলো বই পড়তে...

চিন্তা

একসাথে থাকার দিনগুলোতে বইপড়ুন

গ্রামের কথা বলছি। পাঠ্যবইয়ের বাইরে অন্য বইপড়া মানেই "আউট বই" পড়া। এই আউট বই পড়াকে অনেকেই মনে করেন পড়াশোনা নষ্ট হয়। কিন্তু এই আউট বই পড়লে শিশুর কল্পনা শক্তি ও সৃজনশীলতা বাড়ে। এই বিষয়টা এখন প্রমাণিত। আর যারা বড় মানুষ আছেন।...

চিন্তা

বইয়ের দোকান মানে বুকশপ, বুকস্টোর , লাইব্রেরি নয়

আমাদের দেশে বইয়ের দোকানকে লাইব্রেরি বলছি।কিন্তু লাইব্রেরিতে তো বই কেনা-বেচা হয় না। শুধু বই পড়া যায়। বিদেশে বইয়ের দোকান মানে বুকশপ, বুকস্টোর ইত্যাদি। কিন্তু কেন বইয়ের দোকানকে লাইব্রেরি বলার সংস্কৃতি চালু হলো!?

বাংলা সাহিত্য

অথবা একটা ফোটা ফুলকে আমার সামনে ঝড়ে পরার কথা ছিল,

একটা মৃত নদীর শোকে-ঝড়া ফুলের শোকে-সন্ধ্যায় ঘর হারা পাখিকে দেখে আমার বুক কেঁপেছে, দুঃখ লেগেছে।কিন্তু আজ আমার এই ভীষণ গাঢ় শোকে মানুষ থেকে শুরু করে তৃণলতা, ফুল, পাখি, নদীকারোর কোন দুঃখ লাগেনি!মানুষ দিব্যি হাসিমুখে রইছে সারাক্ষণ, অথচ আমি কারো দুঃখে - নিজে বুক ভিজিয়েছি, কত...

কে এম ইমরান

কে এম ইমরান

শিক্ষার্থী

চিন্তা

Should I Confess?

Should I confess? By Elias Hossain It's hard to tell How should I confess? Day by day,I'm getting to know youAnd I find myself drawn closer to youI'm building a hut in my heart. I thought of confessing fills me with fearWhat if I stumble...

Elias Hossain

Elias Hossain

English teacher

চিন্তা

প্রেম ও অভিনয়

যে সম্পর্কে স্বাধীনতা নেই, যে সম্পর্কে দমিয়ে রাখা হয়।যে সম্পর্কে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অনেক বেশিসেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা ভালো।।আর হ্যাঁ! কারোর প্রথমজন হতে না পারলে, দ্বিতীয়জন হয়ে থাকা কিন্তু সন্মানীয় নয় —তার থেকে একা থাকা অনেক ভালো।।ঠকে যাওয়া থেকে ঠগবাজের...

গল্প

মন খারাপের দিনে

 মাগরিবের নামাজ পড়ে এসে বসলাম। আজকে কেন জানি মনটা ছটফট করছে। কিছুই ভালো লাগছে না। কিছুক্ষণ ভেবেচিন্তে তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম নাহ এখানে আর ভালো লাগছে না। বসায় চলে যাব। নিজের ব্যবসার এ একটা সুবিধা। যখন-তখন যা ইচ্ছে করা যায়। তাছাড়া...

মুহাম্মাদ রাহাতুল ইসলাম

মুহাম্মাদ রাহাতুল ইসলাম

লেখক, শিক্ষার্থী ও সেচ্ছাসেবী

গল্প

আমি নি:শ্বাস নিতে পারছিনা

মেয়েটার নাম আসমা। আসমার বয়স যখন চার মাস তখন ওর বাবা মায়ের ডিভোর্স হয়ে যায়। বাবাকে কেন্দ্র করে আসমার কোন স্মৃতি নেই। মা'কে কেন্দ্র করেই ওর জগত। আসমার জিগরী বান্ধবী সায়েরা। সায়েরার সাথে প্রাইমারি থেকে ভার্সিটি পর্যন্ত একসাথে চলা। প্রায়ই...

Sahadat Russell

Sahadat Russell

চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক

গল্প

জানাজা

ষাটোর্ধ্ব মকবুল মিয়াঁর চুলগুলো প্রায় সব শুভ্র হলেও মুষ্টি পরিমাণ লম্বা দাড়ি গুলো এখনো অনেকটাই কালচে। তাঁর বন্ধুদের অনেকেরই এই বয়সে চুল পড়ে মাথায় টাক ধরে গেছে দাড়ি হয়ে গেছে ধবধবে সাদা কিন্তু মকবুল মিয়াঁর ক্ষেত্রে ভিন্ন। তিনি সংসার জীবনে...

গোলাম সারোয়ার অনিক

গোলাম সারোয়ার অনিক

টেলিভিশন নাট্যকার

কবিতা

অপরিচিত

আমি লাল, আমি নীল, আমি রঙ-বেরঙের আলো।আমি শান্তির শ্বেত কপোত আর কখনো বা শোকের কালো! আমি উড়ে চলি গায়ে স্মৃতি মেখে দিয়ে, খয়েরি ডানা মেলে।আমি কাধে হাত রাখি অথবা আড়চোখে দেখি সহসা দেখা হলে! আমি দিন-রাত সব একাকার করে চলি ছায়ায় ভর করে। কখনো বা আমি অতীতে ডুব...

সিয়াম

সিয়াম

শিক্ষার্থী।

বাংলা সাহিত্য

প্রুফরিডিং

ক্লান্তির নির্বাসন আর নির্মম আক্ষেপ নিয়ে বেঁচে থাকা যাদের আত্নহত্যার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়—প্রিয়মুখ আতদের কাছে শুধুই পরিহাস দুর্ভাগ্য পৃথিবীতে হেটে বেড়াচ্ছে—পা দুটো কি তুলে রাখবো?আজও রাতের আঁধারে একদল মানুষ হৃদয় কুপিয়ে নির্ভুল শিল্প এঁকে যায়—এসব দেখে মৃত্যুখেকো কসাইয়েরা ঘুমোতে সাহস করে...

সব্যসাচী

সব্যসাচী

কবি ও লেখক

কবিতা

তোমার উপমা

আমি যখন মাটি হবো, তুমি ঠিক আমার সাথেই ফুল হয়ে গজাবে পৃথিবী দেখতে। তুমি যখন উজ্জ্বল তারা হবে, আমি তখনঅন্তরীক্ষের কালো হবো তোমায় ফুটিয়ে তুলতে৷ তুমি যেদিন অবসাদ হবে, আমি সেদিন হবোবিশাল বড় শাদা মেঘের ভেলা। তুমি যেদিন শিশু হবে, তোমার গালের হাসির টোলে...

সিয়াম

সিয়াম

শিক্ষার্থী।

চিন্তা

অদম্য

অসীমের পথে যাত্রা যাহার,কে করে তাহারে অবরোধ?যাতনা যাহার ছায়ায় চলে,কে করিবে আর তাহার বিরোধ!২২ জুন, ২০২৩। দুপুর ১২ টা, ১৩ মিনিট। 

সিয়াম

সিয়াম

শিক্ষার্থী।

গল্প

ঈশানের সুগার এ.আই

“ঈশানের সুগার এ.আই”তাহ্‌মিদ হাসান“যদি তোমাকে বলি তোমার জন্ম কল্পনা করতে, সবচেয়ে বিশেষ এই মুহূর্তটার স্মৃতি একদম নিজের মতন করে তৈরি করতে, তোমার অস্তিত্বের সবচাইতে কাছের কোন ন্যারেটিভের মত… যেখানে সুখ আর দুঃখগুলো মিলিয়ে গেছে, সেখানে ‘না জানি কি থাকবে’ এই...

Tahmid Hasan

Tahmid Hasan

Independent Filmmaker, Writer

গল্প

সুখ আসতে হবে বলে আসে।

'ভালো আছো?' 'আমাকে জিজ্ঞেস করছো'।আমি বললাম ‘না,এমনি মুখে মুখে আউড়ে নিলাম!’ প্রিতা উত্তর দিলো, ‘আছি ভালো।যা রোদ।চলো কোনো গাছ তলায় বসি।’ কলেজ ক্যাম্পাসে চারিদিকে সবাই জোড়ায় জোড়ায় বসে আছে।দলবেঁধে আড্ডা দেওয়াই কলেজ কালচার।আমরাও একটা বাঁধানো বটতলার নিচে গিয়ে বসলাম।আমার বসার ভঙ্গি দেখে প্রিতা...

গল্প

চুপকথা

১ বৃষ্টিস্নাত সকাল। বাসে সফর করছে অনি। পুরা নাম অনিরুদ্ধ খন্দকার। খোঁচা খোঁচা দাড়ি। মাঝারি গোঁফ। বয়স চব্বিশ কি পঁচিশ। উচ্চতা মধ্যম। গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যামবরণ। খাড়া নাক। টানা চোখ। মুক্তোর মতো সাদা ঝকঝকে দাঁত। হালকা গোলাপি ঠোঁট। চওড়া কপাল। চিকন...

বাংলা সাহিত্য

ঈর্ষা..

সাফল্যে বিচলিত অগনন বন্ধু সহচর দেখিবে তাদেরচিরচেনা হাসিমুখ কেমন            ম্লান হয়ে আসেদেখিবে পাছে তারাইপরাজয়ে তোমার নির্লিপ্ত বাঁকা হাসি হাসেঅথচ সাফল্যের পুষ্পমঞ্জরিই যদি আরাধ্য সবারতবে পায় কি সে নাগাল তাহার?ঈর্ষার এ এক বিরলতম যাদু!ঘুমাতে দেবে না তারেদেবে না হতে সুখী;এ এক...

উপন্যাস

পত্রোপন্যাস ।। গুহা (পর্ব- এক)

image.jpeg 102.01 KBবৃহস্পতিবার১১ মার্চ ২০১০ দুপুর দুইটা সাতত্রিশক্লাব রোড, পটুয়াখালি।হ্যালো শুভ্র...শুনছো?ক’দিন থেকে তোমার ফোন বন্ধ। ফেইসবুকেও পাচ্ছি না। ছ্যাঁকা খেয়ে চুপ করে আছো কিনা বুঝতে পারছি না। যতোদূর জানি—অনেক দিন থেকেই তোমার একটা ছ্যাঁকা খাওয়ার প্রক্রিয়া চলতেছিলো। সেই ছ্যাঁকার আগুন কি...

চিন্তা

শিশুকালের সেন্টিমেন্ট

বড়রা ভুলে যায়, শিশুরা ভুলে না। শিশুকাল বড় স্পর্শকাতর।  কবে অবহেলা করেছেন, কটাক্ষ করেছেন,মিথ্যা বলেছেন সব কিছুই মনে রাখে। শিশুরাও বড় হয়,সবকিছু ভুলে যায়। ভোলেনা কেবল শিশুকাল। শিশুদের স্নেহ করিও। ৩০ এপ্রিল ২০২৪

গল্প

জন্মকথা

হৃদ্য, অ হৃদ্য, কোথায় লুকিয়ে আছিস রে কামচোর? শুনতে কি পাস না? হারামজাদাটার কাণ্ড দেখো ত—শুনেও শুনে না! হে আল্লাহ্‌, এমন অপদার্থ সন্তান যেন কারও কপালে না জুটে। রাগে আগুনজ্বলা জ্বলছে আর গজগজ করে পালাক্রমে কথাগুলো বলে যাচ্ছে গৃহিণী নিনা...

গল্প

করিডোরে রাত

অনেকটা ঝোঁকের মাথায় হয়ত চলে এসেছিলাম শাহবাগ। প্রকৃতপক্ষে মনের যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়ার অবস্থা হয়ত ছিলনা তখন। অথবা প্রকৃতি নিজে নিখুঁত পরিকল্পনা করে আমাকে ডেকে এনেছিল। কে জানে! এতো ভণিতা করার অর্থ এই নয় যে আমি এখানে নতুন আসলাম। এটা আমার...

সৌবর্ণ বাঁধন

সৌবর্ণ বাঁধন

চাকুরিজীবি

গল্প

তবুও বিজয়

এই হতাশায় ঘেরা ধূসর জীবন কখনই সামিহার কাম্য ছিল না। কখনও সে ভাবতে পারেনি তার জীবন এত ছোট গন্ডিতে বন্দি হয়ে যাবে। ভার্সিটিতে ক্লাস করা তারপর বাসায় ফিরে নিজের রুমে টিভি, কম্পিউটার আর গল্পের বই নিয়ে পড়ে থাকা। এটাই হল...

গল্প

যে শহরে কেউ কখনো খুন হতে দেখে না

খুনটা যখন হয় আমি সেখানে ছিলাম। দেখে ফেলছি। খুনিদের চেহারা চোখের সামনে লটকে আছে। নাম কি? নাম জানি না, স্যার। তয়, নামে না হলেও মুখে চিনি। আপনার নাম জানতে চেয়েছি।হাফেজ বিন নূর। দাঁড়িও আছে দেখছি! না স্যার, খুনির দাঁড়ি ছিল না, স্পষ্ট মনে...

Mojaffor Hossain

Mojaffor Hossain

অনুবাদক, বাংলা একাডেমি

গল্প

একটি খুন ও সম্পর্ক

রুমি আহমেদ বার বার নোটটা পড়ার চেষ্টা করছে। ডাক্তারি লেখার মতো কেউ এভাবে চিরকুট দেয় নাকি আশ্চর্য। মনে মনে তার সবচেয়ে প্রিয় গালি “শু**র বাচ্চা* কয়েকবার বলে ফেললেন। তার মন চাচ্ছে চিরকুট লেখক কে ধরে তার কান কেটে দিতে। রুমি আহমেদ...

গল্প

আপন দেশে চলো

"বেলা গেলো, এইবার তোমার আপন দেশে চলো..."। এক নাগাড়ে কেউ গেয়ে যাচ্ছে। কর্কশ কন্ঠ।  কিন্তু তাল লয়ে কোন ব্যত্যয় নাই। মনে হচ্ছে ঠিক কানের পাশে বসে গাইছে কেউ।- কে?গান বন্ধ হয়ে গেলো। একটু পরে আবার শুরু হয়ে গেলো।- বেলা গেলো,...

গল্প

শেষযাত্রা

আমি সুইসাইড করেছি ৪ ঘন্টা আগে। ফ্যানের সাথে আমার লাশ এখনো ঝুলছে। রুমের দরজা বন্ধ করেছিলাম। তাই এখনো কেউ বুঝতে পারে নি এ রুমে কেউ মরে ঝুলে আছে। আমার অস্তিত্ব এখন বস্তুগত ও অবস্তুগত জগতের মাঝামাঝি। আমি আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনভাবে...

এইচ এম নাজমুল আলম

এইচ এম নাজমুল আলম

Lecturer, Department of English and Modern Languages, IUBAT

গল্প

কর্তী সংসার

মামা তোমার ভর্তা অনেক জোস হইছে, চিংড়ি ভাজা কি আছে, আরেকটু দাও। না মামা চিংড়ি শেষ। বলেই কড়াইয়ের ঢাকনা উঠিয়ে পিঠা দেখে আবার ঢাকনা লাগিয়ে রাখলো মনসুর।এত ভালো হয় ভর্তা গুলা আর এই  চিংড়িটাই শেষ হয়ে যায় কেনো তোমার, বেশি করে...

গল্প

সালিশ

১.বজলু মিয়া চেয়ারম্যান বাড়ির পুকুরঘাটে বসে আছে। চেয়ারম্যান আজিজ মোল্লা বেশ টাকাপয়সা খরচ করে ঘাটটি বাঁধিয়েছেন। বিদেশ থেকে আনা মার্বেল পাথর, দামী ইট দিয়ে ঘাটের সিড়ি বাঁধানো। দুপাশে বসার জায়গা বেশ প্রশস্ত। মাথার উপর রঙিন টিনের ছাউনি দেয়া। আজিজ মোল্লা...

এইচ এম নাজমুল আলম

এইচ এম নাজমুল আলম

Lecturer, Department of English and Modern Languages, IUBAT

গল্প

মিস্টিরিয়াস বিহেভিয়র

আমার প্রতি তার আচরণ কেমন যেন মিস্টেরিয়াস।আমি জানতাম না সে আমার নাম জানত। একদিন যখন আমাকে সে জিজ্ঞেস করে, "কি অবস্থা শাইয়ান?কেমন আছো?" আমি পুরা থ হয়ে যাই। আবার মাঝেমধ্যে আমাকে পাত্তাই দেয়না। দেখেও না দেখার ভান করে । ফেসবুক...

গল্প

কপি পেস্ট

১.-হ্যালো ভাইয়া, কেমন আছেন?-জ্বি ভালো আছি, আপনি?-আমিও ভালো আছি। ভাইয়া আপনার লেখা অনেক ভালো লাগে। আমি সব সময়ই পড়ি। -তাই নাকি! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে৷ -ভাইয়া, আপনি যদি কিছু মনে না করেন, আমি আপনার একটা লেখা নিতে চাই।-লেখা নিতে চান?-হ্যা, একটা অনলাইন ম্যাগাজিনে...

এইচ এম নাজমুল আলম

এইচ এম নাজমুল আলম

Lecturer, Department of English and Modern Languages, IUBAT

গল্প

যে গল্পের কোনো শেষ নেই

পরীবাগ থেকে টিউশন শেষ করে হলে ফিরছিল মতিন। কাটাবন সিগনালে এসে দাঁড়াতে হলো ওকে, রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম, মাথার ওপর তীব্র রোদ। রাস্তা ক্রস করে ওপারে যেতে হবে। পুলিশ বক্সের পাশে দাঁড়িয়ে সিগারেট জ্বালাতে না জ্বালাতেই পিছন থেকে ঘাড়ে হাত দিয়ে...

এইচ এম নাজমুল আলম

এইচ এম নাজমুল আলম

Lecturer, Department of English and Modern Languages, IUBAT

গল্প

গ্যাসের চুলা

"দোস্ত, মা মারা যাবার পর থেকে নিজের পছন্দমত খাবার রান্না করে খেতে পারি না। বাবা সব সময় চিৎকার চেঁচামেচি করে। তুই তো একা থাকিস-একটা গ্যাসের চুলা ম্যানেজ কর। আমি মাঝেমধ্যে তোর বাসায় গিয়ে রান্না করে খাব। না হয় তোর সাথে...

এইচ এম নাজমুল আলম

এইচ এম নাজমুল আলম

Lecturer, Department of English and Modern Languages, IUBAT

গল্প

পাশের সিটের যাত্রী

থিওরি অফ প্রোবাবিলিটি সব ক্ষেত্রে খেটে গেলেও দূরের যাত্রাপথে বাসে পাশের সিটে রূপসী কোন মেয়ের বসার ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হয় না৷ সারাজীবনে যতবার দূরের পথে যাত্রা করেছি কখনই আমার পাশের সিটে কোন সুন্দরী মেয়ে বসে নাই। উঠতি বয়সে বিষয়টি নিয়ে...

এইচ এম নাজমুল আলম

এইচ এম নাজমুল আলম

Lecturer, Department of English and Modern Languages, IUBAT

গল্প

ম্যানিকিন

 হাতের সিগারেটটা  মৃত কোন নগরীর মত ধ্বসে পড়ার আগ পর্যন্ত শাফিন শুনতেই পায়নি শৈলীর কোন কথা। যখন শুনল তখন বুঝল শৈলী বিয়ের কথা বলছিল। তারা দুজন বসেছিল শহরের সবচেয়ে সুন্দর জায়গায় গড়ে ওঠা সুন্দরতম বাণিজ্যিক এলাকায়। এখানে শপিং মল গুলো...

কবিতা

কবিরা প্রত্যাখাত হলে

মনে করো এক বিশাল স্বয়ম্বরা- এসেছে অনেক আমির ও শাহজাদা;সমুদয় সুখ তার হাতে দেবে ধরাতুমি যাকে দেবে প্রেমিকের মর্যাদা!অনেকে এনেছে দামী উপঢৌকন, কেউবা হীরক- কোহিনূর বংশীয়।আমি দীন কবি একজোড়া কঙ্কণএনেছি সেটাই হাসিমুখে হাতে দিও।শুনলাম কাল সারারাত ওই চোখকরেছে মেঘের অবৈতনিক কাজ;নিজের শহর...

Nafis Istiak Emon

Nafis Istiak Emon

কবিতায় কান পেতে বসে থাকা আমার অসুখ...

গল্প

ছোট গল্প - 'চমক'

বুকের ব্যাথাটা নতুন না। বুকের বাম পাশে ব্যাথা নেই, এমন পুরুষ আছে নাকি বাঙলায়? স্কুল জীবন থেকে শুরু করে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় আঙিনা। তারপরে বিয়েবাড়ি, পার্ক কিংবা ট্রেনের বগিতেও কতবার বুকের বামপাশটা মোচড়ে গেছে! কে গুনে রাখে সেই হিসাব? তবুও এই...

গল্প

পীড়ন।

এক বছর পরে আবার তোমাকে দেখলাম অপেক্ষার বেঞ্চে। অনেক সুন্দর লাগছিল তোমায়। ঠিক আগের মত। মানুষ বলে, সময়ের ছাপ চামড়ায় পরে তবে তোমার পরেনি। যেমন গতবছর ছিল এখনও তেমনই। চেহারা জুড়ে প্রাণবন্ত সে ভাব, ডাগর ডাগর চোখে হালকা কাজল, কপালে...

বাংলা সাহিত্য

হ্যালুসিনেশন

১-ধরা যাক, হ্যালুসিনেশনের মেয়েটির কাল্পনিক নাম মেহেনাজ।মেয়েটি আমাকে কপালে চুমু খেয়ে বুকের সাথে এমনভাবে জড়িয়ে ধরেছিলো;আমার মনে পড়ে গেল শৈশবের কথা;আর অতিঅবশ্যই মক্তবের ঋনা।ঋণা এভাবেই সিপারাকে চুমু খেয়েবুকের সাথে জড়িয়ে ধরে রাখতো।আমাকে চুমু খেয়ে মেহেনাজ বললো—কবি! আমার কন্যারা আপনার মতো মায়াবী হোক!২-আমাকে...

পোস্ট

Adhaar

সেদিন বৃষ্টি হয়ে ভিজিয়ে দিয়েছিল সব।ভিজে গিয়েছিল মন, হৃদয়...ভিজে গিয়েছিল চোখ।হয়ে ছিলাম যেন নিস্তব্ধ এক অবয়ব।একফালি রোদের আশায় দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি।তুমি সেই রোদ হয়ে দেখা দিবে না জানি।আমি অবাক চোখে তাকিয়ে রয়েছি সেথায়।যেথায় আলো আসে বাধা পেরিয়ে, নিস্তব্ধ হৃদয় ডিঙিয়ে,...

গল্প

রুচিতা

রুচিতাকে প্রথম দেখি গু খাওয়া অবস্থায়। দেখেই প্রেমে পড়ে যাই। গু খাওয়াকে কেন্দ্র করে এত আহামরি প্রেম হয়ে যাবে, কে জানতো! অবশ্যে প্রেমে পড়ার কোন নির্দিষ্ট সংবিধান নেই। থাকলে সেখানে নাহয় লিখে দিতাম, যেসব মেয়েরা সুন্দর করে গু খেতে পারে,...

গল্প

মুহুর্ত

অণুর রাস্তায় পড়ে থাকা নিথর দেহের খবরটি বাতাসের গতির মতো প্রায় সবার কাছেই ছড়িয়ে পড়েছে। রাফায়েত ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানায় শুয়ে ছিল। রাফায়েতের মা নীলা বেগম খবরটি শুনতে পেয়ে খুবই বিস্মিত ও হতবাক হয়েছেন। তিনি খবরটি শুনেই রাফায়েতকে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ডেকে...

গল্প

যমজ রাজা

(১)মধ্যপাড়ার ঠিক মাঝ বরাবর আর সব বাড়ি থেকে তফাতে দাঁড়িয়ে দুইটি বাড়ি, অনেকটা যমজের মতো শরীরে শরীর লাগিয়ে। দুটোই পাকিস্তান আমলের লালরঙ্গা ইটে গড়া। পার্থক্য এই যে একটা নিয়মিত যত্নে রাজকীয় সুন্দরীর মতো পুরাতনের আভিজাত্য নিয়ে বাঁকা চোখে ঠায় দাঁড়িয়ে...

সৌবর্ণ বাঁধন

সৌবর্ণ বাঁধন

চাকুরিজীবি

আলো আধার

আলো এবং অন্ধকারের কি দারুণ মিল তাই না? এই আলো এবং অন্ধকারকে আমি একে অপরের পরিপূরক বলি। শুধু এর রঙের জন্য নয়। অন্ধকার যদি না থাকতো তবে কি আমরা আলোর মর্ম বুঝতে পারতাম কখনো? ঠিক একইভাবে চিন্তা করলে আলো না থাকলে...

গল্প

ঈদ নামা

খুব ব্যস্ত সময় পার করছে রাশেদ। অফিসে দম ফেলবার ফুরসত নেই। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন পার্টির সাথে, বায়ারদের সাথে, বসের সাথে পাঁচ-ছয়টা করে মিটিং, ওয়েব সেশন, ক্লায়েন্ট হ্যান্ডেল আর রেগুলার কাজতো আছেই। পাশাপাশি দিনের মধ্যে অন্তত দুইবার তার বউ...

চিন্তা

নিজেদের প্রতি—

নিজ দ্বারা জগতের সব মঙ্গলসাধন সম্ভব, এমন মতবাদে আস্থা রাখি। কারণ, চিরকাল আমরা নিজের কাছেই ফিরে এসে জগতের যাবতীয় সকল কার্যসাধন করে থাকি। নিজের অনুরাগে অন্যের অনুরাগী হয়ে বেঁচে থাকা সুন্দর।সক্রেটিসের নিজেকে জানার গভীরত্ব নিয়ে আমরা যত বেশী ভাবি, ঠিক...

ফিকশন

প্রিয় দর্শন।

কয়েকদিন পর আবারও আসলাম তাঁকে দেখতে। এখন তো আসলেই তার ঘরে ঢুকতে পারি না। নিরাপত্তা মহড়া কড়া। অনুমতি ছাড়া তার ঘরে ঢোকা অনৈতিক, তা আমি জানি। কিন্তু কী, কতকাল দেখি না। তাঁকে না দেখলে যে, দিন পূর্ণ হয় না। এই...

গল্প

এক দিন শীতের সকালে

এক নতুন ভোর। গ্রাম্য পরিবেশ। হীমময় কুয়াশাচ্ছন্ন প্রভাত। চারিদিকে সুমসাম পরিবেশ।  সকাল বেলা এক জায়গায়তে যেতেই হবে।  না গিয়ে উপায় নেই। তবে ঘুম থেকে উঠার কোনো ইচ্ছে নেই। যতক্ষণ না আম্মু ডেকে তুলবে,  ততক্ষন আমি উঠবো না। এই ঠান্ডায় উঠে মারা...

গল্প

মানুষ এবং একজোড়া উড়ন্ত পক্ষী

 শাহজাহানপুর কলোনির রঙ ওঠা হলুদ স্যাঁতস্যাঁতে দালান এর নিচে গজানো গাছগুলোর ছায়া দুপুরের চটচটে রোদেও কেমন ভেজা ভেজা মনে হয়।এবং দালানের নিচেই রাস্তার পাশে একটা চেয়ারে রমিজুলকে স্থির গ্রীক ভাস্কর্যের মতোই দেখা যায়। তার চোখ এবং স্থির অবয়বের দিকে তাকালে আমাদের...

চিন্তা

ভালোবাসা

ভালোবাসা তুমি বৃষ্টিস্নাত দিনের মতন...কারো কাছে রঙধনুর ন্যায় উজ্জ্বল, কারোর কাছে কঠোর বজ্রের মতন। কারো কাছে পাহাড় সমান বিশাল তুমি,কারোর কাছে সূক্ষ্ম সুচের মতন। ভালোবাসা তুমি রৌদ্রজ্বল দিনের মতন,কারো কাছে আনন্দের নাম তুমি, কারোর কাছে বিষাদের মতন।ভালোবাসা তুমি শৈশবের মতন,কারো কাছে তুমি খেলা মাত্র,কারো...

চিন্তা

কবিতার ঘর—গৃহস্থালি

কবিতার ঘর—গৃহস্থালিআজিম হিয়াকবির বেদনাবিদ্ধ হৃদয় কবিতায় জন্মভূমি। আদি কবি বাল্মীকি একদিন মিলনরত ক্রৌঞ্চ পাখির একটিকে শিকারি কর্তৃক তীরবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যেতে দেখলেন। অন্য পাখিটি তখন সাথি বিয়োগে কাঁদছিলো। এই দৃশ্যটি কবির হৃদয়কে শোকাহত করেছিলো। আর এই বেদনাবিদ্ধ হৃদয় থেকেই...

Azim Hiya

Azim Hiya

লেখালেখি (কবিতা, গান, গল্প)

গল্প

আমার বন্ধু চ্যাটজিপিটি

সৌমী যখন মেরিন একাডমিতে ছিল, নিয়ম কইরা দিছিলো সপ্তাহে যেন একটা কইরা চিঠি ওর ঠিকানায় যায়। ও নিজেও পাঠাইতো আমারে। কী লিখতাম আমরা? নতুন কোন সিনেমা দেখলাম কি? রবার্ট প্যাটিনসনের উপর কি এখনো ক্রাশ আছে আমার? চাপা ভাঙা এই পোলা’র উপ্রে...

কবিতা

দশটি কবিতা

করপোরেট এমন নুয়ে গেছিজ্বলছে ছিন্ন পারাপার, শুয়ে গেছি ঘাসে...অথচ নিষ্পাপ, প্রখর জেল্লায়গেয়ে যাচ্ছিলাম নদী।বর্ণে স্বৈরতা ছিলপথের পতাকায় উঁচু ছিল সন্ধ্যের ধূপবিছানাবন্দি অক্ষরে স্নান শেষেপুড়ে উঠতো পরাণ, ইচ্ছে হতো যদি—আহারে—এমন ভেঙে যাচ্ছিফুলেল গৌরবে ভাসিয়ে নিচ্ছি বৈরীতা।অন্য সময় চশমা ছিলবুদ্‌বুদ ফুটতো চোখেনা...

প্রবন্ধ

সংস্কৃতি ও সদাচার

সাধারণ একজন বাঙালিকে যদি প্রশ্ন করা হয়, সংস্কৃতি কী? তিনি সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেবেন, নাচ-গান-নাটক-সিনেমা-থিয়েটার-যাত্রাপালা প্রভৃতি হচ্ছে সংস্কৃতি। সাধারণত তিনি সংস্কৃতি বলতে এগুলোকেই বোঝেন। অনেক শিক্ষিত বাঙালির কাছেও সংস্কৃতির এই মর্মার্থ। আসলে কি তাই? সংস্কৃতি কেবল এসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ? মোটেই না।...

উপন্যাস

স্মৃতিময় শৈশব কৈশোর

ভোর বেলা সূর্য লাল রশ্মি ছড়ায়। শীতের কুয়াশাকে ভেদ করে বাহির হলাম। দেখি সবুজ ঘাসের উপর শিশিরের দানা, মুক্তার মতো ঝলমল করছে। স্রষ্টা নিপুন হাতে সাজিয়েছে প্রকৃতি। প্রকৃতি মাঝে মাঝে স্মরণ করিয়ে দেয় শৈশবের সোনালী জীবনের কথা। বিলের জলে পদ্ম...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (১)

১ ‘সুবাহানাল্লাহ ওয়ালহামদুলিল্লাহ          লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’                   রাব্বানা রাব্বানা          ডাকায়ও অসংখ্য ভুল চাই গো ক্ষমা।  রাহিম-রহমান তুমি অতি দয়ালু          আমার ভুলপারে দিয়েছ মুহাম্মদু॥  ‘আল্লাহুম্মা ছাল্লিআলা ছায়্যিদিনা          মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ’                   প্রার্থনা প্রার্থনা          গুনাগারে এতটুকু করো ওগো দয়া।  তুমি ছাড়া নেই গতি এ আমার          কবুল কর বান্দার তওবা নছুহার॥  ‘রাব্বিগফিরলি...

গল্প

পর্দা

পর্দা নেমে গেল।ব্যান্ড আর্টসেল স্টেজ থেকে নেমে আসছে চারিদিকে সবাই চিতকার করতেছে ওয়ান মোর ওয়ান মোর বলে বলে।কেউ আবার বলছে “এথ খম ঘান খরে ছলে যাচ্ছে যে”।জী আমি চিটাগাং এ আছি আপাততঃ এখানে আর্টসেল কন্সার্ট করতে এসেছে।আর পর্দার কথাটা আমি...

পোস্ট

সহজ ও সঠিক পদ্ধতিতে জমির পরিমাপ।

সঠিক পদ্ধতিতে জমি না মাপলে জমি কেনার সময় আপনার ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ নিশ্চিত৷ হতে পারে আপনি জমির দাম দিলেন ২০ কাঠার, খাতাকলমে লেখাও আছে ২০ কাঠা কিন্তু একচুয়ালি আপনার জমিটা ২০ কাঠার চেয়ে কম আছে৷ জমির হিসাব দেখলেন সেটাও গানিতিক হিসাবে...

গল্প

হন্তারকের মন

নাম তার সানোয়ার। ছেনি দিয়ে মানুষ মারে, তাই লোকে বলে ছেইন্না। কেউ নাম জিজ্ঞেস করলে সে বলে সানু। আর লেখার সময় লেখে ছানু। লিখতে কেবল নিজের নামটাই শিখেছে, আর কিছু না। অবশ্য আর কিছু লেখার দরকারও হয় না। পড়ারও না।...

প্রবন্ধ

বাঙালি লেখকের জীবিকা সম্পর্কে দড়াটানা ঘাটের আলাপ

একজন লেখক প্রথমত একজন ভালো পাঠক। ফলে একজন লেখকের থাকে প্রয়োজনীয় কিছু বই, যা তিনি বারবার পড়েন, পড়ে আত্মস্থ করেন, সমর্পিত হন সেই বইটির কাছে। আর সেটা ঘটে নির্ধারিত কোনো বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য, কখনো ভালো লাগার কারণে কিংবা কোনোকিছু...

MOSTAFA AUVI

MOSTAFA AUVI

ব্যাংক কর্মকর্তা

গল্প

খুচুর খুচুর জ্বর

ম'সাহেবের মাথাটা কেমন যেন ভারভার লাগছে, নিঃশ্বাস নিতে কেমন যেন গরম গরম লাগছে। অবশ্য এমনিতেই মারাত্মক গরম। কিন্তু তার বিছানা ছাড়তে ইচ্ছা করছে না। তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় আরো কিছুক্ষণ পড়ে থাকলেন। ঘড়িতে দেখলেন ১০:১৫ মত বাজে৷ একটা স্বর্ণপাতা ধরিয়ে তার স্বাদ...

ফিকশন

ফিলিস্তিনি

ফিলিস্তিন ফিলিস্তিনআমরা আছি তোমাদের সাথেকেদোঁ নাকো আর গভীর রাতেজয়ের মাল‍্য স্রষ্টার হাতেপরাবে তোমাদের গলায়হয়তো বা শেষ বেলায়ছিনিয়ে নেওয়া অধিকারফিরতে নেই দেরি আরফিলিস্তিন ফিলিস্তিন যুদ্ধে তোমরা অস্ত্রহীন ঘনিয়ে আসছে শোভ দিনঈমানের বলে বলিয়ান হারাতে দেব না রাসূলের সম্মান দিতে হয় যুদ্ধে দেব প্রান ওদের ঐ নিষ্ঠুর...

গল্প

হ‍্যালোসিনেশন

ছেলেদের সাথে কথা বলা তো দূরের কথা তাকানোটাই মহাপাপ।সে জন‍্য স্কুল জীবনে প্রেম এলো না। স্কূল পেড়িয়ে কলেজ। আবার কি মহিলা কলেজ। কঠোর আচরণে বা রুক্ষ আচরণে কেউ কথা বলার সাহস পেত না। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর ঠিকমতো ক্লাস করি।...

গল্প

লেখক রুমানা

এই ঢাকা শহরে কিছুতেই আশাবাদী হওয়া যায় না। তবু কোন না কোন ফুল ফুটে ওঠে। তবু কোন কোন দিন এমন মানুষের সাথে দেখা হয় যে, মনে হয় কিছু একটা ঘটতে চলেছে। ১।ভদ্রমহিলার সাথে পরিচয় ডিবি অফিসে। ডিবি’র কর্মকর্তা আরিফ আমার ছোট...

ফিকশন

বজ্রতটের কিংবদন্তী

             ।।বজ্রতটের কিংবদন্তী।।বজ্রতট। জান্তবদের সর্ববৃহৎ বসতি। আজকে জান্তবরাজ মেঘপ্রাসাদে মহাপ্রতিনিধিদের তলব করেছে। কারণ জানা নেই কারও।বসতিতে নানান গুজব রটে গেছে ইতোমধ্যে। কেউ কেউ বলাবলি করছে পশ্চিমের গজব আবার এলো বলে! স্থানীয় নেতারা জোয়ানদের অস্ত্র হাতে...

ফিকশন

অপ্রস্তুত মুক্তি।

বরাবরের মত আজও হাঁটতে বের হলাম। জানুয়ারির শুরু এটা। আয়োজন করে শীত নামছে। ব্যক্তি দস্তুর পার হয়ে শীতলতা ছড়িয়ে পড়েছে পরিশ্রমী মানুষের চায়ের ব্রেকে। চায়ের ধোঁয়া কুয়াশায় মিশে একাকার ধারণ করছে। স্টলের পাশেই নির্মাণাধীন বহুতল বিলাসী ভবন। গেটের কাছের বিল বোর্ডে...

গল্প

খুঁটি নিয়ে খুঁটিনাটি

বর্তমানে সবই চলছে খুটির জোরে ।কেমন ? যেমনআপনার কথাই ধরুন এখন যে চেয়ার টাতে বা বেডে শুয়ে এই লেখাটা পড়ছেন সেটাও খুঁটির জোরে দাঁড়িয়ে আছে মানে এটাও খুঁটির উপর নির্ভরশীল । চেয়ারের চার পায়া)আপনি এখন যদি চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ান...

চিন্তা

মুখস্ত বুলির ঠিকুজি : উন্নত বিশ্বের আলোকে

উন্নত দেশের পড়াশোনায় মুখস্থের কোন ভূমিকা নাই,  এমন একটা ভুল ধারণায় ভুগছে পুরো বাংলাদেশ.   অথচ  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার জন্য যে Gre / Sat পরীক্ষাসমূহে বসতে হয়,  সেগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কঠিন এবং বিদঘুটে শব্দের ব্যবহার জানা.অতঃপর এই...

কবিতা

দ্রোহের নামতা

আমি ইতিহাস হতে চাইনা,ইতিহাস মুছে দিতে চাই।আজন্ম অন্ধ গোলামির ইতিহাস বেজন্মা পরগাছার নির্লজ্জ ইতিহাস পরাজিত পরজীবীর পুনরুত্থানের ইতিহাসঅমূল্য অর্জনকে নর্দমায় ছুঁড়ে ফেলার ইতিহাসআর সমস্ত ইতিহাস বিকৃতির ইতিহাস আমি মুছে দিতে চাই।আমি মুছে দিতে চাই বহুমুখী সাপের লোভনীয় আশ্বাস প্রতারনা, ভাঁড়ামি আর ভণ্ডামির ঘৃণ্য ইতিহাস পূঁজির আগুনে...

গল্প

মৃত্যু

"সাঁতার জানি না, তবু পানিতে ডুবে মরার ভয় কোনোদিন করিনি। একভাবে না একভাবে তো মরবই, পানিতে ডুবলে কী আর হবে, কয়েক মিনিটই তো কষ্ট, তারপর শেষ। ভয় পেয়ে  লাভ কী? লাইফ জ্যাকেট ছাড়া ইচ্ছামত নৌকায় ঘুরেছি। ভাঙাচোরা, ফিটনেসবিহীন স্পিডবোটে মূল...

কাজী আফসানা

কাজী আফসানা

লেখক, অনুবাদক

চিন্তা

আমরা কেন বই পড়ি না?

জ্ঞান অর্জন অনেক কঠিন। কারণ— জ্ঞানের জার্নিতে শুরুতেই একজনকে, তার ভেতরে থাকা অহংবোধ ও হীনমন্যতাকে বিসর্জন দিতে হয়। কেননা নিজের মধ্যে গেঁড়ে বসা অহংবোধ মানুষকে মিথ্যা সান্ত্বনা দেয়, মস্তিষ্কের চারপাশে ফলস পাণ্ডিত্যের দেয়াল খাড়া করে। এ ফলস দেয়ালের প্রভাবে ব্যক্তি...

গল্প

নন্দ ঘোষ

দারোগা সাহেব আমাকে এরেস্ট করুন । কেন ?আমার বাড়ি কাল রাতে চুরি হয়েছে । সব দোষ আমারই । চোর সম্পূর্ণ নির্দোষ , তার চরিত্র ফুলের মত পবিত্র । আপনার দোষ মানে ? ফাইজলামি করেন ?হ্যাঁ আমার বাড়িতে একটা দামী ফ্রিজ, টিভি আরও...

চিন্তা

আমার সবকিছু নিয়ে নাও

একদিন কাক ডাকা দুপুরে, যনকোলাহলের গলে যাওয়া পিচ ঢালা রাস্তায় চিৎকার করে বললামএই শহরে আজই আমার শেষ দিন,আমার যা কিছু আছে দেহে সবকিছু নিয়ে যাও,চার চাকায় বসা এক গুরুত্বপূর্ণ লোক ওয়াক করে থু থু মেরে চলে গেলো।ট্রাফিক পুলিশ কিছুক্ষন ধুম...

নন ফিকশন

শীতের প্রাচুর্য

       চারিদিকে গুঞ্জন, শীতের আগমন। আকাশে উঠেনি সূর্য, শীতের প্রাচুর্য। ঠান্ডা হাতে, কনকনে শীতে,লাগে শিহরণ। শীতের পিঠাই, খেজুর রসের মিঠাই, মনের চাহিদা মেটায়। ঠান্ডা সরোবর, ডুবদিতে ভয় হয়তারপর গ্রামের ছেলেরা করে নেয় জয় ঘাসের অগ্রভাগে জমে থাকে শিশির কণা প্রচুর শীতে জামাহীন গামছা গায়ে কৃষক ছেলে একলাই লাঙল নিয়ে...

নন ফিকশন

সংগ্রাম

আমাদের চোখে জ্বলে উঠুক অন‍্যায় ধ্বংসের অগ্নি।বিপদকে ভয় না করি, বিপদ যেনো আমায় ভয় করে। অত‍্যাচারী পাপীষ্ঠের হাত দেব ভেঙ্গে সংগ্রামী চেতনায় উঠব জেগে। দুই হাতে আর নয় সজ্জিত চুরি অন‍্যায় পতনের অস্ত্র নেব হাতে তুলি।যাদের পাষান্ড হাতে নির্যাতীত আমাদের মা-বোন।ওদের বিনাস হবে, এসেগেছে...

নন ফিকশন

সেই মেয়েটি

সেই মেয়েটিতার অপলক চাওনিতে প্রকৃতি শিহরায়।হাসিতে বাতাসে বেলী ফুলের  সুগন্ধ ছড়ায়।দোতলা বাসের জানালার ধারে বসে।দমকা হাওয়া  এসে তার অমলিন চুলে ঢেউ তুলে।রূপেতে অনন্যা।ঝরা বকুলের মতো ওর কান্না।সে আমার বোন সুকন‍্যা।          সমাপ্তি 

কবিতা

ঋণ

মন খারাপের রাতে,করুণ সুরে যে গান— আমি গেয়ে যাই;বিরামহীন ভাবে। সে গানেই তুমি জেগে থাকো, বেঁচে থাকো। গানে গানেই বলছি, শোনো—থেকে যাও তুমিআর কভু ফিরে না যাওয়ার উদ্দেশ্যে।যে করুণা করেছো তুমিদুঃসময়ে মোর,এ ঋণ শোধিবো কেবল তোমাকে ভালোবেসে।

গল্প

নিশুতি।

এখন ঘরের দরজা বন্ধই থাকে। কিছুদিনের পরিশ্রমেই সে সবার থেকে আলাদা হয়ে গেছে। এখন আর করো সাথে মন খুলে কথা বলে না বা বলা চলে কথাই  বলে না। দিত্বীয় পদক্ষেপ হল, তাকে আমার দলে পোক্ত অবস্থান প্রদান করা। ফলে তার...

গল্প

চোখ

অফিস শেষে মিরপুর লিংক বাসে ধানমন্ডি থেকে মিরপুর ১২ ফিরছিলাম। সারাদিন অফিসে খাটুনির পর অনেক ক্লান্ত লাগছে। ঘুমে চোখ টুলুটুলু। প্রচণ্ড মাথা ব্যথা করছে। বুঝতে পারলাম ইদানীংকালে নিয়মিত রাতে ঘুম না হওয়ার ফল পেতে শুরু করেছি। কোনো ক্রমেই মাথাকে কথা...

গল্প

অমোঘ নিয়তি

যাত্রী নামিয়ে ফাঁকা রিকশা নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে ফিরছিল তমিজ মিয়া, উদ্দেশ্য পুনরায় যাত্রী পাওয়া। রিকশা চালানোর জন্য রাতের বেলাই পছন্দ তার। একদিকে গরম কম অন্যদিকে রাতের বেলার যাত্রীদের অন্যরকম একটা তাড়া থাকে, তাই তারা ভাড়া নিয়ে খুব একটা গ্যাঞ্জাম করেনা। একটা মিনিট্রাক...

ফিকশন

বজ্রতটের কিংবদন্তী (পর্ব-২)

               ।।বজ্রতটের কিংবদন্তী।।                           (পর্ব-২)                    ।।প্রাচীন সঙ্ঘ।।মহিআবির্ভাব ঘটবেই। ধরিত্রীর ভারসাম্য রক্ষা করতে মহাআবির্ভাব ঘটতেই হবে।ধরিত্রীর...

চিন্তা

নিজেই করুন নিজের বাড়ির প্লান

একটা স্বপ্নের নীড় । একটা নিজের বাড়ি করার শখ সবারই আছে ।বাড়িটা যেন শুধু মাত্র মাথা গোজার স্থান না হয়ে হতে পারে একটা সৃজনশীল শিল্প কর্ম ।বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে প্লান করিয়ে অনেকেই বাড়ি করছেন ।প্লান করে বাড়ি করা অবশ্যই ভাল...

কবিতা

বিরল নর্তকী

বিরল নর্তকীবাঁশের সাঁকোতে ছিল             তাঁহার আখ্যানপান্থশালা থেকে তিনি            নিত্য চলে যানফিরে ফিরে চাই যদি              আমরা তখনঘটে যায় চারিদিকে             ...

গল্প

বদনজর

একটা সাধারণ কুসংস্কার একটা জাতিকে একশ বছর পিছিয়ে দিতে পারে।আচ্ছা কুসংস্কারের শুরু কীভাবে হয়? হাত থেকে চিরুনি পড়ে গেলে ঘরে মেহমান আসবে, অমুকে আমার লাউ গাছে নজর দিয়েছে তাই গাছে লাউ হচ্ছে না, দাঁত পড়া স্বপ্নে দেখলে কাছের মানুষ মারা...

কাজী আফসানা

কাজী আফসানা

লেখক, অনুবাদক

কবিতা

সন্ধান

সন্ধান— অর্ণব মিত্র আড়ালের পারাবারে পড়েনাকো চোখ,জাগেনা সেখানে ঢেউ।নির্জনে পড়ে থাকা কথা মালিকা,গলেতে পরেনা কেউ। একলা নাবিকের তরী বাওয়া তবু,নিশ্চুপে গাওয়া গান।একটু আসন দিওগো তারে,রাখিও গাঁথিয়া প্রাণ৷ পথ মাঝে ঝড়ে পড়া কুসুমের মতো,ছড়ায়ে থাকে মম শব্দ যত,কে দেবে তাহারে মান। কে তারে কবে লইবে...

অর্ণব মিত্র

অর্ণব মিত্র

শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

কবিতা

দুঃস্বপ্নের পর

কোমল ঘুমের পর হয়তো যত্নে ভরা-বাহুতে ভাঙে তোমার ঘুম!বীভৎস, বিদঘুটে-নির্মম ভয়ানক দুঃস্বপ্নের পরকেবল তোমাকে ভেবেই; কল্পনায় চোখের সামনেতোমাকে দ্যাখেই কেটে যায় রাত নির্ঘুম।ঘুম ভাঙলেই হয়তো পাশ-ফিরেপ্রিয় মুখ দ্যাখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে,হাস্যোজ্জ্বল মেজাজে বিছানা ছেড়ে দাঁড়িয়ে যাও-নানান ভঙ্গিমায় নিজেকে হাজির করো।সুখ...

গল্প

উত্তাপ

সকালে হাঁটা আমার দীর্ঘদিনের অভ্যাস। পার্কে তাই রোজ আসি। এখানে এখন অনেক পরিচিত মুখ। দুয়েকজনের সঙ্গে হৃদ্যতাও তৈরি হয়েছে। তেমনই একজন হলেন পার্থ চৌধুরী। বয়স আমার কাছাকাছি। সত্তরের কোটায়। গল্পবাজ একজন লোক। তার সঙ্গে সময়টা দারুণ কাটে।রোদের বড় তেজ আজ।...

পোস্ট

মুক্তা পানি আমাদের পানি ।

মুক্তা পানি আমাদের পানি ।আমরা অনেকেই জানি না, বাংলাদেশের একটি সরকারি ড্রিংকিং ওয়াটার কারখানা আছে। হ্যাঁ এ পানির নাম মুক্তা।এটি গাজীপুরে অবস্থিত, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়। এর বিশেষত্ব হল, এ কারখানা সম্পূর্ণরূপে প্রতিবন্ধীদের দ্বারা চলে। কোন স্বাভাবিক, সুস্থ মানুষকে...

বাংলা সাহিত্য

কী সুন্দর মিথ্যাগুলো- মাছ ও কাজলাক্ষী

বসে আছি চর্যাপদের আলোয়, সম্মুখে আধো চেনা,  আধো অচেনা দৃশ্য। মনে পড়ে মনে পড়ে-না এমন জায়গা। বৃষ্টি হয়েছে মূর্ছিত মাছের মতো। আকাশে মেঘ-মেদুর দৃশ্যের মাঝে বৃষ্টির করতালি। দূর আকাশে শৈশবের হারানো আধুলি ডাকে। আমি দেখি আমার পাশে তিলোত্তমা বৃষ্টির মতোই...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (২)

৬ বিশ্বসৃষ্টির স্রষ্টা তুমিই এক জন তোমার পায়ে মাথা নত সর্বক্ষণ।          বলে অনেকে তুমি নাকি নেই          বুঝি না বলে তারা কোন যুক্তিতে আমি তো দেখছি হাজার নিদর্শন! বিশ্বসৃষ্টির স্রষ্টা তুমিই এক জন॥  দেখা যদি দিতেও তুমি চাক্ষুষ বিশ্বাস হতো না—আমি যে মানুষ।          কোরান পুরাণ গীতা বাইবেলে         ...

ফিকশন

নিকোটিন।

এপরিবারে এখন ঝামেলা হওয়াটা নিত্য। ক্যাচক্যাচ ম্যাচম্যাচ লেগেই থাকে। ছোট ছোট বিষয় নিয়ে বিরাট ঝামেলা। বড় বড় বিষয় নিয়ে আবার নীরবতা। যেন তা অগ্রাহ্য বিষয়।সব ছেঁটে ফেলে বের হলাম নিকোটিনের খোঁজে। এলাকায় আবার আমার খোলস অনাবিল। মুখে হাঁসি, স্বভাবে স্থিরতা,...

সমালোচনা

কবি সীমান্ত হেলালের মাটির মদিরা; বিষণ্ণসুন্দরের কথা

সমকালীন তরুণদের কবিতা কিছু হচ্ছে না এটা অনেকদিন থেকেই শুনছি। যদিও যিনি বা যারা বলছেন তাদের জাপটে ধরলে ঠিক করে সময়ের কোনো তরুণ কবির নাম পর্যন্ত বলতে পারেন না। কিন্তু ডিসিশান দেয়ার সময় পুরো ডিসিশানটাই দিয়ে দেন। সেরকম একটা ডিসিশান...

প্রবন্ধ

বিসিএস এর দেশে

স্যার মহা ঝামেলায় পড়লাম দেখছি, একটা ৪ তলা বাড়ি করবো কোন ভালো ইঞ্জিনিয়ার পাই না। ধূর মিয়া তুমি আছো ৪ তলা বাড়ি নিয়ে আমি যে ৬ তলা একটা বাড়ি করতে চাইছিলাম সেটার সয়েলটেষ্ট এর কাজই আজ পর্যন্ত শেষ করতে পারলাম না।কেন...

বাংলা সাহিত্য

চন্দ্রভুক এর পেছনের গল্প

আমার সহজাত একধরনের  মুগ্ধতা কাজ করে ভাস্কর্য কিংবা পেইন্টিং এর প্রতি। এঞ্জেলো আর বার্নিনির কাজগুলো আমি বারবার সার্চ দিয়ে দেখি নেটে। এঞ্জেলো নিজে অসংখ্য নিখুঁত সৃষ্টির স্রষ্টা হলেও তার নিজের নাকে ডিসফিগারেশন ছিল। শৈশবের আঘাতের চিহ্ন তার সারাজীবনের খুঁত হয়েছিল।...

বাংলা সাহিত্য

আশ্বিনের পূর্ণিমা অথোবা বহতা নদীর স্রোত

কবিতা সবকিছু ছোঁয় না, সবকিছু এসে কবিতাকে ছুঁয়ে যায়।সবকিছু নিয়ে কেন ছড়া লিখতে হবে?  অনেকে যা-তা নিয়ে  দেদারসে বিস্তর ছড়া লিখে যাচ্ছেন। ওসব নিয়ে ছড়া লেখা উচিত? ইদানিং কিছু ছড়াকার ছড়ার ভিতর মানে- এমন  সব শব্দ ব্যবহার করেন...  মানে কি- ...

রুদ্র সুশান্ত

রুদ্র সুশান্ত

সাহিত্য পড়ি

বাংলা সাহিত্য

'বহ্নিলতা' এক বনকন্যার আখ্যান

‘বহ্নিলতা’-এক বনকন্যার আখ্যান-সাদিয়া সুলতানাকথাসাহিত্যিক অমর মিত্রের উপন্যাস ‘বহ্নিলতা’ এক বনকন্যার আখ্যান। যে কন্যা শহরের মানুষকে নিমকূট পাহাড় দেখায়, যে পাহাড় ঝড়ে উড়ে যায়, পাহাড়ের গায়ের নিমগাছও উড়ে যায় আর ভবঘুরে গাছেরা ঘুরে ঘুরে বেড়ায়। সুশান্ত আর বহ্নিশিখা সেই কন্যার নাম...

গল্প

থালা

থালাসারাক্ষণ এত ভাত ভাত করেন ক্যান? এক পা কবরে গেছে গা, কণ্ঠার মধ্যে রুহু আটকাইয়া আছে , এখনো জিব্বা সামলাইতে পারেন না, ভাতও চান লগে মাছ গোস্তো ও চান? দিন রাইত খালি খাই খাই। কথাগুলো শুনে হাতের উল্টো পিঠে চোখ মুছে...

কবিতা

আমার উপরে উঠা

আমাকে একেবারেই তলে থেকে উপরে উঠতে হচ্ছেএকারণে আমার সাথে সবারই দেখা হয়ে যাচ্ছেসবারই কিছু না কিছু কূটকৌশল থাকে তাদেরকেও দুই হাতে সামলাতে হচ্ছেতারা খুবই বদমেজাজী, একটু উনিশ বিশ হলেইআবার কাত করে আমায় তলায় ফেলে দিতে পারেফলে, তাদের রাগাই নাকারো কানের কাছে...

ফিকশন

লেয়ার রঙ্গ

ফটোশপ বা অটোক্যাডে লেয়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।সারাদিন লেয়ার নিয়ে কম্পিউটার এ কাজ করা সেইসব লেয়ারবিদ বাস্তব জীবনে কেমন হতে পারে আসুন দেখি ( পড়ি)images-9-1.jpeg 38.61 KBফাস্টফুডের দোকানেভাই আপনাদের ফ্রাইড চিকেনের সবই ভালো বাট উপরের লোয়ারগুলো আর একটু মোটা আর ক্রিস্পি...

গল্প

আজব আয়না

গল্প / আজব আয়নাজালাল উদ্দিন লস্কর কিছুদিন ধরে অদ্ভুত এক অসুখ করেছে সামিউল আলম সাহেবের।অনেক চেষ্টা করেও রাতে কিছুতেই দুচোখ এক করতে পারেন না।প্রথম প্রথম বিষয়টিকে পাত্তা দিতে না চাইলেও ক্রমাগত অনিদ্রায় তার শরীর শুকাতে শুরু করেছে।চোখ কোটরাগত হয়ে গেছে।বিষয়টি সামিউল...

প্রবন্ধ

শিশুদের সামাজিক করার দায়িত্ব কার?

দীর্ঘদিনের টিউশনির অভিজ্ঞায় দেখেছি, স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সামাজিকীকরণে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। নতুন পরিবেশে তারা সহজে খাপ খাওয়াতে পারে না। অপরিচিত মানুষকে কীভাবে সম্বোধন করতে হয়, জানে না। নবম শ্রেণিপড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে পড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলাম বছরখানেক আগে। তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, চালের কেজি...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (৩)

১১ আল্লাহ মহান আল্লাহ মহীয়ান          আল্লাহ রাহিম ও রহমান। আল্লাহ বিধান আল্লাহ বিধিয়ান          আল্লাহ দরদি ও দয়াবান॥  আল্লাহু আল্লাহ আল্লাহু আল্লাহ          লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইল্লাল্লাহ চলুক হরদম অন্তরে এ জিকিরগান॥  আল্লাহ শাসক আল্লাহ সহায়ক        ...

গল্প

আনচান

আনচানলুনার বয়স ত্রিশ পেরিয়ে চল্রিশের দিকে ধাবিত। সরকারি কর্মকর্তা একটি সরকারি ট্যুরে সিংগাপুরে এসছে। ইদানিং সরকারি কর্মকর্তাদের পোয়াবারো। কথায় কথায় বিদেশ প্রশিক্ষণে যায়। প্রশিক্ষণ নাম মাত্র। ভ্রমণ, শপিং, ঘুরাঘুরিই মূল। প্রশিক্ষণ ওছিলামাত্র। সুন্দর নাম আছে এর। উন্নত দেশের এক্সপোজার। তা...

সফিকুল ইসলাম

সফিকুল ইসলাম

উপসচিব (বিসিএস প্রশাসন)

চিন্তা

যতবার তুমি রাজাকার হবে, ততবার আমি মুক্তিযোদ্ধা হব

আপনি জানেন, আমি জানি, হুমায়ুন আজাদও বলেছিলেন এবং এটা প্রমাণিতও যে- ‘রাজাকার চিরকাল রাজাকার থাকে, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা চিরকাল মুক্তিযোদ্ধা থাকে না।’ কখন, কোনদিন যদি এ দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধা আদর্শহীন হয়ে যায়, যদি এ দেশের সকল বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম, বীরবিক্রম ও খেতাবপ্রাপ্তরা...

শাহাদাত হোসেন তৌহিদ

শাহাদাত হোসেন তৌহিদ

অনলাইন জার্নালিস্ট, চ্যানেল আই

গল্প

পদক কাহিনী

গল্পঃ পদকজালাল উদ্দিন লস্করবহুবছর পর তার নামে আসা চিঠির খামটি হাতে নিয়ে কিছুটা স্মৃতিকাতর,কিছুটা বিমর্ষ হয়ে পড়লেন সদরুদ্দিন সাহেব।ডাকপিওনের হাতে অত্যন্ত বিনীতভাবে চা-পানের নাম করে কিছু টাকা গুজে দিলেন একরকম জোর করেই।কমবয়সী ডাকপিওন কিছুতেই টাকাটা নেবে না।তার কথা এটা তার...

প্রবন্ধ

বর্তমান পৃথিবী ও Brave new world

1984 এবং Brave New World দুটি ডিস্টোপিয়ান উপন্যাস । ডিস্টোপিয়ান উপন্যাস হচ্ছে সাহিত্যের সেই শাখা যেখানে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর দুরবস্থা হলে তা কেমন হতে পারে সেটা কল্পিত চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হয়।  ১৯৮৪ উপন্যাসের  লেখক জর্জ অরওয়েল এবং Brave New world এর লেখক...

গল্প

এই মন ব্যাকুল যখন তখন

""মন""শব্দটা দুটো অক্ষরের হলেও এর বিস্তার ব্যাপক। মনের কাছে ঠিক -ভুল, সত্য -মিথ্যা, পরিস্থিতি কোনটাই টিকে না। মন কেবল নিজের ভাবনায় অটল,নিজ গতিতে বহমান। বয়স বাড়লেও মনের  বয়স সবসময় সেই একই থেকে যায়। এই যে এখন আমার বয়স ষাটের ঘরে...

গল্প

রংজ্বলা রং

‘কলেজে তৃতীয় বৎসরে পা দিয়াছি, আমার বয়স উনিশ, এমন সময় আমার বিবাহ হইল। বয়সটা সমাজের মতে বা সমাজসংস্কারকের মতে উপযুক্ত কি না তাহা লইয়া তাহারা দুই পক্ষ লড়াই করিয়া রক্তারক্তি করিয়া মরুক, কিন্তু আমি বলিতেছি, সে বয়সটা পরীক্ষা পাস করিবার...

পোস্ট

এই দুনিয়া ভবের মায়া

এই দুনিয়া ভবের মায়া, একদিন ছেড়ে যেতে হবে জীবন পাখি চলে গেলে 'লাশ' তখন সবাই বলবে। মনুর দেহখানি পড়ে থাকে, মন তো তাতে থাকবে না, শ্বাস-প্রশ্বাস থেমে গেলে, মনুরে, মনে কেউ রাখবে না?আধাঁর থেকে এলাম দুনিয়ায়, আবার যাব আধাঁরে মাঝের এই সময়টুকু কত বিলাসিতায়...

গল্প

শ্রাবণ সন্ধ্যায়

শ্রাবণ  মাসের অসহ্য গরম। ক্লান্ত রিমু অফিস থেকে দৌড়ে বের হয়ে আসে,  বাসটা না মিস হয়ে যায়। বেশিরভাগ সময়, বস একদম শেষবেলা একটা কাগজ হাতে দিয়ে বলবে, যান দ্রুত কাজটা করে আসেন। তাদের তো কোন অসুবিধা হয় না। নিজেদের গাড়ি আছে,...

গল্প

যোগ্যতা

রাত ১০ টা বাজে। বাজারে খুব বেশি লোকজন নেই। আমিও দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাবো ভাবছি। বাজার থেকে আমাদের বাড়ি কাছেই। পায়ে হেঁটে  মিনিট পাঁচেক লাগে। হিসেব করে দেখলাম, আজকে একদিনেই দুই হাজার টাকা বাকী পরেছে। এভাবে চলতে থাকলে আমার...

গল্প

একটা বিষন্ন রাত

রাত তখন একটার কাছাকাছি। তোমাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে হঠাৎ গাঢ় অন্ধকার রুমে দম বন্ধ হয়ে আসতে লাগলো। সেদিন নিজেকে আর আটকাইনি। কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে সাথে মানি ব্যাগ টা পকেট এ নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম। হাতে কোনো সিগারেট নেই। রাত একটায় লজ্জার...

কবিতা

শর্বরী এবং শরাব

কাল রাতে এই ঘরে সত্যি হয়ে উঠেছিল মিশরীয় মিথ;বুকের ভেতর থেকে বের করে গোস্তমাখা পাজরের হাড়-সেটা দিয়ে বানিয়েছি প্রতিহিংসাপরায়ন নতুন লিলিথ।তারপর তার সাথে সারারাত ডিঙিয়েছি মৃতের পাহাড়বহু আগে গত হওয়া সমস্ত রাণীদের মরে যাওয়া প্রেমশাড়ির আঁচলে করে নিয়ে এসে সে...

Nafis Istiak Emon

Nafis Istiak Emon

কবিতায় কান পেতে বসে থাকা আমার অসুখ...

চিন্তা

লীলাবতী

লীলাবতীর স্বভাব হচ্ছে গায়ে পড়া! ক্ষণে ক্ষণেই তার কাপড়ের ফাঁক গলে বুক দেখা যাবে। খুব কাছে এসে ঝুকে কথা বলবে।   হেসে হেসে গায়ের উপর ঢলে পড়বে! কারণে অকারণে গায়ে হাত রাখবে। ইতিউতি ছুঁয়ে যাবে! যেন সে কিছু বোঝে না। কিছুই খেয়াল করেনা...

নীলসাধু

নীলসাধু

সম্পাদক, মেঘফুল

কবিতা

ফিলিস্তিন, এক আরশির মতো

অকল্পনীয় এক অনন্য উজ্জ্বল আরশির মত যেন তুমি-কি দারুণ দেখা যায় ধর্মীয় নৃপতি ও নেতাদের নগ্ন মুখোশ!আমিও তো হতে চাই অভিজাত আরবের মতো অতিশয় সংযমী,রক্ত ধমকে উঠে- বিদ্রোহ মিশে থাকা বাংলার বাতাসের এ দোষ।শুওর শাবকদের কর্কশ জিহ্বারা গিলে নিল অলিভের...

Nafis Istiak Emon

Nafis Istiak Emon

কবিতায় কান পেতে বসে থাকা আমার অসুখ...

কবিতা

গিলে ফেলা গিলোটিন

হৃদয়ের দিকে কেন তাক করো বোকা বন্দুক?খুব বেশি বিরক্ত করছে কী ক্বলবের ধ্বনি?কবিতায় কান পেতে বসে থাকা আমার অসুখ।অতএব শান্ত হয়ে শুনে যাও এই সিম্ফনি-সেই কবে ডেকে নিয়ে বলেছিল খোড়া তাইমুর,“এসব শায়েরি লিখে কতটুকু কামাও প্রফিট?”জবাবে বাজালো কেউ কতিপয় ঝাঝালো...

Nafis Istiak Emon

Nafis Istiak Emon

কবিতায় কান পেতে বসে থাকা আমার অসুখ...

গল্প

অণুগল্প

একি তুমি উলঙ্গ দাঁড়িয়ে আছ যে?- তোমার দৃষ্টি আকর্ষণ করব বলে। আমার দিকে ফিরেও তো চাও না আজকাল। উলঙ্গ হয়েছি বলেই তো চাইলে আমার দিকে। আদর করবে না একটু??- তোমাকে চাবকাবো - চাবকাও না, তাহলে তো কৃতার্থ হয়ে যাব। সে ও...

গল্প

এই নাও বৃষ্টি, এই নাও সায়ন।

এই নাও বৃষ্টি, এই নাও সায়ন।বসন্তের দিন। সকালটা রোদ ঝলমলে ছিল। বিকাল হতে না হতেই মেঘ কালো করে দমকা বাতাস আর বৃষ্টি। অনেক বৃষ্টি হয়ে গেছে। রাস্তায় জল বেধে গেছে। বৃষ্টি টিপ টিপ করে এখনো হচ্ছে। প্রজ্ঞা ব্যলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে।...

ফিকশন

হইও না, প্যালেস্টাইন

ইন্টারনেট থেকে নেয়া ছবি।তুমি যূথীবন হতে চাওদেখিনি কোনদিনজানি না এভাবে যত অদেখা আছেসেই সব হয়ে উঠতে চাওয়ার যেই জেদ তা কি সত্যি কিছু হয়ে উঠার নেশানাকি কেবলি হাড় পুড়িয়ে অন্তর জোড়ানো?ভরা চাঁদের স্নিগ্ধ আভায় মাতাল পুকুরের মীন আমিসেই দূর আকাশ, নক্ষত্রের...

গল্প

ছোটগল্প- ঈশ্বর

ঈশ্বরঅফিস শেষ করে ফিরছি। রাস্তায় প্রচুর জ্যাম। ঢাকা শহর আর কিছু দিতে পেরেছে কিনা জানিনা, জ্যামের যন্ত্রনাটা দিয়েছে বুক ভরে। এ থেকে যেনো আর রেহাই নেই। ড্রাইভারকে বললাম সামনের যেকোন একটি মিষ্টির দোকান দেখে থামাতে। সীমন্তীনী মিষ্টি পছন্দ করে। ওর...

নন ফিকশন

যদ্যপি আমার গুরু

 বিখ্যাত স্কলার হ্যারল্ড লাস্কির সুপারভিশনে পিএইচডি করতে যাওয়া আব্দুর রাজ্জাক, লাস্কির মৃত্যুর পর অন্য কারো তত্ত্বাবধানে ডক্টরেট ডিগ্রী না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ফিরে আসেন স্বদেশে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শি়ক্ষকতা করে জীবন কাটিয়ে দেন "আদমজী" পুরস্কার প্রাপ্ত জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক। উপরের তথ্যগুলো...

গল্প

বংশ রক্ষা

জয়নারায়ণপুর গ্রামের সৈয়দ বংশ ও চৌধুরী বংশের শত্রুতার ইতিহাস অনেক পুরনো। আমার বাবা ছিলেন সৈয়দ বংশের উত্তরাধিকারী, আর আমি এখন পর্যন্ত এই বংশের শেষ প্রদীপ। কিন্তু আমার জন্ম ঢাকার হলি ফ্যামিলিতে, পড়াশোনা ও বাবার চাকুরির সুবাদে শহরে থাকায় ক্রমে গ্রামে...

চিন্তা

চলে যাওয়া মানেই প্রস্থান

প্রিয়, কারও সাথে আলাপ জমে গেলেই আমি তাকে জিজ্ঞেস করি "জীবনের মানে কী?" এবং আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি একটা সময় প্রশ্নকর্তা আমি ও উত্তরদাতা ব্যক্তি একমত হয়ে যাই যে 'জীবনের আদতে কোন মানে নেই'-অর্থাৎ কেউ থাকলেও সব চলে আবার না থাকলেও...

ভ্রমণ

ইতস্তত ইউরোপ

১৯ মেরোম, ইতালি।অন্য কারো কাছে যাওয়া থেকে হাজার মাইল দূরে, বরং বলা যায় এ ভ্রমণ নিজের কাছ থেকেই পালানো। লিওনার্দো দা ভিঞ্চি বিমানবন্দরে তিন ঘন্টার ট্রানজিটে বসে লিখছি এই সময় কাটানো লেখা। কী লিখবো ভাবতে ভাবতেই টুকে রাখছি- এই যাত্রার...

গল্প

অনুগ্রহপূর্বক কিছুক্ষণ পর আবার চেষ্টা করুন

: স্যার, আপনি কি আজও আসবেন না? আবারও কোভিড সিম্পটম?: শকুন্তলা, আমি আজও আসতে চাচ্ছিলাম না। মনটা কেমন অস্থির। এই অস্থির, অন্ধকার মন লইয়া পদার্থবিজ্ঞানের মহা গুরুত্বপূর্ণ আলো চ্যাপ্টার পড়ানো যায় বলো?: আমার নাম কুন্তলা, শকুন্তলা নয়। এই নামে ডাকলে...

আল রশীদ কিংশুক

আল রশীদ কিংশুক

ফিকশন লেখক

ফিকশন

মিরপুরে মেরিকান ভিসা

যেটা কখনও ভাবিনি তাই হল। মানুষ ভাবে এক, হয় আরেক। অনেকটা এই মতবাদকে অনুসরণ করেই।  মিরপুরে শুয়ে-বসেই ভিসা পেয়ে গেলাম। সেটাও উগান্ডা, বুরুণ্ডি কিংবা সোমালিয়ার ভিসা নয়। উগান্ডা বুরুন্ডির ভিসা যদি পেয়েও যাই, তাইলে সেটা নিয়ে কী করব! ওদের ভিসা...

গল্প

নিহন্তা

‘আইজও কুড়ি-পঁচিশটা; বড়কাকা।’ বলতে বলতে ইসমাইল সাহেবের হাতে খবরের কাগজ এনে দেয় লিটন। ‘কুড়ি নাকি পঁচিশটা- ঠিক করে বল হারামজাদা?’ ধমকের সুরে বলেন ইসমাইল সাহেব। ‘কুড়িটাই গুণলাম। তয় আরো দুই-চাইর পাঁচটা তো থাকতিই পারে যা এই পত্রিকায় ছাপা হয় নাই।’ মাথা চুলকাতে...

রনি রেজা

রনি রেজা

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ডেইলি বাংলাদেশ

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (৪)

১৬ মানুষ বড় আজব জীব          নিজের মধ্যে শয়তানি                   খুঁজে আর গেয়ে বেড়ায়          অপরের দোষত্রুটি!  ভুল নিজে আগাগোড়া          বলে পরের ভুলের কথা          ...

কবিতা

ফিলিস্তিন

সময় থমকে আছে, করাতকল নিশ্চুপ কাঠেআছে বিঁধে। হাহাকার বাড়ছে প্যালেস্টাইনে-দিনদিন বাড়ছে কান্না। জীবনের এই পাঠেআল আকসা দাঁড়িয়ে আছে সত্যের আইনে।সোচ্চার হও, পাশে দাঁড়ানোর এইতো সময়নিপীড়িত মুসলমানের মত আজ বেদখল গাজাসত্যের জয় হবে, জয়ী হবো একদিন নিশ্চয়-মুখোমুখি লড়কে লিয়ে, হে ইহুদি...

উপন্যাস

পত্রোপন্যাস ।। গুহা (পর্ব- দুই)

postimg_image_1714637858.jpeg 102.01 KBদুইশুক্রবার০৯ এপ্রিল ২০১০ খ্রি.রাত সোয়া দুইটাঝিলটুলি, ফরিদপুর।সুবেহতারাতোমার চিরকুটে লেখা ছিল রাতে চিঠি পড়তে হবে। তাও আবার রাত ১২টার পর! এই চিন্তা করে চিঠি পাওয়ার পাঁচ দিনেও চিঠিটা পড়তে পারছিলাম না। ভাবলাম শর্ত যেহেতু দিয়েছো তো শর্তটা মেনেই চিঠিটা...

গল্প

রবিন হুড

এক“রবিন হুড স্ট্রাইকস এগেইন”সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে প্রথম যে কাজটি সাইয়েদুর রহমান করেন, সেটা হল পত্রিকা হাতে নেয়া। গত বিশ বছরে এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। কাজের লোকটিও এই অভ্যাসের কথা জানে। তাই, ঘুম থেকে উঠে তারও প্রথম কাজ, সেদিনের খবরের...

গল্প

দুঃসময়ের মাঝামাঝি

জুলাই মাসের ক্লান্ত দুপুর।খরতপ্ত রোদ মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।প্রহর গুনছি। অপেক্ষার প্রহর। এমন সময় হঠাৎ ভেসে এল ঘণ্টার আওয়াজ। স্কুল ছুটি হলো বুঝি!চোখ তুলে তাকাতেই ভুল ভাঙ্গলো। অদূরে সিগন্যালম্যান ঘণ্টা বাজাচ্ছে। ট্রেনের আগাম বার্তা। ট্রেন ধরতে হবে। গন্তব্য পলাশপুর, গ্রামের বাড়ি।  মনে পড়ে...

বাংলা সাহিত্য

ফানুস জীবন

ছাওয়াল এখন মস্ত বড় মানতে চায় না গুরুকে, বোধ-বুদ্ধি তার সব হয়েছে সিদ্ধান্ত নেয় পলকে। আমি এক কুয়ার ব্যাং বুদ্ধি এখন মোর হাটুঁতে, হাতে বেড়েছে পায়ে বেড়েছে ছাওয়ালের বোধ মাথাতে। আমার মাঝে কমতি অনেক জ্ঞান বুদ্ধির নেই কো ধার, যাও বা আছে অতীত জ্ঞান আধুনিক কালে সবই  হার। বৃদ্ধের কথা যায় না...

গল্প

অনুসূয়ার প্রতি ভালোবাসা....

অনুসূয়া হটাৎ  টের পেল তার গলায় চেপে বসেছে শক্তিশালী দুটি হাত। এ হাত দুটোকে সে চেনে। এ হাত দুটো রাহাতের। অনুসূয়া হাত দুটোর বিরুদ্ধে স্ট্রাগল করছিল। কিন্তু পারছিল না। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে,শক্তি নিঃশেষ হয়ে আসছে। তার হাতে হয়ত আর...

নন ফিকশন

১৯৫২ : নিছক কোন সংখ্যা নয়

ব‌ই রিভিউ১৯৫২ : নিছক কোন সংখ্যা নয়লেখক : মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনপ্রকাশনা : বাতিঘর প্রকাশনী প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০১৪প্রচ্ছদ : সিরাজুল ইসলাম নিউটনজনরা : থ্রিলাররিভিউয়ার : ওয়াসিম হাসান মাহমুদমহান ভাষা আন্দোলনের কারণে ১৯৫২ আসলেই বাংলাদেশের জন্য নিছক কোন সংখ্যা নয়। এই...

কবিতা

আদর্শ প্রজাতন্ত্র

আদর্শ প্রজাতন্ত্রহতাম যদি ভিভিআইপিকেমন হতো মজা!উল্টো পথে যেতাম সুখে কেউ দিত না সাজা।মাঝে মধ্যে যেতাম বিদেশমিটিয়ে সব মনের খায়েশঠেসে ঠুসে পকেট পুরেফিরতাম হাসি মুখেপুরোটা পথ ভি দেখিয়েযানবাহনের জট পাকিয়েলাগিয়ে গায়ে এসির বাতাস কেমন হতো আয়েশ!!আহা! প্রজাদের ধৈর্য আছে বেশ!!

গল্প

টাঁড়বারো

শহরের প্রচন্ড ব্যস্ততা, কোলাহল আর কৃত্রিম পরিবেশ ছাড়িয়ে রাজুদের গ্রামে পা রাখতেই মনটা জুড়িয়ে গেল। যমুনার তীরে সবুজ গাছপালায় ঘেরা গ্রামটাকে আমার কাছে ছবির মতো সুন্দর মনে হলো। যেন কোনো শিল্পি রং তুলির আচঁড়ে যত্ম করে একটু একটু করে ফুটিয়ে...

গল্প

কৃত্তিকা

পর্ব-এক/তারার নামে নাম     ---------------------------ভাবছি কী নাম দিই তোমার। অনেকক্ষণ ধরে ভাবছি। এখন থেকে প্রিয় কোনো নামে তোমাকে ডাকবো, এই ভাবনা মাথায় আসার সাথে সাথে পুরো মাথা শূন্য হয়ে গেল। বিষয়টা মজার না?আসলে প্রিয়জনের ব্যাপারে আমরা অনেক বেশি সতর্ক হয়ে...

বাংলা সাহিত্য

প্রচ্ছদের গল্প

প্রথম বই #অভিনেতা' র প্রচ্ছদের কথা যখন ভেবেছি,  আমার মাথায় ছিল এমন একটা মুখ হতে হবে যার চেহারাটা ঠিক পরিচিত হবে না কিন্তু চেহারায় থাকতে হবে আকর্ষণ আর রহস্য।  আগের মার্বেল পাথর নিয়ে কাজ করা ভাস্কররা ভাস্কর্যে সাধারণত কোন খাঁজ কাটতেন...

নন ফিকশন

মিসির আলির মনস্তত্ত্ব

মিসির আলি। হুমায়ূন আহমেদের সৃজন করা অন্যতম একটি চরিত্র। হিমুর মতো ব্যাপক জনপ্রিয়তা না পেলেও বাংলাদেশে এই সাইকোলজির শিক্ষকের গুনমুগ্ধ কম নেই। হিমু এন্টি-লজিক হলে মিসির আলি লজিক।  "দেবী" উপন্যাসের মধ্য দিয়ে যাত্রা করে এই চরিত্রের পরিচয় পান অনেক পাঠক। চিরকুমার,...

গল্প

গল্প রিসার্চ

রিসার্চ জালাল উদ্দিন লস্কর আবুল ছালাম দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের  অধ্যাপক।তার একটি গবেষণার খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে এখন দেশের প্রায় সবাই এক নামে চেনে।তিনি এখন তুমুল আলোচনায়।এটাই চেয়েছিলেন আবুল সালাম নিজেও।পক্ষে-বিপক্ষে তাকে নিয়ে আলোচনা।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাখ...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (৫)

২১ আমি চাই না গো রব আসমানে স্থান আমার অন্তরে রাখুন মাটিমাতৃর টান।          করতে পারি দুর্ভোগ-দুর্ভিক্ষ দেশের গপ দেখতে পারি উপবাসী ও বুভুক্ষুদের সব না হোক কবে আয়াশি জিন্দেগির বয়ান।          আমার অন্তরে রাখুন মাটিমাতৃর টান॥  আন-বান-শান কত কী যে...

কবিতা

বিস্ময়।

আমি আগে কখনো এমন কাউকে দেখিনি-অবয়বে সে কোন তরুণ পরী।অবয়বে সে কোন অসময়ে ফোঁটা ফুল।অবয়বে সে কোন অভিমানী দেবী।অবয়বে সে কোন নুনের মূর্তি।অবয়বে সে কোন প্রেম কবিতা।অবয়বে সে কোন পূর্ণিমা রজনী।অবয়বে সে কোন বিরল সুগন্ধী।অবয়বে সে চোখে তন্ত্র সাধনা।অবয়বে সে...

গল্প

দ্য বয় উইথ দ্য বাই-সাইকেল

দ্য বয় উইথ দ্য বাই-সাইকেলরিপন হালদার যত এগোচ্ছে গল্পটা ততই যেন গোলক ধাঁধায় আটকে পড়ছে। টুইস্টের পর টুইস্ট গল্পটাকে ওঠালো বাস্তব থেকে অনেক উপরে- যেখানে গরুর চার পা হাতের আবেষ্টনী হয়ে ধীরে ধীরে উঠে যায় গাছে।   ছবির নাম “দি বয় উইথ...

কবিতা

সুদীপ্ত সাইদ খানের একগুচ্ছ কবিতা

বৃত্তপাঠ.................................... ঘোরগ্রস্ত স্বপ্নের ভেতর হেঁটে যাওয়া আমিই কি তবে সেই বিকেল; যার দীর্ঘশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসে অসংখ্য ভোর, মধ্যাহ্ন, মধুপূর্ণিমা! আর চেতন-অবচেতনের মধ্যবিন্দুতে বসে তাস খেলে জ্যামিতিক বৃত্ত।বৃত্ত মানেই—        গোল            গোলাকার     ...

নন ফিকশন

সুহান রিজ‌ওয়ানের জার্নাল

"দিনলিপি লিখতে বসে এসব আলাপ করতে ইচ্ছে করে না। ডায়েরি তো লিখা উচিত প্রফেসর শঙ্কুর মতো, পাতার পর পাতা যেখানে ভরে থাকবে রোমাঞ্চকর অভিযানে। 'মরুরহস্য' গল্পে উধাও হয়ে যাওয়া ডিমেট্রিয়াস ডায়েরিতে লিখে গিয়েছিল: 'আমার চাই উন্মুক্ত প্রান্তর। আমার চাই সাহারা।'কী...

বিশ্ব সাহিত্য

ওয়াচম্যান

অক্টোবর ১২, ১৯৮৫। বহুতল ভবন থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে এড‌ওয়ার্ড ব্লেইককে। রোরশ্যাখের দিনলিপি তা-ই বলছে। ডিটেক্টিভরা বিস্মিত। প্রাক্তন সুপারহিরো, ভিয়েতনাম ওয়ার ভ্যাটেরান, ব্ল্যাক অপস থেকে শুরু করে সরকারী বিভিন্ন গুপ্তচরভিত্তিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন ব্লেইক। সেইসাথে শারীরিকভাবে ছিলেন দারুন শক্তসামর্থ...

নন ফিকশন

হারুকি মুরাকামি : সাক্ষাৎকার, বক্তৃতা ও স্মৃতিকথা

হারুকি মুরাকামি। বর্তমান বিশ্ব সাহিত্যে সুপরিচিত এক নাম। কিভাবে একজন জ্যাজ ক্লাবের মালিক কিংবদন্তি লেখকে পরিণত হলেন সেই গল্প-ই আছে তাঁর দেয়া সাক্ষাৎকার, বক্তৃতা ও স্মৃতিকথায়।ব‌ইটি তিন অংশে বিভক্ত। সাক্ষাৎকার অংশটি বেশ বেশ উপভোগ্য। লেখালেখিতে তাঁর অভিষেক, মুরাকামির নিজস্ব রাইটিং...

নন ফিকশন

মরণ বিলাস

আশির দশকের প্রায় শেষাংশ। হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন একজন মন্ত্রী। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফজলে এলাহী সেই পাঞ্জায় ভোর হ‌ওয়ার আগেই হারছেন। সেটা তাঁর অজানা নয়। ছেলেমেয়ে, দুই স্ত্রী, এবং অসংখ্য তথাকথিত শুভাকাঙ্খীর কেউ নেই মন্ত্রীর শেষ সময়ে।ম‌ওলা বক্স। ধূর্ত, তোষামুদী...

নন ফিকশন

৮৪, চ্যারিং ক্রস রোড

কিছু ব‌ই আছে, একবার পড়া শুরু হয়ে গেলে থেমে থাকাটা বেশ কঠিন‌ই। না, কোন টানটান উত্তেজনাময় থ্রিলার কিংবা রোমান্টিক ব‌ই নয় এসব ব‌ই। বরং এ ধরণের গ্রন্থ পাঠকালে কোন এক বিগত শতকের গন্ধ, বর্ণ, রূপ, ইতিহাস, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং সেই...

নন ফিকশন

এই জীবনের যত মধুর ভুলগুলি

শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলা সাহিত্যের একজন গ্র্যান্ডমাস্টার বলা যায় লেখককে। আত্মজীবনীমূলক এই ব‌ইয়ে নিজ জীবনের করা ভুলগুলি নিয়ে নিঃশঙ্কোচে কথা বলেছেন শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়। সব ভুলগুলি‌ই কি মধুর ছিল?'যারা পকেটে শৈশব নেই, প্রতিভার সাগরে সাঁতড়ানো তার পক্ষে অসম্ভব।' উক্ত কথাটি গ্রন্থে বারবার...

নন ফিকশন

শ্বাপদ সনে

গ্রাফিক নভেল রিভিউশ্বাপদ সনেপ্রকাশক : গ্রাফিক বাংলা পাবলিকেশনলেখক : নাবিল মুহতাসিমআর্টিস্ট : এড্রিয়েন অনীকসংলাপ : নাবিল মুহতাসিম ও এড্রিয়ান অনীকপ্রচ্ছদ : এড্রিয়েন অনীককনসেপ্ট আর্ট সমগ্র : এড্রিয়েন অনীকজনরা : হরর / সাসপেন্স / থ্রিলাররিভিউয়ার : ওয়াসিম হাসান মাহমুদপ্রমিনেন্ট ইনডাস্ট্রিয়ালিস্ট আব্বাস...

নন ফিকশন

আমি ও আমার তরুণ লেখক বন্ধুরা

অজয় দাশগুপ্ত। অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়। অমলেন্দু চক্রবর্তী। আনন্দ বাগচী। আশিস ঘোষ। দিব্যেন্দু পালিত। দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। দেবেশ রায়। নিখিলচন্দ্র সরকার। প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায়। প্রফুল্ল রায়। প্রবোধবন্ধু অধিকারী। বরেন গঙ্গোপাধ্যায়। বুদ্ধদেব গুহ। মিহির মুখোপাধ্যায়। রতন ভট্টাচার্য। শক্তি চট্টোপাধ্যায়। শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়। শিশির লাহিড়ী। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।...

নন ফিকশন

পুষ্প, বৃক্ষ এবং বিহঙ্গ পুরাণ

অনেকদিন পর আহমদ ছফা রচিত কিছু পড়া হলো। ব‌ইটি পাঠের সময় এবং পাঠ শেষে এক ধরণের মুগ্ধতার রেশ রয়ে গেছে। প্রাণ এবং প্রকৃতির প্রতি এরকম নিদারুন ভালোবাসা ক'জনের মধ্যেই বা থাকে?গ্রন্থটি মূলত ছফার উত্তম পুরুষে বলা কিছুটা দিনলিপির মতোই। যদিও...

বাংলা সাহিত্য

সপ্তপদী

"বাহির সংসারে মানুষ মরলে তাকে পুড়িয়ে ছাই করি, মাটির তলায় কবর দি। মনের সংসারে মানুষ জীবিতকেও মাটির তলায় চাপা দিয়ে নিশ্চিন্ত হয়।"ভূমিকায় তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় কোন এক ফাঁকে এই অতীব নিষ্ঠুর কিন্তু দরকারি সত্যটি উচ্চারণ করেছেন। ভূমিকাটি সপ্তপদীর।পূজার আনন্দবাজারে বাংলা বর্ষ...

নন ফিকশন

লোলার জগৎ

পৃথিবীর শেষ সময় ঘনিয়ে আসছে। মহাজাগতিক ধূলো নেবুলা-‌‌এক্স ছুটে আসছে ভূ পানে। হাতে সময় মাত্র ছাব্বিশ বছর। এই সমস্যা সমাধানে প্রেসিডেন্ট‌ নিকোলাস আইখ তাঁর উচ্চ মেধা সম্পন্ন বিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী, সামরিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে তৈরি করেন একটি পরিকল্পনা।সৌরজগতের তুলনামূলক নতুন আবিষ্কৃত উপগ্রহ...

চিন্তা

দ্য মিথ অফ সিসিফাস

প্রায় সব মানুষ‌ জীবনের এক পর্যায়ে এসে হয়তো ক্ষণিকের জন্য হলেও ভেবেছে যে জীবনের কোন অর্থ নেই। নিরর্থক জীবনের যাতনা ভুলতে অনেকে করেছেন, করছেন এবং সম্ভবত হাঁটবেন আত্মত্যার মত সমস্যা সমাধানের পথে।দ্য মিথ অফ সিসিফাস। দেবতাদের দ্বারা অভিশপ্ত সিসিফাস যিনি...

নন ফিকশন

যোগাযোগের গভীর সমস্যা নিয়ে কয়েকজন একা একা লোক

আবদুর রাজ্জাক সাপাহারের উদ্দেশ্যে র‌ওনা দেন।‌ লক্ষ্য একটি‌ই। তাঁর বস বদরুদ্দীন মন্ডলের দ্বিতীয় বিবাহের ব্যবস্থা করা। পাঁচু ময়রার দেয়া পত্রিকায় 'পাত্র চাই' বিজ্ঞাপন রাজ্জাককে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গে টেনে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে বিভিন্ন বিপাক এবং বিভ্রান্তিতে জড়িয়ে পড়ে আবদুর রাজ্জাক। আবার...

নন ফিকশন

আ বার্নিং

বুক রিভিউআ বার্নিংলেখক : মেঘা মজুমদারঅনুবাদক : নাহিদ খানপ্রথম প্রকাশ : ডিসেম্বর ২০২১প্রকাশক : বাতিঘরপ্রচ্ছদ : সব্যসাচী হাজরাজনরা : সামাজিক উপন্যাস, থ্রিলাররিভিউয়ার : ওয়াসিম হাসান মাহমুদতিন। রহস্যময় এবং শক্তিশালি একটি সংখ্যা। ত্রিভুজ, ত্রিমুর্তি, ট্রিনিটি, আমি, তুমি ও সে। যেকোন প্রতিযোগিতা...

গল্প

গল্প চিঠি

চিঠিজালাল উদ্দিন লস্কর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ মাসুদ কেমন জানি হয়ে যাচ্ছেন দিন।স্কুলে আসলে তার অস্থিরতা বেড়ে যায়।কাজকর্মে ঠিকঠাকমতো মন দিতে পারেন না।অন্য শিক্ষকেরা বিষয়টি টের পেলেও কিছুই বলেন না।মুখ বন্ধ করে রাখেন।আড়ালে আবডালে যদিও একটুআধটু  টিপ্পনী কাটতেও ছাড়েন না! অস্থিরতা...

গল্প

সমুদ্রের দাঁত

বালিতে পা গেঁথে গেঁথে যাচ্ছে। ঢেউগুলির চোয়াল হাঁ করে তেড়ে আসতেই জল থেকে গুটিয়ে নিচ্ছে পা, বালি থেকেও। রোদের তাঁবু মাথার উপরে নিয়ে করাতের ফালির মত ধুঁধু উপকূল দিয়ে সাবধানে পা ফেলছে ওরা। এখান থেকে মনে হচ্ছে সমুদ্র পাড়ের শেষ...

গল্প

ম্যাজিক ম্যান

আষাঢ় মাস।আকাশ মেঘলা। দুদিন রোদের দেখা নেই। যেকোনো মুহূর্তে মুষলধারে বৃষ্টি নামতে পারে। ছাতাটা বগলে চেপে আসাদ মাস্টার স্কুল পানে রওনা দেন। স্কুল তার অতি প্রিয় জায়গা। সহজে তিনি স্কুল মিস করতে চান না। সামান্য বৃষ্টি-বাদলা, ঝড়-বাতাস মাস্টারমশায়কে স্কুলে যাওয়া থেকে আটকাতে পারে...

কবিতা

কষ্টের কবিতা

দুপুর অনেক নাকিজীবন কয়েক! চিনিকেও মনে হয় অনেক বেশি মিষ্টি! রোদ্দুরে বাতাসের লগেখেলারত (একটু আগেই হয়ে যাওয়া)বৃষ্টিতে ভেজা পাতাদেরমনে হয় সুদর্শন যুবকের চোখঅনেক পাওয়ার! খুঁজে দেবে সোনামুখী সুঁইও, খড়ের গাদায়! যদি আমি বলি তবে প্রাণহীন শুকনো পাতায়- চোখের ভিতর থেকেফোনের ভিতর থেকেনকল ইমেজনিয়ে আসে প্রতীতি কোন একযেনবা সময় লিকুইড-টাইমলেস কোন এক মহাজাগতিক জীবন কোথাও...

গল্প

বনলতা সেন ও একটি অপেক্ষারত গাছ

লেডিজ হোস্টেলের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন জীবনযুদ্ধে ক্ষত-বিক্ষত বছর তিরিশের যুবক। সামান্য কিছু লেখা প্রকাশিত হয়েছে এখন পর্যন্ত। বেশিরভাগই পেয়ে গেছে 'দুর্বোধ্য' তকমা। সহজ শিশুবোধক কবিতা তিনি একদমই লিখতে পারেন না, বা লিখতে চান না।ধীরে ধীরে তাঁর প্রত্যয় হল লেখার...

সমালোচনা

কার্লা সিমনের চলচ্চিত্র : মূলস্রোত পেরিয়ে সন্তরণ

Summer 1993 ছবির একটি দৃশ্য.jpg 59.94 KB১গত শতাব্দীর পুরোটা জুড়ে সিনেমার বিশ্বে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে হলিউড, এখনো করছে। সিনেমার শাসন তাই মূলত হলিউডের শাসন। পুরো পৃথিবী সচেতন কি অচেতনভাবে আদতে হলিউডের বেঁধে দেওয়া নিয়মই অনুসরন করে। এর বাইরে কাজ...

গল্প

কৃত্তিকা

তৃতীয় ভুবনেঅত্রি,অফলাইনে ছিলাম। ভার্চুয়াল জগতটা সরিয়ে মাটির পৃথিবীতে নিজের মতো থাকলাম চব্বিশ ঘন্টা। আজ ঘুম ভাঙলো অনেক দেরিতে। বিছানা ছাড়লাম। বিষ তিতা কফি খেলাম। দোতলার সিঁড়িতে বসে শরীরে রোদ মাখলাম। বেশিক্ষণ পারলাম না, শাসন বারণ করা সত্ত্বেও মোবাইলে হাত চলে...

কবিতা

কবি, কলম ও কবিতা

শহরের এক কবি মফস্বল নিয়ে কবিতা লিখতে গেছিলো। তো, এক বিকেলে নৌকায় চেপে নদী বেয়ে যাচ্ছিল সে কবি আর সাথে ছিলো এক মাঝি। উদ্দেশ্য ছিলো মফস্বলের  সূর্যাস্ত নিয়ে কবিতা লেখা।মাঝ নদীতে হঠাৎ নৌকার তলায় এক ফুটো দিয়ে পানি উঠতে শুরু করলো। পানির সে ফিনকি দেখে শহরের...

Rezwan Razu

Rezwan Razu

Creative Thinker

নন ফিকশন

ক্লাসিক সাহিত্যের সংশোধন কি পাঠকের সঙ্গে প্রতারণার নামান্তর?

১এইচ পি লাভক্র্যাফট আধুনিক সাহিত্যে এক বড় নাম হয়ে হয়ে আছেন নানান কারণে। তার জগত অচেনা ভয়ের জগত।মানব অস্তিত্বের খুব গভীরে নিজের অক্ষমতা ও ক্ষুদ্রতা নিয়ে যে হীনমন্যতা – সম্ভবত সেখান থেকেই জন্ম নেয় অজানার ভয়, এমন অজানা, যা বোধের...

সত্তাশ্রয়ী

'নয়না নীর বহা, সখী বিন মোরা জিয়া তরসায়ে'- পথ থেকে প্রান্তরে

একেকটা বারান্দায় বসে থেকে থেকে সময় কেটে যায় বেলায়, অবেলায়। পেশক চা-বাগান সবুজ আঁচল বিছিয়ে রাখে রাতভর, চা-পাতার ডগায় সূর্যের আস্তরণ মেখে শিশিরবিন্দু বন্ধু হয়ে ওঠে ময়ূরের, ময়ূরপঙ্খী, বন্য সবুজ আভরণে বন্ধু হয়ে ওঠে বাঁশকাঠি-দোকানের স্বপ্ন-পোশাক বিক্রেতাও - 'পাহাড়ি জামা...

শ্রীতন্বী চক্রবর্তী

শ্রীতন্বী চক্রবর্তী

ইংরেজির অধ্যাপিকা এমিটি ইউনিভার্সিটি কলকাতা

গল্প

গল্প হ্যালুসিনেশন

গল্পঃ  হ্যালুসিনেশনজালাল উদ্দিন লস্কর অনেকক্ষণ ধরেই সিএনজিটা নিয়ে বসে আছে রমজান আলী।যাত্রীর দেখা নেই।এখন ভরদুপুর। এই সময়টাতে যাত্রী এমনিতেই কম থাকে।আর এটা কোনো সিএনজি স্ট্যান্ডও নয় যে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য যখন-তখন যাত্রীরা এসে হুড়মুড়িয়ে সিএনজিতে উঠে বসবে।শিমুলতলি গ্রাম ভেদ করে চলে...

কবিতা

ঘুমায় জীবন

ঘুমায় জীবন প্রতিদিন কতবার চিঠি লিখি, চিঠি পড়িতুলে রাখি বুকের ভিতরদহনে পুড়ে যায় নদী, মাঠ-ঘাট, শহর নগর।এভাবেই চলছে, চলবে- নৌকার পাটাতনে ঘুমায় জীবনঅভিমানের পাল্টা সুরে অহঙ্কার ডুবছে জলেএকমুঠো নিরবতায় বেহালার সুরটা করুণ।আমি ভাবি থেমে যাবো, তীর ভাঙা ঢেউয়ের মতোনহিজলের বাতাস গেয়ে যায়...

কবিতা

দুনিয়া

ইদানীং হাবিয়াহ দেখার ইচ্ছা হয়আবার কখনো জান্নাতুল ফেরদৌসও— সাত জীবন দূর থেকে তোমার ডাক আসে—এদিকে তাকাও, এই যে আমি;ঘুম ঘুম চোখে তোমার মুখে তাকাইএবং বুঝতে পারি তুমিই সেই—যার দিকে তাকালে বেহশত-দোজখ                     ...

গল্প

গল্প আব্বাজান

গল্প/আব্বাজানজালাল উদ্দিন লস্কর উজানতলী গ্রামের ফজর আলী দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর কিছুদিন আগে বাড়ী ফিরে এসেছে।বাড়ীর সাথে কোনো যোগাযোগ না থাকায় পরিবারের লোকজন ধরেই নিয়েছিল ফজর আলী হয়ত আর বেঁচে নেই।একদিন ভোর বিয়ানে তাই ফজর আলীকে দেখে বাড়ীর লোকজন ভুত দেখার...

কবিতা

শিরোনামহীন

গোপন সর্বদা হউক চরম গোপনীয় সত্যের প্রকাশে থাকুক সব পরম পূজনীয়। বিশ্বাসের ভিত থাকুক চরম গভীরতায় আস্থার ক্ষেত্র তৈরি হউক পরম নির্ভরতায়। জানার পর্যায় হউক সুক্ষ বস্তুনিষ্ঠতায় অবিশ্বাসের গ্লানি মুছে যাক তীব্র ভালোবাসায়। মাতৃত্বের প্রকাশ ঘটুক পরম মমতায় স্নেহের মাধ্যমটাই হউক চরম আবেগময়তায়। সাফল্য উৎযাপিত হউক চরম উৎকর্ষতায়। ব্যর্থতার...

নন ফিকশন

অবগাহনের জার্নি: কেন আমি বুদ্ধের দুয়ারে?

মায়ানমারের মংকেত শহরকে কেন্দ্র করে ৩৫০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের একটা বৃত্ত আঁকলে সেই বৃত্তটার ভেতরে যত মানুষ বাস করে বাকি গোটা দুনিয়ায় তার চাইতে কম মানুষ বাস করে। যদিও এই ৩৫০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের বৃত্তের ক্ষেত্রফলের অর্ধেক এলাকা জুড়েই আছে সমুদ্র।এই অর্ধবৃত্তের...

কবিতা

স্রষ্টার সাক্ষাৎকার

পার্কের বেঞ্চিতে আধশোয়া হয়েঅর্ধভুক্ত আমি ভাবছিলাম সুস্বাদু সব খাবারের কথা।মনের মন্বন্তর ইদানিং প্রকট হয়ে ওঠেছে ভীষণ- কূলহীন কবিদের এখন আর কেউ দয়াপরবশ হয়ে খেতে দেয় না।সমস্ত কবিতার বই এক পথশিশুর কাছে বিক্রি করে দিয়েছি গতমাসে।আমার অহংকারের সেই একমাত্র অনুষঙ্গ-প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে বাদাম...

Nafis Istiak Emon

Nafis Istiak Emon

কবিতায় কান পেতে বসে থাকা আমার অসুখ...

গল্প

বৃষ্টি ও নাকফুলের গল্প

খবরগুলো কীভাবে যেন চাউর হয়ে যায়। মাত্র একজনের সাথে শেয়ার করেছি বিষয়টি। কয়েক ঘণ্টাও হয়নি। এরই মধ্যে দুইজন সম্পাদক ফোন করে বসলেন। তাও সাহিত্য সম্পাদক কিংবা ফিচার সম্পাদক নন। খোদ সম্পাদক।  আমি নাকি নাকফুল নিয়ে একটি গল্প লিখছি। সেই গল্প...

গল্প

হাঁস অথবা আমি

এই বিলের নাম কী, আমি জানি না। আমার একান্ত সহকারী আমাকে বলেছিলেন একটু আগে। আমি ভুলে গেছি সে-নাম। বিলের নাম আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ বিল দেখার জন্য এখানে আসিনি আমি।  এসেছি হাঁস দেখতে। অনেক হাঁস। বিলের জলে সাঁতার কাটছে। মাঝে মাঝে...

গল্প

গল্প টিপস এন্ড ট্রিকস

গল্পঃ ।। ট্রিকস এন্ড টিপস।।                     -হোটেলে নাস্তার পর কাউন্টারে  বিল দিয়ে বেরোনোর সময় ওয়েটার হ্যান্ডশেক করার জন্য হাতটা বাড়িয়ে দিলেন।অবাক হলো রুবিন।আমাদের কাছ থেকে এটিকেট আর ম্যানার যখন ক্রমেই বিদায় নিচ্ছে, বিলুপ্তির...

গল্প

ডাবঘর অথবা একজোড়া চোখ

জন্মের পর ক্যামুন কইরা চাইয়া আছিল! উরেব্বাস! কেমুন টকটক কইরা। পলকা ছাড়াই। চোক্ষের পাতাগুলানও কী বড় বড়! কী কালো চোক্ষের মনি! কাকের লাহান। আমারে চাইয়া চাইয়া দেকছিলো। আর চোক্ষের মনি ঘুরাইতেছিল। জিউডা শান্তিত ভইরা যায়। সক্কল কষ্ট ভুইলা যাই।বউরে কইলাম,...

গল্প

গল্প রাজা

গল্প  /  রাজাজালাল উদ্দিন লস্করসন্ধ্যা ৭ টা। চেম্বারে বসে আছি।রোগীর ভীড় কমে এসেছে।বিকাল ৩ টা থেকে রোগী দেখি আমি। শুধু টাকার পিছনে ছুটি না।সময় নিয়ে রোগী দেখি।রোগীর সাথে একধরনের সম্পর্ক তৈরী করি।গত একবছরে সেটা করতে পেরেছিও।এসব সাতপাঁচ ভাবছি এমন সময়...

কবিতা

পালকভরা সূর্যাস্ত- পাঁচ

নিষিদ্ধ পাখিকে বললাম, আমি ঘুমাইনি। তুমি কথা বলো প্রিয়ভাষিনীর মতো। সে বললো, তুমি তো মৃত অজগর। উষ্ণতার খোড়ল বেয়ে উপরে উঠতে গিয়ে ধ্বস খেয়েছো। এখন কেন বলছো, তুমি ঘুমাওনি?আসলে আমি এসেছি দৃশ্যের সমাপন থেকে। নিষিদ্ধ পাখি এবং পিপাসার পুতুল বলছে,...

প্রবন্ধ

ফেসবুক ফটো ক্রিটিক ও ভাইরাল ফটো।

 সোশাল মিডিয়া যখন ছিল না, তখন  ফটোগ্রাফারের ছবি দেখতে হতো এক্সিবিশন, ফটোবুক বা পত্রিকায়। অনেক সময় ফটো-স্টুডিওতে, কিংবা কারো বাসায়-অফিসের দেওয়ালে টানানো থাকত আলোকচিত্র। সোশাল মিডিয়া পূর্ব যুগে আলোকচিত্র প্রদর্শন অবাধ ছিল না। ইন্টারনেট আসার পর আলোকচিত্র প্রদর্শনের সব হিসাবনিকেশ পাল্টে...

কবিতা

এই ফাল্গুনে

 যদি পয়লা ফাল্গুনে আগুন আগুন দিনে হলুদ, লাল, সবুজ বিবিধ ধারনা আমার— গুটায়ে নিয়া মাথায় ভাবি তোমার শাড়ীর আঁচল ধরছে কেউ করছে কেউ খুব-খুব আবদার।  তথাপি, নিকুঞ্জে ঝরা ফুল, বকুল  বললো, এই চিরহরিৎ তোমার নিচে  মনের অসুখ, ভাবনার নদী— যতদূর বয় তারপাশে দেখো নতুন পাতার সংসার।  নদীর জল টলমল,...

গল্প

ব্ল্যাকহোল

   দুদিন পরে আরেকটা সমস্যায় পড়ল ও। ল্যাপটপ থেকে শর্ট ফিল্মের ফুটেজ উধাও। ও তো ডিলিট করেনি! প্রশ্নই ওঠে না ডিলিট করার। রিসাইকেল বিনও দেখল। নাহ্‌! নেই। হার্ড ডিস্কের অন্যান্য ফাইলগুলোও একে একে খুলে খুলে দেখল। অদ্ভুত ব্যাপার। সব ফাইল...

কবিতা

স্বপ্ন সঞ্চারণ চিঠি

কেন কেবল মরে যেতে ইচ্ছে করে,কেন পালাতে ইচ্ছে করে ঘুণে ধরা জীবন থেকে,কি এক অমোঘ হতাশা -  জানা নেই।পথের শেষে পথ আছে ঠিকই,কিন্তু সে কারো জন্য নয়।কেন এই বেঁচে থাকাআর কেনই বা মরে যাওয়া- এ নিয়ে মাথার মধ্যেএকশো পোকার গুঞ্জন...

অনিরুদ্ধ রনি

অনিরুদ্ধ রনি

কবি ও লেখক

কবিতা

তুমি নামের ইচ্ছেরা

তোমাকে ভাববোনা বলতে বলতে আমার ভেতর এক প্রবল বাসনা বলে সামান্য ভাবি। সামান্যতম সে ভাবনার আঁচটুকুই তোলপাড় করে দেয়। অপ্রকাশযোগ্য এই ভাবনা আমাকে ঘুমাতে দেয়না। জাগতে দেয়না তোমার ভেতর যখন আমি ঘুমিয়ে থাকি, বেশি রাত জাগতে পারিনা বলে। কি যে...

কবিতা

কবিতা

হ্যালুসিনেশনজালাল উদ্দিন লস্কর কাল রাতে,ঘুমঘোরে আবছায়া স্বপনে দেখা-এক পক্বকেশ সুবেশী মহাপুরুষের সাথে।চেহারায় অদ্ভুত জ্যোতি ঠিকরে পরছিল দ্যুতি মুখে অমৃতবাণী-নিবিড় মমতায় মস্তক পরে রাখলেন তার পেলব হাতখানি।শুধু বললেন কিসের চিন্তা কিসের এতো ভয়-দুপায়ে ঠেলে দুর্ভাবনা ভয়কে করে নাও জয়।বলতে চেয়ে অনেক কথা...

কবিতা

কবিতা কবিতা

তীর্থবাজিজালাল উদ্দিন লস্কর তীর্থে-হঠাৎই দেখা হয়ে গেলো দুই সতীর্থে।এভাবে দেখা হবে করিমের সাথেস্বপ্নেও ভাবেননি রহিম কখনো ঘুমের রাতে।একদা একই অফিসে ছিল দুজন  অনেকদিন আগেপরে বদলী হয়ে দুজনে দেশের দুই ভাগে।তখন তাদের গুরুস্থানীয় বস ছিল মুনায়েম বেপারীদুনম্বরী যত ব্যাপারস্যাপার তখনই হাতে কড়ি।মুনায়েম...

গল্প

গল্প বিশ্বাসের কানাগলি

 বিশ্বাসের কানাগলি জালাল উদ্দিন লস্কর কার কাছে শুনেছে চমকপুরের চান্দু কবিরাজের 'পড়াপানি' জাদুর মতো কাজ করে।তেলপড়াও না কি দেয়।তাই স্বামী কফিলউদ্দিনকে বারবার সেখানে যেতে অনুরোধ করছে জুলেখা।জুলেখার বিয়ে হয়েছে তিন বছর।বাচ্চাকাচ্চা হয় না বলে শাশুরী ননদেরা খোটা দেয়।তাই চান্দু কবিরাজের পড়া পানি...

গল্প

করোনা দিনের গল্প

জানাজাজালাল উদ্দিন লস্কর করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন জব্বার আলী।খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন এসে নমুনা নিয়ে গেছে পরীক্ষার জন্য।করোনা বিধি (প্রটোকল)মেনে তার জানাজার নামায হবে।বেশী লোক অংশ নিতে পারবে না জানাজায়।এর মধ্যেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসে গেছেন।সাথে পুলিশ আর দুজন...

চিন্তা

আমি ভালো নেই তুমি ভালো থেকো প্রিয় দেশ

প্রতিবছর অমর একুশে গ্রন্থমেলা হয়। মেলা আসলেই আমার মাথায় একটাই প্রশ্ন ঘুরতে থাকে, যে পরিমাণ গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ প্রকাশিত হচ্ছে তা দিয়ে কি আমরা সমাজ পরিবর্তন করতে পারছি? এর সমাধান আর মেলে না। মনে পড়ে হুমায়ুন আজাদের কথা।সবকিছু নষ্টদের...

বিনয় দত্ত

বিনয় দত্ত

কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক

গল্প

গল্প অশরীরি

অশরীরিজালাল উদ্দিন লস্কর মৃত্যুর পর শোক সভা হবে আগেই জানা ছিল।তাই নির্ধারিত দিনে নির্ধারিত সময়ের ঠিক একটু আগেই সভামঞ্চের কাছাকাছি এসে দর্শক সারিতে ঢুকে যায় রহিমুদ্দির অশরীরি আত্মা।আগ্রহ নিয়ে বসে থাকে।কখন সভা শুরু হয় আর কে কি বলে শুনবে বলে নিজের...

প্রবন্ধ

বাবু (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)

             হে মহর্ষে! আপনি কহিলেন যে, কলিযুগে বাবু নামে এক প্রকার মনুষ্যেরা পৃথিবীতে আবির্ভূত হইবেন। তাঁহারা কি প্রকার মনুষ্য হইবেন এবং পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করিয়া কি কার্য্য করিবেন, তাহা শুনিতে বড় কৌতূহল জন্মিতেছে। আপনি অনুগ্রহ করিয়া...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (৬)

২৬ কী করলাম—করছি কী          ভাবছি বসে তা জগতে কি আসা কেবল          খেয়েদেয়ে যাওয়া।  দেশ ছেড়ে যব দেশে দেশে          শেষসংবাদ পৌঁছে যাবে কীর্তিকলাপ ওঠবে ভেসে          চর্চা করবে জাহাঁ। কী করলাম—করছি কী        ...

কবিতা

এপিগ্রাম

এপিগ্রাম-হাফ-এ ডজনজালাল উদ্দিন লস্কর (১)বিপদের আভাসে বালিতে  মুখ গুঁজে উটপাখি-ঘোর বিপদে কেমন হয় বেমক্কা যদি তার উষ্ণ কোমল ঠোঁটে ঠোঁট রাখি!(২)অযুত নিযুত আশা খেলা করে যায় মনে-কি খেলা খেলে বিধি অলক্ষ্যে সংগোপনে।(৩) চমৎকার মনোলোভা কোনো ভোরেডাক দিও তুমি মনভোলানো সুরেসংগে সংগে  সাড়া দেবো...

উপন্যাস

লোকটাকে যেভাবে খুন করেছিলাম

আমি দেখেছি, এসব ক্ষেত্রে যদি কাউকে প্ররোচিত করা হয়, তার ফল উল্টো হতে পারে। ফলে, আমি জানতাম, সম্পর্কটিকে প্রেমের দিকে নিতে হলে এক ধরনের নির্লিপ্তি আমার দিক থেকে থাকতে হবে।

মেহেদি রাসেল

মেহেদি রাসেল

কাব্যগ্রন্থ নিরর্থ ঝিনুক [২০১১] ও তোমার দিকে যাই [২০২০]

গল্প

ভাঙা কাঁচ

লুকোচুরি কোন এক বিচিত্র কারণে মেয়েদের খেলা হিসেবে ধরা হয়। অথচ ধ্রুব হাই ইশকুলে পড়ার সময় পর্যন্ত লুকোচুরি খেলে এসেছে। পাড়ার বড় ভাইরাও  'হাইড এন্ড সিক' এ অংশগ্রহণ করতেন।ধরা যাক জায়গাটার নাম রূপসি পুকুর পাড়। সুন্দর রূপসি আর নেই। ভরাট...

প্রবন্ধ

সিলেটের মাটিতেই সমাধি হয়েছিল সিরাজের উত্তরাধিকারের

সিলেটের মাটিতেই সমাধি হয়েছিল নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার উত্তারাধিকারের : জালাল উদ্দিন লস্কর বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার রক্তের উত্তারাধিকার ময়মনসিংহের জমিদার পরিবারে হিন্দু পরিচয়ে বেড়ে উঠা যুগলকিশোর শুয়ে আছেন পূন্যভূমি সিলেটের মাটিতে!বাংলার ইতিহাস বদলে দেওয়া পলাশীর যুদ্ধ সম্পর্কে কম-বেশী ধারণা...

কবিতা

ফিলিস্তিনি শিশু

  ফিলিস্তিনের মানুষেরা ভাল নাই। শিশুদের বুকে গুলির আঘাত লাল রক্ত। বসরাই গোলাপের মত রক্ত শরীরে ফুটে থাকে। কচি দেহে ধাতব আঘাত হিংস্রতা বোঝে না। তবু কেন সহ্য করতে হয় নিষ্ঠুরতা। কার পাপের শাস্তি দিচ্ছ আধুনিক বিশ্ব। ইসরাইলের শসনকর্তাা কচি বুকের...

গল্প

শূন্যতার শুকতারা

সার্জারির এসোসিয়েট প্রফেসর ডাঃ এস আহমেদ বারের এক কোণে বসে আছেন, সামনে স্কচের বোতল। গ্লাসে দু'কিউব বরফ রাখতে রাখতে তার অহনার কথা মনে পড়ে গেল। অহনা এইভাবে কোক খাওয়ার আগে আইস-কিউব রাখতো, তারপর এক টুকরো লেবু দিত, শেষে ধীরে ধীরে কোক...

গল্প

গুপ্তচরীর ডায়েরি

১২ই মে’২০১৭গত পরশুদিন ১০ই মে ২০১৭ তারিখে আমি এই ফ্ল্যাটটিতে এসে উঠলাম। গোছগাছ সবকিছু শেষ করে হাতে একটু সময় পেলাম। এতদিনে ডায়েরিটা নিয়ে বসার সময় হলো। গতকালই ডায়েরিটা আমার ক্লায়েন্টের কাছ থেকে গিফট পেয়েছি। আমার ডায়েরি লেখার অভ্যাসের কথাটা কথা...

চিন্তা

ব্যাটম্যান আমাদের কী শিখায়?

~ ব্যাটম্যানের কাছ থেকে আমার পাওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সারসত্য ~৩০শে মার্চ ১৯৩৯ সনে Detective Comics #27 এ Bob Kane সৃষ্ট, ঘরে ঘরে পরিচিত বিখ্যাত ডিসি কমিক্স সুপার হিরো Batman এর অভিষেক হয়।ব্যাটম্যান তো বিভিন্ন কারণেই ঘরে ঘরে পরিচিত এক নাম।...

কবিতা

পালকভরা সূর্যাস্ত- বারো

জোসনার মধ্য দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে প্রশ্ন করলে তুমি, বলোতো জোসনা কী? আমি আলো-ছায়ার কল্পচিত্র মেখে নিলাম দু’চোখে। বললাম, জোসনা আসলে এক ধরনের সরাইখানা। শহরে হঠাৎ কোথাও বৃষ্টি হলে যখন হঠাৎ হঠাৎ দেখা হয়ে যেত আমাদের, তখনকার বিহ্বলময় প্রাপ্তির মতো তার...

কবিতা

পালকভরা সূর্যাস্ত- চৌদ্দ

কোন সে গভীরতা এঁকে দিচ্ছো তুমি ঘুমের ভিতর? যুগল নিঃশ্বাস থেকে উড়ে যাচ্ছে বৃক্ষের জীবন! তুমি বলছো ঘুম ও জাদু বিষয়ক আততায়ীদের কথা। বলছো, পাখিরা যখন ওড়ে তখন প্রতিটি সড়কদ্বীপে খুলে যায় দেবতাদের মুখ। মুখোশে মুখোশে রূপান্তরের কাঠিগুলো ওড়ে। পরী...

কবিতা

এই মায়াশস্য

এই মায়াশস্যের নিশ্চুপ হাওয়াএলোমেলো করে দেয়,যা কিছু থাকেরাতের নির্জনে গোপন দুঃখের মতো ঝরতে ঝরতেমিশে যায়হিম হিম বাষ্প হাওয়ায়বহুদিনপর এতদিনে জানা হয়ে যায়বিগত দিনের অজ্ঞাত অনুভূতিকতটা প্রজাপতি হয়ে আসে হাতের ছায়ায়চোখের ভেতরে চোখ নিয়ে বয়স বেড়ে যায়ঘাস, কলম ও বৃক্ষদানি জানেবসন্তের...

গল্প

যন্ত্রণার শেষ

একরত্তি মেয়েটা কিছু বোঝে না, শুধু জানে যা হচ্ছে তা ভালো না, আনন্দের না। সে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। কাঁদে, কেউ সেই কান্না থামাতে আসে না, বাড়ির বড়দের কথার ভিড়ে কেউ ছোট্ট মেয়েটার দিকে খেয়াল করে না। ঘরের একপাশে মেয়েটার...

গল্প

বিবর্ণ পাতার ভোরে

দরোজাটা খুলে গেলো। ওপারে মা দাঁড়ানো। এপারে আমি। আমার মুখের উপর মা’র চোখ পড়তেই তিনি আনন্দে চিৎকার করে উঠলেন। মা’র আনন্দিত মুখের এক অনাবিল আভা এসে আমার মুখে পড়তেই লক্ষ্য করলাম তাঁর চোখের কোণে বহুদিনের সুপ্ত বেদনার ঝিলিক। এই আনন্দ এই...

চিন্তা

আম রপ্তানি : সমস্যা ও সম্ভাবনা

পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফলের নাম জানেন? আমি জানি, আপনি জানেন। সবচেয়ে বেশি আঁশ কোন ফলে আছে। জানেন? আমি জানি, এটাও আপনারা ইতোমধ্যে জেনে গেছেন। তবে অনেকেই জানেন না আমের কত বিচিত্র নাম হতে পারে। যেমন ‘ইঁদুরচাটা’ আম। ‘আনারসি’ নামের...

চিন্তা

বই পড়ার হন্তাকারক কে ?

আজকাল প্রায়শই বিভিন্ন ফোরামে একটা কথা দেখা যায় যে আমাদের  বই পড়ার অভ্যাস কমেছে । এখন এই কমার ব্যাপারটা কি কোন গবেষনায় পাওয়া গেছে? নাকী আমাদের ধারনা ।  আবার যখন বই পড়া কমে গেছে বলি : আমরা কি সাহিত্য অসাহিত্য আলাদা করি...

কবিতা

কবিতা, মাকাল বসন্তে

মাতাল বসন্তেআশীক রহমানকারা যেন ক্ল্যারিওনেট বাজায়বেতাল ফুঁ দিয়ে,যৌনাবেদনময়ী প্রজাপতিরা নাচেমাতাল বসন্তে!বালকেরা বসে থাকে হৃতবাক-বোঝে না কিছুই!

আশীক রহমান

আশীক রহমান

স্বউদ্যোগ

কবিতা

কবিতা, মাকাল বসন্তে

মাতাল বসন্তেআশীক রহমানকারা যেন ক্ল্যারিওনেট বাজায়বেতাল ফুঁ দিয়ে,যৌনাবেদনময়ী প্রজাপতিরা নাচেমাতাল বসন্তে!বালকেরা বসে থাকে হৃতবাক-বোঝে না কিছুই!

আশীক রহমান

আশীক রহমান

স্বউদ্যোগ

প্রবন্ধ

মহানবী (সাঃ) এর মহানুভবতার ঘটনা

মহানবী (সাঃ) এর মহানুবভতার উদাহরণ এবং আজকের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা : জালাল উদ্দিন লস্কর  ১৪০০ বছর ধরে রক্ষিত খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের প্রতি নবীজির অঙ্গীকারনামা-৬২৮ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট ক্যাথরিন গির্জার একজন প্রতিনিধি মহানবী (সা.) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সুরক্ষা প্রদানের অনুরোধ করেন। মহানবী (সা.) ওই...

কবিতা

কবিতা, প্রতিদিন পূর্ণিমা

প্রতিদিন পূর্ণিমাআশীক রহমানকোথাও না-থাকে যদি, তবুমহিলা হোস্টেলের আকাশে থাকেপূর্ণিমার চাঁদ!জ্যোৎস্নার ক্রিম মেখেযুবতীরা রাধিকার বোন!যুবকেরা কৃষ্ণের ভাই,বাঁশির মোহন যাদুকরজন্মাবধি!রাত বাড়ে, ঘন হয়চাঁদের মদিরা, রিন ঝিন বেজে ওঠে আকাঙ্খার চুড়ি...কলরোল...নুড়ির সন্তুর!পুলিশের হুইসিলে সম্বিত হয়রাত্রি বারোটা এখন!

আশীক রহমান

আশীক রহমান

স্বউদ্যোগ

প্রবন্ধ

ফটোগ্রাফি সমাজ ও বিশ্লেষণ।

মানুষ কে দেওয়াই হইছে ভিজ্যুয়াল, অন্ধেরও হয়ত থাকে কালো স্ক্রিন। মানুষ চোখ দিয়ে যে ভিজ্যুয়াল দেখে সারাদিন তা রেকর্ড করে রাখা হলে বা দেখা গেলে  আমরা ভিডিও দেখতে পেতাম।  মানুষের জীবন ভিজ্যুয়ালের সমষ্টি।গতিময় ভিজ্যুয়ালের যে মালা দেখি তার মধ্যে স্থির...

কবিতা

নয়টি দুর্বল কবিতা

দৃষ্টিপাঠনতশিরে নিজেরগভীরে নিবিষ্টযে দৃষ্টি প্রগাঢ়;নমিত সে চাহনিপড়ে নিতে পারো।অবনত হয়—নত হতে আরো;মিশে যাওয়ারঅপেক্ষায় রয়;দ্রবীভূত মন কারো।জীবন্মৃতযখন কিছু ভাবতে আর ইচ্ছে না করেতখনও মনমরা দিনগুলো মনে পড়ে;গ্লানিবিষে মরেছি কতবার বাঁচার তরেবহু মানুষই এক জীবনে বারবার মরে!মৃত্যুবুকের ভিতর শুনেছি যার পদধ্বনিক্রমাগত আসছে...

ঈয়ন

ঈয়ন

গণমাধ্যমকর্মী

কবিতা

গন্ধচুরি ও হাওয়া নিরঙ্গম

ঘুমের ভেতরেও ঘুমিয়ে গেছিলাম... দেখি, একটা স্বচ্ছ সাদা কাঁচ ঘেরা ঘর। চারপাশে সৈন্য-সামন্ত। বেয়াড়া শতশত ফাইল এনে রাখছে আমার সামনে। কে আমি? সামনে বিশাল মার্বেল পাথরের টেবিলের উপর নেমপ্লেটে আমার নাম। মাথার উপরে প্রৌঢ় ফটো বাঁধাই করা। বিভিন্ন ট্যাগ বলছে— আমি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। অন্তত...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

কবিতা: কেন

মানুষ অস্ত্র বানালো: পৃথিবীর জন্য অস্ত্র কেন!তারপর ব্যবহার না করার প্রতিজ্ঞা করল,তবুও তো ব্যবহার করলো!মাটি পুড়লো, ঘাস পুড়লো, ফসল নষ্ট হলো!কে করলো?কেন করলো?আমি হাসি! প্রতিজ্ঞা করলে মানুষ কেন অস্ত্র বানালো?মানুষ অস্ত্র বানালো: মানুষের জন্য অস্ত্র কেন!তারপর মানুষ না মারার প্রতিজ্ঞা...

কবিতা

আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে

বাড়িতে কোন ভিক্ষুক বা তৃতীয় লিঙ্গ আসলেআম্মা সাধ্যমতো চাল দিয়ে কয়-"আমার পোলাডার লাইগা দোয়া কইরেন!"সালু কাপড় পরা কোনো আগন্তুক আসলেওআম্মা একই কথা কয়-কোনো মাদ্রাসার কালেকশনে বের হওয়াছোট ছোট সোনামণিকিংবা মুমূর্ষু কোনো রোগীর পাশে বসেও তাই।ভেবে দেখলাম এই জমিনের প্রতিটা বালুকণা,...

কবিতা

এই কি চেয়েছিল বাংলাদেশ

 পাখিদের কাছে শহর এক আতঙ্কের নাম-অন্তত মানুষের এই অহেতুক আমোদ ফুর্তির দিনেপাখি বলছি কেন?শিশুরাও কি নিরাপদ এই ফুর্তিবাজ শহরে?এই সভ্যতার নৌকা তো চায়নি পৃথিবী-যা কেবল ধ্বংসের দিকে ভেসে চলে দিনরাতযে আধুনিকতা মধ্যরাতে গগণবিদারী পটকায় মাতেফানুস পালটে দেয় আকাশের মানচিত্র।এই গণতন্ত্র...

কবিতা

প্রস্থান

আমাকে চিনে নেবে পাতার ছায়া, ফড়িংয়ের স্বচ্ছ ডানাঝিরিঝিরি যে বাতাস পৌঁছেছে লোকালয়ে-সে আনবে খবর, আমিও মানুষ ছিলাম তোমাদের বলয়েমাঠে, ঘাসে, সবুজের আহ্বানে মাড়িয়েছি সীমানা।হঠাৎ করে নেই হয়ে গেছি। যেন-ব্যথা বিহীন অপারেশনের মত!

কবিতা

বৈষ্ণবী

বাতাবি লেবুর প্রতি কোষের শপথ-আকাশরঙা দুপুরেআমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল।সরাইখানা বন্ধ হয়ে যাবে-এমন গন্ধ পাখিদের ঠোঁট ছুঁয়ে গেলেকাক ও কোকিলের গৃহযুদ্ধ বেঁধে যায়।বৈষ্ণবী তার ঝোলার আড়ালে লুকিয়ে রাখেতিব্বতি প্রণয়;আর আমরা ফিরে আসি সময়যন্ত্রের কাছে।যেখানে অতীত পড়ে আছে মুমূর্ষু প্রায়

কবিতা

জ্যোৎস্না বিলাস

পুঁটির পাখনায় ভর করে নেমে আসে রুপোলী জ্যোৎস্নাআর রাত বিরাতে ঝিঁঝিঁর বেপরোয়া গান;বাতাসের গুঞ্জন শুনি মফস্বলের ছাদেঠোট ছুঁয়ে নেমে আসে বয়েসি দুধের সর।ডানার ঝাপটায় শিশির ঝরে পড়ে-কিছু নিশাচরী পাখিদের চলাচলে;আর সব মিছে হয়ে যায় জাগতিক সন্ধ্যায়দুরে, তখনো শোনা যায় অস্ফুট...

কবিতা

হিসেব

আঙুল গুনতে থাকি-এক-দুই-তিন-চার-পাঁচডান হাত শেষ করে চোখ ফিরো‌ই বা হাতে;ছয়-সাত-আট-নয়-দশ।তোমাকে কতদিন দেখিনা সে হিসেব করছি এখন।না হাতের বিশ আঙুলে হিসেব মিলবে না।তোমাকে শেষ দেখেছি কত আগে-তা বের করতে করতেই আবিষ্কার করে ফেলি ক্যালকুলেটর!অতপর-ক‍্যালকুলেটরে সহজে দিনের হিসেব করতে করতে দেখি;তুমি ততদিনে...

কবিতা

পারস্যের শবনম

এক মুঠো স্বচ্ছ আয়ু মেখে ঘুমিয়ে পড়ি;বহুদিন ঘুম হয়না পরিমিত।ঘুমিয়ে পড়ি ভ্রমরের মত-নিঃস্তব্দ থেমে থাকে জীবনের ঘড়ি।আবার জেগে উঠতে হবে জানি,তখন আমি পাখি হয়ে যেতে চাই-উড়ে যাব ফেলে রেখে মানবীয় গ্লানি,উড়ে যাব ডানা মেলে দুচোখ যেদিকে চায়।পৃথিবী দিয়েছে অনেক, যা...

কবিতা

সাম্প্রতিক অতীত

কলতলার কাদার ঘ্রাণ মাখা হাঁসের ডানার তলে এখন সাম্প্রতিক অতীত, মুছে যাচ্ছে; ধীরে...বাইস্কোপের সাদাটে পর্দায়, কন্ডোম ব্যবহার বা বাল্য বিয়ের সচেতনামুলক নাটীকা উঠে গেছে কবেই।ধূসর হতে হতে হারিয়ে গেছে ক্যাসিও রেডিওর বাক্স।অথচ এখনো কালাকচুর পাকা লাল লাল ফল ঝুলে থাকে...

কবিতা

বিভ্রম

তোমাকে ভেজা শাড়ীতে দেখলে আমার ভীষণ পুরুষ হতে ইচ্ছে করে নীরু;শরীরে মীনগন্ধের আতর মেখে রাখো। আমি যুদ্ধ শেষে ফিরে আসি দুয়ারে তোমারকতটা অভুক্ত থাকতে পারে পাখিদের ঠোঁট-আমি জানতে চাইনি, শুধু প্রেম কেড়ে নিয়েছে কামাতুর দৃষ্টি! মদ ও মদিরায় তোমার স্রোত...

কবিতা

নিয়মবন্দি

মিথ্যে সংসার পেতেছো....আনাজপাতির সাথে নিয়তবেটে যাচ্ছ অপ্রকাশিত চাওয়াগুলো...ভাত বেড়ে, তাঁর বা'পাশে আঁচলেরবাতাস দিতে পারোনি তুমি।শিং মাছের ঝোল বাটিতেই পড়ে থাকে;অবহেলায়।অথচ, এইসব স্বামীসেবা তোমার প্রাত্যহিক স্বপ্ন ছিলো....তুমি নিয়মবন্দি হয়েছো;সংসারী হওনি!

কবিতা

আমি ক্লান্ত

আমি নির্বাসনে যেতে প্রস্তুত-পাহাড়ের গায়ে, সবুজের মাঝখানে শুয়ে;চাতক চোখে নীলাকাশ দেখতে,আমার একটুও কষ্ট হবে না।ব্যথাদের ভার বইতে বইতে আমি সত্যিই                                  অনেক ক্লান্ত;     ...

কবিতা

রমণীর আত্মহুতি

অতঃপর ভেসে যায় মেঘের ঘুড়ি,লাটাই সুতো পড়ে থাকে অগোছালো।রিক্ত হাতের রমণীটি দীর্ঘশ্বাস ফেলেছুটে যায় শূন্য পথে। একাকিত্বই একমাত্র সঙ্গী তার।দুর থেকে সবুজেরা ডাকে, সাজেকের টিলার মাথা উবু হয়ে থাকে।কচি শেওলার তলে কালোজল-রিক্ত হস্ত ধুয়ে দিতে চায়।লাটাই সুতো ছেড়ে আসা ছেলেটিমেঘের...

কবিতা

মনে পড়ে কী?

স্থির ঠান্ডা জলের উপরশীতল পাটির মত বিছিয়ে থাকাহাজার হাজার পদ্মপাতা আর-ডাঁটি দেখেছি কতশত বার।আর দেখেছি রঙ্গিন ডানার মাছরাঙালাফিয়ে পড়ছে অাদিগন্ত বিস্তৃতসেই সরোবরে।তোমার হালকা আকাশী রঙের শাড়ীর আঁচল আরখোলা চুল,সরোবরের উল্টো দিক থেকেছুটে আসা দুরন্ত-অশান্ত বাতাসউড়িয়ে ফেলছে আমারবা-পাশ আর মুখের উপর।কতবার...

কবিতা

জাগো নারী

আজ সময় হয়েছে জেগে ওঠারপ্রাচীর ভেঙে রুখে দাঁড়াবার।হয়েছো না হয় নারী,তাতে কী?সময় হয়েছে অবলা সমার্থক মুছে ফেলবার।তোমাকে জাগতে হবে,দক্ষতার শক্ত হাতে ধরতে হবে ভবিষ্যতের হাল।তোমাকে শিখতে হবে,সঠিক অধিকার তোমাকেই আদায় করতে হবেমর্যাদা রক্ষার দায়িত্বটাও তোমার।সীমার মধ্য থেকে তোমাকে হতে হবে...

কবিতা

পোস্টমর্টেম

এই ফিরে এসো! ফিরে এসো!ওদিকটায় যেও না।ঐ যে দরজার ওপাশে কাঁঠালি রং টেবিলটার 'পরে মেয়েটা পড়ে আছে,নিথর দেহ!মাথার খুলি, কপাল, বুক থেকে তলপেট অব্দি ফেড়ে রেখেছে আব্বাস ডোম।ময়নাতদন্তের এখনো কিছু বাকী!এত কাটাকুটি!

কবিতা

জীবন্ত লাশের জীবন

জীবন্ত লাশের জীবনচারিদিকে শুধু কর্পূরের গন্ধ।লাশের খোয়াড় এ পৃথিবী!জীবন্ত লাশের ভীড়ে আমিসফলদের গল্প ফেরি করি।আমিও যে লাশ!ভুলে যাই-আমিও মানুষ ছিলাম একদা।সময় স্রোতে ভাসি।বুকের ভিতরে পাহাড় ভাঙ্গে।চাপা পড়ে জীবন্ত লাশ হয় শতশত যুবক ও যুবতী।মন মরে যায়।ভালবাসা মরে না!ভালবাসা নিয়ে তাই...

গল্প

আনন্দ অশ্রু

- সাবধানে যেও ইভান।- হুম।- আর অফিস পৌছেই ফোন দিবা কিন্তু।- সে তো প্রতিদিনই দেই।- আমি বলে দেই বলেই দাও।- আচ্ছা মেনে নিলাম এবার আসি, অনেক দেরী হয়ে যাচ্ছে।- হুম, এসো।ইভান চলে যাচ্ছে আর মিমি গাল ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে,...

আব্দুল্লাহ আল তানিম

আব্দুল্লাহ আল তানিম

লেখক ও প্রকাশক

প্রবন্ধ

মুগল রাজকুমারী জেবুন্নেসার কাহিনী

ভালোবাসাই কাল হয়েছিল মুঘল রাজকুমারী জেবুন্নেসার : জালাল উদ্দিন লস্কর  অসামান্য কবি প্রতিভার অধিকারী ছিলেন বাদশাহ আলমগীর কন্যা জেবুন্নেসা। তার লেখা কবিতা গভীর অর্থ ও তাৎপর্য সমকালীন অন্যান্য কবিদের চেয়ে স্বতন্ত্র বৈশিষ্টে ছিল সমুজ্জল। কতিথ আছে যে একবার পারস্যের বাদশা স্বপ্নের...

কবিতা

নদীটা ভালোই আছে

কৈশোরে এক ষোড়শী বালিকা,আমাকে একটা নদী উপহার দিয়েছিল;বলেছিল—‘নদীটা যত্ন করে রেখো বুকের ভেতর।’তারপর পেরিয়ে গেছে বাইশ বসন্ত,ষোড়শী বালিকার কথা আমি রাখতে পারিনি!অবশ্য নদীটা এখনও আমার কাছেই আছে;বড়ো শান্ত শীতল এক নদী,যত্নেই রেখেছি—তবে বুকের ভেতরে নয়;সে নদী পোষ মেনেছে—আমার অবিশেষ দুই...

Abdullah Noman

Abdullah Noman

কর পরিদর্শক

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (৭)

৩১ ‘কপাল’ ‘কপাল’ করে সান্ত্বনা কপালে বিধি লিখেননি অজ্ঞতা, ‘ভাগ্যে যা আছে ঘটবে ঘটনা’          বদলায় না অমন বিধিলেখা।           বরাতের পরে নির্ভর করে          বসে থাকলে হবে কি ঘরে? চেষ্টা যদি হয় না অত তা      ...

গল্প

গল্প কোরবানী

 কোরবানীজালাল উদ্দিন লস্কর সে বার কোরবানী দিতে পারেন নি বারিক মাস্টার।অভাবের বছর।মাস্টারি করে যে সামান্য বেতন পান তা দিয়ে সংসারই ঠিকমতো চলে না।বাপ-দাদার সূত্রে কিছু জমিজমা থাকায় রক্ষা।প্রচন্ড খরায় ফসলহানীর কারনে এলাকার লোকজনের ভোগান্তির শেষ ছিল না।খেয়ে না না খেয়ে অনেককেই...

গল্প

পরির খাল

 পরির খাল মামুন মুস্তাফা  বরগুনা সদর থেকে একটি লক্কর ঝক্কর মার্কা লোকাল বাস বিকাল ৫টায় হেলে-দুলে গড়িয়ে গড়িয়ে পরির খালে এসে দাঁড়ায়। এ বাসের যাত্রীরা সব পরির খাল পার হয়ে যাবে তালতলি জলথানায়। পারপারের মাধ্যম একমাত্র শ্যালো নৌকা যা ট্রলার নামে পরিচিত।...

সত্তাশ্রয়ী

জোড় বিজোড়

খেলিতে বসিয়া যদি খেলার প্রতিপক্ষ না পাওয়া যায়, কিংবা খেলিতে খেলিতে প্রতিপক্ষ যদি বলে আর খেলিব না, অথবা খেলার সময় এক পক্ষের যদি খেলায় মন না বসে—তাহা হইলে খেলা আর খেলা থাকে না, শুধু দিন যাপনের, শুধু প্রাণ ধারণের গ্লানি...

চিন্তা

কেমন পাঠক চাই

আমি ধারাবাহিক লিখে পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারি না আসলে।  এটা আমার ইচ্ছাকৃত অপারগতা বলা যায়। হয়ত চাইলেই পারা যেত কিন্তু আমি খুব একটা চাই না। দ্বিতীয়ত চাইলেও যে সময়ের কারণে খুব একটা পারতাম সেটাও বোধকরি সত্য না। তাহলে আমার পাঠক...

গল্প

একটু একটু করে

বেশ খানিকক্ষণ ধরে এক জায়গাতেই দাঁড়িয়ে আছে শেফা। কারওয়ান বাজারের একটা ওভারব্রিজের নীচে। বৃষ্টির জন্য কায়দা করে একটা জুতার দোকান ঘেঁষে দাঁড়াতে হয়েছে। রাস্তাটা এখন কিছুটা নদীর মতো লাগছে। দোকানের দেয়ালে হেলান দেয় শেফা। বাসগুলো শো শো শব্দ তুলে ছুটে...

গল্প

সেদিন ছিল অবেলা

সকাল সকাল গোছল সেরে এসে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছিল মাধবি। একটু পরেই ছুটতে হবে রান্নাঘরে। তারপর সকালের নাস্তার পাট চুকিয়ে স্বামী আর ছেলেকে যার যার কাজে বিদায় করেই নেমে পড়তে হবে দুপুরের আয়োজনে।  এসব সারতে সারতেই সারা শরীর আবার ঘামে...

গল্প

অচেনা শহরের গল্প

জাহাজটা বিকট শব্দে বেজে উঠলো, টানা সাইরেন বাজিয়ে যাচ্ছে। নদীতে ছোট ছোট নৌকা গুলো যে যার মতোন সরে যাচ্ছে। এখানে ব্রিজ নেই। নদী পার হতে হয় ছোট ছোট নৌকায়, তাই সবসময় এখানে নৌকার জটলা লেগেই থাকে। ঘাট থেকে বেশ খানিকটা...

গল্প

পথ শেষে যে পথ মিলেছে

ভালুকা ভালুকা... ভাবনায় ছেদ পড়ে কন্ডাক্টরের ডাকে। অন্ধকার মতোন জায়গায় বাস থামে। দূরে শহরের তীব্র আলোকসজ্জা দেখা যাচ্ছে। এক মিনিটের হাঁটা পথ। পলাশ ফোনটা বের করে হামিদ কে ফোন করলো। বন্ধ। এতক্ষণ তো খোলাই ছিলো । দুজন অপেক্ষা করছে, তার...

গল্প

নদের চাঁদ

মাগুরায় মধুমতী নদীর তীরে ‘নদের চাঁদ ঘাট' নামে একটি ঘাট আছে। সেটির নাম পরিচয় নিয়ে এক করুণ অলৌকিক কাহিনী প্রচলিত আছে। কাহিনীটি হলো, ‘নদের চাঁদ' বলে একটি লোক ছিল। সে কামরূপ গিয়ে কীসব মন্ত্রতন্ত্র শিখে আসে। এমন মন্ত্র সে শিখেছে,...

কবিতা

আমার কোনো পাপ বোধ নেই

এই সব বিবর্ণ সকালরোদ্দুর ঘুমে অলস যাপন।পিছুটানে ছুটে যায়, হেমন্তের শিশির।চোখ বুজে থাকি, দেখি না।মরচে পরা বিকেলের গায়ে আলতো ছোঁয়ায়কৃষ্ণকলির ঘুম ভাঙিয়ে বলতে চাই না,এই জন্ম তোমার আমার।ধূসর বিষণ্ন সময়।বেহারার দল শকুন গিলে দাঁড়ায়,ও কাঁধে আর প্রেম বাইব না।আমিও তাদেরই...

গল্প

মধ্যে বেলার শিকারি

কতক্ষণ পর চেতনা ফিরে এসেছে তা জানি না। অন্ধকার চোখে সয়ে গেছে আগেই। এক মুহূর্ত লাগে সব কিছু মনে করতে। কপালে জ্বালাপোড়া করছে, বোধহয় খানিকটা কেটেও গিয়েছে। ঠিক কীসের সাথে ধাক্কা লেগেছিলো তখন ? মনে মনে নিজেকে প্রশ্ন করে বুঝতে...

গল্প

রখতক-নিশানা

 এক দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় সে, এক নম্বর ঘরের দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে ভেতরে যা দেখে তাতে অবাক হয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। ঘরের ভেতরে আজ দুপুরে মোমিনের সাথে দেখা হওয়ার নাটকটি মঞ্চায়িত হচ্ছে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে রশিদ, পেছন দিক...

গল্প

গ্রামের নাম বিলাসপুর

মজনু মজনু ...স্যার মজনু নাই।কে? করিম?জে স্যার।বাইরে কেন, ভিতরে আয়।সন্তর্পণে মৃদু পায়ে ছইয়ের পর্দা সরিয়ে ভেতরে এলো করিম। বড় নৌকা, নাম বিলাসপুর, আশেপাশের দশ গ্রামের মানুষ একে চেনে ‘শিকদারের বজরা’ নামে। যত মানুষ যমুনার এই ঘাটে গোসল করতে আসে, সকলে...

গল্প

মুচিমিয়ার আকাশভ্রমণ

আইজ এক'খান ছুডো গপ্প কবো। এক গ্রামে এক গরীব মুচি বাস করতো। দিন আনে দিন খায়। একবার সে আকাশে প্লেন উড়তে দেখলো৷ এর আগে অনেকবারই দেখেছে। তয় সেবার কেনো জানি  প্লেন ওড়াটা তার নজরে ইস্পেশাল ভাবে গুতা দিলো। তার মনে সখ...

কবিতা

বৃষ্টি হতে চাই বাদলার দিনে

 তাহলে তুমি নিচ্ছো না সমুদ্রের আলপনা? পাহাড়েই বসত গড়বে,বর্ষা হয়ে বাদলার দিনে তোমার চিবুক আর ছোঁব না? এক পৃথিবী হাঁসের পাখা-আমি তার উপর পিছলে পড়া জল,জানোই তো তোমায় দেখব বলে করি লক্ষ ছল। দুই চোখেতে ঘুম মাখো প্রতি রাতে,রাত এখানে দিন দেখে নিদ্রাহীনএক ঠায়...

গল্প

মেয়েটিকে আমি চিনতাম

মোহাম্মদপুর বাবর রোডের ৩১০ নং এপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করা হলো লাশটিকে। একটি মেয়ের লাশ। সাড়ে পাঁচ ফুট উচ্চতার ঝকঝকে চেহারার এক গৌরবর্ণা তরুণী। চোখেমুখে অকাতর বৈভবের ছাপ স্পষ্ট। সেই বৈভবকে ছাপিয়েও কোথায় যেন একটা সকাতর মিনতি ইতিউতি উঁকিঝুকি মারে। সেটা...

গল্প

শো অফ

সেই সাড়ে চারটা থেকে সেজেগুজে পটের বিবি হয়ে বসে আছে অরনী। এতো দীর্ঘ সময় ধরে মুখে ঘষে ঘষে মোজাইক প্লাস্টারিং সে অনেকদিন করে না। স্বামী শিশিরের ঔদাসীন্যে সাজগোজের প্রতি আকর্ষণ তার একেবারেই চলে গিয়েছিল। বিয়ের পরে প্রথম প্রথম একটু সাধ আহ্লাদ...

গল্প

ইন্সপিরেশন

বেশ আয়োজন করেই রঞ্জন আজ লিখতে বসেছে। রঞ্জন- পুরো নাম রঞ্জন চৌধুরী। ইতিমধ্যেই এ শহরে লেখক হিসেবে মোটামুটি পরিচিত। কতটা ভালো লেখে সে তা জানে না। কিন্তু একটা জিনিস প্রায়ই খেয়াল করে যে কোনো পত্রিকাই তার লেখা ফিরিয়ে দেয় না।...

গল্প

নীল নয়না

গোধূলির নিভু নিভু আলোতে হোস্টেলে পা রাখে রিমু। নিচ তলা ছাড়তেই বাইরে দমকা হাওয়ার জোর তর্জন-গর্জন শোনা যায়। বিকট শব্দে কাছে কোথাও বজ্রপাত হয় সাথে সাথেই হোস্টেলের আলো নিভে যায়। শনশন শব্দে বাতাসের সাথে ধেয়ে আসে বৃষ্টি। আলো-আঁধারি করিডোর দিয়ে...

নন ফিকশন

অর্থনীতি বিষয়ক সংজ্ঞা

নিট উপাদান আয়একটি দেশের নাগরিকগণ বৈদেশিক বিনিয়োগ ও শ্রম থেকে যে আয় করে এবং বিদেশি নাগরিকগণ আলোচ্য দেশে বিনিয়োগ ও শ্রম থেকে যে আয় করে এ দুয়ের বিয়োগ ফলকেই নিট উপাদান আয় বলে।ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগবিধিভোক্তা কোনো একটি দ্রব্য যত বেশি...

কবিতা

নিরানব্বই নম্বর প্রেমিকা

নিরানব্বই নম্বর প্রেমিকা .নিরানব্বই নম্বর প্রেমিকা হারিয়ে গেলে একশ তিন দিন শোক পালন করুন। কিংবা সৎকারে অংশ নিয়ে আপনি চলে যেতে পারেন স্পেনে। হ্যাঁ, আপনার খানিকটা আফসোস থাকতেই পারে বরং এভাবেই ভাবুন—আপনি শতকের দিকেই এগিয়ে গেলেন! জানেন তো, ঋতু সংহারে নতুন কলিও ডানা মেলে।আপনাকে...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

খন্ডিত বাঙলা

দুম করে একটা পানশালায় ঢুকে পড়লো আমার মাথা। হাত বলছে বোতল ছোঁবো না, জিহবা বলছে স্বাদ নাও। মস্তিষ্কের দাবি—তার পান করা জরুরি। সরাইখানার শেষপ্রান্তে রবীন্দ্রনাথের সাথে শেখ মুজিব, আইনস্টাইন, জুলিয়াস সিজার, নিউটন, ম্যারাডোনা, পেলে, হোমার, সক্রেটিস আর চে গুয়েভারাকে দেখতে পেলাম। একটেবিল থেকে আরেক টেবিলে...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

চিন্তা

হিউমার একটি ডার্ক বিষয়

হিউমার প্রায় সবসময় ডার্ক। যত ডার্কনেস তত হিউমার। যাকে নিয়ে হিউমার করে সবাই হাসাহাসি করে সেও সবার সাথে হাসে তবে তার হাসি এবং বাকিদেরটায় মাইলের পর মাইল দূরত্ব থাকে। তার হাসির মধ্যে থাকে বেশিরভাগ সময় অপ্রস্তুত অবস্থা লুকোনোর চেষ্টা। এজন্য‌ই কৌতুক...

চিন্তা

দারুচিনি দ্বীপ ও লিডারশিপ

দারুচিনি দ্বীপ সিনেমায় শুভ্রের বাবা যখন শুভ্রকে লিডারশিপ শেখাচ্ছিল- তখন খুব মূল্যবান একটা ইনসাইট দেয়।.শুভ্ররা ঘুরতে যাবে। শুভ্রের বাপ বুদ্ধি দেয়- 'যখন সবাই স্টেশনে টিকেট কাটতে যাবে, টিকেটের বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে, তখন তুমি ওদেরকে একটা ফার্স্ট ক্লাস বগি অফার...

বাংলা সাহিত্য

আন্দোলনের পটভূমিতে বাংলা সাহিত্য

  বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১. “দুর্গেশনন্দিনী” ষোড়শ শতকের শেষে উড়িষ্যার অধিকার নিয়ে ৯৯৭ বঙ্গাব্দে মোগল - পাঠানদের আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত।২. “চন্দ্রশেখর” মীরকাশিম ও ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর দ্বন্দ্বের পটভূমিকায় কাল্পনিক প্রেম কাহিনী প্রাধান্য পেয়েছে।৩. “আনন্দমঠ” ৭৬ এর মন্বন্তর ও সন্ন্যাসী বিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে উপন্যাসটি রচিত।     ...

গল্প

ক্রসফায়ার

অধায় একদেখ লোকটা দেখতে জগা পাগলার মতো কথাটা বলেই সাদেক পত্রিকাটা এগিয়ে দিলো তোরাব আলীর দিকে। তোরাব আলী হাত বাড়িয়ে পত্রিকাটা নিলো। ছবিটার দিকে তাকিয়ে দেখলো কিছুক্ষণ 'হ মুখের ডাইন পাশটা অনেকটা জগা পাগলার মতো। তয় বাম পাশটা দেইখা কিছু বোঝোন যায়না' বলে...

Sahadat Russell

Sahadat Russell

চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক

গল্প

নয় নাম্বার প্লাটফর্ম

কিরে শুয়ারেরবাচ্চা কয়ডা ডাক দিছি কানে যায়না ? কথাটা বলেই কুলি সর্দার বদরুল মিয়া চিকনার মাথায় একটা থাপ্পড় দিলো। দৃশ্যত চিকনাকে রেলস্টেশনের দক্ষিণ পাশের এই লোহার পিলারের সাথে আমরা বসে থাকা অবস্থায় দেখলেও চিকনা এখানে ছিলোনা। চিকনা যখন গাঁজায় দম দেয়...

Sahadat Russell

Sahadat Russell

চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক

গল্প

পারাপার

গ্রামের সবচেয়ে প্রবীণ নিবারণ সাধুর সাথে আলাপ করেও হাস্নাপুর গ্রামটার নামকরণের ইতিহাস জানা যায়নি। আমরা ধরে নিই হাসনাহেনা ফুলের নাম থেকেই এই গ্রামের নাম করণ করেছিলেন কোন ফুলপ্রেমী জমিদার। বাংলাদেশ আর ভারতের বর্ডারের কাছাকাছি গ্রাম। কাছাকাছি মানে হরিপদ সাহুর বাড়ী...

Sahadat Russell

Sahadat Russell

চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক

গল্প

নকশীকাঁথা

শিউলির আজ রাতে ঘুম আসবেনা। বারবার কাঁথাটাকে বুকের সাথে চেপে ধরছে। একজন মানুষ যদি এতো সুন্দর করে সামান্য একটা কাঁথার প্রশংসা করে তবে তো আনন্দে কিছুটা ঘুমহীন থাকার মতো অবস্থা হতেই পারে। চোখদুটো মনে হচ্ছে হাজারো কথা বলার চেষ্টায় ছটফট...

Sahadat Russell

Sahadat Russell

চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক

গল্প

কালামের মা

‘দশমাস গর্ভে ধইরা যেই পোলারে জন্ম দিলাম। পাইলা বড় করলাম হেই পোলার মরামুখ আমারে দেখতে দিবোনা এইডা কেমুন বিচার’ এই ভাবনাটাই কালামের মায়ের মাথা থেকে যাচ্ছেনা। কালামের মা মানে কালামের মা। কালামের জন্মের পর থিকা এই নামের বাহিরে কেউ তাকে অন্য...

Sahadat Russell

Sahadat Russell

চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক

গল্প

জীবন এক সুস্বাদু হেমলক

পদ্মা নদীর এই দিগন্তবিস্তৃত জলরাশির উত্তাল রূপের ভেতর থেকে এক শান্ত স্নিগ্ধ রূপ বেড়িয়ে আসে এইসব রাতে। এইসব রাত মানে যেমন আজকের রাতটা। আকাশ জোড়া বিরাট এক চাঁদ। যদিও শীতের শুরুতেই এবার কুয়াশা পড়েছে । ঢাকা শহরের ইটের ফাঁক গলে...

Sahadat Russell

Sahadat Russell

চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক

গল্প

খেলা অথবা জীবনের গল্প

শীর্ণকায় একটা ছেলে গোল করে লাফ দিয়েই উঠে পড়ল রোনালদিনহোর কোলে। ধারাভাষ্যকার বললেন, রিমেম্বার দা নেইম লিওনেল মেসি।  তাহিরও গোলটা দেখে লাফ দিয়ে উঠল। শুয়ে ছিল ড্রয়িং রুমে, মনের একটা অংশ চেষ্টা করছিল ঘুমানোর, তবে চোখ ছিল টিভিতে। বাসায় ডিশ এসেছে...

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ

কথাসাহিত্যিক ও চিকিৎসক

গল্প

এবং বাবা

কলাবাগান থেকে বাসে চড়েছি। সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে আছি। রাস্তায় খুব জ্যাম। আমার সামনের সিটে বসে এক মধ্যবয়সী পুরুষ জোরে জোরে বকবক করছে আর দেশের সিস্টেম আর ট্রাফিকজ্যামের গুষ্টি উদ্ধার করছে। একটু পরপর বাস ড্রাইভারকে লক্ষ করে বলছে "আরে মিয়া একটু...

Sahadat Russell

Sahadat Russell

চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক

গল্প

জীবন এক সুস্বাদু হেমলক

পদ্মা নদীর এই দিগন্তবিস্তৃত জলরাশির উত্তাল রূপের ভেতর থেকে এক শান্ত স্নিগ্ধ রূপ বেড়িয়ে আসে এইসব রাতে। এইসব রাত মানে যেমন আজকের রাতটা। আকাশ জোড়া বিরাট এক চাঁদ। যদিও শীতের শুরুতেই এবার কুয়াশা পড়েছে । ঢাকা শহরের ইটের ফাঁক গলে...

Sahadat Russell

Sahadat Russell

চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (৮)

৩৬ মহাত্মারা কেমন ছিলেন          কে কেমনি মহৎ কত হয়তো আমার পিতার মতো।          চলে-বলে কেমন ছিলেন                   কে কেমনি নম্রনত          হয়তো আমার পিতার মতো॥  তাদের যাপন কেমনেতে    ...

কবিতা

তবে তাই হোক

চলো, কোথাও যাই এবারসব অভাব ছুড়ে ফেলেস্বভাবের নৌকা চড়ে বেড়িয়ে আসি কিছুদূর―মুখোমুখি বসি কিছুক্ষণখুলে ফেলি জমানো দুঃখের বোতামউন্মুক্ত হ্রদে সাঁতার কাটো তুমি...চলো, কোলাহল মুখর রাতেশোকাতুর দিন হাতে                    তাকিয়ে থাকি তোমার দরোজায়;যেন...

গল্প

ধৃতরাষ্ট্রের জীবনবৃত্তান্ত

মহাভারতে দুর্যোধনেরর পিতা ধৃতরাষ্ট্রের কথা বলা হয়েছে।             ধৃতরাষ্ট্র জন্মান্ধ ছিলেন। মহাভারতে বর্ণিত আছে যে,  সত্যবতীর দুই ছেলের অকাল মৃত্যু ঘটলে সত্যবতীর আদেশে পরাশর মুনির ঔরসে কুমারি বয়সে গর্ভজাত পুত্র ব্যাসদেব অম্বিকার সাথে মিলিত হন।      ...

কবিতা

আরোগ্য নিকেতন

আরোগ্য নিকেতন  ❑ বহুদিন আলিঙ্গন জোটেনি যার সেইই প্রকৃত প্রেমিকজড়িয়ে ধরার মতো বন্ধু নেই যার সেইই একমাত্র ঈশ্বর। বহুবার গাছকে প্রশ্ন করেছি, বহুবার পাখিকে করেছি দৃশ্য অনন্তপ্রদেশ ছেড়ে মোহিনীর বুকের কাছেঅলিন্দে ও অন্দরে যারা নিয়মিত যাতায়াত করেযারা জলের শব্দ শুনেছে মরুভূমির ভেতর—তাদের বুকেও নদী...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

চর্যা

যদি কোনো মহতের কথায় মনে প্রত্যয় না জাগেতবুও মনের দ্বিচারী স্বভাবকে পুষ্টি যোগাবে না।খ্যাতির জন্য শিখবে না, অনর্থক কথা বলবে না।শ্রেষ্ঠত্বের আশা, ভুল একবারে বর্জন করা যায় না।শব্দ আঁকড়ে না থেকে নৈঃশব্দ অন্তরে বাস করো।অন্যকে শেখানোর আগে নিজের মনে জাগাও।শুরু...

যিশু মুহম্মদ

যিশু মুহম্মদ

কবি ও প্রাবন্ধিক

কবিতা

আদিবাসী বৃক্ষ

আদীবাসী বৃক্ষ❑একটা বিষন্ন রাজহাঁস দেখে ঘুমিয়ে গিয়েছে পুকুর। খননবিদ্যায় একদল মানুষ তুলে নিয়েছে গাছেদের-মাছেদের গভীরতা, শেকড় আর স্বর।কিছুকাল আগে মনের গুহায় পুষেছিলাম অজস্র ব্যাঙ আর একটা সাপ। সাপটা ফনা তুলতো আর ব্যাঙ ধরে খেত। প্রতিবার সাপের শিকার হতে ব্যাঙটার ভাল লাগতো না। সাপটা ধীরে ধীরে...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

গল্প

আধুনিক পৃথিবী

বাসার কাজের মেয়েটা হঠাৎ প্রেগন্যান্ট হয়ে গেছে। জানি, এই কথাটা জানার পর থেকে আপনারাও আমাকে সন্দেহের চোখে দেখা শুরু করেছেন। তাতে আমার আপত্তি নাই। ষোল বছর ধরে ঘর করছি যে মেয়ের সঙ্গে সেই যখন সন্দেহের চোখে দেখছে তখন আপনাদের আর কী...

মাহবুব মোর্শেদ

মাহবুব মোর্শেদ

কবি, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক

গল্প

মোফাখখারের বউ

বিষয়টা এখন মোটামুটি ক্লিয়ার। আর কেউ না হউক, নিধি এই বিষয়ে নিশ্চিত। সোমবার দুপুর বেলা ডালে বাগাড় দিতে গিয়া প্রথম তার মনে হয়- ডাল মে কুচ কালা হ্যায়। ডালের মধ্যে ভাসতে থাকা বেরেস্তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকায়ে নিধি উচ্চারণ করে-...

মাহবুব মোর্শেদ

মাহবুব মোর্শেদ

কবি, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক

গল্প

সোনা

সকাল সকাল মিল্টনকে খুব বাজে একটা গালি দেওয়ার ইচ্ছা করলো ফাহমিদার। ঘুম থেকে ওঠা থেকে অফিসে রওনা দেয়া পর্যন্ত নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় নাই তার। চুলায় রান্না উঠিয়ে নিজের ব্যাগ গোছাও। বান্না ও বিনতিকে উঠিয়ে দুজনকে দুই বাথরুমে পাঠাও। ওদের নাস্তার...

মাহবুব মোর্শেদ

মাহবুব মোর্শেদ

কবি, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক

গল্প

ছোটগল্প -সময়

ছোট গল্পসময়বিশ্বজিৎ দাসএক.‘ দাদা ঘুমিয়েছেন? ’ মাঝরাতে আমাকে ডেকে তুলল অর্ণব।ফার্স্ট ইয়ার অনার্সে পড়ে। আমাদের মেসের নতুন সদস্য। মাসখানেক হলো মেসে এসেছে।‘ কিছু বলবে?’ বরাবরই ঘুম পাতলা আমার। একটু ডাকলেই ঘুম ভেঙে যায়। মনে মনে বিরক্ত হলাম।‘ আপনার সঙ্গে একটা...

Bishwajit Das

Bishwajit Das

সহকারী অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান,দিনাজপুর সরকারি কলেজ

গল্প

গল্প-মিলি

#মিলি (১)ল্যাপটপটা বন্ধ করে প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে মেয়ের দিকে তাকালো মিলি। তনু স্কুল থেকে ফিরে ভাত খেয়ে ঘুমিয়েছে। হিসেব মতো, দুই ঘন্টা পর ওঠার কথা। মিলি খেয়াল করে দেখেছে, যেদিন তার কাজ থাকে সেদিনই সব অঘটন কাজ ঘটে। অন্যদিন তনু...

সুরভী হাসনীন

সুরভী হাসনীন

লেখক, আবৃত্তিশিল্পী

কবিতা

ফুলেদের আয়ু থাকে না

ফুলেদের আয়ু থাকে না.সমস্ত দুপুর খুলে তোমার কোলের বারান্দায় শুয়ে থাকি। মৃত্যুর গরিমায় টালমাটাল ঘ্রাণ ময়দানে ছায়া টেনে তারস্বরে চেঁচায় অবনত বৃক্ষ। ফলের শ্বাস ও ফুলের পতনে হুক খুলে দারস্থ হয় মধ্যরাতের বিস্তারিত গল্প। লাল লাল কোয়া নিয়ে নরম ডালে ডালিম প্রার্থনা করে...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

গল্প

গরু বিষয়ক একটি আদিবাসী লোককথা

গো-হত্যা উৎসব ম্রো আদিবাসী সমাজে সর্ববৃহৎ সামাজিক অনুষ্ঠান। সাধারণত এ উৎসব আয়োজন করা হয় ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাসে যখন তাদের বাৎসরিক ফসল উত্তোলন শেষ হয়।আবার গৃহের রোগ মুক্তির কামনায়, গৃহ শান্তি ও উচ্চ ফলনের আশায়ও ‘থুরাই’ বা সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে মানত...

বিশ্ব সাহিত্য

গ্রন্থপাঠ: রিপ্রেজেন্টশনস্‌ অব দ্য ইন্টেলেকচুয়াল

"বুদ্ধিজীবী হচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি, যিনি জনগণের জন্য সোচ্চার এবং মতামত, মনোভাব ও দর্শন উপস্থাপন ও গ্রন্থবদ্ধ করতে বদ্ধপরিকর।"- এডওয়ার্ড ডব্লিউ সাঈদ  বিবিসি রেডিওতে ১৯৯৩ সালে ফিলিস্তিনী-আমেরিকান তাত্ত্বিক ও বুদ্ধিজীবী এডওয়ার্ড ডব্লিউ সাঈদ (১৯৩৫-২০০৩) কর্তৃক প্রদত্ত ছয়টি 'Reith Lectures' এর...

গল্প

আমার বিখ্যাত ছাতা।

images2.jpg 33.48 KBএই বর্ষাকালে ছাতা, নিঃসন্দেহে একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।তবে ছাতা নিয়ে সবচেয়ে বেশী বিভ্রান্তিতে পড়ার অভিজ্ঞতা মোটামুটি সবার আছে৷দেখা যাবে যে দিন ছাতা নিতে ভুলে গেছেন ঐ দিনই প্রবল বৃষ্টি হবে৷আবার সারাদিন ছাতা বগলদাবা করে নিয়ে ঘুরলেও ঐ দিন বৃষ্টি...

বাংলা সাহিত্য

নজরুলের প্রেমপত্র

‘বিদ্রোহী কবি’ কাজী নজরুল ইসলামের প্রধান পরিচয় হলেও তিনি একজন প্রেমিক কবিও বটে। নজরুল সাহিত্যধারায় দ্রোহের পাশাপাশি প্রেমের অপূর্ব সম্মিলন ঘটেছে যে তারুণ্যের জোরে তাঁর শির চির উন্নত-চির দুরন্ত দুর্মদ সেই তারুণ্য বন্ধনহারা ষোড়শী কুমরারীর প্রেমেও উদ্দাম, চঞ্চল মেয়ের ভালবাসায়...

উপন্যাস

পত্রোপন্যাস ।। গুহা (পর্ব- তিন)

শুক্রবার১১ জুন ২০১০ খ্রি.শেষ বিকেলমোল্লা কুটিরপটুয়াখালি।শুভ্রআজ আমাদের অফিস নাই। সে তার বড় দুই কন্যাকে নিয়ে বেড়াতে গেছে। আমাকেও বারবার যাওয়ার বলছিলো। আমি বলেছি শরীর খারাপ। সে জন্য আর টানাটানি করেনি। ছোট মেয়েটা কাজের মেয়ের কোলে অচেনা ভাষায় গান করছে। আমি...

গল্প

মুসকান ভিলায় একরাত

মুসকান ভিলায় একরাতইসহাক তুহিনইচ্ছে করছে ফুটপাতে বসে একটু জিরিয়ে নিতে। সাত ঘণ্টার ক্লান্তিকর জার্নি শেষে একটু আগেই বাস থেকে নামল ওরহান। শরীরটা একেবারে কাহিল। একবার ভাবল মুসকানকে কল দিয়ে বাড়ির ঠিকানাটা জেনে নিবে কিনা। কল দিয়ে লাভ নেই। রিসিভ করবে...

কবিতা

নিমফুল, শূন্যদশক ও অন্যান্য গান

পানিতে চাঁদের আলো ছলছল করে।"নদীপাড়ে কোনো জীবন কাটালে এর আরাম টের পাওয়া যেত…" ওকে বলি।কীসের পানি? কোন নদী-ই বা? শীতলক্ষ্যা?  ভাবি, জীবন এমনই কাল্পনিক স্থির-চিত্রসমগ্র।দূরপাল্লার বাসে— দোলনচাপার ঘ্রাণ। এখন শরৎকাল। শুনেছি, স্পেনীয় উপনিবেশ আমলে নারীরা দোলনচাপায় গোপন কথা চালতো। সেসব বুঝি না আজও। কেন মেঘনার চরের দিকে...

কবিতা

বয়স যাত্রা

১.বয়সের ভাড়ে নত হয়ে পড়িবয়স আমাকে নিয়ম করে খায়;যেমন নিয়ম করে খেয়েছিল কোনো এক প্রকৃত প্রেমিককেতাঁর সুন্দরী প্রেমিকার নামে দেওয়া দিব্যি। ২.আচ্ছা, দিব্যি গেলে কী প্রেমিকার দেহ পাওয়া যায়কিংবা অমরত্বের জন্য অমৃত?আমার বয়স অহেতুক বেড়ে যায়,আমি কিশোর থেকে যুবক, যুবক থেকে...

প্রবন্ধ

বাংলাদেশের গ্রন্থাগার কাণ্ড ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

বাংলাদেশের গ্রন্থাগার কাণ্ড ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথাজি এইচ হাবীব বাংলাদেশের গ্রন্থাগারের প্রসঙ্গ এলে উমবের্তো একো রচিত বিখ্যাত উপন্যাস গোলাপের নাম –এর কথা মনে পড়ে যায়। পাঠক জানেন, চতুর্দশ শতকের তৃতীয় দশকের শেষ দিকে ইতালির একটি মঠের সাত দিনের ঘটনা নিয়ে লেখা...

কবিতা

প্রেমিকার মৃত্যু

প্রেমিকার মৃত্যু আপনি এখনো স্বপ্নের মধ্যে এলে আমি অন্যমনস্ক হয়ে যাই—অমন করে পাহাড় থেকে ঝাঁপিয়ে পড়তে কে বলেছিল?পাদদেশ আর কতটা নাগাল পেয়েছিল বলুন!রঙ মাখানো সবুজ শরীর তো ছড়িয়ে গেল লাল…!আপনি টিয়া হয়ে টিমটাম নেমে এলেনমনের খোঁজ পেয়েছিলেন? একটি হাসপাতাল, তেরোজন ডাক্তার-নার্সএ্যাম্বুলেন্স নাকি আমি,...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

ভালোবাসার কাছাকাছি কোনো চেতনা নাই

ভালবাসার কাছাকাছি কোন চেতনা নেই একটি লাল বিপ্লবে তোমার চোখ এঁকেছিলাম প্রিয়তমা—যুদ্ধক্ষেত্র আর হাসপাতাল গুঙিয়ে কাঁদেমৈত্রীচুক্তি সাপেক্ষে আমরা মানচিত্র পৃথক করে নিলাম নবনীতা দেব সেন—তুমি পড়ে আছো ঝাড়খন্ডেআমি উত্তাল শুয়ে পুড়ছিসুন্দরবন দ্যাখো, কাঁটাতারে ঝুলছে ভালবাসা...স্ট্যালিন-লেনিন আর শেখ মুজিব স্বপ্ন করে আছেআমাদের কাছাকাছি আর...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

দুধ পুকুরের ডুব

দুধ পুকুরের ডুব তোমাকে দেখার জন্য মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে—এমন কথা শুনে বান্ধবীরা বাগানে এসে বসেকেউ কেউ গ্লাডিওলাস-রজনীগন্ধা কিংবা হাসনাহেনায় চোখ করে জল আনে আমি রোজ, নিশ্চুপ উঠে গিয়ে রোমের ম্যাপ নিয়ে ভাবিপৃথিবীর কোথাও তোমার নামে মানচিত্র নেইদেশ নেই, শহর নেই, বিশ্ববিদ্যালয়...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

এক্যুরিয়াম

এক্যুরিয়াম এইবার চলুন হেঁটে আসি আমাদের যুগল কবর থেকেনুহামি, তিন'শ বছর কি খুব বেশি সময়? আপনি আড়ালে রাখলেন নোটবুকসিলিকন সমুদ্রপেয়ালায় থোকা থোকা মদহাসিটা দীর্ঘ হতে হতে ছোট করে কাশলেন— গত তেরযুগপানাহার ফেলে আপনি এঞ্জেলোর নখ নিয়ে চুষলেনঘষলেনকামড়ালেনছুঁড়ে মারলেন আপনার বৈঠকখানায় তুলে রাখা বাইবেললাল কাপড়ে...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

চুরুটে বারুদ থাকুক

চুরুটে বারুদ থাকুক তুমি শিলং-গোয়াহাটি আর দার্জিলিং ঘুরে আমার জন্য চুরুট আনলে—সেইবার যুদ্ধের ময়দান খাঁচায় পুরেরাজস্থান উলুধ্বনি দিলে নারীরা আবার বন্দী হয়ে গেল আমার দাদার দাদা কেরালার শাসক হিসাবে সিংহাসনচ্যুত হলেনএখন বুঝতে পারি—তিনি শাসক না হয়ে অবতার হলে আসনচ্যুত হতেন না চুরুটে শ্বাস নিয়ে ভাবি—রেডিসন স্কয়ারের...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

একটি সন্ধ্যা বিষয়ক জানালা

একটি সন্ধ্যা বিষয়ক জানালা GAIG Gold Label তোমার মতোন ধবধবে...আমাকে বাঁধাও, বেঁধোনা—কী নিরুপায় ধ্বংসাত্বক কণ্ঠ…! তোমার কোলে বারান্দা শুয়ে আছে টলটলে লাল—সন্ধার মত চকোলেট রঙ গুনি নিজেকে টাঙিয়ে রাখো জানালায়চোখ খোলোঢুকে পড়ি অন্দরে এত মিহি করে কামিজে দুলছো কেন?

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

চিত্রনাট্য

চিত্রনাট্য এইটুকু সময় ফিরিয়ে নাও—হাটুগেড়ে বসো, মস্তক অবনত করোটানটান করে রাখো কানসকল দৃশ্য তোমার দিকে তাক করা আছে আমিই সেই দ্রাক্ষমানববামহাতে চুরুট, ডানহাতে জমা আছে বেতদুয়েক ঘা পড়ার আগেই— ঈশ্বর, অনুমতি না নিয়েই জন্মদানে হাতজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করো

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

বেলুনবৃত্ত

বেলুনবৃত্ত মাথা থেকে মগজ খুলে রেখেছিলাম আত্মহত্যা করবো বলেমজ্জা-অস্থিমজ্জা ঝুলিয়ে রেখেছিলাম জাদুঘরেউত্তর প্রজন্মের জন্য চোখ রেখে দিয়েছিলাম উদ্যানেকার্ণিশে তুলেছিলাম নাক, কান আর মাংশপেশিশুধু ভাগাড়ে ফেলেছিলাম সভ্যতা খুবলে-খুবলে চিবানো দাত মহাকালের ভাঁজে আয়ু ছড়িয়ে হাই তুলে কাটিয়ে দিয়েছি সাত`শ বছরনষ্ট ভ্রুণে গড়ে ওঠা...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

গল্প

বিজ্ঞাপিত সুখ

‘সবাই আমরা ল্যাঙরা হাবা/ দুইটা ট্যাকা দ্যান গো বাবা/ আমার আল্লা নবীজির নাম/ তোমরাও একদিন গোরে যাবা/ দুইটা ট্যাকা দ্যান গো বাবা/ আমার আল্লা রাসুলের নাম/ খাইতে শুইতে কিছুই পাই না/ দুইটা ট্যাকা দ্যান গো বাবা/ আমার আল্লা নবীজির নাম/...

গল্প

জুলিয়াস সিজার ও জলদস্যু

জুলিয়াস সিজার যখন ২৫ বছরের যুবক। ইজিয়ান সমুদ্রে তিনি হিংস্র সিসিলিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েন।জলদস্যুরে তার জন্য ২০ ট্যালেন্ট মুক্তিপণ ঠিক করে।এতে জুলিয়াস সিজার হাসতে থাকেন। তাদের বলেন, তোমরা জানো না আমার প্রকৃত মূল্য। দাম ৫০ ট্যালেন্ট করো, এবং কোথায় কোথায়...

গল্প

বাড়ি ফেরা

বাড়ি ফেরাপিওনা আফরোজ  প্রতিদিন যখন গঞ্জ থেকে ফেরেন প্রৌঢ় হায়দার আলী, তখনই হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসে ছোট্ট জয়া। হায়দার আলীর হাতে বাজারের ব্যাগ দেখেই বলবে, ‘আমার হাতে এটা দাও তো নানা। কতদূর থেকে এইটা টাইনা আনছো! দাও দাও, এবার আমারে দাও।’...

গল্প

বেলা বিলাস

বেলাদের পারিবারিক নৌ-বিহারে দাওয়াত পাওয়ার পর থেকে আমি খুব অস্বস্থিতে ছিলাম।একেতো আমি ওদের পরিবারের কেউ না দ্বীতিয়তো আমি মানুষটাই পারিবারিক না।তৃতীয়তো নিজের মাঝে ডুবে থাকা মানুষ হিসাবে না অন্যকে আনন্দ দিতে পারি, না পারি আড্ডা জমাতে।কিন্ত আসতেই হল।হুকুম তামিলের জীবন...

কবিতা

কবিতা

চোর-কীর্তন জালাল উদ্দিন লস্কর চোরকে চোর বললে খবর আছে,বলতে হবে তিনি অনেক ভালো।অনেক অনুগ্রহ করে অন্ধকার এই সমাজে তিনিবিলিয়ে যাচ্ছেন,ছড়িয়ে যাচ্ছেন আলো!যখন এমনভাবে বলতে শিখবেন,তখন আপনি হয়ে যাবেন, অনেক অনেক ভালো!আর যদি ভুল করেও সত্যটাই বলেন,চোর বেচারা মাইন্ড করবে তার মুখটা হবে...

গল্প

অবশেষ ও অংশবিশেষ

অবশেষ ও অংশবিশেষ এনামুল করিম নির্ঝর“যদিও, যেইটুকু পাই সেইটুকু চাটিয়া খাই’ জাতীয় বিষয় এটা নয়, তবু নাছোড়বান্দা আঠা নড়বড়ে আয়ুটাকে টানটান ধরে রাখে। আমরা নাক বরাবর যে ঘরটা দেখতে পাচ্ছি, চৌকোনা একটা খাট যেখানে আড়াআড়ি অবস্থানে, নক্সাকাটা আধময়লা চাদরখানা  যার উপরে...

এনামুল করিম নির্ঝর

এনামুল করিম নির্ঝর

স্থপতি+চলচ্চিত্র নির্মাতা

গল্প

আরশোলা

আজ তিন দিন একটা আলোহীন ঘরে আছি। কিছুক্ষণ আগে আলো জ্বেলেছি, এবং জ্বালবার পর-ই মনে হলো, অন্ধ হয়ে গেছি! ভয় পেয়েছিলাম কি না মনে পড়ছে না, তবে ঘরের কোণার দিকে তিনদিন ধরে নির্ভয়ে ঘুরে-বেড়ানো কয়েকটা আরশোলাকে দ্রুত পালিয়ে যেতে দেখে,...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (৯)

৪১ ব্যস্ত শহরে          আমি কি খুঁজে পাব তাঁরে                   আমার প্রাণের বঁধুয়ারে                                    ব্যস্ত শহরে। অগণিত মানুষ          কারও নেই হুঁশ                   অগণিত মানুষ।          আশঙ্কা—হারিয়ে যাই ভিড়ে—                                    ব্যস্ত শহরে॥  বন্ধু আমার          পদেপদে ভুল ছিল যার                   করুণা কি মিলে তার                                    বন্ধু আমার॥ এই সেই রৌদ্রপ্রান্তর          বন্ধ হয়েছে খেলাঘর                   এই...

গল্প

গল্প পাখা

 পাখাজালাল উদ্দিন লস্কর গত ক'দিন ধরেই রাবিয়ার মনটা ভাল যাচ্ছে না।মুখ ফুটে কিছু না বললেও রাবিয়ার মা জাহানারা বেগম মেয়ের মন খারাপের বিষয়টা ঠিকই বুঝতে পারেন।মায়ের মন বলেই হয়তো।রাবিয়াকে ভালো করেই চেনেন জাহানারা বেগম।চিনবেন নাইবা কেন।এতো কষ্ট করে ১০ মাস গর্ভে...

কবিতা

ডুবে...

সকাল হয় তবু ভয়  রাতের অন্ধকারে ডুবেস্বপ্নরা ঘুরে ঘুরে দূরে হারিয়েছে তবে ঘোরে কাটে যেন অনন্ত সময়  সেখানে জনে জনে আছে কত ক্ষত ক্ষয় পথের শেষে দাঁড়িয়েআর কোথায়বা যাওয়া যায় সকাল হয় তবু ভয় মাথার ভেতর ঘুরতে থাকা প্রশ্নের পাহাড়ে নুয়ে গেছি কত রাস্তার মোড়ে  উত্তর নাই আস্থা নাই নাই প্রেম তোমার আমার জেনে গেছে কবি এখন...

কবিতা

নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই

নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই,খুব সহজে বিশ্বাসে বুক বাঁধছ ক্যানো? বাঁধতে নেই।বুকের কিছু গভীর কান্না চোখের মাঝে আনতে নেই,কিছু অতীত স্মৃতির কথা জানারচেষ্টা করছ বৃথাই, কিন্তু জানতে নেই।চোখের পানি ফেলছ ক্যানো?ফেলতে নেই।ভুল আকাশে ভালোবাসার রঙিন ডানা মেলতে নেই।হঠাৎ করে...

গল্প

মুসকান ভিলায় একরাত

মুসকান ভিলায় একরাতইসহাক তুহিনইচ্ছে করছে ফুটপাতে বসে একটু জিরিয়ে নিতে। সাত ঘণ্টার ক্লান্তিকর জার্নি শেষে একটু আগেই বাস থেকে নামল ওরহান। শরীরটা একেবারে কাহিল। একবার ভাবল মুসকানকে কল দিয়ে বাড়ির ঠিকানাটা জেনে নিবে কিনা। কল দিয়ে লাভ নেই। রিসিভ করবে...

কবিতা

প্রেমের মৃত্যু নেই

ভেবেছিলাম তোমায় পাশে নিয়ে এ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ  বিপ্লবটা ঘটিয়ে দিবো।ভেবেছিলাম....ভেবেছিলাম তোমার হাত ধরে  শহরের চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে সমস্ত শঙ্কা কাটিয়ে চিৎকার করে বলে দিবো আমরা হারতে আসিনি। আমরা কখনোই হারবো না।প্রেমের মৃত্যু নেই।প্রেমিকার মৃত্যু নেই। আমরা অমর হবো!আসলে মানুষ যা ভাবে...

S M Shamun Ishmam

S M Shamun Ishmam

ছাত্র

গল্প

জানালার ওপাশে

এই এলাকায় আদনানরা নতুন এসেছে । আদনান সঠিক জানে না এটাকে কি শহর বলবে  নাকি মফস্বল! ওরা যেদিন আগের এলাকা থেকে এই এলাকায়  আসে সেদিন ওর এক বন্ধু মজা করে বলেছিল,"কিরে আদনান তোরা বলে গ্রামে যাচ্ছিস?" আদনানরা আগে ঢাকা থাকতো।ওর...

S M Shamun Ishmam

S M Shamun Ishmam

ছাত্র

ফিকশন

দেবী বাস্টেট

নতুন বাসায় এসেই অমিতের এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি পড়ে গেল।অমিত হচ্ছে সেইসব ছাত্রদের একজন,যারা পরীক্ষার কয়েক মাস আগে পড়া শুরু করে।স্বাভাবিকভাবেই প্রচন্ড চাপে অমিতের কেটেছে বিগত ৫ মাস।আজ তার পরীক্ষা শেষ হলো।মন বেশ ফুরফুরে। বিকাল থেকে রাত ৯/১০ টা পর্যন্ত জম্পেশ...

S M Shamun Ishmam

S M Shamun Ishmam

ছাত্র

গল্প

বিজয়ের সন্ধিক্ষণে ১৯৭১

আমানুল্লা এশা’র নামাজ পড়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন, ঠিক তখনই বাইরের লোহার গেইটে মৃদু তিন টোকার শব্দ শোনা যায়। মুক্তিবাহিনীর কেউ তার কাছে এলে, এটাই ছিল সংকেত। আমানুল্লা ভেতরের দরজা খুলে দেন, উৎকণ্ঠা নিয়ে জিজ্ঞেস করেন, “কী খবর বল।“ তারপরই কি...

মিলু আমান

মিলু আমান

রক যাত্রা, গানের মিলন, ফ্লয়েডিয়ান, বাংলার রক মেটাল

গল্প

এলানিসের দেয়াল

সারা বাড়ির দেয়াল জুড়ে আঁকিবুকি করা। যেন একটুও জায়গা খালি নেই, দেয়ালের রং যে কি ছিল তা এখন বোঝা মুশকিল। ঘরের ঠিক মাঝখানে ৭/৮ বছরের একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অপরাধীর মত দেয়ালগুলো দেখছে, যদিও দেয়ালের এই আঁকিবুকির জন্য সে একাই...

মিলু আমান

মিলু আমান

রক যাত্রা, গানের মিলন, ফ্লয়েডিয়ান, বাংলার রক মেটাল

ভ্রমণ

বব ডিলান কি তোমায় দূর থেকে ভালোবেসেছিলেন?

২০১৮ সালের ৪ অগাস্ট সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে উড়াল দিলাম আমি আর আমার বন্ধু তুষার। উদ্দেশ্য বব ডিলানের কনসার্ট দেখা। শো ৬ তারিখ। শেষ মুহূর্তে এক বন্ধু যেতে না পারায় আমাদের কাছে ডিলানকে দেখার জন্য একটা অতিরিক্ত টিকেট রয়ে গেল। কনসার্টের টিকেট...

মিলু আমান

মিলু আমান

রক যাত্রা, গানের মিলন, ফ্লয়েডিয়ান, বাংলার রক মেটাল

গল্প

আজম খান একজন মুক্তমনা উঁচুমাপের মানুষ

Imtiaz Alam Beg photographyযুদ্ধফেরত টগবগে যুবক আজম খান। মিউজিক করবেন সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এলভিস-ক্লিফ রিচার্ডদের গানের কদর থাকলেও পাশ্চাত্য ঢঙে বাংলা গানকে মনে করা হতো অপসংস্কৃতি! এ কথা আমি আজম খানের নিজের মুখেও শুনেছি। একবার আজম খানের বাসায় গিয়ে তার...

মিলু আমান

মিলু আমান

রক যাত্রা, গানের মিলন, ফ্লয়েডিয়ান, বাংলার রক মেটাল

গল্প

কালো মানুষের নীল গান

দক্ষিণ আমেরিকার এক তামাক ক্ষেতে কৃষ্ণাঙ্গ দাসরা মাঠে কাজ করছে, তারই সাথে সবাই সুরে সুর মিলিয়ে একসাথে গান গাইছে—The captain don’t like meWon’t allow me no show.Well, work don’t hurt me,Don’t care where in the world I go.Work don’t hurt...

মিলু আমান

মিলু আমান

রক যাত্রা, গানের মিলন, ফ্লয়েডিয়ান, বাংলার রক মেটাল

গল্প

বেটোভেন - মোৎসার্ট মুখোমুখি

লুডভিগ পিয়ানো বাজাচ্ছে একটা কনসার্টে, কিন্তু তাকে খুব অস্থির দেখাচ্ছে। একটু পরেই তাকে ভিয়েনার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে। জার্মানির ‘বন’ শহর থেকে অষ্ট্রিয়ায় পাড়ি দিবে উল্ফগ্যাং আমাডেয়াস মোৎসার্টের সাথে দেখা করতে। লুডভিগ সবে কৈশোর পেরিয়েছে, যদিও এরই মাঝে লুডভিগ বনের একটা দলের...

মিলু আমান

মিলু আমান

রক যাত্রা, গানের মিলন, ফ্লয়েডিয়ান, বাংলার রক মেটাল

গল্প

শয়তানের গান - Devil's Blues

সন হাউস একটা জুক জয়েন্টে ব্লুজ মিউজিক পরিবেশন করছেন-I got a letter this morningWhat do you reckon it read?It said the girl you love is deadSaid “Hurry, Hurry because the girl you love is dead”Well I packed up my suitcaseI...

মিলু আমান

মিলু আমান

রক যাত্রা, গানের মিলন, ফ্লয়েডিয়ান, বাংলার রক মেটাল

গল্প

রবি শংকর ও জর্জ হ্যারিসনের বাংলাদেশ

সকাল থেকেই রবি শংকরের মন খুবই খারাপ। যদিও সময় এখন তাঁর খুবই ভালো যাচ্ছে। তাঁর সেতারের মূর্ছনা ভারতবর্ষ ছাড়িয়ে এখান পাশ্চাত্যে ছড়িয়ে গেছে। উপমহাদেশের সঙ্গীতকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করে, সবার মনের কুঠরিতে জায়গা করে নিতে রবি’র খুব বেশি সময় লাগেনি। আর সে...

মিলু আমান

মিলু আমান

রক যাত্রা, গানের মিলন, ফ্লয়েডিয়ান, বাংলার রক মেটাল

গল্প

চাক বেরি অ্যান্ড’ রোল

খুব সকালে কে যেন দরজা ধাক্কাছে। শিকাগোর একটা লোকাল বারে অনেক রাত অব্দি শো করে ফিরে, সবে শুয়েছিল চাক। এখন সে কিছুতেই উঠবে না। এদিকে দরজার বাইরে চলছে ধাক্কাধাক্কি! চাক নিজের কানের উপরে কিছুক্ষণ বালিশ চাপা দিয়ে রাখে, এপাশ-ওপাশ করছে। কিছুতেই কমছে...

মিলু আমান

মিলু আমান

রক যাত্রা, গানের মিলন, ফ্লয়েডিয়ান, বাংলার রক মেটাল

গল্প

জিপসি জ্যাঙ্গো

একটা জিপসি ব্যান্ডে গিটার বাজায় জ্যাঙ্গো। রোম্যানি-ফ্রেঞ্চ জিপসি বংশদ্ভুত এই গিটারিস্ট একটা ক্যারেভেনে থাকে। এই ক্যারাভ্যান নিয়েই ঘুরে বেড়ায় ফ্রান্সের শহর থেকে শহরে। প্যারিসের একটা হোটেলে শো করছিল জ্যাঙ্গো, বেশ কয়েকদিন হলো রাতে আর ক্যারেভেনে ফেরা হয় না, দলসহ হোটেলেই থেকে যাচ্ছে। জ্যাঙ্গো...

মিলু আমান

মিলু আমান

রক যাত্রা, গানের মিলন, ফ্লয়েডিয়ান, বাংলার রক মেটাল

বাংলা সাহিত্য

শহরে অদ্ভুত জন্তু: কিশোরদের সেরা রহস্য উপন্যাস লেখক: জহুর মুনিম

 প্রত্যেকটা ফ্রেন্ডসার্কেলে একেকটা গুলবাজ বন্ধু থাকে রাজুর মতো। বানিয়ে বানিয়ে কথা বলায় উস্তাদ। মনজু এসব সহ্য করতে পারে না একদম। রাগ করে আজ তাই মাঠেই যায়নি মনজু। সন্ধ্যায় মনজুর বাসায় হাজির রাজু। রাজু জানাল-কাল তোকে মাঠে আসতেই হবে মনজু। কাল...

বাংলা সাহিত্য

জীবনানন্দ দাশের কবিতায় বৃক্ষ, ফুল ও পাখি

জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪) বাংলা কবিতার প্রকৃতিরানির বরপুত্র। ফুল-পাখি-বৃক্ষ-বন-গুল্মলতা নিয়েই তাঁর কবিতার সাম্রাজ্য। চেরাগের নিচে যে অন্ধকার সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি গোটা সাহিত্যজগতকে আলোকিত করেছেন। বাড়িয়ে দিয়েছেন সম্ভাবনার হাত। তাঁর অন্তর্লোকে যে প্রচণ্ড প্রাণশক্তি তা সাহিত্যে প্রাণ সঞ্চার করেছে নীরবে। তার মাথার...

জালাল উদ্দিন ইমন

জালাল উদ্দিন ইমন

লেখক ও শিক্ষার্থী

নন ফিকশন

মুদ্রাস্ফীতি কি??

বই-পুস্তকের ভাষা বাদ দিয়ে একেবারে সহজ কথায় বলি। স্ফীতি শব্দের অর্থ বৃদ্ধি বা বেড়ে যাওয়া। তাহলে মুদ্রাস্ফীতি মানে কী দাঁড়ালো, মুদ্রা বেড়ে যাওয়া।  কোনও বিশেষ সময়ে আপনার পকেটে মুদ্রা বা টাকা বেড়ে যাওয়াটাই হলো মুদ্রাস্ফীতি।  ধরুন, কোনও একজন শ্রমিক আগে দৈনিক মুজুরি...

গল্প

রঙধনু

একজোড়া স্যান্ডেল ছিল আমার, বেল্ট খুলে গেছিল, ভাবলাম ঠিক করে নিই, শুক্রবার যেহেতু। কিন্তু বাইরে বেরিয়েই বাঁধল বিপত্তি। যাকেই জিজ্ঞাসা করি, মুচি কোথায় বসে, কেউ বলতে পারে না। অধিকাংশ মানুষ অবাক হয়ে তাকায়। আশ্চর্য, এখন কি কেউ জুতা সেলাই করে না? জুতা-স্যান্ডেল নস্ট হয়ে গেলে কি ফেলে...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (১০)

৪৬ কী সুন্দর করে সাজালে খোদা বিশ্বরে আমারে করলে কত কত মহব্বত। কী নুরালা আছে আরও তোমার ঘরে          আমি যে করতে পারি না অনুভব॥ এত জ্ঞানহীন আমারে করলে          আমি বুঝেও বুঝি না ছলছলে দেখেও দেখি না ভালো মনে ভালোরে মন্দ আমায় গ্রাস করছে অনবরত॥  ‘হায় হায় হায়’...

গল্প

ঘাসফুলের দরজা

ছোট বেলায় যখন বাবার কাছে চিঠি আসতো, সিদ্ধার্থের মনে হতো যেনো এক মেঘপিয়ন এক দিস্তা কাগজ জুড়ে লিখে পাঠিয়েছে “কেমন আছো, সিদ্ধার্থ?”। ওর এমন মনে হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক, ওকে কেউ কখনো জিজ্ঞেসই করে নি ও কেমন আছে কিংবা ও আছে...

কবিতা

মহাবিদ্রোহী

মহাবিদ্রোহী কলম থরথর কেঁপে ওঠে,কিছুতেই কলমের ডগা বেয়ে বের হয় না কবিতা আসমান জমিন কতদিন শোনে না সেই হুংকার —খামোশ। এখন আরেকটা মানুষ চাইযে আঙুল তোলে বলবে হিস্যা চাই ন্যায্য হিস্যানইলে বলবে— খামোশ। টেকনাফ হতে তেতুলিয়াপদব্রজে চাইবে আমার নদী আমাকে দাওজলের হিস্যা চাই জলের হিস্যাসব...

গল্প

ভীমরতি

-পাবলিক প্লেসে এভাবে বিচি চুলকাবেন না স্যার।-ইউ রাসকেল। তুমি আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেটা কী ভুলে গেছো?-সরি স্যার। এ জন্যই বলছি। অপরিচিত হলে বলতাম না।-এত কথা বলো না। যাও এক কাপ চায়ের ব্যবস্থা করো।প্রায় ঘণ্টাখানেক হলো রেলস্টেশনের বেঞ্চিতে বসে আছেন বদরুল সাহেব।...

জনৈক অভদ্রলোক

জনৈক অভদ্রলোক

একজন পেশাদার সাংবাদিক

প্রবন্ধ

তথ্যচিত্র। লেখক: জহুর মুনিম

আইরিন নিয়াজী মান্না। ৩১ আগস্ট, ঢাকায় তাঁর জন্ম। তিনি একজন ছড়াকার। তিনি একজন কবি। তিনি গল্পকার। তিনি সাংবাদিক।আইরিন নিয়াজী মান্না তখন ছোট্ট, হাসেন, ঘুরেন, খেলেন আর মুখে মুখে ছড়া কাটেন। আর কাটবেন না কেন, তাঁর বোন যে ছড়া লিখতেন। তিনি...

বাংলা সাহিত্য

''শুনছো?''

জীবন আমার ছন্ন ছাড়াতোমার ধাধা বিয়গে ।কাপড় আমার ছিঁড়ে ফাড়াতোমার সৃতির ঘোরে। চুল আমার এলোমেলোপরে না চোখে কিছু,জীবন আমার কেটে গেলতোমার পিছু পিছু। নখ আমার বড় বড়কাটতে পাইনা সময়। হঠাৎ যদি এসে দেখনেই আমি রাস্তায়। হৃদয় আমার আমার ব্যাকুল বিভোরনয়ন তোমায় খোঁজে,পাগল হয়ে গেলাম...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (১১)

৫১ ভাবি না কেন যে আমি          নগণ্য হয় হিরণ্যের চেয়ে দামি—                  ভাবি না কেন যে আমি। মাঠে মাঠে চরায় গরু সেজে রাখাল রাধা বিনে কে চিনে ব্রজের গোপাল।          হাল চালায় বলরাম পায় সীতা রামায়ণ রচে চোর—রত্নাকর দেবতা বনবাসে রাম গেলে রাবণ হয় নামি—                  ভাবি না...

চিন্তা

জীবন প্যাকেজ

জীবন আশ্চর্য চেতনানাশক খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখে। সকাল হয়, দাঁত ব্রাশ শেষে আয়নায় তাকিয়ে দেখি দু'একটা শাদা দাড়ি বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মাঝে ইতস্তত জেগে আছে। হাত বোলাই। প্রথম গোঁফ কামানোর স্মৃতি মনে পড়তেই প্রাচীন পুঁথির মতো ভেসে আসে কিশোরির হাসি। যে নামেই ডাকি জীবন আশ্চর্য পাথর হয়ে যায়। প্রবাল...

উপন্যাস

অন্ধকারের খেলা

অধ্যায় ১: নিখোঁজের সূত্রকলকাতার জনবহুল এলাকা থেকে অনেকটা দূরে, নিঃশব্দ, সরু গলির এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে একটি জীর্ণ, পুরোনো বাড়ি। এই বাড়িরই এক ক্ষুদ্র, অরক্ষিত ফ্ল্যাটে বাস করতেন ড. অহনা সেন, একজন সম্মানিত প্রত্নতত্ত্ববিদ। প্রাচীন নিদর্শন খুঁজে বের করা ও...

কবিতা

জীবন নগর

মুড়ছে যাওয়া এ নগরী;এ শহর ;নিস্তেজ পরে আছে আজথাক না। নিস্তেজ ই থাক। কেউ তো আসছে না আর। কেউ তো আর দেখছে না,অনন্ত সীমানায় জমে থাকাজল।বাধন হারা হাহাকার "কেন জীবন এতো ই নিষ্ফল"। অশ্রুবাস্পে জমে থাকা আকাশ এ আজ ;বৃস্টি নেই।মেঘে ঢাকা...

কবিতা

কবিতা আমাদের অসুস্থতা

আমাদের অসুস্থতা!জালাল উদ্দিন লস্কর আমদের অসুস্থতা মগজে ও মনেবিকৃতির চূড়ান্তসীমা অতিক্রম করেছি সেই কবেমনে পড়ে না মনে পড়ে না, মনেও যে বাসা বেঁধেছে ঘুণে!আমরা উল্লাস করি ভিন্ন মতের কেউ অসুস্থ হলেআমাদের আনন্দ সোস্যাল মিডিয়াতে পড়ে গলে গলে!আমরা খুশী হই মানুষের অসুখে...

কবিতা

কান্নার রেসিপি

কিছু কিছু মুখ বৃষ্টি নামাতে পারে, বুকের গভীরে জমিয়ে রাখে মেঘ। পাওয়া-না-পাওয়ার দোদুল্য-জীবনে,ভুলে থাকে সব অভিমান-উদ্বেগ।কিছু কিছু মুখ বেদনায় পরিণত,চুলের ভেতর, বিষাদের ডালপালা ছড়িয়ে, শূন্য মনের চারপাশে, হাহাকারের ঘর তোলে চৌচালা।কিছু কিছু মুখ সবচেয়ে ভালো বোঝে,একা রেঁধে যায় কান্নার রেসিপি,শহুরে বাতাস এতোটা জলজ কেনকোথাও...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (১২)

৫৬ আল্লাহ আল্লাহ জপ হে মন আল্লাহ ছাড়া কেউ না আপন          নেই কিছু আর শান্তি তেমন আল্লাহনামের জপের মতন॥           আল্লাহ একক সর্বসবি          তাঁর মতো কিছু না হবি ভুলে গেলে অচল সবি          ভুলো না মন অমূল কথন॥  মনরে বোঝাতে হয় না অত মন বুঝে না হেন কিছু...

কবিতা

ফারদুন বিষয়ক চমৎকার পাখি

ফারদুন বিষয়ক চমৎকার পাখি.একটি চমৎকার নিয়ে পাখিটি ডানা খুলে উড়াল দিলআমরা যেতে যেতে দেখলাম তার পালক পড়ে আছেযে পালকগুলি চড়া দামে কিনে এনেছিল তার প্রিয়তম প্রেমিক পাশেই পড়ে আছে যোগ বিয়োগআমরা বুঝে নিই ফারদুন গণিতে কাঁচাএকটা টিউটর নিয়োগ দিলে পাখিদের ভাষা শিখে নিতে পারতএইভেবে প্রতিদিন বাজারে হাট বাড়াইপাখিটি আরো আরো দৃশ্যবন্দী খাঁচায়নাম আটকে রাখেফারদুন পাখি আঁকেযেহেতু সে গির্জায় শেষবার রেখে এসেছিল পিয়ানোতিলকনূপুরকবুতর আর দুটি হাত আমরা তার আঙুল সদৃশ্য কিছু কুড়িয়ে আনিপুনরায় পাখিটি চমৎকার নিয়ে উড়ে যায়আমরা মানুষ মানুষ ভাব ও মুখোশ নিয়েপ্রতিদিন তাকে ফোন করিতার স্বরে ভেসে আসে তীব্র করুণনীলকণ্ঠবেলুন কুয়াশা ভরা মোমের পুকুর এঁকেআরো কিছু দলছুট মাছ ও শিকারি বক প্রতিবার শীত ডাকেঋতুর ভীড়ে শীতেরও দুঃখ থাকেনদীটা গণিতে খাটোগাছটা ছায়া বাঁকাএকদিন হঠাৎ...ফারদুন চমৎকার উড়ে গেল

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

ইনফিনিটি অব লাভ

আমিই একমাত্র স্থবির পাগলাগারদ—মানুষের মুখোমুখি সমস্ত শুশ্রুষা নিয়ে বসে আছি দিকে দিকেতুমুল পাল আর বাতাশের কানকো ছুঁয়েপৃথিবীর সব আলো চকমকি করছে চোখ বরাবর রাস্তায় আমিই সেই রোগ—যার ধমনীর মধ্যে প্রেম ও বিচ্ছেদআমিই সেই বদ্ধমূল সাজা—কারারুদ্ধ করেছি কবি জীবন আমিই চিরন্তন বিপ্লব-বিদ্রোহ; যাকে পান করে অমর হয় পৃথিবী কাঁপানো বীরআমিই সেই সত্ত্বা; যাকে ধারন করে ঈশ্বর ও আত্মা আমিই সেই দূর্ভোগ—ভালোবাসার ভেতর ও বাহির এক ধবধবে কবুতর উড়ে যায় আকাশআমিই সেই মৌলিক অন্ধকার—ধ্রুপদীর বিপরীতে কারাগার নিয়ে ঢুকে যাচ্ছি তোমার বুকের ভেতর আমিই সেই ক্ষত—যাকে ভালোবাসলে রোগমুক্তি হয়আমিই সেই নশ্বর প্রেমিক—গায়ের চামড়া খুলে বেচি ভালোবাসার পাপে আমাকে ভালো না বেসে এড়িয়ে যাবে এমন সাধ্য কোনো প্রেমিকার নেই

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

সহজিয়া

সহজে আরও সহজিয়া মরণে যেতে যেতে পথে তোমার আমার কিংবা সময়েরও দেরি হয়ে যাবে গন্তব্যেস্কুলের ঘন্টা ধ্বনি বাজছে...আর শৈশবের খেলা, খেলা না দেখে লাউয়ের ডগায় কীভাবে একটা পিঁপড়ে উঠে এলো—তাই-ই মনে পড়ে গেলদুম করে নেমে আসো—সন্ধ্যায়, পুকুরঘাটে—রঘুনাথপুর আমের পাতায় পাতায় নামগাছেদের গায়ে গায়ে...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

২১ নভেম্বর

শব্দ নয়, কাঁদো। আসো। হয়ে যাই। বিবিধ নিষেধাজ্ঞা। তবু টালমাটাল।আলুথালু হয়ে যাচ্ছে বিছানা। কেবল রক্ত। একটা ফুল সহজে এমন কাঁদে না। ঝড় এসে থেমে গেল। আরো ধ্বস্তাধস্তি। খানিক বিপর্যয়।চুমু। নহর অব্দি গেলে আয়ু বাড়ে। আসো, যাই! যাবে? তোমার মতন হাসেনা ফুল। কূলে...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

কোনও প্রতিশ্রুতি নয়

আমি এমন ক্ষুর্ধাত যে—কেউ একটা পাহাড় ছুঁড়ে মারলেআমার দিকে আসতে আসতে তা ঢিল হয়ে যায়...এখন ক্ষুধা লাগলে—প্রতিশ্রুতি খাই, আশ্বাস খাইঅনেকগুলো সেতু, হাসপাতাল, আকাশচুম্বী ভবনলবন-পেঁয়াজ ছাড়াই চুলায় উঠিয়ে দিই সবকিছুহন্তদন্ত হয়ে বহু টিভি-ক্যামেরা আসে সরাসরি সম্প্রচারের জন্য আমি কথা বলি না—যেহেতু চুলাটা...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

খাদ্য সংকট

পৃথিবীটা বাদ রেখে মহাবিশ্বটা মুড়িঘণ্ট করে দুয়েকবার খেয়েছিআরো অনেক গ্যালাক্সির গতি ঘুরিয়ে ছায়াপথ নক্ষত্র আর উল্কাপিণ্ড নাড়ুর মত চালান করেছি পেটেসুস্বাদু হ্রদগুলি একচুমুকে সাবাড় করেছি—খাইনি কেবল পৃথিবী।এখানে আছে সৌদি আরব, ইসরায়েল-আমেরিকা এখানে থাকে মানুষ, থাকে বঙ্গবন্ধুর খুনি, আলকায়েদা, আইএস-জামায়াতবিশ্বাস করুন—খাবারে রুচি হয় না

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

মধ্যরাতের কবিতা

নিজের বিরুদ্ধে নিজে দাঁড়িয়ে যাবার মতোন বাতাস থাকবে—তোমাকে ঘিরেএ শহরে গোষ্ঠীগত চর্চা থাকবে, এ শহর উন্মুক্ত চুমু নিষিদ্ধ করবেএ শহর নতুন কবরস্থান খুঁজবে, এ শহর আর ভালোবাসবে না পৃথিবীর ক্ষত চিহ্নের মতো, বোবা পাখিটার মতোকীটনাশকে বাঁচা সবজির মতোনধীরে, ক্রমশ বেড়েই চলবে পঁচা...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

মুক্তি

আপনারা যারা সুখি মানুষ—তাদেরকে নিজের নামটা ধার দিতে চাই। আমার নাম নিয়ে, সমস্ত আনন্দ, পরিচিতি নিয়ে— যন্ত্রণাগুলো বয়ে বেড়াতে বেড়াতে যখন ঘুরে-ফিরে আসবেন আমার কাছে কিংবা আসবেন না—অথবা যদি পড়ে ফেলতে পারেন মনবুঝে উঠতে পারেন দহন...আর তখন যদি খানিক ক্লান্তি কমাতে ছুটে যান...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

শূন্য

সেই জাগরিত সত্তার ঊর্ধ্বে এবং সকল মানুষ সেই জাগরিত আচার এমনকি রিপুযেখানে তার ইচ্ছে প্রকৃত মৃত্যুর উপত্যকায় ঢলে পড়েছে মূলত, চাষ নিই আয়তকার ভ্রণেরপশুজাত শ্রেণির কাছ থেকে বাছাই শেষ করে এবং মগজে স্থান পেলেই তিনি সন্তুষ্টএমন এক দালিলিক অন্ধকারে অন্ধত্ব বিস্তার নিলে তার এবং তাদের...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

পোস্ট

এতবড় পৃথিবীতে বাংলাদেশকে চেনার উপায়

এতবড় পৃথিবীতে বাংলাদেশ চেনার কয়েকটি সহজ উপায়- ১। ঈদ-পূজা আসার আগে পণ্যেত দাম বাড়বে একদফা এবং জাতি ধর্ম বিষয়ক আলাপে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে।২। বাজেটে অবশ্যই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়লেও কালো টাকা হবে স্বল্প ট্যাক্সের আওতায় এবং বাজেট বিষয়ক...

কবিতা

ঢোলসমুদ্র

আরও বিপন্ন প্রতিবেশ আঁকড়ে রয়েছে অনিবার্য সমূহ যেমন পাখিরা গণবিলুপ্তির আগেই চলে যায় এবং সেই যাওয়া কিংবা না ফেরা ডানা মেলে ধরা আকাশ মেঘ আর আসন্ন বাতাসে ভেসে যাবো ফের তোমার উঠোনেতীব্র অন্ধকারে পাহারাদার হবো আরও অন্ধকার নিয়েযারা নিয়েছিল প্রতিশ্রুতি, যারা ফেলে গিয়েছিল...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

ফুটনোট

ইতিহাসের সাথে সাথে ঘুমিয়ে গেলে বাংলার সাতশ শতক রিল্পে হচ্ছে চোখে। চোখ মেলে দেখি আমি রাজা শশাঙ্ক। ধুধু, শুধু গাছপালা, বনে-অরণ্যে, নদীতে শিকার করছে মানুষ। একটা হাই তুলে আবার ঘুমিয়ে গেলাম। ১২শ শতকে আমি ইংল্যান্ডের এক মজুর। দরদামে, কমদামে কিনে নিল এক তাতার। রাজার...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

যুদ্ধ

পাথর বিছানো এক পথ দিয়ে হাঁটছিলাম। পথটা সোজা নদীতে গিয়ে মিলিয়ে গেছে। অন্ধকার একটা নদী, স্রোত নেই, আলো নেই। পার হবার নৌকো নেই। মা, ওপাড়ে। ছড়ি নিয়ে দুলে দুলে ঢেউ পাঠিয়ে দিচ্ছেন আমাকে। কাগজের ফুলে মায়ের নাম লিখে ছেড়ে দেই পানিতে। পানি 'মা'-...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

পৃথিবী

সেদিন, দিন পেরিয়ে রাত আসবে—এমনটাই হবার ছিল কিন্তু ঝলমলে রোদ্দুর নিয়ে চোখ ধাঁধিয়ে হেঁটেছিলাম বাগানে। বাগানের কোনো ফুল ঝরে পড়েনি, কোনো পাতা—এমনকি গাছগুলিও ছিল বিপুলপ্রাণশক্তিতে স্বচ্ছন্দ।  আমি ফুলের দিকে এগিয়ে যেতেই তীব্র সুবাস নিয়ে বুকে জড়িয়ে নিল থকথকে শিউলি। নাকে ঘ্রাণ নিতেই পৃথিবী পরিবর্তন...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

স্বর্গ থেকে আসে প্রেম

আজকাল এমনই স্বপ্ন দেখি—একসাথে চারজনের কম প্রেমিকা থাকলেই অস্বস্তি হয়। ঘুমোতে গেলে অন্তত দুটো কোলবালিশ আর বিয়ে করলে এগারোর সাথে গোটা চারেক শূন্য। এই স্বপ্ন দেখতে গিয়ে এক দূর্ঘটনায় আমি মারা গেলাম।  মরে যাবার কিছুদিনের মধ্যেই পৃথিবীতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলো—পানি আর তেল নিয়ে।...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

ইতিহাস

ঘুমাবো বলে চোখ বন্ধ করতেই মনে হলো পৃথিবীর বাইরে চলে গেলাম। মেঘের একটা ভেলা নরম করে ভাসিয়ে নিচ্ছে আমাকে—চোখ মেলে তাকালাম সাদা আসমানে...ভেসে ভেসে গিয়ে থামলাম সবুজ পাহাড়ে। পাহাড়ের বুকচিতিয়ে বইছে কান্নার ঢেউ, ফুলের গুঞ্জনে মৌপাখিদের সম্ভাষণ... এখানের সব পাখিই সাদা এমনকি ফুল-পাতা, ঝিড়ি...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

মানুষ চলে যাচ্ছে আদিতে

আগুনকে গোসল করাতে গিয়ে হাপিয়ে উঠছে পানি। পানিতে লবন কম থাকায় চিনির দাবীতে গোসল বর্জন করেছে আগুন। আগুন-পানির এমন বৈরী আচরণকে উড়িয়ে দিয়ে লাপাত্তা হয়েছে হাওয়া। বাজারে এখন দেশলাই, বোতলজাত পানি এমনকি এয়ারকুলারেরও যোগান নেই। এমনই ক্রমসঞ্চয়ী পরিস্থিতিতে মানুষ চলে যাচ্ছে আদিতে-আমিত্ব থেকে বেড়িয়ে আসছে...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

বয়স্ক ঘড়ি

ছোট বেলায় আমার চেয়েও বড় একটা দেয়াল ঘড়ি ছিল বাড়িতে। বাবা প্রতিদিন যত্ন নিতেন। সোনালী রংয়ের কাটায় ঠিকঠাক সময় দিয়ে যাচ্ছিল বয়স্ক ঘড়িটা। ঘড়ির ইঞ্জিন ছিল বেশ বড় আর তাই নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ছিল গুঞ্জন।  লোকে বলাবলি করতো 'ঘড়িটা সোনা দিয়ে তৈরি'- আমিও...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

শান্তিচুক্তি

অবসরে পৃথিবীব্যপী যুদ্ধ নিয়ে ভাবনা থাকে—ভাবি, হয়তো আমেরিকার ছোঁড়া বোমারু বিমানে কতজনের সাথে মরে গেল একটা সেগুন গাছ। গাছের সরুডালে ছিল টুনটুনি পাখির সংসার! ছোট্ট একটা ঘর—ঠিক হাতের তালুর মতোই আয়তনে...ড্রয়িংরুম নেই, মাস্টারবেড নেই কিংবা বাথটাবও নেই।  টিভিরুম, কীচেন এমনকি মদ খাবার আলাদা ঘর...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

প্রধান কবি

কবিকণ্ঠে স্বৌরাচারবিরোধী কবিতা পাঠের আসরে হিটলারকে সভাপতি করা হল। হিটলার সেই আসরে যোগ দিলেন। অনুষ্ঠান শুরু করে সঞ্চালক পাঠের জন্য কবিকে আমন্ত্রণ জানানোর সাথে সাথেই হিটলার মাইক্রোফোন নিজের হাতে নিয়ে উপস্থিত কবিদের জিজ্ঞেস করলেন: এই আসরের প্রধান কবি কে? প্রধান কবি কে? সমবেত কবিগণ...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

মানুষ এক ব্যাধি

তোমার পথ চেয়ে খুলে রেখেছি চোখ। এমন তিরতির দাও, ঘুমভর্তি আলো ছোপছোপ দাগে রাত-রাতের কাছে এসে ছাউনি তুলছে ধীবর গুণ্ঠন নামের এক ক্ষুধার্ত রাস্তা—বেমালুম করে দ্যায় পথ ও পথিকসেবারও সন্তোষপুর, নন্দন আর ঘাটালের মাঠে জেগেছিল জোনাকির স্রোত—শুধু একটা কথা আমি তো ভুলিয়ে...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

সারভাইভাল

ফিরে এলেও কাছে আসা যায় না মানুষের এইসব ছুটে চলা আর তিরোভাব নিয়ে গন্তব্য খুঁজে চলা তীর ঘেষে বেরিয়ে গেছে আমাদের শিকারজন্ম পৃথকঅগ্নিতে আরও সন্দেহ ঢেলে কেবল জ্বলে উঠলে আঁধার এবং ধারণের অধিক জ্ঞানে মানুষও তুচ্ছতম প্রাণসেইসব দিনগুলোর আগে কথা ও বাক্যের রহস্য অনুমান করতে...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

পরম্পরা

হাওয়ায় চেপে আসো, নিরবে—নিশ্বাসের মতোন ধরফর করে উড়ে যাও বনপাখি, পথে এখন সজনেগাছের চারা ইত্যাকার বরশি নিয়ে ফিরিংগি হবে জলকলকল স্বরে, নানকিন ঋতুতে ভেসে যাচ্ছে রোদছায়াফুলের পাশে পাসপোর্ট নিয়ে চেয়ে আছে বৃষ্টি বিঘ্নিত নদীনদীটা সুন্দরের কাছে জয়ী হয়। আর বিপুলরাত্রিপালঙ্ক মায়ায় কাছে টেনে...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

হাওয়ায় ভাসছে হাওয়া

দূরে, হাওয়া ভাসছে—একটা স্কুল ঝলমলে ইউনিফর্ম নিয়ে দুলে যাচ্ছে কয়েক ক্রোশ। ক্রমেই দুপুর হেলে পরছে বারান্দায়-ফুলের টবে, পাতাবাহারের দুঃখ প্রকাশ করা নিয়ে আরও কয়েকটা বিজ্ঞপ্তি শুক্রবার থাকবে। নামের পাশে মানুষগুলো চেহারা মিলিয়ে নিতেই ধূলো উড়িয়ে গেল গরুর গাড়িখিচুড়ি পাকানো একটা গ্রামেমান্দারিন ছায়ার নিচে কালি ও...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

রান্নাঘরের কৌতুক

আরো সবুজ আলোর কাছাকাছি মানুষের বসবাস পড়ে থাকেঘন পুকুরের সাঁতার শেষ করে নদী তুলে রাখে ঢেউ মরমি হাওয়ায়—নিভৃতেই যেসব পশু ও প্রাণী খুলে রাখে আত্মজতারাও একদিন মানুষের সাথে কথা কয়কি কি কথা হয়? এইরূপ অনুগামী ফ্যান্টাসির ভেতরে-বাইরে যা থাকে তা মূলত রান্নাঘরের...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

হাসিশিল্প

আরও হাওয়া যায়, আসেআমাদের কাছে না আলো—কেবল নিভু নিভু করছে ক্ষুধা।  তুমি ধরো—তুলে রাখো গোপন ড্রয়ারআর আমি ক্রমেই হয়ে উঠি যেকোনও গাঁয়ের হস্তশিল্প।  এভাবেই দূরত্ব বাজুক—কিংবা কাছে আসতে চাইলেছিঁড়ে দিও সুতোকাটাকাটিতে শুধুই রক্ত।  

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

এবাদত

নত হয়ে যাওয়া মানেই নুয়ে পরা নয়—দ্যাখো!সুবিশাল আকাশের নিচে নত হয়েও শির টান টান করে কেমন দাঁড়িয়ে রয়েছে পাহাড়!আর আকাশ—সমস্ত এবাদত নিয়ে উপুর হয়ে সেজদা করে চলেছে 

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

সেফটিপিন আলো

বকেয়া ছিল বকুলের ছায়ানোনতা ভোরে ডেকে দিও বলে একটা পাখি ঠোঁটে চুমু খেয়ে ঘুমিয়ে যায়—ঝাঁঝালো ঘাম নিয়ে রোদে পোড়ে ঘ্রাণ বকুলের কাছে আসে না কেউ—আসে না চিঠিতোমার কাছে এক দিস্তা সময়—তারপর সমস্ত দিনঋণের জন্য মুখিয়ে থাকে সন্ধ্যাবোনের প্রেমিকেরা শিউলি নিয়ে ঘুরে যায়...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

বন্দী

তোমারে দেখতেছি—ম্রিয়মাণ স্রোত একঢুলন্ত দুপুরে হাই তুলতেছো জামগাছতলার টঙয়েউলংঙ্গ এক শিশু সুর করে পড়ে যাচ্ছে ছড়া—কী মোলায়েম দুপুর তোমার...! আমি তোমারে দেখতেছি, মায়া!তোমারে দেখতে পাই—তোমার ভেতর দিয়ে গাঙসোনাতলায় তুমি কালাইয়ের ভুৃঁইতোমারে পাই সমান্তরাল মইয়ে, কৃষাণী! অমাবস্যার রাতে, মধ্যরাতে, পরেরদিন শুক্কুরবারে, তোমারে দেখতে পাইতেছি— একটা...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

কবিতা

আত্মজ

অসুস্থ হলে নিজের ভেতর আরেকটা আমি তৈরি হয়—কথা বলে, ওষুধ খাওয়ায়, কাঁধে করে তুলে নিয়ে যায় বাথরুমে কমোডে বসিয়ে কল ছেড়ে মাথায় নরম কোরে হাত রাখেযত্ন নিয়ে শ্যাম্পু দিয়ে দেয় সুগন্ধি তোয়ালে মাথা মুছে দেবার সময় চোখের জলও মুছে যায়এই যেমন: এখন,...

সুবর্ণ আদিত্য

সুবর্ণ আদিত্য

কবি, চিন্তক

বাংলা সাহিত্য

বর্ষা বিলাস কিংবা উপবাস

বর্ষা বিলাস  কিংবা উপবাস হাওয়ার দাপটে বৃষ্টির ঝাপটেতোমাদের বর্ষা বিলাস কিংবা আমাদের উপবাসজীবনের কোথাও বিবর্ণ ছাপ রেখে যায়। হা-হুতাশ বা হুল্লোড়ে চাপা পড়েআর্তনাদ বা শিৎকার, শুরু হয় নতুন অধ্যায় চেয়ে চেয়ে রই, অবাক হইএই ধরায় জীবনের দাম কই? তোমাদের শহরে ঝড় উঠে, আম পড়েকাঁচা-মিঠা...

প্রবন্ধ

লাকী আখান্দ: উদাস হাওয়া কত যে গান গেয়ে যায় আনমনে

পুরোনো ঢাকার এক সংগীতানুরাগী পরিবারে ১৯৫৬ সালের ৭ জুন লাকী আখান্দের জন্ম। লাকী আখান্দের সংগীতে হাতেখড়ি বাবা আবদুল আলি আখান্দের কাছে। টেলিভিশন এবং রেডিওতে শিশু শিল্পী হিসেবে নিয়মিত অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন সংগীতানুষ্ঠানে। কৈশোরের শুরুতেই আধুনিক সংগীতে পাকিস্তান আর্ট কাউন্সিলের পদক...

মিলু আমান

মিলু আমান

রক যাত্রা, গানের মিলন, ফ্লয়েডিয়ান, বাংলার রক মেটাল

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (১৩)

৬১ প্রিয় তোমার প্রেমের হাটে সওদাগরি চাই করতে লাটে          ঘুরাও না আর দূরের মাঠে ভিড়তে দাও নাও তীর্থঘাটে॥           ক্লান্ত বন্ধু হয়েছি অধিক          ঘুরতে ঘুরতে দিগবিদিক দেখাও এবার পথ সঠিক          চলতে পারি ঠিক বাটে॥  ছিলাম অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্বে পাইনি কিছুই সন্ন্যাসব্রতে          জড়িয়ে সকল কাজকামেতে দেখছি শান্তি ভবের নাটে॥           ভুলিয়ে...

নন ফিকশন

বাদশাহ নামদার এর quotes

হুমায়ুূন আহমেদ এর বাদশাহ নামদার থেকে তুলে নেওয়া কিছু quotes:রাজ্য হলো এমন এক রুপবতী তরুণীযার ঠোঁটে চুমু খেতে হলেসুতীক্ষ্ণ তরবারির প্রয়োজন।।অশ্ব অশ্বারোহীর বন্ধু নয় ।যেমন বন্ধু নয় বায়ু, মেঘমালার ।বন্ধু হবে এমন যাদের সঙ্গে কখনো দেখা হবে না ।দু’জনই থাকবে...

কবিতা

শূন্যতা

শূন্যতা ~ একটা নিরস পাখির মতো নির্জন থেকে নিঃসঙ্গ সুড়ঙ্গ এগিয়ে যায় প্রাণবন্ত শূন্যের দিকে— অন্তহীন অতলে অবাধ প্রবাহে শব্দের সংখ্যাতীত প্রাণে মহাসমুদ্রের মতো একা বাতাসের তীব্র শব্দে ভেঙে পড়ে— অনুচ্চ স্বর নিবিড় রূপান্তর অথচ কোথাও কোনো সাড়াশব্দ নেই! নির্যাতিতের...

Shazzad Shakil

Shazzad Shakil

Poet & Filmmaker

গল্প

প্রতিচ্ছবি

 মর্নিংওয়াক শেষে একবার কাঁচাবাজারে ঢুঁ মারে প্রীতি। রোজকার অভ্যাস। নিজের হাতে বেছেবুছে শাকসবজি কেনার মধ্যে অন্যরকম সুখ। আশিকের ওপরে মাছ মাংশের ভারটা ছেড়ে দিতে হয়। কারণ মাছের বাজারে ঢুকলে প্রীতি এখনও ঠিকমত শ্বাস নিতে পারে না। লোকজনের গাদাগাদি ভিড়, মাছবিক্রেতার ডাকাডাকি,...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (১৪)

৬৬ ঈশ্বরে অস্বীকার—কে হে নিরীশ্বরবাদ তুমি কি গো নও সৃষ্টির সেরা আবাদ?          দেখ তোমার অবয়বে          চিহ্ন আছে কি না তবে মানো না মানো সবখানে পরম হাত॥  এ মাটিতে—আকাশে-বাতাসে যত দর্শনঅনুসন্ধান কর বন্ধু পেতে পারো নিদর্শন।          সসীম হলে সসীম জ্ঞান          অসীমে অসম্ভব সন্ধান তিনি মহান—মানতে হবে...

কবিতা

কবিতা

প্রহর মোটে মাত্র কিছু প্রহরছুঁইনি তেমন আপন করে,মোটে মাত্র কয়েক বিকেলযাইনি কেবল তোমার ঘরে। কয়েক দিনের গোলাপ গাঁদারইলো কেমন মনমরা সব,কোকিল, টিয়ে উড়ে গেলকোথায় গেল সব কলরব? রাতের আলো, ওই জোনাকি,কেমন যেন উদাস লাগে,চতুর্দশি চাঁদটা যেনমধ্যরাতে বৃথাই জাগে। আমায় ভেবে চোখের জলেভাসছো বিষাদ উজান...

কবিতা

নিরুদ্দেশ

কিছুটা রূপান্তরিত অভিরূপ, কতখানি টেনে চলা মেঘ।তারপর হেঁটে হেঁটে অযাচিত। অসচেতন অশোভন সংবরণ নির্বাপিত। পা টেনে চলে যায় বহুদূর বহুকাল আগেঅনেক আগে!

গল্প

মৃত্যুর ডাকে

আমি ঘুমিয়ে যায় শেষ রাতে। যে রাত শুধু প্রকৃতির নিয়মে আমাকে অবশ্যই  ঘুমাতে হবে বলেই আমি ঘুমিয়ে যায়। যদি না থাকতো শেষ এই নিয়ম। সেই  প্রহর দেখার জন্য আমার নৈমিত্তিক কামনা হয়ে দাড়িয়েছে। আমি শুরুর রাতে সাক্ষী যেমন ছিলাম,তেমনি শেষ...

কবিতা

অমলিন রূপ

শ্রাবণের ধারা আজি ঝরে ঝর ঝর,     গাছের পাতারা নুয়ে পড় পড়,      আমের তলায় সব করিয়াছে ভীড়।আজ কচুরিপানারা সব এলোমেলো,      ডাকে ঐ শুন শুন 'চোখ গেল'       বাতাসের তোড়ে চুল উড়িতেছে তন্বীর।      কচুর মাথায় পানি হইয়াছে জমা,      ছাতি মাথায় পথিকের নেই তবু...

কবিতা

আকাশ পরিমাণ ভালোবাসি

আকাশ পরিমাণ ভালোবাসি ফাইজুল ইসলাম আমি তোমাকে আকাশ পরিমাণ ভালোবাসি সব ক্লান্তি শেষ হয়ে যায়, যখন তোমারি কাছে আসি। সব সময় দেখতে চাই, তোমার ঠোটে হাসি, আমি তোমায় আকাশ পরিমাণ ভালোবাসি। খুব ইচ্ছে করে শক্ত করে একটা হাগ করি, তোমার...

কবিতা

বাংলা ব্যাকরণ

অন্যমনা আমার, তুমি যেন বাংলা ব্যাকরণআমার ছন্দহীন কবিতার প্রতি অক্ষরের তুমিই কারণ।আমার ভুলভাল বানানে তুমি চুম্বন আঁকো। কমা,দাড়িহীন পংক্তিতে তুমি আদরে হাত রাখো।আমি আমার থেকেও অনেক অনেকখানি তোমার হয়ে গেছিতুমি নিজের থেকেও বেশি আমারই কাছে থাকো।আমার আড়ালে, আমার ভুলগুলো তুমি ফুল দিয়ে মালা গেঁথে দাওআমার অজান্তে,তুমি আমার সব...

Lamisa Sanjana

Lamisa Sanjana

আবৃত্তি করি জীবন, যাপন করি কবিতা।

উপন্যাস

প্রেমিকার চিঠি ও ছবি পকেটে নিয়ে ৫৩ বছর...

 মাঘের শেষ দিন। মুন্সিগঞ্জের একটি রিসোর্টে বসে আমরা অপেক্ষা করছিলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা তানেসউদ্দিন আহমেদের জন্য। ৭৫ বছর বয়সী মানুষটি যখন এলেন, মনে হলো, এখনো ঝকঝকে তরুণ। আমরা কথা শুরু করলাম। ততক্ষণে গাছের ফাঁক গলে রোদ উঁকিঝুঁকি দিতে শুরু করেছে।কমলারঙের জামার...

গল্প

সাডেন ক্লিক

পর্ব -১ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করা বেশ মজার একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় যদি তাতে মজার উপাদান খুঁজে নেয়া যায়। রুহি বিজ্ঞান পড়তে একদম ভালোবাসতো না।তবে তার একজন শিক্ষক বিজ্ঞানের সেই মজার উপাদানটি ধরিয়ে দেয় তাকে।তাই নিয়ে পরে আছে রুহি,বিগত পাঁচ বছর...

Lamisa Sanjana

Lamisa Sanjana

আবৃত্তি করি জীবন, যাপন করি কবিতা।

কবিতা

স্বপ্নগুলো নগ্ন হলো

আমার স্বপ্ন  গুলো নগ্ন হলো রবি সমাজটা আজ  ধ্বংস হলো সামাজিকতা নগ্ন হলো কুকুর বেড়াল লজ্জা পেলতাদের বেশ মানুষ ধরলোকথায় কথায় তর্ক হলোমানুষ যে সে ভুলে গেলশকুনেরা সব লজ্জা পেল তাদের মতো খামচে ধরলোআমার স্বপ্নগুলো নগ্ন হলো সবুজ ধরা  মরু হলোকিশোরী আজ ব্যঙচি কাটলো ভালোবাসার ইতি হলো।গুণীজনের...

কবিতা

শব্দহীন বিচ্ছেদ

শব্দহীন বিচ্ছেদ লামিসা সানজানা শব্দহীন একটা, বিচ্ছিরি বিচ্ছেদ হলো আমাদেরযার পর, আমরা কেউ আর কাউকে দেখি নিনা ফিরে দেখেছি,কতো নরম অজুহাতেআমরা দুটো ভিন্ন মানুষএক পশলা বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতাম।গভীর ভালোবাসায় মাতাল হয়ে থাকা আমাদেরএক বিষন্নতার বিচ্ছেদ হলো,এরপর আমরা কখনো একে অন্যকে মনে...

Lamisa Sanjana

Lamisa Sanjana

আবৃত্তি করি জীবন, যাপন করি কবিতা।

কবিতা

এখনো সকাল হয়নি

এখনো সকাল হয়নি,নিভু নিভু লাইটের আলো,হাঁটা থামিও না বন্ধু, বহুদূর যেতে হবে।এখনো সকাল হয়নি,বুলেট এসে ঝাঁঝরা  করছে বুক,নিশ্বাস  থামিও না বন্ধু, লড়তে  হবে অনন্তকাল। এখনো সকাল হয়নি,রাত পোহাবার আর বেশি দেরি নয়,এক গুচ্ছ গোলাপ না হয় স্টেনগান হাতে নিয়ে এগিয়ে যাও...

কবিতা

নিজেকে নিজের বিরুদ্ধে

নিজেকে নিজের বিরুদ্ধে-মাহফুজ সকালটা হলে পরে প্যান্ট কোট সু পড়েআনি আগে জমিদারি ভাবটা,বাইকটাতে চেপে চড়েবের হই বাড়ি ছেড়ে সাথে লই বাজারের ব্যাগটা।দুপুরের আগে পরেজোটটাকে সাথে করেঘোরাঘুরি করে চলিএলাকায়, মতলব থাকে মনেকারণে বা অকারণে কাকে বাগে আনাযায়। বিকেলের আগে আগেকাউকে ফেলে বাগেকাবু করি ক্ষমতারদাপটে,হবে তোর বড় ক্ষতিথাকবেনা কোন গতি মাল যদি...

গল্প

মায়ের আশীর্বাদ

এক সন্ধ্যায় রিয়া তার ঘরের জানালার পাশে বসে ছিল। বাইরে হালকা বৃষ্টি পড়ছিল, বাতাসে শীতের হালকা স্পর্শ। রিয়া ছোটবেলা থেকেই বৃষ্টি পছন্দ করত। বৃষ্টির সময় সে জানালার পাশে বসে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতে ভালোবাসত। আজও তেমনই এক সন্ধ্যা।রিয়া কিছুক্ষণ...

নন ফিকশন

দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি। সত্য বলে, আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি।

রবীন্দ্রনাথের দুঃশ্চিন্তা দূর করার জন্য বিজ্ঞান আছে। বিজ্ঞানে সত্য উদ্ঘাটনের সুযোগ অবারিত। কার্বন ডটিংয়ের মাধ্যমে যেমন ঐতিহাসিক সত্য প্রতিষ্ঠা করা যায় আবার ডিএনএ পরীক্ষার সাহায্যে উদ্ধার করা যায় বংশ পরিচয় ও যাচাই করা যায় অনেক বিতর্কিত বিষয়। বিজ্ঞানে বিতর্কের সুযোগ আছে। আছে ভুলকে সংশোধনের স্বাধীনতা। এটি ধর্মের কথা নয় যে ঘাড় নুয়ে বিশ্বাস করতে হবে। এখানে সত্যাসত্য যাচাইয়ের নিক্তি আছে। আছে কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেবার নিরন্তর প্রচেষ্টা। তাই আজ থেকে প্রায় শতবর্ষ আগে আইনস্টাইনও বোরের মাঝে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের নান্দনিকতা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল।...

গল্প

আইডিয়া!

দারুণ আইডিয়া! -----------------গত ২ জুন গিয়েছিলাম সাভারে। প্রিয় ছোট ভাই ওয়াদুদের সেখানে একটি টাইলসের শো রুম আছে। সাথে ছিলো আরেক কাছের ছোট ভাই জামাল। আড্ডার এক পর্যায়ে শো রুমে প্রবেশ করলেন এক তরুন। কাঁধে ব্যাগ। হাতে কিছু মোটা কাগজের ছাঁপানো কার্ড।...

কবিতা

রেলগাড়ী

রেলগাড়ীশেখ মকবুল মোশতাক   রেল গাড়ি, তোমারি মতো আমি ছুটে চলেছি অবারিত মাঠ পেরিয়ে কখনো একটু থেমে কখনো বা অবিরাম কত দু:খ কষ্ট,আনন্দের সাক্ষী হয়ে।তোমায় বুকে চড়ে যেমন কেউ প্রেমের গল্প করে কেউ রোগে, শোকে,ব্যথার করে ক্রন্দন, কেউ অহেতুক কিছু গল্পে সময় পারকেউবা পরিবারের...

বিশ্ব সাহিত্য

ব্র্যান্ডন স্যান্ডার্সনের কজমেয়ার

১. ব্র্যান্ডন স্যান্ডার্সনের কসমেয়ার জগত নিয়ে লিখতে গিয়ে দেখি অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। তাই খন্ড খন্ড আকারে দেয়ার চেষ্টা করছি। এখানে প্রথম পর্বটি দিলাম। গ্রুপের সদস্যদের ভালো লাগলে পরেরগুলো দেবো একে একে।ব্র্যান্ডন স্যান্ডার্সনের লেখা নিয়ে যতই বলি না কেন, মনে হয় কিছুই...

চিন্তা

শিক্ষকদের নিয়ে কিছু কথা সাথে পরিবারের সুন্দর কিছু মুহুর্ত

শিক্ষকদের নিয়ে কিছু কথা সাথে পরিবারের সুন্দর কিছু মুহুর্ত ,আমার কাছে জীবন মানেই পরিবার(বাবা-মা, বোন)।এই পরিবারেই বেড়ে উঠেছি।পরিবার এর শিক্ষাতেই নিজের সৃষ্টিকর্তা,পরিচয় সব পেয়েছি। পরিবারে ছিলো  হাসি-কান্না, মান-অভিমান, অভাব-অনটন,ছোট ছোট আবদার,পাওয়া-না পাওয়ার হাহাকার, ছোট ছোট খুশি।বড় আপাদের শিক্ষা।কি কথা বলা...

পলাশ বাবু

পলাশ বাবু

IT OFFICER & AUTHOR

চিন্তা

জীবন্ত চরিত্রগুলো

বাংলা ভাষায় ছোটগল্পের জনক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।" ছুটি" গল্পের ফটিকের শেষ পরিণতি মোটেও ভালো লাগে নাই আমার।সত্যিই ফটিক বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে ছিলো।কাবলিওয়ালা, পোষ্টমাষ্টার,কাদম্বিনী এসব গল্পের বাস্তবতা ছিলো।বিশ্বকবি লেখার ইঞ্জিনিয়ারে আজীবনের জন্য জীবন্ত করেছেন।মানিক বন্দোপধ্যায়ের "পদ্মানদীর মাঝি"হোসেন  মিয়ার অস্তিত্ব ছিলো।শহীদুল্লাহ কায়সারের "সংশপ্তক "এর...

সমালোচনা

বাবাহীন পৃথিবী

বাবা নামক বটবৃক্ষটা নেই। আজ চার বছর পূর্ণ হতে চললো। যার ছায়ায় আদর ভালোবাসা আর কায়ায় বড় হয়েছি। মানুষের মতো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেছি। কতটুকু পেরেছি জানিনা। তবে বাবা সব সময়-ই চাইতেন আমরা যেনো মানুষের মতো মানুষ হই। শিক্ষা দীক্ষা...

আরাফাত নুর

আরাফাত নুর

সংবাদকর্মী

কবিতা

তোমায় কবুল বলিতে

তোমায়_কবুল_বলিতেআব্দুল মাজেদ ৫+৫ অক্ষর  তোমাদের যারা বিয়ে পড়াবেতাদের অন্তরে আমার হযরত নেই,শুধু এ জন্যই কবি আসবে নাপ্রিয় তোমায় কবুল বলিতে।আর তুমিও তো যেতে পারবে না কবির আকিদায় চলিতে। তাই তোসম্মান সহ বলে, অপেক্ষায় খেকো না আমার, আমি আসব না।কাপড়ের পর্দায় লুকিয়ে চেয়েথেকো না পথে,...

গল্প

ব্যাঙের বিয়ে

ব্যাঙের বিয়েতে ব্যাঙের বাবা, কনে পক্ষের কাছে যৌতুক হিসেবে একটি মোটরসাইকেল ও টেলিভিশন চায়। ব্যাঙের হবু শশুর বলে, বিয়াই মশাই চাওয়া টা একটু বেশি হয়ে গেলো না! ব্যাঙের বাবা বলে, কেন আপনারা যে ৫ লাখ টাকা কাবিন দাবি করলেন সেটা...

কবিতা

উন্নত দেশ

পেটের মাঝে ক্ষুধার জ্বালাখাবার নাই ঘরেবাজার এখন চরম গরমউন্নয়নের তরে।মেট্রোরেল ও টানেল হলদেশের গরম খবরনিম্নবিত্ত ক্ষুধার জ্বালায়দেখে তাতে কবর।বাজারের আলু,পটল,উন্নয়নে হাসেমানুষ ছাড়া সবকিছুইউন্নয়নে ভাসে।ক্ষুধার জ্বালা সয়ে বলিআছি সুখে বেশমানুষ ছাড়া সবই দামীউন্নয়নের দেশ।

গল্প

প্রতীক্ষা

ট্যাক্সিতে ওঠার পরও আয়েশার বিরক্তি ভাবটা কাটে না। এটা অবশ্য শুরু হয়েছে সেই অস্ট্রেলিয়া থেকে। তারপর থেকে কমার নাম নেই। বরং বেড়েই চলছে। সে প্রায় সাড়ে তিন বছর পরে দেশে এসেছে। উপলক্ষ আর কিছুই নয়- তার ছোট বোনের বিয়ে। এটা...

কবিতা

প্রাক্তন-১

কেমন আছো?- শীতের পাতা ঝরা প্রকৃতি যেমন থাকে।জানতে চাইবে না আমি কেমন আছি?- নিশ্চয়ই বসন্তের রঙিন ফুলের পাপড়ির মতো সুন্দর আছো!তুৃমি কখনো বর্ষার জলে অভিমানে ফুলে-ফেঁপে উঠা উন্মাদ নদী দেখেছো?-না।নদীও প্রেমিকার মতো ছলনাময়ী। কবে মনে হলো?-যেদিন তুমি আমায় ছেড়ে গিয়েছিল;আমি ছেড়ে...

ফিকশন

সামান্য ঘটনা

একটা সামান্য ঘটনা থেকে জগতে কত বড়ো বড়ো কান্ড, কত আবিষ্কার, কত মারামারি, কত যুদ্ধবিগ্রহের আরম্ভ হয়েছে, সে কথা ভাবতে গেলে এক এক সময় ভারি আশ্চর্য লাগে। আমাদের দেশে পুরাণে এরকম ঘটনার অনেক গল্প আছে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পর কৌরবদের মধ্যে...

কবিতা

দেশমাতা

এদেশ আমার পরাধীনতার শিকার লুটে নিয়ে গেল যারা,মৃত্যু জেনেও লড়াই গেল দেশ দিল না তারা।স্বদেশ প্রেমীর জীবন বাজি যুবক শ্রেণির দল,স্লোগানে স্লোগানে যুদ্ধে নামে ভেঙে দিয়ে শৃংখল। বুটের পায়ে খড় খড় ধনি আগুনে পুড়ালো ঘর, মায়ের সামনে পুত্র হত্যা আপন হলো পর। রক্ত...

পোস্ট

কসমেয়ার – সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

এই ইতিহাস এক জায়গায় করার কৃতিত্ব আমার নয়। স্যান্ডার্সনের মহা ভক্তরা বিভিন্ন বইয়ে ব্যবহার করা গান, প্রতিটা চ্যাপ্টারের শুরুতে যে রেফারেন্স টেক্সট থেকে সেগুলো, এপিলোগ, স্যান্ডার্সনের সাক্ষাৎকারে বলা কথা, আর সর্বোপরি আরকানাম আনবাউন্ডেড বইটা ও স্যান্ডার্সনের নিজের ওয়েব সাইট ইত্যাদি...

গল্প

কোরোনাকাল ১ : বাংলাদেশ পর্ব

জ্বর এর মধ্যেই অক্সিমিটার এর রিডিং এ চোখ আটকে গেলো।  ৬৫।  অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল।ঘড়িতে  সন্ধ্যা ৭.৩০ । যেখানে ৯৫-১০০ থাকতে হয় সেখানে আমার আছে ৬৫।  ডাক্তার এর পরামর্শ নিলাম।  ডাক্তার হাসপাতালে এডমিট হতে বললেন।  এর কিছুদিন আগে  লাজফার্মায় অক্সিমিটার কিনতে...

কবিতা

তোমার তুমি

সাজে তুমি পদ্ম,প্রমাণহীন উপপাদ্য।সকাল সন্ধ্যা তোমারি বন্দনা,দেয় সুখের যন্ত্রণা।ফুলের যত নির্যাস,করে না তোমার উপহাস।শুধু ভাবি আজ আমি,হারালে কেনো তুমি  

গল্প

"হঠাৎ বৃষ্টি"

হঠাৎ বৃষ্টিধোঁয়া উঠা গরম চা, শুকনা রুটি আর একটা সিগারেট সকালের নাস্তা আমার। এই শহর আমার ভীষণ আপন, প্রতিদিন কতইনা স্বপ্নের বীজ বোনা হয় এখানে। হাজারো স্বপ্নের জাল বোনা হয় এখানে সবাই ছুটতে ব্যস্ততার পিছনে কেউ ছুটছে দুমুঠোভাতের জন্য, কেউবা...

সিয়াম কবির

সিয়াম কবির

Lawyer, Dhaka Judge Court

কবিতা

পরের জন্মে বয়স যখন ১৬ই সঠিক

পরের জন্মে বয়স যখন ষোলোই সঠিকআমরা তখন প্রেমে পড়বোমনে থাকবে?বুকের মধ্যে মস্তো বড় ছাদ থাকবেশীতলপাটি বিছিয়ে দেব;সন্ধে হলে বসবো দু’জন।একটা দুটো খসবে তারাহঠাৎ তোমার চোখের পাতায় তারার চোখের জল গড়াবে,কান্ত কবির গান গাইবেতখন  আমি চুপটি ক’রে দুচোখ ভ’রে থাকবো চেয়ে…মনে...

Shumon Masum

Shumon Masum

আমি একজন লেখক/

পোস্ট

দারচিনি

দারচিনি (Cinnamomum) একটি জনপ্রিয় মসলা যা বিভিন্ন খাবারে সুগন্ধ ও স্বাদ যোগ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত দক্ষিণ এশিয়া এবং শ্রীলঙ্কায় পাওয়া যায়। দারচিনি গাছের বাকল থেকে এই মসলা সংগ্রহ করা হয়।### প্রকারভেদদারচিনির বেশ কয়েকটি প্রকারভেদ রয়েছে, তবে প্রধান দুটি...

Shumon Masum

Shumon Masum

আমি একজন লেখক/

চিন্তা

ডায়েরির পাতা থেকে

"অমুক পারলে তুমি পারবে না কেন" ইহা সমাজের সৃষ্ট সবচাইতে নিকৃষ্টতম ধারণা যা সিরিঞ্জ দ্বারা পুষ্টি উপাদান ইঞ্জেক্ট করার মতো তরুণদের মগজে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলেছে বহু বছর ধরে।আমি বলছি না যে, এই ধারণা ভুল কিংবা এই ধারণাটি নিজের মধ্যে...

উপন্যাস

অনাহুত জীবন

অন্তিম ট্র্যাজেডিসোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল। সকাল ১১ টা। এক অনাহুত জীবনের অবসানের ঠিক পূর্ব মূহুর্তে কানু আশে পাশের সবাইকে শুধু একটি কথাই প্রশ্ন করলো “আমার বাজান আসে নাই? ” তাঁর পুত্র জয় কে সে স্মরণ করে। অন্তিম যাত্রা পরপারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো...

চিন্তা

পারমাণবিক বোমা

পরমাণু বোমার ইতিহাসের শুরু এবং বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ করতে গেলে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং ঘটনা বিবেচনা করতে হয়।### পরমাণু বোমার ইতিহাসের শুরুপরমাণু বোমার ইতিহাস মূলত ১৯৪০-এর দশকে শুরু হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। এই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি গোপন প্রকল্পের অধীনে...

গল্প

ভয়ঙ্কর স্বপ্ন

ভয়ঙ্কর স্বপ্নআমিনুল ইসলাম হুসাইনীআবারও সেই ভয়ঙ্কর স্বপ্ন। সেই বিদঘুটে কালো গুহা। দেখলেই গা শিউরে ওঠে। সেই গুহা থেকেই বেরিয়ে এলো বিশাল এক দৈত্য। যেনতেন দৈত্য নয়, আগুনের দৈত্য। দৈত্যকে দেখা মাত্রই রাজার কলজে মোচড় দিয়ে ওঠে। এমনিতেই তিনি ভীতু প্রকৃতির...

কবিতা

প্রিয়সী

প্রিয়সী হে মহাকাল ডানা মেলো,আমাকে নিয়ে চলো।আমি মহাবিশ্বে বলে দিতে চাই,আমার প্রিয়সীর মতো আর কেঊ নাই। চোখ তার মায়া মাখা,মায়াভরে কাছে টানে।হাসি তার মধুমাখা,হাসি দিয়ে আপন করে। চুল তার অন্ধকার, কালোমেঘ রাশি রাশি।মুখ তার হাসি হাসি,রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি। মন তার সাগরাক্ষীকথা তার মধু মাখি।মানুষ সে...

তারিক হোসেন

তারিক হোসেন

সহযোগী অধ্যাপক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা।

কবিতা

বাংলাদেশ

বাংলাদেশ সারা বিশ্ব তুমি দেখে যাও মুজিবের  স্বপ্নের  বাংলাদেশ,সারা বিশ্বের রোল মডেলশেখ হাসিনার বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ সতের কোটি জনতার বাংলাদেশ। উন্নয়নে বাংলাদেশ, মানবতায় বাংলাদেশ,সংস্কৃতিতে বাংলাদেশ, সম্প্রীতিতে বাংলাদেশ,লাল সবুজের বাংলাদেশ,বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ সতের কোটি জনতার বাংলাদেশ। দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ, শান্তিতে বাংলাদেশ, খেলাদোলায় বাংলাদেশ, শিক্ষায় বাংলাদেশ। লাল সবুজের বাংলাদেশ,বাংলাদেশ বাংলাদেশ...

তারিক হোসেন

তারিক হোসেন

সহযোগী অধ্যাপক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা।

কবিতা

আমার স্বপ্ন

আমার স্বপ্নআমি একাত্তরের আগে আবার জন্ম নিতে চাই,বাংলাদেশকে নতুন করে স্বাধীন করতে চাই।আমি কলম ছেড়ে অস্র ধরে যুদ্ধ করতে চাই,বাংলাদেশকে নতুন করে মুক্ত করতে চাই। আমি দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে যেতে চাই,সব দুর্নীতিবাজের বিচার করে যেতে চাই।আমি অনিয়ম অনাচার দূর করতে...

তারিক হোসেন

তারিক হোসেন

সহযোগী অধ্যাপক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা।

কবিতা

কবিতা

পূর্ণতা আর অপূর্ণতাঅনেকটা পথই তো হেঁটে এলাম!হেঁটেছি যেমন ফুলের বনে,হেঁটেছি তেমনি মরুদ্যানে।শ্বাপদ, সরীসৃ্পের সাথে হেঁটেছি,সাধু বৈরাগীদের সাথেও হেঁটেছি।পাখিদের কলকাকলিতে হেঁটেছি,শ্বাপদের হুঙ্কারের মাঝেও হেঁটেছি।স্নেহ-মমতা, শ্রদ্ধা-ভালোবাসা,ঈর্ষা-বিদ্বেষ, সহায়তা প্রতারণাএসব নিয়েই তো এতটা পথ এলাম।হাঁটতে হাঁটতে পায়ে কড়া পড়ে গেছে।শ্মশ্রু কেশ কালো থেকে সাদা...

কবিতা

🍂 জীবন যেখানে যেমন 🍂

কারো ময়লার গন্ধ সহ্য হয় না, কারো আবার বসবাস ময়লার স্তুপে;কেউ খাবার নষ্ট করে ফেলে দেয় ডাস্টবিনে, কেউ একমুঠো খাবার কুড়িয়ে নিয়েবেঁচে থাকে রাত-দিনে। কাপড় রঙচটা হয়ে গেলে কেউ ফেলে দেয় রাস্তায়,কেউ আবার নগ্ন শুয়ে আছে ফুটপাতে কনকনে ঠান্ডায়। 

গল্প

কিছু স্বপ্নের অপমৃত্যু ও অন্যান্য

:রাত ৮টা /৮.৩০টা।এলোমেলো পা ফেলে রাস্তায় হেটে চলছে রাশেদ। যেন হাটার দিকে আজ তার কোন মনোযোগই নেই। হোঁচট খেয়ে তার পড়নের স্যান্ডেলটি খুলে যায়, আবার তা পায়ে পড়ে নেয়। কোন কিছুতেই যেন আজ তার বিকার নেই।রাস্তার পাশে নূর ফার্মেসি। রাশেদ...

কবিতা

অতঃপর নৈষঙ্গ

 নৈসঙ্গ কী তা কি জানা আছে?যদি নাই থাকে তবে দেখো-দূর আকাশে ঐ তারাদের ;বিলিয়ন বিলিয়ন বছর থেকে আলো জ্বেলেঅপেক্ষমাণ কারো জন্য,কিন্তু—একা। এটাই নৈসঙ্গ। সূর্যকে দেখো,যে ৫ লক্ষ্য মাইল বেগে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি কে প্রদক্ষিণ করেবড্ড ক্লান্ত;কিন্তু একা,তবুও দেখা পায়নি কারোর। নৈসঙ্গ কি জানা নেই? যদি...

ফিকশন

ক্যাপশন

আমি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি, কিন্তু স্বপ্নগুলো ভে'ঙে যায় বাস্তবতার আ'ঘা'তে। প্রতিটি ভা'ঙ্গ'নে, হৃদয়ে র'ক্ত'ক্ষ'র'ণ হয়। খুব ব্য'থা লাগে!- শাহিন আলম 

কবিতা

ভেতরেই সব

ভেতরেই গড়ে ভেতরেই ভাঙ্গে ভেতরেই ঘটে সববুকের ভেতর বাসা বাঁধে নীল প্রজাপতি উৎসবকালের পাহাড়, রুপালি রোদের অমৃত সব সুখআজন্ম বিশ্বাসে নিজের আয়নায় দেখি মাটির মুখধূপছায়া রাতে জোনাক যুবতীর উথালি-পাথালি নাচষোড়শী চাঁদ উঁকি মেরে দেখে যৌবনা ঋতুর রাত।উৎসুক হয়ে এগিয়ে আসে বনেদি কাশবনমেহেদীর রঙে আল্পনা আঁকে স্পন্দিত জীবনজীবনের রং হয় নাকো ফিকে যতোই করি মোরা ঢংব্যর্থতা যতো ফেটে পড়ে ক্ষোভে বাঁকী সব হলো লোভঅচেনা ভ্রমর শুষে নিয়ে যায় মন্ত্রিত সব সুরহিসাবের খাটিয়ায় আগুন লাগিয়ে সাধনা করি সাধুরকাঁটায় ভরা জীবনের পথ হয়না কখনো মধুরআভিজাত্যের সিন্দুকে লুকিয়ে ফেলি বয়সী সুখ।বিবর্তনের ছায়ার উপর জাদুকরী চোখ ফেলেকেউ কেউ নাচে পুতুলের নাচ, ভেলকী দেখিয়ে বাঁচেধর্মের হাটে চলে সুখ বেচা-কেনা মঙ্গল কাব্য অবহেলায় থাকে পড়েকে জ্বালিয়েছে অদেখা আগুন, নিত্য যাচ্ছি পুড়েউষর ভূমি উর্বর করতে ছড়িয়ে প্রেমের ডালিবসে আছি হাটে কে কে কিনে নেবে তারই অপেক্ষাতে।মমতার থালা চেটেপুটে খাও কালের আঙিনায় বসেবিষাদের গান মুখরিত হোক শুষ্ক প্রান্তরেনোঙ্গর তোলো মাঝি সময় হয়েছে ভাসাও তোমার নাওখরস্রোতা নদী পাড়ি দিতে হবে সামনে এগিয়ে যাও।

গল্প

অপচেষ্টা

প্রথম পরিচ্ছেদকালো রঙের প্রাইভেট কারটা এসে প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়ালো। ড্রাইভার নেমে এসে প্রাইভেট কারের পেছনের দরজা খুললো। গাড়ির ভেতর থেকে নেমে আসলো জুওয়াইরিয়া। চুলগুলো খোলা। কোমড়ের নিচ পর্যন্ত ছড়ানো। চোখে সানগ্লাস। পরনে জিন্স টি-শার্ট। টি-শার্টের রঙ গাঢ় খয়েরী। এপাশ...

কবিতা

ততটুকুই প্রেম দাও

   ততটুকুই প্রেম দাওযতটুকু প্রেম পেলে লোমশ বেড়ালের মতো স্ফিত হতে পারি।আমাকে ততটুকুই প্রেম দাওযতটুকু ফেরালে হৃদয়ের গভীর ক্ষতটা সয়ে নিতে পারি।যতটুকু সহা যায় কষ্ট কিংবা ভালোবাসা তার চেয়ে চাই না একটুও বেশি।আমাকে ততটুকুই আঘাত করোযতটুকু আমি সহ্য করতে পারি। এর চেয়ে...

কবিতা

অগোছালো কবিতা

ভালোবাসা,নীরবে অশ্রু বিসর্জন,সোনালী স্বপ্ন, আশাতরী ভগ্ন,হারানোর অর্জন! আছো বেশ, থেকো সুখে, শান্তির উপকূলে,মিষ্টি দিনগুলো, স্মৃতি সুখে,পুঁজি করে।বেলা যায়, বেলা যাবে,অবলার হৃদি চিঁড়ে, চৈতালী রোদে ফাঁটা,মন-মাঠ চৌঁচিড়ে।হৃদি রয় হৃদয়েরঠিক তার চারিধারে, আছে কার সাধ্যি,ফিরিয়ে নেবে তারে!কথা নাই কতোদিন,কথা হয় প্রতিদিন!বেলাগুলো আমাদের, সুখকর রাতদিন। দেহ রয় দেহ হতে,দূর...

গল্প

অণু পরিমাণ অনুভূতি।

 কনকনে শীতের সকাল ।  বিছানা ত্যাগের সাহস পাচ্ছে না , শুভ্র । কম্বলের নিচে মুখ লুকিয়ে রেখে ই বোঝার চেষ্টা করছে জানালা দিয়ে রোদ্দুর প্রবেশ করছে কি না । হঠাৎ করে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ ভেসে এলো কর্ণ কুহরে । পত্নী...

চিন্তা

'মেঘের সঙ্গ ধরে চোখের হাঁটাহাঁটি'

বাহিরে টুপুরটুপুর বৃষ্টি হচ্ছে। বাহ্! আমার এই ওয়েদার ভালো লাগে। আমার তবে অন্য ভালোলাগা বৃষ্টি ছাড়া অর্ধ মেঘলা আকাশ, লিলুয়া বাতাসে গাছের শো শো শব্দ, সেই সময় ছাদে উঠে চায়ের কাপ হাতে বই পড়ার বিষয়টি অতি চমৎকার। দুই থেকে তিন পাতা বই...

কবিতা

বেড়ে ওঠা বেড়লের গোপন শহর

রাজা এসেছিলসঙ্গে ছিল মৃত কুমারীর আংটিতার গোলকের ভেতরেকিশোরী কালের চোখউদিত শিখার হালকা সাঁতারআর গোপন রক্তের হাসি পাথর না থাকলে সবই তো গোলকভাঁজের জ্যামিতি খুলে দেখে সেই বালকবলে, আঙুলের নেশায় আছে রহস্যের ঠিকানাঅনামিকা ছুঁয়ে বহুকাল চিঠি আসে না এসেছিল রাজাসঙ্গে ছিল বেড়ে ওঠা...

কবিতা

বহুগামী মাছের সাঁতার

যেদিন ভূমিষ্ঠ হলো বসন্ত, দেবীর সান্নিধ্যে জেগে উঠলেন  ঈশ্বর ; সেদিন থেকেই শুভদিন শুরু। প্রথমেই সূর্যের পেছনে পেছনে ছুটলেন তিনি। অস্তগামীতার সবুজ জলপাই যদি পাওয়া যায়!দেবী ফিরলেন ঠিক ঠিক। ঈশ্বর ফিরলেন না। দক্ষিণে বসে মেঘ দেখতে দেখতে বললেন, যা ছিল...

কবিতা

পাখির ঠোঁটে দাগ

পাখির ঠোঁটে দাগপাখিটা নির্বাক চোখেযখন তাকায় ভুবন মাতায়বুকে এঁকে দিলো কেএমন আলোকে দাগঠোঁট দিয়ে তুইঠোঁটের আরশঢাক ঢাকতে গিয়ে পরশ পিয়েচোখএমন নরমআরো জখমহোক এমন দাগেকেবল জাগেতাপতাপ নেভাতেগভীর গভীর ছাপ 

কবিতা

আসল পরিচয়

আসল পরিচয়     --- আরিফ শামছ্আগে আর পরে শামিল হতেই হবে,আমি তুমি সবা'কে, মৃত্যুর মিছিলে ;মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা? সম্মুখে দাঁড়িয়ে!সমানে সমান?সামনে না পিছনে?সাথে কতো জমা হলো পাপ পূণ্য, আপনার প্রয়োজনে,হিসাব নেবার,অনন্তকাল রয়েছে পড়ে,করেছি সবে?পাথেয় জোগাড়!ক'জন বাকী রয়লো কষ্ট পাওয়ার,অশ্রু মুছে নীরবে, দৃষ্টির অগোচরে, দীর্ঘশ্বাস...

পোস্ট

বাংলাদেশের জনপ্রিয় খাবারের রেসিপি: ভুনা খিচুড়ি, মাছ ভাজা, এবং মিষ্টি দই। সহজ ভাষায় বিস্তারিত রেসিপি পাবেন এখানে।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় খাবার: রেসিপি এবং তৈরির পদ্ধতি বাংলাদেশের খাবার মানেই ভরপুর স্বাদ এবং মজার খাবার। এদেশের মানুষ যেমন ভোজনরসিক, তেমনি এখানে প্রচুর বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবার পাওয়া যায়। আজ আমরা শিখব তিনটি খুব জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু খাবারের রেসিপি: ভুনা খিচুড়ি, মাছ ভাজা, এবং...

বিরহ দাস

বিরহ দাস

ফ্রিল্যান্সার

গল্প

সিরি

সিরি আমার একাকী জীবনে একমাত্র সঙ্গী। ওশোর মৃত্যুর পর সিরির ওপর আমার নির্ভরতা আরও বেড়ে গেছে। ওশো আমার স্ত্রী। ও মারা গেছে দুবছর হল। সেটা ছিল একটা ভয়ংকর দূর্ঘটনা এবং আমার দূর্ভাগ্যের শুরু। আমরা আমাদের উড়ক্কু কারগাড়িতে উড়ে বেড়াচ্ছিলাম। অটামের...

মোস্তফা হাসান

মোস্তফা হাসান

সহকারী অধ্যাপক, আইন ‍বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

নন ফিকশন

Echoes of the New Dawn

Echoes of the New Dawn YA fiction continues to captivate both teenage and adult audiences. Dystopian themes, coming-of-age stories, and novels with strong, diverse protagonists are particularly popular. Genre: YA Fiction, Dystopian, Coming-of-Age  Synopsis of the novel:In a world ravaged by environmental collapse...

গল্প

ফেসনেট

ফেসনেট(১)আজকাল আমার কেমন সব অদ্ভুত অনুভূতি হয়। মা মারা যাবার কিছুদিন পর থেকে এরকম হচ্ছে। (২) সেদিন আকাশটা ছিল ভারি পরিষ্কার। ছিল সারা আকাশে সাদা-নীল মেঘের ছড়াছড়ি। সারা রাস্তা মা আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল। আমি মা কে ওল্ডহ্উাসে রেখে আসতে যাচ্ছিলাম। ইলেকট্রনিক...

মোস্তফা হাসান

মোস্তফা হাসান

সহকারী অধ্যাপক, আইন ‍বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

চিন্তা

হাসির মধ্যে বেদনা

আজ কত স্যার তাদের গল্প ও বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের বেদনা প্রকাশ করলেন। সেই দিন আর কোনো দিন না, আমাদের দশম শ্রেণির আনুষ্ঠানিক ক্লাসের শেষ দিন। প্রায় পাঁচ বছর যাবত এই গাইবান্ধা বয়েজ স্কুলে পড়েছি। অবশ্য প্রাইমারি থেকে হাইস্কুলে চলে আসার...

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

গল্প

অসময়ে ভয়

একদা দুই দম্পতি ছিল । দুজনেই ছিল বৃদ্ধ। লোকটি মাঠে কাজ করতে যায় । তার স্ত্রী তার জন্য খাবার ও পানি নিয়ে যায়। একদিন খাবার ও পানি নিয়ে যেতে দেরি হলো । লোকটি তখন মাঠে লাঠি হাতে গরু চরাতেছিল ।...

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

গল্প

বৃষ্টি ও জ্যোৎস্নার জন্য ভালোবাসা

বৃষ্টি ও জ্যোৎস্নার জন্য ভালোবাসাগত কয়েক মাস ধরে দিনরাত বিশ^বিদ্যালয়ের কম্পিউটার এ্যান্ড রোবোটিক্স ডিপার্টমেন্টের ল্যাবরেটরিতে খাটাখাটুনি করছি আমরা চারজন। আমি, নিহাল, রুবিনা এবং রাতুল। আমাদের চারজনের টিমে রুবিনা একমাত্র মেয়ে। আমি বাদে প্রত্যেকেই তারা স্ব স্ব ডিপার্টমেন্টে সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত...

মোস্তফা হাসান

মোস্তফা হাসান

সহকারী অধ্যাপক, আইন ‍বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

কবিতা

বলে দিও

"বলে দিও"মোঃ রাশেদুল ইসলাম।====================তাদের বলে দিওসোনার বাংলার অবক্ষয়ের কথাপরাধীনতা কালো ছায়ার রেশ এখনো কাটেনি,যে পরাধীনতার শৃঙ্খল তোমরা ভাঙ্গতে চেয়েছিলেনিতে চেয়েছিলে মুক্ত স্বাধীনতার সাধএখনো সেই মুক্তি অসহায়ত্বের জানান দিচ্ছে, মোরা ব্যর্থ।বলে দিও------ঔ বীর শহীদের, বৃথা তাদের আত্মত্যাগ,কুলষিত, রিক্ত জননীর মন, আপ্লুত...

কবিতা

নারকীর জীবন

দিনটা মঙ্গলবার সন্ধ্যেবেলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স লাইব্রেরির দোতলায় কক্ষ নং দুইয়ে সকাল থেকেই বসে আছি। এলোমেলো লাগছে নিজেকে। বইয়ের কালো কালো অক্ষরের ভিড়ে ভেসে উঠছে জীবনের নানান উত্থান পতনের ছবি। ভেসে উঠছে ভবিষ্যতের অনিশ্চিত গতিময়তা। অনিশ্চিত প্রেম, ক্যারিয়ার আর বাবা মায়ের...

মোঃ আল আমিন

মোঃ আল আমিন

কবি ও গল্পকার

পোস্ট

যদি পেতাম

যদি আবার তোমাকে খুঁজে পেতামতবে জোছনাকে পেতামযদি তোমাকে খুঁজে পেতামতবে একটি নতুন সকাল পেতামযদি তোমার হাসি দেখা হততবে আবার আমি বিকেলে আকাশ পেতাম আমি আজও খুঁজি বারবার খুঁজিআমি তোমাকে খুঁজিকারণ তোমার বুকে আমার ভালোবাসা ছিল। 

Shahnewaz islam

Shahnewaz islam

Assistant Upazila Education officer

গল্প

পৃথিবীর জন্য ভালবাসা

পৃথিবীর জন্য ভালবাসা (১) লাউয়ের মাঁচাটায় আগে দোয়েল পাখি শিষ দিত। প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে। সারা দিন কিচির-মিচির করত দুরন্ত চড়–ই পাখির দল। এখন ওরা নেই। নেই ওদের চঞ্চল ওড়াওড়ি, নেই একটুও কলরব। চারদিকে শুনসান নীরবতা। শুধু সিরসির শব্দ করে কলাপাতা বাতাসে...

মোস্তফা হাসান

মোস্তফা হাসান

সহকারী অধ্যাপক, আইন ‍বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

চিন্তা

"তুমি নতুন যতদিন ঈশ্বর থাকবে"

আমার পুনরায় জন্ম হোক,একালের মতনই আমার স্মৃতিশক্তি টিকে থাকুক -সামান্য ক্ষতচিহ্ন যেন না থাকে আমার স্মৃতিতে।আমি নিজেকে উপভোগে তখনই ভীষণ আনন্দ পায়, প্রতিটি অনুভূতি যতক্ষণ তোমায় দিতে পারি! তোমাকে উৎসর্গ করা আমার পুনরায় জন্ম হোক,তুমি পৃথিবীর প্রতিটি আধাঁর শোষণ করো তোমার শোষিত...

কবিতা

মানুষের খোঁজে

মানুষের খোঁজে  আমি প্রতিদিন বিকেলে হাঁটতে বের হই, একাকিআসলে, মানুষ খুঁজতে বের হই মনে মনে,আমি পথে নামি উৎসাহী দৃষ্টি নিয়ে;হ্যা, ঐ তো মানুষ! কাছে গিয়ে দেখি,মানুষ না, মরীচিকা; দ্বিপদ এক জীব,হেঁটে বেড়ায় পথে পথে, মানুষের মতই হাটে একেবারে, তবে, ভেতরে শুধু স্বার্থ আর লোভের টানাটানি, চোখ-মুখ-কান সবই আছে, অথচ নেই শুধু...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

গল্প

বৃত্তভরাট

বৃত্তভরাট‘সাইফা, একটা গান শোনাও’। ‘কোন গানটি শুনতে চাও? তোমার কোন পছন্দ আছে?’ ‘এই মুহূর্তে আমার পছন্দের কথা তোমাকে বলতে ইচ্ছে করছে না।’পুরাতন দিনের অদ্ভুত একটা সুর ছড়িয়ে পড়ে সারা ঘরে। আমি বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। আজকাল নাকি আর কেউ এসব গান শোনে...

মোস্তফা হাসান

মোস্তফা হাসান

সহকারী অধ্যাপক, আইন ‍বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

কবিতা

অপরিনামদর্শী

আমি ভেবেছিলাম জীবন হবে পাখির মতো,মহাসমুদ্রের নীল থেকে ভেসে আসা কোন অ্যালবাট্রোস।আমি ভেবেছিলাম জীবন হবে, পাখির কাকলিতে ঘুম ভাঙা এক ফুলেল ভোরের মতোশিউলি ঝরা কাঁচা মাটির পথের মতো নির্ভেজাল।  আমি ভেবেছিলাম জীবন হবে একটা কবিতা, ছন্দে ছন্দে মিলে যাবে সকল অন্তের মিল,ভেবেছিলাম, মানুষে...

মোঃ আল আমিন

মোঃ আল আমিন

কবি ও গল্পকার

কবিতা

যে শহরে টাকা উড়ে

যে শহরে টাকা উড়েকবি সীমান্ত স্বাধীন।===========================যে শহরে টাকা উড়ে মানুষের মাঝে মানুষ নাই যেখানে নুড়িপাথরে বন্দি সীমার  মন।সমতার অসমানে পাষাণের পানে বিলাপের নাহি কোন মূল্য মাতাল যে নগর অহনীশির ক্ষণ।আমি সেই নগরীর বাসিন্দা আমার তরে নাই কোন ধন একলা আমি একাকী উদাস আমার...

কবিতা

ভালবাসার আর্তনাদ

মনে উত্তাল তরঙ্গ ভালবাসায়কেটে গেল দিনগুলি উন্মাদনায়এল অনুভুতিহীন এক স্নিগ্ধ সকালএভাবে এক মুহুর্ত থাকা বেহালহৃদয়ের এই আকুল আকুতিযায়কি তার হৃদয়ে?যদি শুনতে চাইতে তবে শুনতেবুঝতে চাইলে বুঝতে।হায়রে কি জিনিস অবিরত চাইছিখুজতে খুজতে আপনাকে হারিয়েছি।তবুও তো মেটেনা স্বাধআন্দোলিত মন বালির বাঁধ।মিলনের সুখের...

কবিতা

শ্বাশ্বত আহ্বান

বেলা বেলা করে কত বেলা যায়,ডাকিনি প্রভু কখনো তোমায়!তাই বলে তো বন্ধ রাখনি,সকল বাঁচার উপায়।ফজর পড়িনি গভীর ঘুমে,আরামে অলসে শোয়ে,সূর্য জাগিল পূর্ব গগনে,তোমার বন্দনা গেয়ে।যোহরের আজান সুমধুর সুরে,আকাশে বাতাসে ভাসে,কর্নকুহরে ধ্বনি প্রতিধ্বনি সাজে,হৃদয়ে ভীষণ বাজে।যৌবন বেলা পার করে রবিপশ্চিমে যায়...

কবিতা

প্রেম আর ভালোবাসা

দৃষ্টির সীমানায়, হৃদয়ের মোহনায়,কে এলো? কে যায়?জান্নাতী সমীরণে, বাসনার ঢেউ ধায়,চঞ্চলা দোল খায়।আঁখি দ্বয় তৃপ্ত,অশ্রুতে শিক্ত,চঞ্চল প্রাণ-মন,কোন কিছু স্থির নেই,অস্থির, আনমন।নাওয়া খাওয়া ভূলে যায়,চিন্তার শেষ নাই,সব কিছু এলোমেলো, নিজেদের ভুলে হায়!প্রণয়ী চারিপাশে বারবার দেখা পায়,কম্পিত মন খুঁজে, সবকিছু বলি তারে,কথা লিখে কবিতায়,ইংগিতে আকারে।সায়...

গল্প

স্নিগ্ধ প্রেমের গল্প

_"আম্মুর ডাকে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল।‌ চোখ কচলিয়ে উঠে বসলাম। তখন আম্মু বলল, "এই যে কখন থেকে ফোন বেজে যাচ্ছে নি কথা বল? আমি আম্মু কাছ থেকে ফোন নিয়ে কানে ধরলাম।তারপর একজন লোক হঠাৎ বলল। আপনার চাকরি হয়ে গেছে। আপনি আজকে আমাদের...

কবিতা

১৪২৩ বলছি!

https://arifulislambhuiyan.blogspot.com/2019/10/blog-post_29.htmlনতুন আর পুরাতন,কারো প্রস্থান কারো আগমন,চৈত্রের সংক্রান্তি, বসন্ত বিদায়,ঝড়ো বৈশাখির আগমনী গান।বিরহের সুর তো বাজেনা,পর করে দেয়ার সমস্ত আয়োজনা।মনে রেখো আমার কাছে জমা, তোমাদের সমস্ত ইতিহাস,যা তোমাদের ভাবী পথের পাথেয়। পাথর কান্না আমার কেউকি দেখেনা,ক্ষত বিক্ষত কষ্টটুকু কেউতো ভাবেনা:৩৬০ ডিগ্রিতে ৩৬৫ দিনের পুরোটায়...

প্রবন্ধ

আমরাও কি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে???

আমরাও কি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে???খন্দকার জনি, প্রথম খন্ড, (১ম পর্ব) আল্লাহ্পাক পৃথিবীকে মনের মাধুরী দিয়ে সাঁজিয়ে,শূন্য পৃথিবীর বুকে আবাদ করার ইচ্ছায় প্রথমে পাঠিয়েছিলেন ফেরেশতা জাতিকে...আর ফেরেশতা জাতি আল্লাহ্পাকের হুকুম-আহকাম পরিপূর্ণ ভাবে পালন করার মাধ্যমে পেয়েছিলেন আল্লাহ্'র নৈকট্য, হয়েছিলেন সৃষ্টির সর্বোচ্চ মর্যাদায় আসীন।...

কবিতা

এলরে মাহে রমজান!

মহান প্রভুর সেরা দান,এলোরে ঐ মাহে রমজান।আসছে ধেয়ে জান্নাত হতে,শান্তি অশেষ ধরাতলে।মনের বাগান চাষ করিব,হরেক রকম বীজ বুনিব।সুফল ফসল সব তুলিব,কেয়ামতে সফল হব।রহমতের দশটি দিনে,ঈমান-আমল ঝালাই করে,মাগফিরাতের দিনগুলোরে,পূণ্য-নেকে পূর্ণ করে।বিদায় বেলার শেষের দশে,জাহান্নামের আজাব হতে,মুক্তি চাইবো সবাই মিলে,জান্নাতি হবো বলে।২৫.০৫.২০১৭ফখরে...

প্রবন্ধ

আমরাও কি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে?

আমরাও কি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে???খন্দকার জনি, প্রথম খন্ড, (১ম পর্ব) আল্লাহ্পাক পৃথিবীকে মনের মাধুরী দিয়ে সাঁজিয়ে,শূন্য পৃথিবীর বুকে আবাদ করার ইচ্ছায় প্রথমে পাঠিয়েছিলেন ফেরেশতা জাতিকে...আর ফেরেশতা জাতি আল্লাহ্পাকের হুকুম-আহকাম পরিপূর্ণ ভাবে পালন করার মাধ্যমে পেয়েছিলেন আল্লাহ্'র নৈকট্য, হয়েছিলেন সৃষ্টির সর্বোচ্চ মর্যাদায় আসীন।...

কবিতা

আজিকে এই খুশির রাতে

ভালবাসা আর শংকায় বাজে সদা মনের বীণা,মাফ পেয়েছি কী ক্ষমাশীল দয়াময়! তা' জানিনা।হৃদয়ের গভীর হতে কি বিষাদের মর্ম বেদনা,তীব্র হতে তীব্রতর অসহনীয়, তবু হারাতে চাইনা।বুকে হাত দিয়ে বলি, কতবার যে তোমায় স্মরেছি,পলে পলে অনুপলে, দানা পানি সামনে পেয়েছি।ভূলে ও হাত...

ফিকশন

স্বপ্নের জাল

সম্পূর্ণ নাটকের পিডিএফ পড়তে ক্লিক করুন।  প্রথম অঙ্ক  প্রথম দৃশ্য [মঞ্চে প্রবেশের ক্রমানুসারে অভিনেতাগণ:  বাউল, ইমাম, শিক্ষিত ছেলে, মোড়লের চ্যালা, মোড়ল এবং ঘোষক। মঞ্চের পর্দা উঠবে। নেপথ্যে বাজবে 'বকুল ফুল' গানের সুর। আলো ধীরে ধীরে আলোকিত করে তুলবে মঞ্চকে। গান চলাকালীন বাউলের প্রবেশ] বাউল : আমি অপার হয়ে বসে...

গল্প

রক্ত

রক্ত  আরজ আলী মেম্বার যখন মাগরিবের নামাজ শেষ করে ঘরে ফিরলেন তখন সেখানে থাকা সকলেই একটু নড়েচড়ে বসল। মেম্বার সাহেবের এই ঘরটা নতুন, কিন্তু দৃশ্যটা নতুন নয়। কদমিরচর গ্রামে গত তিরিশ বছরে যত সালিশ হয়েছে তার কেন্দ্রে ছিলেন আরজ আলী মেম্বার,...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

কবিতা

চিকনগুনিয়া

নাম ঠিকানা ভূলিয়ে দিবে,চিকনগুনিয়া।ডানে হাঁটার ইচ্ছে হলেই,হাঁটা যাবেনা।চালক ঠিকই দেহের তুমি,নাইযে কোন বল,চলার পথে উদাস হলে,দেখবে বহু বিপদ।কেউবা বলে নাপা খাও ,প্রচুর তরল খাবার,কেউ বলে বা প্যারাপাইরল,ডাবের পানি পান।সত্যি কথা বলতে গেলে,ভয়ে হবেন কাৎ,মুখের রুচি, ঘুমের বিরাম,সবি নেবে ভাই।নাওয়া খাওয়া...

কবিতা

প্রেম ও প্রীতি

প্রেম ও প্রীতি আসল দিঠি,প্রেমিক হৃদয় কোথায় খুঁজি?কোথায় পাবগো প্রেমের হিয়া?কহিব কথা পরাণ ভরিয়া!!এমন গোধূলী, কাঁচা সোনা রোদ,এঁদো ডোবাজল, একলা ডাহুক,রিমঝিম টিপটপ বিষটি কোথা,কথাকলি সব রবে কি হেথা???বিনিদ্র রজনী সাতকাহন কি হবে?নিশির নিশা পেড়িয়ে ভোর যে কবে?দখিনা মলয় তপ্তদেহে বারিসিঞ্চনে;আসবে...

কবিতা

ক'ফোঁটা রক্ত

তোমরা আছো বলে বেঁচে আছেদেশ সমাজ,বয়সে ছোট হতে পার, তবে করে যাওবড় বড় কাজ।রক্তের বাঁধনে লহ বাঁধিয়া, জাননা কেবা আপন পর!শুধু জান রক্ত লাগবে, রক্ত চায়,কে আছো? কোন জন?হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়ে, মৃত্যুর প্রতীক্ষায়,প্রহর গুনে মরি মরি, সকাল সন্ধ্যা কত বেলা যায়,কেউ নাই...

কবিতা

ভালবেসে কাছে যেতে

ভালবেসে আল্লাহ পাঠাল দুনিয়ায়,ভালবেসে আরো কাছে যেতে,দীদার লাভে ধন্য জীবন; লভিতে দু'জাহানে।যুগে যুগে নবী রাসূল পাঠালেন সকল বান্দার লাগি,কত ভালবাসার প্রিয় বান্দারা! এই পথ হারাল বুঝি!!!ভূল করে করে জানা-অজানা, দুঃখের পথে হেঁটে চলে!বন্ধুর কোথা, বিপদসংকুল পথ কেউকি জেনেছে আগে,তবু পথ...

কবিতা

পাথর দিয়ে যুদ্ধ 

ইরাক, ইরান, তুরান, কাশ্মীর,কাতার আর সিরিয়া,সৌদি আরব, সুদান, মিশর, পুরো আফ্রোশিয়া।উপমহাদেশ, স্থান, আর দেশ -মহাদেশ,সব সৃষ্টি স্রষ্টার জানি, আমরা বিশ্বের, বিশ্ব মোদের।হানাহানি আর মারামারি করে, মানুষ মানুষেরে,হৃদয় আছে ঠিকই দেহে, নাই যে দরদ অন্তরে।সৃজিত হল কত দল উপদল, কেউ সহেনা...

উপন্যাস

বজলুর মন - পর্ব ১

বজলুর মন - পর্ব ১ ----------------------------------------- করিম খাঁ - বাসা থেকে বের হয়েই আবার ঘরের ভিতরে ঢুকলেন, একটা ভুল হয়ে গেছে, মস্ত বড় ভুল, ৫০ এর কোটার এই বয়সে তার অনেক ভুল হচ্ছে, এ ব্যপার টা ইদানিং সে নিজেই খেয়াল করছে,...

কবিতা

আধুনিক লোকজ মহাকবি আল্ মাহমুদ এর ৮২ তম জন্মদিনে আন্তরিক শুভেচ্ছা

"কাবিলের বোন", "পানকৌড়ির রক্ত", মনোহর "প্রবন্ধ সংগ্রহ",প্রতিটি পরতে পরতে তোমার কবি- সত্ত্বাকে পেয়েছি সততঃ।কখনোবা আনমনে গেয়ে বেড়াতাম নিরাকপড়া দুপুরবেলা,"আমার মায়ের নোলক খানি হারিয়ে গেলো শেষে" সে' কবিতা।"হাত দিয়োনা বুকে আমার ভরা বোয়াল মাছে!"কি চমৎকার ছন্দমালা, পড়েছি কি কেউ আগে!কখনো বা...

কবিতা

অনাগত সন্তানের আহ্বান

মাগো তুমি দোল খেয়ে যাওতব মায়ের কোলে,দিনে দিনে ঘনিয়ে আসেআমি আসব যবে।রুহের ধরার অধিবাসী আজ,অনাগত সন্তান,বলিতে কিছু বড় সাধ জাগে,শোন দিয়ে মন-প্রাণ।কিশোরী হবে চপলা চঞ্চলা,কলরব ধ্বনিতে,ঘরে বাহিরে তোমার বিচরণ,দেখবে খুশিতে।পাবে যৌবণ, ভাবের সাগরে,করবে অবগাহন,একটু খানি ভুলের মাশুলে,স্তব্ধ হবে কি সব!!!মাগো...

কবিতা

পিয়া পরশে

তোর ঠোঁটের শরাবে পিয়াসি প্রিয়, চিত্ত জ্বলে তোমার অভাবেসাকি তোর প্রেম পেয়ালা বাড়ায়ে দে এবার আমার অধরে।গৌর বদনে গুলাবী রেশম আঁগ জ্বালাদি হিয়াতে মোরকপোল তলের বিন্দু ঘামে নিভবে বুঝি মনের আগুন।পিয়াসে পরাণ ওষ্ঠাগত এক বিন্দু তোমায় পান করেকেমন তৃষ্ণা আজ...

মোঃ আল আমিন

মোঃ আল আমিন

কবি ও গল্পকার

কবিতা

ক্ষমা করিস, মা

  'এতো ক্ষুধা কেন তোর, এই বয়সে?'শেষ পর্যন্ত বলেই ফেললাম।মা, ক্ষমা করে দিতে পারবি তো?তোর ক্ষুধার তৃষ্ণা মেটাতে আজ আমাকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়, মা।আমাকে ক্ষমা করতে পারবি তো? মনে নাই, মা, সত্যিই আমার মনে নাই,কতরাত জেগে দুপায়ের মাঝে বালিশে রেখে আমার...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

কবিতা

সালাম জওয়াব

সালাম দেয়া সুন্নত, উত্তর দেয়া ওয়াজিব,দরদমাখা মন নিয়ে ভাই সালাম দিতে উদগ্রিব।মিষ্টি স্বরে চিন্তা করে সালাম যখন দিবে,ঝাঁকিয়ে মাথা চুপিসারে যায়যে হেঁটে চলে।মাথার ভিতর ঝড় চলে ভাই, শান্তি নাহি পাই,সালাম কাকে দিলাম সেকি হিন্দু মুসলমান?ভাটা পড়ে মনের জোড়ে, পায়না আবার...

কবিতা

দাওয়াত

ছায়া ঘেরা মায়ায় ভরা নজরকারা গ্রামে;কেউ কি যাবে;শান্তি পেতে দেহ-মন জোরে?পুবের বিলে শাপলা, শালুক,ছবির মত নদী;চলছে বয়ে নিরবধি প্রানের তিতাস নদী।বুকের উপর ট্রেন চলে ভাই সকাল সন্ধ্যা রাতে;ঢাকা থেকে সিলেট কিংবা ফেনী চট্রগ্রামে;নীরবতার মান ভাঙ্গিয়া বাজায় খুশির সুর;মায়ের মতো গ্রামটি...

কবিতা

ভাল বাসার হিসাব-নিকাশ

ভাললাগা না ভালবাসা, নাকি চির-শাশ্বত প্রেম,নিজের পথ দেখা; না দেখার তাগিদে অ-প্রেম।লক্ষ-কোটি অগণিত তারাদের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া,ব্যর্থ নাকি অব্যর্থ প্রেম, ফলাফল যেরূপ চির-চেনা।কত দল-উপদল আজো লড়ে; স্বার্থকতা প্রেমের কিসে?পাওয়া না পাওয়ার দু’দল; অবিরাম সান্ত্বনা খুঁজে,প্রাপ্তিতে সুখ বলে কেউ, অ-প্রাপ্তিতেই মিলে...

কবিতা

উন্মুক্ত মাদ্রাসা

প্রতিটি জামে’ মসজিদ যদি উন্মুক্ত মাদ্রাসা হত;ইল্মে লাদুন্নী,কালামে পাক সহজেই শেখা যেত।নূরাণী সব ঝর্ণাধারা, হাতের কাছে সবাই পেতে,সময় পেলেই বৃদ্ধ-যুবা, জ্ঞান-আহরণে চলত ছুটে।সহজ ভাষা আরবী কেন যায়না শেখা সহজে,দিনে দিনে বাড়ছে ফাঁরাক, কঠিন মনে হয়যে।ভালবাসা যায় হারিয়ে, কবে কোথায় যেন,ভালবাসার...

কবিতা

দুর্ভিক্ষ---

দিকে দিকে পরে গেছে দুর্ভিক্ষ প্রিয়,ভালোবাসবার আর সময় নাই,চলো, জোতস্না ভাজি,চলো, হাত ছেরে হাটি,চলো, এলোমেলো বাতাসে উড়াই প্রেম।চর পরা পেটে, দুর্গন্ধ মুখে,পরে আছি ময়লা পোশাক।তবুও, সময় পেলে খালি পায়ে এসো,খালি হাতে, নিয়ে এক বাটি শুকনো বাতাস।দিনশেষে পৌছে গিয়েছি বিরান এক...

গল্প

অপরুপ দুঃস্বপ্ন

১.“আস্ সলাতু খইরুম মিনান নাওম”!নামাজের আহ্বান বিছানার ওপর লাফিয়ে ওঠে লাবিব। তখনও চারিদিকে স্পষ্ট অন্ধকার। কিন্তু তবুও লাবিবকে বেশ উদ্বীগ্ন মনে হচ্ছে। আজ রাতে তার পড়তে বসার রুাটিন ছিল। গভীর ঘুমে সেটা আর হলো না। আজ তার শেষ পরীক্ষা। পড়তে না...

কবিতা

মসজিদে তালা

কারা উড়াবে বিজয় নিশান,কালেমাখচিত ধ্বজা নিয়ে,খুলবে তালা মসজিদের,মনের তালা আগে।পাপের ভারে মনটি মোদের,অচল কেনো আজ,কে সরাবে পাপের বোঝা,কোন সে রাজাধিরাজ!তালা ঝুলে মসজিদেতে,বেলা অবেলায়,গ্রাম শহরে, গঞ্জে হাটে,সবাই ব্যস্ততায়।মাইক চুরি আর এসি চোরেরকেন এমন দোহাই,পায়না কেন সবাই সুযোগ,সময় চলে যায়।পারিনাক রাখতে খোলা,সোনালী...

কবিতা

ভারত কেন জ্বালায়

ভারত কেন জ্বালায় এতো তার কি সুবিধা?পানি নিয়ে রাজার নীতি, পানি কেন পাইনা?মরুভূমি হয়ে যখন পানি পানি করি,ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে পানি, ভিন প্রদেশে টানি।বর্ষাকালে বাঁচিনারে ভীষণ পানির জ্বালা,গ্রীষ্মকালের পাওনা সবি মিটায় করে মায়া।বানের জলে ভাসি যখন আমরা বাঙ্গালী,সব বাঁধেরই মুখ...

কবিতা

কথা কাজে পরিচয়

কি হলো আজ পথে ঘাটে,ভালো মানুষ নাই,অলি, গলি, পথে পথে, জারজ দেখা যায়,কথা, কাজে, আচরনে মিলবে পরিচয়,জারজ নাকি ভদ্র মানুষ, সবাই তাহা কয়।পথের মাঝে কিংবা কভু বাজার সদায়ে,একলা কোন মেয়ে পেলেই, হুমড়ি খেয়ে পড়ে!বাসে উঠার সময় কিংবা নামার সময় হলে,পাগল,...

গল্প

অপরুপ দুঃস্বপ্ন

 অপরূপ দুঃস্বপ্নআকিবুর রহমান১.“আস্ সলাতু খইরুম মিনান নাওম”!নামাজের আহŸানে বিছানার ওপর লাফিয়ে ওঠে লাবিব। তখনও চারিদিকে স্পষ্ট অন্ধকার। কিন্তু তবুও লাবিবকে বেশ উদ্বীগ্ন মনে হচ্ছে। আজ রাতে তার পড়তে বসার রুাটিন ছিল। গভীর ঘুমে সেটা আর হলো না। আজ তার শেষ...

কবিতা

জীবন ও সম্মান

কিসের স্বপন দেখে আজি, রাখছো কোথায় হাত?কাদের হাতে রাখছো তোমার, জীবন ও সম্মান?জাননাতো সবার খবর, কোথায় কিযে করে!পড়াশুনা করবে নাকি! সেসব খবর নিবে?বয়স তোমার সমান হবে কিংবা দুয়েক বেশী,এই বয়সে নাইতো খবর, জীবন সাজায় কী?কিসের নেশায় ছুটল দেখ তোমার পিছু...

কবিতা

তুমি আমার সেই মহাকাব্য

তুমি আমার সেই মহাকাব্য যাকে একজীবনে পাঠ করলেও শেষ হবে না।তুমি আমার সেই মহাকাব্য যাকে হাজার বার চেষ্টা করলেও এড়িয়ে যেতে পারি না।তুমি আমার সেই মহাকাব্য যাকে বারবারই পড়তে মন চায়।তুমি আমার সেই মহাকাব্য যার কাছে আমি নিতান্তই অসহায়।তুমি আমার সেই মহাকাব্য যার প্রেমে আমি প্রতিটা...

কবিতা

ভাল থেকো খাদিজা

ভাল থেকো অনেক ভালো,জান্নাতী হয়ে,কেমন করে চলে গেলে,কিসের অভিমানে!জানবনা আর সবার খবর,কোথায় কেমন আছে?চলে গেলি এত্তো দূরে,পায়না যেন খোঁজে।ভাল থাকিস খোদার দয়ায়,হুর পরীদের মাঝে,দোয়া করিস সবার তরেজান্নাত যেন মিলে।জানতে কভু পারিনিক কেমন তোরা ছিলে,স্বামী সন্তান খেশ পড়শী সবার সাথে মিলে।মাফ করে দিস...

কবিতা

বাসন্তী ভাবনা 

প্রতিটি বসন্ত যেন ফুলেল বিন্যাস,ভ্রম্ররের গুঞ্জন আর কোকিলেরকুহু-কুহু তানে ভরপুর থাকে।আঁকাবাঁকা নদীর স্বাধীনতার মূর্তপ্রতীক,সুমধুর তার কলতান, বিকেলের সোনালী রোদ,সবি যেন সাথে রবে ।সকালের কাঁচা সোনা রোদ,দুপুরের নিরাক পরা,দু’দুটো পাখি ডাকা নিঝুম সন্ধ্যায়,কে যায় কারে খোঁজে।মধ্য রজনীতে নিথর নীরবতায়,শংকাহীন উৎফুল্ল হৃদয়ে,পাখিরা...

কবিতা

নতুন করে গড়ি

নেতা মেনে যার কাছে ভাই সব কর সমর্পণ;সরলতার সুযোগ নিয়ে,সব করে সে ভোজন।যাদের কাছে আশার আলো,তারা করে ভান,দিবালোকে ঘুমায় তারা; বাড়ে তাদের মান। কষ্টে আছি, কষ্টে থাক, কার কি আসে যায়?তোমার আমার রক্ত চুষে গভীর ঘুমে যায়।জমি জিরাত যাইবা আছে, রাখবেনা...

কবিতা

ভালবাসা

ভালবাসার আকাশ পেলাম, রংধনুটা কৈ?ফুলে ভরা বাগান পেলাম, গোলাপখানা কৈ?তারা ভরা আকাশ দেখি,শুকতারাটা খুঁজি;নিশাচরের ডাক শুনি আর, ভালবাসা খুঁজি। ভালবাসার স্বপ্ন দেখি, মন-মুকুরের মাঝারে;ভালবাসার পিদিম জ্বালায়, বাসনার আঁধারে।ভালবাসি হৃদয় ভরে, রাখি সদা অন্তরে;নিঝুম রাতে পাই খুঁজে পাই, ভালবাসার প্রান্তরে । বালিয়াড়ি বলে...

কবিতা

বিজয়ী কাব্য-গাঁথা 

বাংলাদেশের কোটি প্রানের,চাওয়া-পাওয়া একটি জয়,আকাশে বাতাসে, ধ্বনি–প্রতিধ্বনি ভাসে“হবেই হবে জয়”।বিজয়ের মাস, বিজয়ী শক্তি আছে,পেশীতে হালাল শক্তি,বলে বলে পতন নিশ্চিত;বিরোধী শিবিরের সেনা-সেনাপতি।কত কি যে চায় আল্লাহর কাছে;জীবনের বেলা-ভূমে,চলো দুহাত তুলি তাসকিন ভাইয়েরমতো শুধু জয় চেয়ে চেয়ে।পতাকা মোদের উড়বেই আকাশেবিজয়ী নিশান বেশে,গ্যালারী,ঘরে,অলিতে...

কবিতা

সোনার জীবন গড়ি

আমাদের দেশটা হতো যদি সবার,দুঃখ -সুখ মাঝে হতো একাকার;কারো বিপদে সহায় হতে,থাকতো সবাই প্রাণ-পণে ।খুন ঝরে মাটি - জলে,লাশ ভাসে খালে -ঢালে;বিচার-আচার ঠিকই চলে;সত্যিকারের বিচার কবে?বিচারকের বিচারক দেখেন ঠিক-ঠিক;পাবে সবি পুরুটাই পাবে নাক দিক!শেষ বিচারের আগে চলো নিজের বিচার করি,ভুলত্রুটি...

কবিতা

আহলান সাহলান মাহে রমজান

মাহে রমজান পরিপূর্ণ নিয়ামতে আল্লাহ্‌র ,তারাবীহ,তাহাজ্জুদ, পূণ্য মনে সেহরি- ইফতার,।মসজিদে মসজিদে সুমধুর তিলাওয়াত;রুকু-সিজদায়,নামাজে-দোয়ায় বান্দারা আল্লাহ্‌র।যায় বয়ে পবিত্র সময়, বহে শান্তি সমীরণ,শান্তির হাওয়া বয়, দেহ-মন কথা কয়;ভোর হতে সন্ধ্যায়;আর যখন রাত্রি,মিলেনাতো এমন সুখ! খুঁজে ফের যদি।রমজান নিয়ে আসে জান্নাতি হাওয়া,মনে-প্রাণে শান্তি,সবি...

কবিতা

ফেরেশতাদের বাগানে

কোকিলের কুহু কূহু, তটিনীর কলরব;সবুজের সমারোহ, সাজানো যতোসব।ফুলে ভরা থরে থরে, মনোহর বাগিচা,হার মানিবে নীরবে, বারেক এসে দেখনা। কচিকাঁচার মিলন মেলা, ফেরেশতাদের বাগানে,কে যাবে ভাই, শান্তি পেতে, সকাল দুপুর সাঁঝে,শুনতে পাবে ঐশী কালাম, অতি মধুর সুরে,মহানবীর (সাঃ) বাণী বাজে, কচিকাঁচার স্বরে। ধূলীর...

কবিতা

জাগাও তুমি, জেগে ওঠো

পূর্বে তোমার ঈমান- অস্ত্র সবি ছিল চোখ ধাঁধানো;আজ কি হলো ভাইরে তোমার, সব কিছুতেই হেয় হারালো !হালাল ছেড়ে হারাম খেয়ে, নাই ঈমানের দৃঢ়তা,প্রতিবাদী কণ্ঠে কেনো দ্রোহের আগুন জ্বলেনা ! সাহস খনি হারিয়ে গেলো, নাকি কাউকে সঁপে দিলি !!!ভীরু ভীরু ত্রস্তপদে বাঁচবে...

নন ফিকশন

গানে গানে ঢাকার রূপ

জাদুর শহর, মায়ানগরী, টাকার শহর, আশার শহর, স্বপ্নের শহর - কত কত খেতাব যে পেয়েছে তিলোত্তমা ঢাকা, তার ইয়ত্তা নেই! যাঁরা এখানে বাস করেন, তাঁদের কাছে কখনো শুধুই ইট-কাঠ-পাথরে ভরা জঞ্জালের একটা শহর এই ঢাকা। কিন্তু চোখে হাজার স্বপ্ন নিয়ে...

কবিতা

জাগবে কবে, বীরের জাতি

কলম তোমার ভোঁতা কেন? মুখে নেই কোন রা!!ভয় কি তোমার দেশ কাঁড়িবে ! রোহিঙ্গা না বৌদ্ধরা ?তাকাও! তোমার আপন জনের মুখটি বারেক দেখো,কারো আঘাত সইবে কভু, নীরবে তা' ভেবো !!!যালিম - জুলুম করছে কেমন !!! তাকাও মায়ানমানমারে,মানব শত্রু বৌদ্ধরা আজ...

কবিতা

জানলেনা আজো

হাজার বছর ধরে, যে পাটাতনে দাঁড়িয়ে,জানলেনা আজো, জানলেনা সে কে?হাজারোবার যে দ্বারে, টোকেছে বাসনার ইঙ্গিত!সে দ্বার খোলেনি, গেয়ে গেল শব্দহীন সংগীত।অব্যবহিত পূর্বে কিংবা পরে, কেঁউ ডাকল কি?সুমধুর স্বরভঙ্গিতে সম্বোধণে!ওগো সম্রাজ্ঞী!তিলোত্তমা উপহার, সব শূভ্র ফুলের মালা,সম্রাটের শাহী অশ্বের খুঁড়ের ছন্দে পড়লো...

কবিতা

আম্মা! তুমি কেঁদোনা

আম্মা! তুমি কেঁদোনা আর,চোখদুটি ভরে তুলোনা লোনাজলে;পাঁপড়ি চোখের সিক্ত করোনা অশ্রুতে;মনের পৃথিবীকে ধূ ধূ মরুভূমি করোনা।আমি ছিলামনা কিছু দিন আগে,তোমার পাশে নয়নতারা হয়ে?কাটায়েছি শৈশব কৈশোর তোমার কোলেতে।মাগো! আমি মরিনি জানো!সৌভাগ্য আর নিঃসীম সুখ-ভোগ,সুদর্শণা ললনারা দিয়েছে হাতছানি,যাদেরকে জানি রুপসী- অপ্সরী।যাদের ভালবাসা...

কবিতা

হৃদয় কন্দরে

কবিতা তোমার আশ্রয়স্থল হয়তো হারিয়ে যাবে!মিশিয়ে দেবে দুঃখের উদ্ভট গন্ধ মেশানো মদে।হারানোর বেদনা সে যে তিক্ত পেয়ধারার মতো,আশা করা হয়না কভু যা'দিয়ে যাবে যতো।মসৃণ হৃদয়ভূমে জাগাবে ধূ ধূ মরুময় বালুকারাশি,জাগবে হৃদয় নদীতে বেদনার বালুচর রাশি রাশি।যে নদী বয়ে চলে, প্রিয়...

কবিতা

সফেন পদ্ম

মুখোমুখি আজ জটিল ধারায় কোন সে পথে;ধেয়ে যাব; একাকী কূজন রবের লেশ ধরে,থাকবেনাতো মাথার 'পরে, মহীরুহের ছায়া কোন,ডাকবে ডাহুক ঝিঁঝিঁ পোঁকা, চলতে হবে ধীর।কোথাও হবে নিকচ আঁধার, ভয়াবহ সন্ধ্যাবেলা,থাকবে আবার সৈকতে, বিজন ভূমির প্রেমের মেলা,নাহি পাবে শান্তি কিছু, হেথায়-হোথায় বৃথাই...

কবিতা

সাগর পাড়ে

পূব আকাশে উঠলো জেগে রঙধনুটা হঠাৎ হেসে,দেখতে পাবে হরেক রঙে প্রেমের রাণী বসছে ধ্যানে।বাস করে তার প্রেমের পুরুষ, পৃথিবীরই প্রান্তকোণে,ভাবছে বসে কেমন আছে, চিত্র আঁকে হৃদয় পটে।জানেনাতো নদীর বুকে বইছে কি জল আগের মতো,দল বেঁধে কি মাছ ভাসে তার, গভীর...

কবিতা

সিগন্যালের গ্যাঁড়াকলে 

পীচঢালা রাজপথ ছাড়িয়া অভিমানে,নৌকায় চলিলাম জ্যামের অত্যাচারে।সময় বড় বেশী স্মার্ট হয়ে গেল আজ,তাড়া খেয়ে পিছু ছুটি, লাগে যে লাজ। নাই কেহ দেখিবার? করেনাতো সমাধান,জীবনের কত বেলা, অপচয় বেশুমার।লেইট খায় কখনো, কেটে নেয় বেতনের,কখনোবা পুরোটাই হাতছাড়া মেজাজের। ক্লাশ আর লেকচার কিংবা পরীক্ষা,সময়ের পরে...

কবিতা

তোমাদের_উত্তরায়

তোমাদের_উত্তরায়আব্দুল মাজেদ। ২৪৬৮১০ অক্ষর।   তবুবলা উচিত, তোমাদের উত্তরায়ধর্মীয় ডাকাত আছে ভাই, দাবি তার ইসলাম, আসলে তা নাই।শরীরঢাকল সুন্দর সুন্নতের পোশাকে,সে যে আটকে দিলো কতছেলের পয়সা ও সুন্দর আশাকে।মুখেতার ধর্মীয়মধুর এ্যাতো বানী।কত বড় পেটুক আলেমজানি ভাই জানি দেখিয়াই জানি।তবু কেন বলোদাড়াতে সালাতেএমন আলেমের পেছনে?এটা কী অন্যায় নয়?...

কবিতা

ভাই হারিয়ে

ধরাতলে আগমনে আজান দিল খুশি মনে,ভাবছি বসে ধূলীর ধরায়, গোছল, নামাজ বাকি আছে।শোক সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে চলে গেলে বিভুর কাছে,"আসতে হবে আমার মতোই যখন তোমার সময় হবে"। সারা বেলা কাঁদলো আকাশ,নিথর, নীরব, সব দেহ -প্রাণ।আশার তরী, ডুবল আজি,শোক-সবুরে, তোমায় খুঁজি। প্রদীপ সম...

কবিতা

সম্পর্ক

ফোনের অপর প্রান্তে অভিযোগ,"এইভাবে কি সম্পর্ক রাখা যায়"?সাবলীল জবাব, হ্যাঁ। প্রয়োজনআর অপ্রয়োজনে এ দাবী সবার। অভিমানী কন্ঠ নীরব, নিথর, হতচকিত!"কি জানি বুঝিনা আমি এতোসব"।দিন যায়, মাস যায়, ঘুরে যে বছর,বন্ধু কিংবা আত্মার কেউ রাখে কার খবর? ব্যস্ত দুনিয়ায় নাই সময় নাই নাই,"পথে...

কবিতা

ধূসর প্রেম

হৃদয়ের অতল গহ্বরে অতন্দ্র প্রহরী সেজে,সহাস্য কলতান সঙ্গী হয়ে; জীবন নদীর তীরে।এ কেমন আগমন তব? মনোবাসনার এমনি প্রকাশ;সহজ অংকটি তোমার বুঝেনাতো সে, আজো ম্রিয়মাণ। সাধণার মানবী, ভালবাসার উৎসারিত ঝর্ণা;কেন জাগালে হৃদয়ে তাহার, দ্বারে দিতে ধর্ণা।পাবনা এ অলীক কথার পুষ্প কভু জাগবেনা?পেয়ে...

কবিতা

শিশির মেলা

বিলিয়ে দিতে তোমার তরে, চাই তনু আর প্রাণ,ভালবাসা হউকনা জমা, কোমল হৃদের ত্রাণ।দুরু দুরু বুক চেয়ে যায়, করুণার সে বৃষ্টিধারা,তোমার প্রেমে মন হারিয়ে, কে হলো আর পাগলপারা? হলুদ ফুলের মেলা কভু, বসছে কি আর তোমার বাগে?মনোলোভা অচিন ফুলে, সাজিয়ে দিতে কেউ...

কবিতা

ভালবাসার সাগরে

মসজিদে যায় নিয়মিত, কোরান পড়ি অবিরত,হজ্ব করি আর রোজা রাখি, বিধান মানি সময় মত;তার পরে ও জান্নাত পাওয়া নইরে সহজ ভাবি যত!লোকদেখানো ইবাদতে, খোদার রাজী মিলবে কত? কী করিলে, কীভাবে যে, আল্লাহ আমার হবে,রাসূল পাকের (সাঃ) দোয়া পাব, সারা জীবন জুড়ে।প্রাণের...

কবিতা

বানের জলে মানবতা

বিবেক তোমার, আমার, সবার নির্বাসনে গেল নাকি!বিশ্ব বিবেক মাতাল হয়ে, ঘুমের ঘোরে পড়লো বুঝি!বিবেক নামের শব্দখানা অভিধানের কোন্ কোনাতে,প্রাণ আছে কি নেই তা'তে আজ, খবর নিবে কোন সে' জনে। উজান দেশের বানের পানি, ছেড়ে দিবে যখন খুশি!মাতবরেরা কোথায় গেলো, কোথায় তাদের...

কবিতা

আজিকার ছেলে মেয়ে

ছেলে গুলো ছেলে কিনা সন্দেহ যে মনে!!!মেয়ে গুলো, নয়যে মেয়ে, দেখছো সবাই চেয়ে!রাস্তা ঘাটে, পথের ঢালে, কিসের ঘেঁষাঘেঁষি,বেশ্যা ছেলে মেয়ে যতো, লজ্জা পাবে দেখি। দোষ দেবেনা মতি গতির, আর না বয়সের,ভাল করে দেখো আজি, দোষ যে সকলের।ভাই যে আমি ছোট্ট বোনের,...

কবিতা

তোমরা জাতির অঙ্গ

জাগতে হবে, জাগাতে হবে, বড় প্রয়োজন সব সমাজে,আশার পিদিম কে জ্বালাবে, অরুণ -তরুণ চলরে ছুটে।উল্কা বেগে, সৃষ্টি নেশা, পবন বেগে চলবি ছুটে,কোটি প্রাণের মিটাও দাবী, সকল বাঁধা টুটে ।লও তুলে এক হাতে তোমার বাজাও মরণ বীণ,অন্য হাতে দিবে দিশা, লক্ষ...

কবিতা

কুরবানির প্রাণখানি

কুরবানি দেয় কুরবানি, নয়তো কারো কুলখানি,গরু, ভেড়া, ছাগল, মহিষ, দোম্বা কিংবা উটখানি,কেমন প্রিয়, সকল জনের, ভাল করে ভাবতে শিখি,টাকার মায়া, জীবন বেলা, কেমন প্রিয় একটু ভাবি।প্রিয় কিছু দেয় উপহার, ভালবাসি যারে,হউকনা ফুলের মালা কোন, ভালবাসি তারে।কেউ দিবে তাঁর রক্ত ঢেলে,...

কবিতা

সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ (সাঃ)

প্রতিটি হৃদয়ের চারিপাশ যবে ঘোর তমসায় ঘেরা,তোমার প্রেম ভালবাসা, মুগ্ধকর আন্তরীকতা;সৃজিল আলোর ফোঁয়ারা প্রতিটি হৃদয় জুড়ে,আঁধারের সব আঁধার উপনীত হলো, নতজানু হয়ে। সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ! তৃষিত হৃদয়ের আবে জমজম,দিকভ্রান্ত মানবজাতি খোঁজে পেল দিক দর্শন।একবিংশ শতাব্দীর এক উম্মতের মরুতৃষা আজ,তোমাকে হৃদয়...

কবিতা

তোরা থামবি কিনা বল!

তোরা থামবি কিনা বল!ছাড়বি কিনা পাষাণ ছল,মরণ ফাঁদের রক্ত নদী,কয়টা খাবি বল? ভাল মানুষ, উঠছে জেগে,পারবি কিনা বল?আগুন ঝরা, বহ্নি হাওয়া,সঙ্গে যাবি চল। আকাশে বাতাসে, জলে পর্বতে,ঠাঁই কি তোরা পাবি,নদী গিরি, বন জঙ্গলে,পথের দিশা নিবি। পাতা মরমর, বৃষ্টি ঝরঝর,বজ্রনিনাদ আসছে ধেয়ে,কাঁপে থরথর, গিরি...

কবিতা

পাষাণের বুক ফাঁড়ি

বানের জলে সব হারিয়ে ,নিঃস্ব হয়ে বিশ্ব মাঝে,শান্তিটুকু খুঁজি;হউক তা' আরাকানে, নির্যাতিত জনপদে, জালিমের রক্ত রাঙ্গা,পাষাণের বুক ফাঁড়ি। রক্ত পিচ্ছিল, মৃত্যু পায়ে,শংকা প্রাণের সাথী,তবু শান্তিটারে খুঁজি;বাংলা, ভারত, চীনের মতো,প্রতিবেশী দেশ কে জানো,দুর্দিনে কি পেলি। জীবন মরণ সমান যেথা,শক্ত করে দাঁড়া,শান্তি আসবে নামি;কামড়ে ধর,...

গল্প

কলকাতার অমরগাথা: কালীঘাটের অভিশপ্ত মন্দির

কলকাতার অমরগাথা: কালীঘাটের অভিশপ্ত মন্দির কলকাতা শহর বরাবরই রহস্যময়। প্রতিটি রাস্তায়, প্রতিটি অলিগলিতে লুকিয়ে আছে অসংখ্য কাহিনী। এখানে আছে একদিকে ঐতিহ্যের গন্ধ, অন্যদিকে আধুনিকতার ছোঁয়া। এই শহরের বুকেই লুকিয়ে আছে এক অভিশপ্ত মন্দিরের গল্প, যা একদিন সমস্ত শহরকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। রঞ্জন...

বিরহ দাস

বিরহ দাস

ফ্রিল্যান্সার

কবিতা

জীবন্মৃতে প্রাণ আসে

 বৈশাখ এলে রামধনু রং রংতুলিতে লাগেবৈশাখ এলে গ্রাম বাংলায় ঢোলের বাদ্য বাজেদেখি আল্পনাতে কল্পনাতে শোভাযাত্রা সাজেঅসুর বধে বাঘ সিংহ কেশর ফোলায় রাগে কাব্য কথায় গানে নুপুর-নৃত্যে মঞ্চ ওঠে কেঁপে নৌকাবাইচ বলীখেলা ঘুড়ি বায়োস্কোপের মেলাপুতুল নাচ নাগরদোলায় কাটে বৈসাবি-বেলাসে আনন্দে সুর ছন্দে ধরায়...

আর কে শামীম পাটোয়ারী

আর কে শামীম পাটোয়ারী

কবি, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও ব্যাংকার।

কবিতা

আগুন জ্বালা অন্তরে!

বাজাও রণদামামা, পড়রে আমামা;মুখে কালিমা, আগুন জ্বালা।শেষ করে দাও, মানব শত্রু,মাংস খেকো, বৌদ্ধ ভিখু। চালাও ঘোড়া, মাররে চাবুক, নিশানা করো শত্রুদের,নাইরে সময়, শেষ করিতে, শত্রু যারা ধর্ ওদের।ধর্ হাতে ধর্ ঢাল তলোয়ার, একীনে রাখ আল্লাহু আকবার,ধুলীর মতোই স্তব্ধ রবে সব আধুনিক...

কবিতা

জাগো আবার জাগো

এ কোন্ ঘুমে অচেতন, জাগবেনা কি জাগবেনা!ভাই, বোন, আর শত মাজলুমার, কান্না কানে পৌঁছেনা?জালিমের দল তোর দ্বারে কই, খুঁজিস কেন হদিস,সে আশাতেই আছিস বসে! জীবন মরণ ভাবিস!কাঁদার তরে মানুষ দূরে, পশু পাখি কেউ রবেনা,পড়বি যখন বিপদ মাঝে, ছুটবিরে তুই পথ...

গল্প

নেপোয় মারে দই

" নেপোয় মারে দই"সপ্তা খানেক ধরে রেডিওয় কতিছে ঝড় হবে সাথে জলোচ্ছ্বাস  আর তা নাকি বাংলাদশের উপকূলীয় অঞ্চলেও আছড়ায় পড়বে।এখবর শুনে দেবীরাণির বুকির মদ্দি মোচড়ায় উঠতিছে,থাকি থাকি তো পেসার উঠি যাওয়ার জোগাড়।এমনডা হবেইবা না কেন। এই সব্বনাশে ঝড়েই তো গাছ...

অনিরুদ্ধ মিস্ত্রী

অনিরুদ্ধ মিস্ত্রী

শিক্ষকতা এবং লেখালেখি

কবিতা

আমার বঙ্গবন্ধু

 তোমার উত্থানে হয়েছে অন্ধকারের শেষপ্রবাল প্রশ্বাসে জাগিয়েছো পুণ্য এই স্বদেশ; তোমার আগমনে হয়েছে রাজপথের ক্রেশ,বিপ্লবী জনমনে উৎকন্ঠিত সাবাস বাংলাদেশ। তোমার চেতনা শক্তির লেলিহান শিখারুখেছে সামরিকজান্তা মারণাস্ত্র বিভীষিকা;তোমার স্পৃহার উৎকর্ষিত জ্বলন্ত আখ্যাদিয়েছে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ নামে ব্যখ্যা; তোমার আহ্বানে স্বাধীকার মুক্তির জল্পনা নিরীহ-নিপীড়িত বাঙালির যততথ...

গল্প

ছোটগল্প

শোনা কথায় বা গুজবে কান দেওয়া উচিত নয়। তাতে সবার জন্য সমস্যা তৈরি হয়। প্রমাণ ছাড়া আমাদের কোন কিছু বিশ্বাস করা উচিত নয়।

চিন্তা

দ্বিতীয়_স্ত্রী_যখন_জাদুকর

উন্নত বিশ্বের প্রবাসী এক ভাই। সেখানের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। প্রথম স্ত্রী নিয়ে বেশ ভালোই আছেন। এই দাম্পত্যের ফুটফুটে দুটো কন্যা সন্তানও আছে। তার ইচ্ছে ছিলো যেহেতু সামর্থ্য আছে দ্বিতীয় বিয়ে করবেন। এগুলো নিয়ে মাঝেমধ্যে উভয়ের মাঝে খুনসুটি হতো। ওয়াইফ মজা হিসাবেই...

সমালোচনা

বাংলা সাহিত্যে অশ্লীলতা

আচ্ছা প্রেম মানেই কি অশ্লীলতা? আমার কিন্তু এমনটা মনে হয় না।  কিন্তু আমাদের শিল্প সাহিত্যে বারবারই দেখানো হচ্ছে প্রেম মানেই অশ্লীলতা। নাকি এই প্রেম কাহিনি রচিয়তারা দেখাতে চাইছেন, বর্তমান সমাজের প্রেম কাহিনি?কাদের দিবো দোষ?  লেখক নাকি বর্তমান যুগলদের?  দু'দলেরই দোষ...

চিন্তা

প্রাথমিকে শিক্ষকদের গুরুত্ব দেওয়া হউক

ছোট্ট করে একটা পরিসংখ্যান দেই, আমার ইউনিয়নে ৬ টা হাই স্কুল, ১ টা আলিয়া মাদ্রাসা, ১ টা ডিগ্রি কলেজ আছে,   সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০-১৪টি।  আয়তন ২২.৩৫ বর্গকিলোমিটার, লোকসংখ্যা ২০২২৪ জন।৷৷  ঘনত্বের অনুপাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্তু বেশ যথেষ্ট।  শুরুতে প্রাথমিক...

কবিতা

বন্দুকের রোষানলে

পড়িতে পড়িতে কবিতার সাথে প্রেম না হইলে কবির ভাব বোঝা দুষ্কর। কবি তারেই বলে যে সরল তানে কঠিন সত্য বলে। সত্য বিনা কাব্য অসম্ভব। 

গল্প

অণু গল্প- ''বিবর্তন''

এই কারখানাটায় গাড়ি তৈরি হয়। একঘেঁয়ে কাজ। এভাবে একটানা কাজ করা মানুষের পক্ষে সম্ভব না। কারখানাটাতে তাই এখন অনেক রোবট কাজ করে। মানুষ কেবল কম্পিউটারের সামনে বসে দেখে, রোবটরা ঠিক মত কাজ করছে কি না। এই কাজটাও খামাখা। রোবটরা কখনোই বেঠিক ভাবে...

গল্প

অণু গল্প-"রেন্ট আ বডি"

বাসর রাতেই আনসারি জেনে গেল, মন্টু নামের এক ছোকরার কাছে হেরে গেছে ও। লতা মুখ শক্ত করে বলল, প্রেম তো টম্যাটো সস না। মনের উপর ছড়িয়ে দিলেই হ’ল! লতা মন্টুকে ভালবেসেছিল, মন্টুর বেকারত্ব আর লতার বাপের জেদ লতাকে মন্টুর সাথে...

গল্প

কিসমত আলী অথবা শূন্য

কিসমত আলী অথবা শূন্য //মেঘের পরের রূপটা ফুটিয়ে তুলেছিল গোধূলীর রামধনু। বাতাস থির হয়ে ছিল। গাছেদের দিকে তাকালে মনে হতো নিঝুম জপছে। দূরের ডাঙা থেকে কেউ একজন ফিরছিল। সম্ভবত রাখাল। কিন্তু তাড়া ছিল না। মেঠোর পাশের খালে ভেসালের উঠানামা দেখছিল-কি...

কবিতা

আমাকে হত্যার পর জেগে ওঠে চাঁদের শহর

আমাকে হত্যার পর             অন্তরালে জেগে ওঠেচাঁদের শহরতবে কখনো কখনো           কতশত স্রোতচিহ্ন                    মুছে যায় তাতেআগে পিছে অন্তরালে        ...

গল্প

রাতের অন্ধকারে

রাত গভীর হয়েছে। শহরের সব আলো নিভে গেছে, শুধু চাঁদের ক্ষীণ আলোয় আকাশটা কিছুটা আলোকিত। তপু বাসায় একা। মা-বাবা গ্রামের বাড়ি গেছে, আর বোনটা বেড়াতে গেছে খালার বাসায়। তপু সাধারণত একা থাকতে ভয় পায় না, কিন্তু আজ যেন এক অজানা...

কবিতা

আমি খুব হারিয়ে গেলাম

কদমপাতায় ফেলে দেয়া হলো আগুনরাত যখন সকাল ছুঁইছুঁইদেখা গেলো পুড়ছে না কিছুইশুধু হেঁটে আসছেন তারাকদম ফুল মুখে নিয়ে আগুনেরা তারাআগুনেরাহেঁটে এসে বললতোমরা কি জেনেছ হলুদ ফুলের নামহাজার হাজার পথ বেয়েআমরা এলাম  পথ বেয়ে চলে গেছিবইয়ের মলাট থেকে শিশিরের জলেশিশিরের জল থেকেশেষ পৃথিবীর...

চিন্তা

🍂 একজন পুরুষ কে যেমন হতে হয় 🍂

🍂 || একজন পুরুষ মানুষকে উত্তম সমন্বয়কারী হতে হয়। প্রতিনিয়ত সবকিছু কে সমন্বয় করে চলতে হয়। যিনি যতবেশি সমন্বয় করতে পারেন তিনি ততবেশি পারিপার্শ্বিকতাকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেন।সমাজে একজন পুরুষ কেবল মাত্র তার সফলতা দিয়েই সমাদৃত হয়। যদি পুরুষ মানুষ...

চিন্তা

উন্নয়নশীল নাকি উন্নত ক্রিকেট?

আমাদের ক্রিকেটের যথাযথ যাত্রা শুরু বলা যায় ১৯৯৭ এর আইসিসি ট্রফি জয়ের মধ্যে দিয়ে। এরপর জল বহুদূর গড়িয়েছে। তার কতখানি ইফেক্টিভ হিসাবে সিদ্ধ, সেই আলাপ এত বছর পরও তোলা আছে। স্বাভাবিক হিসাবে কথা ছিল সেই আলাপ সুদূর পরাহত হবার কথা...

ভ্রমণ

দার্জিলিংয়ের ডায়েরি

দার্জিলিংয়ের ডায়েরি  প্রথম অধ্যায়: প্রস্তুতি২০১৫ সালের বসন্তের শুরুতে, আমি এবং আমার কয়েকজন বন্ধু সিদ্ধান্ত নিলাম যে এবার আমরা দার্জিলিং যাব। ঢাকার গরমে আর থাকা যাচ্ছিল না। আমি, অর্ণব, সবসময়ই ভ্রমণ পছন্দ করি, তাই নতুন কোনো গন্তব্যের সন্ধান সবসময় আমার মনকে উত্তেজিত...

কবিতা

ভাত অথবা জুঁইফুল

 কেবলই ছবি! ভাত অথবা জুঁইফুলতো একইশাদা শাদা! চাল বিতরণের লাইনে দাঁড়িয়েএই হিসেব করেন তিনি কেবলই ছবি অথবা নয়ছবিতে ধোঁয়া ওঠে নাছবিতে কেবল নির্জনতা এখন আকাশে বিছিয়েছে শস্যকণাজুঁইফুল কখনো ভাত হয়ে আসে না 

বিশ্ব সাহিত্য

কাফকাহীন শতবর্ষে কাফকাময় পৃথিবীতে

মাত্র নয়টি পূর্ণাঙ্গ গল্প লিখেছিলেন ফ্রান্ৎস কাফকা। বাদবাকি কোনো গল্পই তিনি সম্পূর্ণ করেননি বা করতে পারেননি বা করতে চাননি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি অসমাপ্ত উপন্যাস (মৃত্যুর পর বের হয় ১. দ্য ট্রায়াল ১৯২৫, ২. দ্য ক্যাসল ১৯২৬, ৩. দ্য আমেরিকা...

গল্প

জুতা অথবা আমি

জুতাজুতা পরতে গিয়ে দেখি একটা আছে একটা নেই। কিন্তু গেলো কোথায়? জুতা রাখার শেলফে আতিপাতি করে খুঁজি। আশেপাশে দেখি। সিঁড়ির ওপরে নিচে দেখি। পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়ার শেলফের দিকে তাকাই। নাহ। নেই তো। তবে কি বুয়া ঝাড়– দেয়ার সময় ভুল করে...

কবিতা

এ বছরের বানোয়াট সংলাপ (?)

এ বছরের বানোয়াট সংলাপ (?).......লবেরুযতবার ব্যাকপ্যাকে ঘুরতে গিয়েছি,ততবার কোন না কোননারীর নিষ্পাপ মুখ দেখেঠান্ডামাথায় প্রেমে পড়েছি।রূপ-লাবণ্যের খেলায়হেরে গিয়ে এত সহজেপ্রেমে পড়া যায় আগে তা বুঝিনি।তবে ফিরতি-প্রেম এখনও আমি পাইনি;মনে হয় আর পাবও না। সময়ের ক্লান্ত স্রোতেভেসে ভেসে মালয়, বালি আর সিন্ধু যাব প্রেমের খোঁজে;হয়তো বাউন্ডুলে ভেবে ফিরতি প্রেম আমাকে চাইবেও না।একতরফা প্রেম, সে তো প্রেম নয়-- বাণিজ্যিক খেলা।যতবার ব্যাকপ্যাকে ঘুরতে গিয়েছি,ততবার কোন না কোননারীর নিষ্পাপ মুখ দেখেঠান্ডামাথায় প্রেমে পড়েছি।

লবেরু

লবেরু

এখনো এই সময় আসেনি

কবিতা

প্রেমের পুঁথিমালা

প্রেমের পুঁথিমালা...লবেরুপ্রেম আসবেই-বসন্তে না আসুকশীতে তো আসবেইপ্রেমহীন জীবনকখনো মরতে পারে না-প্রেমে আসে আত্মশুদ্ধির আমায়িক ছায়া।

লবেরু

লবেরু

এখনো এই সময় আসেনি

ভ্রমণ

দ্বীপের ভেতর দ্বীপ

বন্ধুরা মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম ছেঁড়া দ্বীপে যাব। এ দ্বীপে যেতে হলে আগে সেন্টমার্টিন যেতে হবে। অর্থাৎ দ্বীপের ভেতর দ্বীপ। এর আগে আমরা সেন্টমার্টিন এলেও ছেঁড়া দ্বীপে যাইনি। তাই এবার সেই সৌন্দর্যটাও দেখে আসব। পাঁচ বন্ধু সময়ক্ষেপণ না করে পরদিনই রওনা...

আজহার মাহমুদ

আজহার মাহমুদ

সাংবাদিক ও লেখক

গল্প

পেয়াজ বিড়ম্বনা

পেয়াজ বিড়ম্বনা রাত ১১ টা বাজে। মাত্র অফিস থেকে বের হলাম আর তখনি বউ এর ফোন। এতরাতে ফোন দেওয়ার কারণ জানতে চাইলাম। : বাসায় পেয়াজ নাই। : তো! : তো মানে, আসার সময় ৫ কেজি পেয়াজ নিয়ে আসবে বুঝলে। :...

গল্প

আফনানের শার্ট

     মহব্বতের গলির শেষ বাড়িটা রিকশাওয়ালা আতিকুলের।পৈতৃক ভিটেটা ছিলো বলে সে যাত্রায় বস্তিবাসী হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যায় তার পরিবার।বাপের আমলের ঘরটাতেই পরিবার নিয়ে থাকতো আতিকুল।থাকতো বলার কারণ রিকশাওয়ালা আতিকুলের পরিবার এখান থেকে অন্যত্র চলে গিয়েছে বছর কুঁড়ি আগে। ...

ইশতিয়াক মাহমুদ তন্ময়

ইশতিয়াক মাহমুদ তন্ময়

HSC Candidate,Govt. Anandamohan College, Mymensingh

ভ্রমণ

ফ্রম লাদাখ উইথ লাভ!

লেহ-লাদাখ একটা স্বপ্নের নাম । আমার জন্যও তা ব্যাতিক্রম ছিল না । হঠাৎ করেই এই স্বপ্নের জায়গায় ভ্রমণের সুযোগ মিলে যাবে, তা কল্পনাতেও ছিল না ।আকাশের ওপর মরুভূমি, টার্গেট ১৮,০০০ ফিট, নানান ঘটনা-দুর্ঘটনায় সদস্য সংখ্যা ৬ । সময় মাত্র দিন...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (১৫)

৭১ মন রে          বলছি—শোন তা হলে                   বোকা হয়ো না তুমি।তোমারে          ভুলিয়ে রাখুক সকলে                   ভুলো না বন্ধুরে তুমি॥ যত হয়েছে সংসার আপন          কাজে এসেছে কার—কখন? লেনদেন বাড়িয়ে ফিরছে শূন্যে          জগৎ হয়নি কারও ঠিকানা দামি—                  বোকা হয়ো না তুমি॥ অমনে          যেতে হবে—রেখো স্মরণে                   কাজে আসবে না...

গল্প

অপার্থিব

‘আমি জীবনের উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেলেছি।’রাজীবের কথা শুনে ডাক্তার নোরা খস খস করে কাগজে কী যেন লিখলেন।‘আপনার সমস্যাটা আরও খুলে বলুন।’‘খুলে বলেছি একবার।’‘আপনি আপনার সমস্যার কথা বলেছেন। আমি ডিটেইল ডেসক্রিপশন চাইছি।’রাজীব একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। সে এখন ভাবছে মায়ার কথা শুনে এখানে...

গল্প

গানের সুরে জীবন

গানের সুরে জীবন কলকাতার এক শান্ত পাড়ায় বাস করতো রিমা। ছোটবেলা থেকেই তার গান গাওয়ার প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল। তার মা-বাবা তাকে গান শেখার জন্য স্থানীয় সঙ্গীত শিক্ষকের কাছে পাঠিয়েছিলেন। তবে তাদের আর্থিক অবস্থার কারণে তার গানের শিক্ষা নিয়মিত করা সম্ভব...

বিরহ দাস

বিরহ দাস

ফ্রিল্যান্সার

কবিতা

ছাত্র রাজনীতি: আলোর পথযাত্রী

ছাত্রের মন, স্বপ্নের ডানায়,রাজনীতির মঞ্চে এসে মিলে,আশার আলো, দৃষ্টির কোণে,ভবিষ্যৎ গড়ার চেতনা জ্বলে। পড়াশোনা, জ্ঞানের সন্ধান,সাথে থাকে আদর্শের গান,সত্যের পথে, ন্যায়ের লড়াই,ছাত্ররা জাগে, জাগে দেশপ্রাণ। সংঘাতে নয়, সঙ্ঘবদ্ধতায়,সংকল্প তাদের উচ্চ শিখরে,তরুণ মন, নবীন চিন্তা,দেশের প্রতি ভালবাসায় ভরে। স্বাধীনতার বীজ বপন করে,জীবনের বাগানে ফুল...

সমালোচনা

কথাসাহিত্যিকদের নিয়ে ভোটাভুটির ফল

যে কোনো কবি-সাহিত্যিকের কাছেই একটা জরুরি প্রশ্ন হলো, তার পাঠক সংখ্যা কেমন?জরুরি হলেও এ বিষয়ে বেশিরভাগ লেখক মোটামুটিভাবে অন্ধকারেই থাকেন। এ কারণে বইয়ের পাঠকদের বলা হয়, ‘দ্য গ্রেট আননোন’। ডিজিটাল মাধ্যমে কারা লাইক, কমেন্ট, শেয়ার দিচ্ছেন তা জানা সহজ। এমনকি কারা প্রোফাইল...

মাহবুব মোর্শেদ

মাহবুব মোর্শেদ

কবি, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক

পোস্ট

ছাত্র রাজনীতি: অপরাধের ছায়ায়

ভূমিকা:ছাত্র রাজনীতি, যে আন্দোলন একসময় ছিল শিক্ষার আলোকবর্তিকা এবং সমাজের উন্নয়নের হাতিয়ার, তা আজকের দিনে অনেকক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে অপরাধের করাল গ্রাসে। শিক্ষাঙ্গনের পবিত্র প্রাঙ্গণ যেখানে দেশ গঠনের স্বপ্ন বোনা হতো, সেখানে এখন অনেক সময়ই দেখা যায় শক্তির প্রদর্শন, ক্ষমতার লড়াই...

কবিতা

১৯৪৭ সালের পূর্ব হতে

গোলা ভরা ধান ছিল তার,পুকুর ভরা মাছে।তলা ছাড়া ঝুড়ি কভু,মাথা পিছুর ঋণে।সোনার বাংলার স্বপ্ন গুলো,অংকুরেতেই শেষ,দেশ গড়িতে সোনার ছেলে,ছোট নির্নিমেষ।দরদীরা আসে মোদের উন্নয়নের তরে,বৃটিশ, পাকি, ইন্ডিয়ানরা নেই পারে যা লুটে।দাঁড়ায় যতো মহান নেতা দেশ গড়িবার তরে,কার খুশিতে, কাদের তরে, জীবন...

কবিতা

বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী

দ্রোহানলের আগ্নেয়গিরি, বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী!বিষের বাঁশি, কে বাজাবি, আইরে ভীষণ ভৈরবী।একূল ওকূল ভাঙ্গরে দুকূল, নে ভাসিয়ে জালিমরে,মাথার 'পরে আছড়ে মারিস, পাহাড় সম ঊর্মিরে।নটরাজের পবন-ভবন, আয়রে ছুটে তড়িৎ বেগে,দস্যিরাজের দস্যিপনায়, লাগাম টানো বিশ্বরে।আয়-গতিবেগ, আয়রে ধেয়ে, ধমকে- চমকে ভেঙ্গে যারে,রক্তচোষা, জন্তু -প্রাণী,...

কবিতা

কোথায় জাতির কান্ডারী

পান্থশালায় পথিক কেনো?পথ বাকি তোর আর কত?পথের পরে পথ চলিবে,সফল- বিফল, পথ রে শত।ক্ষান্ত কেন পান্থ আজি,মলিন বসন আঁকড়ে ধরে,পানশালাতে নেশার ঘোরে,পাবি কোথায় পথ খুঁজে!ডাকছে তোরে, হাঁকছে জোরেকোথায় জাতির কান্ডারী?বেহাল হয়ে, মাতাল হয়ে,কোন তিমিরে পথ হারালি!লাখে লাখে মারছে মানুষ,পাষন্ড আর...

গল্প

বিশ্বাস্য রহস্য

পিচ-ইট-খোয়া ওঠা এবড়োখেবড়ো আর অপ্রশস্ত রাস্তার পাশে মকবুলের বাড়ি। লুঙ্গি-গেঞ্জি পরে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে সে। ট্রাক থেকে ইট-বালু-সিমেন্ট নামাচ্ছে শ্রমিকরা। ‘ঘরের কাম ধরছ নাকি মকবুল?’ সকালে হাটে যাওয়ার পথে একটু দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করেন ইউপি সদস্য হারিস মেম্বার। সামান্য উচ্ছ্বাস...

আরিফ মজুমদার

আরিফ মজুমদার

লেখক ও সাংবাদিক

কবিতা

কে তুমি? 

কে তুমি? খেয়ালে, দেয়ালে গা এলিয়ে অলস হয়ে রয়লি পড়ে,জাতির জাহাজ ডুবলো দেখ, নাইরে সময় তোর হাতে।কোথা হতে এলি, আর কোথা যাবি বল চোক্ষে দেখি অগ্নিগিরি,আসমানে ভাসমান খেয়া তোর ধায় লক্ষ্য দিতে পারি।অশনি-বসনে, রুদ্র নজরে, ভয়াল প্রলয়ংকর!তান্ডবলীলা বেলা অবেলা, ধ্বংস...

চিন্তা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে লেখা চিঠি

শ্রদ্ধেয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আশা করি ওপারে ভালো আছেন। কিন্তু আপনার স্নেহের বাঙালি জাতি কি আদৌ ভালো আছে? আমার মনে হয় না আমরা ভালো আছি। আমরা রাজনীতির কবির রচিত কবিতা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমি আপনাকে নিজের চোখে দেখি নি। তবে...

Lamisa Sanjana

Lamisa Sanjana

আবৃত্তি করি জীবন, যাপন করি কবিতা।

গল্প

ভালোবাসা

ভালোবাসা লামিসা সানজানা ২৭/১২/২৩৮ঃ২৫ [এ এম] “জীবন একটা ভ্রমণ, আনন্দে কাঁটিয়ে দেয়ার মতন” এমন মন মানসিকতা সম্পন্ন আমার, দ্বিতীয়বার একটা পাপ করতে ইচ্ছা করছিলো। যেটাকে শুধু পাপ বললে তার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, বলতে হয় মহাপাপ। সেই মুহূর্তে বুঝতে পারলাম কেন মানুষ আত্মহত্যা করে,...

Lamisa Sanjana

Lamisa Sanjana

আবৃত্তি করি জীবন, যাপন করি কবিতা।

কবিতা

বিপ্লবী (১)

আমি যোদ্ধা, আমি বুদ্ধা, নহে বৃদ্ধা,আগুনের কুন্ডলী, পুঁড়ে ছারখার করি,জালিমের ভূত-ভবিষ্যত।আমি সৈনিক, সেনাপতি,মহাসেনাপতি, সিপাহসালার।খলীফা আবু বকর (রাঃ), ওমর (রাঃ),উসমান (রাঃ), আলী (রাঃ),আল্লাহর সিংহ, ইমাম হাসান (রাঃ);হোসাইন (রাঃ), ফিরিয়া আবার।আমি, আমীর হামজা (রাঃ), খালিদবিন ওয়ালিদ (রাঃ),সালমান,তারিক,মুসা, ইখতিয়ারেরজয়োন্মত্ত অশ্বারোহী ।সালাহউদ্দীন, বীর মহাবীর,কুতুবুদ্দীন,...

কবিতা

টেঁকসই মানবতা

হীনমণ্য, দশা-দৈন্য, নির্জীব, নির্বিকার,কী হল সিংহ, শার্দুল, ধ্বজাধারী আরবার।তোমরা জাগিলে বিশ্ব জাগিবে, আছে মানবের উচ্ছ্বাস,ঐ দেখ ঐ বিরান রণে পৈষাচিক উল্লাস!কখনো জংগী, খুনী, ভ্রষ্ট, দালাল ভিনদেশী,নানা তকমা জুড়িয়া দিবে থামাতে ঝঞ্ঝা গতি।কী হবে তোর ত্রাণের বহর, সব মারিয়া সাফ!ভূমিকা, আর...

চিন্তা

ফেলুদার সাথে গল্প

প্রথম ফেলুদা পড়েছিলাম বললে ভুল হবে, বলা ভালো শুনেছিলাম। না অডিও বুক টুক কিছু নয়। আমার বয়স তখন ৫-৬ এর বেশি হবে না। অডিও বুক সে যুগে ছিলই না! প্রথম বই অপ্সরা থিয়েটারের মামলা। ডবল ফেলুদা বলে আনন্দের একটি সংস্করণ বের...

গল্প

চেনা অচেনা

দুটি বড় মাছ খুঁজছে কামাল। ইলিশ হলেই বোধহয় ভালো। ইলিশ ভাজা, ইলিশের ভর্তা, শর্ষে ইলিশ বা ইলিশের ডিম কামালের খুব পছন্দের খাবারের মধ্যে অন্যতম। অবশ্য বড় ইলিশ না মিললে বড় সাইজের রুই-কাতলা হলেও চলবে। মাছ আকার-আকৃতিতে বড় হওয়া জরুরি। মাছ...

আরিফ মজুমদার

আরিফ মজুমদার

লেখক ও সাংবাদিক

কবিতা

শান্তিদূত-যমদূত

আমি,তুমি, ইনি, তিনি, সবি, মিলি এ সমাজ, আরবার,আমার আমিতে মজেছি, এ কী! খবর রেখেছি কবে কা'র?কত বসে, পলে পলে, কত দিন করেছি পার,কী হলো আহ! বদ্ধ দোয়ার! মাজলুমের করাঘাত!ঘরের ভিতরে, বিভোর স্বপ্নে, শেষ হবে কি মরন-ঘুম ?শ্রান্ত, ক্লান্ত,হত, ক্ষত, দেখ,...

কবিতা

মূর্খের স্বর্গ

অজানা গাড়ি এলো তোমায় নিতে,অজানা লোক আর গাড়ি দুটোই বড্ড প্রিয় তোমার;রুটির সঙ্গে কথা জড়িয়ে যায়,আর রুটি পুড়লে বুঝি আমি বাড়িতে আছি! সেই পোড়া রুটি যেন আমার কপালের মতো,সঙ্গে খাওয়ার মতো মাখন নেই;ঈশ্বর বহুদিন হারিয়ে গেছে আমার ঘর থেকে,আমার মা ভাবে...

কবিতা

সওদা

★★★ সওদা ★★★ লেখকঃ মেঘ রোদ কাব্য  আমি দুঃখের হাটে         সুখের সওদা,                  করি বার মাস। দুঃখ বিনা        সুখের ছায়া,                  পাইনা আশপাশ। এ যেনো সুখ...

কবিতা

ভাঙ্গা গড়া

ভাঙ্গা গড়ার চলছে খেলা, সকাল-সন্ধ্যা-সাঁঝে,ভাংগিতে পারে সবাই দেখো, গড়তে ক'জন জানে?সাজানো বাগান হয় তছ নছ, হারায় তাহার অর্জিত গৌরব,নামী দামী, যত বাহারী ফুল, ঝরে পড়ে, থাকেনা সৌরভ।দেশে দেশে আজ নানা বেশে চলে এ কেমন নিঠুর খেলা!মুরোদ নেই কোন মরদের, ভাঙ্গিয়া...

গল্প

পাপবোধে যে জীবন

টাক মাথার লোকেরা হয় বিদ্বান! সর্বদা জটিল বুদ্ধি খেলা করে তাদের মস্তিষ্কে! বদরুজ্জামান মন্ডলেরও মাথায় প্রশস্ত টাক পড়েছে। গ্রামের লোকজন আড়ালে ব্যঙ্গ করে ডাকছে টাকলা মন্ডল। একটা সময় ভীষণ দাপুটে মানুষ হলেও এখন কেউ আর সমীহ করছে না। যৌবনে ঘর-সংসারে...

আরিফ মজুমদার

আরিফ মজুমদার

লেখক ও সাংবাদিক

কবিতা

অনুভূতি

🌱🌾অনুভূতি🥀🌿একাকীত্ব মনে বসে আছিসবুজ তৃণ মাঝে, শূন্যের মাঝে আমি একাচারিদিকে আলোকপুঞ্জ আর মেলা। ঐ হেথা দিগন্ত মাঝেক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোকপুঞ্জ জাগে, নীরব দৃষ্টি মেলিয়া সেথাঅবলোকন করেছি একা। জিজ্ঞাসা এই মনেরতুমি কী কর  সন্ধ্যার-ই ক্ষণে? ক্ষণ কালের জন্যএসেছি এই জীবন মেলায়। যেথা আছেহাসি-কান্না মাখা স্মৃতির পাতায় আঁকা, সোনালী খামে মোড়া...

Krishna Bairagi Ovinob

Krishna Bairagi Ovinob

লেখা-লেখি ও পড়া

উপন্যাস

সরীসৃপের হিম

আদিল,আমরা কখনোই পলিটিক্স নিয়ে সেভাবে কনশাস ফিল করিনি।কিন্তু আমাদের দুজনের ক্ষেত্রেই রাষ্ট্র নামক একটা রাজনৈতিক শব্দ রক্তের ভেতর সাপের শরীরের মত সুড়সুড় করে ঢুকে পড়ছে,আমার শরীরে তার হিম লাগে আর তোর শরীরে তার ওম।কিন্তু আমার অন্তর্গত নৈঃশব্দ্যের ভেতর…

গল্প

ভালোবাসা আজীবন

সত্যিকারের ভালবাসা কখনো ভুলে যাওয়া যায় না।ব্রেকআপ হওয়ার পর ও মনে পড়ে। এমনকি বিয়ে পর কারো সাথে রিলেশন থাকলে আমরা জানি এইটা পরকীয়া কিন্তু সব জেনে শুনে আমরা এই অপরাধে লিপ্ত হয় শুধু ভালোবাসার মানুষটাকে ভুলতে পারিনা বলে।সংসারের সব দায়িত্ব...

সমালোচনা

এখানে শেয়ালমুখী ফুল হয়ে ফুটে আছো

গল্পের পর কবিতা আমার আগ্রহের শীর্ষে। তবে দৈঞ্চা কবিতার বই সংগ্রহ করি না। যা পড়ি বা সংগ্রহ করি এতে বাছাই বইয়ের তালিকাই বেশি। খুব বেছে বললে সাহিত্যে অগ্রগামী কিংবা সমসাময়িক যারা লেখায় এবং দেখায় সমৃদ্ধ ও এগিয়ে আছেন তাদের পড়তে...

MIZAN FARABI

MIZAN FARABI

কবি ও সাংবাদিক

কবিতা

মোদের রাজশাহী

মোদের রাজশাহী✍️উম্মে সালমা✍️রাজশাহীতে আমের মেলানাটোরে কাঁচাগোল্লাগরমে বাড়ে মৌমাছির খেলাআরো যে আছে বোল্লাসবুজে ঘেরা রাজশাহী মোদেরহৃদয় জুড়ানোপরিচ্ছন্ন ও শিক্ষা নগরীসৌন্দর্যে মোড়ানোযেখানেতেই যাই যে মোরাযেন ঘোরার জায়গারাজশাহীতেই আরো জেলাযেমন ধরো নওগাঁসকল বিভাগের সৌন্দর্য যেতাদের নিজের মতোরাজশাহীই তো অনন্য একদেখে যাই আমি যতো লেখার...

গল্প

🍂 আমি ভালো আছি নীলা 🍂

অনেক বছর হলো নীলার সাথে অনুপমের কোনো যোগাযোগ নেই। মাঝে মাঝে খুব মনে হয় অনুপমের কথা; কিন্তুু সংসারের গন্ডি পেরিয়ে অনুপমের সাথে নীলার কখনো যোগাযোগ করা হয়ে উঠেনি। একদিন সব বাঁধা পেরিয়ে অনুপমের বাসায় গেলো নীলা; অনুপমের বড় বোন নীলা...

কবিতা

খোকন সোনা

খোকন সোনা ডাকছে আমায়,শোনছ বাবা, যায় বেলা যায়।সময় স্রোতে আযান শোনে,থাকছ শোয়ে; কেমন করে !!অনেক দেরী, ভোর হতে,ঘুম হতে যে ওঠলো কবে!ডাকছে বাবা ওঠো!পাঁচটা বেজে গেলো,নামাজখানা পড়ো।বাস করি যে চাঁদের হাটে ;শান্তি ঝরে তনু মনে,মালিক দিলেন সবি,শুকরিয়া জানায় তারি।বাবা গেলো,...

কবিতা

কষ্ট আছে কষ্ট

আমার কিছু কষ্ট আছে কিনবে নাকি তুমি?কিছু কষ্ট খুব পুরনো -হীরের চেয়েও দামি।কিছু কষ্ট খুব স্পস্ট -কিছু কষ্ট ফিকেএকটা কষ্ট ভালবেসে হাত বাড়াবে তোমার দিকেযখন তুমি ছুঁতে যাবে-অম্নি দেখ নাই!তুমি আমার কষ্টটারে ভালোবাসো নাই।কিছু কষ্ট তুমি আমি- কিছু কষ্ট একাকিছু...

কবিতা

কারবালার শিক্ষা

কারবালা আর কয়টা দেখে, ভাঙ্গবে তোমার মরণঘুম,কতো রক্ত -নদী বেয়ে, উঠবি জেগে ওঠরে জেগে ওঠ !জেগে ওঠার নাই নিশানা, কোন্ নেশাতে মজে,ভীরু ভীরু হৃদয় তটে, শংকা তরীর ভীঁড়ে।রক্ত লালে লাল করিল, কতো নদী সাগর!কত প্রাণের টানল ইতি, করছে কত ছল।বেঁচে...

কবিতা

নিষ্ঠুর প্রিয়া

"নিষ্ঠুর প্রিয়া"আমি জানি আমার এই কবিতাটি লেখা বৃথা,এর ফল তুমি যা দিবে তা হবে বিশাক্ত তিতা।এই রকম সহস্র কবিতা তোমার কাছে নেই কোন দাম,কবিতাটি পড়ার শেষে ছিঁড়ে ফেলাই হবে তোমার বড় কাম।নিজেকে তুমি মনে কর আসলে অনেক বড়,তাইতো তুমি অল্প...

কবিতা

কলম তুমি

কলম সেতো নয়তো কলম, একটু ভেবে দেখো,গল্প, কল্প, কবিতা, চিত্র, নাটক, ছড়া, উপন্যাস যতো;এই কলমে লিখছে লেখা, বলছে কথা,জ্ঞানী-গুণী কতো।পথ দেখাবে, জীবন জুড়ে, পথের দিশা শতো।সৃষ্টি কলম, স্রষ্টা সনে, আরজি জানায় লিখবে কী;লিখতে থাক ভাগ্য হতে যতো জ্ঞান আছে সবি।বলতে...

কবিতা

তুমি ডাক দিলে

একবার ডাক দিয়ে দেখো আমি কতোটা কাঙ্গাল,কতো হুলুস্থূল অনটন আজম্ন ভেতরে আমার।তুমি ডাক দিলেনষ্ঠ কষ্ঠ সব নিমিষেই ঝেড়ে মুছেশব্দের অধিক দ্রুত গতিতে পৌছুবোপরিণত প্রণয়ের উৎসমূল ছোঁবপথে এতোটুকু দেরিও করবো না।তুমি ডাক দিলেসীমাহীন খাঁ খাঁ নিয়ে মরোদ্যান হবো,তুমি রাজি হলেযুগল আহলাদে...

কবিতা

কবিতা তোমার

আবার আসিবে ফিরে, আসিতেই হবে, বারে বারে,কবিতা তোমার, দোলাবে মন, শিহরণ জাগাবে,তাই সবে পথ চেয়ে চেয়ে রবে,কবিতা তোমার কবে কার হবে?দুঃখ করোনা কবি হে!জীবন জাগার গান কবে কার ভাঙ্গিয়াছে কোন্ সে নিদ,কবির লেখায় ভাঙবে শিকল,চক্র বিকল,ছুটবে জেগে দিক-বিদিক।চালাও কলম, জাগাও...

কবিতা

প্রিয় হাবুডুবু

প্রিয়া হাবুডুবু, পত্রের শুরুতে আমার অর্ধশুকিয়ে যাওয়া ভালবাসার প্রতিকলাল গুলাপের শুভেচ্ছা নিও। এইভেবে মাথার চুল ছিড়ার দরকার নাইযে ফুলটা অর্ধ শুকাইলো কেমনে!আসলে সেই সকালথেকে ফুলটা নিয়ে তোমায় পত্রলিখছি। বাইদ্যা ওয়ে তোমাকে আমি অনেকভালবাসি। শাহজাহানের থেকেওবেশী! শাহজাহান মমতাজের জন্যআগ্রায় তাজমহল বানাইছে, কিন্তুবেটা...

কবিতা

জাগো রে জাগো

ডাক এসেছে! জাগো!জাগো রে জাগো!ভাই বোনেরা জাগো!অত্যাচারী যায় ছুটে যায়,মাজলুমের তাজা রক্তপান!মৃত্যু দেহে চালায় ছুড়ি,আলাদা করে অঙ্গ সবি!হও ধাবিত , ক্ষিপ্র বেগে,ক্ষ্যাপা সিংহ, তীব্র ছুটে,বঙ্গ শার্দুল, পড় ঝাঁপিয়ে,রক্ত খেকোর সকল স্বাদ,সব মিটিয়ে দে রে আজ।ধরো আর বর্জ্রাঘাতে, আছড়ে মারো।জাগো রে...

কবিতা

মনের খিঁড়কি

খিঁড়কি মনের খুলবে কি তা,' সাজিয়ে নিতে জীবনটারে,বদ্ধ সকল মনের মাঝে, আঁধার ঠেলে আলো জ্বেলে ।থাকবে কতো অলস হয়ে, যায় বেলা যায় এমনি ছুটে,জমছে কতো কাজের ধারা, সময় এলে ধরবে চেঁপে।ভাবছো বসে উদাস চোখে, করবে কি তা' কেমন করে,জোয়ার ভাঁটার...

গল্প

সিন্ডিকেট

জীবন চালানোর  তাগিদে গিয়ে ছিনু বাজারে খেতে হবে কিছু,  দিতে হবে অন্ন পেটে ভাতের বাজারে মন ভুলে গিয়ে ছিলাম চলে জিজ্ঞেস করিলাম ভাত  কিভাবে বেচে?কেজি,  হালি না বস্তায় করে আনেছোট এক বাবু এসে হেঁসে হেঁসে  বলে মশাই বাপের ঘাড়ে ভর দিয়ে চলেছ বুঝি আপন...

ডাঃমোঃ তরিকুল ইসলাম

ডাঃমোঃ তরিকুল ইসলাম

সহকারী রেজিস্ট্রার, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

কবিতা

পরিশোধ

অসীম নেয়ামতে ডুবিছে তনুমন তবু চেয়ে যায় আরো কতো কী!নেই পরিশোধ, শুকরিয়া কভু, চাওয়া পাওয়ার মাঝে হয়েছি বিলীন।সৃষ্টি হতে জান্নাত সহ কতো যে, চাওয়া দীদার তোমার,কী দিব আর কী রাখিব পরিশোধে, এতো কিছু চাওয়া ও পাওয়ার!গেয়ে যায়, যাব দিবা নিশি...

কবিতা

প্রতিশোধ

উদাস হয়ে, জীবন পথে, চলছে পথের কোন সে পথে?কোন ঠিকানায় মন সাধিছে, কোন পথে আজ চলছে হেঁটে।কিসের আশায় ছুটছে কোথায়, যায় বেলা যায় নিদ নাহি তার,কোন পাথারের সীমার মাঝে, কিসের খোঁজে নীলাচলে, ছুটছে বারংবার!বেজায় নারাজ, তাই প্রতিশোধ, সয়বে কী তা'...

কবিতা

এক টুকরো ভালোবাসা

শত কোটি বছর অপেক্ষার প্রহর গুনব যদি বল আমায় ভালোবাস।সহস্রকোটি মাইল মরুভূমির পথ পাদুকা বিহীন পায়ে পাড়ি দেব যদি মম তরে একটুখানি হাসো।আমি সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দেব অতি সহজেই যদি তব কম্পিত পিঞ্জরের ভালোবাসা দাও, আমি অন্ধকারের সহস্রকোটি বছরের পথ অতিক্রম করে ছুটে...

গল্প

মেঠো ইঁদুর ও শহুরে ইঁদুর

একবার এক গণ্যমান্য শহুরে ইঁদুর এল এক সাধারণ মেঠো ইঁদুরের কাছে। মেঠো ইঁদুর বাস করত এক মাঠে। সে তার অতিথিকে খেতে দিল যা তার ছিল-- মটর ও গমের দানা।গণ্যমান্য ইঁদুর একটু খুঁটে খেয়ে বলল, “তোমার খাবার এতই অপুষ্টিকর বলেই তুমি...

কবিতা

সব ফুল

সব ফুলে পাবে নারে, রুপ-রস-গন্ধ,সব ফুলে হয়না, বাহারী ফল শত।ফুল হয়ে ফুটে রয়, পৃথিবীর বাগানে,অপরুপ রুপে আর মোহনীয় সুবাসে।মাতিয়ে দুনিয়া, ঠাঁই পাব জান্নাতে,ভালবাসি, ভালবাসে সবজনে সুবাসে,শত শত ফুল সম, ভাল কাজ করি,দেশ-দশ, ধরা-তল, ফুলে ফলে ভরি।ঘরে ঘরে ফুল ফোটে, ভরপুর...

গল্প

অন্ধকারের বিচার

রাতের নির্জনতা ভেদ করে আইনজীবী শাহানের ফোন বেজে উঠল। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত বারোটা। অপরিচিত নম্বর দেখে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত হলেও, শাহান ফোনটি ধরলেন। ওপার থেকে কাঁপা কণ্ঠে একজন নারী বললেন, "স্যার, আমার নাম মৌমিতা। আমি একটা সমস্যায় আছি, আপনার সাহায্য...

কবিতা

সমাজ সাজায়

কাঁধের উপরে এক হাত,আর অন্য হাতে সতীত্ব লুটে,প্রশ্রয় পেয়ে সবার সাথে, চলে ছলে কলে কৌশলে,লুটেরা আজ বড় বেসামাল, কেউ নাই কিছু বলিতে!রাস্তার পরে, পথের ধারে, কী না করে দিবস-রাতে!লজ্জা মরে নিয়ত দেখো, নির্লজ্জের ঘেরাজালে,কী বুঝে চলে, আর কী ভেবে করে,...

কবিতা

ছন্দ নাবিক

("ঝরা ফুলের গন্ধ" যৌথ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।) ছন্দে ছন্দে চলে আনন্দে,নাচেরে তনুমন, কীযে হরষে,কথাকলি সব, ফুল হয়ে ফোটে,মাতিবে সবাই, মিষ্টি সুবাসে।কথা বিশেষ, কবিরা কত ভেবে বলে,কখনো কলম লিখে, ছন্দে ছন্দে,কত কথা, কত সুখ-বেদনা ঝরে,কাগজের মসৃণ পরতে পরতে।কখনো উৎসাহ, স্বপ্নের নীলিমা,দিক দিগন্তে জয়ের...

কবিতা

কবিতা চোর

কবিতা চোরে, নিল কেঁড়ে,সব কবিতার প্রাণটা,কপি করে, বাহবা নিতে,বাদ দিয়ে মোর নামটা!কেমন হায়া, লজ্জা ছাড়া,সাধুবেশে চুরি,সব কবি আর কাব্য প্রেমী,চল চোর ধরি।চুরি করা ভুলিয়ে দিয়ে,শাস্তি কঠিন দিব,প্রয়োজনে ব্লক করিব,রিপোর্ট লিখে দিব।সাজতে কবি, নামীদামী,দিন দুপুরে,কবিতা চুরি,ভেঙ্গে দিব হাঁটে হাঁড়ি,সকল জনে ডাকি।নামগুলি...

গল্প

ভুতের থাবা

গৌরীপুর মোড়ে বাস থেকে নেমে ভীষণ অবাক আর হতভম্ব হয়ে পড়লাম, দেখি সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে, তার উপর কোথাও কোনো জনমানবের চিহ্নমাত্র নেই। হাতের ঘড়ির দিকে তাকাতেই আমি চমকে উঠলাম, রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা বাজে বাজে। ট্রেন মিস, তার...

কবিতা

অব্যক্ত নিঃশ্বাস

শরতের আকাশে ভেসে চলে মেঘেরা,কোথাকার কোন ডাকে, তারা আজ থামেনা।চলছে নেচে নেচে, নীচে ঝরে পড়েনা,বুক ফাঁটা মেঠোপথ, অভিমানে চাহেনা।তারাদের আলো সব বাধা পায় নামতে,পরীরা ঘুরে ফিরে, পারে নাক নাচতে।জীবনের খেঁয়া ঘাটে, নেই কোন লোকজন,চঞ্চল মন নিয়ে, ছুটে কেউ প্রাণপন।অলীরা ঘুরেফিরে,...

গল্প

পড়ন্ত বিকেল

ডাক্তার বলে দিয়েছে আমার হাতে বড়োজোর আর তিন মাস সময় আছে। মনে যা চায় এই তিন মাস সময়ের মধ্যে করে নিতে হবে। আগে থেকেই এরকম কিছু একটা শুনব বলে ধারণা করে রেখেছিলাম। হয়ত এই কারণেই খুব একটা কষ্ট লাগল না।...

কবিতা

বিশ্বাসের হারজিত

ভালবাসা অভিনয়, ভালবাসা ভাল নয়,ভালবাসা জীবনে ক্ষত হয়ে গেঁথে রয়। নেই কোন দন্ড, মেপে নিব অন্ত,  ভালবাসে ভালবাসি, তন্ত্র-মন্ত্র।ভাল লাগে রুপ সুধা, করি পান অফুরান,স্নিগ্ধতা চাহনীর, খুন করে কাঁড়ে প্রাণ।ভাষাহারা নির্বাক, নিশ্চুপ চুপ চুপ,গোলাপী গন্ড,  পাঁপড়ি ছোপ ছোপ।কাল কেশ, লাগে বেশ,...

কবিতা

জুতোর গল্প

জুতোগুলো হেঁটে যায় নির্বোধ অভিমানেপৃথিবীতে ঘোরে, ভাবি আমরাধুলো মেখে মেখে নিয়ে যায় তারাশরীর অথবা না-শরীরউঁচু নিচু পথে, সমান্তরালে, সুগভীর দুটি জুতো কয়েকটি নোখঘুরছে তারা পৃথিবীতে, চোখহীনঘাস থেকে ঘাসে, গাছ থেকে গাছে জুতো বলে, কেউ জানে নাআমারও দুটো চোখ আছে 

কবিতা

ঢেউ-মাঝি

ফিরে পাওয়া ঢেউ নিয়েকেমন আছো গো মাঝি! পরানের নৌকা আগের মতো কথা কয়!তোমার জন্মের সময় যমুনা যেমন করেঢেউ দিয়েছিল, তেমনি এগিয়ে যায়!তুমি যে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে বলেছিলে-কিছুই নেই গো- একদম শেষফিরে এসে খেয়া কি বলে আবারশেষ নয় ,  আসলে...

কবিতা

আবে হায়াত

দেখছো খোকা, আকাশ পরে,জ্বলছে রবি কেমন করে।বিলায় আলো ধরাধামে,সবার উঠান, ফসল-ভূমে।চাঁদ জাগে তার নিয়ম মেনে,লক্ষ্য তারার মেলা করে,ঘন কালো আঁধার পালায়,আলোর ধারা বয়ছে ধরায়।রূপের বাহার দেখতে পাবে,হরেক ফুলে, ফুল বাগানে,সুবাস বিলায় উজাড় করে,প্রাণ মাতিয়ে, নয়ন জুড়ে।তাকাও সবুজ বৃক্ষদলে,ফল ও ছায়া,...

কবিতা

বাঙ্গালীর স্বাধীনতা

১৮/১১/২০১৭ ঈসায়ী সাল।প্রাণের চাওয়া, বাংলাদেশী নয়, বাঙ্গালীর স্বাধীণতা,খুঁজেফিরি কোথায় আছে, মোদের হৃদয়- ত্রাতা!কেড়ে নিয়ে প্রাণ লুটিল বৃটিশ বেনিয়া,পরাধীনতার মোড়কে পেলাম কেমন স্বাধীনতা!বঙ্গবঙ্গ নাটক করে পায়নি কোন কূল,বঙ্গবীরের সিংহ নাদে, হেয় হারালো ভূল।বঙ্গভঙ্গ রদ হলযে, ফিরল শান্তি নিয়ে,সুখের আসর ভেঙ্গে দিতে,...

কবিতা

রুপোর সিঁড়িতে পতন

অনেকেই নেমে যাচ্ছে, রুপোর সিঁড়িতে ভাবছে এ এক নির্জলা সমুদ্র, এখানেসমুদ্র বাহিত যা কিছুসবই তো আমার সিঁড়িতে অনেকেই ওপরে যাচ্ছে রুপোর সিঁড়িতেভাবছে, এ তো দেখি আকাশ ছোঁয়া পাখি সমুদ্র ও পাখি উড়ে যায়ঢেউয়ে ঢেউয়ে হারায় সবগুলো সিঁড়ি, হারিয়েই যায়ভাবে তারা- আমরা তো আছি...

কবিতা

অস্তিত্বের ভিত্তিমূলে শিক্ষক

সাধারণ লেখাসব, অসাধারণ হয়ে ওঠে, আপনাদের আশীর্বাদে।আমার অস্তিত্বের সব ভিত্তিমূলে,নিরলস, নির্মোহ, পরিশ্রম জ্বলজ্বলে।শীতের সকালে, শিশির মাড়িয়ে,আঁকা-বাঁকা, উচু-নীচু পথ বেয়ে,কিছুটা উৎকন্ঠা, চিরচেনা ভয়ে,শেখার আগ্রহ সাথে করে দ্বারে।দক্ষিনের ঘরে, লম্বা টোলে একাকি বসে ধারে,নিরলস ভাবে, কত সহজে,বুঝাতেন গণিত শেষে।শ্রদ্ধেয় নিখিল স্যার!আরামের ঘর,...

গল্প

স্বপ্ন অথবা বিপণ্ন বিষ্ময়

মাহিনুর আর কিরন মজুমদার রুমমেট। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। মাহিনুর ফিজিক্সে পড়ে। কিরন মজুমদার সোসিওলজিতে। মিতা ছাত্রাবাসের ৩০৫ নাম্বার রুমে থাকে তারা। কিরন মজুমদার আগে থেকেই এখানে থাকে। মাহিনুর এসেছে পরে।মাহিনুর এসে ম্যাচে থাকতে চাইলে ম্যানেজারও একটু বিব্রত হয়েছিল। কারণ একমত্র...

বিশ্ব সাহিত্য

কাফকার পাঁচ প্রেয়সী : নীল নৈঃশব্দের গোপন নিঃশ্বাস

বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী লেখক ফ্রানৎস্্ কাফকা। জন্মেছিলেন ০৩ জুলাই ১৮৮৩ সালে বর্তমান চেক প্রজাতন্ত্রে। মাত্র নয়টি পূর্ণাঙ্গ গল্প লিখেছিলেন ফ্রান্ৎস কাফকা। বাদবাকি সবগুলোই ছিল অসম্পূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি অসমাপ্ত উপন্যাস (মৃত্যুর পর বের হয় ১. দ্য ট্রায়াল ১৯২৫,...

কবিতা

প্রেমের ফাঁদে

মিথ্যার বেসাতি আর করবে কতো,কত জীবন করবে এলোমেলো!তোমার পথ নয়তো জানা, যাবে কোথা?তাই বলে যার, পথ আছে তার,চলতে বাধা!ভালবাসা আর প্রেমের ফাঁদে,ফেলছ কতো, নিজের লাভে,জাহান্নামের কোন কিনারায়,পৌঁছে দেয়ার কোন্ ঠিকাদার ।সবুজ গাছের নীচে,দূর্বা কোমল ঘাসে,এক্কেবারে বসে আছো ঘেষে,হে যুবক! বলছি...

কবিতা

শনিবারের হুজুর

শনিবারে শনির দশা,মিথ্যে করলে সবি,দ্বীনের মশাল তোমার হাতে,আসতো ছুটে জানি।"শনিবারের" হুজুর বলে,শত প্রাণের ঠাঁই,দেশ পড়শী, খেস সকলি,বাসছে ভালো তাই।তোমার মিশন ভিশন জানে,সবার কল্যাণে,দ্বীন-দুনিয়ার সুখের ধারা,সবার জীবন জুড়ে।চলবে পথে দ্বীনের আলোয়,দ্বীনের তা'লীম করে,পথ দেখালে, বিশাল মনে,প্রতি শনিবারে।জ্ঞানের তৃষা সঙ্গে করে,দূর দূরান্ত...

কবিতা

চন্দ্রাবতী

আঁধার ঘেরা নিঝুম রাতে চাঁদ যে বড় একা,আলো ছায়ার চলছে খেলা, নামলো পরীর মেলা।চাঁদ খুঁজে তাঁর হারিয়ে যাওয়া সাথীটারে বুঝি,"চাঁদনী " বলে ডেকে ডেকে সারা হলো নিশি।বুকে ভরা স্নিগ্ধ আলোয়, একাকিত্বে মরি,দিবা-নিশি খুঁজে মরি, পূর্ণতা যে চাহি।চাঁদের আলোয় ভালবাসা, পায়...

কবিতা

ভালবাসার রঙমহল

সাথী আমার জীবন সাথী,কোথায় ছিলে তুমি?তোমার তরে ভালবাসার,আকাশ রেখেছি।ভাবতে পারো উজাড় কিনা! আঁধার আঁধার ভরা,জীবন আমার ঘূর্ণিপাকে! নাকি মরণ ছোঁয়া।ভালবাসার মহারথে চলবে জীবন ভর,ভালবাসায় খুঁজে পাবে, পূর্ণ তব মন।আকাশ সে তো নয়গো জেনো, মহাকাশ দেখো,তারায় তারায় সাজিয়ে দিলাম, তোমার তরে...

বিশ্ব সাহিত্য

কাঠগড়ায় দর্শন

 সূচিপত্র1 ভূমিকা2 চরিত্রলিপি/কুশীলব3 প্রথম দৃশ্য (আদালত কক্ষ)4 ২য় দৃশ্য (আদালত প্রাঙ্গণ)5 ৩য় দৃশ্য (আদালত কক্ষ)  ভূমিকাজেফ ফ্রেজার রচিত “ফিলোসফি অন ট্রায়াল” একটি চিন্তা-উদ্দীপক বই যা দর্শনের মূল্যের মৌলিক প্রশ্নটি আমাদের সামনে হাজির করে। দার্শনিক ফ্রেজার এই বইতে এমন একটি প্রচলিত ধারণাকে...

কবিতা

বাঁশ বাগানে বৃষ্টি এলো

বাঁশ বাগানে বৃষ্টি এলোকোথায় পাইকো ছাতাবাঁশ বাগানে বাঁশ ছাড়াওরয়েছে বাঁশ পাতা। বাঁশ বাগানের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে নদী বয়েবৃষ্টি হচ্ছে তাই ব্যাঙেরা ডাকছে জোরে জোরেঅবশেষে বৃষ্টি থামলআমি সম্পূর্ণ ভিজেবৃষ্টির সময় ছাতা থাকলেপানি থেকে বাঁচতাম আমি নিজে।

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

চিন্তা

আমার তুমি

দূরে চলে যাওয়া মানে ছেড়ে যাওয়া নয়।প্রত্যাখান মানে ভুলে যাওয়া নয়।কাওকে প্রবলভাবে পাওয়ার আত্মিক অনুভূতি যখন নিজেকে গ্রাস করে বসে,তখন সেই মানুষটা আর নিজের মাঝে বিভেদ করায় দুষ্কর হয়ে পড়ে।যেমন দুষ্কর হয়ে পড়েছে তোমার আর আমার মাঝে নিজেকে আলাদা করা।সারাদিনরাত...

প্রবন্ধ

মার্কেটিংয়ের লাল-নীল সাগরে অবগাহন

২০০৫ সালের শুরুতে টেলিকম সেক্টরে হঠাৎ করেই প্রতিযোগিতা তীব্র হয়ে ওঠে। গ্রামীণফোনের একচেটিয়া দাপটে ক্রেতারা তখন বেশ বিরক্ত। কিন্তু তুলনামূলক সুবিধার দিকগুলো বিবেচনা করে তারা সেটার ব্যবহার অব্যাহত রেখেছিল। তখন কিছু দেশে কলচার্জ নাকি ছিল মিনিটে ২৫ পয়সা; অথচ আমরা...

ড. মো. আব্দুল হামিদ

ড. মো. আব্দুল হামিদ

পড়া ও লেখা, পেশা ও নেশা

কবিতা

মহান মুক্তিযুদ্ধ

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশযা ছিল আগে পরাধীন দেশ,১৯৭১ সালের দিনগুলো ছিল কষ্টেরতখনকার সাধারণ মানুষদের। তখন হয়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধচারদিকে ঘটেছিল বিদ্রোহ,নয় মাসের যুদ্ধ হলোবাংলাদেশ স্বাধীন হলো,মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে স্বাধীন করল বাংলাদেশলাল সবুজের পতাকা নিয়ে জয়ের আনন্দেমেতে উঠেছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতা ছিনিয়েছে এনেছে যারাএদেশের গর্ব...

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

কবিতা

অন্তরের আলোক

আলোকের খোঁজে আমি বারুদের দ্বারে যাই,বারুদ কইলো – ❝চিরকাল তোমারে রাখার মতো আলোক তো আমার নাই!আমার মনের চূর্ণ কালা শ্যামেরই মতোন।একবার লাগিলে আগুন জ্বলিয়া যাইবে, সব বৃথা তব যতন।❞❝আলোক যদি না-ই বা দিবা, আশার বাত্তি দিলে জ্বলে ক্যান? তোমারে পাইতে যে...

সিয়াম

সিয়াম

শিক্ষার্থী।

চিন্তা

ভাগ্য (সত্যি ঘটনা)

একটি মুরগি ছিল। তার ১২টি বাচ্চা ছিল। একটি বাচ্চার চোখে ফোঁসকা পড়েছিল। সে অসুস্থ ছিল। প্রায় মরেই যাবে এমন অবস্থা। বারবার হারিয়ে যায়। ছোট বাচ্চা মায়ের খুব কম আদর পেয়েছে। দেখতে না পেয়ে বাচ্চাটা কিছু খায় না। না খেয়ে থাকে।...

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

বাংলা সাহিত্য

কপাল মানে

কপাল বোঝা যায় কালকুমোরদের বলা হয় পাল। কপাল মানে ভাগ্য-পাওয়াবড় গাড়ি করে কোথাও যাওয়া,ভালো কিছু পাওয়াভালো কিছু চাওয়া। গুরুজনে বলিয়া গিয়াছেন–কপাল যাহার ভালো সে তো বড় ভাগ্যবানকথাটি খাঁটি সত্যকেউ মিথ্যা বানাতে পারবেনা এটাকে চিরকাল। খাঁটি হলেও কথাটি মিথ্যা নয়গো ভাইভালো কপাল হলে সবসময়...

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

সত্তাশ্রয়ী

বিজয়ের মাস

বিজয়ের মাস হলো ডিসেম্বরের ১৬অবশেষে ৭১- এর ১৬ই জয় হলো,৭১- এর ১২ মাসের ১৪ তারিখেবুদ্ধিজীবীদের মারা হলো দলে দলে। ৭১- এর ৩রা ডিসেম্বরেপাকিস্তানিরা হামলা করল সাহায্যকারীদেরকে,ভারত হচ্ছে আমাদের সেই সাহায্যকারী দেশপাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করল যুদ্ধ হলো শেষ। অবশেষে বিজয় হলো আমাদের বাংলাদেশ৯ মাসের...

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

চিন্তা

সভ্য ও সভ্যতা

মানুষ ছিল সভ্য মানুষ সভ্যতার সময়েমানুষ এখন পাল্টে যাচ্ছে ডিজিটাল যুগের কারণে,আগে মানুষ কিনত কাঁসার পাতএখন মানুষ টিন না দিয়ে ইট দিয়ে বানাচ্ছে ঘরের ছাদ। দেখো সময় কেমন যাচ্ছে পাল্টেমানুষ তেমনি যাচ্ছে সাথে উল্টে,আগের চেয়ে মানুষ হচ্ছে অসভ্যএখনকার চেয়ে আগে মানুষ...

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

কবিতা

সংগ্রামী নারী

আমি এক সংগ্রামী নারীহাজার কষ্টের ঢেউ নিয়েআজও হাঁসি মুখে চলি!আমি এক সংগ্রামী নারী সৎ সাহস আর ধৈর্য নিয়েযন্ত্রণা যত সামলাতে পারি!আমি এক সংগ্রামী নারী মানব সেবায় মাঠে আছিমানব মঙ্গলের জন্য বাঁচি!-

উপন্যাস

মানবী - অধ্যায় এক

কিরির ঘুম ভেঙে গেল।  চোখ খোলার পর কয়েক মুহূর্ত কিছুই দেখল না সে। অন্ধকার। মাথায় একটা চিনচিনে ব্যথা অনুভূত হচ্ছে শুধু। হাত পা অসাড় হয়ে রয়েছে যেন। এখন কোথায় আছে তা বুঝে উঠতে পারছে না সে। কিছুক্ষণ ওভাবেই পড়ে রইলো।  তারপর আস্তে...

কবিতা

আমিও বাঁচব

 তারপর শেষ কথা বলে,ধুলোদের পথে হেঁটে তুমিও গিয়েছিলে চলে।এই শালগাছগুলো থেকে গেছে শুধু, বুকে কিছু ক্ষত;আর আমাদের ভালোবাসা ক্ষয়ে গেছে নক্ষত্রের মতো। তোমার নুপুরের গানে,সহসা যে কত কথা থেমে গেছে ঠোঁট তা জানে।দুপুরের কড়া রোদে হেঁটে যাওয়া মুখপোড়া পথে—আমাদের আর কথা...

মৃনাল চন্দ্র

মৃনাল চন্দ্র

চাকরিজীবী

গল্প

স্বপ্নের পথে

রাতের আকাশে চাঁদের আলো ছড়িয়ে পড়েছে। রিমি বিছানায় শুয়ে আছে, তার চোখে স্বপ্নের আলো। আজ সে আবার সেই স্বপ্ন দেখছে। স্বপ্নে সে দেখেছে এক অদ্ভুত জগৎ, যেখানে ফুলেরা কথা বলে, গাছেরা গান গায়, আর নদীর ধারা মিষ্টি সুরে বয়ে চলে।...

বিরহ দাস

বিরহ দাস

ফ্রিল্যান্সার

কবিতা

পিছুটান

কবিতার নাম: পিছুটান  প্রথম কাজল কালো চোখে নিজে নিজেকে দেখা আড়ালে। লজ্জাতে মুখ লুকিয়েপালানো আগোচরে,এই ভালো, এই মন খারাপ,চলছে দিনালাপ। মিষ্টি মিষ্টি স্মৃতি, বোকামি গাঁথাসবকিছু নিয়ে রচিত ইতিকথা। বৃষ্টিতে ভেজা, মায়ের বকুনিতে মজা।তেলেভাজা, চায়ে জমত আড্ডা। বাবা-মার শাসন, ছিল শ্বাশত আপন। খুনসুটিতে লুটানো বন্ধুত্ব স্মৃতিতে আজও জীবন্ত।মেয়েবেলা আমাকে টানে...

কবিতা

সভ্যতার পরে

বিদায় জানাইচিরতরেউলটানো নুড়ি পাথরের গায়ে লেখা থাকুকতোমাকে ভালোবাসিআবার যখন ধ্বংস হবে সভ্যতাপ্রত্নতত্ত্ব হয়ে ধরা দেবেতোমাকে ভালোবাসার কথাস্মৃতি মুছে ফেলা কি যায় সহজে!ভোরের দোয়েল শিস দিয়ে মনে করিয়ে দেয়সদ্য পাপড়ি মেলে ধরা শুভ্র শাপলামনে করায় তুমি সুন্দরতমতোমার জন্য শহরজুড়ে ভরা পূর্ণিমাদেওয়ালজুড়ে...

সাইখ আল তমাল

সাইখ আল তমাল

সাংবাদিক

উপন্যাস

দ্যা পেপার ম্যারেজ (১)

একটা মেয়ের চরিত্রে যে কয়টা ব্যাপার থাকলে তাকে ক্যারেক্টারেরলেস বলা হয়, আমার ভেতর তার সবগুলোই আছে। ড্রাগ নিই, কয়েকজন ছেলের সাথে ফিজিক্যাল রিলেশানেও জড়িয়েছি। আর গত এক বছর যাবত রেগুলার এসকর্টের কাজও করি। এরপরও ভদ্র সমাজে চলাফেরা করতে তেমন কোন...

কবিতা

মাঝরাতের পানশালায় বসে

ব্যারাকের সৈন্যরা যদি অস্ত্রবিহীন যুদ্ধ প্রস্তুতি গ্রহণ করেএবং জীবিত মানুষ দিয়ে কবরগুলো যদি পূর্ণ করা হয়রাষ্ট্রের জন্য বিষয়গুলো কি সত্যিই দুশ্চিন্তা হয়ে দাড়াবে? একজন উন্মাদ কবির অপঘাতে মারা যাবার ঘটনা অবশ্য দুর্লভ—তবে ভালোবাসায় পিষে যাওয়া মোটেও অস্বাভাবিক নয়।কিংবা নরকের সিড়ি বেয়ে...

সব্যসাচী

সব্যসাচী

কবি ও লেখক

উপন্যাস

দ্যা পেপার ম্যারেজ (২)

আগের পর্ব ২ ইয়েস। অন্ধকার জগতে প্রবেশ করলাম। প্রফেশানটায় বেশ কিছুদিন কাটাবার পরে, প্রফেশানটা সম্পর্কে ধীরে ধীরে কয়েকটা ব্যাপার বুঝেছিলাম। প্রফেশানটা সম্পর্কে ইউজুয়াল যে ধারণা বাজারে চালু আছে, আসল কাহিনী তেমনটা না। অন্য জায়গার কথা জানি না, আমি যে হোটেলে গিয়েছিলাম, জোর...

কবিতা

বাসন্তী 

পাকা পাকা বিবর্ণ পাতা সব,ঝরে পড়ে নীরবে,শীত এসে চলে গেলো,বসন্তের মোহরুপে।জরাজীর্ণ ঝেরে ফেলে,নতুনের প্রস্তুতি,আর কতো অপেক্ষা,আসবে রে বাসন্তী।দিন যায়, মাস যায়, আসে যায় বছর,কেউ বলে বাড়ে আবার কমে যে বয়স!মায়াঘেরা প্রীতিডোরে,বেড়ে ওঠা ধীরে ধীরে,পথচলা সময়ের, শ্বাশ্বত বিধানে।সুখ আর দুঃখ কেউ...

কবিতা

সত্য সন্ধানী

বেহাল রুপ দেখিতে কে চায় বলো?অপরুপা এ পৃথিবীর ;কারা হারাবে সত্য নিশানা?সত্য সুবাস ছড়াবে ধরিত্রীর?সত্যের ঘোষক, ধ্বজাধারী বীর,কোথায় বসবাস এ অবনীর?সত্যের সমারোহ ঘটাবে কোন জন?সৃজিবে কা'রা সত্যের কানন?অবিনাশী সত্য, চিরঞ্জীব প্রিয়তম,ধূসর পৃথিবীতে আর কি চাওয়া!সুন্দর অনন্ত, সত্য চির-ভাস্বর,হীরে কণা সব...

কবিতা

 বাবা তুমি

বাবা, তুমি সময়ের সাথে,পাল্লা দিয়ে অনেক দূরে চলে গেলে!কি করে ভূলিতে এ মন পারে,কত সাধ আহ্লাদ, তোমারে আহ্বাণে।কালের আবর্তে চলে গেলে!এত দূরে তবে কেন?আশার দিপালী জ্বেলে,তুমি নীরবেই চলে গেলে!এ পৃথিবী তোমায় দিয়েছে কিছু?নিয়েছে তো অনেক,তোমার সন্তান দেখো কত স্বার্থপর!!!তোমারে স্মরিছে...

কবিতা

জীবন তরী

জীবন তরীর এ কি হল হাল,মাঝে মাঝে পাল ছিঁড়ে বেসামাল,হাজারো ঢেউয়ের তর্জনগর্জন,নির্ভীক চিত্তে করিতে অর্জন।পথে পথে বাঁধা হবে,কেটে যাবো একে একে,মানবোনা বাঁধা, শুনবনা কথা,চলে যাব, দিয়ে যাব দিশা।তুমি থাক ভীত হয়ে,রবনা একাকি বসে,লড়ব, চলব নিশান উড়িয়ে যাব,সত্য ধ্বজা রবেই অম্লাণ,যাই...

গল্প

এক দোলযাত্রা

সেদিন ছিল রঙ খেলার দিন। প্রতিদিনের মতো চক্রবর্তী বাড়ীতেও রঙ খেলার ধুম পড়েছে। স্বর্ণা  ও জবা দুই বোনও বেশ আনন্দের সাথে রঙ খেলছিলো ।জবা তার দিদিকে বললো, “ আমি একটু পুকুরে স্নান করতে যাচ্ছি। ”স্বর্ণা বললো, “ আচ্ছা, ঠিক আছে।...

কবিতা

হাজার বছরের পথ

আমার হেটে আসা দীর্ঘপথ-দজলার তীরে ঘুরানো চাকার রথএসব কেবল গল্পের প্রয়োজনে বলে আসা;আমি চেয়েছি বরং শান্তি, হাজার বর্ষ ধরে খুঁজেছি কেবলফোরাত সম জীবন্ত ভালোবাসা। আমার প্রথম রচিত আইন-প্রথম বর্ণ কিউনিফর্ম লিখাতারপর ট্রোজান যুদ্ধ শেষে আমার পুনরায় জেগে উঠা;এসব শুধুই এক বিন্দু প্রাশান্তির...

কবিতা

আমার রবি

আমার বাবা,আমার রবি,সব বেলাতেই,তারে স্মরি।মা'বুদ আমারসাথে তাহার,করবে সদাচার,এইতো হল,আমার দোয়া,মাবুদের দরবার।মাফ করে দাও,মা'বুদ তুমি,আমার বাবাকে,জান্নাতী করে রাখো,আমার রবিকে। ৩০/০৪/২০০৬ ঈসায়ী সাল।ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,ভূঁইয়া পারা, ভাদুঘর,সদর, বি.বাড়ীয়া।

বাংলা সাহিত্য

বিদ্রোহী কবিতার পৌরাণিক চরিত্রসমূহ ও উপাদানগুলোর ব্যাখ্যা।

 বিদ্রোহী কবিতার জন্মবৃত্তান্ত‘কাজী নজরুল ইসলাম: স্মৃতিকথা' গ্রন্থে মুজাফফর আহমেদ লিখেছেন, “তখন নজরুল আর আমি নিচের তলার পূর্বদিকের, অর্থাৎ বাড়ির নিচেকার দক্ষিণ-পূর্ব কোণের ঘরটি নিয়ে থাকি। এই ঘরেই কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি লিখেছিল। সেই কবিতাটি লিখেছিল রাত্রিতে। রাত্রির কোন...

সামদানী প্রত্যয়

সামদানী প্রত্যয়

শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী

কবিতা

বিজয়ের উল্লাস

বিজয়ের উল্লাসে, মোর চোখ হাসেআজ, ঠোঁট হাসে তার রূপ পাশে,সুখ আঁশুতে বুক ভাসে।রক্ত নাচে টগবগে, মোর অরুন-তরুণ,রক্ত রাগে, সোনা রোদের মখমলে,জীবন জুড়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।সব পরাজয়, পদানত, শত্রু সেনা হস্তগত,জয়ের নেশায় মত্ত ছিল,অস্ত্রসহ, অস্র বিহীন যোদ্ধা শত।অশ্রু ধারার লক্ষ নদী, রক্ত ধারা...

কবিতা

বাবা! কে বলে তুমি নেই

বাবা! কে বলে তুমি নেই,এ ধরাধামে? চলে গেছ অভিমানে;নিত্যদিনের নিয়ম মেনে,সবার মতো স্বজন ছেড়ে,ভিন দেশেতে অনেক দূরে।নাই কি তোমার রক্তধারার?এমন নয়ন, খুঁজে নেবার।সত্যটাকে মিথ্যাজালের বেড়া থেকে,আলোর রেণু, মুঠোয় নেয়া দক্ষ হাতে।আছো তুমি চিরন্তনী,কথা-কাজের বর্ণনাতে,সমাজ সেবার দর্শণে।সব হৃদয়ের মণিকোঠায়,উচ্ছ্বসিত ভাবের ধারায়।তোমার...

কবিতা

তোমাকে ছাড়া

তোমাকে ছাড়া, জীবন যেন নিস্তব্ধ পথ,আকাশটা মেঘে ঢাকা, রোদ্দুরেরই অভাব,হারানো সুরের মত, গানের নেই মিষ্টি ছন্দ,তোমাকে ছাড়া, মন খুঁজে না তার আনন্দ। তোমাকে ছাড়া, রাতটা যেন অন্ধকারের কারাগার,তারা-ভরা আকাশেও নেই কোনো জ্যোতির ঝিলিক,জোনাকি পোকার আলোতে নেই সেই মায়াবী রং,তোমাকে ছাড়া, ভালোবাসার...

কবিতা

আমার ভাবনাতে তুমি

আমার ভাবনাতে তুমি, আঁধারের মাঝে আলো,তোমার ছোঁয়া পেলেই হৃদয় জাগে নতুন প্রাণে,তুমি ছাড়া জীবনটা যেন শুকনো পাতার ডালে,আমার ভাবনাতে তুমি, সুখের শেষ ঠিকানা। তোমার হাসির ঝলক, আমার স্বপ্নের রঙ,তোমার কন্ঠের সুরে বাজে প্রেমের গুঞ্জন,তুমি আছো পাশে, মন ভরে ওঠে সুখে,আমার ভাবনাতে...

গল্প

অভিশপ্ত ঘড়ি: দাদুর আত্মার প্রতিশোধ

গ্রীষ্মের এক রাতে, গ্রামের নিস্তব্ধতা আর ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দে রাকিবের মন অস্থির হয়ে ওঠে। দাদু সম্প্রতি মারা গেছেন, আর তার কিছু মুল্যবান জিনিস শহরে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব রাকিবের উপর পড়েছে। সাহস করে রাকিব দাদুর পুরনো বাড়ির দিকে রওনা দেয়। রাতে...

বিরহ দাস

বিরহ দাস

ফ্রিল্যান্সার

গল্প

স্বপ্ন সারথি

ছোট গল্প: স্বপ্ন সারথি   বাবার সাথে বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে যাচ্ছি প্রথমবারের মতো এবং শেষ বারের মত। কারন বিয়ের কনে আমার সুপরিচিত, সহস্র সাধনার ধন। যার অবয়ব মনে মনে ভাবতাম সেই দুরন্ত শৈশব থেকে। আমি অল্প আঘাতে কান্না করলে দাদা যখন...

গল্প

চ্যানেল কেটিভি

ঘুটঘুটে অন্ধকার রাত । ঢেলেঢুলে হেটে আসছে জনাব মোখলেসুর রহমান । চারিদিকটা ছমছমে । সরকারি কোয়ার্টারগুলোর  আশেপাশে যেমন ছমছমে থাকে । এদিকে একদল অপেক্ষা করছে জনাব মোখলেসুর রহমানের জন্যে ।-হ্যালো, চার্লি বলছি । ওভার এন্ড আউট ।- সিরাজ-উদ-দৌলা  লিসেনিং, চার্লি...

কবিতা

বিকেলের কাব্য ১

মার্জার কোলে বালিকা তববিকেলের পায়চারি,থেকে থেকে কোন ব্যাথিত চোখের দৃষ্টি আড়াআড়ি।জলে ভিজা ঐ কেশের শোভায়পাশের ঐ এক ছাঁদে,নিরবধি বয় উৎসুক বায়ু,ক্ষত, হৃদয় নিনাদে।আগামীতে কভু ফিরে এলে তুমিচিলেকোঠার ওপাশে থেকো,সাইক্লোন ঝড়ে নিমেষে আমোঘবাতাসও মানুষখেকো।আদিখ্যেতার হতাশার থেকেওলালিত কোন আশায়,বুক বেঁধে আছে তীর্যক...

গল্প

উচ্চ বিদ্যালয় ১

আমার বন্ধু রানাআচমকা ফোন করে বলল, ‘দোস্ত, আমার দিন শেষ! তোরা আমাকে মাফ করে দিস। আর তোর কাছে যে ৫ হাজার ৩০০ টাকা পাই, সেটা ফেরত দিতে হবে না।’ আমি চমকে উঠলাম, ‘মানে?’ : মানে আমার ফোনে কে জানি হুমকি...

গল্প

উচ্চ বিদ্যালয় ৫

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুল ছুটি হয়ে গেলে আমি রাশেদকে বললাম, আমাদের পাড়ায় যাবি?কি আছে তোদের পাড়ায়?আমরা আছি।আমরা কারা?আমি, ফজলু, দীলিপি। আশরাফও আছে।ফজলু মনে করিয়ে দিল, কাদেরও আছে।আমি হি হি কবে হেসে বললাম, কাদের আর কোন দিন তোর ধারে-কাছে আসবে না!রাশেদ মাথা...

গল্প

উচ্চ বিদ্যালয় ২

বাবা, ওওও বাবা…! রনি বাবার গায়ে গা ঘেঁষাঘেঁষি করছে। বাবা ব্যস্ত ল্যাপটপে। ল্যাপটপের স্ক্রিন থেকে চোখ না সরিয়েই বাবা রিপ্লাই দিলেন -হু! -আহা, শোনই না! -শুনতে পাচ্ছি তো! তুমি বলো। -জানো আমাদের টমি না অঙ্ক জানে! -তুমি কীভাবে বুঝলে? -যেদিন...

গল্প

উচ্চ বিদ্যালয় ৩

বাবা-মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান রাতুল। তার বয়স ছয় বছর। সে খুব শান্ত ও বিনয়ী। কয়দিন ধরে তার দু'চোখে কোন ঘুম নেই। সে এবার  নতুন বছরে, নতুন স্কুলে ভর্তি হবে। এই জন্য সে প্রতিদিন তার দাদুর কাছে জিজ্ঞাসা করে, ও দাদু!...

গল্প

উচ্চ বিদ্যালয় ৪

সেদিন ছিল বছরের শেষ দিন থার্টি ফার্স্ট নাইট। সকাল থেকে পাড়া গাঁয়ে চলছে কিশোর-কিশোরীদের মাঝে আনন্দ-উল্লাস। বিভিন্ন রকমের বাদ্যযন্ত্র বাজানোর প্রতিযোগিতা। এই সব আনন্দ-উল্লাস দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে যায় রহিম। তার মনে ইচ্ছে জাগে সেও এবার বন্ধুদের সাথে মনের আনন্দে...

গল্প

উচ্চ বিদ্যালয় ৬

টিফিনের ছুটিতে আমরা ক্লাস থেকে বের হয়েছি তখন উঁচু ক্লাসের একটা ছেলে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করল, “এই, তোদের ক্লাসে না কি একটা অন্ধ মেয়ে ভর্তি হয়েছে?”আমি অবাক হওয়ার ভান করলাম, “তাই না কি?”“তুই জানিস না?”“একটা মেয়ে ভর্তি হয়েছে, কিন্তু অন্ধ...

কবিতা

আলো_স্পর্শ

আলো_স্পর্শআব্দুল মাজেদ। আলোর স্পর্শে সুখ আসে?নাকি দুখ আসে? আবারও একবার তা স্পর্শ করে দেখি।আবারও একবার তাক্ষুধাহৃদয়ে ছুয়ে নেই।কঠিন মরনের ঐ পথে, ফিরে যেতে চায় কে আবার?ওরেভরে যাক তোর হৃদয় তাঁদের আলোতে আলোতে।তুই কিআজ দোয়া করলি তোরহাতেনিজেকে নিজেকে?এমন দোয়াও কী মানা হয়আলোর প্রধান উৎসতে?

গল্প

উচ্চ বিদ্যালয় ৭

এই সাদিব, ওঠ!’মায়ের ডাক শুনে তড়াক করে উঠে বসল সাদিব। আজ তার গণিত পরীক্ষা। বইপত্র সব বিছানায় নিয়ে এসেছিল শুয়ে শুয়ে সূত্রগুলোর ওপর চোখ বোলাবে বলে। কিন্তু বেশিক্ষণ আর তা হলো না। বিছানায় শুয়ে বই হাতে নিতেই দুচোখ জড়িয়ে এল...

গল্প

উচ্চ বিদ্যালয় ৮

ইরা আর নীরা যমজ দুই বোন। এবার দুজনই তৃতীয় শ্রেণিতে উঠেছে। তৃতীয় শ্রেণিতে উঠলে কী হবে, নতুন শ্রেণিতে উঠে তাদের স্কুলে যাওয়া হয়নি। প্রায় দেড় বছর করোনার কারণে স্কুল বন্ধ। ইরা আর নীরা থাকে মিরপুরে। একটি ভালো স্কুলে পড়েও কোনো...

প্রবন্ধ

গ্রাফিক ডিজাইন গাইড: সৃজনশীলতার জগতে নতুন দিগন্ত

গ্রাফিক ডিজাইন গাইড: সৃজনশীলতার জগতে নতুন দিগন্ত ১২ জুন, ২০২৪ – ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট তৈরির প্রক্রিয়ায় গ্রাফিক ডিজাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আর্ট ও টেকনোলজির মিশ্রণ, যা দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ ও বার্তা পৌঁছাতে সহায়ক। গ্রাফিক ডিজাইনের মূল লক্ষ্য হলো তথ্য বা...

বিরহ দাস

বিরহ দাস

ফ্রিল্যান্সার

গল্প

উচ্চ বিদ্যালয় ৯

যখন আমাদের ক্লাসে ভর্তি হল সম্পূর্ণ অন্যরকম একজন যার কারণে আমাদের পুরো ক্লাসটাই হয়ে গেল একটু অন্যরকমআমরা ক্লাসে বসে আছি, বাংলা স্যার রোল কল শেষ করে বইটা হাতে নিয়েছেন তখন আমরা দেখতে পেলাম করিডোর ধরে নতুন ম্যাডাম হেঁটে আসছেন। তার...

গল্প

উচ্চ বিদ্যালয় ১০

ছেলেটা বড় যন্ত্রণা করছে।মোবারক হোসেন হুংকার দিলেন, এ্যাঁও।এটা তাঁর বিশেষ ধরনের হুংকার। বাচ্চারা খুব ভয় পায়। শব্দটা বেড়ালের ডাকের কাছাকাছি, আবার ঠিক বেড়ালের ডাকও নয়, বাচ্চাদের ভয় পাবারই কথা।তবে এই বাচ্চা ভয় পাচ্ছে না। আগের মতোই লাফালাফি করছে। মনে হচ্ছে...

গল্প

অণু গল্প

অণুগল্প: আমিও ভালো আছি লেখক: আরিফুর রহমান আকন্দআমি তন্ময়। সবাই আমাকে তন্ময় স্যার বলে ডাকে। এ নামেই এখন চিনে অনেকে। সবার কাছে পরিচিত-প্রিয় মুখ হলেও আমি নিজের কাছে ততটা প্রিয় হতে পারিনি। নিজেই নিজেকে কষ্ট দিয়েছি অনেক। এখন ঠিক মানিয়ে নিয়েছি,...

কবিতা

শেষ চিঠি

ঘুমে স্বপ্নে জেগে উঠে এই মনছেড়ে তো এলাম নিথর স্বপ্ন বিভোর  জীবন।এখনো তোমার স্মৃতির কাছেআদরের মতো কী একটা লেগে আছে।এ নিয়ে কোনো ভাবনা নেই।তোমার ঐ নিশিত রাতের কথোপকথনআমাকে যদি ও বা না মনে পড়ে।তাতে বিস্ময় নেই,উদ্ভান্ত হবার কারণ নেই।অতীতে ছেড়ে আসা...

কবিতা

জীবনের তিক্ততা

দারিদ্র্যের কোষাগারে যাপিত যার জীবনসুখের যাচনা করিয়া যে করে আয়ু হ্রাস;সে বুঝে, সে জানে কষ্ট কাহা কে বলে।দায়িত্বের ভারে যার কাঁধ হয়ে যায় কুজোনিরবে যে সুখের করে বলিদানসে বুঝে, সে জানে স্বপ্ন কি মূল্যবান।বুকের ভিতর পাহাড়সম কষ্টের লালনবোঝার মতো যদি...

প্রবন্ধ

গল্পের ব্যবচ্ছেদ

আমরা গল্পকাররা সবসময় যে বিষয়টা নিয়ে বেশি ভুগে থাকি, সেটা হল গল্পটা কিভাবে শুরু করব এবং এর শুরুর স্টাইলটা কেমন হবে। এজন্য কাটাকুটি করি অনেক। এমনও হয় একটা পরিচ্ছদ লেখার পর পছন্দ না হলে সেটা ছিঁড়ে ফেলে আবার অন্যভাবে শুরু...

কবিতা

কবিতা

পাথর  খুঁড়ে শব্দ বুনি    স্বপন বিশ্বাস শব্দ হারানোর নেশায়  মত্ত আমিএকটা শব্দ ধরতে গেলে উড়ে অন্যসবব্যর্থ হলে ভেংগে পড়ে  ক্লান্ত প্রেমের সিড়িচোখের জলে দুঃখ নেমে অথৈ জলে ভাসি। নিত্য নতুন পাথর খুঁড়ে শব্দ বুনি রাশি হৃদয় নিংড়ে জল ছিটিয়ে ভেজাই চাষের মাটি রাত্রি শেষে...

গল্প

নবনিতা

মোবাইলের এলার্মের শব্দে ঘুম ভেঙে গেল শফিকের। মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলে ভোর ৪ টা ৪১ বাজে। ১১ মিনিট হল এলার্ম বেজেছে, সে টেরই পায় নি। খাটের এক কোণে কম্বল গায়ে গুটিশুটি মেরে ঘুমোচ্ছে তার ছেলে নুহাশ। ডিম লাইটের আবছা অন্ধকারেও...

গল্প

ঝর ঝর মুখর বাদল দিনে

এক শান্ত নিরব শরৎ এর, কোন এক কাক ডাকা ভোরে ঢাকা শহরে একটি মরদেহ খুঁজে পাওয়া খুব বেশি অস্বাভাবিক ঘটনা না। কিন্তু মরদেহটির মাথা দেহ থেকে আলাদা করা, এই ব্যাপারটিতে খানিকটা অস্বাভাবিকতা আর গা ছমছমে ব্যাপার তো আছেই। মরদেহটি পাওয়া...

উপন্যাস

অগস্ত্যযাত্রা

লেখা ১০/১০/২০২৩ফারহান আরিফ উৎসর্গ আমার দু’মায়ের নামে। ১) মোছাঃ শাফিয়া বেগম, ২) সাইলা জেসমিন আল্পনা।  অগস্ত্যযাত্রা১)বহু কাল পূর্বে, ঠিক কত কাল পূর্বে তা আমার জানা নেই। যাদের মুখে শুনেছি তারাও ওই একই সুরে বলেছেন বহু কাল পূর্বে গ্রামটিতে কতক ধোপারা বাস করত।    খুব...

গল্প

"বন্ধ্যা"

আজ আমার স্বামীর গায়ে হলুদ, ওর গায়ে প্রথম হলুদ আমিই ছুঁইয়ে দিলাম। কয়টা নারী এত সৌভাগ্য নিয়ে পৃথিবীতে আসে! ছলছল দুটি নয়ন নিয়ে নয়না তার স্বামীর কপালে হলুদ ছুইয়ে দিলো। রবির চোখ দুটোও শুষ্ক নয়, প্রচুর বৃষ্টির পরে মাটি যেমন...

গল্প

রহস্য যাত্রা

গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে একটা বাসের টিকিট করে চিন্তিত মুখে কাউন্টার থেকে বের হয়ে এলেন জমির সাহেব। তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম । পকেট থেকে রুমালের মত ছোট এক টুকরা কাপড় বের করে তা থেকে একটা পান বের করে মুখে দিলেন।...

মনিম হাসান

মনিম হাসান

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার

গল্প

বন্ধ ঘরের রহস্য

১.শহর থেকে দূরে এসেছি একটি পাকা রাস্তা ধরে। রাস্তাটি গ্রামগুলোর ভেতর দিয়ে পাশের উপজেলা তাড়াশ গিয়েছে। সেই উপজেলা আবার অন্য জেলা তথা সিরাজগঞ্জের অংশ। পাকা রাস্তা হলেও মানুষের চলাচল খুব কম। আর এই সুযোগটাই আমরা নিয়েছি। আমরা মূলতঃ সিগারেট খেতে...

গল্প

টয়লেট কথন

টয়লেট এর ভিতরের নানান ধরনের আজব ইতিহাস রচনা!জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা হলের টয়লেটের দেয়ালে লেখা ছিল,"আপনার হাগু আপনার সম্পদ, দয়া করে অন্য কারোজন্য ফেলে রেখে যাবেন না!"ঢাকার চারুকলা একাডেমীর টয়লেটের দরজায় লেখাছিল,"আপনার ত্যাগকৃত মল কোনো শিল্পকর্ম নয়, তাই ইহা অন্যকে প্রদর্শনের...

গল্প

সামর্থ্য

ভাঙা শীর্ণকায় ঘরটা থেকে বের হয় নিয়ামত।ভালোমতো জামাটা গায়ে জড়ায়।মলিন জামাটা আজকে ধোঁয়ার কারণে মলিনতা কিছুটা কমেছে।এভাবেই প্রতিনিয়ত মলিনতা বাড়ে আবার ধোঁয়ার পর পুরানা ভার্সনে যায়।এটাই পরিষ্কার নিয়ামতদের কাছে।বের হয়ে  আজকে বাজারের মসজিদের ওয়াজে যাবে।মাইকের আওয়াজে ছোট মেয়েটাও বায়না ধরেছে...

গল্প

অজানা শহরের দিনগুলি

প্রথম অধ্যায়: আগমনের মুহূর্তরোদেলা দুপুর। মেঘলা আকাশের নিচে ট্রেন ধীরে ধীরে অজানা শহরের স্টেশনে থামল। প্রফুল্ল মন নিয়ে, অর্ণব প্রথমবারের মতো এই শহরে পা রাখল। শহরের নাম 'নিরালা', যা অর্ণবের কল্পনার থেকেও অনেক বেশি রহস্যময়।অর্ণব এসেছে এখানে তার দাদুর পুরনো...

কবিতা

পানির দেয়াল

ভয় পেওনা জোনাকি এই আলোর নগরীতে,ক্ষয় হইওনা এই ভেবে,সব হারাইলাম কীশেষে।ভয় পেওনা সত্যবাদী, চোখ রাঙানো এই ভূমিতে,সমাজচ্যুতের না হইলো দাফন,না যাকজানাজাতে।তাই বলে কি পেরেছে কেউ, তার পরকালথামাতে?

কবিতা

🍂 একটি কাঁচের জানালা 🍂

আলো ঝলমলে চাকচিক্যময় চারদেয়ালেআবদ্ধ এই জীবন, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কুলিং ফ্যানের কনকনে ঠান্ডায়;  কুঁচকে যাওয়া চামড়ার ভাজে,উঞ্চতা খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টা। সমুদ্রের উচ্ছাস, নদীর তীর, গাছের ছায়া, সবুজ ঘাস, পাখির কলতান থেকে অনেকটা দূরে আমাদের এই শহর,নরম মাটি থেকে অনেক উচ্চতায় কংক্রিটের বহুতল ভবনে আমাদের অবস্থান,ইট পাথরের...

গল্প

আমরাই খোদা

হাজী গ্রামে এক অবুঝ জন্ম নিলো ।বড় হইতে হইতে তার অবুঝ আর সবুঝে রুপা ন্তর হওয়ারলক্ষণ দেখা দিলোনা !অবুঝ দেখে তার গ্রামটা ।হাজী গ্রামের প্রায় সবার নামে আলহাজ্ব দেখে ।মহল্লার বয়োজ্যেষ্ঠদাড়িওয়ালা পুরোদস্তুর হাজিত্ব বজায় রাখা মকবুল তারে বলে ,'বাবা বহু...

গল্প

উদঘাটন

উদঘাটন ❝সেদিনের পর থেকে আজও চিন্তিত থাকে সুকান্ত। সে কোনোদিনও সেই স্মৃতি ভুলতে পারবেনা❞ রহস্য আর রহস্যময় মানুষ দু'টোই প্রকৃতির এক অভিনবত্বের অবকাশ। ঠিক এমনই এক রহস্যময় মানুষ বাতাস। নামটা যেমন হাস্যকর তার সাথে কাটানো সময় আরো বেশি রোমাঞ্চকর। সবচেয়ে বেশি...

সাকু মিঞা - Mohammad Sakib

সাকু মিঞা - Mohammad Sakib

স্টোরি রাইটার | ঔপন্যাসিক | গল্পকার | বই সম্পাদক| লেখক|

গল্প

বিবাহ বার্ষিকী

সকাল থেকেই বৃষ্টি বৃষ্টি ভাব। সকাল পেরিয়ে দুপুরের দিকে বর্ষা কালের আসল চেহারা নিয়ে আকাশে মেঘেরা হাজির হলো। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। অফিস শেষের এই সময়টাতে প্রায়ই এই 'বাবার দোয়া' বাসে করে বাসায় ফেরা হয়। বাসে বসেই...

উপন্যাস

সে ছিল ভুল স্মৃতি

তামিম ভালোবাসে রিধীকাকে। সে রিধীকাকে চিঠি লিখে। রিধীকাও তামিমকে ভালোবাসে। কিন্তু সে বুঝতে দেয় না তামিমকে। এভাবেই খুনসুটিতে এগোতে থাকে উপন্যাসের গল্পটি। একসময় রিধীকা হারিয়ে যায় তামিমের জীবন থেকে। সে হাত ধরে অন্য মানুষের। তামিম ভেতর পড়ে। শুকিয়ে যায় তাঁর...

আল মামুন

আল মামুন

পেশায় একজন টিউটর, পাশাপাশি লেখালেখি করা হয়।

গল্প

অনুভূতিহীন সব,তা কেন আজ চরম সত্য?

অনুভূতিহীন সবসূদুরপ্রসারী অবসর,ইউনিভার্সিটি লাইফে ৯দিন হুট করে ছুটি পাওয়া বিশাল বিষয়। আর এই ৯ দিনের কর্মমুক্তিতে বেড়াতে এসেছি,অবশ্য বেড়ানোর জায়গাটা বড্ড একঘেয়ে।ঢাকার একপাশ থেকে আরেকপাশে আসা,এটা কখনো রিফ্রেশমেন্ট আনতে পারেনা,এ আরেক শাস্তি।যাইহোক সে শাস্তির এই এক সংক্ষিপ্ত সংগ্রহ বলতে অচ্ছে...

Tanmi Shaharin

Tanmi Shaharin

Student Of Jahangirnagar University

কবিতা

জগৎ কালো

কালো মানেই হাসির বস্তুনিগ্রো কালি উপাধি,কালো মানেই তামশা বিদ্রুপহবে না যে বিয়ে শাদি।কালো মানেই কালো মানিককালো মানেই শ্যামা কালীকালো মানেই যোগ্যতা নেইসবার সঙ্গে বলাবলি।ছাই ও তো ভাই কালো রঙের সেথায় কেনো হীরক খুজো?ভক্তি ভরে কেনো করোশ্যামা দেবীর নিত্য পুজো?কালো মানেই কুৎসিত...

গল্প

মাছের মেলা

বাংলার নদী আর জেলেদের জীবনে মাছের মেলা এক উৎসবের মতো। জেলে কামাল হোসেন তার জীবনের এই উৎসবে প্রতিদিন অংশ নেন। তার জীবনের সঙ্গী তার নৌকা আর জাল। প্রতিদিন সকালে তিনি নদীর পানিতে জাল ফেলেন, আর মাছের অপেক্ষায় থাকেন।এক সকালে, কামাল...

গল্প

পাওয়া না পাওয়া

পাওয়া না পাওয়াশাওনদের কলেজ জীবন শেষ প্রায়। সে এবং পুষ্প শেষ পরিক্ষার পরে একত্রিত হলো। তারা দু'জনেই শুধু একত্রিত হলো। বাকিদের কাউকে দেখা যাচ্ছেনা। দুজ একত্রিত হওয়া হয়তো তাদের বন্ধুত্বের গভীরতা সম্পর্কে একটা সুন্দর ধারণা দিচ্ছে। শাওন: আমাদের কলেজ লাইফ...

সাকু মিঞা - Mohammad Sakib

সাকু মিঞা - Mohammad Sakib

স্টোরি রাইটার | ঔপন্যাসিক | গল্পকার | বই সম্পাদক| লেখক|

কবিতা

বিশ্বে আজি নিঃস্ব যারা

বিশ্বে আজি নিঃস্ব যারা, তোলো সবাই অগ্নি ঝড়বিত্তশালীর চিত্ত সুখে আঘাত হানো ভয়ংকর। অট্টালিকায় আঘাত হানো, কেঁপে উঠুক থরথরভেঙে পড়ে ধূলায় লুটুক বিত্তশালীর বসত ঘর। গরিব দুঃখী বসত করে রেল লাইনের কোলে বসেঅট্টালিকা গড়ছে ধনী এই গরিবের রক্ত চুষে। দু’মুঠো ভাত পায় না...

কবিতা

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের পর হাসসান ইবনে সাবিত (রা) এর শোকগাথা

 “ মদীনাতে রাসূলের উজ্জ্বল নিদর্শন ও স্মৃতি রয়েছে।সাধারণ নিদর্শন ও স্মৃতিসমূহ বিলীন ও ও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।কিন্তু সেই পবিত্র স্থানের চিহ্নসমূহ অক্ষয় ও অমর,যেখানে মহান পথ প্রদর্শকের আরোহণের স্মৃতি বিজড়িত মিম্বার বর্তমান।সেখানে সেই সব ঘর রয়েছে যার মধ্যে আল্লাহর তরফ...

বাংলা সাহিত্য

মা, আনিসুল হক (বুক রিভিউ)

মা।শহীদ আজাদের মা সাফিয়া বেগম।যিনি ১৪ বছর ভাত খাননি কারন তার ছেলে একদিন জেলে তার কাছে ভাত খেতে চেয়েছিলো তিনি ভাত নিয়ে গিয়ে ছেলেকে আর পাননি,ভাত খাওয়াতে পারেননি ছেলেকে।যিনি টানা ১৪ বছর খাটে ঘুমান নি,মেঝেতে চাটাই পেতে ঘুমিয়েছেন  কারন তার...

হৃদয় হাসান

হৃদয় হাসান

MERN Stack Web Developer. (Full stack,Web apps,API,SPAs)

গল্প

শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাহ্যিক অঙ্গ কোনটি?

শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাহ্যিক অঙ্গ কোনটি?খুব ছোট্ট বেলায় মায়ের এ প্রশ্নের উত্তরে বলতাম "কান"।মা তার উত্তরে মাথা নেড়ে বলতো-"না ঠিক হয় নি। পৃথিবীতে অনেক বধির লোক আছে এবং তারা ভালভাবেই বেঁচে আছে। তুমি এ প্রশ্নের উত্তরটা নিয়ে আরও ভাবো! আমি...

গল্প

অনিচ্ছাসত্ত্বেও মাঝে মাঝে বিভিন্ন নিউজ পড়ে ফেলতে হয়।

অনিচ্ছাসত্ত্বেও মাঝে মাঝে বিভিন্ন নিউজ পড়ে ফেলতে হয়। কত কি মনে পড়ে তখন! আমরা যখন খুব ছোট আমার মায়ের এক কাকাতো ভাইয়ের মেয়ে খুব মেধাবী ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে ফিন্যান্সে ফার্স্টক্লাস পেয়ে পাশ করলো। বোনকে দেখতে আমরা ছোটরা সবাই মিলে বড়দের...

পোস্ট

এক গ্রামে দুই বন্ধু ছিল।

এক গ্রামে দুই বন্ধু ছিল। একজনের বয়স ৬, অন্য জনের বয়স ৯ বছর। একদিন দুই বন্ধু একসাথে গোসল করতে গিয়ে ৯ বছরের বন্ধুটি পানিতে পড়ে গেলো! বন্ধুটি ডুবে যাচ্ছে দেখে, ৬ বছরের বন্ধুটি পাশে রাখা দড়ি বাঁধা বালতিটিকে দ্রুত পানির...

উপন্যাস

মানবী - অধ্যায় দুই

নিরো এক সারি চেয়ারের একদম শেষের চেয়ারে বসে আছে। একা। হাতে গোনা কয়েকজন নার্স ব্যস্ত হয়ে ছোটাছুটি করছে। রিসেপশনে যে মহিলা বসে আছে সে ঘনঘন হাই তুলছে আর ঘড়িতে সময় দেখছে— শিফট শেষ হতে চলেছে সম্ভবত। তাছাড়া ঘরটা মোটামুটি খালিই...

উপন্যাস

মানবী - অধ্যায় তিন

লেকের পানি স্বচ্ছ। খুবই নীল। ডুব দিলে পানির নিচে সব পরিষ্কার দেখা যায়। কিরি কিছুক্ষণ আগে ডুব দিয়েছে। ডুব দিয়ে মাঝারি সাইজের কয়েকটা পাথর কুড়িয়ে নিয়ে এসেছে। পাথরের গায়ে লেগে থাকা অ্যালগি ওর প্রোজেক্টের জন্য প্রয়োজন। মধ্যদুপুর। ও এখন বসে আছে...

পোস্ট

জীবনে যখন দুর্বিপাক থাকে তখন নিজের সম্পর্কের যত্ন করা অত্যাবশ্যক।

জীবনে যখন দুর্বিপাক থাকে তখন নিজের সম্পর্কের যত্ন করা অত্যাবশ্যক। নয়তো সেই দুর্বিপাক এমন ঝড় তেরী করে জীবনে যেন নিজের সাথে জুড়ে থাকা সম্পর্ক ভেসে যায় এবং মানুষটি নিজেও ভেসে যায়। জীবন ভাবার অবকাশ দেয়। দুর্বিপাক ঠেকানোর শক্তি দেয়।এমন দুর্বিপাক...

পোস্ট

দেখতে হুবহু প্লাস্টিকের ব্যাগ মনে হলেও এটা প্লাস্টিক নয়।

দেখতে হুবহু প্লাস্টিকের ব্যাগ মনে হলেও এটা প্লাস্টিক নয়। পাট থেকে তৈরি করা সোনালী ব্যাগ। ব্যবহারের পর মাটিতে ফেললে কিছুদিনের মধ্যেই মাটির সঙ্গে মিশে জৈব সার হিসেবে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করবে। রাস্তাঘাটে ফেললে সেটা ড্রেনে পৌঁছুলেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না।...

কবিতা

পাতা

জানালা দিয়ে বাহিরে তাকাই‘আমাকে নেব না কেন’ বলে আর্তনাদ করেএকটি পাতাঝরাপাতা এক উড়ে আসে আমার বুকে শুনেছি মৃতুর আগে না-কি পাতা ঝরে যায়তাহলে এই ঝরাপাতা কার মুত্যুর বাহক হয়ে এলো! আরো পাতা ঝরে, আরো পাতা ঝরে যায়সব পাতা বলে, আমরা মৃত্যুর বাহক...

কবিতা

গেল শরতে

গেল শরতের শেষে কাশফুলের বনেহলুদাভ ডোরাকাাটা কেউ একজন এসেজোড়া চোখে বসেছিল, বলেছিল এসো বাতাসে বাতাসে বসে, স্বল্পতম হেসেবলেছিলাম, থাক না। ডোরা কাটা বেশেযিনি রয়েছেন বসে, তিনি আসলে আগুন আগুনের সাথে গল্প! বিধবা আকাশ তখনডোরাকাটা, করে দেন রঙিনআর একটু বসলে এসে যাবে হরিণ 

পোস্ট

অতিরিক্ত সরলতা আর মিশুক স্বভাব কখনো কখনো, মানুষকে মানুষের কাছে ছোট করে তোলে!

অতিরিক্ত সরলতা আর মিশুক স্বভাব কখনো কখনো, মানুষকে মানুষের কাছে ছোট করে তোলে! সরল আর মিশুক স্বভাবের মানুষকে সচরাচর সম্মান করে না কেউ। বরং তাদের অপমান–অপদস্ত আর ব্যবহারই বেশি করা হয়! ব্যবহৃত ভালো মানুষদের জন্য এ এক চরম বিড়ম্বনা আর...

গল্প

অদ্ভুত ১

আসসালামুওয়ালাইকুম । আমি মেঘলা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন আর হ্যা আমায় বলতে হবে না যে আমি কেমন আছি কারন আমি সব সময় খারাপ-ই থাকি । তো যাই হোক , আমি জিবনে কখনো গল্প লিখিনি এটা আমার প্রথম...

গল্প

অদ্ভুত ২

একের পর এক দুর্ভাগ্যে একসময় ধনী পরিবার টা প্রায় ফতুর হবার দশায় যখন পৌছালো। রাজ কান্ত তার চেয়ারে বসে কি যেন একটা ভাব ছিল, খুব হতাশ দেখাচ্ছিল তাকে। রাজ কান্ত তার প্রানের বন্ধু বিমল বসু কে চিঠি লিখলো। চিঠিতে লিখা...

গল্প

অদ্ভুত ৩

ব্যারিস্টার বিমল সেন। একজন সুদক্ষ উকিল। আজ পর্যন্ত সে যত মামলা নিয়েছে সবগুলো জিতেছে। আদালত থেকে ফেরার সময় তার সহকারি বলল, স্যার আপনার জন্য ভালো একটি বাড়ি পেয়েছি, অনেক কম দামে।ব্যারিস্টার বিমলঃ বাহ.... দারুন কাজ করেছো চলো বাড়িটি দেখে আসি।সহকারিঃ...

গল্প

অদ্ভুত ৪

আনন্দ ঠিক করলো এই শনিবার পলাশপুর যাবে। তাই আনন্দ তার বন্ধু শুভ্র কে বলল: বন্ধু চল কাল পলাশপুর যাই।শুভ্রঃ শনিবার না না, শনিবার আমি কোথাও যাবো না। আর পলাশ পুরের কথা বলছিস সেখানে তো যাবোই না।আনন্দঃ কেন পলাশপুর যাবি না...

গল্প

অদ্ভুত ৫

আমি খুব চঞ্চল প্রকৃতির ছেলে । ছোট থেকেই খুব ইন্টারেস্ট জ্বিন-পরী নিয়ে। সবার কাছে শুনতাম জ্বিন পরীর গল্প । গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠত গল্প গুলা শুনে । রোমাঞ্চিত হতাম । ভালোই লাগতো । কি অদ্ভুদ গল্প গুলা! কিসের নাকি এটা...

পোস্ট

মানুষকে মুূল্যায়ন!

সবার সাথে মিলেমিশে সবাইকে সমান তালে প্রাধান্য দিয়ে নিজের কলিজা পিসপিস করে কেটে যারা জীবন কাটাতে চায় দেখবেন এদের মূল্যায়নের প্রাইসিং ভ্যালু জায়গা ভেদে সবচেয়ে কম থাকে। ইভেন আমরা নিজের অজান্তেও আশেপাশে থাকা এমন মানুষদের দাম কম দেই।কম দাম বলতে...

গল্প

অদ্ভুত ৬

একটা ভূতের গল্প লিখে মন দিয়ে পড়ছিলাম। গল্পটা ভীষণ ভয়ংকর হয়ে গেছে। খুব ভয় ভয় করছিল আমার।এমন সময় জানালার ধারে হিস্ হিস্ শব্দ! কে যেন আমাকে সাবধান করে দিচ্ছে। শরীরটা ঝাড়া দিয়ে উঠল।একটু পর কর্কশ গলায় প্রশ্ন, এত রাতে কী...

গল্প

অদ্ভুত ৭

গ্রাম আমদির পাড়া। চারদিক সবুজে ঘেরা, আমাদের পাড়া। মাঠে মাঠে রাখালের বাঁশি বাজানো সুর, চলে যায় গ্রাম পেড়িয়ে বহুদুর। গাছে, গাছে, হরেক রকম ফুল, ফল,পাখির ডাক। রাতে জোনাকী পোকার মিটমিট আলো,আহা খুব সুন্দর লাগে দেখতে ভালো। এই গ্রামকে কেন্দ্র করে...

গল্প

অদ্ভুত ৮

ঘটনাটা আজ থেকে কয়েক বছর আগে আমার মামির সাথে ঘটা।চাকরির সুত্রে আমার মামা ও মামি পুরান ঢাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকত।মামার সেই বাসাটার পাশেই একটা ক্লিনিক ছিল।গর্ভবতীদের সন্তান প্রসব এবং এবোশোন করানো হতো সেখানে।অনেকসময় মৃত সন্তান এবং ভ্রুণগুলোকে ক্লিনিকের পাশের...

গল্প

অদ্ভুত ৯

মামির চিৎকার শুনে পাশের ক্লিনিকের গেইটম্যান এবং ওয়ার্ডবয় ঘটনাস্থলে পৌঁছান।তারা মামার পরিচিত ছিলেন।মামাকে খুব দ্রুত সেখানে তারা ডেকে আনেন।ততক্ষণে মামির দাঁত লেগে গিয়েছিল।বেশ কিছুক্ষণ পর মামির জ্ঞান ফেরে।মামি তখনও বারবার সেন্সলেস হয়ে যাচ্ছিল।যাই হোক।এভাবে বেশ কয়েকদিন মামি অসুস্থ ছিল।তারপর মামির...

কবিতা

কী এক বিষন্ন অন্ধকার হাতে নিয়ে বসে আছি

পৃথিবীর সব সুর থেমে গেছে যেনো নক্ষত্রের রাত নিভে গেছে বিষন্ন সব মেঘে পুকুরের জল ঘেঁষে বেড়ে ওঠা হিজল তলার ঘাটনীরবতায় সাক্ষী হয়েছে নিরাশ শূন্য চোখ জোড়ারপাখিদের গান যারে ছোঁয়না আর উৎকন্ঠার বিষে এই বুঝি মিশে যায় প্রেম, হৃদয় ছিঁড়ে বেরিয়ে যায় তোমায় পাওয়ার...

মোঃ আল আমিন

মোঃ আল আমিন

কবি ও গল্পকার

গল্প

অদ্ভুত ১০

এাকবার আমার বাসায় আমার বান্ধবীরা এসেছিল। রাপা, সাফা, রামিশা, অর্চি,সামিয়া,সাবরিনা, মুনতাহা আর লুরি থুক্কু নুরি।আমরা একসাথে হওয়া মানে গল্পেরঝুড়ি! আমরা একসাথে হইলেই অনেক মজা করি, হোরার মুভি দেখি,এডভেঞ্চার করি! প্রতিবারের মতো এবারও আমরা হোরার মুভি দেখলাম। কিন্তু এবার আর এডভেঞ্চার...

গল্প

অদ্ভুত ১১

আজ এপ্রিল মাসের ১২ তারিখ ।মনে পড়ছে বছর পাঁচেক আগের সেই পৈচাশিক মুখ টি তবে পুরু টা নয়।আজ সেই তারিখ যে তারিখ টি আসলে মনে হয় কেউ আমাকে আড়াল থেকে দেখছে এবং রক্তিম ঠোট আর ধারালো দাত দিয়ে বিতগুটে হাসি...

গল্প

জামাই ষষ্ঠী

কথায় বলে, জামাই বাঘের খাঁচায় বাঘ। এমনই এক উৎসব হলো জামাই ষষ্ঠী, যা বাংলার ঘরে ঘরে আনন্দের দিন হিসেবে পালন করা হয়। এই বিশেষ দিনটি হলো জামাইদের জন্য এক আলাদা মর্যাদা এবং আনন্দের সময়। তবে কল্পনা করুন যদি এই জামাই...

বিরহ দাস

বিরহ দাস

ফ্রিল্যান্সার

গল্প

অদ্ভুত ১২

সবুজ-শ্যামল অপার মায়ায় ঘেরা সাজুদের গ্রাম। দেখতে যেন রূপকথার দেশ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি। তাদের এই সবুজ-শ্যামল গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আঁকাবাঁকা নদী। যে নদীর বুকে শত শত মৎস্যজীবী মাছ ধরে জীবিকানির্বাহ করে। নদীর বুকে বালুচর জেগে উঠলে ফসল...

প্রবন্ধ

মার্কেটিং যুদ্ধে জয়ী হতে চাইলে...

অধিকাংশ মানুষ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে নিজের সামর্থ্যকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে চায়। কারণ সেটা সম্পর্কে তার তুলনামূলকভাবে স্পষ্ট ধারণা থাকে। ফলে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসীও থাকে। কিন্তু রিচার্ড রামেল্ট তার গুড স্ট্র্যাটেজি, ব্যাড স্ট্র্যাটেজি বইয়ে বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের দুর্বল জায়গায় যথাসময়ে নিজের...

ড. মো. আব্দুল হামিদ

ড. মো. আব্দুল হামিদ

পড়া ও লেখা, পেশা ও নেশা

গল্প

অদ্ভুত ১৩

কয়েক মাস হচ্ছে পরেশবাবু শহর ছেড়ে গ্রামের চলে এসেছেন। গ্রামের পরিবেশ তিনার কাছে খুব প্রিয়। কেননা তিনি গ্রামের পরিবেশেই বড় হয়েছেন। গ্রামের স্কুল, কলেজ থেকে উচ্চ ডিগ্রী লাভ করেছেন। কেবলমাত্র চাকরির সুবাদে তিনাকে গ্রাম ছেড়ে অদূরবর্তী শহরে চলে যেতে হয়েছিল।পরেশবাবু...

গল্প

অদ্ভুত ১৪

একদিন তাড়াহুড়ো করে বাড়ি থেকে নানিবাড়ি থেকে বের হলাম মামার সাথে সভা শুনতে। মাহফিল শুনতে যাওয়ার পথে গাড়ি পাওয়াটা সহজ হলেও আসার বেলায় তা কঠিন হয়ে গেল। তাই মামা ভ্যাগ্নে নি:শব্দ পায়ে পায়ে হেঁটে চলছি।প্রচুর কুয়াশা চারিদিকে এমন সময় হঠাৎ...

গল্প

অদ্ভুত ১৫

এই ঘটনাটি একদম সত্য ঘটনা।আমি আমার নানু বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম।আমার সাথে ছিল মা বাবা,৫ ভাই।সেদিন ছিলো শনিবারের রাত।নানু বাড়ির সাথেই ছিলো একটি কবরস্থান।যাই হোক আমরা নানা বাড়িতে পৌছে সবার সাথে কুশোলাদি বিনিময় হলো।আমরা নানু বাড়িতে পৌছলাম সন্ধার দিকে।সবাই রাতের খাবার...

সমালোচনা

ফুড কনফারেন্সঃ বাঙালির কপটতা কিংবা রক্তশূল চরিত্রের এন্তেজাম

গল্পের প্রবেশদ্বারঃ আবুল কালাম শামসুদ্দিনের ভাষ্যে "ব্যঙ্গ ও রঙ্গ, satire ও wit, বাঙালি সাহিত্যে একেবারে নেই একথা বলা চলে না। তবে এদিক দিয়ে সার্থক রচনা নিতান্তই পরিমিত। আমার মনে হয় আবুল মনসুর আহমদ এই মুষ্টিমেয় শিল্পীদের অন্ততম প্রধান। এতটুকু মন্তব্য করেই-...

শাহাদাত সুফল

শাহাদাত সুফল

কবি ও গবেষক

গল্প

প্রথম দেখা

অবন্তী আর রাশেদ, দুই ভিন্ন জগতের বাসিন্দা। অবন্তী বড় শহরের কোলাহলপূর্ণ জীবনের একজন চিত্রশিল্পী, আর রাশেদ গ্রামের নিরিবিলি পরিবেশে বেড়ে ওঠা একজন প্রকৌশলী। তাদের জীবন কখনোই একে অপরের সাথে মিলে যাওয়ার কথা ছিল না, কিন্তু ভাগ্যের ইশারায় তাদের পথ একদিন...

ভ্রমণ

কাশ্মীর ডায়েরি

কাশ্মীর ডায়েরি  প্রথম অধ্যায়: প্রস্তুতি২০১৬ সালের শীতের শুরুর দিকে এক সন্ধ্যায়, আমি আর আমার তিন বন্ধু—সোহেল, রাফিয়া, আর তাসনিয়া—ঢাকার ধানমন্ডির এক ছোট্ট কফি শপে বসে চা খাচ্ছিলাম। শীতের হালকা বাতাস আর চায়ের ধোঁয়া আমাদেরকে এক নতুন ভাবনা দিলো।সোহেল এক চুমুক চা...

পোস্ট

তিন বছরে লোকির পরিবর্তন

তিন বছরে লোকির পরিবর্তন মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের (MCU) চরিত্রগুলোর মধ্যে লোকি অন্যতম জনপ্রিয় এবং জটিল চরিত্র। গত তিন বছরে, লোকির চরিত্রটি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সে ধীরে ধীরে খলনায়ক থেকে একটি জটিল, কিন্তু ভালো দিকের নায়ক হিসাবে পরিণত হয়েছে। চলুন দেখা যাক,...

বিরহ দাস

বিরহ দাস

ফ্রিল্যান্সার

গল্প

রোমান্টিক ১

চন্ডিপুর গ্রামে বসবাস করত সুমন। সে ছিল খুবই ধনী পরিবারের এক ছেলে। খুব একটা মানুষকে সম্মান করত না। সর্বদা নিজের দাম্ভিকতা প্রকাশ করত মানুষের সামনে। লেখাপড়ায় তেমন পারদর্শী ছিল না। তবে নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেত। হঠাৎ একদিন বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে দেখতে...

গল্প

রোমান্টিক ২

মানুষ ভুল মানুষের জন্য অনুভূতি পুষে রাখে।তারপর কারণে অকারণে কষ্ট পায়।পাগলামো করে, যত্ন করে কাঁদে।কান্না,পাগলামোতে যখন ক্লান্ত হয়ে পড়েবেঁচে থাকবার বলয়টা যখনক্রমশ ঝাপসা হয়ে আসে,তখন হন্যে হয়ে বাঁচার একটা কারণ খোঁজে।একটা নির্ভরতার হাত খোঁজে,মাথা রাখবার একটা কাঁধ খোঁজে,খুব জড়িয়ে কান্না...

গল্প

রোমান্টিক ৩

কোন একদিন শীষের ভেজা ভোরে সে আমাকে এক নাগারে ডেকে যাবে। তার ডাকে আমি সারা দেব না। সে মিছে রাগ করে আমার থেকে অনেক দূরে চলে যাবে। আমিও তাকে খুঁজতে খুঁজতে চলে যাব অচিনপুরে। কিন্তু তাকে আমি কোথাও খুজে পাব...

গল্প

রোমান্টিক ৫

তুমি আমায় কোনোদিন ভালোবাসো নি তাই আমি তোমার কাছে না ভালোবাসার বিষয়ে পরিণত হয়ে গেছি। তুমি আমায় কোনোদিন কাছে চাও নি তাই আমি তোমার কাছে থাকার সৌভাগ্য কোনোদিন অর্জন করতে পারি নি। তুমি আমায় কোনোদিন পছন্দ করো নি তাই আমি...

গল্প

সহযাত্রীনী | থ্রিলার ফিকশন | পঞ্চম পর্ব

মাথার উপরে একটা হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ নিয়ে কোনো কাজেই মনযোগ দিতে পারছে না হাসীব। অফিসে নিয়মিত আসছে সে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। নিজের অফিস হওয়ায় ওকে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না। বন্ধু ঈশান সবকিছু সামলিয়ে নিচ্ছে। নিজের চেম্বার থেকে...

গল্প

বৃদ্ধ বাবা মা

ইউটিউবে এক ভ্লগার তার ভিডিওতে বলতেছে, আপনার বৃদ্ধ বাবা মাকে কি আপনি সময় দেন? তাদের সাথে বসে কিছু সময় কাটাতে চেয়েছেন কখনো? । বক্তা এই কথাগুলো এমন ভাবে বলতেছেন যা দেখে আতিকের মনে হলো সেই ভ্লগার ছাড়া দুনিয়ার সবাই কু...

গল্প

রোমান্টিক ৪

শুধু পার্থিব প্রয়োজনে নয়, কেউ একজন থাকুক; যে রাগ করবে ঘুমের জন্য ফজর ছুটে গেলে। ঘুম ঘুম চোখে ওযুর শেষে যে মানুষটি তার আন্তরিকতার আস্তিনে মুখ মুছতে দিবে। দিনের শুরুতে সমস্বরে উচ্চারিত হবে; ইয়াসীন, ওয়াল কুরআনিল হাকীম। কেউ একজন থাকুক...

গল্প

রোমান্টিক ৬

আমি শুধু তোমাকে চাই তোমাকে পেতে হলে আমি সবকিছু করতে রাজি আছি---- যদি বলো তো অ্যাঞ্জেল জলপ্রপাতের মাথা থেকে ঝাঁপ দিতে পারি যদি বলো তো যে সূর্যে কোনোদিন কেউ যাবার আশাও করে নি আমি না হয় সেই সূর্যের ভিতরে ঢুকে...

গল্প

রোমান্টিক ৭

আমি তোমার ঐ গোলাপী লাল ঠোঁট দুটি ছিনিয়ে নেব নয়ত চুরি করে নেব কারণ আমার খুব লোভ ঐ ঠোঁট দুটির প্রতি। দেখি সারাদিন ধরে তুমি আপনমনে জিভ ঘষো ওদের ওপর। শুধু কী তাই? দেখি ছালও তোলো খেয়াল খুশি অনুয়ায়ী। জানো...

গল্প

রোমান্টিক ৮

আমি আরিয়ান ক্লাস 10 এ পড়ি। স্কুল ছুটি তাই বড় বোনের বাসায় বেড়াতে গেলাম। অনেক দিন পর যাওয়া তাই বোন দুলাভাই সবাই খুব খুশি।যাওয়ার পরের দিন সকালে সূর্যোদয়ের সময় ছাদে গেলাম ঘুড়তে। যেয়ে দেখি একটি মেয়ে চোখ দুটো টানা টানা।গাছে...

গল্প

রোমান্টিক ৯

(১)সাদা ধবধবে গাড়ির ভিতরের সিটে বসে অস্বস্তি হয় লেট লতিফের। মেয়েটিকে সে ড্রাইভার বানিয়ে ফেলেছে!নিজের বোকামিতে নিজেই লজ্জিত হয়।মেয়েটি যেন কেমন! একটা বাটিতে কাঁচা-মরিচ,লেবু এগিয়ে দেয়।মেয়েটি গোটা গোটা মরিচ খাচ্ছে দেখে সেও মুখে দেয়।এতদিন বাসে যেতে পরিচিত কারও সাথে দেখা...

গল্প

রোমান্টিক ১০

আবৃত্তি : আম্মু তাড়াতাড়ি খেতে দাও।খেয়ে আমাকে এখনি যেতে হবে,মালা অপেক্ষা করছে।শীলা বেগম: যাবি ভালো কথা তা আরামে খেয়ে যাবি না।ক্লাস শুরু হতে দেরি আছে, আমাকে শিখাতে আসিস না।আবৃত্তি : ঠিক আছে আমার সোনা মা এবার তো খেতে দাও, নয়তো...

গল্প

রোমান্টিক ১১

মানুষ পরিবর্তনশীল।পরিবর্তন মানুষের নেশা।রক্তচোষা নেশা। তবে ভালো কিংবা মন্দ দুদিকই আছে। চোখের সামনে এত কাছের মানুষ টা ভিতরে ভিতরে কতো অচেনা কত দূরের থাকে বা হয়ে যায় তার কোন খবরই আমরা জানিনা। কেউ কেউ আপনাকে ততটা ভালোবাসছেনা যতটা আপনাকে দেখাচ্ছে।...

গল্প

রোমান্টিক ১২

এক সময় রূপসী নামে একটি গ্রাম ছিল। এই গ্রামে শোভা নামে একটি মেয়ে থাকত। তিনি একটি সহজ মেয়ে যে তার পড়াশুনা সম্পর্কে উত্সাহী ছিল. তিনি সর্বদা স্বপ্ন দেখেছিলেন জীবনে বড় কিছু অর্জন করে তার বাবা-মাকে গর্বিত করার।একদিন, শোভা যখন স্কুল...

গল্প

রোমান্টিক ১৩

হঠাৎ মনের মধ্যে বেজে উঠলো বিরহের গান।হামারি আধুরি কাহানি~~যখন জানতে পারলাম আমার ক্রাশ সিনান ভাইয়া আমার আরেক সিনিয়ারের সাথে রিলেশনে আছে।আমি রিমি, অনেকে আদর করে ডাকে রি। আমি বুগুরা পাবলিক স্কুলের ছাত্রী। এবার ক্লাস এইট। আর যে মেয়ে সিনান ভাইয়ার...

কবিতা

আমার মামা

মামা আমার মামা মস্ত মানুষ,ইয়া বড় ভুঁড়ি।সকাল বিকাল তিনি খান, পিঠা আর পুরি।আদর স্নেহ ভালবাসায়,নেই তার জুড়ি।বেড়াতে গেলে সারাবেলা,মামার সাথে ঘুরি।মামা আমায় কিনে দিলেন,লাল রংয়ের জামা।কি যে খুশি লাগলো আমার,বলা যাবে না।মামার বাড়ি গেলে আমরা,মনের সুখে বেড়াই।আম-জাম পিঠা-পায়েস,কত কিছু খাই।মামা আমার মস্ত...

তারিক হোসেন

তারিক হোসেন

সহযোগী অধ্যাপক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা।

নন ফিকশন

কোরআনের গদ্যে সুরা ইউসুফের তরজমা (পর্ব ১)

এই তরজমার গদ্য বাংলা ভাষার চেনা গদ্যভঙ্গির মতো নয়। এখানে আমি চেষ্টা করেছি যথাসম্ভব আক্ষরিকতাকে ধরে রাখতে; আক্ষরিকতা—যেমন শব্দের প্রয়োগে, তেমনি গদ্যের ধরনে; প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা বন্ধনীতে রেখেছি; কুরআন যেমন গদ্য ও পদ্যের মাঝামাঝি, যথাসম্ভব সেই আবহ ও বাগ্‌ভঙ্গিকে অক্ষুণ্ণ রাখবার...

গল্প

রোমান্টিক ১৪

" প্রেম আর ব্রেকআপের এই যুগে,আমি প্রিয়... হতে চাই তোমার প্রিয়া।।সম্পর্ক আমাদের যেন হয়,সিমকার্ডের সাথে ফোনের মতন।।যদি হতে পারি এই যুগে একে অপরেরজীবনে আর কি চাই?তুমি আমার বিরিয়ানির চিকেনের লেগ পিস্আমি তোমার বিরিয়ানির চাল।।না মেনে নিলে প্রেম নিবেদন,হবে তোমার হাল...

গল্প

রোমান্টিক ১৫

অনেক দিন পর মোবাইলের ডাটা অন করার সাথে সাথে মেসেঞ্জারের নোটিফিকেশন বেজে উঠল টং! মেসেঞ্জারে প্রবেশ করার পর দেখি, অপরিচিত একটা মেয়ে তার ফেসবুক আইডি থেকে এসএমএস পাঠিয়েছে। কেমন আছেন ভাইয়া? কি করছেন এখন? অনেক ক'দিন ধরে আপনাকে অনলাইনে দেখতে...

গল্প

ব্যক্তি

ব্যক্তিসিয়াম আল জাকিসকালের সাদামাটা শুরু হবে এমন কিছু আগে থেকেই জানতাম। বাসায় আজ কাজের লোকের সাক্ষাৎ পাওয়া যাবে না এই কথাও আগে থেকেই অনুমান করতে পেরেছিলাম। সপ্তাহের ছুটির দিনে তাদের অনেক কাজ থাকে। কাজ বলতে নিজেদের একটাদিন ছুটি দিয়ে তারা...

গল্প

রোমান্টিক ১৬

ছোট বেলায় যখন পঞ্চম শ্রেনিতে পরতাম একটা মেয়েকে পছন্দ করছিলাম।তখনকার পছন্দ মানে তো না বুঝে প্রেম করা। কিন্তু ভাবিনি এই না বুঝে প্রেম করাটা ভবিষ্যতে কতটা প্রভাব ফেলবে।চলুন আমার লাইফের এই মমান্তিক ঘটনার সাক্ষি হতে।স্কুল থেকে আমার বাড়ির দূরুত্ব প্রায়...

গল্প

রোমান্টিক ১৭

এক ছেলে আর এক মেয়ে। একে অপরকে খুব ভালোবাসে। একদিন ছেলেটি গেল মেয়েটির বাড়ি, মেয়েটির সঙ্গে দেখা করবে বলে। বাড়ি গিয়ে ছেলেটির মনটি খুব খারাপ হলো, কারণ ছেলেটি দেখল যে মেয়েটির একটি (নীল) কোলবালিশ আছে, কিন্তু ছেলেটির কোনো কোলবালিশ নেই।...

গল্প

রোমান্টিক ১৮

গল্পের এই মেয়েটা বিয়ের এক অনুষ্টানে আসে।বিয়ের অনুষ্টান টা হল তার এক বান্ধবীর বোনের।কিন্তু অনুষ্টানে আসার পর থেকেই...একটা ছেলের জন্য সে ঠিক মত কোনো কিছুই করতে পারছে না।কারণ ছেলেটা তার পিছনে আঠার মত লেগেছে।যেখানেই সে যায়. সেখানেই ছেলেটা তার পিছে...

গল্প

রোমান্টিক ১৯

মাথায় এক বাটি তেল দেওয়া একটা মেয়েকে সেদিন প্রপোজ করেছিলাম।মেয়েটার নাম রূপা।দেখতে কালো একেবারে যে কুচকুচে কালো তা না।কুচকুচে কালোর চেয়ে একটু ফর্সা।কাপড় পড়েছে ঢিলেঢালা।আমি যখন প্রেম নিবেদনের জন্য রূপার সামনে একটা গোলাপ নিয়ে হাজির হয়েছি আমার দিকে ঢেপঢেপ করে...

গল্প

রোমান্টিক ২০

আগামীকাল রুপার বিয়ে।রুপা আমার গার্লফ্রেন্ড। ১০ম শ্রেণীতে পড়ে। আমরা সেইম ইয়ার। অল্প বয়সেই দুজন দুজনার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছিলা। আমাদের রিলেশনের আজ দুই বছর পুর্নতা লাভ পেল। কি অদ্ভুদ আজকে রিলেশনের বয়স দুই বছর পুর্নতা পেল অথচ আগামীকাল রুপার বিয়ে।...

গল্প

রোমান্টিক ২১

শীতের সকাল। কুয়াশার চাদরেরা যেন আমাকে ঘিরে রেখেছে, যেমন ঘিরে রেখেছে খুবই সূক্ষ্ম একটা আক্ষেপ।শীতের ভোর গুলো যেমন খুব শান্ত অথচ দৃঢ় ভাবে প্রকাশ ঘটায়, তেমনি আমার মনের ভেতর হতাশা গুলো জমে আছে। এদের তাড়িয়ে দিতে মন চায় না।তাকে প্রথমবার...

গল্প

ছোটগল্প: সাবান চোর

বয়স্ক মহিলাটা রাগে গজগজ করতে করতে চিৎকার করে, গতকাইলকেই বাথরুমে নতুন সাবানটা দিলাম, সেইটা গেল কই! সায়মা পুকুর পাড়ে বসে শীতের শেষে কালো হয়ে যাওয়া পুকুড়ের পানি দেখে। পুকুর পাড়ের গাছগুলো থেকে ঝরা পাতায় ভরে গেছে পুকুরের তলানিতে থাকা কালো-ময়লা পানি।...

Maliha Khanam

Maliha Khanam

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

কবিতা

অভিমানী মেয়ে

তুমি যে অভিমানী মেয়ে,চোখে তোমার জল মিশে থাকে,বুকের ভেতর চাপা কান্না,শান্তি তোমার খুঁজে ফেলে না। সকালের রোদে চম্পার ফুলে,দেখো তোমার রূপের ছায়া,বাতাসে ভেসে আসে গানে,তুমি যেন সুরের মায়া। কিন্তু কেন এই অভিমান,কেন চোখে লুকানো কষ্ট?কেন যেন মেঘের মাঝে,দেখতে পাও মনের বস্তু। তুমি যে...

গল্প

রোমান্টিক ২২

নিশিঃ এখন তুমি ছবি দিবা না?রাসেলঃ না।এটা সম্ভব না।নিশিঃ আমি বলছি তো তুমি যদিআমাকে তোমার একটা ছবি দাওতাহলে আমিও তোমাকে আমারছবি দিব।রাসেলঃ না লাগবে না।আমিকতবার বলছি আমি দেখতে একটুওসুন্দর না।তবুও তুমি বারবার ছবি চাওকেন?নিশিঃ এমনি আরো চাইবো।একশবার চাইবএকশবার চাইবো।রাসেলঃ তুমি...

কবিতা

রাগী মেয়ে

রাগে ভরা তোমার চোখ,শান্তি যেন খুঁজে নেই,তুমি যে রাগী মেয়ে,কীভাবে মন তোমার ভাঙি? তোমার রাগে ঝলসে ওঠে,নীরব রাতের তারারা,তোমার মুখে চাঁদের আলো,হারিয়ে যায় অন্ধকারে। তুমি জানো কি, প্রিয় মেয়ে,রাগের পেছনে প্রেম লুকায়,তোমার রাগে আমার হৃদয়,তোমার প্রেমের কথা গায়। তোমার কাছে যদি আসি,কথা বলি...

প্রবন্ধ

বই পড়া কেন দরকার?

 এক বই পড়া মূলত মানুষের প্রিয় শখগুলোর একটি। বেশিরভাগ মানুষ পাঠ্য বই পড়ে বাধ্য হয়ে আর অ-পাঠ্য বই পড়ে শখের বশে। পাঠ্যবই মানুষকে লালসা দেখায় ভবিষ্যতে অর্থপ্রাপ্তির বা চাকরি প্রাপ্তির আর অ-পাঠ্য (পাঠ্য বহির্ভূত) বই মানুষকে দেয় নির্মল আনন্দ, কখনো কখনো...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

কবিতা

নিমফুল, শূন্যদশক ও অন্যান্য কবিতা

কবিতায় যে শান্ত জলাভূমির কথা বলেছিতার ধারে আজ কামিনী আর লাউয়ের সাদা ঝোঁপ।বসন্তে তোমারও ফেরার কথা ছিলসবুজ শিমুলের পাতা হয়ে। শান্ত গ্যারেজে শুয়ে থাকে যেমন ভাঙা সাইকেল, সম্পর্ক তেমন আজ। সর্বাঙ্গে ব্যথা নিয়েজেগে আছো সারাইয়ের। আচমকা কোনো শিশু!বাজাবে বেল, বন্ধ প্যাডেল, প্রাণ...

কবিতা

কোরবানির ঈদ

কোরবানির ঈদ, খুশির বাতাস,প্রাণের মাঝে খুশির আমেজ,ত্যাগের মহিমা, সবার হৃদয়ে,প্রার্থনার ধ্বনি, চারিদিকে বাজে। কোরবানির দিন আসে যবে,সবার মনে আনন্দের ঝিলিক,প্রিয় পশুর মেলার রঙে,বাজার ভরে ওঠে চমৎকার সজ্জায়। ছোট্ট শিশুর চোখে মুগ্ধতা,বড়দের মনে উদারতার ঢেউ,ঈদের সকালে নামাজ শেষে,প্রতিটি ঘরে খুশির বন্যা বয়ে যায়। ত্যাগের...

গল্প

রোমান্টিক ২৩

 - আমি চলে যাচ্ছি।(নিলিমা) - হুম।(আমি) - ভালো থেকো?(নিলিমা) - আচ্ছা।(আমি)সেদিন শেষ বারের মতো এই কথাগুলোই হয়েছিলো আমাদের।অনেক ভালোবাসা সত্তেও আমি সেদিন ওকে আটকাতে পারি নাই।কারনটা আমার বয়স।যখন ওর বিয়ে হয় তখন আমার বয়স ১৮ ও হয়নি।তখন সবে মাত্র ডিপ্লোমা প্রথম সেমিস্টার এ...

কবিতা

বর্জন করো কোকা কোলা

প্লাস্টিক বোতলের জঞ্জাল ভরে,পৃথিবীর বুকে দেয় ভারি বোঝা,স্বাস্থ্য নিয়ে খেলে যায় হরদম,বর্জন করো, বর্জন করো কোকা কোলা। চিনি ভরা কোল্ড ড্রিঙ্কসে,স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায় দিন দিন,ডায়াবেটিস, স্থূলতা, রোগের সম্ভাবনা,বর্জন করো, বর্জন করো কোকা কোলা। প্রকৃতির রঙিন ঝরনা থেকে,কোকা কোলার বিজ্ঞাপন ফাঁদ,প্রকৃতি হারায়, আমরা হারি,বর্জন...

গল্প

রোমান্টিক ২৪

ইনবক্সে জমা হয়েছে ৭০+ মেসেজ কিন্তু আজ ১২ সানভির আইডি থেকে একটা মেসেজও আসেনি। নামের পাশে সবুজ বাতির বদলে লিখা আছে Active 11 Days Ago....যেই ছেলেটা ২ ঘন্টা ফেসবুক ছাড়া থাকতে পারেনা আজ সেই ছেলেটাই ১২ দিন যাবত আনএক্টিভ।huhকোথায় খুজবে...

গল্প

রোমান্টিক ২৫

এই শোন না?কি হয়েছে কি?তোমার চুলগুলো আঁচড়ে দেই!দরকার নেই।কেন?ভাল লাগে না।এই শোন?কি?তোমার পায়ে আলতা লাগিয়ে দেই?লাগবেনা।চল না ছাদে গিয়ে বসি।না।তোমার হাতটা ধরি?উহু। বলছি বাপের বাড়ি কি যাওয়াই লাগবে?হ্যানা গেলে হয়না?না।কেন যাবে?যেতে মন চাইছে।যদি যেতে না দেই।নিশ্চুপ।যেতে না দিলে এভাবে রেগে...

কবিতা

একটা ঋণ

 একটা ঋণ তো আমি করতে পারি,ধরেন কথা দিলাম সময়মতো দিলাম না!তবে ঋণটা রইলো।আবার ধরেন আপনার সহিত তারিখে তারিখে হলো আলাপ,উত্তপ্ত অধৈর্যতার ছড়াছড়ি।একটা ঋণ তো আমিও করতে পারি।যেখানে পাওনাদারের দেনায় আমার মনোযোগ,চাওয়া মাত্রই বলতেই পারি চরম প্রচেষ্টায় আছি।আমি অতল জানি না,পাতালও বুঝিনা।আকাশের...

নন ফিকশন

নজরুল বিষয়ক বই

যারা নজরুলের জীবন ও সাহিত্যকর্মে গবেষণায় আগ্রহী তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য কিছু বই।    কাজী নজরুল ইসলাম: স্মৃতিকথা - মুজফফর আহমেদ কেউ ভোলে না কেউ ভোলে - শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় নজরুল ইসলাম - প্রাণতোষ চট্টোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যে নজরুল - আজহারউদ্দীন খান  নজরুল প্রতিভার স্বরূপ - আবদুল কাদির  নজরুল জীবনী...

কবিতা

আসলো পতন, খবরদার!

দিনে দিনে বাড়ছে জ্বালা অত্যাচারআর উৎপীড়ন,মানুষ নামের মানব-বাদীর, কবে হবে চেতন ??? বিশ্ব হবে সব জাতিদের,থাকবেনা বৈষম্য,হচ্ছে কী সব বিশ্ব জুড়ে!তাই কী ছিল কাম্য?আঁতাত করো খুনীর সাথে,সাথী দখলদার,অত্যাচারীর অস্ত্রগুরু,দালাল ফড়িয়ার!সিংহ, শার্দুল ওঠলো জেগে,অত্যাচারীর দিন শেষে,ঢাল তলোয়ার, মারণাস্ত্র,প্রয়োজন তা' কোথা' কবে!শান্তির কথা মুখে...

কবিতা

প্রাণের চেয়ে প্রিয় কুদস

ওরা মার খাচ্ছে, খাক, জ্বলে পোঁড়েছারখার হয়ে যাক,পুরো ভিটে মাটি, সাজানো সংসার,কারো দখলে এমনি থাক।আমার আসন ঠিক আছে তো,বিশ্ব তাহার সবি হারাক।মানব-দানব ধ্বংস চালায়,কার কী আসে যায়।তোমার আঙ্গিনায় ফোটে,রং বেরঙের, নানা জাতের ফুল,আমার আঙ্গিনা ক্ষত বিক্ষত,জাজরা বুলেটে, বংশ নির্মূল!তোমার সুখে...

গল্প

ছোটগল্প: গ্রীন টি

মাগরিবের আযান দিল কিছুক্ষণ হয়েছে। নামাযটা শেষ করে মোবাইল হাতে সোস্যাল মিডিয়া চালাতে ব্যস্ত আনিশা। দরজাটা ভেতর থেকে চাপানো। ধীরে ধীরে দরজাটা খুলে অল্প একটু মাথা ভেতরে ঢুকিয়ে মোবাইলে ব্যস্ত মেয়ের দিকে তাকালেন মা আমেনা বেগম। চাঁপা গলায় বললেন, আয়েশা,...

Maliha Khanam

Maliha Khanam

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

কবিতা

তুমি আমাকে হারিয়েছো সেই কবে

              তুমি আমাকে হারিয়েছো সেই কবে,এই চেনা নগরীতে যেমন করে হারায় ক্লান্ত পথিক অচেনা ভীড়েতুমি আমাকে মুছে দিয়েছো,অজস্র গ্লানিতেবারংবার ঝেড়ে ফেলেছো ক্ষুদ্র ধুলিকনার মতো,দুমড়ে মুচড়ে করেছো বিষাদগ্রস্ত,ব্যথিত হৃদয়।তুমি আমাকে সেই কবেই হারিয়েছো,আবছা আলোয়অন্ধকারাচ্ছন্ন নিশীথে,দুঃস্বপ্নের মতোজীর্ণ করেছো...

কবিতা

প্রার্থনার শেষ পরিচ্ছেদ

এক ভীষণ দুঃসময় জীবনের উপর বয়ে চলেছেহত্যাও ভয়ানক পাপ যদি সেটা নিয়ম বহির্ভূত করা হয়।নিজের প্রথম প্রেমকে ঘৃণা ছুড়তেই বোলে যায়— ভালোবাসা হলো সেই পথ যার শেষ গন্তব্য নরক।টাকার জন্য অসৎ হওয়া মানুষ হয়তো তুমি দেখেছো—কর্নেলিয়া জানো কিভালোবাসায় প্ররোচিত কবিদের...

সব্যসাচী

সব্যসাচী

কবি ও লেখক

গল্প

🍂 নদীর ঘাটের আত্মকথন 🍂

খুব শীতের সকালে আমার শ্যাওলা পরা ঘাটের সিঁড়ি তে মাঝ বয়সী এক বৃদ্ধা তার পালতোলা নৌকা ভিড়িয়েছে। আজ কত বছর হয়ে গেলো কেউ এই ঘাটে নৌকা নিয়ে আসে নি। একটা সময় কত মানুষ এই ঘাটে নৌকায় নদী পারাপার করতো। কত...

প্রবন্ধ

🍂 সম্পর্কের যত্ন 🍂

সম্পর্ক খুব স্পর্শকাতর;কখনো খুব আঘাতেও অটুট থাকে, আবার কখনো অল্প ছোঁয়াতেই চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় কাঁচের মত। সম্পর্ক অনেকটা সুন্দর সাজানো একটা বাড়ির মতন, দিন যত যাবে সম্পর্কের বন্ধন ততটাই মায়াজালে জড়িয়ে যাবে, আর অবহেলা অযত্নে ফেলে রাখবেন তো শ্যাওলা জমে যাবে,...

কবিতা

গাছের মাথায় চাঁদ

গাছের মাথায় চাঁদ।চারপাশে মেঘে ঘেরা।আমার হাতে সিগারেট।সিগারেটের বদলে তোমার হাত চেয়েছিলাম।পাশের প্যাকেটকে তুমি বলে মনে হয়।এমনি করে আমৃত্যু বসে পার করে দেয়া যায়। আমার অবস্থা ওই দূরের তারাটার মত।কাছে যাওয়ার অধিকার নেই।শুধু দূর থেকে তাকিয়ে তোমাকে দেখি।মাঝে মাঝে তোমার চোখে আমাকে...

পোস্ট

শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে আমার করনীয়!

শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে আমার করনীয়!শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার একটি অপরিহার্য বিষয়। তবে, এর অপব্যবহার শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের মনোবলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই অপব্যবহার রোধে আমাদের কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। প্রথমত, শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের...

মোহাম্মাদ শাহা আলম

মোহাম্মাদ শাহা আলম

ফ্রিল্যান্সার-UI UX ডিজাইনার

গল্প

বনে জোনাকির ছবি

অরিজিনাল টাইটেলঃ হোতাড়ুবি ন মরি ই ; বনে জোনাকির ছবি  জোনাকি নামের একজন বালিকা এবং জিনের সাথে তার বন্ধুত্ব নিয়ে একটি গল্প। যেখানে একটি মুখোশ পরা অদ্ভুত যুবক ছিল, জোনাকি ছয় বছর বয়েসে তার দাদুর দেশের বাড়ির কাছে একটি পর্বতের অরণ্যে তার...

মিজানুর রশীদ চৌধুরী

মিজানুর রশীদ চৌধুরী

Lecturer at Green Gems International School and College

পোস্ট

মুদ্রাদোষ

স্বামী বাসর ঘরে ঢুকে হালকা কাশি দিলে না কি স্ত্রী বিছানা থেকে নেমে স্বামীর কাছে এসে পায়ে ধরে সালাম করে। আমায় এমনটাই বলেছে পাশের বাসার ভাবী কিন্তু আমার ক্ষেত্রে হয়েছে অন্য রকম। আমি বাসর ঘরে ঢুকে হালকা কাশির শব্দ করলে...

কবিতা

পরোয়ানা

ভালবাসা ভরে থাক,প্রতিটি অন্তর;ভালবেসে বেঁচে থাকা,হউক মূল মন্তর।পথে ঘাটে জোড়া জোড়া,বসে থাকে নীরবে;সহাস্যে হেলে দুলে,কেউ চলে সরবে।আকাশের তারা সম,যুগলেরা জ্বলে নিভে,কত কথা বিনিময়,চলে মান অভিমানে।সত্যি হয়ে থাক,সব সুখ স্বপ্ন,স্বপ্নের বলাকারা,হয়ে যাক ধন্য।থেকো সবে চিরদিন,পাপ তাপ মুক্ত,দিন দিন বাড়ে যেন,পূণ্যের প্রস্থ।ভালবাসি...

কবিতা

অনুশোচনা

পদে পদে, প্রতি পদে, জড়ায়ে পাপে,মুক্ত না হতে পারি,আশা নিরাশার দোলাচলে চলি,দিবা-নিশি এমনি করি।কখনো শয়তান, নিজের নাফস,দুনিয়ার মন্দ সব,হৃদয় গহীনে বাসা বেঁধে চলে,চালায় যতো তান্ডব।সহজ সরল পথের সন্ধানে ছুটি,দিনমান কেন বিপথে চলি!ঘুমের জোয়ারে ক্লান্ত দু'চোখে,আপনারে লয়ে,ব্যস্ত নিশিতে।কোথায় মাগিব দু'দন্ড শান্তি,কেমনে...

কবিতা

জীবন সাথী

আমার জীবন সাথী,ভালবাসার উৎস,পরম স্বার্থকতা,স্বপ্নীল আশার জন্ম।জীবন তরনীর সফল নোঙ্গর,প্রান্তিক মাইল ফলক,জীবন থেকে জীবনে,সফলতার নিয়ামক।আমার উৎসাহ, প্রেরণা,স্বার্থক অনির্বাণ,অপরিসীম স্বপ্নের নীলিমা,ডাকে স্বপ্নের বান।শয়নে স্বপনে, আশা বাস্তবে,হৃদয় হতে হৃদয়ে,প্রেম ও ভালবাসার ফল্গুধারা,অমীয় সুধা অন্তরে। ১৭/০৬/২০১০ ঈসায়ী সাল।অর্ধাঙ্গিনী খালেদা ইসলাম ভূঁইয়া - কেফখরে বাঙ্গাল...

কবিতা

বর না সেজে বিয়ে

আমি বর না সেজে বিয়ে করেছি,              পেয়েছি কনে সংসার,শান্তির নীড় পেয়েছি উপহার,                নেই কোন দুঃখ আমার।জীবনের দিগন্ত, উন্মোচিত হলো,               অপরুপ গুলবাগ,সুবাসিত...

কবিতা

ভালবাসি দিবা-নিশি 

নিরাকপরা ভর দুপুরে,বসে আছি আনমনে,সুখের বেলা যায় চলে যায়,কতো দ্রুত আপন মনে।ভাবছি কতো জীবন নিয়ে,পাইনা ভেবে কূল,অলস দেহে দেখছি তারে,নেইকো কোন ভূল।হাজির হলো কলম-খাতা,কোমল হাতের স্পর্শে,মনের কথা ঝরবে কবে,ইতিহাসের গর্ভে।ভালবাসি, কতো তারে,বলবো কেমন করে,মনের কথা মনে ওঠে,মনেই ঝরে পড়ে।নাইবা কোন...

পোস্ট

ছেলেদের জীবনটা না বড়ই অদ্ভুত!

ছেলেদের জীবনটা না বড়ই অদ্ভুত!১৬ বছর বয়সে ক্লাসমেট মেয়েদের পাশে যখন শত প্রেমের অফার আসে তখন ছেলেদের জাস্ট বন্ধু হবার মতোও কেউ জুটে না,১৮ বছরে ক্লাস মেট মেয়েরা বিয়ের যোগ্য হলেও ছেলেরা বাল্যকালের উপাধি পায়,২০ বছর বয়সে একটা রিলেশনশিপের জন্য...

গল্প

অন্ধকারের রহস্য: জনের ভৌতিক যাত্রা

অন্ধকারের রহস্য: জনের ভৌতিক যাত্রানিঃশব্দ শহরে রাত গভীর হয়েছে। বাতাসে অজানা বিপদের আভাস। শহরের প্রান্তে একটি পুরানো বাড়ি, যার চারপাশে গা ছমছমে অন্ধকার। এই বাড়িটিকে ঘিরে মানুষের নানা কল্পকাহিনী, যার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হলো কুয়াশার মধ্যে এক রহস্যময় ছায়ার অস্তিত্ব।...

বিরহ দাস

বিরহ দাস

ফ্রিল্যান্সার

কবিতা

মেধার স্বত্ব

রোদ আমায় পুড়িয়ে দিলো,আমি কষ্ট পাইনি বৃষ্টি হবে ভেবে।  মেঘ আমায় থমকে দিলো, আমি কষ্ট পাইনি বজ্র আসছে দেখে।  বৃষ্টি আমায় ভিজিয়ে দিলো,আমি কষ্ট পাইনি হাওয়া বইছে বলে। কোটা আমায় বিষিয়ে দিলো,তবুও আমি কষ্ট পাইনি মেধার জয় হবে জেনে। 

কবিতা

যাসনে মা আলোর সনে

যাসনে মা আলোর সনেআব্দুল মাজেদ।যাসনে মা আলোর সনেতোরে ব্যথা দিবে। খাসনে মা আলোকগনে তোরে কথা দিবে। সে ব্যথা আর থামবে নাযতই কাঁদতে থাকো। সে ব্যথা আর নামবে নাযতই বাঁধতে থাকো। ওরে মা, সে কথা আর রাখবে না ভুলেও। ওরে মা, তোরে থাকতে দেবে না ফুলেও। লোকমুখে পাগল হবি হবি দুর্নাম...

প্রবন্ধ

মেটা-মর্ডানিজম : শিল্প সংস্কৃতির নতুন তত্ত্ব

 'মেটা মর্ডানিজম" শিল্প-সাংস্কৃতিক আলোচনায় একটি নতুন দার্শনিক মতবাদ। শব্দটা কিছুটা নতুন হলেও সাংস্কৃতিক  তাত্ত্বিক Mas'ud Zavarzadeh সেই ১৯৭৫ সালের দিকেই এই টার্ম ব্যবহার করেন। এরপর বিভিন্ন সাহিত্য ও শিল্প আলোচনায় এই শব্দ ব্যবহার হয়। তবে এই তত্ত্ব জনপ্রিয় ও স্পষ্ট...

কবিতা

সিজিয়াম

বহু আলোবর্ষ শেষ হবে বহু পুরাতন হবে মানব সভ্যতা, জানতো সভ্যতা বিনষ্ট হয়?মেডিকেল এ্যালোপ্যাথী আয়ুর্বেদ সভ্যতাকেআজকের আধুনিক বিজ্ঞান কেটেকুটেতার সার্জারি সাক্সসেস করেছে।অনুপমা তোমার মেডিকেল থিওরির এনাটমি, ফিজিওলজি ব্যবচ্ছেদ করেছেজিংকুরিয়া হিস্টালজি ও গাইটন।প্রাচীন হিব্রু সভ্যতার এলোমেলোঅক্ষর গুলো এখন আর কাজে আসেনাতাই প্রত্নতাত্ত্বিকের...

কবিতা

কথা কম.কম

কথা কম.কমজালাল উদ্দিন লস্কর:হ্যালো, শুনছ!-এখন থেকে ফোনে,তোমার আমার কথা হবেহিসাব করে গুনে!-ওগো, কি হয়েছে এমন করেবলছ কেন তুমি!-কথায় এখন অনেক খরচকথা অনেক দামী।-তাহলে কথা এটাই সইফোনে ফোনে কানে কানেএখন থেকে কম কথা কই।-কথায় না বড় হয়ে বড় হও কাজেসব কথা...

কবিতা

বৃষ্টি

             🌧️বৃষ্টি🌨️ তোমার রূপের স্নিগ্ধতা                করে আমায় মোহিত, হৃদয় আমার শ্রান্ত                দৃষ্টি নয় মোর ক্লান্ত। তোমাতে মোর আনন্দ             ...

Krishna Bairagi Ovinob

Krishna Bairagi Ovinob

লেখা-লেখি ও পড়া

কবিতা

পোড়ামনের দীর্ঘশ্বাস

একটা সময়, সেই সময়টাকে পূর্বে থেকে সাজানোর এখতিয়ার আমার হোক। একটা প্রিয় মানুষ বাছাই করে বানিয়ে নেওয়ার সুযোগ হোক। আমি বানিয়ে নেবো,তোমাকে ভেবে তোমারই মতন অন্য কেউ! তোমাকে না।

পোস্ট

এক প্রবাসী ভাইয়ের জীবন কাহিনী।

পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে মা-বাবা ভাই বোন ও আত্মীয়-স্বজনদের পছন্দে গত ২১/০৬/২০২২ ইং তারিখে নাদিয়া সুলতানা রেশমির সাথে আমার বিবাহ হয়, দীর্ঘদিন সংসার জীবনে মহান আল্লাহ আমাকে একটি মেয়ে দান করেছেন, একে অপরের বোঝাপড়া ছিল খুবই মজবুত,একে অপরের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল খুব ভালো ,আমার জানা মতে বিন্দু পরিমাণ মন খারাপ কখনো হয়নি, বিয়ের আগে থেকে আমি প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করতাম, আমার মাসিক স্যালারি ছিল ২৫ হাজার টাকা মত, বিয়ের পরে আমি আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম আমার স্ত্রীর চাহিদা ছিল অনেক, উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ও বিলাসিতা জীবন যাপন তার পছন্দ, আমি মধ্য আয়েৱ মানুষ আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব তার চাহিদার পূরণের চেষ্টা করেছি, তার চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে অনেক নিকট আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সম্পর্ক খারাপ করেছি, তার বিলাসী জীবন যাপনের খরচ মিটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলাম মা-বাবা ও শ্বশুর- শ্বাশুড়ি ও স্ত্রী রেশমির পরামর্শে আমার ছোট্ট মেয়েটিকে দেশে একা রেখে দুবাই প্রবাস জীবনে পা দিলাম, দুবাই আসার তিন মাস না যেতেই, আজ খবর শুনলাম যে আমার ছোট্ট মেয়েও স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শ্বশুর বাড়ি ও আত্মীয়-স্বজন প্রতিবেশীদের বাড়ি অনেক খোঁজাখুঁজির পর শুনলাম, তাঁর কাছে রাখা আমার মা ও ভাবীর সাত ভরির অধিক স্বর্ণ ও বাবা ও বড় ভাইয়ের জমানো আলমিরা থেকে নগদ তিন লাখ চল্লিশ হাজার টাকা ও আমি দুবাই থেকে গত পরশুদিন ৯০ হাজার টাকা পাঠাই, সেই টাকা সাথে নিয়ে আমাদের পার্শ্ববর্তী একই ইউনিয়নের ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের পশুর ডাক্তার আবু তাহের এর ছেলে আমজাদের সাথে পালিয়ে যায়, কাউকে কিছু বলতেও পারলাম না আবার সহ্য ও করতে পারছি না। শ্বশুর, মা বাবার আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ফোনে আলাপ করলাম, সবাই প্রশাসনের সহযোগিতা চাইতে পরামর্শ দিলেন, তারপর প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে আমার বড় ভাই ৯৯৯ ফোন করল, বাবা ও শ্বশুর আমার পক্ষ হয়ে উখিয়া থানায় অভিযোগ করল, আমার মেয়ে কোথায় আছে কিভাবে আছে এখনো পর্যন্ত কোন খোঁজ খবর পায়নি,এমতাবস্থায় প্রবাসী জীবনে কিভাবে ভাল থাকি?আমি প্রশাসন ও আমাদের জনপ্রতিনিধি ও আমার এলাকার ভাই-বোনদের, বন্ধু বান্ধবদের সহযোগিতা কামনা করছি, আমি শুধু আমার মেয়েকে ফেরত চাই, এটা এক প্রবাসী ভাইয়ের জীবন কাহিনী। 

কবিতা

🍂 আমি-তুমি এবং অজানা দ্বীপ 🍂

কোনো এক প্রবল ঝড়ে আমাদের পালতোলা নৌকা ; আচড়ে পরে কোনো এক অজানা দ্বীপে। ঘুম ভেঙ্গে দেখবো;সমুদ্রের ঢেউ গুলো প্রবাল প্রাচীরে ঝুম ঝুম শব্দে আচড়ে পরছে, আমি আর তুমি সমুদ্রের বালুকাবেলায় হাঁটছি... সারি সারি নারিকেল গাছ আর ফুলের গন্ধে সুবাসিত...

গল্প

নীলার সন্ধ্যাবেলা

ঠিক সন্ধ্যা বেলা নীলা বারান্দায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। আজ তার বিয়ে। কিন্তু যার সাথে তার বিয়ে, সে নিজে তাকে কখনোই দেখেনি। এটা নিয়ে নীলার একটু মন খারাপ। যাকে কখনো দেখেনি তার সাথে এডজাস্টমেন্ট হবে কিনা এ নিয়ে সে কিছুটা কনফিউজড।পেছন থেকে মা...

কবিতা

তোমায় বারণ করে

হাজারো ঘোর স্বপ্নের পর জেনেছি আমিলালিত স্বপ্নে কতটা শান্তি আর সুখ।নিধারুণ যন্ত্রণার আবেশ যখন কাঁদাই এ বক্ষতখন জেনেছি স্বপ্নও কাঁদায় ভিষণভাবে ;জড়তাগ্রস্ত, বিষাদগ্রস্ত বিনিদ্র আখিঁযোগলমরু হতে প্রান্তরে মিশে যায় সবুজ কোনো ঘাসে;শিশির বিন্দু যখন প্রশান্তি যোগায় ভোরের আলোড়নে।অসহ্য এই জীবনে...

গল্প

বাউল চাচা

প্রথম পর্ব -বাউল চাচা, একটা গান ধরোনা, কতদিন একটা আসর বসাওনা তুমি। -শরীরডা ভালোনারে বেনুবলতে বলতে পুটুলিটা বেঞ্চের উপর রেখে তার পাশেই বসে দোতারায় হাত দিলেন জমিরউদ্দীন বাউল। এলাকায় বাউল চাচা নামেই বেশি পরিচিত। গাঁয়ের মাঝেই এক গানের ঝুপড়িতে তার বাস। ছন...

মোঃ আল আমিন

মোঃ আল আমিন

কবি ও গল্পকার

গল্প

বাউল চাচা পর্ব-২

দ্বিতীয় পর্ব  এলাকার নতুন মেম্বর কাফিলউদ্দিন খাঁ। বড়বাজারে ব্যাবসা করেন। নতুন মোল্লা হইছেন। এ বাড়ি ও বাড়ি দাওয়াত খেয়ে বেড়ান। এ দেশে মোল্লা হইতে বেশি কিছু লাগেনা। লম্বা জামা আর দাঁড়ি টুপি পইরা যে কেউ মোল্লা হইতে পারে। শুধু যে পারে...

মোঃ আল আমিন

মোঃ আল আমিন

কবি ও গল্পকার

গল্প

বাউল চাচা পর্ব-৩

শেষ পর্ব জমিরউদ্দীন বাউল এর চেয়ে বেশি কথা আর হজম করতে পারলেননা। হাত জোড় করে নিজের পুটুলিটা কাঁধে ঝুলিয়ে মাথা নিচু করে ধীরে ধীরে বেরিয়ে গেলেন। রাগে গজগজ করতে করতে সেদিনের মত ক্ষ্যান্ত দিলেন কাফিলউদ্দিন খাঁ। যেতে যেতে বলতে লাগলেন, এই...

মোঃ আল আমিন

মোঃ আল আমিন

কবি ও গল্পকার

গল্প

অরণ্যের বৈরী ২

অক্টোবর মাসের শেষের দিকে খুব একটা ঠান্ডা না থাকলেও গরম নেই। শরৎ এর শেষে কাশবনের সাদা স্নিগ্ধতা ফুরিয়ে এসেছে প্রায়। সকালের মিষ্টি আবহাওয়ার মাঝে অনু আর শায়লা ক্যাম্পাসে  হাঁটছে।অনু: দেখেছিস রাকিব টা দিন দিন কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে। কি সব...

গল্প

মজার ঘটনা ১

যদি আমায় কোনদিন দেখা দেনআমি তাঁকে বলবো তিনি যেন কোন এক পাহাড়ের দেশে আমার জন্য একটি বাড়ি বানিয়ে দেন।আমি তাঁর কাছে আর অন্য কিছুই চাইবো না--- কিচ্ছু না।পাহাড়ের দেশে বাড়ি হলে চারিদিকেই দেখব শুধু পাহাড় আর পাহাড়----মাঝখানে আমার বাড়ি থাকবে----ঠিক...

গল্প

মজার ঘটনা ২

বড় ভাইয়ার জন্য পাত্রী দেখতে গিয়ে বড্ড ঝামেলায় পড়ে গেলাম।মেয়ে নাকি ভাইয়াকে পছন্দ না করে আমাকেই পছন্দ করে ফেলেছে। ব্যাপারটা সবার কাছে খারাপ মনে হলেও আমি কিন্তু বেজায় খুশি।একপ্রকার খুশিতে আত্মহারা বলা চলে।মেয়েটা যখন আমাদের সামনে এসে লাজুক ভঙ্গিতে বসেছিলো,...

গল্প

দুলাভাইয়ের চরিত্র

প্রথম যেদিন দেখলাম বড় মেয়ের বরের সাথে হাতাহাতি করে ছোট মেয়েটা চিপস খাচ্ছে ভালো লাগেনি। সাথে সাথে আমার মিসেস কে ডেকে বললাম - নিশা কে বলবা দিশার বরের সাথে এত মাখামাখি না করতে। আমার স্ত্রী তো রেগে আগুন। সে বলল -...

কবিতা

আমি অনন্ত বিরহ চাই

আমি বিরহ চাই,অনন্ত বিরহযা কাটবে না কখনো, ভুলবে না তোমায়।আমার ভালোবাসায় কার্পণ্য নেইসুখের তীব্র বোধে এই প্রেমের সমাপ্তি চাই না।আমি বিরহ চাই, অনন্ত বিরহআবার যখনই দেখা হবে, প্রথমেই বলে দিব-চোখে চোখ রেখে 'আমার বড্ড বিরহ চাই'।এরকম সত্য প্রকাশে যদি অশ্রু...

গল্প

উচ্চ বিদ্যালয় ১১

আমি যখন ১০ম শ্রেনিতে পড়ি তখন একটা ছেলে রাস্তায় পিছু করত।স্যারকে বলায় স্যার বলল এক কাজ করবা ডাইরেক্ট বলবা বিয়ে করবেন, চলেন আমরা এখন বিয়ে করব দেখবা পালাবে।আমিও তাই বললাম উল্টো লোকটা খুশি হয়ে বলে সত্যি!! তাহলে চলো দেরি উল্টো...

গল্প

মজার ঘটনা ৩

মা বললেন, গুড্ডুবুড়া, বোন প্লেটে হাড় রাখতে হয়, কাঁটা রাখতে হয়।গুড্ডুবুড়া বলল, গুড্ডিবুড়ি বোন প্লেটে রাখবে। আমি তো বোন না। আমি ভাই। আমি ছেলে। আমি ভাই প্লেটে রাখব।মা বললেন, এই বোন মানে সিস্টার নয়, এই বোন মানে হাড়।গুড্ডুবুড়া বলল, বোন...

গল্প

মজার ঘটনা ৪

গ্রামের নাম বিলাসপুর, গ্রামের নাম বিলাসপুর হলেও সেখানে কোন শান্তি ছিল না।তাই গ্রামের একটি ছেলে নাম তার ব্যোমকেশ,তার পিতা একটু আদর করে তাকে ব্যোমকেশ চন্দ্র বলে ডাকতো। যাহোক.. ছেলেটি শান্তির খোঁজে মা–বাবাকে ও তার একমাত্র ছোট বোন মীনাকে ছেড়ে এক...

কবিতা

হংসমিথুন

ডানা মেলে মোরা হংসমিথুন হয়েবয়ে চলেছি শাপলা বিলের তরে,মেঘের আড়ালে নীল গগনেজলের ঢেউয়ে অপরূপ আনন্দে।ছুটে চলেছি মোরা অজানা পথেহাসির ঝর্ণা পাখির গানে ,মেঘের গর্জনে বৃষ্টি স্নানেদূর বহুদূর ওই কাশবনে।বানাবো বাসা মোরা আপন মনেভালোবাসার রঙিন আবরণে,খেলা করবো মোরা গহীন মনেছুটে চলেছি...

গল্প

মজার ঘটনা ৫

ছোট মামার বিয়েটা ঠিক হয়ে গেছে। কোরবানী ঈদের ৪ দিন পর। খবর পেয়েই খুশি খুশি লাগছিলো আমার। এক তো মামার বিয়ে অন্যদিকে অনেকদিন পর নানাবাড়ি যাব।যাব আমরা ৫ জন। বাবা, মা, ভাই, বোন আর আমি। বাবা ৪টা টিকিট কাটলেন (আমি...

গল্প

মজার ঘটনা ৬

এক জন বিরাট ধনী তারবাগান- বাড়ির পেছনেরপুকুরে কুমির পুষতেন। একদিনতিনি তার বাড়িতেবিশাল এক পার্টি দিলেন।নানা জায়গা থেকে বহুলোক এলো সেই পার্টিতে।প্রচুর মদ্যপান আর খাওয়াদাওয়ার পরে পুরাতন কালেরমহারাজদের স্টাইলে ধনীলোকটি ঘোষণা করলেন:-যে সাহস করে কুমির ভর্তিপুকুরটি সাঁতরে পার হতেপারবে ।তাকে তিনি...

ভ্রমণ

🍂 আন্তঃনগর 🍂

প্লাটফর্ম গুলোতে মানুষের ভীড়, চায়ের দোকান, রুটির দোকান,ফেরিওয়ালা যে যার যার কাজে ব্যস্ত। পশ্চিমা আকাশে সূর্যাস্ত ; সময়ে অসময়ে ট্রেন আসে,বিকট শব্দে সাইরেন বাজে। মন্থর গতিতে পথ চলা শুরু,ইস্পাতের রাস্তায় দূর-বহুদূর। রেল লাইনের দুদিকে সারিবদ্ধ গাছগুলো ট্রেনের গতিতে পিছিয়ে যাচ্ছে। পূর্ণিমার আলো শিশির ভেজা ঘাসে, সাদা কুয়াশার দল...

গল্প

উচ্চ বিদ্যালয় ১২

ক্লাস ফাইভের সমাপনী পরীক্ষা শেষে শহরে চলে আসলাম পড়াশোনার জন্য।তখন শহরের ছেলে-মেয়েদের সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল---তারা প্রত্যেকেই মাল্টিট্যালেন্ট,স্মার্ট আর নিতান্তই ভদ্র।কিন্তু পদে পদে আমার ভুল ভাঙতে থাকে।একদিন টিউশন ক্লাস থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে আমরা কয়েকজন ক্লাসমেট একসাথে হাঁটছিলাম।তখন কয়েকজন মেয়ে...

গল্প

উচ্চ বিদ্যালয় ১৩

ছোটবেলা থেকেই শিক্ষকদের সম্মান করার ব্যাপারে খুবই সচেতন।স্কুল বা টিউশন ক্লাস থেকে ফেরার পর চিন্তা করতাম ভুলবশত কারো মনে কষ্ট দিয়ে ফেললাম না তো।কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেদের মন থেকে ততটা সম্মান করতে পারতাম নাহ্।কারণ হিসেবে বলা যায় ছোটবেলা থেকে শুনে আসতাম উনারা...

গল্প

মজার ঘটনা ৭

আজিজ সাহেবের বাড়ির সামনে তার নামের নেমপ্লেট এই নিয়ে পাচবার চুরি হয়েছে!প্রথমবারের সময় যখন চুরি গিয়েছিল তখন আমি তার বাড়িতে গিয়েছিলাম পাচ কেজি আম দিতে।তখন বেচারার চেহারা খানা দেখার মতো ছিলো।আজ সকাল সাতটার দিকে হাটতে বের হয়ে দেখি তার বাড়ির...

গল্প

উচ্চ বিদ্যালয় ১৪

টিউশনিতে গিয়ে দেখি স্যার বাড়ি নেই। স্যারের বউ বলল, ‘আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করো।’ বাধ্য হয়ে স্যারের বাড়ির পাশের পার্কের বেঞ্চিতে বসে ছিলাম।‘আসসালামুয়ালাইকুম! আপনি! ও মাই গড! আমি কি ঠিক দেখছি?’আগুন্তকের কথায় চমকে তাকালাম। আমার চেয়ে বয়সে বেশ ছোট। নাইন-টেনে পড়া...

গল্প

উচ্চ বিদ্যালয় ১৫

স্কুল জীবনে সবারই কোন না কোন মজার অভিজ্ঞতা থাকেyes। আমারও আছে। কিন্ত আমার আবার একটা স্যারকে নিয়ে বেশ মজার কিছু ঘটনা ঘটছে। কয়েকটা বলবো কারন সব মনে নেইweep।স্যারের নাম ছিলো ইমরান হোসেন। মাথায় টাক বেশ মোটা ভুরির অধিকারী এই স্যার...

গল্প

মজার ঘটনা ৮

আমার নাম নিয়ে অনেক ঝামেলায় আছি। তাতো জানেন নিশ্চয়ই। কী ঝামেলা, সেটা তো আর জানেন না।এই নাম নিয়ে যেসব অদ্ভুত অভিজ্ঞতা(আসলে মজার অভিজ্ঞতা) হয়েছে আমার সাথে তারই কিছু নমুনা তুলে ধরলাম। আগের নিমকিতে স্কুলের নিমকি খেয়েছেন। এবার ঘরেরটাও খান।                                             ১আমি...

গল্প

মজার ঘটনা ৯

♪♪লালা লা,লালা,লা লা লা♪♪গাইতে গাইতে ক্লাসরুমের দরজার সামনে দাড়ালাম।নাহ্, বেশ ভালো সময়েই এসেছি।ফার্স্ট ব্রেঞ্চের পশ্চিম দিকটা ফাঁকা আছে।মনের সুখে সেখানে গিয়ে বসলাম।দেখলাম ক্লাসে তমালদাদা, মিথুন, তমা, আরও কয়েকজন বসে আছে।শুধু শুধু বসে আছে।কথা বলছে না, খেলছেও না, শুধু শুধু বসে...

গল্প

মজার ঘটনা ১০

১৫ টাকার সবুজ এরোপ্লেন টেনিস বল এবং ৫ টাকার ওসাকা টেপ... এই একটা কম্বিনেশন'ই ডিফাইন করে দিতে পারে আমাদের পুরো কৈশোরটাকে... কখনো ইটের উপর ইট দিয়ে বানানো স্টাম্প, আবার কখনো স্কুল মাঠে ব্যাগের উপর ব্যাগ বসিয়ে হয়ে যেতো স্টাম্প।বলে কারিকুরি...

কবিতা

সুখের খুঁজে

প্রদীপ জ্বালে আঁধার হলে, আলোতে তার নাইতো দাম।এই জীবনের হিসেব কঠিন, আপন চালে ধরাধাম।শিখর অব্দি বিস্তার তোমার, তবুও কোন নিস্তার নাই।যার যা আছে সন্তুষ্ট নয়, হাহাকার আর চাই আর চাই।পঙ্গু শুধু নিজেই জানে,কোনটা জীবন! কি তার মানে।দাম বেশি কার, পা...

পোস্ট

🍂 সুখের কুঁড়েঘর 🍂

সোডিয়ামের আলোয় হলদেটে রাস্তা ভিজে যায় এক পশলা বৃষ্টিতে। শীতল বাতাস হঠাৎ উষ্ণ শরীরে বিঁধে কাঁটার মত, দাঁড়িয়ে যায় নরম পশম। পলিথিনে মোড়ানো ছোট্ট ঐ কুঁড়েঘরে গাদাগাদি করে শুয়ে থাকা এক নিদ্রাচ্ছন্ন পরিবার, যেন এই পৃথিবীর সব সুখ তাদের দুচোখে...

কবিতা

কর্পোরেট দুনিয়া

কর্পোরেট দুনিয়ানাছির ফরহাদহ্যাঁ এটা কর্পোরেট দুনিয়া যেখানে তুমি বড্ড বেমানান।তোমার বাচ্চার দুধ কেনার টাকা না জুটলেওকারো কুকুরের জন্য গাড়ি করে খাবার আসেতোমার মায়ের চিকিৎসার জন্য পয়সা না থাকলে ও,তাদের বাসায় নিয়মিত ফলোআপে আসে পশু চিকিৎসক ।হ্যাঁ এটা কর্পোরেট দুনিয়া যেখানে...

কবিতা

🍂 জীবন-যৌবন এবং বার্ধক্য 🍂

দেখতে দেখতে একাত্তর টি বসন্ত ফুরিয়ে গেছে;সময়ের গতিপথে অতীতের শব্দগুলো প্রতিনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে।মাঝে মাঝে অবসাদের বিকেল গুলো এই ছোট দুটো চোখ দিয়ে জানালার ওপাশে,ঐ নীল দিগন্ত বিস্তৃত আকাশের গভীর থেকে গভীরে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ফেলে যায়। কুঁচকে যাওয়া চামড়ার ভাজে ফেলে আসা...

কবিতা

ভাঙ্গা ফ্রেমের আবছা আলোয়

ভাঙ্গা ফ্রেমের আবছা আলোয়,অস্পষ্ট অনেক কিছুরই স্বাক্ষী হয়েছি।ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্ক দেখেছি,জোড়া লাগানোর আপ্রাণ চেষ্টাকরে গেছে কেউ আজীবন।কেউ বা আবার দ্বিগুণ উদ্যোমেস্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করতে মরিয়া,অট্টালিকা থেকে বেড়িয়ে এসেছে,ঝুপড়ীতে! সূখের খুজে।মনের মিলন তোয়াক্কা করেনি কেউ,গোঁয়ার্তুমি কাছে হেরে গেছে,কতো পবিত্র! কতো নিষ্পাপ...

নন ফিকশন

থরোর “নাগরিক অবাধ্যতা” ও সমকালীন বাস্তবতা

আজ থেকে প্রায় ১৭৫ বছর আগে, ১৮৪৯ সালে, মার্কিন প্রাবন্ধিক, কবি ও দার্শনিক হেনরি ডেভিড থরো লিখেছিলেন তার বিখ্যাত প্রবন্ধ “On the duty of Civil Disobedience”, অর্থাৎ নাগরিক অবাধ্যতার কর্তব্য। থরোর সামাজিক-রাজনৈতিক ও দার্শনিক চিন্তাধারার প্রভাব বৈশ্বিকভাবে বিস্তৃত। তিনি যেমন...

রাশিক তাহির

রাশিক তাহির

লেখক ও প্রাবন্ধিক

গল্প

আমার জীবনে দোলনচাঁপা

গত সাত বছর ধরে আমি মিরপুরে থাকি। আর এই সাত বছর ধরে আমার অফিস কারওয়ান বাজারে। অফিস শেষ হলে আমি কারওয়ান বাজার মোড় থেকেই বাসে উঠি সাধারণত। তবে অন্যদের মতো বাসে ওঠার তাড়া আমার কখনো থাকে না। ভীড়ের বাস দেখলে আমি মোড়ে দাঁড়িয়ে বাদাম খাই। বাস, গাড়ি, ট্রাক দেখি। মানুষ দেখি। বাদামের দাম বাড়ছে। আগে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তিন টাকার বাদাম খেলেই ফাঁকা বাস পেতাম। এখন দেখা যায় দশ টাকার বাদাম খেতে হয়। কোনো কোনো দিন বাদাম খেতে খেতে আমি ফাঁকা বাস পাবার আশায় উল্টোদিকে বাংলামোটর কি শাহবাগের দিকে রওয়ানা হই। হতাশ থাকলে দেখা যায়, ফার্মগেটের দিকে যাই। কিন্তু এত পথ হাঁটলেও হেঁটে হেঁটে আমি কখনো খামারবাড়ি পর্যন্ত যাওয়ার কথা মনে পড়ে না। অথচ প্রায় দিনই ভাবি, হেঁটে হেঁটে খামারবাড়ি পার হয়ে বিজয় সরণীর মাথা পর্যন্ত আমাকে একদিন যেতেই হবে। কিন্তু সাত বছরেও ঘটনাটা ঘটছেই না। বাস ফার্মগেট হয়ে খামারবাড়ি পেরিয়ে বিজয় সরণীর সিগনালে দাঁড়ালে প্রতিদিন আমার চোখে পড়ে কয়েকটা ছেলে মেয়ে দোলনচাঁপার তোড়া নিয়ে প্রাইভেট কারগুলোর জানালায় জানালায় ঘুরছে। ওরা সাধারণত বাসের জানালায় আসে না। বাসের জানালার দিকে তাকায়ও না। পাশ দিয়ে যাওয়া দোলনচাঁপা বিক্রেতা ছেলেমেয়েদের মাঝে মাঝে ডাক দেবার কথা চিন্তা করি। কিন্তু, ডাক দিলে যদি ওরা না শোনে, কিংবা বাসযাত্রীর কাছে যদি ফুল বিক্রি করতে না চায়, এই চিন্তায় আমার আর দোলনচাঁপা ফুল কেনা হচ্ছে না। দোলনচাঁপা অবশ্য আমার প্রিয় ফুল নয়। সত্যি বলতে আমার প্রিয় কোনো ফুলই নেই। যে কোনো একটা ফুল প্রিয় হবার মতো সৌখিন আমি না। আমি খুব বাস্তববাদী, বৈষয়িক লোক। যে ফুল আজ কিনলে পরের দিন শুকিয়ে বাসি হয়ে যায়। যত্নে কেনা ফুলগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হয় সে ফুল কেন লোকে এত দাম দিয়ে কেনে, আর মেয়েরাই বা ফুল কেন এত ভালোবাসে আমি ভাবি। বাসে বসে প্রায় দিনই খামারবাড়ি পার হয়ে মিরপুর যেতে যেতে একটা কথাই চিন্তা করি, এক তোড়া দোলনচাঁপার দাম আসলে কত। আগে আমার মনে হতো, হয়তো বিশ টাকা হবে। এখন মনে হয় দুইশ টাকার কমে দেবে না। মাঝে মাঝে ভাবি, বাসের সহযাত্রীদের সামনে বিব্রত হওয়ার বদলে আমি বরং নেমে যাই। নেমে গিয়ে এক তোড়া দোলনচাঁপা কিনি। সে কাজটাও করা হয়ে ওঠে না। নামলে পরের বাসে উঠতে পারবো কি না এ নিয়ে একটা চিন্তা কাজ করে। আবার মনে হয়, মোড়ে দাঁড়ানো লোকগুলোর মধ্যে হয়তো ছিনতাইকারী থাকতে পারে। কাজটা হয়ে ওঠে না। কিন্তু মাঝে মাঝে সত্যি মনে হয়, ফুল কেনা দরকার। অন্তত একদিন ফুল হাতে, বিশেষ করে দোলনচাঁপা ফুল হাতে বাসায় ফিরলে কী অবাক কাণ্ড ঘটবে সেটা আমি মনে মনে কল্পনা করি। পৃথা ভীষণ অবাক হয়ে যাবে। ভাববে আমি হয়তো নতুন করে কারো প্রেমে পড়েছি, তার জন্য ফুল কিনে ভুলে বাসায় নিয়ে এসেছি। পৃথা ও আমার মধ্যে দোলনচাঁপা নিয়ে একটা জটিলতা আছে। ও যে দোলনচাঁপা ফুল পছন্দ করে সেটা আমি ওর সাথে প্রেমের অনেক দিন পরে জানতে পারি। আমি এও জানতে পারি, প্রত্যেক মেয়েরই একটি করে প্রিয় ফুল থাকে। আর একটি করে প্রিয় রঙ থাকে। পৃথা দোলনচাঁপা ফুল পছন্দ করে সেটা আমি ওর সাথে প্রেমের তিন বছর পর জানতে পারি। তখন পৃথার একটা বিয়ে ঠিক হয়েছে। টানা তিন বছর প্রেম করার পর আমি দেখলাম পৃথার সঙ্গে আমার ঠিকমতো ম্যাচিং হচ্ছে না। সব কিছুতেই গোলমাল লেগে যাচ্ছে। এটা অবশ্য আমরাই শুধু মনে হতে থাকে। পৃথার কী মনে হয় সেটা আমি জানতে পারি না। বুঝতেও পারি না। বিষয়টা জটিল হতে হতে এমন এক পর্যায়ে পৌঁছালো যে, নিউ মার্কেটে ফুসকা খেতে খেতে আমি পৃথাকে বলি, তুমি বরং একটা ভাল ছেলে দেখে বিয়ে করে ফেল। পৃথা আমার দিকে তাকায় না। ফুচকার মধ্যে টক দিয়ে আশপাশে ছড়িয়ে থাকা ধনে পাতা আর পেঁয়াজ মরিচের কুচিগুলো ফুচকার ভাঙা মুখে জড়ো করতে করতে ভাবলেশহীন চোখে আমার দিকে তাকায়। আস্ত ফুচকাটা মুখের মধ্যে পুরে দিয়ে আমার দিকে তাকিয়েই থাকে। নরমালি পৃথার এই ফুচকা খাওয়ার দৃশ্যটা আমার খুব পছন্দের। তাই আমি ওকে ঘুরে ফিরে নিউ মার্কেটে নিয়ে আসি। আর ফুচকা খাওয়াই। বড় বড় চোখ করে ওর ফুচকা খাওয়া দেখি। কিন্তু এখন আর ওর ফুচকা খাওয়ার দৃশ্যটা আমার তেমন ভাল লাগছে না। আমার জরুরি কথার চেয়ে ফুচকা খাওয়াটা এই মুহূর্তে ওর কাছে অনেক বেশি জরুরি মনে হচ্ছে। আরাম করে ফুচকা খাওয়া শেষ হলে সে আমার সাথে ঝগড়া বাঁধাবে, এটা প্রায় নিশ্চিত, এটা আমি ভাবি। আমি অবশ্য বেশ প্রস্তুতি নিয়ে, অনেক ভেবে এসেছি। পৃথা কী কী বলতে পারে। আমি উত্তরে কী কী বলবো সব বেশ গুছিয়ে এনেছি। পৃথা বলে, সম্পর্ক করার আগে তুমি কি বুঝো নাই যে এটা সম্ভব না? আমি তোমাকে কতভাবে বলছি, এটা হবে না। তবু তো তুমি জোর করে সম্পর্কটা আগায়ে নিছো। এইজন্যই তো আমি বলতেছি, তুমি ভাল একটা ছেলে দেখে বিয়ে করে ফেল।পৃথা মনে হলো আমার যুক্তিটা আজকে প্রথমবারের মতো মেনে নিচ্ছে। আপন মনে ঝাল ফুচকা খেতে খেতে সে হয়তো কোনো ভাল পাত্রের কথাই ভাবছে। ফলে আমি অ্যাড করতে থাকি-সবচেয়ে ভাল হয়, চেনা-পরিচিতদের মধ্যে ভাল ছেলে বেছে নিতে পারলে। অচেনা কারো সাথে কেমনে চলবা। সে কি তোমাকে বুঝবে আর তুমিও কি তাকে বুঝবা। তুমি আগে ভাবো। তোমার কী মনে হয় আমাকে বলো। ফ্যামিলির সাথে কথা বলে আমাকে জানাও।পৃথা আর আমি সারাটা বিকাল নিউ মার্কেট, টিএসসি, ডাস ঘুরি। আমি ওকে বলি, তোমার হাতেই সব সমস্যার সমাধান। পৃথা হঠাৎ চুপ হয়ে যায়। ও অবশ্য এমনিতেই খুব চুপচাপ। ওর হয়ে সব কথা আমিই বলি। সব সিদ্ধান্তের জন্য আমার দিকেই তাকিয়ে থাকে। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটলো না। ওদের পল্টনের বাসায় ওকে নামিয়ে দিয়ে আমি বলি, আজকেই তোমার বাবা-মার সাথে আলাপ করো। খেতে বসে আস্তে আস্তে বলবা। সোজা বলে দিবা, রাসেলকে তো বিয়ে করা যায় না। তোমরা আমার জন্য ছেলে দেখো।রাত বারোটায় নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে ফিসফাস করে আমাকে ফোন দেয় পৃথা। তুমি আমাকে কী বিপদে ফেললা, বলো তো। বাবা তো কিছুই বললো না। মা-ও চুপ। শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। আমি আবার আমার বক্তব্য রিপিট করি। বলি, আমাদের আসলে ম্যাচিং হবে না। আমার টাইপটা কত বদখত- তোমার চেয়ে তো ভাল কেউ জানে না। আমাকে বিয়ে করার কোনো যুক্তিই তোমার থাকতে পারে না।  পরদিন বাসা থেকে বেরিয়ে অফিসে যেতে যেতে ফোন দেয় পৃথা। সে একটু উচ্ছ্বসিত। আমি ঘুম ঘুম অবস্থাতেও ওর উচ্ছ্বাসটা টের পাই।শোনো, বাবা আমার কথা শুনে খুব খুশী। কিন্তু মা মনে হলো একটু চিন্তিত। বাবা ফ্যামিলির সবাইকে ফোন দিচ্ছে। পৃথার জন্য একটা ছেলে দেখো। ফৌজিয়া খালাকেও ফোন দিছে। ওনার হাতে নাকি একটা পাত্র আছে। মাদারিপুরের এসিল্যান্ড। গ্রেট। তুমি ঢাকার বাইরে যাওয়া নিয়ে চিন্তা করো না। তোমার তো সরকারি ব্যাংক। ঢাকার বাইরে পোস্টিং নিয়ে ঝামেলা হবে না। আর ছেলে যদি ঢাকা আসতে চায় তাও সম্ভব। একটু তদবির করতে হবে। জনপ্রশাসনে আমার চেনা লোক আছে। বোঝাই যাচ্ছে, ছেলে বেশ মেধাবী। কোথা থেকে পাশ করেছে?এসব কিছুই জানি না এখনও। আমার ধারণা, খালা আজকেই আমাকে ফোন দেবে। ফোন দিলে সব জেনে নেব।অফিস শেষ করে তাহলে নিউ মার্কেটে চলে আসো। আপডেটগুলো নিয়ে বসি।দুই তিনদিনের মধ্যে ছেলের আপডেট পাওয়া গেল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বোটানিতে পাশ করে প্রথম বিসিএসেই টিকে গেছে। তবে রাজশাহীর ছেলেদের যে সমস্যা হয়, এই ছেলেরও তাই। পানিতে আয়রন বেশি বলে চুল অনেক পড়ে গেছে।আমি বললাম, চুল একটা ক্ষণস্থায়ী ব্যাপার। তোমার আমার সবার চুলই একদিন পড়ে যাবে। দুইদিনের দুনিয়া। কারো চুল যদি আগে পড়ে তবে সেটা নিয়ে নেগেটিভলি ভাবা যাবে না। সবচেয়ে বড় কথা, কারো মাথায় চুল বেশি কারো মাথায় টাক এসব দেখে কাউকে বিবেচনা করাটা বর্ণবাদ।টাক নিয়ে পৃথার মৃদু আপত্তি আর ধোপে টিকলো না। ফৌজিয়া খালা বেশ কামেল মহিলা। কীভাবে ম্যাচ করতে হয় তিনি খুব ভাল জানেন। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে ছবি আদান-প্রদান করে, দুই পরিবারের সম্মতি নিয়ে ছেলেকে ঢাকায় এনে পৃথার সঙ্গে চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বসার ব্যবস্থা করে ফেললেন। ফোনে বেশ কথাবার্তাও শুরু হয়েছে। পৃথা আমাকে সব আপডেট দিয়ে যাচ্ছে। ছেলে বেশ কেয়ারিং, তবে এখনও আপনি করে বলছে। পৃথাও গ্যাপটা রাখছে ইচ্ছা করে। মেয়েদের খুব সম্মান করে। এক কথায় জেন্টেলম্যান।সব ঠিকমতো এগুচ্ছিল, কিন্তু ধানমন্ডির জিনজিয়ানে চাইনিজ খাবার পর পৃথা মোটামুটি বিলা হয়ে গেল। আমি তো অধীর অপেক্ষায় বসে আছি, দেখা হওয়ার পর কী ঘটলো তা জানার জন্য। কিন্তু পৃথা ফোন করে বললো, আচ্ছা রাসেল, তুমি তো আমার সাথে তিন বছর প্রেম করতেছো, নাকি?অবশ্যই।বলো তো, আমার প্রিয় ফুল কী?আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। বললাম, এর সাথে পাত্রের সম্পর্ক কী? না বলো, তোমাকে বলতেই হবে। আমি কোনোদিন পৃথাকে জিজ্ঞেস করিনি ওর প্রিয় ফুল কী? তবু ঘুরতে ঘুরতে ওর কখনো কোনো ফুলের প্রতি আলাদা আকর্ষণ দেখেছি কি না মনে করার চেষ্টা করলাম।ইউ ফিলথি ডগ। ইউ নেভার ইভেন আস্কড মি অ্যাবাউট মাই ফেভারিট ফ্লাওয়ার। তুমি কেমনে বলবা। অথচ দেখো, দুইদিন ধরে যার সাথে আমার পরিচয় হয়েছে- সে ঠিকই আমার প্রিয় ফুল নিয়ে এসেছে। তার মানে কি জানো? তুমি আমাকে কোনোদিন ভালোবাসোনি। আমার পছন্দ, ভাল-মন্দ তোমার কাছে কোনোদিন গুরুত্ব পায়নি। সত্যি করে বলো তো তুমি কি আমাকে ভালোবাসো? বেসেছো কখনো?পৃথার গলা ভারী হয়ে এসেছে। এরপরই সে কাঁদবে। একবার কাঁদতে থাকলে সে দেড় ঘণ্টা ধরে শুধু আমাকে বকাবকি করতে থাকবে।আজকে তুমি আমাকে সত্যি কথাটা বলো। প্লিজ, আমাকে সোজা করে বলো তো, আমাকে তুমি যে ভালোবাসো না সেটা গোপন করছো কেন এতদিন। আমি তোমার কী ক্ষতি করছি।না। বাসি তো।তুমি আমাকে ভালোবাসো? ভালোবাসা কী জিনিশ তুমি জানো। মুহিদের কাছ থেকে তোমার শেখা উচিত। এত জেন্টেলম্যান। প্রথম দেখাতেই আমার জন্য আমার প্রিয় ফুল নিয়ে আসছে। তুমি ভাবতে পারছো কোনোদিন?কিন্তু আমি তো জানি না তোমার প্রিয় ফুল কী?জিজ্ঞেস করলে না জানবা। তুমি তো কোনোদিন জিজ্ঞেসই করোনি। জানবা কীভাবে। ইউ ব্লাডি লুজার। আই হেট ইউ।এখন বলো। তোমার প্রিয় ফুল আসলে কোনটা। আই ওন্ট টেল ইউ। নো, নেভার। আমার প্রিয় ফুল জেনে তোমার কোনো কাজ নেই। আই জাস্ট হেট ইউ। সত্যি করে খোদার কসম দিয়ে বলো তো সত্যিই কি তুমি আমাকে ভালোবাসো?হা, সোনা, পৃথামণি সত্যি তোমাকে আমি খুব ভালোবাসি। ভণ্ড কোথাকার। হিপোক্রেট। ভালোবাসলে কেউ তার প্রেমিকার বিয়ে দিতে চায়?ভালোবাসি বলেই তো বিয়ে দিতে চাচ্ছি। দেখছো না, আমাদের মনের কোনো মিল নেই। তুমি এক রকম আমি একরকম। তোমার প্রিয় ফুল কোনটা আমি এতদিনেও জানি না। তোমার ফ্যামিলিও আমাকে মেনে নিতে চাচ্ছে না। দেখা হলেই শুধু ঝগড়া হচ্ছে, বুঝতেছো না? এইগুলা সলভ করার চেষ্টা তুমি কখনো করেছো? প্যাথোলজিকাল লায়ার। তুমি এখন নতুন একটা প্রেম করবা। তাকে ছেড়ে আরেকটা ধরবা। আমি জানি না তুমি কী? পারভার্ট একটা। আচ্ছা বলো, তোমার প্রিয় ফুল কী? কালকেই আমি তোমাকে কিনে দেবো। তোমাকে কিনে দিতে হবে না। আমি দেখছি। লেট মি সি, হাউ ফার ইউ ক্যান গো।পরদিন সকালে আমি অফিসে ঢুকেছি এমন সময় পৃথার ফোন।শোনো, সকালে বাবাকে আমি বলে দিছি, রাসেলকেই বিয়ে করবো। তুমি আজকে সন্ধ্যায় এক প্যাকেট মিষ্টি নিয়ে আমাদের বাসায় আসবা। বনফুলের শাদা মিষ্টি কিনবা, দুই কেজি।কিন্তু আমি তো আজকে শেভও করি নাই। ইস্ত্রি করা শার্টও পরি নাই। মিরপুর গিয়ে আবার পোশাক বদলে আসবো কেমনে। আজকে বাদ দাও। তাছাড়া জুতাও তো নাই। ইহজন্মেও আর এগুলো তোমার ঠিক হবে না। তুমি যেমন আছো তেমনই আসো। আমার ফ্যামিলি মেম্বাররা দেখুক, কেমন একটা ফিলথি ছেলেকে আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি। আমি কত বোকা। তোমার পাতা ফাঁদে পা দিয়েই ফেলছিলাম। ওহ গড। তুমি কীরকম একটা লোক ভাবতেই আমি বিস্মিত হয়ে যাচ্ছি। আই ওয়ান্ট টু সি ইউ এট আওয়ার হোম রাইট অ্যাট সেভেন ও ক্লোক। সন্ধ্যায় পল্টন যাবার পথে জ্যাম পড়বে বলে মনে হয় না। আমি চলে আসবো।পৃথাদের বাসায় যাবার আগে আমি ভাবছিলাম ওর জন্য ওর প্রিয় ফুল নিয়ে যাই। কিন্তু সারাদিন ভেবেও আমি কোনো কুল পেলাম না। আসলে ওর প্রিয় ফুল কী?পৃথাদের বাসায় গিয়ে আমি ওদের ড্রয়িংরুমে বসে থাকলাম আধঘণ্টা। পৃথা ওর বাবা-মার সাথে ভেতরে ঝগড়া করছে।আমি শুনতে পাচ্ছি না। কিন্তু টের পাচ্ছি, ও চাপা স্বরে নিচু গলায় ঝগড়া করছে। আর পুরনো ডায়ালগগুলো দিচ্ছে। তার মধ্যে একটা হলো, লেট মি লিভ মাই ওন লাইফ। আই নো হিম। ডোন্ট বি জাজমেন্টাল। ও খারাপ হলেও আমি ওকেই বিয়ে করবো।বেশ কিছুক্ষণ পর পৃথার বাবা এলো। পেছন পেছন ওর মা। ওনারা বসলো আমার সামনে। আলাপ পরিচয়ের পর পৃথার বাবা বললো, তা কী মনে করে এদিকে এলে? পৃথা আমাকে এই প্রশ্নের উত্তর আগেই কয়েকবার বলে দিয়েছে। অ্যাকচুয়ালি, আই ওয়ান্ট টু ম্যারি ইওর ডটার। এই কথার সাথে সাথে পৃথা ঢুকলো। ঘরে একটা নিরবতা নেমে এলো।ফেরার পথে আবার পৃথার ফোন। খুব ভাল হয়েছে। মা এখন আমার পক্ষে। বললো, ছেলেটা জেনুইন। কোনো ভান-ভণিতা নাই। বিয়ের পর তুমি প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার পথে আমার জন্য একতোড়া করে দোলনচাঁপা নিয়ে আসবা। লুজার, আমার প্রিয় ফুল এটা।পৃথার প্রিয় ফুল দোলনচাঁপা। এটা তো খুব সহজ। আমি বললাম, আগে বলবা না। খামারবাড়িতেই তো পাওয়া যায়। কিন্তু দোলনচাঁপা ফুল কি ভাল? কেমন একটা তিঁতা গন্ধ না?পৃথার সঙ্গে বিয়ের চার বছর হয়ে গেল। আমি কোনোদিন ওর জন্য দোলনচাঁপা ফুল নিয়ে বাসায় ফিরিনি। তবে এটা সত্যি প্রতিদিনই বাসায় ফেরার সময় আমি দোলনচাঁপা কেনার কথা ভাবি। যারা ফুল বিক্রি করে তাদের কথা ভাবি। ঢাকা শহরে বিজয় সরণীর আশপাশেই কেন বেশি বেশি দোলনচাঁপা পাওয়া যায় সে কথা ভাবি। আমার মনে হয়, হয়তো মনিপুরি পাড়ায় দোলনচাঁপার বাগান আছে। নয়তো সংসদ ভবনের আশপাশে কোথাও।আমি নিজেকে নিয়েও ভাবি কখনো কখনো। আমি কেন এমন এক উদ্যমহীন লোক হয়ে গেলাম। দশ টাকার বাদাম কিনে একদিন একশ টাকা পকেটে নিয়ে হেঁটে খামারবাড়ি পর্যন্ত আসতে পারলেই তো দোলনচাঁপা নিয়ে বাসায় ফিরতে পারি। পৃথার হাতে তোড়াটা দিলে পৃথা হয়তো কেঁদেই ফেলতো আনন্দে। দৃশ্যটা কল্পনা করে আমার মন খুশী হয়ে ওঠে।দিন যায়, কিন্তু আমার আর দোলনচাঁপা কেনা হয় না। এরই মধ্যে একদিন নাজিয়ার সঙ্গে আমার আলাপ হয়। অফিসে নাজিয়া আমার পাশের ডেস্কে বসে। নতুন করে যে বসতে শুরু করেছে তা নয়। নাজিয়া আমার পাশের ডেস্কে বসে তাও পাঁচ বছর হয়ে গেছে। আমার কোনোদিন মনে হয়নি, নাজিয়ার প্রিয় ফুল কী? আমি কখনো জিজ্ঞেস করিনি। কিন্তু একদিন হঠাৎ আমি খেয়াল করি, নাজিয়ার গলায় একটা গভীর লালচে কালো দাগ। আমি নাজিয়াকে জিজ্ঞেস করি, আপনার গলায় দাগ কেন? নাজিয়া বলে, আপনি তো কখনো খেয়াল করেন না- তাই জানেন না, আমার গলায় এই দাগটা শুরু থেকে আছে। কিন্তু আমার তো মনে হচ্ছে, এই দাগটা নতুন। কিছু একটা দেবে গিয়ে দাগটা তৈরি হয়েছে। নাজিয়া বলে, চা খাবেন?নাজিয়া আর আমি ফুটপাতের পাশে চায়ের দোকানে দুপুর বেলা চা খেতে যাই। নাজিয়ার চোখের নিচে কালসিটে দাগ। ফর্সা বলে দাগটা বেশি চোখে পড়ে। চোখ লাল। মনে হয় জ্বরও আছে। আপনার কি জ্বর গায়ে?আমি আলতো করে নাজিয়ার হাতে হাত ছোঁয়াই। আরে আপনার তো শরীর পুড়ে যাচ্ছে জ্বরে। বাসায় চলে যান। আন্দালিব ভাইকে আমি বলে দেবো, জ্বর বলে আপনি আগে চলে গেছেন।কোথায় যাবো?বাসায় চলে যান। বাসা তো নাই। আমার গলায় যে দাগটা দেখছেন, এটা কাল রাতে তৈরি হয়েছে। আমার স্বামী গলায় দড়ি চেপে মারতে এসেছিল। ওই বাসায় কি আর ফিরে যাওয়া যায় বলেন? সত্যি বলতে, অফিস ছাড়া আমার আর কোনো জায়গা নেই যাবার।আমি চুপ করে থাকলাম। নাজিয়া একটু হাসলো।একটা কথা বলবেন? আপনি তো কোনোদিন আমার দিকে খেয়াল করেন না। আজকে হঠাৎ করে গলায় চোখ গেল কীভাবে?আমি নাজিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকি। নাজিয়া শুকনো পাউরুটি চায়ে ভিজিয়ে খেতে থাকে। জানেন, আজকে সারাদিন এই একটা কথাই ভাবছি। কেউ যদি জিজ্ঞেস করতো, তুমি সকালে খেয়েছো কি না। রাতে খেয়েছো কি না। কাল রাতের পর এই একটা কিছু খেলাম। নাজিয়ার চোখ ভিজে যাচ্ছে। আমার শুধু মনে হচ্ছে, যদি কেউ দেখে ফেলে। যার সাথে আজকেই প্রথম এমন করে কথা হচ্ছে, সে কেন আমার সামনে বসে কাঁদছে কোনো ঘটনাক্রম ছাড়া এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। কেন কাঁদছে, এ কথার কোনো জবাব নেই। চাঅলা মাঝে মাঝে তাকাচ্ছে। চেনা লোক। বুঝতেই পারছে না হঠাৎ করে এই দুজনের মধ্যে কী হচ্ছে।নাজিয়া হয়তো বুঝলো। একটু হাসলো। বললো, চোখে কী একটা পড়েছে। মামা একটু পানি দেন তো ধুয়ে ফেলি।নাজিয়া ও আমি উঠে পড়ি। অফিসে বাকী সময়টা খুব অস্থির কাটে আমার। বারবার একটা প্রশ্ন ঘুরে ফিরে মনে আসে। নাজিয়ার প্রিয় ফুল আসলে কী? পৃথার তত্ত্ব অনুসারে কেউ কারো প্রেমে পড়লেই শুধু জিজ্ঞেস করে, আপনার প্রিয় ফুল কী?অফিস শেষে নাজিয়া তার ব্যাগপত্র নিয়ে বের হয়। আমিও কিছু না ভেবেই ওর সাথে সাথে বের হই। কাওরানবাজার মোড় পর্যন্ত একসাথে আসার পর নাজিয়া বলে, আপনি তো বাসায় যাবেন, নাকি বন্ধুদের সাথে আড্ডা?আমার কোনো বন্ধু নেই। ছাপোষা কেরানী বলতে যা বোঝায় আমি সেরকমই। আপনি কোথায় যাবেন?আমার তো বিকল্প নেই। সেই ঘরেই ফিরতে হবে।আমার মনে হয়, ওই ঘরে না ফেরাই ভাল। আজকে রাতে হয়তো আপনাকে মেরেই ফেলবে।নাজিয়া আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি ভাবি নাজিয়া কোথায় ফিরবে। নাজিয়াও হয়তো ভাবে। পান্থপথের দিকের সিগন্যালটা ছেড়ে দিলে অনেক গাড়ির হর্নের শব্দে সবকিছু চাপা পড়ে।ঢাকায় আর কেউ নেই?টঙ্গীতে বাবার বাড়ি।চলেন তাহলে টঙ্গীর বাসে উঠি। দেরি না করে আমি বলে ফেলি।আমি নাজিয়ার সঙ্গে টঙ্গীর বাসে উঠে পড়ি। চুপচাপ বনানী পর্যন্ত যাই। প্রচণ্ড জ্যাম রাস্তায়। বনানী পার হওয়ার পর নাজিয়াকে আমি জিজ্ঞেস করি, আপনার প্রিয় ফুল কী?নাজিয়া বলে, দোলনচাঁপা।একটা সময় ছিল। নাজিয়া মুখ চাপা দিয়ে বলতে থাকে। শাহেদ প্রতিদিন আমার জন্য একটা করে দোলনচাঁপা ফুল নিয়ে বাসায় ফিরতো। একটাই ফুল। কোথায় পেত, কে জানে। খুব ভাল বাসতো আমাকে। দোলনচাঁপার গন্ধটা আমার এত প্রিয়। রাতে ঘরের বাতি নেভানোর পর সারা ঘরে গন্ধটা ছড়িয়ে যেত। হু হু করে কাঁদতে থাকে নাজিয়া।ফেরার দেরি দেখে পৃথা আমার ফোনে কল দেয়। টঙ্গীতে বাস থেকে নামছি তখন। নাজিয়াকে ওর বাবার বাসার গলিতে নামিয়ে ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায়। পৃথাকে গল্পটা বলার খুব ইচ্ছা হয় আমার। গল্পটা কীভাবে বলবো ভাবি। এভাবে বলতে পারি, জানো নাজিয়ারও প্রিয় ফুল ছিল দোলনচাঁপা। প্রতিদিন রাতে বাড়ি ফেরার সময় শাহেদ....কিন্তু গল্পটা আমি শুরুই করতে পারি না। ক্লান্ত অবসন্ন হতাশ অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়ি।গভীর রাতে আমার ঘুম ভেঙে যায়। দোলনচাঁপার মিষ্টি গন্ধ এসে নাকে লাগে। আমার মনে হয় আমি যেন শাহেদ ও নাজিয়াদের ঘরে শুয়ে আছি। শাহেদের আনা ফুলই গন্ধ ছড়াচ্ছে। বিছানা থেকে উঠে ড্রয়িংরুমে যাই আমি। গিয়ে দেখি ফুলদানিতে একগুচ্ছ দোলনচাঁপা। আমি তো আজ দোলনচাঁপা কিনি নাই। কোনোদিনই কিনি নাই। তবে কীভাবে এই ফুল ঘরে এলো? মাদকতা ছড়িয়ে গন্ধটা আমাকে হতবিহ্বল করে দেয়। 

মাহবুব মোর্শেদ

মাহবুব মোর্শেদ

কবি, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক

গল্প

ছোটগল্প: নীড়

মাথার উপরে অন্তহীন নীল আকাশ। যতদূর চোখ যায় শুধু নীলের সমাহার। বিজ্ঞান বলে, দৃষ্টির শেষ সীমায় আমরা নীল রং দেখি বলেই আকাশের রং আমাদের কাছে নীল মনে হয়। মাঝেমাঝেই মনে প্রশ্ন জাগে, সত্যিই কি আকাশের রং নীল? যদি পাখি হতাম...

Maliha Khanam

Maliha Khanam

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

গল্প

ছোটগল্প: বৃষ্টি

ঘরের জানালায় ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি আছড়ে পড়ছিলো। চেয়ারে বসে অফিসের কোনো এক কাজে মগ্ন তারেক। হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকে উঠল। তারেক খাটের দিকে তাকিয়ে বৃষ্টিকে দেখতে পেলো না। উদ্বিগ্ন কণ্ঠে ডাকতে শুরু করল, শিউলি, শিউলি!রান্নাঘর থেকে সামান্য মুখ বের করে শিউলি...

Maliha Khanam

Maliha Khanam

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

সত্তাশ্রয়ী

দর্পণে কার মুখ

মানুষ সবচেয়ে কম দেখে নিজেকে। প্রতিদিন দর্পণে নিজের মুখোমুখি দাঁড়ালেও মানুষ লক্ষ করে না নিজের পরিবর্তন। শুধু আকৃতি নয়, মানুষের প্রকৃতিও যে অনেক বদলে যায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, তা যেন মানুষ ইচ্ছে করেই বুঝতে চায় না। নিজের মনের গহনে ডুব...

কবিতা

🍂 মৃত্যু 🍂

        আমরা ভুলে যাবো পৃথিবীর সব কথপোকথন,                   ভুলে যাবো সব চেনা মুখ,প্রতিটি পেশী ক্লান্ত হবে, দীর্ঘশ্বাসে ভরা বুক।                ভুলে যাব সব দুঃখ-বেদনা  ...

ভ্রমণ

একটি ভ্রমণ কাহিনী ..............বন্ধু মুশফিকের আতিথেয়তায় মুগ্ধ আমরা

 সকালে ওঠার অভ্যাস আমার কোনো কালেই ছিল না ,কিন্তু আজকে উঠতে হচ্ছে কারণ বেড়াতে যেতে হবে এক জায়গায়,সকালটা অনেক সুন্দর , ঘুমানোর আনন্দ আর ভোর দেখার আনন্দ একসঙ্গে পাওয়া যায় না ।বসন্তে পাতা ঝরে। কোকিল ডাকে। আমের মুকুলের গন্ধে মন...

কবিতা

শিক্ষা হলো

শিক্ষা হলো ধ্যানযা করতে সাধনশিক্ষা হলো জ্ঞানযা করতে হয় গ্রহণ। শিক্ষা হলো নিজের জ্ঞানকে বর্ধিত করণশিক্ষা হলো জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করণশিক্ষা হলো ধনী-গরিবের কাঙ্ক্ষিত সেই ধনযেই ধনকে সচেতনেরা করতে চায় আপন। "শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো" এই হোক মোদের পণজাতিভেদ ভুলে জ্ঞানী...

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

গল্প

রঙ নাম্বার

রঙ নাম্বাররঙ নাম্বারমোবাইলে রিং বাজছে! কল ধরতে ইচ্ছে করছেনা কে হতে পারে এই অবেলায় বুঝতে পারছি না। মোবাইল হাতে নিতেই দেখি অপরিচিত নাম্বার।: হ্যালো কে?: ৩০ মিনিট ধরে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি আর তুমি কল ধরে বলছো কে? বাহ। কল ধরে...

সাকু মিঞা - Mohammad Sakib

সাকু মিঞা - Mohammad Sakib

স্টোরি রাইটার | ঔপন্যাসিক | গল্পকার | বই সম্পাদক| লেখক|

কবিতা

বায়ুদূষণ

শহরের হাওয়া আর পল্লীর হাওয়াভোরের হাওয়া পল্লীর শ্রেষ্ঠ পাওয়া,শহরেতে সারাদিন হাওয়া আর হাওয়াকার্বন ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধি পাওয়া। শহরেতে সারাদিন বাস-গাড়ি চলেপল্লীতে ভ্যান আর সাইকেল চলে,বায়ুদূষণ খারাপ সবাই বলেবায়ুদূষণ আবার কে রোধ করে?

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

বিশ্ব সাহিত্য

পল্লীর কথা

আমি কিছুক্ষণ ধরে বসে আছিএই অজানা জায়গায়আমি কিছুক্ষণ ধরে দেখিতেছিএই অপরুপ দৃশ্যযা ফুটে উঠেছে পল্লীর চেহারায়। সেই পল্লী জননীর কোলেহাসিতে কান্নায়যেন এক শিশু দুলছে দোলনায়আমি তা দেখেছিতার প্রাণ যেন শান্ত আছে এই পল্লীর কিনারায়। সেই দিনদুপুরে ছলনার ছলেএলাম আমি পল্লীর পাড়ায়মনে হলো...

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

কবিতা

আসব আমি ফিরে

নদীর তীরে বকের ভীড়েখুঁজে পাবে আমারেআসব আমি ফিরে স্বদেশের তরেঘাঘটের ঐ পাড়ে। শীতল ছায়ায় কোমল হাওয়ায়জাম গাছের ঐ তলেপুকুরের ঐ পানিতে মোরাসাঁতার কাটি দলে। সাঁঝের বেলা মাঠেতে খেলাসূর্যের ঐ ডোবাস্বদেশের প্রতি প্রানের টানবুঝতে পেরেছে কেবা। রাত্রিবেলা জোনাকির খেলামাঝে মাঝে মোরা খেলিকখনো কখনো বাজারে...

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

বাংলা সাহিত্য

রক্ত লাল

ঐ একাত্তরের রক্তগুলি বইছেযেন এক সাগরেঐ একাত্তরের দিনগুলি মনে ভাসছেযেন মনে পড়ে শ্রদ্ধেয় তোমারে। হে বীর সৈনিক সপিয়া দিলে প্রাণদেশের তরে দশের তরে হয়েছ শহিদানতোমার এই রক্তের দানে বাংলাদেশের পতাকাউড়ছে আকাশে মুক্ত বাতাসে তাই গাই বাংলার গান। তোমার ঐ লাল রক্তের সাক্ষী...

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

কবিতা

🍂 ইতি চারুলতা 🍂

সময় যে ঘনিয়ে এসেছে চারুলতা ;অস্পষ্ট স্বপ্নেরা হাতছানি দিয়ে ডাকছে , সময়ের মায়াজালে কে কার খোঁজ রাখছে; সময় যে ঘনিয়ে এসেছে। কত স্মৃতি কত কান্না, কতশত অভিমান হাজার অভিযোগে, তোমার  অগোছালো গান, তোমার ভেজা চুলে, আমার অবেলার স্নান।খুব সহজেই হয়ে যায় মলিন,প্রেমিকের মৃত্যু ঘটে, একটি...

বিশ্ব সাহিত্য

সেই তো সুখী

সেই তো সুখীপ্রাণে যাহার সুখের ছোঁয়া আছেসেই তো সুখীমনে যাহার শান্তির কথা আছে। এমন সুখী যায়না পাওয়াখুঁজে দেখ গাঁয়েএমন সুখী যায়না পাওয়াখুঁজে দেখ ডানে বায়ে। সুখ তো তাহার পরনে যাহারতালি দেওয়া এক বস্ত্রসুখ তো তাহার চিন্তা নাই যাহারহোক যেকোনো শাস্ত্র। সুখ তো কারও...

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

পোস্ট

আমি তোমার জন্য সব করতে পারব-আমি সাচ্চা আশিক।

আমি তোমার জন্য সব করতে পারব-আমি সাচ্চা আশিক।তুমি একবার বলেই দেখো। - তাহলে সাদিয়ার সঙ্গে আর মিশবা না। ওকে আমার পছন্দ না!: এইটা তুমি কী বলো? সাদিয়া আমার ছোটবেলার বন্ধু। সেই ছোটবেলা থেকেই আমার মা ওকে মেয়ের মতো দেখেন! তুমি...

গল্প

🍂 অজ্ঞাত এক ছায়ামূর্তি 🍂

একদিন হটাৎ বৃষ্টি নেমেছে, জোঁছনা রাতের বৃষ্টি;পূর্ণিমার আলোয় বৃষ্টির ফোঁটা গুলো বড় অদ্ভুত দেখাচ্ছে। জানালা দিয়ে বাহিরে তাকাতেই হটাৎ চোখ পড়লো ; সামনের দোতালা বাড়িটার ছাদে কেউ একজন হাঁটছে! জোঁছনার ঝাপসা আলোয় বুঝতে পারলাম একটি নারীর অবয়ব!       ...

কবিতা

অস্তিত্বে শারদ

এখনই তো সময় তৃপ্ত শরৎকে অজস্রতায় চেনার,,এখনই তো সময় শরৎ মাঝে অবলীলায় নিজেকে হারিয়ে খোঁজার।।সময় তো এখন দৃপ্ত পায়ে মিষ্টি কাশবনে হেঁটে চলার,,দক্ষিণা বাতাসে গন্ধে আরোহ দোদুল্যমান ফুলকে আপন করার।। শারদীয় ঘ্রাণটা তখনও থাকবে নিঃশ্বাসে হেসে,প্রিয়ের হস্তে দু-খানা ফুল গুঁজে,যখনই দাঁড়াবে...

প্রসেনজিত দাস

প্রসেনজিত দাস

শিক্ষার্থী

গল্প

গল্প ভুত

  জালাল উদ্দিন লস্কর৩০৯ নম্বর রুমে ভেন্টিলেশনে থাকা মুনজেরিন কবির সাহেবকে দেখে নিজের কক্ষে ফিরে এলেন ডাঃ হরিপ্রসাদ দত্ত।শহরের নামকরা একটি হাসপাতালের বড় ডাক্তার হিসাবে তার যথেষ্ট নামডাক।তার সিরিয়াল পেতে তিনমাস আগে থেকেই রোগীদের লাইন দিতে হয়।বক্ষব্যাধি স্পেসালিস্ট অধ্যাপক ডাঃ হরিপ্রসাদ...

গল্প

শ্বশুর বাড়ি

শশুরবাড়ি আসতে না আসতেই শাশুড়ী মা আমার পথ আটকে দাড়ালেন।বাজখাই কন্ঠে বলে দিলেন।আমার ছেলের থেকে দূরে সরে গিয়ে দাড়াও।এমন হুংকারপূর্ণ কন্ঠে ভয়ে আমি দম বন্ধ করে দাঁড়িয়ে রইলাম।কিন্তু আমার পাশে থাকা সেই মানব সরে গেলেন।তিনিও তার মায়ের পাশে গিয়ে দাড়ালেন।ওড়নার...

কবিতা

🍂 অপরিচিতার সাথে হঠাৎ দেখা 🍂

কুয়াশায় ঢাকা এক সকাল বেলার গল্প,নিস্তব্ধ ঘাসে শিশির জমেছিলো অল্প।এক অপরিচিতার সাথে হঠাৎ দেখা! কয়েকটা শিউলি ফুল ঝড়ে পরে দূর্বাঘাসে;সে শিউলি ফুল গুলো আজও আছে বুকের বাঁ পাশে। হিমশীতল স্বচ্ছ জলেশিউলি ফুল গুলো আজও ভেসে চলে, এক পা দু পা করে এ শহরের বুকেঅনেক...

গল্প

মেয়েদের অসম্মান

জান্নাত বিয়ে দুইদিন পর বুঝতে পারলো এই বাসায় মেয়েদের খুব একটা মূল্যায়ন করা হয় না। তার শাশুড়ী  শাহেলা বেগম কে যত্ন করে মাছের মাথাটা তুলে দিতেই দেখলো উনি খুব খুশি হলেন। কিন্তু পরক্ষনে শ্বশুর জামিল সাহেব সে মাথা তুলে নিয়ে বলল--...

পোস্ট

একজন নারী নিরাপত্তা ব্র্যাক কর্মীর বয়ান!

জৈষ্ঠের দমফাঁটা গরমে আমরা যখন সবাই দরদর করে ঘামছি। মাথার উপরের ফ্যানের বাতাসটাও গরমের হলকা ছড়াচ্ছে, সাথীর তখন আপাদমস্তক বোরখায় ঢাকা, চুল ঢাকতে মাথায় বোরখার হুডির নীচে আরেকপ্রস্থ কাপড় প্যাঁচানো, হাত মোজা-পা মোজায় প্যাকেট মেয়েটা অনর্গল কেঁদেই চলেছে। বারবার কান্না...

ইন্টারভিউ

সাফল্য গাঁথা

আমার বাবা ছিলেন একজন মাতাল, জুয়ারি। বাড়ির পাশে আমাদের ছোট্ট একটি চায়ের স্টল ছিলো। আমি আর বাবা সারাদিন চা বিক্রি করতাম। যত টাকা লাভ হতো তার অল্প কিছু টাকা বাবা সংসারে দিতো, বাকী টাকা উনি মদ খেয়ে আর জুয়া খেলে...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (১৬)

৭৬ প্রার্থক আমি তোমার বারে আল্লাহ করছি না নিজের ভালোর সুখকামনা।          না করছি সন্তানের মঙ্গলপ্রার্থনাজগতে বজায় থাকুক শান্তিশৃঙ্খলা॥           রক্ষা কর—করো পৃথিবীর ক্ষয়          ঘটছে—ঘটবে বিশাল বিপর্যয়,          তুমি রক্ষক আছ বলে সান্ত্বনা—প্রার্থক আমি তোমার বারে আল্লাহ॥  আমার যেতে হবে—দিন বেশি নেই যাওয়ারই ডাক ভেসে আসছে কানে।         ...

নন ফিকশন

রহস্য ১

আমার নাম অরুণ কুমার চক্রবর্তী। বয়স পঞ্চাশের একটু বেশি। আমি বর্তমানে থাকি বালিগঞ্জে। আমি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।আজ আপনাদের যে ঘটনার কথা বলতে চলেছি তা আদৌ ভৌতিক না অলৌকিক তা আপনারা বলবেন। আমার কাছে তা আজও রহস্য হয়েই আছে।শুনুন তাহলে।আজ থেকে...

চিন্তা

আমি বনাম আমি

 ছোটকাল থেকেই আমাদেরকে একটা বিষয় শেখানো হয় যে কিভাবে অন্যের সাথে টেক্কা দিতে হয়। পরীক্ষার ফলাফল দিয়েছে, "অমুকের ভালো ফলাফল হয়েছে তোমার এরকম ফলাফল কেন?"। খেলা করছো, "ওমুকে খেলায় প্রথম হয়েছে, তুমি হতে পারো নি কেন?"। নিজের শখের কিছু করছো,...

নন ফিকশন

রহস্য ২

শীতের সকাল আমি খুব একটা সকালে উঠতে পছন্দ করি না । আমি শিমু আমার বয়স ১৭ শীতের ছুটি এখন তাই বাসায় থাকা হচ্ছে আমাদের তেমন আত্মীয় নেই যে তাদের বাড়ি যাবো যা আছে এক একটা বিষাক্ত সাপ বললেই চলে ।...

নন ফিকশন

রহস্য ৩

-কী হলো রমেশ?-জ্বি কর্তা তেমন কিছু না, টায়ার পাঙ্কচার!রমেশের কথা শুনে মনে হলো না এটা কোনো সমস্যা। কিন্তু প্রফেসর সুভাষ পাল জানেন এই মুহূর্তে এটা কত বড় সমস্যা! বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামছে, এখনো বাকি লম্বা রাস্তা। পথটাও এমন জনমানবহীন, এখানে...

নন ফিকশন

রহস্য ৪

- এই শুভ্র, এই!প্রৌঢ় ভদ্রমহিলা জানালা দিয়ে গলা উঁচিয়ে ডাকেন। - জী আন্টি?ছেলেটা ডাক শুনতে পেয়েছে। - কোথায় যাও এই ভরদুপুরে? - স্কুল মাঠে, খেলা আছে। - এই ভরদুপুরে খেলা! ক’টা বাজে এখন? - কী করব বল! আগামীকাল ‘ইলুমিনেটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে', অনির্বাণ সঙ্ঘের সাথে ফাইনাল...

নন ফিকশন

রহস্য ৯

নির্জন একাকারে দাড়িয়ে গ্রামের ঠিক পাশেই ছিল একটি আম গাছ।প্রতিবারে মত এভারেও গাছটিতে ভাল ফলন ধরেছে।কিন্ত রাত হলেই টিপ টিপ আলো জলা।মৃদু করে পাতার নড়া ছরা-মরমর শব্দ আবার সন্ধে হলে অস্বাভাবিক ভুতুরে শব্দ করা।গ্রামটা কে নিয়মিত ভয় পাইয়ে দিয়েছে।তীভ্র রোদে...

নন ফিকশন

রহস্য ৫

চট্রগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠেছি।আমার আবার বাসের থেকে ট্রেনের জার্নি'টা ভালো লাগে।সাথে ভাবি ও আছে।আমার নিজ বাড়ি ঢাকা তে পড়ালেখার জন্যে চট্রগ্রামে পরিবার ছাড়া একা থাকতে হয়।আমি চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করছি।হয়তো লেখাপড়ার চ্যাপ্টার টা এবার বন্ধ হয়ে...

কবিতা

🍂 জীবন এক প্রহসন 🍂

সময় টা বড্ড অগোছালো, কোথাও অন্ধকার, কোথাও মৃদু আলো; পরিপক্ব এই বয়স থেকেদূরন্তপনার সে শৈশব ছিলো ভালো।এ কেমন ভার! যে ভারে গুড়ো হয় রক্ত-মাংস-হাড়।মুখে মৃদু হাসি, এক বুক দীর্ঘশ্বাস ;বড্ড অচেনা লাগে নিজের আশপাশ।এ কেমন রাত! শুধুই বিষাদ, পথে পথে শুধু ফাঁদ আর ফাঁদ।এ...

নন ফিকশন

রহস্য ৬

রাতের অন্ধকারে তরুণী মেয়েরা কিডন্যাপ হচ্ছে একেরপর কিন্তু কে কিডন্যাপ করছে আর কিভাবেই বা করছে তা সবারই অজানা!রংপুরের একটি ছোট গ্রাম! হঠাৎ করেই প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টিতে গ্রামটি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন হয়ে পড়ে!গ্রামটি একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়াতে বিদুৎ অফিসের লোকেরা জানায় তারা...

নন ফিকশন

রহস্য ৭

সময় তখন শ্রাবণ মাস,নদনদীর জলসীমা উপচে জলমগ্ন হয়ে আছে পারিপ্বার্শিকতা,,খেয়া পারাপারের দৃশ্য উপভোগ করতে নীল নীলিমা বির্দীর্ণকারী বজ্রপাতের এক অপরাহ্নে শান্তির আবাস ছেড়ে বেরিয়ে পরেছিলাম ভরাবর্ষার আবেদনে সাড়া দিয়ে,,রংবেরংয়ের পালতোলা নৌকো,স্বর্পগতিতে ফনা তুলে চরাচর ব্যপ্ত করা তটিনীর দেখা মেলা খুব...

নন ফিকশন

রহস্য ৮

শীতকাল হয়তো একটু আগেই চলে এসেছে,হাড়কাঁপানো ঠান্ডা বলে যে শব্দটা আছে,সেরকম কিছু না হলেও শীতের রেশ ভালোই বোঝা যাচ্ছে! নগ্ন পায়ে দুর্বাঘাসের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে মন্দ লাগছে না বৈকি,তবে এমন উদ্দেশ্যবিহীন হাঁটার মাঝে এক পিছুটান থাকে,বাড়ি ফেরবার টান,যত লম্বা...

নন ফিকশন

রহস্য ১০

আমি দীপক। আগে ঢাকায় থাকতাম। বর্তমানে সিলেটে একটি ব্যাংকে কর্মরত আছি। আজকে আপনাদের সাথে যেই ঘটনাশেয়ার করবো তা আমার নিজের চোখে দেখা। আমি তখন ক্লাস ৪ এ পড়ি। থাকতাম তেজগাঁও রেলওয়ে কলোনিতে। স্কুল থেকে বাসায় এসেই খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে...

পোস্ট

আপনার সিভি বানানো যথার্থ হয়েছে কি?

পড়াশোনা শেষ মানেই যে আমাদের জন্য কর্মজীবন অপেক্ষা করছে এমন না। কর্মজীবনে প্রবেশের জন্যও আলাদা প্রস্তুতি প্রয়োজন। এর প্রথম ধাপ হচ্ছে নিজের জন্য একটি পার্ফেক্ট সিভি বানানো। সিভিই নির্ধারণ করবে কর্মজীবন আপনার জন্য কিনা। কেননা যারা আপনাকে কাজে নিবে তারা সিভি...

কবিতা

জীবনের চাওয়া- পাওয়া

খিদা নিয়া কারো কথা ভালো লাগে না কান দুইটা ভো ভো করেভেতরে যায় না কোনো কথাযদিও পেটের মধ্যে কিছু নাই তবুওকেউ জোর করলে চলে আসে বমি দোহাই লাগে যা কওয়ার কইছেন আর কেউ কিছু কইয়েন না মাথা ঠিক নাই, খিদা নিয়া একটা কথা ভাবছি,ভাত...

ভ্রমণ

অহংকারী অটোওয়ালা

সন্ধ্যা ৭টার পরে আসছিলাম পদার্থবিজ্ঞান প্রাইভেট থেকে। বন্ধুর সাথে দশ মিনিট হেঁটে রেলগেট পার করে গোরস্তানের গেটের সামনে আসলাম। আমি তখন একা। রিক্সার বদলে অটো খুঁজছিলাম। মাগরিবের সময় এদিকে পার হয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। একটি অটো দেখতে পেয়ে অটোওয়ালাকে...

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

প্রবন্ধ

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম: বাংলাদেশের লাকি গ্রাউন্ড

বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম অন্যতম। এটি আইসিসি অনুমোদিত বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেট ভেনু হিসেবে পরিচিত। শুরুতে এই মাঠ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত ছিল, পরে নাম পরিবর্তন করে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম হয়েছে।বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব...

নন ফিকশন

পরিবর্তনকে আলিঙ্গন

আমি  "ভবিষ্যত দক্ষতা ", - বার্নার্ড মার লেখকের লেখা কি একটি আশ্চর্যজনক বই পড়লাম। বইটিতে অনেক মজা জিনিস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে. এখানে  তিনি সৃজনশীলতা, সহানুভূতি, যোগাযোগ এবং ভবিষ্যতের জন্য সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার মতো নরম দক্ষতার ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব সম্পর্কে তুলে ধরেছেন।তার...

কবিতা

লজ্জাবতী

লজ্জাবতীর সবুজ গায়ে,           স্পর্শ করেছ কভু?লজ্জায় নুয়ে পড়ে ফের,           প্রতীক্ষায় থাকে তবু।কেমনে লুকানো আছে,           গোপন ইতিহাস,এতো লজ্জা! বুকে রেখেছে,            জমা করে কত্তোকাল।লজ্জা কারো...

কবিতা

আরিফীনের জন্মদিনে (বড় সাহেবজাদা)

কোন পাহাড়ের চূঁড়া থেকে,               নামলো এমন শীতলধারা,কোন গগনের মধ্যিখানে,                জাগলো শশী আত্মহারা।কোন তটিনী ধেয়ে চলে,                 খুশির চোটে, আপনমনে,ফেনিল কোলে পদ্ম...

কবিতা

বিশ্বটারে আনবে বেঁধে

পড়বে ঝরে ফুল পুরাতন,ফোটবে সতেজ ফুল,সবুজ পাতায় ঢাকা আঁখি,খুলবে খেয়ে দোল। রোদ বৃষ্টি, ঝড়ের মেঘে,সবুজ পাতা পাঁকা,বর্ণহীনে মলিন দেহে,বৃন্ত রবে ফাঁকা।সবাই তাকায়, সবুজ দেহে,লাগছে দারুন বেশ,রঙ ছড়িয়ে, চোখ জুড়িয়ে,সবুজ জীবন শেষ!রাত ও দিনের পালাক্রমে,বছর নিবে বিদায়,নতুন বছর আসছে সবে,স্বাগতম জানায়।সুখের স্মৃতি,...

কবিতা

কাঁদে অবিরত

প্রতিটি অঞ্চল আজ হৃদয়েরউত্তেজিত, আর রঙ্গীন স্বপ্নে বিভোর,মহাস্বপ্ন তুমি পাশে রবে,জীবন পথে থাকবো সাথী হয়ে।আমার স্বপ্নটারে ভেঙ্গে দিওনা!!!এ আর্তনাদ, হৃদয়ে তোমার বাজেনা!আঘাত হেনেছো কোথা, সেকি জানো প্রিয়?হৃদয়ের গহীণ অঞ্চলে যা কাঁদে অবিরত!ঝর্ণারা কাঁদে নিঃশব্দে নয়, ছন্দে ছন্দে,পাহাড় নীরবে জানায়, গাম্ভীর্যতার সৌম্যে,নিথর...

কবিতা

জীবন বন্দনা (হাম্দ এ এলাহী তায়ালা)

তোমাকে চাই নিতে হৃদয়েরকাছাকাছি করে,আমার সাধ আহ্লাদ সব তোমাকে ঘিরে।পূর্ণতা আর শূণ্যতা, সবি তোমার দান,কি করে ভূলে যাবো; তুমি যে মহীয়ান।শুধু কি আবেগ আপ্লুত হয়ে একাকি,অসার প্রার্থনা করে, তোমাকে পাবো কি!ঘোর অমাবস্যার রাতে, পূর্ণিমার আলোর ঝলকে,স্নিগ্ধতায় পূর্ণতা পাবে কি, তনুমন নীরবে।তোমাকে ছাড়া এ জীবন মরু...

কবিতা

জীবনের ডাকঘর 

হতাশার মোহনায় নিরাশার মুখোমুখি,ব্যাথা আর বেদনা দেয় উঁকিঝুঁকি,হৃদয়ে শংকার অপছায়া চেঁপে বসে,হিংসুটে ডাইনী কুটি কুটি হাসে।জীবনের ডাকঘরে কতো চিঠি দেখি,হলুদ খামে কোনটা সাদা খামে মোড়ি,ভিতরে থাকে যে বেদনার তিক্ততা,কোনটার পেখমে সীমাহীন রিক্ততা।ভালবাসা সুখ আর দিতে নব উচ্ছ্বাস,আরো দিতে পূর্ণতা  দৃপ্ত...

কবিতা

চিরচেনা 

বিশ্বময় ছড়িয়ে দেবো, ভালবাসার গান,তুমি বিশাল স্বপ্ন-তরু, আমার হৃদিরাজ।তারকাপুঞ্জে নিখুঁতভাবে, আঁকা তোমার ছবি,আকাশ পটে, আবীর মাখা লিখছে কেমন কবি।ঝড়ের তোড়ে, মূর্ছা গেলো বীর প্রতীকের সাধ,ভেবেছিলাম নরম রোদে, রাখবো আমার হাত,ইটের ভাঁটা রক্ত মাখা, অগ্নি মুখে বিদ্রোহী,অবুঝ প্রেমের বাঁধনহারা, মন হলোরে...

কবিতা

তুমি আসবে বলে'

আমার আকাশে নেই মেঘের আনাগোনা,নেই বিদ্যুৎ চমকানোর ঘনঘটা,সুস্পষ্ট নীল আসমান নির্বাক হয়ে,দিবা-নিশি তব প্রতীক্ষায় প্রহর গুনে।            তুমি সাজাবে তারে,            মনের মাধুরী ঢেলে,             অপ্সরীরা দলে দলে, ...

কবিতা

শান্তির আকাশ

ভালবাসার ভিত রচনা করতে যেয়ে,এ কেমন ঝড়, জীবনে এলোরে ধেয়ে!লন্ড-ভন্ড করে নিলো সব আহ্লাদ,গুঁড়িয়ে দিল সব মোর সুখ স্বপ্ন সাধ।মোহনা দেয়নি দিশা, নিয়েছে গতি,দূর্বোধ্য দূর্গম পথ হলো নিত্য সাথী।সুনির্দিষ্ট কক্ষপথে, হলোনা পথ চলা ন্যায্য প্রাপ্য যা ছিল, তা হয়নি বলা।তবু শ্বেত...

কবিতা

সাধনার মানবী

প্রচন্ড লোভ আমার তোমাকে দেখার,তোমার তরে লিখে এ কবিমনখুঁজে পাই শান্তি অপার।ক্লান্ত আর বিরক্তিভরা ঢুলুঢুলু চোখে,বিষাদে তিক্ত ভাঁজ পড়া কপালে,পড় আর ভাব এ কেমন বিপদ ওরে!!!এ সবি হতাশ হৃদয়ের আঁকাবাঁকা আল্পনা,যা সত্যের স্পর্শ নাও পেতে পারে,তোমার ছাড়পত্র পেলেই হতাশার তুলি...

কবিতা

ভালবাসার ফসল

বলিষ্ঠ স্বরে ছড়িয়ে যাবো ভালবাসি যারে,লজ্জা ভূলে বলবো আমি, নেবো আপন করে।ভালবাসার ঝর্ণা দিলাম, নিলাম তাহার তরে,লোহিতকণার মিছিল হবে, তুলতে তা'রে ঘরে।শোভা পেলো অঙ্গে যেনো, একই ফুলের রেণু,ভালবাসার রঙ মেখে নেয়, একই ধ্যানের মনু।ভাবতে কভু, পারে কিগো, তোমার আকাশ ছাড়া!ভালবাসার...

কবিতা

হতাশাদের ছুটি

কি করে বোঝাব প্রিয়কতো যে ভালবাসি,ফোটাবো প্রেমের ফুল, গুলবাগে মিলে- মিশি।ভালবাসার নদী দেখো,শুষ্ক রেখার মতো,জল নেই বুক ভরা তার, ধূসর বালি যতো।ঘন গর্জায় কি আষাঢ়ের কালোমেঘ,ঘন বর্ষায় দৃষ্টি ছড়ায় কি নির্ণিমেষ!হাজারো কথা মনে পড়ে, কাছে নেই যবে তুমি,দূরে এলে, ভাঁজে ভাঁজে, সব শুনি আর...

কবিতা

জীবনের পথে

জীবনের পথে হেঁটে যাবো বারবার,সফলতার রঙ্গীন স্বপ্ন আর সোনালী আভীর,উদার সুনীল আকাশপটে বিহঙ্গ অধীর।রঙধনু আকাশের, আজ কেন শ্রীহীন?ভালবাসা-বাসি জীবনে তা' হবে কি গভীর!আবার দিকভ্রান্ত হয়ে মম খেয়ালে হেঁটে চলবো,খুঁজে নেবো ছোট্ট পাখির স্বচ্ছ চোখের নীড়,সাত সাগরের মাঝির পাটাতনে করে ভীড়,বালুকাময়...

কবিতা

আল আমীন ভূঁইয়ার অকাল মৃত্যুতে শোকগাঁথাঃ (মরহুম আলী আহমদ ভূঁইয়া চাচার ২য় ছেলে, আমাদের সবার প্রিয় ছোট ভাই)

সে রাতে! আলো আঁধারে,দেখা হলো বুঝি শেষে,লাজুক ভঙ্গিতে, স্মীত হেসে,আর কী কভু, কথা হবে!শৈশবে কৈশোরে খেলেছি সবে,মাঠে ময়দানে, খালে বিলে ঝিলে,চৈত্র্যের খর রৌদ্রে, বর্ষার জলে মিলে,শীত, গ্রীস্মের ভরদুপুরে, সন্ধ্যাকালে।আজ কোথা' ভাই,কার ইশারায়,সবা'কে ছেড়ে চলে গেলে হায়!কোন সুদূরে, কোন অভিমানে!শোকাহত আজ...

কবিতা

ভুখা মরো

ভুখা মরোগোলাকার এই ভুবন খানি!কতোই না রঙ দেখবো জানি।না মেলে ভাত না পায় পানি।দুর্ভিক্ষের মাঝে  টানা-টানি।দ্রব্য মূল্যের বারাবারিকম পেলেই কাড়াকাড়িলুফে নাও তারাতাড়ি!বাজার নিয়ে ওঠো বাড়ি।কেউ খায় কেউ বা ভুখা!যাচ্ছে না এই দুর্নীতি রুখা।প্রশাসনের কানে সুধা!অসহায়ের পেটে ক্ষুধা।কেউ খায় কেউ বা...

সাকু মিঞা - Mohammad Sakib

সাকু মিঞা - Mohammad Sakib

স্টোরি রাইটার | ঔপন্যাসিক | গল্পকার | বই সম্পাদক| লেখক|

কবিতা

কালো বোরখা 

কালো রঙের মেলা দেখি,হেথায় সেথায় সবখানে,দুঃখ কিসের, মরছে সেকি!কালো কিসের শোক জানে!সবুজ জানায় নেইকো মানা,জানতে পারো, সব অজানা।সাদা রঙে শান্তি বুঝে,সকল জনে খোঁজে।ভালোলাগা, ভালবাসা, বয়ছে সমতালে,প্রেমের স্রোতে ভাসছে তরী, লাগছে হাওয়া পালে।  ভালবাসার নদী খুঁজে, সবি সঁপে দিতে,মতি গতি সব মিলে যে,সাগর মাঝে...

কবিতা

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা: প্রিয় বাংলাভাষা।

সকল দেশে ভাষা জীবন,ভাষা সবার প্রাণ,ভাষা বিনে যায় কি বাঁচা,থাকে কিহে মান?ভাষা দিয়ে স্বপ্ন গাঁথা,নিপুণ জীবন গড়া,ভাষা দিয়ে হয় বিনিময়,মনের সকল কথা।জীবন জুড়ে নদীর মতো,পাখির কলরব,পরিচয়ের নিত্য বাহন,অধম, উত্তম সব।ভাষা শিখি মায়ের মুখে,গল্প, কথা, কাজে।মায়ের স্বরের উচ্চারণে,ভাষা নিতুই সাজে।মাতৃভাষা ভাষার...

কবিতা

ফাগুনের গান

ফাগুন মাসে রুপের আগুন কৃষ্ণচূড়ার গায়,সবুজ পাতার আঁড়াল থেকে কোকিল ডেকে যায়।আম্রকানন সুবাস ছড়ায় মন মাতানো গন্ধে,শাখায় শাখায় সবুজ কুঁড়ি জাগে মহানন্দে।বন্ধ দেখি উত্তর বায়ু, শীতের মহা কম্পন, চুপি চুপি বয়ছে দেখো মৃদু সমীরণ।নেই কুয়াশা, হিমেল বায়ু, শিশির কণা কোন,মিষ্টি রোদের...

কবিতা

প্রেমের ভালবাসা

"প্রেমের" নিদহীন বেলা যায়রে কতো,নেইকো হিসাব তার,খাবার দাবার কখন, কেবা, খাবে কোন কাল।মন মুকুরে ধ্যানের ছবি, কী যে পাগলকরা!কথা বুঝি অমীয় সুধা, নাইরে ক্ষুধা -তৃষা।দূর জানালায়, পথে পথে, খুঁজছে কী না কথার ছলে!কাজের কথা বলে বলে,কোন পাঁথারে খুঁজে চলে।আকাশ বাতাস, চাঁদ সেতারা,কোকিল বিজন বনে,মনের...

কবিতা

একুশে ফেব্রুয়ারি

একুশে ফেব্রুয়ারি, ঊনিশ শত বায়ান্ন,রক্ত করবী, পদ্মদলের জীবন সায়ান্ন,কতক রবির অস্ত আনিল, সোনালী আলোর  ভোর,কত শত, লাখে, কোটি, প্রাণে,জাগিল বিপ্লবী সুর।রক্ত কণিকা মিছিলে মিছিলে,শিরা, উপশিরায়, দলে উপদলে।প্রাণে প্রাণে গর্জিল হুংকার,বাংলা ভাষার চায় অধিকার।যে ভাষা শেখা মায়ের মুখে,বাবার আদরে, শাসিত চোখে,ভাই ও...

কবিতা

বই মেলা

বইয়ের মেলা, মে--লা বই,কোথায় খোকা, খুকি।প্রাণের মেলা, শত শত,করছে ডাকাডাকি।ভীঁড় করেছে সবাই দেখো,পড়ে জামা জুতো,বারে বারে আসতে মেলায়,ধরছে নানা ছুঁতো।দেখতে পাবে নামী দামী,কবি, লেখক, কতো,নিজের বইয়ে দৃষ্টি ফেলে,ভাবছে কী যে কতো।তাকিয়ে রবে, পলকহীন,ভাবছো, কেমন করে!ভাবের মালা, গাঁথছে নিতুই,শব্দ, কথা ধরে।ঐ...

কবিতা

সিরিয়া থেকে বলছি

কলম ছোঁড়ে অস্র ধর,কলম হল বিকল,অস্র অজস্র অস্রেই জবাব,লাগাও তাদের শিকল।মুখে মুখে শান্তি বাণী,কথাই তাদের সার,অস্র বেচা, হীন স্বার্থ,নাইরে কিছু আর!বন্ধ্যা হলো বিশ্ব কবে?মহান নেতা কোথা'?রক্ত সাগর, মৃত্যুলোক,নাইরে মানবতা।বিশ্বটারে স্বর্গ করে,তুলবে গড়ে কারা?মানুষ হয়ে মানুষ মারে,নেইযে জড়তা।জাতি হচ্ছে ছিন্ন ভিন্ন,জাতিসংঘ...

কবিতা

ফিলিস্তিন থেকে বলছি

অশ্রু নয় অস্ত্র দাও,বিশ্বে শান্তি আনি,নামকাওয়াস্তে ত্রাণ নহে, আরযুদ্ধ বিমান চাহি।বাঁচিয়ে কি লাভ,করিবে আঘাত,আমরা নিরস্র।বীরের মতো,হাজারো বছর,বাঁচিতে দাও অস্ত্র ।মানবতা, সাম্যবিধান,নিরপেক্ষতা যতো,বই কিতাবে রাখো;চোখের সামনে, মারছে কতো,নারী ও শিশু,হিসেব রেখেছো কভু। ত্রাণের বহর, ফিরাবে প্রাণ,আবার মারিবে এসে;জালিমের টুটি,চেঁপে ধরো তারে,ক্ষান্ত করো বসে।তাই যদি...

কবিতা

এই পৃথিবীর আর্তনাদ!

পৃথিবীর আলো বাতাস,প্রকৃতির অকৃপণ দানে,হয়েছো বড়ো অনেক,শাসক, রাজা, সম্রাট মানে।দুঃখ ধরাধামের, পারোনি ভালোবাসতে, বিশ্ব আর বিশ্বজনে!সুবিশাল উদার মনেতে!সংকীর্ণ চিন্তা, বড়ই হীনমন্য,শুধু দল, স্বদেশ, স্বজাতিকেই ভালোবাসো! সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি করতে নিশ্চিত,ভিনদেশ, ভিনজাতির সব অনিশ্চিত!তোমার বুকে তোমার সন্তান,খেলছে পুলক মনে,পৃথিবীর শিশু খেলছে কেনো?তাজা বোমার সনে।ডোনাল্ড ট্রাম্প,...

কবিতা

বিপ্লবী (২)

আমি রবি ঠাকুর, বিদ্রোহী নজরুল, বিপ্লবী মাজলুম, জীবনান্দ, ফররুখ,আমার খুনের সাত সাগরে খেলছে, সত্য-ন্যায়ের টাইফুন, করিব নাশ-বিনাশ, কুচক্রীর কুচকাওয়াজ,স্তব্ধ করিব তাদের প্রান। প্রাণে প্রাণে জ্বালিব নতুনের জয়গান।ভাঙ্গিয়া রচিব পাষাণের বক্ষেকোমলের উদ্যাণ।আমি তরতর,দরদর, দূর্বার, দূর্ণিবার, গতিবেগে,খরস্রোতা, পদ্মা, মেঘনা,যমুনার ভাঙ্গনে, পাষন্ড, বর্বর, অত্যাচারীরসলীল সমাধি রচিতে। যবনিকাপতন। রক্ত -বর্ণিল, লোহিত নাফের শোক-সন্তপ্ত, জলধারায়, পরাধীনতার অবকাশ।স্বাধীন...

কবিতা

বিপ্লবী (৩)

আমি সৌরগতি, সৌরাজ্য, সৌরঝড়,নাস্তানাবুদ করি জালিমের পৃথ্বিতল।আকাশ পাতাল, মেরু-অমেরু, গ্রহ-উপগ্রহ, উল্কা ধুমকেতু, আমি।থামিতে জানিনা, চরম, পরম, চির-ক্রুদ্ধ, জালিমের শেষ যতি।চিরতরে শেষ, করিব দালাল, সুযোগ সন্ধাণী,হাতে পায়ে সব পড়াব শিকল, চির-ধ্বংস আনি।আমি  ক্ষুধার্ত জাহান্নাম, ভয়ংকর পুলসিরাত, সূর্যদল।একে একে সব করিব উঁধাও,  খোদা-দ্রোহী, জালিম-পুঁঞ্জ।আমি গোগ্রাসী।বর্জ্রনিনাদী।যুগে যুগে, যুগ-নকীব।জালিমের...

কবিতা

বিপ্লবী (৪)

আমি বিপ্লবী, বিদ্রোহী!ভীরু-কাপুরুষ নহে কোন, যুদ্ধং দেহ-মনে, ফিরিয়া আনিব, চিরশান্তি অবনীর।যুগ-যুগান্তে, দেশ-দেশান্তে,জাতি, উপজাতি, গোষ্ঠী জ্ঞাতে,শান্তির মহাবীর।আমার আমিতে, বিশ্ববাসী,অরুণ, তরুণ, যুবক, যুবতী;শান্তিকামী, সংস্কারক, চিরসংগ্রামী,স্রষ্টা ও সৃষ্টির সীমাহীন শক্তি,নুতন করিয়া গড়িয়া তুলিব,স্বাধীন, বিশ্ব-ভূমি।দু'পায়ে দলিব লোভের বাসনা,পৈশাচিক নৃত্য-তান্ডবলীলা,বাঁধা বিপত্তি, পথেঘাটে যতো;উলঙ্গ করিয়া ধরিব তুলিয়া,ভন্ড, মুনাফিক,...

কবিতা

বিপ্লবী (৫)

আমি অগ্নি, অগ্নিময়, অগ্নিরথ,সুপ্ত আগ্নেয়গিরি,পুঁড়ে ছারখার করি,যতো জঞ্জাল, ধ্বংসের হাতেখড়ি। কান্তিময়, চির অলংকার,মহাউন্নত শির, নির্ভীক বীর,মহাসেনাপতি সপ্ত ধরিত্রীর।আমি মহাকবি আলাওল,কায়কোবাদ, মাইকেল মধূসুদন দত্ত।মহাকাব্য লিখি।সদ্য উদগীরিত অগ্নিলাভায়,পাহাড়ে, পর্বতে, শিলা-প্রস্তরে,ধরাধামের প্রান্তরে-অন্তরে।চির সংগ্রামী, চির বিদ্রোহী,অনবদ্য, মহাকাব্য,  শান্তি -বাণী, জাগরূক ঘরে ঘরে, জাগরণ  বিপ্লবী।নীলাকাশে ভাসে, ক্ষীপ্র...

কবিতা

বিপ্লবী (৬)

যুগে যুগে, পথে প্রান্তরে,শান্তির সওদা ঢের,অশান্তি, অশান্ত, শান্তির ফেরি, শান্তি আসবে ফের!সব জুলমাত, যতো কুলাংগার,জালিম, জুলুম, অস্ত্রাগার,ধুলায় মিশিয়ে, দানিব শান্তি,আমি বিদ্রোহী,চির বিপ্লবী। সততঃ দ্রোহের গান গাহি,বাজায় বিদ্রোহের বাঁশরী।ধর্ম! বিশ্বের সকল ধর্ম।চির সন্মার্হ।নীতিতে বেঁধে, পূণ্য বোধে,গড়িব শান্ত নতুন বিশ্ব।জীবনে জীবনে ছন্দ দানিবে,পূর্ণতা রবে, সকল জীবে।শান্তি-বানী অভ্রভেদী,ধুয়ে...

কবিতা

বিপ্লবী (৭)

শান্তি, সমৃদ্ধি।হিংসা বিদ্বেষ বৃদ্ধি!দেশে দেশে, বিশ্ব মাঝে,শাসন-শোষণ কোন্ সাজে!দালালী সচল, রয়না অচল,অর্থের চাকা, আর যতো কল!তাই বলে কী! শান্তি নামে,অশান্তিরে ছড়িয়ে দিবে!অস্র বেচে, নীতির বুলি,মারছে কতো ঝারিঝুরি।চায়যে ভালো, সকাল সাঁঝে,দেয় ধোঁকাযে , কথা কাজে।জাগুয়ার বিপ্লবী,আমি চিরবিদ্রোহী।ব্যবসায় চালবাজি,হররোজ রাহাজানি।শাসন-বাসন, রাজনীতি, স্বজন-প্রীতি, দুর্নীতি,সুদ,...

কবিতা

বিপ্লবী (৮)

এ কেমন নিষ্ঠুর বিশ্ব!স্বেচ্ছায়, অনিচ্ছায় মমতাময়ী মা হয় নিঃস্ব,নেই মতামত নিজস্ব!আমার মা, দাদী,দাদা,নানী, নানা, খালা, মামা,অতি আপন যারা।অংকুরেই চায় মোর হত্যা!আগমনী আলামতে, মায়ের অস্থির, চঞ্চলতা,সন্তান রাখবে কী, রাখবেনা!এত ত্বরা নয়, হাতে আছে সময়,মনে দ্বিধা সংশয়,কিংকর্তব্যবিমূঢ়!  চাকরী ঠেকানো, দারিদ্র্য ভয়,অর্থ লুলোপতা, লিপ্সু, সম্পদ,যৌবণ রক্ষায়, সুন্দরের...

কবিতা

বিপ্লবী  (৯)

বজ্রকন্ঠে বাজে,সকাল সন্ধ্যা সাঁঝে,কী করবে তোমরা সবে!করছো কী সব ভবে?আচ্ছা মাগো বলতে পারো,তোমার মায়ের একটি মেয়ে?নাইকি তোমার ভাই ও বোন,একলা ঘরেই, বড় হলে?হারিয়ে যদি যেতে তুমি,বাবা মাকে ছেড়ে,একটু ভাবো, করতো কীযে,তোমার জীবন শেষে।সত্যি করে বলো বাবা,সব তারা কি দেখো,ছোটবড় রাশি...

কবিতা

বিপ্লবী  (১০)

চির বিপ্লবী!মার্চের তালে তালে,তোমার মিছিলে,পায়ে পায়ে চলে,বজ্র হুংকারে,শান্তির তরে,আসছে দলে দলে,শান্তির বিশ্ব চায়;অশান্তি, মারামারি,কাটাকাটি, হানাহানি,মিথ্যাচার, জানাজানি,খতম শেষে আপন ভূবন পায়।সত্য নাবিক!সততঃ বিদ্রোহী!যুগে যুগে, যুগোপযোগী,জোগায় শান্তিবাণী,অশান্ত বিশ্ব, করেছে শান্ত,সুখ দিয়েছে আনি।আবার এসেছে ফের,অত্যাচারী, জালিমের,নতুন কূট কৌশলে;নিষ্পেষিত মানবতা,মেতেছে হত্যাযজ্ঞে,চতুর যাঁতাকলে।হে বিশ্ববাসী!ঘুমন্ত শার্দূল,বিশ্ব বিপ্লবী! এসেছে...

কবিতা

বিপ্লবী  (১১)

আগ্রাসন!দেশে দেশে, বার মাসে,বিশ্ব মাঝে, ত্রাসে ত্রাসে,চলছে, চালায় আগ্রাসে;গিলছে সবি গোগ্রাসে, ,অশান্তিরা শান্ত দেশে,মিঠা কথা, মিত্র বেশে।দেখছে সবি বিশ্ববাসী,অত্যাচারীর দেশী -খেশি,নেইকো প্রতিবাদ;অন্যদেশের সবকিছু তার!লুটেরাদের, লুটে নেয়ার!বাধ সাধেনা বাদী-বিবাদ!আগ্রাসী দেশ, হুমড়ে পড়ে,বিশ্ব মোড়ল সাথে করে,নরক-নগর গড়ে।নিখিল চরাচর!কাঁপছে থরথর!এমনি করে, কদিন যাবে?বাঁচা মরার...

কবিতা

বিপ্লবী (১২)

বিপ্লবী!চিরবিপ্লবী!ভালোবাসার বিপ্লবী!ভালোবাসায় তুলবে গড়ে,নতুন করে, বিশ্বটারে।চলো ভালোবাসি,সবে মিলে মিশি,অহোরাত্র  দিবানিশি, স্রষ্টাকে ভালোবাসি।তাঁর সৃজিত সকল সৃষ্টি,জীবন জুড়ে ভালোবাসি।সৃষ্টি' সেরা, মানুষ!রয় রবে দিলখোশ।ভালোবেসো সৃষ্টি সবি,সবাই তোমার আপন,জুলুম করে রবের কাছে,করবে কারাবরণ!অনেক আদরে,স্বর্গে সাদরে,নিজবাসে ছিলে সুখে;অনন্ত পথে,যাত্রা রথে,চলছো সুখে দুঃখে।বিশ্বমাঝে সবে,স্বল্পকালে রবে,চলন্ত মুসাফির ;আসল...

গল্প

দ্বিতীয় বসন্ত

 সকালের চকচকে সোনালী রোদ্দুর। জানালার ফাঁক গলে,  সুপ্তির ঘুমন্ত চোখে, মুখে রোদের সোনালী আভা লুটিয়ে পড়েছে। সুপ্তি ঘুমঘুম চোখে মিটিমিটি করে তাকাল। তখনো আবির, সুপ্তির মুখের উপর সামান্য ঝুঁকে, মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। সুপ্তির চোখে চোখ পড়ল। আবির মাথা চুলকে...

কবিতা

বিপ্লবী (১৩)

সাম্যবাদী!বিপ্লবী সাম্যবাদ। আবার করিবে আবাদ।গাহি সাম্যের গান,করি সমতা বিধান,বাঁধার পাহাড়,চূর্ণ -বিচূর্ণ,পাতাল ভেদীয়া,আকাশ ফুঁড়িয়া,সুবাস ছড়াবো,দুহাত ভরিয়া।দূর করিব সবে মিলিয়া,যতো দুর্গন্ধ রহে ছড়িয়া।চির-বিদ্রোহী!বিপ্লবী মুসাফির,চলিছে অস্থির। ঘুরিয়া ফিরিয়া,পথে ঘাঠে চলিয়া,অগ্নিশর্মা নয়নে হেরিয়া;আলো আঁধারে,জড়াজড়ি করে,কালে অকালে,কিসের ছলে,করছে লেনাদেনা,সবাই দেখে, কেউ দেখেনা।চুপটি করে, আপন মনে,যায় চলে যায়...

কবিতা

বিপ্লবী (১৪)

উড়াও নিশান,বাজাও ভীষণ,বজ্রযানে বজ্রনাদ,বিপ্লবীরা জিন্দাবাদ।আর কতোকাল,পথের পানে,রয়বে চেয়ে,অধীর হয়ে;ছিঁড়বে গেঁড়ো,ভাঙ্গবে শিকল,করবে বিকল,ঝঞ্ঝা লয়ে।ঝড়ো হাওয়া,বয়ে যাওয়া,আঁধার ঘেরা,পালযে ছেঁড়া,পাহাড় ছোঁয়া,ঊর্মি ধোঁয়া,আসছে ধেয়ে,আকাশ ছেঁয়ে।তারার মেলা,আলোর খেলা,যায়না দেখা,লক্ষ্য রেখা,মিলবে কোথা,জাতির নেতা,জাগবে মানবতা,আসবে সফলতা।দিশেহারা জাতি,জাগছে দিবারাতি,আসলো বুঝি,সদলবলে যুঝি,ঘুমহারা বিদ্রোহী,মুক্তি পাগল রাহী। দূরন্ত অশ্বারোহী,দূর্বার মতি গতি,বিপ্লবী শাহানশাহী।দেখছে...

কবিতা

বিপ্লবী  (১৫)

বিপ্লবী,প্রিয় ফুলের,বুকের মাঝে,সুবাস মাখা,পাঁপড়ি গায়ে,নষ্ট পোকা,বসত করে,করছে কতো ক্ষতি!আর কতো কাল,ঘুমিয়ে রবে,নয়ন মেলে,অন্ধ হলে,সুস্থ ছেলে,সব হারালে!এবার জাগবে কী!চির সংগ্রামী!প্রিয় বিপ্লবী! ফুলের সুবাস প্রিয় সবার,বাগ-বাগিচা নাই,ফুলের বাগান গড়বে তুলে,মাটি, পানি চাই।জীবন ছাড়া মাটি মাঝে,হয়না ফুল ও ফসল,ধরাতলে খরা শেষে,খোদা দানে জল।মৃত ভূমি...

কবিতা

বিপ্লবী (১৬)

বিপ্লবী,তোমার আকাশ,শান্ত বাতাস,চিল শকুনের দখলে।উদার নীলে,শত্রু হায়েনার,বোমারু বিমান চলে।এক পলকে,নিচ্ছে কেঁড়ে,কত শত প্রাণ!নাইরে কেহ,বদলা নেয়ার,রাখবে কারা মান?মানুষ নামে,অমানুষে করছে কতো কী?ধরাতলে নাইরে কেহ,ধরবে জীবন বাজী!ঘুমের ঘোরে,স্বপ্ন ঘিরে,দিবা স্বপ্ন দেখে!জাতির তরে,জীবন ভরে,বিপ্লবীরা হাঁকে।রাতের শেষে,শেষ প্রহরে,ডাকবে ভোরের পাখি,মৃত্যু ফাঁদে,জীবন কাঁদে,খুলবেনা তোর আঁখি?আশায়...

কবিতা

বিপ্লবী (১৭)

বিপ্লবী! কবি হবি?বিপ্লবী কবি।বুকে রবে,অগ্নিগিরি,জমভে লাভা,বাড়বে আভা,হবে উদগীরণ;চোক্ষে রবে,অগ্নি শিখা,পুঁড়বে নিপীড়ন। বজ্র ধমকে,পিলে চমকে,অত্যাচারী থামবে,আসবে ফিরে,বিশ্ব জুড়ে,শান্তি ধরা আনবে।নিঃশ্বাসে তোর,আসবে ভোর,অত্যাচারী বিফল,শান্তি সুখে,নিরাপদে,রাখবে ধরাতল। চুপি চুপি,পড়ছো তুমি,যাচ্ছো ডুবি,ছাড়িয়ে সবি!কেমন কবি,আঁকছে ছবি,পড়ি ভাবি,কবি হবি!আমার মতো,অন্য কেহো,দেখবে স্বপন,হৃদয় কাঁপন,শংকা, রীতি,পূন্য প্রীতি,লিখবে চিঠি,রাখবে দিঠি।জীবন জুড়ে,সুখের চরে,সবে...

কবিতা

রাসূলের (সাঃ) সমীপে 

(স্নেহধন্য  বড় ভাগিনা মাওলানা জামিল হোসাইন সিরাজী ওমরা হজ্বের সফরে।সুমহান আল্লাহ তাআ'লা তাঁকে হাজ্বে মাকবুল নসীব করুক।আমীন। তাঁরই অনুরোধে লেখা রাসূল (সাঃ) এর শানে)"আলহামদুলিল্লাহি নাহমাদুহু,ওয়ানাসতাঈনুহু, ওয়ানাস্তাগফিরুহু,ওয়াস সালাতু, ওয়াসসালামু,আ'লা নাবিয়্যাল্লাহ, ওয়া রাসুলুহু"।দয়াময় আল্লাহ, দরবারে তোমার,অগনিত প্রশংসা, স্তুতি গেয়ে যায়।অসীম করুনা দ্বারা,...

প্রবন্ধ

উদ্দীপনা

জীবন মানে যুদ্ধ। কেউ বলে জীবন মানে নিজেকে টিকিয়ে রাখার পরীক্ষা। কেউ কেউ আবার মনে করে জীবন মানে যন্ত্রণা। অর্থাৎ জীবনের অর্থ জনভেদে ভিন্ন হতে পারে। সুখ দুঃখ আসে একের পর এক। উদাহরণস্বরূপ প্রদীপের নিচের অন্ধকার। প্রদীপ চারদিক আলোকিত করলেও...

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

কবিতা

বিপ্লবী (১৮)

বিপ্লবী!আলোর ফোঁয়াড়া,সচেতন আঁখি,জাগো ফিরিয়া,হাতে হাত রাখি।বিনিদ্র রজনী শেষে,সোনালী ভোরের আশে,চিরপ্রত্যয়ী,চির সংগ্রামী!অন্ধকারে আলোর রেখা,দিশেহারা খুঁজছে একা।মন্দ পথে ভালোর দেখা,মিলবে কভু ভাবছে কেবা!কেউবা ভুলে পথ হারিয়ে,পথ খুঁজে যায়, পথ পেড়িয়ে।সহজ, সরল, সফল পথে,পথিক চলে, আপন মনে।মানব মনে! হলো কীযে! আলো ফেলে আঁধার খুঁজে,ভালো...

কবিতা

বিপ্লবী (১৯)

বিপ্লবী।উড়াও ঝান্ডা,বয়বে হাওয়া,লাগবে পালে,লক্ষ্য তরী,ফিরবে তীরে,সফল অভিযানে।শালীনতা,স্বাধীনতা, চলবে সাথে,রাত-বিরাতে,রুপ অপরুপ,দৃষ্টি লোলুপ,পথে ঘাটে,আঁটবে কুলোপ।কেউবা বলে পোষাক আশাক, যেমনি ইচ্ছে, তেমনি পড়ি, আমার স্বাধীনতা,দৃষ্টি তোমার খারাপ কেনো, তাকিয়ে থাকো বদের মতো, চোখের অধীনতা! খুব সেজেছি, বাইরে যাবো, কেউ দেখে তা' পাগল হবে, ভারী মজা হবে!হয়তো কভু,  মেলবে আঁখি, ফেলতে পাতা, কেবা...

কবিতা

বিপ্লবী (২০)

বিপ্লবী!তুমি চিরবিদ্রোহী।অশান্ত বিশ্বে বল্গাবিহীন,শান্তি ধরিত্রীর।যুদ্ধ হবে,যে যুদ্ধ সবে,ন্যায়ের পক্ষে,অন্যায়ের বিরুদ্ধে,আগ্রাসীদের শিক্ষা দিয়ে,অত্যাচারীর জুলুম শেষে,একটি বিশ্ব হবে।যে বিশ্বে তোমার আমার,আমার তোমার সবার,সব অধিকার রবে।ভেদ-বিভেদ রয়বেনাকো,আপন পর বুঝবেনাতো,সমান সমান হবে।মানবেনা কেউ সীমারেখা,স্বার্থপরের চিত্র লেখা,এক আকাশের তলে,এক পৃথিবী হলে। দেশগুলো সব, মাতৃসম,জগত মাঝে সৃষ্টি...

গল্প

রিক্ত

 হাতের টকটকে লাল মেহেদিগুলো সবাইকে হাসিমুখে দেখাচ্ছিল অনিতা । অনিতার বিয়ে আজ ।পুরো বাড়ি সেজেছে আজ রঙ্গিন সাজে । বাড়ী ভর্তি অনেক লোকজন ।আমি এক কোনায় দাড়িয়ে অনিতাকে দেখছিলাম ।অনিতার সাথে আমার পরিচয় আজ দুই বছর । আমার দুসম্পর্কের কাজিন...

কবিতা

"মা" যে আমার

"মা" যে আমার মাঝে মাঝে,মিষ্টি শাসন করতো,খাওয়া পড়া দাবী দাওয়ায়,মনের ভাষা পড়তো।বিধি নিষেধ সহজ ভাষায়,সহজ করে বলতো,আমার কথা সবার কথা,মন দিয়ে "মা" শুনতো।শত কাজের মাঝে "মা" যে,আদর শাসন রাখতো,পড়াশোনার অগ্রগতি, পরখ করে দেখতো।চলন, বলন, আচার সবি,বাবার কাছে লিখতো,কালজয়ী সব গল্প-কথা,ঘুম পাড়াতে...

পোস্ট

🍂 কিছু বিচ্ছেদ হয়তো চিরকালের 🍂

কিছু বিচ্ছেদ হয়তো চিরকালের, ইচ্ছে থাকলেও সে সম্পর্ক গুলো জোড়া দেওয়া হয়ে উঠে না। সময়ের আস্ফালন আর অতীতের স্মৃতি বারংবার আঘাতেও সম্পর্ক গুলো বিচ্ছেদের অন্তরালেই হারিয়ে যায়। শুধু বেঁচে থাকে শত আবেগে জড়ানো স্মৃতি নয়তো ঘৃণা অথবা কখনো অন্তরালে থেকে...

কবিতা

বুঝবে সেদিন

রক্ত বয়ে বন্যা হয়ে,মরু বালি ভিজে,সয়তে না আর পারে কেহ,অশ্রু ঝরে পড়ে।কচি কাঁচা, শিশু নারী,মরছে দিবানিশি,অধিকারের নিত্য দাফন,চালায় অহর্নিশি।ভাবছো কেহ, তাদের হয়ে,অস্ত্র দেবে, যুদ্ধে যাবে!ভাবতে থাকো, পৌঁছবে খাঁদে,জাহান্নামেই রবে।নারী শিশুর আর্তনাদে,বাঁচা মরার করুণ ডাকে,কেউ দিলেনা সাড়া শোনে,চলছো তুমি চলছে সবে।ভুলেই...

গল্প

যখন নিষিদ্ধ আমি

যখন নিষিদ্ধ আমি তোমার মনোজগতে বারবার উকি দিয়ে জানলা খোলার চেষ্টা করি, আমি কি আমি? নাকি তোমার প্রেমিক হয়ে যাই-বনে যাই!পাহাড়ের অভয়ারণ্য দেখে যেমন নির্বিকার বাঘ, আমি তেমন এক চোরা শিকারী। তারপরও আমি নিষিদ্ধ! নিষিদ্ধ বললেও ভুল হবে। নিষিদ্ধ করা...

গল্প

বোন,,,

হঠাৎ করেই হাত থেকে চায়ের কাপটা পড়ে যায় আশফাকের।ফোনে কি যেন একটা নিউজ শুনে হতভম্ব হয়ে যায় আশফাক। মাথা ঝিম ধরে আসে। আশফাক মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। সদ্য ভার্সিটি পাশ করে চাকরির চেস্টা করছে। আর চাকরি না পেয়ে প্রতেকদিন তো বাবা...

গল্প

তোমার অসুখে কিংশুকে

“এখন কেমন লাগছে?” ……কাঁধের নিচে বালিশ নিয়ে সোয়া অবস্থা থেকে  দুই হাতে চাপ দিয়ে  উঠতে উঠতে বললো, “এখন ইকটু ভালো,তুমি দাঁড়িয়ে আছো কেন?বসো!” আমি ওর কোমড়ের ঐখানে কোমরের পাশে বসলাম,মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে মনের মধ্যে কেমন করে উঠলো। শান্ত স্নিগ্ধ...

গল্প

হৃদয় দহন

 রুবিনা আর অপরার দেখা হলো পাড়ার বড়ো দোকানটার কাছে। দুজনেই এসেছে কিছু জিনিস কিনতে। অপরা লজ্জায় মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকতে পারল না। ওর সংকোচ ধরে ফেলল রুবিনা। হেসে বলল,"কী রে, ওমন করে আছিস কেন?"অপরা যে কি বলবে, বুঝতেই পারছে না।...

পোস্ট

🍂 সময় ফুরিয়ে যায় 🍂

মায়া জড়ানো কিছু মুহুর্ত, কখনো সুখ, কখনো বা বিমূর্ত, কখনো অতীতের স্মৃতি আঁকড়ে বাঁচা,কখনো আবার বন্দি সোনার খাঁচা।  সময় ফুরিয়ে যায়, বিগত হয় স্মৃতি, কিছু মায়া আর ভালোবাসার ছায়া,আবেগের অন্তরালে বিষাদের কায়া। 

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (১৭)

৮১ বেসেছি ভালো যাঁরে গোপনে গোপনে এ ভালোবাসার কথা বলি তাঁরে কেমনে।          কেমন করে জানাই প্রিয়রে মনের কথা          মনেতে রইল পাওয়ার কী যে আকুলতা,কী যে উন্মুখ হয়ে আছে পরান মিলনে।          এ ভালোবাসার কথা বলি তাঁরে কেমনে॥  সবকিছু ভুলতে পারি—পারি না বন্ধুরে বন্ধুর ভালোবাসা ছাড়া...

কবিতা

মা তুমি কোথায়

নিঃশেষে বিভাজ্য মা তুমি কোথায়?মা তুমি কোথায় গেলে?আমি যে আসছি মা,অনেক দিন পর আসছি মা।বাড়িটা যে আজ ফাঁকা লাগছে,তোমার কোনে অস্তিত্ব যে এই বাড়িতে নেই মা!সবাই যে তোমাকে ভুলে গেছ,তারা কি অদ্ভুত হেসে খেলে যাচ্ছে, আমি যে ভুলতে পারি না তোমাকে।মা লিখতে...

চিন্তা

”সুপ্ত আমার হারানো স্মৃতি”

সব স্মৃতি হারিয়ে যায় না, মাঝে মাঝে কিছু স্মৃতি চিরন্তন সুপ্ত হয়ে বিচরণ করে। জীবনকে আগলে রেখে সর্ব মোহ-প্রণয় মুক্ত রেখে আত্মিক শক্তির বলিয়ানে এক আদর্শিক জগতের মধ্যে ধাবমান হয়ে শিক্ষা জীবন বিকশিত হচ্ছিল। তবুও চাই নি যাহা তাহাই অজান্তে...

মোঃ ইকবাল খান

মোঃ ইকবাল খান

I am work at Travels Agency as " Manager" at Mirpur-01

গল্প

সৎ জীবনের গল্প

একটা সময় একটা লোক অসৎ ছিল। কিন্তু পরে সে অনুতপ্ত হয়ে সৎ পথে ফিরে আসে। সে সর্বোচ্চ চুরি করত তবে তা তার পেশা। সে একজন সৎ চোর। নামাজ পরে আবার চুরি করে যাকাতও দেয়! 🤣

প্রবন্ধ

কাম - তৃষ্ণা

সব প্রাণীরই কাম-তৃষ্ণা মেটে তার সহধর্মী বিপরীত লিঙ্গের সাথে সম্মিলনে। কিন্তু মানুষের মেটে না। মানুষ যে সবচেয়ে রহস্যময় প্রাণী তা বর্ষা ঋতু এসে মানব-মানবীকে বুঝিয়ে দিয়ে যায়। বৃষ্টির শব্দ প্রকৃতির আচরণকেই শুধু বদলে দেয় না, তাকে গর্ভ সঞ্চারের দিকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে...

গল্প

আজকে করবা?'

গার্লফ্রেন্ড ফোন দিয়ে বললো, 'আজকে করবা?'আমি লজ্জায় লাল, 'ইস! একবারে বিয়ের পর করবো।'- স্টুপিড, আমি দেখা করার কথা বলছি। এক্ষণ আমার বাসার সামনে আসবি। .আমি হালকা পার্ট নিলাম, 'গাড়ি নিয়াসবো, নাকি বাইক? আমার দুইটাই আছে।'- বাইক নিয়ে আসো। জোস হবে।- পালসার...

কবিতা

🍂 সোনার খাঁচা 🍂

বন থিক্কা ধরলাম আমি কালো একটা ময়না, গলায় তার হলুদ বরন দেহ ভরা গয়না। অভিমানী ময়না আমার কথা কেন যে কয় না!বনের পাখি বনে যাইবো ধরছে সে যে বায়না। কালো বরন পাখি আমার বন্ধি দশা চায় না,তাই তো আজ তিন হইলো কথা সে...

কবিতা

মুক্তির পথ দেখিয়েছিল

মুক্তির পথ দেখিয়েছিল           মো:শহিদুল ইসলাম মুক্তির পথ দেখিয়েছিলসে দিন জাগিয়ে দিয়েছিলশেখ মুজিবুর রহমান,যুদ্ধ এখন সবার কাছে সমানঝাঁপিয়ে পড় স্বাধীন কর তোমার দেশকে রক্ষা করো।  ‘দূর্গ গড়ে তোল ঘরে ঘরে ’ঝাঁপিয়ে পড়া মুক্তির পথে এবার দেখিয়ে দেববাঙালি কী না পারে।‘রক্ত যখন...

MD.SHAHIDUL ISLAM

MD.SHAHIDUL ISLAM

Teacher At Chittagong College of Technology

কবিতা

মাটির নিচের মানুষ

আমি সেজদায় নত হতে পারি না, অন্য সবার মতো দিনে পাঁচবার মসজিদের পবিত্র পাষাণে।আমার শীর্ণ ঠোঁটজোড়ায় উচ্চারণ করতে পারি না পবিত্রতম নাম!কখনো কম্পিত হয় না আমার ওষ্ঠাধর জিকিরের অদৃশ্য ওজনে;আমি রোজাও রাখতে পারি না- কারণ আমার গা জড়িয়ে রয়েছে সর্বগ্রাসী সর্পিল ক্ষুধা,সেই ক্ষুধা...

Nafis Istiak Emon

Nafis Istiak Emon

কবিতায় কান পেতে বসে থাকা আমার অসুখ...

কবিতা

প্রাক পৃথিবীর গল্প

সময় তখনও আপেক্ষিকতায় বাঁধা পড়েন নি।ফার্ন, এলম, পাইনের বনে গোপনে গোপনেঅস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো হয়নি উদয়। যুদ্ধে যাবার আগে কোনো পিতা নিজের সদ্য কৈশোরের কিশর পরা সন্তানের হাতে কালাশনিকভ দেননি তুলে; মৃত্যুদানের পথ আরও মসৃণ করবার দ্ব্যর্থহীন দাবিতে...পৃথিবীর জনসংখ্যা সে বছরও উর্ধ্বগামী-ই ছিল, আর বেবুনেরা...

Nafis Istiak Emon

Nafis Istiak Emon

কবিতায় কান পেতে বসে থাকা আমার অসুখ...

কবিতা

অদ্ভুত রাত্রি এক

জঙ্গলে স্তূপকৃত হয়ে পড়ে আছে মৃত শ্বাপদের দল-ব্যাঘ্র মাংস দিয়ে নিরীহ মৃগীরা সারে নৈশভোজন!পৃথিবী বদলে গেছে, উল্টেছে গণিতের সব ফলাফল,প্রতিশোধ নিতে তাই দুর্বলদের এই এত আয়োজন।সবকিছু থেকে আজ শবের গন্ধ ভেসে আসে,পালানোর সব পথ বন্ধ করে পলাতকেরাই!‘মৃতদের খোলা চোখ’- জোৎস্নারা...

Nafis Istiak Emon

Nafis Istiak Emon

কবিতায় কান পেতে বসে থাকা আমার অসুখ...

কবিতা

জন্মদিনে

তোর ডাকে সাড়া দিতে অনায়াসে ভেঙে ফেলি যাবতীয় কাজের কফিন;তারপর একত্রে কবিতার কানাগলি ঘুরে আসি আমরা দুজন-দিনের সময়কাল সমুদ্র হয় যদি তবে সাদা-কালো ডলফিনআমাদের স্মৃতিগুলো- তোলপাড় ঢেউ তোলে সেকেন্ডে কয়েক ডজন।জন্ম নেবার দিন পুনরায় প্রকৃতিতে ফিরে এলে জানি দিতে হয়সামর্থ্য...

Nafis Istiak Emon

Nafis Istiak Emon

কবিতায় কান পেতে বসে থাকা আমার অসুখ...

কবিতা

আণবিক কবিতাগুচ্ছ

১দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করলাম আজ খুনমাখা আস্তিনে-আব্বু তোমায় দাফন করব আজাদ ফিলিস্তিনে!আম্মুর কোনো রক্ত মাখানো ছেঁড়া বোরকার মতোঅবস্থা হবে ইসরাইলের খুব দ্রুত...খুব দ্রুত  ২ খলিফারা আজও দারু ও দাবাতে বুঁদ,মোল্লারা খোঁজে কুরআন, হাদিস, ফিকা!আমরা নাহয় রক্তের বুদবুদদিয়ে লিখে ফেলি দুর্দম দেয়ালিকা।  ৩শহীদ মেয়ের রক্তে...

Nafis Istiak Emon

Nafis Istiak Emon

কবিতায় কান পেতে বসে থাকা আমার অসুখ...

কবিতা

টর্চার সেল থেকে

গাছহীন পৃথিবীতে কোত্থেকে এলো এত বিচিত্র প্রজাতির ওরাং ওটাং?হোমো সাপিয়েন্স বলে আদৌ কি কিছু ছিল? কবে ছিল ভুলে গিয়েছি তা‘হালাকুর হাত ছুঁয়ে নির্জীব চাবুকেরা ডেকে ওঠে সপাং সপাংশিল্প সৃষ্টি করা এইখানে অপরাধ, কবিতা পড়াটা নাৎসিতা!অথচ আমার আছে অসুস্থ পক্ষপাত কবি...

Nafis Istiak Emon

Nafis Istiak Emon

কবিতায় কান পেতে বসে থাকা আমার অসুখ...

কবিতা

পাহাড়-পুরাণ

 আমি একবার পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে ভুল করে লিখে ফেলেছিলাম একটা কবিতা অথবা কবিতার মত কিছু একটা-তারপর থেকেই পাহাড় ভীষণ প্রিয়।সবকিছু খুব সহজেই আমার প্রিয় হয়ে উঠে।পার্বত্যের ওই পর্বতগুলোকে এতটাই ভালোবেসে ফেলেছিলাম যে,নিজের সমস্ত প্রতিভাকে বিগব্যাংপূর্ব মহাবিশ্বের মতোএকটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত ক'রে ওদের একটা...

Nafis Istiak Emon

Nafis Istiak Emon

কবিতায় কান পেতে বসে থাকা আমার অসুখ...

কবিতা

ঈদের বাজার

ইদের বাজার ✍️আলমগীর কবির-------------------------গিন্নী বলে ইদের বোনাস পেয়েছো এবার ভারী,আমায় নিয়ে বাজার করতে চলো তাড়াতাড়ি।লিস্টখানা নিয়ে দেখি লম্বা হয়েছে বেশ,আজই না গেলে নাকিহয়ে যাবে সব শেষ।বাজারে দেখি সব পোশাকের দামে লেগেছে আগুন, কয়েক দোকান ঘুরেই কমে মানিব্যাগের ওজন।দোকানদারের শরম নাই অযথা দাম হাঁকে,আমরা ক্রেতা পটে যাইমিস্টি কথার ফাঁদে।পুরুষের...

উপন্যাস

মাই সেকেন্ড ক্রাশ (১)

১ — চটি পড়েন?কফিতে চুমুক দিচ্ছিলাম। প্রশ্নটা শুনে ছোটোখাট একটা বিষম খেলাম। আর বিষম খাওয়ার কারণ হচ্ছে, প্রশ্নটা আমাকে করেছে একজন মেয়ে। এমন একজন মেয়ে যার সাথে আমার বিয়ের কথাবার্তা চলছে। শুধু তা ই না, আজকে, এই মুহূর্তে তার সাথে আমার...

গল্প

অ্যাসাইনমেন্ট

রাত একটা। বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। রাতুল ক্রমাগত  কাজ করে যাচ্ছে । স  ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তে ফার্মাসি ডিপার্টমেন্টে পড়ছে তৃতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টারে। সবাই অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়ে দিয়েছে অলরেডি। কিন্তু সে বিভিন্ন কিছুতে ব্যস্ত থাকার কারণে সময়মতো সাবমিট করতে পারেনি...

Fardin Nafi

Fardin Nafi

Studying Bsc in ESDM at DIU

গল্প

আমি আর তুমি

ঝুমু আজ খুব রেগে আছে। সে মনে মনে ঠিক করেছে  হৃদয়ের সাথে একটুও কথা বলবে না। হৃদয়  অনেকবার চেষ্টা করেছে ঝুমুর সাথে কথা বলার। কিন্তু ঝুমু হৃদয়ের কোন কথার উত্তর দেয়নি। দুজনের মধ্যে এত মিল তবুও হঠাৎ সিম্পল একটা বিষয়...

কবিতা

ভালোবাসার ছায়া

শুনছো কি গো, আমার তুমি বড্ড কাছের মানুষ। দেখলে তোমায়, উড়ে বেড়ায় আমার মনে ফানুস। ভাবছো কি গো, এতো বেশি বলছি আমি তোমায়। তোমার কথাই ভাবি আমি, সবাই যখন ঘুমায়। তোমার মাঝে আছে ওগো, অসাধারণ মায়া। তাইতো আমি চাই হতে চাই, তোমার কাছের ছায়া। তোমার হাসির...

রাহি আল হাসান

রাহি আল হাসান

আমি একজন স্বাধীন লেখক।

কবিতা

অভাবী আশ্রয় নিল

#অভাবী আশ্রয় নিলআব্দুল মাজেদ২৪৬৮১০ অক্ষর।  এবার সেই অভাবীলোভে আশ্রয় নিলচতুর এক ডাকাতের বাড়ি, দিনদিন পড়ে ডাকাত দিলো ঝাড়ি। আলোর মুখটা যেননিমিষেই মলিনে,ডাকাত বললো, তোদের সাথে আমরা আর হাসির থোতমা চলিনে।কতকিছু দিবেবলে দিলো কথারলাথি থাপ্পড়, চড় উপহার, নিরব নিস্তব্ধ সব মন চুপোহার।সেথায় বুঝি বুঝে গেছে ভবিষ্যত, তাই বলেনা কেহ এক কথাও।সাহস...

কবিতা

ও_বাঁধন_ছিড়ে_গেছে

#ও_বাঁধন_ছিড়ে_গেছে।আব্দুল মাজেদ।  না।ও বাঁধন ছিড়ে গেছে। এমনকিচোখে জলও এসেছে। সে জলেগালও ভিজেছে,আরও ভিজেছেশীতের গায়ের পুরাতন কাথা।সে বেদনা কী নতুন করে মনে করিয়ে দিতে চাও??চলআগাই অমৃতের বিপরীতে। অথবা, সর্বশান্ত বেদের জীবনে।শুধু নাই নাই বলেতবুও পৃথিবীতে থাকার কত চেষ্টা,এ বাঁধন ছিড়ে যায় না

গল্প

নারীর সম্মান

শ্বশুর আমার শরীরে বি'শ্রী ভাবে হাত দেয়। বিয়ের যখন দ্বিতীয় দিন তখন শ্বশুরকে চা দিতে গেলে, শ্বশুর চায়ের কাপ নেওয়ার বাহানায় হাতটা ছুঁয়ে দেয়। তখন এতটা পাত্তা দিলাম না। কিন্তু দিনকে দিন তার অত্যা'চার বাড়তে থাকে। সুযোগ পেলেই হাত ধরার...

উপন্যাস

মাহার শান্ত বিকেল

 হসপিটালের আধো আলো আধো অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি রুমে মাহা শুয়ে আছে। কতদিন পর তার ঘুম ভাঙলো সে নিজেও জানে না। হাত নাড়তে পারছে না, পা নাড়তে পারছেনা, চোখ মেলে প্রিয়জনগুলোকে দেখতে পারছে না, শুধু যেটা পারছে সেটা হচ্ছে শব্দ শোনা। মাহা সবার...

ভ্রমণ

ভ্রমন ১

আমরা বৃট্রিশ কাউন্সিলের অ্যাম্বাসেডরবৃন্দ গাজীপুর বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ভ্রমণ করি। করোনাকালীনে এক অবিস্মরণীয় ভ্রমণ। এখন লক-ডাউন লাই। গাড়ির ভাড়া দ্বিগুন মানে দুই সীটের ভাড়া দিতে হয়। একসীট খালী থাকবে এবং খালী সিটের ভাড়া দিতে হবে। এইভাবে চলছে গণ পরিবহন।কালীগঞ্জ করিম...

ভ্রমণ

ভ্রমন ২

সকালেই আমরা হোটেল নিরাপদের বিল পরিশোধ করলাম। হোটেল বিল পরিশোধের ব্যাপারে আব্দুল মালিক রাজু স্যার আর খোরসেদুজ্জামান আহমেদ স্যার অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে। গতকালের দুটি গাড়ি আজও সকালে আমাদের জন্য হাজির হয়েছে। দুজন ড্রাইভারই ছেলে বয়সের। আমাদের সাথে তেমন কোন...

ভ্রমণ

ভ্রমন ৩

গাজীপুর খান স্কুল এন্ড কলেজের আইসিটি শিক্ষক মো. ফারুক আহমেদ স্যার বলেন, স্যার সরকার সম্ভবত আগামীমাসে স্কুল খুলে দিবে। আমরা আর সময় পাবো না তাই আরেকটি নদীপথে ট্যুর করি। এবার আমরা যাব স্বপ্নদীপে। আমি বললাম, এটা আবার কোথায়? ফারুক স্যার...

কবিতা

🍂 রঙিন ক্যানভাস 🍂

খুব রঙিন এক ক্যানভাস হতে চেয়েছিলাম, কিন্তুু এই পৃথিবীর বর্ণীল সব আলোর ভীড়ে হারিয়ে গেছি বহুবার। তাই একান্ত অবসরে এই ঘুমন্ত শহরে, হেঁটে গেছি অনেক দূর, নীল আকাশে কখনো মেঘ, কখনো রোদ্দুর। অভিমানের প্রহর ভেঙ্গে এই দুচোখের দৃষ্টি যতদূর,শত মানুষের ভীড়ে হারিয়ে যেতে পারিনি সে...

কবিতা

স্বাগতম মাহে রমজান

স্বা= স্বাগত জানাই মাহে রমজান,গ=   গড়বো ধরায়, শান্তি জাহান।ত=  তসবিহ,  তাহলীল, পাক কালাম,ম=  মন ও দেহে আনবে সালাম।মা= মাসের সেরা জানি সবে,হে= হেলা কভু করবেনা যে,র=   রহম, করম, সব ফজীলত,ম=   মহান প্রভুর খাস নেয়ামত।জা= জানাই সবে, সব...

উপন্যাস

মাই সেকেন্ড ক্রাশ (২)

আগের পর্ব ২ জীবনে প্রথম চটি পড়ি ক্লাস সিক্সে। সেই দিনটার কথা কেন যেন মনে পড়ে গেল। পেছনের বেঞ্চে বসেছিলাম। পাশে ছিল সুমন। কি যেন পড়ছিল মনোযোগ দিয়ে। উঁকি দিলাম। ও দেখলাম লুকিয়ে ফেলল। এরপরে কি ভেবে নিজেই জিজ্ঞেস করল— পড়বি?— কি?—...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (১৮)

৮৬ স্মরণ করবে কি পৃথিবী আমারে আমি চলে গেলে কাল পৃথিবী থেকে,          করলাম কি কাজ এমন একটিবারেমনে রাখার মতো পৃথিবী আমাকে।           আমিও পৃথিবীর স্বজন একজন          করতে চেয়েছি পৃথিবীকে আপন,আমারও স্বপ্ন ছিল কিছু কর্ম করে যেতে—         মনে রাখার মতো পৃথিবী আমাকে॥ সবাই তো আসে...

কবিতা

নারী

শিখবে সবে, তোমায় দেখে,লজ্জা কারে বলে,কেমন করে লজ্জা শরম সবি গেলে ভুলে!চলছো পথে, পথ হারানো, পথিক সাথে লয়ে,আঁধার ভরা জীবন পথে, ছুটছো হন্যে হয়ে!জীবন যৌবণ সফল কোথা, খুঁজবে কীনা!সেরা কালের জীবনীতে, রত্নগর্ভা হবে কীবা।জনম জনম করবে স্মরণ,  শ্রদ্ধাভরে জাতি,গর্ব করে...

কবিতা

স্মৃতিরা অমলিন

স্মৃতিগুলি পাখি হয়ে আকাশে উড়ে,জানিনা আজ কোথা, আছো কতদূরেবয়সের ভারে কেউ পড়েছে নুঁয়ে,কেউ কভু, তার মতো যুদ্ধ করে।অমলিন স্মৃতি সব সুখ দেয় আনি,ফিরে কভু পাবনা, সব স্মৃতি জানি,তবু সব থেমে থেমে, ভেবে দেখা হয়,স্মৃতি সব স্মৃতিপটে, আজো অক্ষয়।দেহ আর কারো...

কবিতা

একই পথে চলি

আবার ছেঁড়া পালে তালি জুড়ে,ভাঙ্গা মাস্তুলের জাহাজে করে,অসীম শক্তির, বাঁধভাঙ্গা জোয়ারে,ছুটে চলো অগ্রগামী, অলসতা ছেড়ে।অস্রবল, ধন জনবল, সবি কোন ছার,খোদার করুণায়, প্রচন্ড প্রতাপে করিব রুদ্ধদ্বার,অত্যাচারী, মানব কশাই, মানবতার ফড়িয়ার,সব পালাবে, কেউ রবেনা, পুঁড়ে করো ছারখার।মিছে ভাবো কেন, হীনবল বলো,নিজের শক্তি...

কবিতা

নিরলস মিনতি

ইতিহাস ও ঐতিহ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতির পাদপীঠ, তিতাস বিধৌত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ঐতিহ্যবাহী "ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি অনার্স কলেজ" এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ, উক্ত জেলার কৃতি সন্তান, স্বনামধন্য,  প্রফেসর আবুল হাসান স্যারের শুভ জন্মদিনে আন্তরিক অভিবাদন ও শুভেচ্ছা।জীবনে জীবনে আলো জ্বেলে আজ,জীবনের স্মৃতিতে জমা কথা, কাজ,জ্বলজ্বলে...

কবিতা

তারাবীহ

মেহমান হয়ে এসেছ ভবে,স্রষ্টার অপরুপ সৃষ্টি,ধন্য সবে, জীবনে পেয়ে,মহামহিমার অতুল কৃষ্টি।রহমত, নাজাত, মাগফিরাতের,স্বাক্ষী স্বয়ং খোদার,ভুল ত্রুটি সব মার্জনা চেয়ে,চাইযে প্রভুর দীদার।নব্বই মিনিট কিংবা বেশি,একটি মাত্র বেলা,কীযে মধুর ভাব- বিনিময়,জমে কথার মেলা।তারাবীহ তুমি স্বাক্ষী থেকো,কত দূর্বল, ব্যস্ত নাকাল,তবু হাজির হয়েছি সবে,দেয়নি...

কবিতা

সেহেরী

ঢুলু ঢুলু আঁখি, মেলিতে না পারি,ডাকে প্রিয় জন সবে লও সেহেরি। কোরাস কন্ঠে সংগীত গেয়ে পারার নওজোয়ান,সেহেরি খেতে ডাকে বাঁকে বাঁকে নীরবতা খানখান।ডাকিয়া চলে স্ব উৎসাহে আদরের ভাই বোন,কখনো মা, কখনো বাবা, ডাকে নিরলস, নির্ঘুম।ঘুমের কারণে যদি না পারে খেতে সেহেরী, তাই...

কবিতা

খুশির ঈদ

ঈদের খুশি ভাগ করি ভাই, সবাই মিলে-মিশে, ঘরে-বাইরে, দেশ-প্রবাসে,সবাই যেথায় আছে।সবার খুশি, মোদের খুশি,জীবন যাপনে,আপন পর, সবার খুশি, বাজে মনে প্রাণে।চলোনা ভাই সবাই মিলে,দোয়া করি, দু'হাত তুলে,ঈদের খুশি সবার করে,থাকুক জীবন জুড়ে।ছোট বড়, আপন পর,শত্রু-মিত্ররে,"ঈদ মোবারক" সবার তরে, ঈদ-উল-ফিতরে।জানিনাক কোন সীমা,কোন পরিসীমা, বিশ্ববাসীর হাসি কান্না, মোদের...

চিন্তা

হিন্দু ধর্ম এবং নিরামিষ আহার

 সব কিছুই জাগতিক, মায়া দ্বারা আচ্ছন্ন।পড়াশোনা নাই,মানবতা নাই,মানুষকে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা,নিরামিষ খাবার কেই শুধু প্রাধান্য দেয়া। প্রাধান্য দেয়া বলাও ভুল, যারা আমরা নিরামিষভোজী না, তারা সবাই অসুর, অশিক্ষিত, অধার্মিক পশু।পশু সমতুল্যও না, একেবারে সরাসরি পশু!পৃথিবীতে শুধুমাত্র ভোগ করার জন্যই...

রনি কুমার সরকার

রনি কুমার সরকার

প্রভাষক, নবকুমার ইন্সটিটিউশন ও ড. শহীদুল্লাহ কলেজ

কবিতা

ইয়াওমুল যাজা

টুটাফাঁটা ঈমান আমল,অপূর্ণ সিয়াম সব,ভুল ত্রুটিতে ভরা যতো,তিলাওয়াতের সময়।কেমন করে আশা করি,ক্ষমা পুরষ্কার,ইয়াওমুল যাজা নামে,ঐশী ঘোষণার।রাস্তার মোড়ে মোড়ে, ফেরেশতারা মুছাফাহ করে,তাড়াতাড়ি ইদগাহে যাও,দেরি হয়না পরে।কাঁদতে কাঁদতে ভূলুণ্ঠিত,প্রকাশ্য শত্রু শয়তান,এই বুঝি সব ক্ষমা পেলো,খোদার মেহমান।ভুল করেছি, মাফ করে দাও,আল্লাহ মেহেরবান। দয়াল প্রভুর মহান...

কবিতা

আদর্শ বাবা

"মেজু মিঞা ডাকবে 'বাবা', 'বাজান' বড় মিঞা,'আব্বা' বলে ডাকবে আমায়,ছোট শাহজাদা।কবরপাশে দাঁড়িয়ে থেকে,করবে দোয়া জনে জনে,ব্যস্ত থাকা এই দুনিয়ায়,যখন সময় রবে।গোরের কাছে, আসার তরে,সময় যদি নাইবা মিলে,যখন যেথায় যেমনি থাকো,দোয়া করো প্রাণটি খুলে।সূরা, ক্বিরাত, দোয়া দরুদ,পড়বে মন দিয়ে,বখশে দোয়া দিও করে,রুহের...

কবিতা

ফিরতেই হবে

আজো মেঘ ডাকে গুরুগম্ভীর স্বরে,বৃষ্টিরা নামে বাতাসে ভর করে।কী বার্তা পড়িয়ে শোনায়, মর্মকথা,অঝোর ধারায় আকাশ কেঁদে সারা।সে চোখ খোঁজে, কপালের ভাঁজে,বিরক্তির কালিমা মুছে, স্বস্তি ফিরে,নির্বাক কভু অকারণ সবাক ঝলক,বিজয়ীর বেশে ছোঁয়া মাইল ফলক।শান্তিতে রাখো, শান্তিতেই থাকো সবে,আজীবন কামনা সবার অবিরত...

কবিতা

স্রষ্টার অবদান

সরবে নীরবে,করজোড়ে, ভালোবাসি তোমারে,পরম পুলকে, শ্রদ্ধাভরে,ভাবি নীরালায়, ভীষণ করে,বসবাস হৃদয়ের সরোবরে ।স্রষ্টা!সৃষ্টির উপাস্য।ধ্যান, জ্ঞান, জীবন, গরিমা,স্রষ্টার অবদান;কেউ গায়, কেউ গায়না,স্রষ্টা মহীয়ান।  কেউ মানে  কেউ মানেনা,হৃদয় গহীনে, অতুল দহনে,খাঁটি হয় ক'জনা!কেউ জানে, কেউ জানেনা,পথের দোয়ার বন্ধ কীনা,কেউ খুঁজেনি কেউ খুঁজেনা।কেউ জানে, কেউ...

কবিতা

বাওনবাইরার ফুলা আমি

এসেসকার, লেলগারীডা,থামব গিয়া টিহই,ফতে ফতে লাইজ্জার কিছু,দেইক্কা দেইক্কা চলই।কিমুন জানি বাইন্দা রাহে,লেলগারীডার বাঁশি,আওয়াজ ফাইলে ফুরা গেরাম,জাইগ্গা ওডে দিহি।ডাহা তিক্কা ছিটাং যায়,কত লংগের গারী,সিলেট, ফেনি, মমিসিং,ডিগিল ডিগিল সারি ।ফুলা ফুরি  দৌর মারে,গারীর আওয়াজে,হেতের লাইলের দুব্বা ওডে,ফাডা বুক বাজে।বোরবেলা গুম বাঙ্গে,ফজর আযান...

ভ্রমণ

ভ্রমন ৪

আমরা সব জিজেরা মিলে প্লেন করলাম কোথায় ঘুরতে যাওয়া যাক ৷ রিদা আপু বলল, পার্কে যাওয়া যাক। তানিম ভাইয়া বলল, পার্কে গেলে তো জিজেদের সম্মান চলে যাবে। আমি বললাম, জিজেদের সম্মান নিয়ে কথা তাহলে ঢাকা চিড়িয়া খানায় যাওয়া যাক ।...

কবিতা

প্রতিনিধি আল্লাহর

বড়ই আফছোছ!এ কী হলো শের, শার্দূল,হুল ফোটালো ভীমরুল!অবিশ্বাসীরা ছলাকলা করে,মশা, চামচিকে, বিশ্ব জুড়ে,কেমনে শোষণ করে!তুমি আছো দুঃখে,সুখ খোঁজ পরসুখে,এই যে পরম পাওয়া।সুখ সাগরে হাবুডুবু খায়,স্বপ্ন বিভোর, রাত দিন যায়,তোমারি আপন ভ্রাতা।হতে পারো আরব, অনারব,ভিন্ন কোন জাতি,এতো আসল পরিচয় নয়।তুমি প্রতিনিধি...

কবিতা

নগদে নগদ এলো

লেনদেন সব হবে,"নগদ" এ বুঝে পাবে।শহর, নগর, বন্দরে,সব রবে "নগদ" এ।রিয়াল, টাকা, ডলার,রিঙ্গিত, পাউন্ড, রুপি আর,সব হবে, সব পাবে,ঝামেলারা পালাবে।গ্রাম থেকে শহরে, শহর থেকে গ্রামে।অলি গলি পাড়াতে,রাস্তার বাঁকে বাঁকে।সুখ দুঃখ প্রয়োজনে,যতো সব আয়োজনে,সায় দেয় জনে জনে,নগদ দেখি সবার সনে।লিমিট পায় বেশি...

কবিতা

সবুজে শান্তি

সতেজ মসৃন সবুজ পাতার ডগায় শিশিরকনা,সাদা হীরের নিরেট টুকরো বলে যায়রে চেনা।কাকচক্ষুর মত স্বচ্ছ দৃষ্টি নিক্ষেপিত বারবার,ক্লান্তি নাশে শ্রান্তি প্রাণে, শান্তি নামে অপার।এতটুকু সবুজ, কচি কিশলয়, মেলেছে আঁখি সবে,কে জানিত, কখন শান্তি, মিলবে বুঝি এইভাবে।কত পথ চলা, জীবন জুড়ে, সময়ের বাঁকে বাঁকে,কত সুখ...

কবিতা

বিশ্বাসের বিশ্বায়ন

বিশ্বাস করো, ভালোবাসি কতো,খাঁদ নেই তার, তাও ভালো জানো।ভালোবেসে যা' করিবার তরে,তা' পারিনা, দেখো ভাল করে।সবজান্তা, হে অন্তর্যামী!  কোনমতে তোমারে, ভূলিতে না পারি,অজানা শংকা - ভয়ের বাড়াবাড়ি,আপনারে ভুলি, তোমারে স্মরি,কভু রিপু-পুঁজারী, তোমারে ভূলি! সব পাপ তাপ, ভুলের মাশুল,ভেবে ভেবে সদা পরাণ...

কবিতা

বিশ্বাসের মেরামত

অনেক মরীচিকা স্তরে স্তরে জমেছে,পাপের ধুলোবালি, আস্তানা গেড়েছে,রাশি রাশি পাপ সবে ঐক্য গড়েছে,কী করে, কোথা যায়, বলে কার কাছে?নাই নাই শ্রদ্ধা, স্নেহ নাই কোন পাশে,মানুষ নামে অমানুষ দেখে চারিপাশে।জানেনা তো চিনেনা, কী তার পরিচয়,জীবনের প্রীতি সব, সহসা ইতি হয়।লোভ, মোহ,...

প্রবন্ধ

কুরবানী মৌলিক চিন্তা

পশু কুরবানি মানুষের অর্থনীতিক ক্ষমতার স্মারক বহন করে। গণতন্ত্র যেখানে দুর্বল, সেখানে অর্থনীতিক ক্ষমতাই রাজনীতিক ক্ষমতার মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশে যে-আবহাওয়া বিরাজ করছে, তাতে মনে হয় না কুরবানি একটি ধর্মীয় প্রথা। বরং কুরবানির মাধ্যমে কীভাবে অর্থনীতিক ক্ষমতার প্রচার চালানো যায়, সেটিই...

কবিতা

প্রিয় রাসূল (সাঃ)

লাখো কোটি দরুদ-সালাম,হে প্রিয় রাসূল (সাঃ) আমার।মদীনার বুকে আজো তুমি,আছো জাগ্রত, উম্মতের প্রাণ।ওগো মোর পেয়ারা নবী,তোমায় নিয়ে ব্যস্ত সবি,মহান প্রভুর হাবীব তুমি,অশ্রু ঝরে, আঁখি চুমি।আঁধার কালো, পালায় রাতি,জ্বাললে তুমি হেরার বাতি।দলে দলে আসলো ধেয়ে,অপার তৃষা সঙ্গে নিয়ে।শান্তি ধারা নামলো সবি,আলোর...

কবিতা

দাও সবারে

জন্ম হতে মৃত্যু,সৃষ্টি হতে ধ্বংস,শুরু হতে শেষ,জীবনের অবশেষ।পূর্ণ হবেনা কিছু,তাওবা না করো,পলে পলে খোদার,সামনে দাঁড়াবার।কী লাভ হবে,জাহান্নাম লভে,নামাজ কালাম সবে,মিছে মাটি রবে।ভরসা শুধু করুণা,নেক কাজ অনুকণা,এসবে জান্নাত চাইনা,দীদার ছাড়া মানিনা।আবদার আল্লাহর দরবারে,শক্তি যজবা দাও সবারে,দাওনা অতুল ঈমানের জোর,আলোর ভোর, জীবনের...

কবিতা

নির্বোধ

 এক কাপ চায়ে ঠোঁট রেখেভুলে যাই মৃত প্রেমিকার নাম।যে গেছে সে তো মৃতই(?)প্রেমিকারা কখনো ব্যর্থ হয় নাসফল পোস্টমর্টেম শেষে প্রেমিকেররক্তাক্ত হৃৎপিণ্ডে আঁকে অন্য কোনো পুরুষের নাম।আমিও পুরুষ!সহস্র সূর্যের তেজ আমারও আছেআমাকে পোড়াবে তুমি?নির্বোধ!

কবিতা

তুমি কী জানো!

তুমি কী জানো!গতিতে সচল,বেপরোয়া, বিকল,ধ্বংস শিকল,তোমার হাতে,স্বেচ্ছায় পড়ে,নিজেই বন্দী।বার বার জিতে,হার মানাতে,আজ অপারগ,নিছক লোভে,শত্রুর সাথে সন্ধি।এ কী পরিণাম!তেজোদৃপ্ত লৌহমানব,জীর্ণ -শীর্ণ, হীন দূর্বল,সিংহ শার্দূল,কংকালসার।ফের জাগো,জাগিয়ে তুলো,হুংকার মারো,বিস্ফুরণ উন্মুখ,  অগ্নি- জ্বালামুখ। ক্ষণে ক্ষণে উদগীরনে,গলিত লাভার স্রোত,ধূলিঝড় তুলে, তালে বেতালে, দেখিয়ে শেখানো হোক। ০৯/১২/২০১৮ ঈসায়ী সাল।১/এফ/৫, মীরবাগ,মগবাজার,...

কবিতা

সুখের দিঠি

নীলাকাশে শুভ্র মেঘ,স্নিগ্ধ আলোয় বিশ্ব বেশ,সুখের তরী, চাতক খোঁজে,চাতকী দূরে মান অভিমানে।ঝরা পাতার পতন দেখে,কচি পাতা রয় কী থেমে,সবুজ কীবা হলদে হয়ে,শুষ্ক, সবুজ পাতা ঝরে।ভালোবাসার গান কবে কা'র,প্রেমের সুরে, মাতাল অপার,হৃদয় তারে নৃত্য করে,সুর ও ছন্দ, শব্দ ঘিরে।বিরহের সব বর্ণমালা,করুণ...

কবিতা

ভালোলাগা - ভালোবাসা

প্রেম, ভালোবাসা মিছে অভিনয়,স্বার্থের হয় জয়,আবেগ ফানুষ, রঙ্গীন মানস,অর্থ কথা কয়।ষোল আনা মোর বুঝিয়া পাইলাম,বাকী সবই ফাঁকি,ভালবাসা আর ভাললাগার,তফাৎ বুঝার দাবি।ভুলে যাও সব, যেও ভুলে,ঠিকই ভুলে যাবে,ভুলকে ভুলিতে জীবন গেলো,যায়না ভোলা ভুলে।খোদায় করে কালিতে নয়,সোনার হরফে লেখে,জীবন পাতার কঠিন শিলায়,মুছতে...

কবিতা

শ্রমিক

আঁধার কাটেনি এখনো,ক্লান্তিরা ছাড়েনি পিছু।সুদ, ঘুষ, চুরি, ডাকাতি,ভিক্ষা নয় রাহাজানি।শ্রম আর সময় দুই বেঁচে,অপমান, লাঞ্ছনা পেয়ে,তবু থামেনা হালালের সন্ধানে,দু'মুঠো আহারের প্রয়োজনে। পথের ধারে কিংবা 'পরে,দাঁড়িয়ে বসে জটলা করে,এদিক ওদিক তাকায় শত,কাজের খুঁজে অবিরত।তোমরা কেহ যাও পালিয়ে,জটলা দেখে প্রাণটি নিয়ে।কেটে পড়ো বিপদ...

কবিতা

পার্থক্য

ইচ্ছা, সংকল্প, শখ আর লক্ষ্য,ভেবেছো কভু তার  কী পার্থক্য,ভালোলাগা,  ভালোবাসা,জানতো এক নয়,তবু তো কতো জীবন,এলোমেলো, শেষ হয়।ভালোলাগা ভিত হয়,সব ভালবাসার,ভালোলাগা ভালোবাসা,দুজনে দুজনার।ভালোলাগা চায় সদা,শেষ পরিণতি,প্রতারণা, স্বার্থ,না থাকে যদি।ভালোলাগে তাকে যার,সবকিছু ভালো,ভালোবাসি তারেই তো,আঁধারের আলো।ভালোলাগা, ভালোবাসা,হৃদয়ের গভীরে,প্রোথিত করে রাখো,অজানা গহীনে।সেই পাবে দূর্লভ,স্বার্থক...

কবিতা

তারপর...

দেখা হয় মুখোমুখি , বসে-বসি পাশাপাশি,প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে,হাই, হ্যালো বলি।তারপর..............কথা বলিতে বলিতে,জল্পনা, কল্পনার অবসানে,মুখোমুখি, পাশাপাশি,শ্রেণী সীমানা পেড়িয়ে,জানা-অজানা কত দূরে!মা-বাবা, ভাই, বোন ও স্বজন,কেউ জানে, কভু জানেনা,ভুলেও ভেবে দেখেনা।স্বাধীনতার নামে,লাগামহীন আত্মঘাতী, স্বেচ্ছাচারিতা চলে,বেশুমার বেলা-অবেলা।সুস্থতার ত্রি-সীমানা তোয়াক্কা না করে,অসুস্থ মন-মানসিকতার, নেশা-ঘোরে,ভাল-মন্দের দেয়াল মুছে,অচেনা রাজ্যের, ভয়ংকর...

কবিতা

হাসাহাসি

দিবানিশি হাসাহাসি,চলে কভু দেখাদেখি, কেউ হাসে খুশিতে,হাসে কেউ বিদ্রূপে।ঠাট্টা-বিদ্রূপ কভু তা' ভালো নয়,হেসে খেলে এই কাজে,ব্যস্ত কেউ রয়।কোন হাসি, উৎসাহ,আরো আনে প্রেরণা,সহজ হতে সহজতরবন্ধুর পথ চলা।এক চিলতে হাসি, আনে দিবানিশি,স্বর্গীয় সুখকর,স্বপ্নিল বাঁশি। কোন হাসি আশীর্বাদ,কোনটা তিরস্কার, কোন হাসি লজ্জার,কেউ ভাবে অহংকার।হাসে কেউ নিজেনিজে,নিজেকে বড় ভেবে,কেউ...

কবিতা

মজলুমের আশ্বাস! 

তালেবান, আই. এস, জঙ্গীবাদ,জিহাদি গোষ্ঠী, বারংবার,জিহাদ বলে, মুখটি ঢেকে,মারছে মানুষ বেশুমার। মুজাহিদ ওরা নয়,বিধর্মীদের দালাল,ইয়াহুদীর চক্রজাল,শয়তানী আজকাল।সত্যিকারের মুজাহিদ,গর্জে কন্ঠে তাওহীদ।তর্জে তর্কে দিক্বিদিক,পালাবে সব মুনাফিক।অত্যাচারীর ত্রাস, মজলুমের আশ্বাস,জালিমের গর্দান,নিমিষেই লুটে প্রাণ। বার বার করে,মঞ্চ সাজায়,জিহাদ জিহাদ,পাঁতছে ফাঁদ।আছে কী অনুমতি?ত্যাগিছে বিশ্বপতি?আহ্বাণে কাবার ইমাম,কোন মুসলিম সেনানী!জালিমের...

কবিতা

বাইয়াত হতে চলি

যুদ্ধ মোরা চায়না কোন,শান্তি সবে চায়,অত্যাচারী, স্বার্থপরে,যুদ্ধ খেলে যায়। মনে প্রাণে দাবী দাওয়া,রবো মিলে মিশে,ধর্ম, কর্ম, করে সবে,থাকবো ভালোবেসে।মুনাফিক আর বিশ্বাসঘাতক,নিঁঠুর খেলা খেলে,মারামারি, হত্যাযজ্ঞ,চালায় আঁড়ালে।তোমার ওপর আমার ওপর,দোষ চাঁপিয়ে বাঁচে।ভেঁজা বেড়াল, ছলা কলাবুঝতে নারে পাছে।মুসলিম নেতা, রাজা, প্রজা,মানুষ পৃথিবীর,হাতে রেখে হাত...

কবিতা

🍂 আমাদের এই শহর 🍂

এ শহরে স্বপ্নের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ;আকাশ ছুঁয়ে যায় কাঁচের অট্টালিকা, কখনো বা মানুষের ভীড়ে;বিক্রি হয়ে যায় সদ্য স্বপ্ন দেখাগ্রামের মেয়ে অনামিকা। অপরিচ্ছন্ন ভিখারির চোখ;দশ টাকার স্বপ্ন দেখে।পার্ক রেস্তোরাঁ গুলোতেঅশ্লীলতা ঠোঁটে মুখে জরিয়ে থাকে।

কবিতা

দু'হাত তুলে

নামাজ-কালাম পড়ে,তাসবীহ্ তাহলীল করে,চাইবো সবি দরুদ পড়েমহান দরবারে।প্রিয় প্রভু, আমার,বলি গোনাহগার,মাফ করো পাপ ও তাপ,ভিখারি দয়ার।দোয়া করি, দোয়া চাই,সকল বোন ও ভাই।মা-বাবা, আত্মীয়- স্বজন,সবার আপন সবাই।আমরা সবে, মিলেমিশে,চাইবো দু'হাত তুলে।ভুল ও পাপ যা করেছি,ভুলের মাঝে ভুলে।১৫/০৫/২০১৯ ঈসায়ী সাল।

কবিতা

স্বপ্নের আর্তনাদ

স্বপ্নে আজো স্বপ্নের ব্যবচ্ছেদ,করে যাও অবিরাম,টলেনা কী শোনে প্রাণ,স্বপ্নের আর্তনাদ!বিশ্বাস ও প্রেমের ফল্গুধারা,অবিরত বয়তো নদী,স্বপ্ন পেতো জীবন তাহার,প্রাণ পিয়াসী হতে যদি। আকাশ মাঝে খোঁজতে কভু,চাইনি কভু চাইবোনা,সুখেই আছো, সুখে থাকো,বাঁধার দড়ি বাঁধবোনা।আমায় কেনো স্বপ্ন মাঝে,হুঁশ-বেহুঁশে ব্যস্ত রও,লেনাদেনা রয়লে বাকী!ষোলো আনাই বোঝে...

কবিতা

ইফতার

প্রানপণ ছুটে ঊর্ধশ্বাসে, বেলা যায় বুঝি শেষে,কখনো যানে, ত্রস্ত পদে চলে বাড়ীর আশে।ছুটে আর ভাবে, কেনো যে সময়আরো লম্বা হলোনা,সবার সাথে ইফতার নেয়া, ভাগ্যে কী আর পাবোনা!কতো দেরি, শ্রান্ত দেহেসাজানো ইফতারি,বার বার নেয় দেখে, মোবাইল আর দেয়াল ঘড়ি।আযান ধ্বনি বাজলো বুঝি,মসজিদেরই মিনার হতে!ঘরের সবাই,...

কবিতা

তাঁদের তরে

সকাল সাঁঝে, ভাবছো দেখে,বাসছে ভালো, সীমা রেখে,কেউ কাহারো স্বার্থে, কাজে,স্বার্থহীনে সবার মাঝে।বাসছে ভালো নেই প্রতিদান,কষ্ট পেলো, নেই অভিমান।দেখলে বিপদ আগে পরে,পাশেই পাবে, আপন করে।যারা তোমায় আগলে রাখে,ভালবেসে চোখে চোখে,সারাবেলা মন্দ ভালো,আপন মনে খবর রাখে।ভালোবাসে মনে মনে,সুদূর হতে বহুদূরে,পর হলেও আপন...

কবিতা

আমি ফিরে যেতে চাই

আমি ফিরে যেতে চাইশহর ছেড়ে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ ঘেরা মাঠেদুই ধারে কাশফুল মধ্য দিয়ে বহমান নদীর তীরেধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ার লুকোচুরি খেলার মাঝে।আমি ফিরে যেতে চাইশ্যামল ছায়া বৃক্ষের শান্তির নীড়েযেখানে ঘাসের ডগায় শিশির জমেরাখাল বাজায় বাঁশি চিরচেনা বিস্তৃত প্রান্তরে ।আমি ফিরে...

কবিতা

বিপ্লবী  (২১)

বিপ্লবী!হুংকারে তব,কাঁপে থরথর,পাতা-পত্তর সম,পড়েই নিথর।পথ হারিয়ে ফের,পালাতে না পেরে,পথ ভুলে সব,পায়েই লুটে।গর্জ নিনাদ,ঘুচে বিবাদ,কন্ঠে বাজে,ত্যাজি স্বর।নিরাশার জল,বয় ছল ছল,ঝর্ণার ওপারে,স্বপ্ন সকল।বিপ্লবী!কন্ঠে তব,বার বার রব,তীক্ষ্ণ ধারালো,তলোয়ার সম।হবে উচ্চারণ,গগন বিদারী,কর্ণ ভেদিয়া,হিংস্র ব্যাঘ্র, আসন ছাড়িয়া,শোনে গর্জন ।বিপ্লবী!মার্চের তালে তালে,পদপিষ্ট পা'তলে,শত শত পাপ,নির্বাক পরিতাপ,করে হা...

গল্প

অশরীরী ধর্ষণ

 বাসর ঘরে ঢুকেই দেখি স্ত্রীর অন্যের সাথে শারীরিক সম্পর্কের চিহ্ন স্পষ্ট ফুটে আছে। রুমে ঢুকে দেখি ফুলের বাসরে ফুলগুলো দু-একটা ছিড়ে শাড়িটা খোলা অবস্থায় শুয়ে আছে আর তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে কারো তার চিহ্ন স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। বাসর ঘরে...

কবিতা

বিপ্লবী  (২২)

বিপ্লবী!ভাবছো কিছু?কীযে হলো?নারী, শিশু!নাইরে কেনো?শান্তি নিরাপদে।ঘরে বাইরে,পথে-ঘাটে,হাট-বাজারে,ছুটছে কাজে।নরক কীটেভাবছে বাজে,সকাল সাঁঝে,ভদ্র সেজে,মান লুটে যে!যান বাহনে,চলাচলে,পথের মাঝে,একলা পেলে,হচ্ছে কী সব?সবাই কেনো নীরব?নেই প্রতিবাদ,নেই প্রতিরোধ, করো আবাদ,জোর অনুরোধ, মুক্তি আনো,শান্তি দানো,দিগ্বিজয়ী বীর,কৌশলী মহাবীর, বিশ্ব-বিধাত্রীর,চির বিপ্লবী। বিপ্লবী! কোথায় তব,গাইতি শাবল,ডান্ডাবেরী,করতে বিকল,হরমুজ দরমুজ,চল্ সহ চল্,ভাঙ্গবো কোমর,শির দাঁড়া সব,গুঁড়িয়ে দেবো,আবাস...

কবিতা

বিপ্লবী  (২৩)

বিপ্লবী!স্থানেস্থানে,মানব জনে,প্রাণে প্রাণে,জাগাও প্রাণ;প্রাণহীন দেহ,নীরব নিথর,স্থবীর পাথর,রবে নিষ্প্রাণ?মনে প্রাণে,মানে শাণে,মিলে মিশে,দিবা নিশি;জাগো আজি,রাখবে বাজি,জাগাও সবি,অগ্রে র'বি।চিরবিপ্লবী!জন্ম জন্মান্তরে,অবহেলা অনাদরে,কষ্টের রাজপথে,ভঙ্গুর বন্ধনে,কাছাকাছি ;মৃত্যুপথে,গলাগলি করে,মৃত্যু ধ্বংসে,ইতিবৃত্ত লিখে,নবজাগরণে,আমরণে,চলো পাশাপাশি।মৃত্যুঞ্জয়ী! বিপ্লবী।মৃত্যু জয়,কর কমলে,মৃত্যুভয়, কোথা' হারালে,অমৃত পানে,কে হারাবে,ছুটাছুটি দশদিক ;অত্যাচারী,চির অপকারী,রক্তখেঁকো,নিঁঠুর পাষাণী,পালায় ছুটে,মৃত্যুভয়ে,দিক্বিদিক। বিপ্লবী!আজি তোর,উল্লাসী ভোর,খোলবে দোর,বাহন বায়ু,বাড়ছে আয়ু,শক্তি...

কবিতা

বিপ্লবী  (২৪)

বিপ্লবী,ক্ষুরধার লিখন,শাণিত ভাষণ,ক্ষীপ্র তীব্র,চলাচল তব,হারালো যত,শ্বাশ্বত ছন্দ।আজ কেনো,পরাণে ব্যথা,দুঃখ গাঁথা,পাথর চোখে,অশ্রু ঝরা,নিরানন্দ!বিপ্লবী, কোথা তোর,বিপ্লবী দোর,রাঙ্গা ভোর,অগ্নিগর্ভ,চির নতুন;ঝরাজীর্ণ,সব পুরাতন,ভীত বিহ্বল,কর্ পলায়ন,জ্বালবে আগুন।হারিয়ে গেলি!হেয় হারালি,ঘুমের নেশা,নেশার ঘুমে,স্বপ্ন দেখে,দিন কাটালি;আর কতোকাল,হবে নাকাল,ঘরের পরে,সবার তরে!এমন করে, হবে বলি!হুংকারে তোর,কাঁচের মতো,ভেঙ্গে ফেলো,বাধা যতো,দল উপদল,হও একদল।ঝাঁপিয়ে পড়ো,বীরের জাতি,বিদায়...

কবিতা

মানবতার ধ্বজা

তোমার চোখে, বিষ কেনো ভাই,নাইকি নিরাপত্তা, বানের মতো ভাসবে সবি,কু-নজর লাপাত্তা।মুসলিম তুমি, সৃষ্টি সেরা,সবার ভারই তোমার, হিন্দু, মসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, সবাই তব, সমান।শান্তি নিয়ে ভিন্ন চালে,কেমন খেলা খেলে!দেখবে সবি, জেতার খেলা,খেলো কৌশলে।তোমার পারা, সমাজ, দেশে,উপজাতি,  জাতি বেশে,মানুষ যারা আশেপাশে,রাখো শান্তি নিরাপদে। অশান্তি আর ভেদ-ভেদাভেদ, আনবে...

গল্প

অশরীরী ধর্ষণ ২

 চোখের সামনে অদৃশ্য কোন শক্তি নিজের স্ত্রীকে ধর্ষণ করছে আর অত্যাচার করছে আমি কিছুই করতে পারছি না। আমি শুধু দেখছি তাসনিমের অত্যাচারিত হওয়া মুখটা কিভাবে কাকুতি-মিনতি করছে নিজেকে বাঁচানোর জন্য এই কষ্ট হয়তো একটুও সহ্য করতে পারছে না। প্রায় একঘন্টা...

ভ্রমণ

ভ্রমণ ৫

বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলার মধ্যে একটি হলো বান্দরবান। বান্দরবানের দক্ষিণ-পশ্চিমে কক্সবাজার, উত্তর-পশ্চিমে চট্রগ্রাম জেলা, উত্তরে রাঙামাটি ও পুর্বে মায়ানমার। ভৌগলিক কারণেই বান্দরবানে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। পাহাড়, নদী ও ঝর্ণার মিলনে অপরূপ সুন্দর বান্দরবান জেলা।তাইতো একঝাঁক ভ্রমনপিপাসু মানুষদের নিয়ে বেরিয়ে...

গল্প

অশরীরী ধর্ষণ ৩

 বিয়ের দিন প্রতিটা মেয়ের কাছে অনেক সাধনার একটি দিন কিন্তু আমার কাছে ওইদিন টাই ছিল সবথেকে ভয়ঙ্কর একটি দিন। বিয়ের রাতে বাসর রাত প্রতিটা মেয়ের কাছে অনেক সাধনার একটি  রাত কিন্তু আমার কাছে ছিলো ওটা কাল রাত। আমাকে যখন বিয়ে...

গল্প

গোধূলির শেষ বিকেলে তুমি আমি

 সূর্যাস্তের সাথে সাথে পৃথিবীতে অন্ধকার নেমে আসে। গোধূলির পরে আসে সন্ধ্যা, আর সন্ধ্যা যতই বাড়তে থাকে রাতের আগমণ ততই ত্বরান্বিত হয়। রাত মূলত প্রত্যেক মানুষের বিশ্রামের সময় বিশেষ কোন আনন্দঘন মুহূর্ত ও ভালোবাসার সময় কাটাবার জন্য রাতের জুড়ি নেই। তেমনই...

ভ্রমণ

ভ্রমন ৬

কেউ যদি আমায় বলে নদী না সাগর ---- কোনটা পছন্দ?আমি বলব পাহাড়।কেউ যদি আমায় বলে মরু না জঙ্গল ---- কোনটা পছন্দ?আমি বলব পাহাড়।কেউ যদি আমায় বলে সূর্য না চাঁদ ----‌ কোনটা পছন্দ?আমি বলব পাহাড়।কেউ যদি বলে গল্প না কবিতা ----...

ভ্রমণ

ভ্রমণ ৭

তিতাস উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা আইসিটি কমিটির সভাপতি, মঙ্গলকান্দি সিনিয়ার ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল আমিন স্যার এই কুয়াকাটা আনন্দ ভ্রমণ এর ব্যবস্থা করেন। এছাড়া তিতাস উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা আইসিটি কমিটির অন্যান্য সদস্য যেমন, গাজীপুর খান কলেজের ফারুক আহমেদ, শাহাদাত হোসেন...

পোস্ট

স্বামী কত প্রকার ও কি কি?

স্বামী কত প্রকার ও কি কি?১: ব্যাচেলর স্বামী (Bachelor Husband):এরা কেতাদুরস্ত, মুখে সর্বদা মিষ্টি হাসি থাকে। নিজেকে ব্যাচেলর বলতে ভালোবাসে। বয়স যতই হোক না কেন, কেউ ব্যাচেলর বললে খুশী হয়। স্ত্রীর চেয়ে বন্ধুদের সাথে বেশি আড্ডা দেয়। দাম্পত্য জীবন নিয়ে...

কবিতা

সত্যের দাওয়াত

কোন ধর্মের অনুসারী, জীবন পথের পথচারী,জানতে চাইনা আজি,সত্যে, জীবন রেখো বাজি।ধর্ম সেতো তোমার আমার,খোদার সেরা দান,ধর্ম পালনে খোঁজবে সবার,শান্তি ও কল্যাণ।ধর্ম হলো বিধি বিধান,স্রষ্টা মেহেরবান। সুখে রবে সৃষ্টি জীবন,পাঠালো ফরমান।চলো ধর্মখানি জানি,নিয়ম-নীতি মানি,কষ্টি পাথরে যাচায় করি,সত্য-ন্যায়ের পথ ধরি।দেশ, জাতি ও ধর্ম সেতো,জীবনের...

কবিতা

স্বভাব কবি

[প্রিয় কবি ভাগিনা আব্দুল্লাহ ইবনে সিদ্দিক এর জন্য উপহার]বিরহের কবি কভু মনে রাখে সান্ত্বনা, প্রেম আর ছন্দে সাজানো জানানা,প্রকৃতির উঁকিঝুঁকি, কবিতা ও ছন্দে,পাঠকে নেচে যায় সুখ আর আনন্দে।তৃপ্ত কবিমন, লেখালেখি স্বভাবে,স্বর্গীয় সব সুখ দু'হাতে বিলাবে।কবিতার পুষ্প ফোটবে নিশিদিন, ভ্রমরের গুঞ্জনে বাজবে সুখ-বীন।সেরাদের...

কবিতা

হও সেরাদের সেরা

তোমার গুণের সকল কথা,ভাবি সদা আমি, ভুলগুলো সব ভুলে গেলে, তুমি অনেক দামী। ভালো কাজে, সকাল সাঝে,থেকো সদা ভাই,ভুলের কালি, সবার মাঝে, সবাই দেখতে পায়।ভুল গুলোরে ধুঁয়ে মুছে,হও সেরাদের সেরা,গুণের কদর করবে গুণী,সফল হবে ফেরা।নিন্দুকেরা নিন্দা করে,খুঁজে ফিরে ত্রুটি,গুণীজনের গুণের কদর,দেখবে শত কোটি ।হাজার...

কবিতা

সঠিক পথে

স্রষ্টা নহে তুমি কভু ,সৃষ্টি তুমি প্রভুর। সেই সুবাদে সৃষ্টি শুধু,অহং রাখো দূর।চলনা ভাই, আর যতো বোন,সঠিক পথে চলি,সুখের সমাজ, দেশ ও জাতি, গড়ার কথা বলি।কথা, কাজে, আচরণে,পায়না কেহ কষ্ট,বাধা হয়ে রয়না যেনো,জীবন করে নষ্ট।ধর্ম-কর্ম সব পালনে,থাকবো সঠিক পথে।সঠিক পথের, সঠিক দিশে,জানবো...

কবিতা

করোনার অবসান

করোনায় স্তব্ধ, গতিশীল চাকা সব,কেউ কেউ ক্ষুব্ধ,জমছে চাঁপা ক্ষোভ। নানা পেশার লোকজন,নিজ নিজ কর্ম,ঘরে বসে করে যায়,যার যার ধর্ম।ঘরে থাকা নিরাপদ, জানি সকলে,ভালো রবো, রাখবো,আইন মেনে চলে।করোনার দাপাদাপি, সবখানে চলছে,রাস্তা ফাঁকা সব,তবু মানুষ ছুটছে ।কেউ ছুটে বাঁচতে,কেউবা বাঁচাতে। দিবানিশি ছুটাছুটি, প্রাণপণে চলতে। সেবা নিয়ে কেউ ছুটে,কেউ নিয়ে...

কবিতা

কাঁদে শাহ্- এ –মদীনা

কান্দেরে পরাণ আমার,কান্দেরে পরাণ।কোথায় আছো, আমার আপন,মোমিন মুসলমান।যায়রে ছুটে, পরাণ আমার,মরু সাহারায়।শুইয়ে আছেন মহানবী (সাঃ),সোনার মদীনায়।দুঃখ জ্বালা, অশ্রু ধারা,বাস্তুহারা উম্মতেরা,ব্যাথার নরক যন্ত্রণা,কাঁদে শাহ্- এ -মদীনা।তোমরা জাতি ভাই ও বোন,কতো হাসি খুশি,আমরা কাতর ক্ষুধার জ্বালায়,ঝুলে জুলুম রশি।বুলেট ব্যোমা, নিথর করে,মোদের তাজা...

কবিতা

হেরার জ্যোতি

ঐক্য চায়, জনে জনে,প্রতিদিনে, ক্ষণে ক্ষণে, কথা, কাজে, আচরণে,চিন্তাধারা, ধ্যানে-মনে।ঘরে,গোরে, দ্বারে, সারে,সন্ধ্যা, সাঁঝে, আলো, আঁধারে,হাসি, কান্না, সুখে, দুঃখে, সুদিন, কুদিন, জীবন জুড়ে। ঐক্য হবে, হতেই হবে!আর কতোকাল, এমনি রবে?একে একে, শিকার হয়ে, দিক্বিদিকে, যাবে সয়ে !পথে, ঘাটে, বাজার, হাটে,ঈমান, আমল, ধর্মালয়ে,আমীর ফকির,  আলেম ফকীহ,আম-জনতার...

চিন্তা

স্বপ্ন-সত্য।

অতিরিক্ত বই, নাটক, সিনেমায় ডুবে থাকা আমাকে অনেক ফায়দা দিয়েছে। সবচে' বড় ফায়দা হল, বাস্তব জীবনের ক্লান্তি থেকে উদাসিনতা। চরিত্রের সাজ-সজ্জায় আমি যখন কল্পনার ফাক-ফকড়ে ঘুরে বেড়াই তখন নিজেকে রক্তে মাংসে আবদ্ধ সত্তাই মনে হয় না। যেন আমি অতি মানবিয়...

উপন্যাস

Twenty Thousand League Under The Sea

PART 3----- রহস্য এবং অনুসন্ধান দূর্বার গতিতে পথ পাড়ি দিয়ে আমাদের পঙ্খীরাজ আব্রাহাম লিঙ্কন কর্কটক্রান্তি অতিক্রম করে জ্যাকুইস এবং স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি হাজির হল।বিশালাকার সামুদ্রিক প্রাণীটাকে সবাই এ অঞ্চলেই দেখতে পেয়েছিল ।আমাদের জাহাজটা উল্কার বেগে জাপান ও আমেরিকার উপকূলে ছুটোছুটিকরে বেড়ালো...

উপন্যাস

Twenty_Thousand_Leagues_Under_The_Sea

PART 2 ---- চরিত্র পরিচিতিতবে খুবই সত্য বটে, আমার সর্বক্ষণের সঙ্গী গৃহভৃত্য কনসিলের মাধ্যমে সামুদ্রিক  প্রাণীটা সম্বন্ধে সামান্যতম উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষিত হয় নি।একটা  কথা আগেই বলে রাখা উচিত ছিল। ক্যাপ্টেন ফ্যারাগুট দেশের সেরাতিমি শিকারী, হারপুন ছোঁড়ার অদ্বিতীয় বীর নেডকে জাহাজে,...

গল্প

গল্প/ ফের

 বিএ পরীক্ষার দুইমাস আগে একদিন সকালে হার্ট অ্যাটাকে বাবা মারা গেলেন শহিদুলের বাবা আনিসুল হক।শহিদুল সেদিন বাড়ীতে ছিল না।লোক মারফত খবর পেয়ে দূরের জায়গীর বাড়ী থেকে এসে শহিদুল শুধু কাফনে মোড়ানো তার বাবার লাশটা বরং বলা ভালো মুখটাই একপলক দেখতে...

কবিতা

তারা_আমারে_ডাকেনি

#তারা_আমারে_ডাকেনিআব্দুল মাজেদ তারাআমারে ডাকেনিতাই আমি আসিনি।সম্পর্ক সাগরে তাড়িয়ে দিয়েছে তারাই,এ কথা সে কথারচনা করাটাপড়শিরও দুয়ারেকেবলি অপবাদএখন। তেমনি আমারও,যেমনি তোমাদেরপ্রয়োজন নেই আজকারও কোনো দুয়ারও মুখ।শহরের এ ঘরে শহরের ও ঘরেকত যে সুখ ওরে,আজ তা দেখেই ভালোলাগে।যদি যায়, তবে যাকজীবন এমন করে, আমিও যাব নাতবুও পাব নাজানি।

কবিতা

🍂 ছোট্ট সোনা মানিক 🍂

ছোট ছোট হাত-পা, মায়া ভরা মুখ,গোল গাল মুখ তার,  কালো দুটো চোখ;বোকা বোকা হাসি তার, লাল লাল ঠোঁট, ঘুম ভেঙে ছুঁয়ে যায় শিশিরের রোদ। গ্রামের সরল ছেলে, সারাদিন শুধু খেলেসবার সাথে মিশে যায়, একটু ভালোবাসা পেলে।বোকা বোকা স্বপ্ন দেখে, একটুতেই কেঁদে ফেলে...

নন ফিকশন

সক্রেটিসের সত্য

 সক্রেটিসের দৃষ্টিতে  "সত্য" কি?প্রাচীন গ্রিসের এথেন্স শহর । সক্রেটিস তার ছাত্রদের নিয়ে বসে কথা বলছেন এক বাগানে ৷এক ছাত্র জিজ্ঞাসা করলেন, সত্য কিভাবে বুঝবো ? সক্রেটিস কোন উত্তর না দিয়ে বললেন, বসো সবাই, একটু আসছি ৷ একটু পর এলেন । হাতে একটি আপেল ৷ ছাত্রদের...

গল্প

হাওয়া

প্রথম পর্ব বিদ্ধস্ত উড়ন্ত আত্মা হয়ে স্বপ্নিল শুয়ে আছে ঘাসময় মাটিতে। তার দু'চোখ বুজে আসতে চায়, সে দেখতে চায় জ্বলজ্যন্ত নারী শরীর। মাত্র দশ মিনিট আগেও তার দু'টি চোখ দেখেছিলো প্রিয়তমার শরীরকে। অথচ সে' কালো হরিণী চোখ দু'টো নিখোঁজ হয়ে গেছে।...

গল্প

গল্প অ্যাকসিডেন্ট

অ্যাকসিডেন্ট জালাল উদ্দিন লস্কর ডানবাম কোনোদিকে না তাকিয়ে সভাপতি আদনান খানকে সাথে নিয়ে চিন্তিত ভঙ্গিতে হলরুমে ঢুকে নিজের নির্ধারিত চেয়ারটায় বসে ততোধিক গম্ভীর গলায় দফতরি নিতাইকে ডেকে হেডমাস্টার  মানিক আলী জিজ্ঞেস করলেন, 'কবির সাহেব কোথায় দেখ তো।'সভাপতি আদনান খানের মুখেও আজ হাসি...

গল্প

গল্প বড় স্যারের খায়েশ

 বড় স্যারের খায়েশ- জালাল উদ্দিন লস্কর রেজাল্ট প্রকাশের পরদিন মানিকতলা  হাইস্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক কাম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছালামত আলীকে ফোন দিলেন পরিচিত সাংবাদিক রহিমুদ্দিন--: হ্যালো...: স্যার আসসালামুআলাইকুম।:ওয়ালাইকুমুস সালাম।কেমন আছেন?:জ্বী,ভালো আছি স্যার।তো আপনাদের প্রতিষ্টান থেকে এইচ.এস.সি-তে  এবার কয়জন পাশ করলো স্যার?: সবাই...

কবিতা

আব্বা

আব্বা মোঃ আবুল কালাম আজাদ ।বেড়ে ওঠা কিশোর বলার দূরন্ত পনাহাজারো স্মৃতির ভিড়ে হাসিমাখা মুখ টা অজস্র দিনে ডাকি না আব্বা নাম ধরে ?কেঁপে ওঠে থর থর আমারি বুকটা ।অকৃত্রিম স্নেহের বন্ধনে বূলানো হাতকল্পনায় কত রজনী করেছি পাড় ,কত রাতে নিরবে নি:শব্দে...

মো:আবুল কালাম আজাদ

মো:আবুল কালাম আজাদ

Work as an Asst.General Manager in a well known company

কবিতা

🍂 মহামারী প্রভাব 🍂

গৃহবন্দী ছিলাম অনেক দিন; এই দূষিত পৃথিবীকে এক মহামারী গ্রাস করেছে, হাজার লক্ষ প্রাণ হারিয়ে যেত প্রতিদিন। চার দেয়ালের মাঝে কেটে গেছে মুমূর্ষু  কিছু সময়, একটু সবুজ ঘাসে হাঁটবো বলে; এক বুক সতেজ নিঃশ্বাস নেবো বলে, আমি শহর ছেড়ে এ লোকালয় ছেড়ে,হেঁটে গেছি ঐ গ্রামের মেঠোপথ...

ভ্রমণ

‘সিটি অব জয়’ কলকাতায় যতবার এসেছি

‘সিটি অব জয়’ কলকাতায় যতবার এসেছি, প্রথমেই চোখে পড়েছে বাটপার! এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। গতকাল এয়ারপোর্ট থেকে বের হতেই এগিয়ে এলেন চশমা-শার্ট পরা ভদ্রলোকের মতো দেখতে নিদারুণ এক বাটপার। এ আবার আমার চেনা স্যাম্পল, কথার ফাঁদে ফেলে আমার মতো...

ভ্রমণ

ভ্রমণ ৮

স্কুলে শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট দেখে স্কুলে সর্টি করে স্কুলে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করি। স্কুল করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকলেও আমরা শিক্ষকগণ নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছি। স্কুলের শিক্ষক কক্ষে নাজমুল ইসলাম স্যার আমাকে বলেন, “আপনি তো সারা বাংলাদেশই ঘুরেছেন, চলেন এবার সেন্ট মার্টিন থেকে...

ভ্রমণ

ভ্রমন ৯

শিলাইদাহ ভ্রমণ:- আসসালামু আলাইকুম ভাই বোনেরা। নিশ্চয় সবাই ভালো আছেন। শিলাইদাহ কুষ্টিয়ায় অবস্থিত। এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠি বাড়ি রয়েছে। এখানে বসেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানকার জমিদারি দেখাশোনা করতেন। এবং বিভিন্ন কবিতা রচনা করতেন। কুঠিবাড়িটি প্রায় দুইতলা বিশিষ্ট বাড়িটির ডানে ও বামে...

ভ্রমণ

ভ্রমন ১০

ভ্রমণ সবসময়ই আনন্দদায়ক। তবে ভ্রমণ শুধু আনন্দই দেয় না বরং ভ্রমণের মাধ্যমে চারপাশের জগৎ সম্পর্কে বিচিত্র সব তথ্য জানা যায়। মানবমন একই সঙ্গে আনন্দ ও জ্ঞানপিপাসু। পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দুস্কর যে ভ্রমণে যেতে পছন্দ করে না। সেক্ষেত্রে...

কবিতা

🍂 অসীমের মাঝে তুমি 🍂

সকালের হিমশীতল কুয়াশা গুলো যখন -বিন্দু বিন্দু শিশির কণা হয়ে প্রতিটা সবুজ ঘাসে জমা হয়, তখন পৃথিবীর অপর প্রান্তে আকাশের নীলিমায় ;              কারো বিষাদের গল্প লেখা হয়।                 ...

কবিতা

যদি ভালোবাসা সংক্রমিত হতো

যদি ভালোবাসা সংক্রমিত হতোনিমেষেই খসে যেতো পাথর প্রাচীরপাখিদের মতো মানুষ পেতোসীমাহীন আকাশ।যদি ভালোবাসা সংক্রমিত হতোগোলাপের সুঘ্রাণ ছড়াতো সমস্ত শহর জুড়ে বেদনার নীল রং ধুয়ে সফেদ সুন্দর হতোআহত হৃদয়।যদি ভালোবাসা সংক্রমিত হতোক্ষুধার্ত আর্তনাদে পথের পরে শুয়ে থাকা নাম না জানা শিশুটি পেতো তার...

কবিতা

আসলে সুখ কোথায়?

আবুল মিয়া ফর্সা মানুষ, বউটা তাহার কালোএই কারণে বউটা বেশি ,লাগে না তার ভালো।বউটা আবার কালো হইলেও, বড় ঘরের বেটিবাপের ঘরে খাইছে শুধু ,বড় মাছের পেটি।ভালো খেয়ে বড় হওয়া ,এই বেচা*রির মুখেস্বামীর ঘরের ভর্তা ভাজি ,পান্তা কি আর ঢোকে।বউয়ের জ্বালা...

কবিতা

সবার প্রিয়

সবার প্রিয় হতে সবাই,চায়রে মনে প্রাণে,কেউবা সফল কেউবা বিফল,নিজের কারণে।কথা কাজে, লেনাদেনায়,আচার আচরণে,সবাই খুশি, বেজায় ভারী,নেয়যে কাছে টেনে। বলতে পারো সবার প্রিয়,কেমন করে হবো,সবার মনে, রয় সততঃ,মন মুকুরে রবো।বলতে পারো, কথা কাজে,চলন বলনে,ব্যথা পেলো, বলতে পারে,নাইতো কোন জনে।আমার মনে রাখবো সদা,সবার...

কবিতা

নেটিজেন

নেটিজেন, সিটিজেন সবাই ভালো জেনো,রুরাল আরবান ম্যান সকলে,নিয়ম নীতি মেনো।নেটে যাদের বসবাস,নেটেই সকল প্রকাশ,সকাল দুপুর সন্ধ্যা গড়ায়,দুঃখ সুখের আবাস।ফেইসবুক, ইউটিউব, স্যোসাল মিডিয়ায়,ভালো খারাপ কতো কিছু, ভাইরাল হয়ে যায়। তোমার ক্ষতি নিজেই করো,কার কী আসে যায়?জীবন হতে অনেক কিছু, হারিয়ে যাবে ভাই!ভুলে কারো ক্ষতি করার,নেইতো অধিকার। সবার...

কবিতা

আমি কেমন

আমি কেমন আমি একটা সম্পর্ক ঠিক ততটা আঁকড়ে ধরতে চাইযতটা বানে ভাসা মানুষ খড়কুটো ধরতে বাঁচতে চায়।আমি সবাইকে ততটা আগলে রাখতে চাইযতটা আগলে রাখে মা তার বাচ্চা শিশুকে।আমি ঠুনকো ভুলেও মাফ চাই,হাজার রাগেও শান্তি পাই,শত অভিমানেও হাসিমুখেসবাইকে খুশি রাখার চেষ্টা চালাই।আমি...

কবিতা

প্রিয় তোমায়

ভালোবাসার সবটুকু রেখে গেলামতোমার তরে,পূর্ণ হিয়া মজেছে যে, প্রেম সাগরেরঅতল তলে,তৃষা তৃষা মরুতৃষা, মরুভূমিরচারণভূমে,একটু সুখের পরশ লাগি,হারায় মরন ঘুমে।তোমার প্রেমে পাগল-পারা, হয়যে কেবল দিশেহারা, ভালো করে পথের ধারা, ধরতে বেলা সারা।ভোরের পাখি মধুর সুরে,তোমার কথা যায় স্মরে,পূবাকাশে রোদের মেলা,অভিমানী মেঘের ভেলা। নিরাক পড়া ভর...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (১৯)

৯১ আমি জানি না আরাধনা          না জানি কোনো প্রার্থনা তুমি তো জানো অন্তরের খবর।          আমি বলতে চাই এক                   বলে ফেলি আরেক আমার বয়ানে নেই যেরযবর।          এ জীবনের অর্জন কী                   শূন্য ছাড়া পাই নে খুঁজি আঁকাজোকা দেখছি অকার্যকর॥  তোমার বাণী শুদ্ধ চলনে          নয় শুদ্ধ পাঠ করণে আমি...

উপন্যাস

মাই সেকেন্ড ক্রাশ (৩)

আগের পর্ব ৩ ঠিক করে এসেছিলাম, বাসায় ফিরেই দুটো কাজ করব। প্রথমটা, মিস রসময় গুপ্ত ডট কম সাইটটায় ঢুকব আর দ্বিতীয়টা, সুমনের খোঁজ করব। তবে তার আগে লিভিং রুমে বসে থাকা মা আর নিশি আপাকে ফেস করতে হবে। উনারা যে অপেক্ষা করে...

কবিতা

বিপ্লবী (২৫)

বিপ্লবী! দেশ ও জাতি,দিবস রাতি,কোন্ মোহে,দুঃখ সহে!জড় নহে,অলস দেহে,পাথর চোখে,থাকছে চেয়ে।কী লাভ এসব দেখে!নেই প্রতিবাদ, শাসন বিচার,অপরাধী পগারপার;উদুর পিন্ডি বুদুর ঘাঁড়ে,নেই অপরাধ,  জেল হাজতে,শিশু, কিশোর,  জোয়ান মারে।বিপ্লবী! আর কতোকাল,হবে নাকাল,দেখবে বেহাল,পিছে দেয়াল;হিম্মতে হাল,উড়ছে পাল,জাগছে মশাল,আল্ হেলাল।বিপ্লবী!এবার তোদের পালা,অত্যাচারী জালিম পুঁড়ে,ধ্বংস এনে, ভস্ম করে,সুখের...

কবিতা

বর্ষাকাল

জল থৈ থৈ, নদী নালা,চারিপাশ টইটুম্বুর, ঘোলাজলের পাগলামিতে, দাম বাড়ে ব্যাম্বুর।পাড়ায় পাড়ায় সাঁকোর মেলা,বাজে হরেক বাঁশি,গল্প জমে পথের ধারে,হৈ রৈ হাসাহাসি। নীরব নিথর ভর দুপুরে,অলস ঘুমে চুপ,কেউ ছোটে ভাই খালে বিলে,দেখে বর্ষা-রুপ।দূর সুদূরে পাল তোলা নাও,জলে ভাসা সবুজ কালো গাঁও।সাদা বকের সারি উড়ে, অতি...

কবিতা

সৃষ্টি দেখে চলি

আজো বৃষ্টি ঝড়ে অঝোর ধারায়,মাঠে ফসল ফলে ,পূব গগণে আলোর ভোরে,সকাল অরুপ রুপে।ভর দুপুরে নানা পাখি,কুজন রবে ডাকে,গাছে গাছে পাতার ফাঁকে,খুঁজে ফিরে কাকে!স্বস্তি ফিরে, নরম রোদে,বিকেল যখন নামে,দিনের বিদায়, দেখছে সবাই,আলো আঁধার খেলে।রাতের আকাশ, নিজের বুকে,সাজায় তারার মেলা,হাজার তারার ভীড়ে...

কবিতা

পাথর বর্ষণ

আজো সবার দেখতে হবে দুচোখে,মানতে হবে খুন খারাবি দুঃখে সুখে,শুনতে হবে সুস্থ কানে!রাখতে হবে হৃদয় কোণে!সব অনাচার চলবে এমন বাঁধন ছেড়ে!মান-সন্মান, ইজ্জত, আব্রু নিচ্ছে কেঁড়ে!ওরা কারা? কাদের জোড়ে এসব করে?হর হামেশায় মান লুটে পগারপারে?লুকিয়ে থাকা, গুষ্টি সহ, ওদের ধরো, ন্যাঁড়া মাথায়...

কবিতা

পোশাকের মান

ভালোবেসে পোশাক পড়ি,আরাম লাগে তাই,পোশাকের মান সবাই রাখি, জানো বোন ভাই।পোষাকটারে বোঝা ভেবে,কভু তাহা কেটে ছেঁটে,চলছি, চলি উদোম গায়,ভিন্ন ফ্যাশন, কাপড় কী না,রুচি পছন্দ ভালো মন্দ! বুঝতে পারা দায়।বোরখা পড়ে সন্ধ্যারাতে,বন্ধু কেহ সাথে প্রাতে!ভাল মন্দ ভুলতে পথে,পবিত্রতা জীবন হতে।সফেন সাদা হালকা পোশাক, শ্রদ্ধা...

কবিতা

বাবুই পাখির মা

অর্ধাঙ্গিনীর আপন মা তাই,ভূলে গেলে আমায়!স্নেহাদরের নেই তুলনা,এখন খুঁজে পায়!নিরাক পড়া ভর দুপুরে,একলা বিকেলে,কত স্মৃতি মনে পড়ে,হর্ষ-বিষাদে।বাবার কথা আসলে তুমি, বলতে আমিই বাবা,বাবা-মায়ের পুরো আদর, পাবে সবি বাবা।সত্যি মাগো, এত্তো আদর,কেমন করে পাবো!তুমি ও নাই, বাবা ও নাই,আমরা কোথায় যাবো!"জামাই!  আসবেন কবে"?এমন...

কবিতা

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি লাখো সালাম ও শ্রদ্ধাঞ্জলীঃ

গর্বে তোমার গর্বিত আজ,সকল জনগন,ঘুমিয়ে আছো কবর গেহে,ছেড়ে আপনজন।দেশের তরে বীরের মতো,লড়াই করে গেলে,জীবন দিয়ে, স্বাধীনতা,মুঠোয় এনে দিলে।চাচা আমার শহীদ হলে,দেশ জনতার মুক্তিতে,চাচার সাথে মুক্তিসেনা,লড়লো সবে এক সাথে।বীরের জাতি, বীরের জ্ঞাতি,দেখো আজি সারি সারি,তোমার মতো দেশের তরে,লড়তে সবাই পারি।দাদী আমার...

কবিতা

বৃষ্টি ভেজা দিনে।

আবার নামবে যখন ঝুম বৃষ্টিহঠাৎ থেকে যাবে পথ চলা,দমকা হওয়া উড়িয়ে নেবে ছাতাটিথামবে মিছে দুপুরের কথা বলা।তখনও আমি মাঝ পথেরইবো একাকী ঠায় দাড়িয়ে,আদ্র চুলের ফাঁকে বৃষ্টিকণা-মুক্তোর দানায়, হাত এলিয়ে।ফোঁটা বৃষ্টি হয়তো আলতো পরশেতোমাকে নামাবে মেঘের কল্পনায়,তোমার হাতটি ধরে হেঁটে যাবোবৃষ্টি-ভেজা...

মোহাম্মদ বাহা উদ্দিন

মোহাম্মদ বাহা উদ্দিন

সহকারী পরিচালক, বিপিএটিসি, সাভার, ঢাকা

প্রবন্ধ

দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন

ডাক্তার রুমেলকে তার রিপোর্টে বলল, আপনি আর কুড়ি দিন বাঁচবেন। রুমেলের বয়স মাত্র ২৭ বছর। ডাক্তারের রিপোর্ট শুনে রুমেল মনমরা হয়ে ঘরে ফিরে। কেউ জানে না তার আয়ু আর কুড়ি দিন।ডাক্তারের রিপোর্ট দেখে রুমেলের যেন পুরো দৃষ্টিভঙ্গিই পরিবর্তন হয়ে যায়।...

কবিতা

মানুষ হলি কবে?

তোরা মানুষ হলি কবে?দেখ্ ইতিহাস খোলে,রেনেসাঁস নিয়ে গর্ব তোদের, সেদিন এলো কবে?তারো কতো আগে দেখো,ঐশী নূরে আলোক হলো,অমানুষেরা মানুষ  হলো,দিশেহারা দিশা পেলো।হাজার  বছর পূবের ধারা,আসলো ফিরে তোর দ্বারা,অজ্ঞ জাহেল মূর্খ দানব,অমানুষ সব নামে মানব।যা কবরে, খোঁজ গীর্জায়,ইতিহাসের পারায় পারায়,অমানুষের গন্ডি ছেড়ে,মানুষ...

কবিতা

রক্তে সবার বারুদ জ্বলে

রক্তে সবার বারুদ জ্বলে,অগ্নি গোলক চোখে।ওরে পামর, খুঁড়বি কবর,মরবি পুঁড়ে শখে!মরার শখে, ওতাল পাতাল,বলাবলি ওরে মাতাল,শান্তি কোথায় বিকিয়ে দিলি,জাহেল, মূর্খ, ধূর্ত মাকাল।মন্দ বলে পার পাবি তুই,কোটি মনে আঘাত নিতুই, পাল্টা আঘাত আসছে ধেয়ে,জাগছে মানুষ দেখরে চেয়ে।তোর কারনে, হেলায় ফেলায়,ভুগবে সবে হর...

কবিতা

তুমি যে সবার

          তুমি তো নও তোমার ওগো,তুমি যে সবার!সৃষ্টি তুমি প্রিয় খোদার, অনেক ভালোবাসার।ব্যর্থ কভু ভালোবাসতে,তোমার  নিজেকে,স্রষ্টা সদা ভালোবাসে,নিখাঁদ তোমাকে।ভুল করে যাও, ভুলের ভুলে,কতকিছু যাও হারিয়ে,নিঃস্ব ধরাতলে।মুখ ফিরিয়ে নিবে সবে,কটু কথা মন্দ বলে, অসহনীয় কষ্ট দিবে,রহম রয়না দিলে!সবার চেয়ে আপন হয়ে,সদা...

গল্প

শর্বরী

গভীর রাতে নিজের স্বামী নেহালকে চোরের মতো চুপিচুপি উঠে চলে যেতে দেখা যায়। প্রথম দু'দিন ব্যাপারটাকে হালকা ভাবে নিলেও আজ যেন কোনোভাবেই নিজের মনকে কিছু একটা বোঝাতে পারছে না কুসুম। নেহাল বেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কুসুমও উঠে বসল। ওদের বাথরুমটা...

গল্প

স্টয়িক দার্শনিকদের গল্প ও অন্য একটি গল্প

রোমান স্টয়িক দার্শনিক মুসোনিয়াস রুফোজ একবার লেকচারে বলেছিলেন, পুরুষদের মত নারীরাও দর্শন শিক্ষা ও ব্যবহার করার ক্ষমতা রাখেন। ইতিহাস থেকে তিনি নারী দার্শনিকদের উদাহরণ দিয়ে দেখান, ডায়োটিমা, এসপাশিয়া, হাইপেশিয়ার মত দার্শনিক ছিলেন।শ্রোতাদের মধ্য থেকে একজন জিজ্ঞেস করলেন, যদি নারীদের দর্শন...

সমালোচনা

লেনিন-এক নিঃসঙ্গ বিপ্লবী

যারা রাজনীতি করে তারা কি অনেকটা ধর্ম প্রবক্তার মতোই?নিজের কথা ছাড়া আর কারও কথা শুনে না?আপাদমস্তক রাজনীতি যারা করে তাদের যেমন কোন পেশা থাকে না,তেমনি ধর্ম প্রবক্তাদেরও কোন নির্দিষ্ট পেশা খুঁজে পাওয়া যায় না। মাথার ভেতর এসব চিন্তা সব সময়ই...

কবিতা

🍂 সোনালী বিকেল 🍂

দিগন্তের অন্তরালে, অতীতের শব্দ ফুরালে;আমি দুচোখ ভরে রক্তাক্ত আকাশ দেখি,কতটা সুন্দর ঐ আকাশ! যতটা সুন্দর এই চোখ, তার চেয়েও সুন্দর আকাশের দিগন্ত রেখা। দুচোখ ভরে যখন সূর্য দেখি,সে সূর্যের কিরণ ছটা তুলোর মেঘগুলোকে ভেদ করে চারিদিকে ছিটকে পরছে, ধূসর মেঘগুলো দানবের মত বিশাল।এমন...

ফিকশন

আত্মসম্মান

তখন আমার বিয়ের বয়স মাত্র ১ মাস। আমার ননদ আমার স্বামীকে ফোন দিয়ে বললেন " ভাইয়া একটা বড় দেখে পিজা আনিস তো।" সে একটা বড় সাইজের পিজা নিয়ে এসে আমার শাশুরির হাতে দিলেন। সেখানে ১০ টা খন্ড ছিল। তারা সবাই...

কবিতা

🍂 নেশাতুর ভালোবাসা 🍂

এইতো বেশ আছি, অনুভবে তোর হৃদয়ের কাছাকাছি, গোধূলি বেলায়, আকাশের নীলিমায় ;যখন রক্তাক্ত আভা একটু একটু করে মুছে যায়, তখন আমার স্মৃতি গুলো বড্ড নিরুপায়। বিবর্ণ স্বচ্ছ জোঁছনার আলো যখন আমার শরীরে টিকরে পরে,তখন সে আলোয় আমি বিভোর হয়ে যাই তোকে ভাবতে ভাবতে। এতটা...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (২০)

৯৬ নিরন্তর আমার এ অন্তর          কাঁদছে শুধু কাঁদছে! কীজন্যে অন্তরের এ কান্না                   আমিও কিছু বুঝি নে।যত যা পেয়েছি ধন্য জীবন          যত যা পাইনি দুখী না মন, কী রেখে যাচ্ছি এটাই কথন          কী দিলাম পৃথিবীকে। নিরন্তর আমার এ অন্তর                   কাঁদছে শুধু কাঁদছে॥ যা করলাম—করেছি যা জীবনে         ...

কবিতা

🍂 মুসাফির 🍂

           জীবনের ফেলে আসা অতীত,   ভালোবাসা, ভালো রাখা, ভালো থাকা ;         সব নিঃশব্দে পথ হাঁটে একা একা।                   হাসি-আনন্দ, সুখ-দুঃখ,   শত শত পদস্খলন আর হোঁচট খাওয়া...

কবিতা

পাপের পথ ছেড়ে

 দু'দিনের এই দুনিয়ায়মজেছো তুমি কিসে!সকাল দুপুর সন্ধ্যাবেলাকাটছো কেমন করে!নামাজ নেই!রোজা নেই!নেইতো ভালো কাজ!ক্ষমতার দাপটে দেখি-বড়াই কারো আজ!পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জানি,সতন্ত্র এক কাজ!কাফের মুশরিক থেকে পৃথক রাখে,ভুলেই গেছো আজ!আত্মাকে তোমার অভূক্ত রেখে,শরীরে তেল মেখে-বাড়াও ভুঁড়ি!বাড়াও চর্বি!তা তো পোঁকায় খেয়ে নিবে!শেষ বিচারের...

কবিতা

কোরআনের আহবান

আঁধার কেটে আসবে আলো!আসবে আঁধার কেটে!অন্ধকার সব পালিয়ে যাবে!আলোর দেখা পেয়ে !ক্ষণিকের এই আঁধার দেখে,ভয় পেয়েও না যেনো!ঈমানটাকে জাগ্রত করে,আলোর পথে চলো!এই আঁধার নয়তো জানি,স্থায়িরুপে আসে!সুবেহ সাদিক আসছে দেখোপুব আকাশের কোলে!ওরে তরুন!ওরে যুবক!ওরে মুসলমান!ঈমানের আলো ডাকছে তোমায়,শুনো কোরআনের আহব্বান!

ভ্রমণ

একজন হিরোর গল্প!

আমি বিদেশ থেকে যখনই বাংলাদেশে যাই, মাঝে মধ্যে রিকশায় উঠি, এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াই।উত্তরাতে একদিন এই রিকশা চালক ছেলেটির সাথে আমার দেখা।ছেলেটি যাত্রীর অপেক্ষায় বসে আছে, আমি ওকে জিজ্ঞাসা করলাম... এই ভাই যাবে?সে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বললো- যাবো..আমার গন্তব্য...

গল্প

অদেখা রাত

পর্ব-১ এখন রাত ২.০০ টা উপজেলা শহরে এই রাতকে গভীর রাত বলা যায় কিনা ঠিক বুঝতে পারছি না, চারিদিকে অনেক অন্ধকার ঝিমঝিম করে বৃষ্টি পড়ছে, যাকে বলে কাক ভেজা বৃষ্টি।   পৌরসভার রোড লাইটগুলো বিদ্যুৎ না থাকার কারনে আলো দিতে ব্যর্থ সবাই এখন...

কবিতা

প্রেমের সংলাপ

প্রেম কি শুধু এক অনুভূতি? নাকি এর চেয়েও বেশি কিছু?তোমার চোখে যখন চোঁখ রাখি ,তখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাই ! তোমার চোঁখ এতটাই গভীর ,যেখানে লুকিয়ে আছে এক অজানা রহস্য,তবুও সেখানে খুঁজে পাই আমার সব প্রশ্নের উত্তর! আমার জীবনের সমস্ত ক্লান্তি...

কবিতা

🍂 বৃষ্টি ভেজা জোঁৎস্না 🍂

এখন মধ্যরাত ঝিরঝির বৃষ্টি পড়ছে, বাতাসে মাটির গন্ধ, সবুজ আঙ্গিনায় চাঁদের স্পর্শ, কাছের জানালায় বৃষ্টিস্নাত জোঁৎস্না বড় অন্যরকম লাগে।  স্বপ্নগুলো মনের অজানা কোণে হাজারো কথা বলে,হয়তো গ্রামের কোনো এক বাঁশবনেজোঁনাকিরা মিটমিট করে জ্বলে।  আমি একা বসে আছি নির্জন এক অন্ধকার ঘরে,ঐ দূর গ্রামে হারিকেনের...

গল্প

তিন্নির ভালোবাসা

বিয়ের প্রথম রাতে ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আমার নববিবাহিতা স্ত্রী তিন্নি সরাসরি আমার চোখের দিকে চেয়ে বললো, ‘আমি সৌভিক কে ভালোবাসি।’ যেকোনো পুরুষ মানুষ এতে চমকে উঠবে কিন্তু আমি চমকালাম না কারণ পুরো ঘটনাটাই আমি জানি।আমি আস্তে ধীরে খাটের উপর...

চিন্তা

লোভের পরিণতি

এক ফোঁটা মধু মাটিতে পড়ে আছে। পাশ দিয়ে ছোট্ট একটি পিপীলিকা যাচ্ছিল। মধুর ঘ্রাণ নাকে ঢুকতেই থমকে দাঁড়াল। ভাবলো একটু মধু খেয়ে নেই। তারপর না হয় সামনে যাবো। এক চুমুক খেলো। বাহ্! খুব মজা তো। আর একটু খেয়ে নেই। আরেক চুমুক খেলো।তারপর সামনে চলতে লাগলো।হাঁটতে হাঁটতে...

কবিতা

সহজ স্বভাব

তোমার অনীহা, মেয়ে- বিকেলের বৈকাল হ্রদ,আমাকে ডুবিয়ে দেয় বেদনার দানাদার জলে!অথচ ক্রমশ এই অধিকারবোধের পারদউপরে উঠছে যেন পৌঁছাবে মৃত মগডালে!আচমকা একদিন টের পাই কশেরুকাগুলোতোমার সামনে এলে হয়ে যায় বুড়ো বালুচর।ফুঁ দিয়ে বানাও সেটা রাস্তার সুস্থিত ধূলোবেআদব বাতাস এসে আমাকে উড়িয়ে...

Nafis Istiak Emon

Nafis Istiak Emon

কবিতায় কান পেতে বসে থাকা আমার অসুখ...

কবিতা

রাত্রি জাগার গান

আজকে রাত্রে নগর হয়েছে ধূ-ধূ,ক্লান্ত কুকুর ঘুমিয়ে পড়েছে পথে।আমি আর তুমি হেটেই চলেছি শুধুঢাকা শহরের ঘুমন্ত রাজপথে!দুপায়ের নিচে কংক্রিট ফুটপাত-পরাজিত কিছু মানুষ ঘুমিয়ে তাতে!ওদের দুচোখে স্বপ্নেরা উৎপাতকরছে অবাধে হিমেল মধ্যরাতে!দূর…বহুদূরে মহুয়া পাতার বন,থেকে থেকে ডেকে উঠছে শেয়ালগুলো।আমি কোন কথা বলিনি...

Nafis Istiak Emon

Nafis Istiak Emon

কবিতায় কান পেতে বসে থাকা আমার অসুখ...

কবিতা

পুব পাহাড়ের মেয়ে

আদিবাসী গ্রামটির সবচেয়ে অপুষ্ট চৈনিক চেহারার মেয়েপাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসে প্রতিদিন এমন সময়-আমিও থামিয়ে লেখা কবিদের সহজাত উদাসীন চোখে দেখে নিই বিচিত্র বনজ শাক হাতে দুপায়ের দিকের বদল।জানি এতে কিবোর্ডে আমার আঙুল আরো বেগবান হয়;এবং নাম না জানা ওই সব...

Nafis Istiak Emon

Nafis Istiak Emon

কবিতায় কান পেতে বসে থাকা আমার অসুখ...

গল্প

একটি কুমিরের গল্প

     “শোনো আতরাফ আলি, তোমার নাম আজ থেকে দিলাম আশরাফ খান। কাগজে-কলমে অফিসিয়াল ডকুমেন্টে নাম পাল্টানো দরকার নাই। ঝামেলা বিস্তর। পারবেও না। কিন্তু অফিসের অনার বোর্ডে কিংবা ডেস্কের কাঠের নাম ফলকে এই নাম লিখে রাখতে পারো। তুমি নামেও আশরাফ,  টাকা পয়সায়ও।...

পোস্ট

আক্ষেপ

তোমার প্রতি, আমার অপেক্ষা  কখনো শেষ হবে না,যেভাবে শেষ হয় যুদ্ধের কামানের গোলা, সদ্য জন্ম নেওয়া নবজাতকের  সংখ্যা।।

উপন্যাস

গানের মিলন

১গিটারটা এখন আর খাটের নিচে রাখার প্রয়োজন হয় না। দুই জানালার মাঝখানের দেয়ালে ঠাঁই পেয়েছে গিটারটা। বাবার দেখে ফেলার ভয়ে গিটারটা প্রথম প্রথম খাটের নিচে রাখতাম। এখন বাবার অনুমতি পাওয়া গেছে, তাই আর লুকিয়ে রাখতে হয় না।সাধারনত জানালার পাশের চেয়ারটাতে বসে গিটার...

মিলু আমান

মিলু আমান

রক যাত্রা, গানের মিলন, ফ্লয়েডিয়ান, বাংলার রক মেটাল

উপন্যাস

ফ্লয়েডিয়ান

১সুমনের ভাই সজিব। বয়সে আমাদের অনেক ছোটো হলেও কঠিন কঠিন সব গান শোনে, যেটা ঠিক তার বয়সের সাথে মানানসই না। ছোটো মানুষ শুনবে হার্ড রক-হ্যাভি মেটাল, কিন্তু অদ্ভুত সেই ছেলেটিকে পেয়ে বসে লিওনার্ড কোহেন আর বব ডিলান। যদিও সবাই খুব অবাক হয়, আমার...

মিলু আমান

মিলু আমান

রক যাত্রা, গানের মিলন, ফ্লয়েডিয়ান, বাংলার রক মেটাল

গল্প

বাবা হওয়ার দায়

 দিনক্ষণ ঠিক মনে নেই, সালটা ২০০২/০৩ হবে হয়তো। আজ থেকে প্রায় বাইশ- তেইশ বছর তো হবেই।    তবে স্মৃতির মনিকোঠায় এখনও কিছু স্মৃতি মাঝেমাঝেই মাথাচারা দিয়ে উঠে! যা টর্নেডোর মতো ক্ষতবিক্ষত করে দেয় আমায়! করে দেয় স্থবির, বুকফেটে কান্না আসে,...

পোস্ট

আত্মমূল্যায়ণ

একদিন এক ছেলে পাড়ার ঔষধ দোকানে গিয়ে একটি বাক্স টেনে আনল দোকানের টেলিফোনটি নাগাল পাওয়ার জন্য। তারপর সে বাক্সটির উপর উঠে দাঁড়াল এবং টেলিফোনটি হাতে নিয়ে একটি নাম্বারে ডায়াল করল।দোকানদার ঘটনাটি লক্ষ্য করল এবং কথোপকথনটি শোনার চেষ্টা করলঃছেলেঃ জনাবা, আপনি...

ফিকশন

নামহীন অন্ধকার

কলকাতার রাত ছিল যেনো একটি অদ্ভুত মায়াবী স্বপ্ন। চাঁদের আলো মৃদু করে ঝরে পড়ছিল হাওড়া ব্রিজের ওপর, যেখানে নদীর ওপর দিয়ে ছোট ছোট নৌকা ভেসে যাচ্ছিল। এই রাতের মধ্যে লুকিয়ে ছিল এক ভয়ঙ্কর সত্য, এক রহস্য যা বহু বছর ধরে...

বিরহ দাস

বিরহ দাস

ফ্রিল্যান্সার

উপন্যাস

সময়ের প্রতিশোধ

বিসিএসের ভাইভা দিতে গিয়ে লক্ষ করলাম এক ভদ্রলোক আমাকে বেশ কিছুক্ষণ যাবত  অনুসরণ করছেন। আমি বুঝতে পারছিলাম না কে?হয়তো পরিচিত কেউ হবে। বেশ দূরে থাকায় চেহারা স্পষ্ট  না। কিছুক্ষণ  সেদিকে চোখ গেলেও আমার মেয়ে নায়রার কান্নায় আমার সম্বিত  ফিরে আসলো।আমার...

কবিতা

🍂 স্নিগ্ধ সকাল 🍂

পাখির ডাকে জেগেছে সকাল,ঘুম ঘুম চোখে কেটে গেছে বিগত রাত্রি কাল।  শিশির ভেজা রাস্তা আর সময়ের গতিপথ, নরম পালকে উড়ে যায় লম্বাটে সাদা বক।  সবুজ মাঠে আলতো ঘাসে, শীষ দিয়ে যায় বাবুই পাখি আম বাগানের গাছে।  কুমড়ো ফুলে ভ্রমর উড়ে, নদীর ঘাটে নৌকা দুলে, শীতল বাতাস গান...

প্রবন্ধ

সনাতন ধর্মের মানুষেরা কেন গো মাংস খায় না?

সনাতন ধর্মের মানুষেরা কেন গো মাংস খায় না? গো মাতা কেন সনাতন ধর্মে পূজনীয়?উত্তর:- আমরা সনাতনীরা নানান জায়গায় মানুষের কাছ থেকে এই প্রশ্নের সম্মুখীন হই, আমরা গরুর দুধ খাই ঠিকই কিন্তু মাংস খাই না কেন? আসুন এবার জানা যাক সনাতন...

পোস্ট

🍂 ভালোবাসার ফুল 🍂

বৃষ্টিস্নাত একটি গোলাপ, পড়ে আছে কংক্রিটের রাস্তায়। ভালোবাসার ফুল, প্রণয়ের ভুল, কংক্রিটের রাস্তায় পদদলিত লাল রক্তাক্ত ফুল। কারো ভালোবাসার শেষ পরিণাম; ভালোবাসার গোলাপ হারিয়েছে ভালবাসার দাম, ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি ঝরছে, রক্তাক্ত পাপড়ি গুলো বিষাদের গল্প লিখছে। 

চিন্তা

প্রযুক্তি ব্যবহারে নারীর ভয়

প্রযুক্তি ব্যবহারে নারীর ভয়   নারীরা প্রতিনিয়ত অহরহ প্রযুক্তি  ব্যবহার করছে।  এমন অনেক নারী আছেন যারা  এ বিষয়ে অনেক দক্ষ। আজ আমি তাদের কথা বলবো যারা দক্ষ হতে পারতো  কিন্তু কেন যেন এক অজানা ভয় তাদের প্রতিনিয়ত পিছিয়ে দিচ্ছে। ছোট্ট একটা ঘটনা দিয়ে...

নন ফিকশন

রাজনীতি বিষয়ক বই রিকমেন্ডেশন

বিশ্বের প্রতিটি মানুষ কোনোও না কোনোও ভাবে রাজনীতির জালে জড়িত, রাজনীতি হলো মানবকল্যাণ সাধনের পরীক্ষিত পদ্ধতি। রাজনীতি  সমঝোতায় পৌঁছার কলাকৌশল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। দার্শনিক অ্যারিস্টটলের মতে "মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই রাজনীতি প্রিয় প্রাণী" আর তাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রিয় বিষয়...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (২১)

১০১ কে তুমি হৃদয়বান!          স্বর্গ পেতে করছ বান্ধবে আহ্বান?                  কর্ম তোমার মহান।ভালো বন্ধু ভালো,          গাঁট্টিগাঁঠুরিতে মুসাফির হলে হলো!                   বোঝা চাই নিষ্ঠাবান॥ তবে বুঝে আসে না কথাটি          কোন স্রষ্টার তুমি প্রতিনিধি?আদেশ করছেন তোমায় বিধি                   গুমরাহিকে পথ দেখান॥ ঠিক আছে যুক্তি!          তুমি কি ভাবছ তুমিই...

গল্প

একজন আদর্শ পিতাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।

টাকা উড়ানো সহজ, উপার্জন সহজ নয়! শিল্পপতি লোহানী সাহেবের ছেলের বাস্তব জীবনের গল্প!ঘটনাটি উনিশ শত সাতানব্বই সনের, আমি আমার শিল্পপতি বাবা লোহানী সাহেবের একমাত্র ছেলে রবিন চৌধুরী। তখন আমি এ লেভেলের ছাত্র। একে তো শিল্পপতির ছেলে তার উপর ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশুনা করি ভাবই আলাদা। ফ্রেন্ডস নিয়ে ক্লাবে ক্লাবে পার্টি, ট্যুর, নতুন নতুন ড্রিংকস করা, সব কিছু মিলিয়ে অন্য রকম একটা মৌজ- মাস্তির লাইফ কাটছিল।বন্ধুদের মধ্যে আমার একটা লিডার, লিডার একটা ভাবছিলো। তার কারন আমি সবচেয়ে বেশি খরচ করতাম। একদিন প্লান করলাম বন্ধুরা মিলে থাইল্যান্ড যাব ট্যুরে আর আমার এইবারের বার্থডে সেখানেই সেলিব্রেট করবো। এর মধ্যে আমার দুই বন্ধু একটু অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল তাদের খরচটুকু আমাকেই বহন করতে হবে।আজ বাবা বাসায় ড্রয়িং রুমে বসে কফি খাচ্ছে। বাবার সামনে যেতেই আমি কিছু বলার আগে বাবা বললো, এমাউন্ট কতো?? না মানে বাবা, সামনে আমার জন্মদিন তো তাই মানে এই আর কি। বাবা উচ্চ স্বরে রেগে গিয়ে বললো আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি এমাউন্ট কত?? ২ লক্ষ হলেই হবে বাবা। হুম!!!জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান তুমি। তুমি এই পৃথিবীতে জন্ম নিয়ে এই জাতিকে কৃতার্থ করেছ, তোমার জন্মদিনে মাত্র ২ লক্ষ টাকা খরচ হবে কম হয়ে গেল না??? এরই মধ্যে মা ওখানে চলে আসছে। কি হয়েছে এখানে?? আমাদের একমাত্র ছেলে, এই সম্পদ সব কিছুই তো একদিন ওর হবে। দিয়ে দাও, ওর মনে কোন কষ্ট দিও না।আমি যদি আমার ছেলেকে একটা উড়ন্ত বিমানের পাইলটের সিটে বসিয়ে তোমার ছেলের উপর প্লেনের দ্বায়িত্ব দিয়ে নেমে পরি। তখন কেমন হবে তুমিই বল?শোন রবিনের মা এই সম্পদ একদিনে আসেনি। এর দ্বায়িত্ব নিতেও নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হয়। ঠিক আছে আমি তোমার ছেলেকে ২ লক্ষ টাকা দিব যদি সে আগামীকাল আমাকে পরিশ্রম করে দুইশ টাকা উপার্জন করে এনে দিতে পারে। সারা রাত নাক ডেকে ঘুমিয়েছি মাত্র দুইশ টাকা লুল!, বাবা আগামী কালই দেখতে পারবে আমি তার সম্পদের দায়িত্ব নেয়ার মতো সঠিক যোগ্য হয়েছি।পরের দিন সকাল ৭ টায় বাবা আমাকে ডেকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিল। কি যে বিরক্ত লাগছিল মাত্র দুইশ টাকার জন্য, এতো সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে?? রেডি হয়ে একে বারে ফুল বাবু সেজে দুইশ টাকা উপার্জন করতে বের হয়েছি। পকেটে এক টাকাও নাই সাথে আবার বাবা একজন স্পাইও দিয়েছে যে কিনা গোপনে দেখবে যে, আমি কি করে দুইশ টাকা আয় করি।ঘর থেকে বের হওয়ার পর এখন মনে হচ্ছে আমি একটা উত্তাল সমুদ্রের মাঝে পরে গেলাম। বিনা পুঁজিতে টাকা কোথায় পাই? কতজনকে ফোন দিলাম, কারও কাছে থেকে কোন ধার করতে পারছি না, কারো কাছ থেকে...

চিন্তা

ইসরাফ ও রিয়া: বাঙ্গালি মুসলিম সমাজের দুটি ব্যাধি।

পনের লক্ষ টাকায় একটি খাসি কিনেছেন এক কিশোর। বিক্রেতার ভাষ্যমতে, এর বাহিরেও তিনি ৩৮, লক্ষ টাকার গরু কিনেছেন এ বছর কোরবানি উপলক্ষে। অসমর্থিত সুত্র বলছে, গতো বছরও তিনি প্রায় ৬০, লক্ষ টাকা খরচ করেছেন কুরবানিতে। ক্রেতার পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে সত্য...

মোহাম্মদ বাহা উদ্দিন

মোহাম্মদ বাহা উদ্দিন

সহকারী পরিচালক, বিপিএটিসি, সাভার, ঢাকা

কবিতা

🍂 বন্ধুত্ব 🍂

হঠাৎ করেই বন্ধুত্ব গুলো তৈরী হয়,সময়ের ব্যবধানে বন্ধুত্বের মন দেওয়া নেওয়া। কোনো চাওয়া পাওয়া নেই বন্ধুত্বের মাঝেআমার অপূর্ণতা গুলো পূর্ণতা পায় বন্ধুদের কাছে। আমার সুখ-দুঃখে তোদের প্রতিবিম্ব, চার প্রকোষ্ঠের হৃদপিণ্ড, এক প্রকষ্ঠো জুড়ে তোরা,ভালোবাসা আবেগ দিয়ে মোড়া।

পোস্ট

🍂 হাতে হাত রেখে আরো কিছুটা পথ 🍂

হাতে হাত রেখে আরো কিছুটা পথ হেঁটে চলা, গ্রীষ্ম ফুরিয়েছে বর্ষার বৃষ্টি মাখা বিকেল হারিয়েছেশরতের কাঁশফুল নরম স্পর্শ দিয়ে গেছে, হেমন্ত কাঁচাপাকা ধানের গন্ধ রেখে গেছে, শীতের কুয়াশার আদ্রতা লেগে আছে, বসন্তের স্নিগ্ধতা শরীরে মেখে এই দুটো হাত; হাতে হাত...

গল্প

গুনে গুনে ৮ টা চুল ওয়ালা একটা লোককে

গুনে গুনে ৮টা চুল ওয়ালা একটা লোককে গতকাল সেলুনে দেখলাম। সেলুনে যেহেতু মোটামুটি কাস্টমার ছিল তাই নাপিত মহাশয়ের তখন মেজাজ খারাপ। লোকটি চুলের দিকে ইঙ্গিত করতেই নাপিত জানতে চাইলেন, কী ভাই, কাটবো না গুনবো?লোকটি তখন হেসে উত্তর দিলেন, নারে ভাই...

পোস্ট

এক প্রবাসী ভাইয়ের আত্মকাহিনী

৬ বছর পর বাংলাদেশে এসেছিলাম নিজের পরিবারের সাথে ঈদ করার জন্য এবং ঈদের পর যে নারীর সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে তাকে বিয়ে করে আমার সংসারে নিয়ে আসার জন্য..এই মেয়ের সাথে আমার প্রেম নেই আগে কখনো কথা হয়নি আমার পরিবারের...

প্রবন্ধ

না যেয়ো না, রজনী এখনও বাকি

ঘটনাটা উনিশ শত আটান্ন সালের। সাদামাটা পোষাকে পঁয়ত্রিশ থেকে ছয়ত্রিশ বছরের এক লোক আমেরিকার লস এঞ্জেলসের মিউজিকের একটি দোকানে এসে ঢুকলো। আমেরিকার মধ্যে এটি ছিল তখন ইন্ডিয়ান মিউজিকের সব থেকে বড় দোকান। মালিক ডেভিড বার্নার্ড সেই সমস্ত জিনিস দোকানে রাখেন...

সত্তাশ্রয়ী

নানী - একটি স্মৃতি চারণ

আমাকে নবী নূহের গল্প বলতেন নানী। ষাটগম্বুজের আযান ধ্বনির গল্প বলতেন। ইউছুফ নবীর গল্প বলতেন। খরগোশ কচ্ছপের গল্প বলতেন। রাজা উজিরের গল্প বলতেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন গল্প বলতেন। জোলার গল্প,তাঁতির গল্প,  টোনাটুনির গল্প, হাজারো গল্প বলতেন আমাকে। তার গল্প শুনতাম অপার রহস্য...

কবিতা

🍂 বৃষ্টির পরশ ছোঁয়া 🍂

বৃষ্টি ভেজা ভোরের আলো,জমে থাকে মেঘ আকাশ কালো,স্নিগ্ধ ভেজা মাটি আর কদম ফুলের গন্ধ, ঝুম বৃষ্টিতে ভাঙ্গা জানালা বন্ধ। আলগোছে আনমনে, আঙ্গিনায় বসে বৃষ্টির পরশ ছোঁয়া, নরম কাদামাটি আর উনুনের উত্তপ্ত ধোঁয়া।ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি সোনালু ফুলে, আনন্দের আনাগোনা ব্যাঙাচির দলে। 

গল্প

রিপনের হাতঘড়ি

‘কোনখান থেকে কী শাউয়ার ডাইল আনছিস, বাল। কোনো ফিলিংসই পাইলাম না।’তাজুলের কথা শুনে রুবেলের দিকে একটা চোরা দৃষ্টি দিয়েই চোখ সরিয়ে নিয়ে মিলন বলে, ‘তোরও এমন হইতেছে। আমি তো ভাবতেছি আমারই খালি ফিলিংস উঠতেছে না। তখন থেকে আমি চিন্তা করতেছি, ফিলিংস উঠতে এত সময় লাগতেছে কেন আমার?’তাজুল বলে, ‘খানকি...

মাহবুব মোর্শেদ

মাহবুব মোর্শেদ

কবি, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক

ফিকশন

সে সময়ের ভ্রমণকারী

সে সময়ের ভ্রমণকারী  অদ্ভুত সন্ধ্যা  রাজধানী ঢাকার ব্যস্ত শহরে, আবির নামের একজন বুদ্ধিমান বিজ্ঞানী তার ল্যাবে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছিলেন। তিনি সবসময় সময় ভ্রমণের ধারণা নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন এবং তার জীবনের অনেকটা সময় এই বিষয়ে গবেষণায় ব্যয় করেছেন। তাঁর ল্যাবটি ছিল...

আফিফা

আফিফা

শিক্ষার্থী

কবিতা

জনৈক মন্ত্রীকে

এতো বাড়তি নিরাপত্তা, সৈন্য-বেষ্টনি দিয়ে কি হবে, স্যার?আপনার দেশের বেলাশেষের সৌর্ন্দয্য কি আপনি দেখেছেন?কতটুকু প্রয়োজন খেটে খাওয়া মানুষের জ্ঞানের প্রসার?সন্ধ্যা পাজড়ে যার- প্রতিদিন না পাওয়ার উড়ায় নিশেন!কি হবে অটুট রেখে শহরে অবাধ গ্যাস সরবাহ?জানেন কি জৈবসার এসব আপনার পূর্বপুরুষের? বিষাক্ত বায়ুর দ্বারা খাবার রাখছে তাজা ফ্রিজ-হিমবাহ;অবশ্য এ কবিতাও সংসার ভেঙেছে এক মহিলা গাছের!

Nafis Istiak Emon

Nafis Istiak Emon

কবিতায় কান পেতে বসে থাকা আমার অসুখ...

চিন্তা

অনুভূতি

ভালো লাগে, ভালো লাগে নাখারাপ লাগে না, খারাপ লাগেকখনও এমন, কখনও ওমনকেমন যানি লাগে। আশা ভরসা জীবনের পথেফাঁকে ফাঁকে যেন লুকিয়ে থাকে,লুকিয়ে থাকে প্রেম ভালোবাসাদুনিয়ার মোহ বারবার ডাকে। সুখ অসুখ শরীর মনেসবার সাথে থাকে প্রতি ক্ষণে,কখন যেন কোনটা আসেদুনিয়ার বুকে জানে কোন...

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

উপন্যাস

saimum series 1. page. 100

Page 1সাইমুম-১ অপারেশন তেলআবিব-১আবুল আসাদPage 2সাইমুম সিরিজ কপিরাইট মুহতারাম আবুল আসাদ এর ইবুক কপিরাইট www.saimumseries.com এর।Page 3সম্মানিত পাঠক,আসসালামু আলাইকুমইবুক সম্পর্কে কিছু কথাসাইমুম সিরিজকে অনলাইনে টেক্সট আকারে আনার লক্ষ্য নিয়ে ২০১২ সালের ১৭ই আগস্ট গঠন করা হয় সাইমুম সিরিজ-ইউনিকোড প্রোজেক্ট (SSUP)...

কবিতা

রূপসী বাংলা আমার

দোয়েলের শিস থেকে রাখালী বাঁশিতে, সুর তুলে কত সুমধুর।রুপালি ইলিশ আর মাঝির ভাটিয়ালি, বধূ নাইওর যায় বহুদূর।ফসলের মাঠে থেকে যে ঘ্রাণ ছুটে আসে,তালে তালে নেচে উঠে মম প্রাণ।পাকা ধানের মাঠে সোনালী ঢেউয়ের স্রোতে,একতারা বেজে ওঠে, জেগে উঠে সাথে সাথে বাউলের গান।নেচে উঠে সাথে...

উপন্যাস

ক্লিপ্টোম্যানিয়াক (২)

আগের পর্ব ২ ছেলেটা হ্যাভারস্যাকটা কাঁধে নিয়ে বেশ স্মার্টলি বেরিয়ে গেল। দরজার কাছে যাওয়া পর্যন্ত ওর দিকে তাকিয়ে থাকলাম। ভেবেছিলাম, একবারের জন্য ফিরে তাকাবে। তাকালো না। ইগ্নোর করল? সেদিনের মতোই কি ব্যাপারটা আত্মসম্মানে লাগলো? নট সিওর।তবে ছেলেটার সাথে আলাপ করতে পারলে খারাপ...

পোস্ট

🍂 অভিমানী বৃষ্টি 🍂

অভিমানী বৃষ্টি মেখে তুমি শতবর্ষের ভালোবাসা জড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছিলে কাছে, আমি আনমনা হয়ে যাই তোমার চোখে চোখ রেখে। আমার চেতনা স্তব্ধ হয়ে যায় তোমার নাকের ডগায় ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি দেখে; তোমার কানের ঝুমকো দুলে বৃষ্টি ভেজা সুগন্ধি চুলে, আমি হারিয়ে...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (২২)

১০৬ কোথায় তোমার লয়ের মাঝে মাটি রোধ-রোধ-রোধ করে দাও রোধী। কোথায় তোমার লাঞ্ছিত সেই জাতি          ধন-ধন-ধন্য কর তাদের তুমি॥ কোথায় কারা হতভাগ্যে          অশ্রেু ভাসছে প্রতিনিয়তে, কোথায় মানুষ নিরুপায়ে বিপথগামী রক্ষ-রক্ষ-রক্ষা কর ওদের তুমি॥  কোথায় দেশে অবিচারের বিচারালয় চুর-চুর-চুরমারে দাও ভেঙেচুরি। কোথায় ত্রাসের রাজত্বটা হচ্ছে বড়ই          ধ্বং-ধ্বং-ধ্বংস কর ধ্বংসকারী॥ কোথায় কোথায়...

গল্প

নরকগামী ঈশ্বর

ঈশ্বর  দাস চমকে উঠল। আশেপাশে ডানে-বায়ে কোথাও কেউ নেই। ‘কথাটা তাহলে বললো কে?’আবার আকাশের দিকে ভয়ে ভয়ে তাকাল। নাহ্, দিনে-দুপুরে আকাশেও তো কোনো ছিদ্র দেখা যাচ্ছে না। দুই ঘন্টা আগে তার জীবনে একটা ঘটনা ঘটে গেছে। তা সে ঘটনা জানে একমাত্র...

পোস্ট

🍂 উজান-ভাটি 🍂

জন্ম থেকে আজন্ম, কাল থেকে মহাকাল, শুরু থেকে শেষ মৃত্যু অবধি নিরন্তর বয়ে চলা। সময়ের স্রোতের সাথে এ যেন এক উজান-ভাটি খেলা। সাবলীল সময়ের স্পর্শ, জীবনের অভিকর্ষ ; কখনো বাঁধা পেয়ে থমকে দাঁড়ায়, জীবনের সুখ স্বপ্ন হারায়। উজান-ভাটির এই ছন্দ খেলায়,...

গল্প

কবুতর

কবুতরবর্ষাকালে বনানীতে বাইক থেমে গিয়েছিল একবার, ওয়ারিং এর সমস্যা। ওসমান সেবার উদ্ধার করেছিল। ওস্তাদ মেকানিক। ছোট একটা সুইচ বদলে দিয়েই গাড়ী স্টার্ট করে দিয়েছিল। এরপর বনানী থেকে চেয়ারম্যান-বাড়ীর ছোট গলিটা দিয়ে যতবারই অতিক্রম করেছি একবার করে খোঁজ নিয়েছি। কখনো বাইকের...

শরৎ চৌধুরী

শরৎ চৌধুরী

লেখক, নৃবিজ্ঞানী, শিক্ষক, গবেষক, প্রাবন্ধিক, ব্লগার,

কবিতা

অদ্বিতীয় ভালোবাসা

 আমার ভালবাসা ঠিকস্বপ্নের নদীর মত !যা প্রবাহিত হয়,শান্তি ও সৌন্দর্যের ,তৃণভূমির মধ্য দিয়ে ।যা আমার মনকে প্রশান্তি দেয়আমাকে আনন্দ দেয় !যা আমাকে শক্তি দেয়,আমার আবেগকে পরিপূর্ন করে।আমার ভালবাসা হিমালয়ের মত শক্ত ,গোলাপ পাপড়ির মত নরমযার সৌন্দর্য কখোনো ,শেষ হয় না ।আমার...

চিন্তা

শিক্ষা ক্রমে একটা নতুন বিষয় হিসেবে ‘নতুন কোন ভাষা শিক্ষা’যোগ করা হোক

 শিক্ষা ক্রমে একটা নতুন বিষয় হিসেবে ‘নতুন কোন ভাষা শিক্ষা’যোগ করা হোক পৃথিবীর অন্যান্য দেশের স্কুলের দিকে যদি আমরা তাকায় তাহলে দেখা যাবে যে ছোটবেলা থেকেই তাদের শিক্ষাক্রমে তাদের নিজেদের দেশের ভাষায় শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন ভাষা শেখার সুযোগ থাকে।  এই সুযোগ...

কবিতা

রাজপুত্র

রাজপুত্র বেলা তখন গোধূলি ,পঙ্খিরাজের পরে উড়িয়ে ধুলো এসেছিল সে। তারে যায় না দেখা ,বসে বসে ভাবি একা। সে কি আমার সে যারে ভাবি বসে যারে দেখি স্বপনে আর আমার মনে।  

কবিতা

🍂 মায়াজাল 🍂

একদিন পথ হাঁটতে হাঁটতে, এই পৃথিবীর নোনাজলে পা ভেজালাম ;কতটা গভীর সে জল!যতটা গভীর ঐ চোখের কাজল।নিঃশব্দে আমি সে জলের গভীর থেকে অতল গভীরে হারিয়ে গেলাম। এক মায়াজালে জড়িয়ে গেলাম;সে জাল ভালোবাসার মায়াজাল। 

উপন্যাস

দ্যা পেপার ম্যারেজ (৩)

আগের পর্ব ৩ সুমন এই হোটেলেরই এমপ্লয়ি। বয়স, আমার ধারণা টুয়েন্টি সিক্স সেভেন হবে। কোয়ালিফিকেশান কি, জানি না। তবে এখানে কি পোস্টে কাজ করে, সেটা জানি। দিবা যেদিন আমাকে হোটেলে নিয়ে যায়, সেদিনই ওর সাথে পরিচয়। ওর কাজ? আমার মত মেয়েদের সাথে...

নন ফিকশন

স্বচ্ছতার বিভ্রম

Malcolm Gladwell চমৎকার বই "Talking to Strangers"  মাধ্যমে লেখক পাঠকদের কাছে মানুষের অপরিচিতদের সাথে কথা বলার ভুলগুলো চিহ্নিত করে৷ তিনি  তার বইতে উল্লেখ করেন অপরিচিতদের সঙ্গে আমাদের কথা বলার উদ্দেশ্য এবং প্রেরণার সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে না পারার আমাদের অক্ষমতা এবং...

পোস্ট

🍂 দিনশেষে তুমি সুখে আছো 🍂

আমার অভিমান গুলো অব্যক্ত থেকে যাক,অভিযোগ গুলো চাপা থাক কাগজের ভাজে।স্মৃতি গুলো ঝরে যাক যেমন ঝরে যায় গাছের শুকনো পাতা। হতাশা গুলো হারিয়ে যাক দুঃস্বপ্নের ভীড়ে,ইচ্ছে গুলো বিলীন হোক যা ছিলো তোমায় ঘিরে। আমার দুঃখ গুলো মুক্তি পাক এই ভেবে...

কবিতা

কবিতা: বলা হয়নি

কবিতা : বলা হয়নিলেখায়: সৌরভ দূর আকাশের তারার মত তুমি যেন বহুদূরেতোমার সৌন্দর্য উপভোগ করা গেলেও ছোয়া যায় না,প্রেমময় সুদীর্ঘ বার্তা পৌছানো গেলো নাশুধু তোমার ছায়া একাকী নিঃসঙ্গতায় কিংবা কোলাহলে।তোমার দুচোখে যেন মায়াময় আলোর বিচ্ছুরণ জ্যোৎস্নায় মোড়ানো দেহ উজ্জ্বল ঝলমলে তোমার অন্তরঙ্গ কন্ঠ,প্রেমময়...

চিন্তা

“ভাইয়া, আজকে আমরা বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ দিতে যাবো।“

“ভাইয়া, আজকে আমরা বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ দিতে যাবো।“ইনবক্সে অনেকেই এমন মেসেজ দিচ্ছে, ছবিও পাঠাচ্ছে; অনেকেই সত্যি সত্যি বেশ প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রান পৌছে দেবার চেস্টা করছে।ইউ পিপল আর রিয়েল ডুয়ারস! এন্ড ইউ পিপল আর অসাম!!তোমাদের/আপনাদের সবাইকে স্যালুট!!!পুনশ্চঃত্রান নিয়ে যারা রওয়ানা দিচ্ছে...

পোস্ট

বিড়ালের গলায় ঘণ্টাটা বাঁধবে কে?

হযরত নুহ (আঃ) যখন তার বিশাল নৌকা বানানো শুরু করলেন, তখন তাঁকে নিয়ে বিদ্রুপ আর কটাক্ষ করার লোকের অভাব হয়নি কিন্তু তিনি দমে যান নি এবং তার দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি বন্ধ রাখেন নি। মানব সভ্যতার ইতিহাসের ভয়াবহতম বন্যা...

প্রবন্ধ

"বিক্রিত পণ্য ফেরত নেওয়া হয় সাথে চা বা কফি ও খাওয়ানো হয়।"

"বিক্রিত পণ্য ফেরত নেওয়া হয় সাথে চা বা কফি ও খাওয়ানো হয়।"ট্রেনিং করানোর সময় মাঝে মধ্যেই বেশ কিছু শিক্ষনীয় বিষয় খুজে পাই পার্টিসিপেন্টদের কাছ থেকে। তেমনই একটি শিক্ষণীয় গল্প।কয়েক বছর আগে নরসিংদীর কাপড় উৎপাদনকারি ব্যাবসায়িদের মধ্য থেকে ৩০ জন ব্যাবসায়িদেরকে...

চিন্তা

যুগে যুগে সফলদের সূত্র আসলে এগুলোই

লাস্ট উইকে এক ভাইয়ার সাথে মিটিং করলাম যিনি এয়ার ক্রাফটের ব্যাবসা করেন। গুলশানের একটা নামকরা কফি শপে আলাপ করতে করতে বেশ কিছু ইন্টারেস্টিং জিনিস জানলাম। ভাইয়া বললেন, গত ছয় মাসে উনি ৪-৫ জন বিলিওনিয়ারের সাথে বেশ কয়েকদিন একান্তে সময় কাটানোর...

চিন্তা

আমরা কি শিখছি

পাঠদানের রীতি পাল্টে গেছে। আমি যা শিখেছি, আপনি যা শিখেছেন তা কি পরবর্তী শিক্ষার্থীরা শিখছে? না। শিখছে তবে অন্য ভাবে।হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা শিখছে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মতো। এদের জ্ঞান কি কম না-কি আমাদের জ্ঞান বেশি ছিল? হ্যাঁ। সবার জ্ঞান সমান হয়...

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

গল্প

🍂 ভৌতিক গল্প 🍂

বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে একদিন বাড়ি ফিরছি,প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে। আমাদের প্রাইমারি স্কুল থেকে আমাদের বাড়ি পর্যন্ত যেতে বেশ কয়েকটি বাঁশবন আর আম বাগানের ভিতর দিয়ে  যেতে হয়।  বাঁশবন দিয়ে হেঁটে যাবার সময় কেমন জানো গা ছমছম করছে। এদিকে সময় যত...

কবিতা

কবির এখন ডিমেনশিয়া

কিছু কিছু কবিতার,ঠাই হয় না খাতায়।এদের সারা শরীর জুড়ে থাকে,অজস্র ক্ষত।লাল ক্ষত, নীল ক্ষত-শুকিয়ে যাওয়া কালো কালির ক্ষত।যে ক্ষত একসময় লুকিয়ে ছিল,কবির বুকে।যে বুক এক নিমিষে ফালাফালা করে ফেলা যায়!তবু মুখে একটা টু শব্দ বেরোয় না!কিলবিল করা শব্দগুচ্ছ জমতে থাকে।জমতে...

মেজবাহ

মেজবাহ

শল্যচিকিৎসক

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (২৩)

১১১ চাইছি খোদা তোমার          সেই কঠিনদিনে পার, হে করুণাময় আমার                   ওগো করুণার আধার।ওই বিচারের ময়দানে          তুমি বড় রোষাননে, হিসাবের কড়া মিজানে                   করবে বান্দার বিচার।চাইছি খোদা তোমার          সেই কঠিনদিনে পার॥  অপরাধ যদিবা হয়েছে          লাঞ্ছিত করো না আমাকে, জান্নাত দিয়ো না বরঞ্চে                   বাঁচায়ো জাহান্নাম থেকে। পারি না সইতে...

গল্প

বলদ নাম্বার ওয়ান (পর্ব : 1)

এই যে বাবা শোন , আজকে তোর স্কুলের মৌখিকপরিক্ষা । যা প্রশ্ন করে তারই উত্তর দিবা। বুচ্ছ ।ছেলের নাম কুদ্দুস ।ছেলে খুব বোকাসোকা ।সে আজকে পরিক্ষা দিতে যাবে ।স্কুলে আসার পরে ,কুদ্দুস : আসালামুয়ালাইকুম । স্যার ভিতরে আসব ।স্যার   :...

সাদাত হোসাইন

সাদাত হোসাইন

student of class 6 (Dhunat Adorsho Hight school )

কবিতা

শুকনো গোলাপ

 তুমিও ঠিক বদলে গেছো, চিরচেনা  প্রিয় স্বজন।বইয়ের ভাঁজে শুকনো গোলাপ রংয়ের মতন।টকটকে লাল রংটা যেমন রক্ত-পচাখয়েরী ধরণ।খুব সহজেই আখির ভাষা বদলে দিয়ে, পরাণ পাখি।কেমন করে এক নিমিষেই খুলে দিলে,হাতের রাখি।পথ হারানো পথে তোমায় খুঁজে ফিরে,একলা ডাকি।কেমন করে ফেলে দিলে আমার হাতের লেখা চিঠি।চিঠির ভাঁজে...

পোস্ট

মা তো "মা" ই হন, তোমার মা আর আমার মা আবার কি?

স্বামী ঘরে ঢুকতেই স্ত্রী রেগে চেঁচিয়ে উঠল- কোথায়  ছিলে আজ সারা দিন? অফিসে খবর নিয়েছি, সেখানেও যাও নি তুমি, ব্যাপারটা কি শুনি?স্বামী তোতলাতে তোতলাতে বলছেনঃ- মানে ...স্বামীর মুখের কথা কেড়ে নিয়ে স্ত্রী আবার চেঁচিয়ে উঠল- কি মানে করছ, কোথায় কোথায় গিয়েছিলে,...

চিন্তা

আমাদের নিজেদের এই শূন্যতা!

স্বাভাবিক অর্থে “কে আমি” বা “কে আপনি” এর বাইরে এসে আমরা যেভাবে নিজেকে খুঁজে পাই তা একান্ত আমাদের নিজেদের পরিচয়। জগত সংসারে সবকিছুতে অর্থ খুঁজতে চাওয়ার মধ্যে মানুষের সবসময়েরই তীব্র এক অনুসন্ধান কাজ করে। যা কিছু তীব্র তা একদিন শিথিল...

কবিতা

প্রিয়তমাসু

প্রিয়তমাসুতারাপদ রায় অনেকদিন পর কাগজ-কলম নিয়ে বসেপ্রথম একটা চাঁদের ছবি আঁকি, সঙ্গে কিছু মেঘ। তারপর যথেষ্ট হয়নি ভেবে গোটা তিনেক পাখি,ক্রমশ একটা দেবদারু ও কয়েকটা কলাগাছ,অবশেষে অনেকগুলি ছানাসহ একটা বেড়াল,এইসব এঁকে এঁকে তবুওকাগজের নীচে চার আঙুল জায়গা বাকি থাকে :সেখানে প্রথমে লিখি, শ্রীচরণেষুতার নীচে সবিনয় নিবেদন। এবং...

কবিতা

প্রিয়তমাসু

প্রিয়তমাসুতারাপদ রায় অনেকদিন পর কাগজ-কলম নিয়ে বসেপ্রথম একটা চাঁদের ছবি আঁকি, সঙ্গে কিছু মেঘ। তারপর যথেষ্ট হয়নি ভেবে গোটা তিনেক পাখি,ক্রমশ একটা দেবদারু ও কয়েকটা কলাগাছ,অবশেষে অনেকগুলি ছানাসহ একটা বেড়াল,এইসব এঁকে এঁকে তবুওকাগজের নীচে চার আঙুল জায়গা বাকি থাকে :সেখানে প্রথমে লিখি, শ্রীচরণেষুতার নীচে সবিনয় নিবেদন। এবং...

গল্প

ভালোবাসা, শুধুই ভালোবাসা

টিউশনি করবে?: কোথায়?: ষোলশহর।: ছাত্র না ছাত্রী?: ছাত্র, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।: ছাত্র, পড়াব না।: বিরাট পুলিশ অফিসারের ছেলে, বাবা ডিআইজি, ভালো বেতন দেবে, ভালো নাস্তা পাবে। আরে, এতো বড়ো পুলিশের ঝাড়ুদার হতে পারাও তো ভাগ্যের ব্যাপার। ছাত্রের বাবার সুপারিশে চাকরিও...

পোস্ট

আমাদের শেষ দিনের হিসাব

এক মাদ্রাসার ছাত্র তার হুজুরকে প্রশ্ন করল, "হুজুর, হাশরের দিন বান্দার হিসাব-নিকাশ কেমন হবে?"ছাত্রের কথা শুনে হুজুর কিছুক্ষণ বসে থাকলেন। তারপর নিজের পকেট থেকে কিছু টাকা বের করলেন সেই টাকা ছাত্রদের মধ্যে নিম্নরুপে বন্টন করে দিলেন -১ম জনকে দিলেন -...

গল্প

এক ডিভোর্সি নারীর বাস্তব জীবনী

ডিভোর্সের আগে শ্বশুর বাড়ি জেলখানা মনে হতো, ডিভোর্সের পরে এখন নিজের বাড়িই দোজখের মত লাগছে। (বাণীতে ডিভোর্সি নারী)পরিস্থিতি যেমনই হোক, ডিভোর্স কখনো সুখ দেয় না!কমপক্ষে কোন মেয়ে সুখী হতে পারে না।এক ডিভোর্সি নারীর বাস্তব জীবনীআমি জানি না, আমি কেন লিখছি।...

চিন্তা

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষায় নারী ও পোষ্য কোটা বাতিল চাই

সংবিধান হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বচ্চ আইন । বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে সংবিধান মান্য করা প্রত্যেক নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এই সংবিধানের ২৮ (২) নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষ সমান অধিকার লাভ করিবেন "এখন কথা হচ্ছে, সংবিধানে উল্লেখ করা...

কবিতা

মুক্তিযোদ্ধা

মুক্তি সংগ্রামী, স্বাধীনতা সংগ্রামীমুক্তিযোদ্ধা তার নাম, মুক্তিযোদ্ধা তার নাম,তাদেরই রক্তে জোড়া বাংলাদেশের নামতাদেরই রক্তে লেখা বাংলাদেশের নাম। যারা চায় মুক্তি, যারা চায়না কষ্টযারা চায় নতুন কিছু, যারা চায়না কোনোকিছু করতে নষ্ট,মুক্তিযোদ্ধা তার নাম, মুক্তিযোদ্ধা তার নাম। আমাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে যারাএদেশের দামাল...

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

নন ফিকশন

বিদ্রোহ করো

বিদ্রোহ করো বিপ্লব করোযুদ্ধ করো শেষে,জিতব আমরা হারবে তারাবিদ্রোহের শেষে। পড়লে বিপদে হারলে যুদ্ধেমনকে তোমার রাখ শান্ত,কষ্ট পেয়ে যন্ত্রণা পেয়েযতই তুমি হও ভ্রান্ত। সংগ্রাম করো বিপ্লব করোশান্তি আনো শেষে,জয় হবে, হার হবে না গোবিদ্রোহের শেষে, বিদ্রোহের শেষে।

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

কবিতা

সৌন্দর্য

পৃথিবীতে রয়েছে নদী-নালা, ঘাসবিভিন্ন দেশে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মাস,বাংলাদেশে ছয় ঋতুতে বছরে বারো মাসগ্রামের বেশিরভাগ মানুষ করে শুধু চাষ। সেই চাষের ফলন হচ্ছে ধান, ভুট্টা, গমসৌরজগতের একটি গ্রহের নাম হচ্ছে সোম,সোমের মতো পৃথিবীও হয় একটি গ্রহচাঁদ হচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। পৃথিবী রয়েছে...

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

মোঃ সিফাত আল ইসলাম

লেখক, কবি, গল্পকার, সংগীত শিল্পী, ছাত্র

কবিতা

আষাঢ় মাসের প্রথম দিন

আষাঢ় মাসের প্রথম দিন কদম ফুটুক আর নাই ফুটুকআজ বর্ষাকাল,আষাঢ় মাসের প্রথম দিন। বৃষ্টি হোক আর নাই হোকআজ বর্ষাকাল,থাকার কথা বাদলা দিন। মেঘ জমুক আর নাই জমুকআজ বর্ষাকাল,থাকার কথা জলে ভরপুর। ব্যাঙ ডাকুক আর নাই ডাকুকআজ বর্ষাকাল,শুনার কথা ব্যাঙের সুর। হায়রে আমার ষড়ঋতুর দেশবৃষ্টি বিহনে...

মো আনছার আলী

মো আনছার আলী

Former Principal Officer, Sonali Bank Plc.

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (২৪)

১১৬ একবার প্রাসাদ ছেড়ে          নেমে এসে দেখ-না                   সমৃদ্ধির মালিক! আর্তমানুষের মনঃকান্না          একবার অনুভব কর-না                   কী কারুণিক!।  আকাশে বসবাসের ঘর          বুঝে পাবে না মানবেতর, রাস্তার পাশে যে জিন্দেগি          পুছ তারে জীবন কী                   বুঝ তো রাস্তা ঠিক।একবার প্রাসাদ ছেড়ে          নেমে এসে দেখ-না                   সমৃদ্ধির মালিক॥  আসবে না কোনো...

কবিতা

🍂 রঙিন পালক 🍂

ঐ দূরে দাঁড়িয়ে আছে একটি বালক,হাতে তার নীলাভ সবুজ রঙিন পালক।আমি তাকিয়ে দেখি অপলক, গুচ্ছ গুচ্ছ রঙিন পালক,এই পালকের মাঝে কত স্বপ্নেরা উড়ে,জীবন বাস্তবতায় সে যে ভবঘুরে। ওর দুটি হাতে রঙিন পালক,সেই পালকে সে উড়ে যেতে পারে না বহুদূর;ওর পায়ে যে শেকল...

গল্প

তাহলে ,

ফুল আঁকা দেয়াল । রুমের ভিতর ফুল দিয়ে সাজানো । সেই বাড়িতে থাকতো এক ছেলে , বয়স দশ বা এগারো ।  বাসায় আর কেউ নেই । একদিন রাতের বেলা তার ঘুম ভেঙ্গে গেল নিঃশ্বাসের শব্দ । তার নিজের নয় অন্য কারো নিঃশ্বাসের শব্দ । বাড়িতে তো সে একা তাহলে ? সে থমকে দাঁড়ালো এবং একটু ভয়ও পেল । সে বলল , এই তো হয়ে গেল প্রায় দুই বছর এখানে আমি একা থাকি । তবে আজ কেন এরকম হলো । না না এটা আমার মনের ভুল । এই বলে শেষ...

সাদাত হোসাইন

সাদাত হোসাইন

student of class 6 (Dhunat Adorsho Hight school )

বিশ্ব সাহিত্য

Kafka's letter to Milena

[মেরান, এপ্রিল-মে ১৯২০] প্রিয় মিলেনা, আগেই বলে নিচ্ছি, কেননা আমি চাইনা বলার আগেই তুমি চিঠি পড়ে বুঝে ফেলোঃ ১৪ দিনের মতো হবে আমার ইনসোমনিয়া বেড়েছে, ঘাবড়াইনি, এমনটা প্রায়শই হয়। আবার এই নির্ঘুমতার কয়েকটা অপ্রয়োজনীয় ব্যাখ্যাও আছে (হাস্যকর ব্যাপার হলো, বায়দেকার*...

গল্প

একদিন স্বপ্নের দিন

সূর্যটা পশ্চিম দিকে ঢলে পড়েছে। তার রঙে কেমন যেন ক্লান্তির ভাব। এই গোধূলি লগ্নের ক্লান্তি যেন প্রকৃতিকেও গ্রাস করেছে। তবু এই স্টিমার ঘাটে তার কোনো ছিঁটেফোঁটাও নেই। বরঞ্চ মানুষের পায়ের গতি যেন এখানে ছন্দ পায়। স্টিমারের ঘন ঘন ভেঁপু যেন...

কবিতা

খাতক (কবিতা)

স্বচ্ছ পলি-ব্যাগে মোড়া আকাশ,ঢিল ছুঁড়লে ফুটো হয়ে যাবে,মাটিও মেতেছে পানিতে, উভয় সংকট।বানের পানিতে সাদা হয়েছে ফসলের মাঠমাছ আর ব্যাঙেরা ঈদে মেতেছে,ছেলেদের ভেলা আর জেলেদের নৌকা দেখা যায়।আর এদিকে, নব্য মহাজনী কারবারও ঠিকঠাক চলছে,প্রতি দশ হাজারে প্রতি মৌসুমে দুই মণ ধান,দুই...

চিন্তা

জীবনের_ঋণ

বাসায় যে মানুষটা প্রতিদিন অফিসে আসার সময় খাবার তৈরী করে দেন তাঁর কাছে আমরা ঋণী। সকালে অফিসে সঠিক সময়ে আসার জন্য যে রিক্সা, সিএনজি বা বাসে করে আসি সে সব ড্রাইভার ভাইদের কাছে আমরা ঋণী।আমরা কোন কাজ করতে গিয়ে যখন ভেঙে...

চিন্তা

এজন্যই তারা ধনী, তারা বিত্তবান

আজকাল খুব দ্রুতই রেগে যাচ্ছি। মনের অগোছালো ভাবনা গুলো আমাকে বারবার আবদ্ধ করে রাখছে অবিরত। বের হতে পারছি কই, সবকিছু আমার বিরুদ্ধে অবস্থান করছে। মানবিকতা চর্চা করতে গিয়ে অমানবিকতার অপবাদ নিয়ে ফিরতে হয়। জীবনটা বোধয় এরকমই। সবদিক থেকে কিছু মানুষ...

কবিতা

খুঁজে বেড়ায় তাকে

মনের উপর কারো হাত নেই , মন যে কখন কোথায় হারায় কে বলতে পারে তাই। আজ ও নিরালায় বসলে মন চলে যায়, মন চলে যায় সেই কিশোরী বেলায়। তখন আমার বয়স কতই বা , হবে পনেরো কি ষোলো । মাঘ...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (২৫)

১২১ জীবনে একবিন্দু সুখ          উপলব্ধি করতে পারিনি!                   তবু আমি সুখে আছি।সুখ যদিওবা আমাকে          আপন বলেই মানেনি কী, শান্তিও নেই কাছাকাছি?          তবু আমি সুখে আছি॥  ‘সুখচে তবে শান্তি ভালো          জীবন হলো সাদাকালো,                   এই আলো এই আঁধার প্রহর কিছুটা আঁধার বেশি’          তবু আমি সুখে আছি॥  সুখের রাজ্য...

চিন্তা

নবারুণ ও কোকাকোলা

আমি কাজোরী’কে বললাম, ‘বোকাচোদা’ শব্দটা তোমার কেমন লাগে?কাজোরী অবাক হয়ে বললো, কি বলেন এইসব? এটা কি ভালো লাগার মতো শব্দ?- আমারও আগে ভালো লাগতো না। গতকাল রাতে দুই লাইনের একটা কবিতা পড়লাম। আমার পড়া সেরা দুই লাইন।- বলেন তো শুনি!-...

কবিতা

অনুশোচনা

ভুলগুলো হত্যার পর রাতগুলো জেগে ওঠে। যেমন করে প্রথম বৃষ্টিতে মাটি থেকে জেগে ওঠে পুরোনো গন্ধ। রাতগুলো নিজেদের দিকে তাকায়। তবে কি তারা ফুল ছিল? বৃষ্টির পানিতে ফুটেছে তাদের গভীর গন্ধ? ফুলগুলো মারতে চেয়েছি রাতগুলো নয়, কিন্তু নিজের দিকে তাকিয়ে দেখছি-...

কবিতা

পাখিদের মৃতদেহ

বন্ধুরা আর বন্ধু নেই- এই শোক এখনো উদযাপন করা হয়নি পাথরকুচি পাতা যখন ঝুলে থাকেতখন তার কাঁটগাুলা ঝুলে থাকে কি?বিজ্ঞান ও অভিকর্ষ ঘেটে তুমি বলবেহয়তোবা ঝুলে থাকে না, অভিকর্ষ ছাড়া আমি শতাব্দী ভ্রমণ শেষেও এসে বলবঝুলে থাকার পৃথিবীতে কাঁটাগুলো বড়ই  মসৃণ, সন্ধ্যার সাথে...

বিশ্ব সাহিত্য

নোবেলোত্তর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া-3

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বনাম এজরা পাউন্ড : হৃদ্যতা থেকে তিক্ততাবাংলাভাষার একমাত্র ও সাহিত্যে এশিয়ার প্রথম নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সুইডিশ একাডেমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে মনোনীত করার কারণ হিসেবে বলেছিল-because of his profoundly sensitive, fresh and beautiful verse, by which, with consummate...

বাংলা সাহিত্য

যে,ও।

যেও!!প্রজাতিরন্যায় আসেআমারবেপরোয়া জীবনে।আমার অপবিত্র সকল ইচ্ছেযায়পবিত্র করে দিয়ে। ওকে,দেখেছিলামএক রাতে,নীলশাড়ি গাঁয়,কালো গোলাপ হাতে।স্থীর চোখ,মুখে মায়াকিন্তু খালি পায়ে। উত্তাল ঝড় তার বুকে,যাচ্ছে খোপা খুলে।বেঁধে দিতে তাইহাটতে লাগলামহৃদয়মায়ার টানে। (১৫.০২.২১)Selected on Bangladesh ‘Kabyagrantha 2022’ 

গল্প

তিক্ত স্মৃতি মুছে যাক ভালোবাসার ছোঁয়ায়

আজ আমার শাশুড়ির বাপের বাড়ি থেকে তার দুই বোন এসেছেন। রান্না যেহেতু আমিই করি।তাই আম্মা এতটা খোঁজ নেন না।আর উনি জানেন মেহমান আসলে আমি বেশ খাতির যত্নই করি।এটা অবশ্য আমার মায়ের দেওয়া শিক্ষা। মা বলে, নিজেরা যাই খাই না কেন...

চিন্তা

কে বড়ো?

কে বড়ো? বংশে যে বড়ো সেই, নাকি যার টাকা বেশি? স্বাস্থ্য যার ভালো সে, নাকি যার জ্ঞান বেশি? ক্ষমতা, নাকি পেশা? সত্যি বলতে কি- কে যে বড়ো আর কে যে ছোট এই হিসাব করাটাই মুশকিল। একেক জন একেকভাবে চিন্তা করেন...

সাজ্জাদুল করিম

সাজ্জাদুল করিম

প্রাবন্ধিক, কলাম লেখক ও জেলা লাইব্রেরিয়ান, শেরপুর

ফিকশন

টাইম ট্রাভেলার ১.০

নির্জন রাত। দূর থেকে শোনা যাচ্ছে একটা মৃদু হুইসেলের শব্দ। আকাশ ভরা তারা, আর মাঝে মাঝে চকচক করে উঠছে অচেনা কোনো বস্তুর প্রতিচ্ছবি। এই শহরটা কিছুদিন আগেও ছিল ব্যস্ত, তবে এখন যেন নীরবতার আচ্ছাদনে মোড়া।রাহাত বসে আছে তার ল্যাবের ভিতরে।...

প্রবন্ধ

ভালোর প্রত্যাশা

ভালোর প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা আমাদের জন্মগত ব্যাপার। আমরা সর্বদা ভালোটিই চাই। আমার শরীর ভালো হোক, স্বাস্থ্য ভালো থাকুক, আমি যেন দেখতে ভালো হই, আমার খাবার ভালো হোক, পোশাক-পরিচ্ছদ ভালো হোক, বাসস্থানটি ভালো হোক, একটি ভালো ক্যারিয়ার আমার হোক, আমার একজন...

সাজ্জাদুল করিম

সাজ্জাদুল করিম

প্রাবন্ধিক, কলাম লেখক ও জেলা লাইব্রেরিয়ান, শেরপুর

পোস্ট

লোক দেখানোটাই যেন আমাদের নতুন ট্রেন্ড

লেখকআসলে আমরা সবাই চাই সকলেই যেন ভাল থাকি। সত্যি বলে ভাল থাকাটা এখন নির্ভর করে নিজের কাজের উপর। আপনি যত কাজ করবেন ততই যেন ভাল থাকবেন। কাজ না করে চিন্তা করলে দেখবেন ভাল চিন্তা মাথায় একদমই আসে না।আজকাল দেখা যায়...

S.A.M. Fakrul Alam

S.A.M. Fakrul Alam

কন্টেন্ট রাইটার, ডিজিটাল ক্রিয়েটর, ঢাকা

ইন্টারভিউ

সৃজিত মুখার্জির প্রথম সাক্ষাৎকারঃ হয়ে ওঠে অটোগ্রাফ (২০১০)

“ভালো এডপ্ট করেছিস। তবে কয়েকজনের গন্ধ পাচ্ছি… এই… পিরানদেল্লো, রাজশেখর বসু, উডি এলেন….” চতুষ্কোণের এই সংলাপটা মনে আছে? সৃজিত যেন নিজেকেই পোস্টমর্টেম করছেন, তার এই আত্মানুসন্ধান যে জারি ছিল সেই শুরুর সময় থেকেই- এই ইন্টারভিউ তার দলিল। থিয়েটারের সময়কার কথা, দেবজ্যোতি...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (২৬)

১২৬ হে রব,                   তুমি তো জানো মনের খবর সব                   আমি আছি কোন মনোরথ;                  নিতে পারি তোমার শপথ                  তা হলে আমার গলদ?।হে রব,                   আজীবন শুনে আসছি গল্পগপ                  মন বলবান তো সব বলবৎ;                  আমি হাঁটছি ধরে সেপথ                  তা হলে আমার গলদ?। হে শান্তিকামী,                   আমি...

চিন্তা

আমরা বাস করি বর্তমানে- অতীতেও না, ভবিষ্যতেও না।

গুলতেকিনের সঙ্গে বিয়ে হয় এমন ঝোঁকের মাথায়। তখন আমি হতদরিদ্র। লেকচারার হিসেবে ইউনিভার্সিটি থেকে সব মিলিয়ে সাত/আটশ’ টাকা পাই, দুই ভাইবোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বাবর রোডের এক বাসায় থাকি। সে বাসা সরকারী বাসা, এভিকেশন নোটিস হয়ে গেছে। ম্যাজিস্ট্রেট নিজে এসে বলে...

প্রবন্ধ

কর্তব্যকর্ম, প্রাইওরিটি অর্ডার ও সঠিক জীবন দর্শন

এক. কাঁধে কোন দায়িত্ব নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না। মোটামুটিভাবে বলা যায়, মানুষের মধ্যে বোঝার ক্ষমতা আসার সাথে সাথে বিভিন্ন দায়িত্ব তার কাঁধে আসতে থাকে। তবে, সব দায়িত্ব সমান গুরুত্বপূর্ণ না। কিছু দায়িত্ব অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ যা তার জীবনের...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

গল্প

Niloyda 1990

The first album by Niloy Das 'Koto Je Khujechi Tomay' was released a year ago. That album is on the list of favorites of all listeners. Especially to the aspiring guitarists and for those who love the guitar. Those songs seem a little...

মিলু আমান

মিলু আমান

রক যাত্রা, গানের মিলন, ফ্লয়েডিয়ান, বাংলার রক মেটাল

পোস্ট

🍂 কুঁড়েঘর 🍂

ভালোবাসায় সাজিয়ে দিয়েছি ঐ ছোট্ট কুঁড়েঘর। সহস্র ভালোবাসার শক্তি নিয়ে এই দু হাত বাড়িয়েছি, তুমি চেয়েছিলে রাজপ্রাসাদ উঁচু অট্টালিকা ; ওসব ভুলে যাও মিছে অহমিকা। তাকিয়ে দেখো আমার ঘরের জানালা দিয়ে শ্বেতপাথরের ঐ পূর্ণিমা দেখা যায়। ঐ দেখো শীতলক্ষ্যা নদীর...

কবিতা

🍂 এই পথ বিভীষিকাময় 🍂

আরো অনেকদূর বহুদূর এই পথ, সংকীর্ণ জনপদ, এই পথ বড্ড অনুর্বর, এই পথে নদী শুকিয়ে গেছে, শুধু জেগে আছে শুকনো বালুচর।এই পথ বিভীষিকাময়, পা পিছলে তলিয়ে যাবার ভয়,এ পথ হেঁটে হেঁটে রক্ত-মাংস ক্ষয়।এ পথ বিভীষিকাময়, আমি পথিক হেঁটে চলি দূর-বহুদূর, জীবনের সন্ধানে আর কত দূর? 

কবিতা

তোশকের নিচে নাক ফুল

কথা হলে জানাস শিধু সে কেমন আছেসেই যে গঙ্গার ধারে শেষ দেখাএরপর তো আর দেখা হয়নি।ভেবেছিলাম চিঠি দিবো ওকেকতবার কাগজ কলম নিয়ে বসলামকিন্তু কই, কিছু তো লেখা হলো না,নতুন কলম আর কাগজ কিনে এনেছিলামহরির দোকানে এখনো দু'টাকা বাকী।চিঠি পেলে জানাস...

কবিতা

একটি আঘাতও ঠেকাতে পারিনি

আসুন একটু কথা বলি,শান্ত হয়ে বসুন।চা সিগারেট কিছু খাবেন?আনিয়ে নিচ্ছি।আমার যে মতের বিরোধ আপনি করছেন,সেই কথা দিয়েই আলোচনায় আসি চলেন।কিন্তু এর আগে একটু চোখ দিয়ে দেখেন,আমার শরীরে কত কালো দাগ।চিনতে পারছেন?আমার চিৎকার কানে বাঁজে আপনার!যাই হোক, বাদ দিন।এই নিন, চা...

কবিতা

তবে শুধুই ভালোবাসতাম

যদি ভালোবাসা যেতোতবে শুধুই ভালোবাসতাম।এই দশটা পাঁচটা অফিস,নিয়ম করে ঘুমানো,অথবা বাজারে মাছের গন্ধকোনো কিছুই সইতে হতো না।যদি ভালোবাসা যেতোতবে শুধুই ভালোবাসতাম।

কবিতা

হারানো বিজ্ঞপ্তি

শহরের দেয়ালে দেয়ালে হারানো বিজ্ঞপ্তিসুবর্ণলতা নিখোঁজ।টিএসসির মোড় থেকে মিছিলটাফুলার রোড হয়ে পলাশীর দিকে এগোচ্ছে,সবার গলা ফেটে যাচ্ছে চিৎকারেঅবিলম্বে সুবর্ণলতার খোঁজ চাই।অতঃপর সবাই একদিনভুলে গেলো সেই মিছিলের চিৎকার,পোস্টারের ওপর পোস্টার লেপ্টে দেওয়া হলোবৃষ্টি এলো, ধুয়ে গেলো সব।তবু শেষ সন্ধ্যায় সুবর্ণলতার কান্না...

কবিতা

বিচার নাই

শুধু 'বিচার চাই' বলে চিৎকার করেকত কণ্ঠের আজীবন কারাগার হয়ে গেলো,বিচার নাই।মানুষ মানুষে প্রেম বিকি হয়েছে সেই কবেসেই কবে শরতের আকাশ নীল দেখেছিল কেউ,কেউ তো ধূসরকে দেখেছিল সবুজ।অজস্র দালানের ভিড়েবোবা চিৎকার শুনতে পায়নি কেউ।সেই কণ্ঠের হাহাকারেও ছিল 'বিচার চাই'বিচার নাই।

কবিতা

হাজার বছর পরে

হাজার বছর পরে, প্রভাত ফেরি হয়েভাঙ্গবো তোমার নিশি নিদ-প্রথম পরশে।হয়ত আসবো বাতাস হয়ে; নয়ত ফিরবো হয়ে কোকিল-কণ্ঠে সুর লয়ে। হয়ত ফুটবো হয়ে গোলাপ, নয়ত হয়ে বেলীফুলের গন্ধে মাতাল হয়ে; রেশমি কেশ দিয়ে ছেড়ে,নৃত্য করবে মন আনন্দে, তখন আমি পরবো গিয়ে;-তোমার চরণ...

ফিকশন

সহযাত্রীনী

বাম হাত তুলে থামতে ইশারা করছে মেয়েটা। কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে গেলো হাসীব। নির্জন হাইওয়ে। বিপরীত লেন দিয়ে ভারী ভারী যানবাহন ছুটে চলে যাচ্ছে। হাসীবকেও ওভারটেক করে দূরপাল্লার গাড়ীগুলো ছুটে চলে যাচ্ছে। রাস্তায় কোনো পথচারী নাই। সন্ধ্যা প্রায় হয়ে আসছে। এমন...

কবিতা

কাপলেট

আকবর চৌধুরীর একগুচ্ছ কাপলেট পড়ুন──১ঝরনা পেল সাগর–নদী, তুমি পেলে কাকেরেখেছি তোমাকে, পুকুর যেমনি বৃষ্টি রাখে২ঘাই মারি তোমাতে, তুমি অন্য কারো জালেজীবন নেই জীবনে, ভাসছে ভিন্ন দুটি খালে৩কী যন্ত্রণা আমার মানসে, সেও গেছে ভুলেনদী সাগরে, আমি ভবঘুরে, মৌমাছি ফুলে৪আসতে হয়, এত...

আকবর চৌধুরী

আকবর চৌধুরী

কবি, প্রুফরিডার ও সম্পাদক

কবিতা

চাওয়া পাওয়া

প্রদীপ জ্বালে আঁধার হলে, আলোতে তার নাইতো দাম।এই জীবনের হিসেব কঠিন, আপন চালে ধরাধাম।শিখর অব্দি বিস্তার তোমার, তবুও কোন নিস্তার নাই।যার যা আছে সন্তুষ্ট নয়, হাহাকার আর চাই আর চাই। পঙ্গু শুধু নিজেই জানে,কোনটা জীবন! কি তার মানে।দাম বেশি কার, পা...

কবিতা

সম্পর্ক-২

শাস্ত্রে যা লেখে নাতুমি কি তাই লেখ!সময়ের গ্রাফিতিতে বোধ হয়লেখা হয়ে যায় অদ্ভূৎ সব সত্য আড়াই চালে শঙখ-চিল ওড়েসম্পর্কগুলো ধুয়ে যায় আড়াই অক্ষরে আমি ঘুমাই, তুমি ঘুমাও, সেও (সম্পর্ক) ঘুমায়গরমে মাঝরাতে শীতে বরষায়                   ...

কবিতা

খণ্ড খণ্ড খণ্ডচিত্র

 মানুষেরাও খণ্ডচিত্র হয়ে যায়স্মৃতিতে  আর পতাকায়পুনর্জাগরণের সৌরভে কখনো কখনো বর্ণমালায়বধ্যভূমিতে জাগিয়ে রেখে বিষন্ন শহরবিনিদ্র অন্ধকারেও খেলা করে                              চিত্ররূপ প্রহরতুমি মেধাবী ঝলমলে কাপড় ছেড়েপাতাকার রশিতে হাত রাখোখোকা...

কবিতা

মনোমুগ্ধকর খুনি

সহজ প্রয়ানের মতো বিস্মৃতিকে স্বাগত জানাই।ছবিগুলো জীবন্ত হয়ে উঠলে বলি চলে যাও বৃক্ষবাহিত শোকসভা ছেড়ে।তারা যায় না, ফিরে আসেবলে, হারিয়ে যাওয়া মারবেল যে গোলাকার, খালি ঘোরেহয়ে যায় চোখের মনিঘুরতে ঘুরতেস্বাগত প্রয়ান এভাবে হয়ে যায় মনোমুগ্ধকর খুনি 

ফিকশন

এক গোধূলির রঙ

গোধূলির সূর্যের আলো ধীরে ধীরে গাছপালার ফাঁক দিয়ে মিশে যাচ্ছে। পুরো গ্রামটা একধরনের জাদুকরী রঙে রাঙা হয়ে উঠেছে। গ্রামের শেষ প্রান্তে ছিল এক পুরোনো বটগাছ, যার নীচে বসে থাকত এক অদ্ভুত মেয়েটি, নাম তার মেঘলা। মেঘলা ছিল গ্রামের সবচেয়ে স্বপ্নবিলাসী...

ভ্রমণ

সাগর রহস্যের অভিযানে

রিয়া ছিল একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ, যার জীবন কাটত পুরানো ধ্বংসাবশেষ আর অজানা ইতিহাসের খোঁজে। একদিন, তার কাছে এক রহস্যময় মানচিত্র আসে, যেখানে দেখা যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরের গভীরে এক প্রাচীন ডুবে যাওয়া শহর। রিয়া সেই রহস্যময় শহরের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ল।রিয়া তার বন্ধুরা আর...

উপন্যাস

অন্ধকারের ছায়া: একটি রহস্যময় অভিযানের কাহিনী

প্রস্তাবনানন্দিনী তার ছোটবেলা থেকেই হারানো গ্রামের রহস্যময় কাহিনী শুনে এসেছে। তার বাবা প্রায়ই বলতেন, গ্রামটা অদ্ভুতভাবে একদিন হঠাৎ করে উধাও হয়ে গিয়েছিল। সেই গল্পগুলো শুনে নন্দিনীর কৌতূহল দিন দিন বেড়েই চলল। তার মনে প্রশ্ন উঠত, কী এমন ঘটেছিল যে পুরো...

কবিতা

ইতিহাস

সভ্যতা থেকে কঙ্কাল তুমিনভো খোল নতুদ্বার। কোথায় তুমি হইয়াছো বিলীন কোথা সত্য, সমাদার।। নতুন ভোরে নতুন পাখিনয়া সাঝে উঠল ডাকি।বেদনারিক্তে নিভিতে জতনেসারা'দ্বারে তারে ছড়ায়ে রাখি।। তন্দ্রাচ্ছন্ন পল্লব চোখেনতুজানু হয়ে প্রাপ্য সমাদারে, জানাই তারে সহস্র সালাম, সত্য সে যে, নিজেরে পুণ্য করি।।

চিন্তা

তবেই আমাদের জীবন সুখের হবে

বুয়েট পাস এমন একজনকে চিনি, যার বিবাহিত জীবনের ১৩টা বছর শুধু একটা বাচ্চা নেয়ার চেষ্টায় কাটিয়ে দিচ্ছে। তার জীবনে সফলতা আছে কিন্তু পূর্ণতা নাই। ব্যাংকের এ,জি,এম এমন একজনকে চিনি, যার বউ দুইটা বাচ্চা রেখে আরেকজনের সাথে পালিয়ে গেছে। তার জীবনে সফলতা-পূর্ণতা...

চিন্তা

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১৪টি উপায়

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১৪টি উপায়১) মানুষের ব্যাপারে খরবদারী করবেন না। কে কী করছে সে বিষয়ে মাথা ঘামানো নিজের মানসিক চাপ বৃদ্ধির একটি কারণ। আরেকটি সমস্যা হবে, অন্যের বিষয় নিয়ে মাথা ঘামালে নিজেকে অন্যদের সাথে তুলনা করার মনোভাব সৃষ্টি হবে। টাকা-পয়সা,...

গল্প

অপার্থিব

চিলেকোঠায় দুটো কক্ষ ছাড়াও ছাদের যে বাড়তি অংশটাতে শিহাবের এতোদিন নিরঙ্কুশ আধিপত্য ছিল তাহাতে এই চারজোড়া মুরগ-মুরগী অনধিকার প্রবেশ করিয়া যেন বেদখল কইয়া নিতে উদ্ধত হইল। তাহারা পুরো ছাদটিতে এমনভাবে বিষ্ঠা সাজাইয়া রাখিল যে একটু অসাবধানতা বশত পা ফেলিলেই তাহারা...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

প্রবন্ধ

বই পড়ার মাসিক বিল

বই পড়ার মাসিক বিলআজকের নগরজীবন মানেই হল প্রতিটা চাহিদা মেটানোর জন্য আপনাকে অর্থ যোগান দিতে হবে। অসংখ্য চাহিদা সৃষ্টিকারী উপাদানের পসরা নিয়ে বসে এক একটা নগর। কোন কিছুরই অভাব নেই নগরের পথে-ঘাটে, অলিতে-গলিতে। তবে, আপনি যাই চান না কেন, সেটা এক গ্লাস পানি থেকে...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

কবিতা

আমি মরণোন্মুখ মানবতা

কতবার মরেছি আমি,আমার কফিনে কতবার ঠুকেছো পেরেক;আমি আবার ফিরে এসেছি,আমার হতাশার কঙ্কালে আশার মাংশপেশীগড়ে তুলেছে আবার এক দেহনগর। মনে কি পড়ে, ও হে প্রিয়তমা?যখন ঈশ্বরের সন্তানেকে ফেলে দিয়েছিলডাস্টবিনে, নালা-নর্দমায়,তার শ্বাসের সাথে মরে গেছি আমি,আকাশে বেধেছি বাসা, সাক্ষী অন্তর্যামী। মনে কি পড়ে? ও...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

কবিতা

অর্ধেক নারী, অর্ধেক ঈশ্বরী

ঈশ্বর আমাকে বিশ্বাস করেন বলেইআমার গর্ভে প্রেরণ করেন মানব সন্তান।আমার গর্ভকে করেছেনদুনিয়ার নিরাপদতম স্থান। ঈশ্বর আমাকে বিশ্বাস করেন বলেইঅবুঝ নবজাতকের খাদ্য ভান্ডার দিয়েছেনআমার বুকের দু পাশে। ঈশ্বর আমাকে বিশ্বাস করেন বলেইআমাকে করেছেন আশ্রয়ঠিক পাখির নীড়ের মতদিনের শেষে সবাই ফিরে আসে আমার গৃহসুখেকি...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

কবিতা

আশ্রয়

ওগো নগরবালিকা,আমি আশ্রয় চাইনিতোমার প্রাসাদেঅথবাতোমার শয়নকক্ষেঅথবাবিছানায়;আমি আশ্রয় চেয়েছিলাম-তোমার হাতের স্পৃশ্যতায়;ক্লান্তপ্রাণ পথিক যেমন আশ্রয় চায়বটবৃক্ষের অদৃশ্য ছায়া শীতলতায়।। ওগো নগরবালিকা,আমি আশ্রয় চাইনি-তোমার আলিঙ্গনেঅথবাওষ্ঠ্যোষ্ণতায়অথবামিলন কামনায়;আমি আশ্রয় চেয়েছিলাম-তোমার চোখের চাহনীতেযেন তোমার চোখের মণি কোঠায়খুজে পাই আমার বসতির স্থায়ী ঠিকানা।। ওগো নগরবালিকা,আমি আশ্রয় চাইনি-তোমার ঝড়ো প্রেমের...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

কবিতা

যদি আবার আসি

যদি আবার কখনো আসিএভাবে আসবো নাবুকে কলিজা নিয়ে আসবোহাতে রক্তমাতাল তলোয়ার নিয়ে আসবো-শান্তির মশাল হাতে নিয়ে দৌড়ে দৌড়ে শান্তির বার্তা বইতে আসবো নামশালাগ্নিতে সবকিছু পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে আসবোঅস্থি পোড়া, কাষ্ঠ পোড়াদেহ পোড়া ছাই নিয়ে হাতেভস্মীভূত নগরের সদর ফটকে দাঁড়িয়েআমি...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

কবিতা

সুবোধ তুই পালিয়ে যা

সুবোধ তুই পালিয়ে যা এমন কোন দেশেযেথায় মানুষ ঘরে ফিরে ক্লান্ত দিনের শেষে।যেথায় মানুষ হাসতে পারে সূর্যরাঙা হাসি,মনের মাঝে জবা- গোলাপ ফুটে রাশি রাশি।যে দেশেতে আশা থাকে সব মানুষের বুকেহাসির যেথা ঢেউ খেলে যায়, পথচারীর মুখে।যেথায় শুধু আলো জ্বলে মন...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

কবিতা

নষ্ট সময়ে গান

আমি ক্লান্তপ্রাণ এক চিত্রকর,ক্লান্ত আমার দুহাত, নর্দমার ছবি একে একেবিভৎসতার ছবিতে তুলির আচড় দিতে দিতে।আজ আমি ভয়ে দরজা বন্ধ করে রাখি,জানালার পর্দাট আমি সরাইনা সকালে।বাইরে থেকে কেবল দুর্গন্ধের আলো আসে,কেবল অসহ্য দম বন্ধ করা বাতাস আসে।আজ আমি বাইরে বের হতে...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

কবিতা

অবাঞ্ছিত

আমরা সংখ্যায় হাজারো, লাখো।তবে আমাদেরকে গোণা হয় না,ইট, সিমেন্টের এই নগরীতেকথা আমাদের শোনা হয় না।এ নগরীর বাতাসে বাতাসে কালো ধোয়াএ নগরীর পথে পথে অসহ্য ট্রাফিক জ্যামএ নগরীর প্রাসাদে প্রাসাদে আধুনিকতার ছোয়াএ নগরীর পথের দুপাশে মাল্টিপ্লান সেন্টারঅথচ, এই নগরীতেই আমরা অবাঞ্চিত,আমরা...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

গল্প

বলদ নং ১ (পর্ব : ২)

বাবা    : আজকে তোর স্কুলের পরীক্ষার ফলাফলপ্রকাশিত হবে । তা তুমি কি পরীক্ষায় টিকবা ?কুদ্দুস : হ্যা বাবা পরীক্ষায় টিকবো ।বাবা    : দেখবো নি । শোন টিকে থাকলে একটা রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি , দেব যদি ঝুলে থাকিস তাহলে তোকে ছোট পশুর খেলনা দেব আর বাতিল...

সাদাত হোসাইন

সাদাত হোসাইন

student of class 6 (Dhunat Adorsho Hight school )

বিশ্ব সাহিত্য

জর্জ ওরওয়েল : ভবিষ্যতের রূপকার

খুব বেশি গ্রন্থ লেখেননি তিনি। মাত্র ০৯ টা। আয়ুস্কালও তেমন দীর্ঘ নয়। মাত্র ৪৬ বছর। বৃটিশ উপনিবেশে বাবার চাকরি সূত্রে জন্মস্থান ভারত, শৈশবও এখানে, এরপর ইউরোপে থিতু হলেও জীবিকার জন্য ছুটতে হয়েছে দেশ থেকে দেশে-মহাদেশে, অংশগ্রহণ করতে হয়েছে যুদ্ধে, সাথে...

গল্প

সুযোগ থাকলে তাকে কাজে লাগানোই উচিৎ!

জার্মানির এক নামকরা ব্যাংকে, ব্যাংক ডাকাতির সময় ডাকাত দলের সর্দার বন্দুক হাতে নিয়ে সবার উদ্দেশ্যে বললো, "কেউ কোনো নড়াচড়া করবেন না, টাকা গেলে যাবে সরকারের, কিন্তু জীবন গেলে যাবে আপনার আর তাই ভাবনা চিন্তা করে আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করুন।"এই...

গল্প

রূপময়ীর ছয়টি হাত

 সে, রূপময়ী, পিতা যার প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি, আর স্বামী প্রতাপশালী সেনাপ্রধান, বাস করে হেমনগরে। হেমনগর অতিশয় ক্ষুদ্র, সুন্দর সফেদ শ্যামলিম রাষ্ট্র এইরকম জনশ্রুতি আছে। প্রাচীর ঘেরা বালিকা নিবাসে পাঠ ও বাসকালীন সময় রূপময়ী হেমনগরের এইসব গুণাবলীর কথা শুনেছে, বিবাহপরবর্তী মধুচন্দ্রিমাকালে আকাশ...

প্রবন্ধ

জন্মের প্রথম দিনই ওদের মেরে ফেলা হয়।

জন্মের প্রথম দিনই ওদের মেরে ফেলা হয়। কারণ এ মুরগীগুলোর জীবন প্রফিটেবল না। পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিতে দুই ধরণের মুরগীর প্রজনন করা হয়। ডিমের জন্য লেয়ার মুরগী আর মাংসের জন্য ব্রয়লার। ব্রয়লার মুরগী ছয়-সাত সপ্তাহের মধ্যে বিশাল বড় হয়ে যায়। মাংশ হয়...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (২৮)

১৩৬ অই আসমান তাকে ছুঁতে দাও যে মানুষের মন ছুঁতে পারবে,          এই জমিনে তাকেই ঐশ্বর্য দাওযে পৃথিবীর উপকারে আসবে।           তুমি তো দিলে দিতে পারো জানিপলকে কারে রাজ্যের বাদশাহি!          ছোট করে বলি—আমি ভালো আছি—         আমার শোকরিয়ার শেষ নেই। এই জমিনে তাকেই ঐশ্বর্য দাও          যে...

চিন্তা

সময় মতো বিয়ে, সফলতায় যাবে নিয়ে।

সময় মতো বিয়ে, সফলতায় যাবে নিয়ে।১৮/১৯ বয়সে যদি কুমারি মেয়েরা বিয়ে করে আর ২০/২২ বয়সে যদি ছেলেরা বিয়ে করে। তাহলে ২৮/২৯ বয়সের মধ্যেই ঐ মেয়ে ১০ বছরের যৌবনের স্বাদ পেয়ে যাবে আর ৩০/৩২ বছরে এসেই একটা ছেলে যৌবনের স্বাদ পেয়ে...

গল্প

আক্ষেপ

বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় একদিন বাপের বাড়িতে এসে মাকে বললাম, আমি আর সংসার করব না। আজ থেকে এ বাড়িতেই থাকব।মা শুনে বলল,-অসুবিধে কি আছে আর! তোর বাবার এত বড় বাড়ি, এমনিই তো পড়ে আছে।তা এসেছিস যখন সব জিনিস পত্র গুছিয়ে নিয়ে এসেছিস তো?আমি বললাম, না। কিছুই তো আনিনি।-সে কি? এভাবে কেউ খালি হাতে আসে? তা এসেছিস যে, জামাই জানে?-না, আমি না বলেই এসেছি।-জামাইকে বলে আসবি তো!  শাশুড়ি মানুষটা খারাপ জানি, জামাই তো ভালো। ওকে না বলে চলে আসাটা ঠিক হয় নি তোর। তুই ফিরে যা। জিনিস পত্র সব গুছিয়ে নিয়ে চলে আয়। সেই সঙ্গে জামাইকেও নিয়ে চলে আয়। শাশুড়িকে জব্দ করতে হলে ছেলেকে ঘরে রেখে এলে হবে না। বর ভালো হলে ঘর ছাড়লেও বরকে কখনো ছাড়তে নেই। ঘর বর দুটোই ছেড়ে দিলে মেয়েদের জীবন থেকে তো সংসারটাই চলে যাওয়া। জামাই তোর কথা ফেলতে পারবে না। বরং জামাইকে নিয়েই তুই এ বাড়িতে থাক।মায়ের কথা শুনে তো আমি অবাক। মা কখনোই এই সুরে কথা বলেনি। হঠাৎ এই ভাবে কথা বলাতে মাকে বললাম,-তুমি বলছ এ সব? আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না! এত দিন পর তুমি আমার দুঃখটা বুঝতে পারলে মা।-যতই হোক, তুই আমাদের একমাত্র মেয়ে। শাশুড়ির অত্যাচার কত আর সহ্য করবি বল তো? তোর বাবাও চায় তুই এই বাড়িতে এসে থাক। এক কাজ কর জামাইকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে নিয়ে চলে আয়। তবেই তোর শাশুড়ি জব্দ হবে।-ঠিক বলেছো কিন্তু তোমার জামাই মনে হয় রাজী হবে না।-সব হবে। কায়দা করে বলবি, দেখবি বরফ গলে জল হয়ে গেছে।মায়ের কথা শুনে আমি সেদিনই শ্বশুরবাড়িতে ফিরে গেলাম। বুঝলাম মা যে বুদ্ধিটা দিয়েছে ওটাই প্রয়োগ করতে হবে। জীবনে কি চেয়েছিলাম আর কি হয়ে গেল সেটাই তখন ভাবছিলাম। আমার বিয়ের জন্য যখন দেখাশোনা শুরু করল আমার বাবা, আমি তখন মা'কে বলেছিলাম,-আমি বিয়ে করব না মা, ব্যাচেলর থাকব।আমার এমন কথা শুনে মা তো হেসে লুটোপুটি। বাবাকে ডেকে বলল,-তোমার গুণবতী মেয়ের কথা শোনো। বলে কি ব্যাচেলর থাকবে? আরে পাগলী মেয়ে, মেয়েরা কখনো ব্যাচেলর থাকে না। ছেলেরা বিয়ে না করলে তাদের ব্যাচেলর বলে।এদিকে বাবাও হাসছে। বুঝলাম ব্যাচেলর শব্দটা মেয়েদের জন্য নয়। মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম,-মেয়েরা বিয়ে না করলে তাদের কি বলে?মা বলল,-অত জানি না। মেয়েদের একটা সংসার দরকার হয়। মেয়েদের বিয়ে দিতে হয়।বাবা বুঝিয়ে বলল,-শোন মা, বড় হয়েছিস। এবার তো বিয়ের কথা ভাবতে হবে। তোর নিজের একটা সংসার হবে। তোর নিজের একটা ঘর হবে।বাবাকে বললাম,-নিজের ঘর তো এটাই। বিয়ের পর কি ওখানে নিজের মত করে থাকতে পারব?-মেয়েরা সব পারে মা। পরকে আপন করার ক্ষমতা আছে মেয়েদের।-যদি না পারি, আমার মনের মত না হলে আমি কিন্তু চলে আসব আবার‌। তখন আমাকে জোর করে পাঠাতে পারবে না।বাবা শুনে বলেছিল,-বেশ। তোর জন্য এই বাড়ির দরজা মুক্ত রইল।বাবা মায়ের কথা শুনে বুঝেছিলাম, মেয়ে বড় হলে তার বিয়ে দিয়ে হয়, তার একটা সংসার করে দিতে হয়। আমার ইচ্ছে ছিল না বিয়ে করে সংসারী হতে। নিজের বাড়ি ছেড়ে দিয়ে অন্যের বাড়িতে গিয়ে থাকা, অন্যের বাবা মাকে বাবা মা বলে ডাকা, কেমন যেন একটা বাধ্য জীবন। আমি এমনিতেই বাবা মায়ের আদুরে মেয়ে। তার ওপর স্বাধীন ভাবে থাকতে ভালোবাসি। আমার ওপর কেউ নজরদারি করবে, কারো হুকুমে চলতে হবে এটা ভাবলেই যেন কেমন লাগত। তার পরেও আমার কপালে বিয়েটা লেখা ছিল। তা নাহলে বিয়েটা হয়? অথচ বিয়ের আগে মা বাবাকে আমি বুঝিয়েও পারিনি। অত গুলো দিন পরেও মা বাবা যে আমার সমস্যা বুঝে গিয়েছিল এটাই অনেক।যাই হোক, মায়ের কথা মত শ্বশুরবাড়িতে ফিরেই শাশুড়ির সাথে তুমুল ঝগড়া করলাম সেদিন। ঝগড়া করতে কারণ লাগে না। কোনো একটা ছুঁতো পেলেই হল। বর অফিস থেকে ফিরতেই যা ঘটল, তার থেকে একটু বাড়িয়েই বললাম। বলতে বলতে কেঁদে ফেললাম। ও শুনে তখন চুপ করে আছে। চুপ করে থাকতে দেখে বললাম,-এ বাড়িতে তোমার মায়ের সাথে ঝগড়া করে কিছুতেই থাকতে পারব না।ও শুনে বলল,-তাহলে উপায়?-উপায় আর কি। আমি ভেবেছি আমি আর তুমি আমার বাবার বাড়িতে গিয়ে থাকব আর ওখান থেকে তোমার অফিস যেতেও সুবিধা হবে।আমার কথা শুনে আমার বর বলল,-ঠিকই বলেছো। এত অশান্তির মধ্যে থাকা যায় নাকি? অফিস থেকে ফিরে সেই রোজ রোজ অশান্তি।এ বাড়িতে থাকলে অশান্তি আরো বাড়বে। তুমি ঠিক ডিসিশন নিয়েছো। আমি তোমার সাথে ওখানে গিয়েই থাকব। অশান্তির থেকে শান্তি ভালো।বুঝলাম ছেলেও মাকে চিনে নিয়েছে। শাশুড়ির সাথে ঝগড়াঝাঁটি করে পরের দিন বেরিয়ে এলাম। দেখলাম শাশুড়িও বেশ খুশিতেই আছে। নিজের ছেলেও যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে কোনো আক্ষেপ নেই। মনে মনে ভাবছিলাম,মা তো? নাকি পাষাণী? পরে ভাবলাম, হাতে টাকা আছে তো। টাকাই ভুলিয়ে রাখবে। শ্বশুর মশাই ভালো চাকরি করতেন, পেনশনের মোটা টাকা হাতে পাচ্ছেন, তার আবার মায়া মমতা? ছেলেরও মায়ের প্রতি ভালোবাসা নেই। নিজের বাড়ি ছেড়ে বেরোচ্ছে মানে হাড়ে হাড়ে বুঝতে পেরেছে। এতদিন মায়ের মুখের ওপর কোনো কথা বলেনি, কিন্তু সেটা কাজে করে দেখিয়ে দিল। কিছু জিনিস পত্র গুছিয়ে নিয়ে চলে এলাম বাপের বাড়িতে। মনে মনে ভাবলাম আর তো অশান্তি নেই। এবার থেকে জীবনে শান্তি আর শান্তি।এক সপ্তাহ বেশ ভালোই কাটল। বাবা বাজার করছে, মাছ মাংস থেকে শুরু করে নানান জিনিস নিয়ে আসছে প্রতিদিন। মা জামাইয়ের জন্য ভোর বেলা উঠে রান্না করছে, টিফিন বানাচ্ছে, রাতের খাবার যে গুলো খেতে ভালোবাসে সে গুলোই মা নিজে হাতে করছে। আমিও সকাল বেলা কোনো দিন নয়টায়, কোনো দিন দশটায় উঠছি। একদম আরামের জীবন। এরকম সুখের জীবনটাই তো চেয়েছিলাম। এই করে আরো পনেরো দিন মত কেটে গেল। এদিকে আমার বরও বেশ দিব্যি আছে, না বাজার দোকান করতে হচ্ছে, না অন্য কোনো কাজ করতে হচ্ছে, কিছুই না। এদিকে মায়ের যেমন কাজ বেড়েছে, তেমনি আমার বাবার খাটুনিও বেড়েছে। ছুটির দিন গুলোতে আমার বর আমার থেকেও বেশি দেরি করে ঘুম থেকে উঠছে। অথচ নিজের বাড়িতে দেখতাম সাত সকালে উঠে সব কাজ করত। ছুটির দিন মানেই কত কাজ ছিল। অথচ এ বাড়িতে এসে এই আয়েশি হয়ে ওঠাটা আমার ঠিক ভালো লাগছিল না। অথচ আমার বাবা মায়ের খাটুনি দেখে খারাপ লাগত। রবিবারের একদিন সকালে প্রচণ্ড চিৎকারে আমার ঘুম ভাঙল। নিচে নেমে গিয়ে দেখি আমার বাবার সাথে বরের কথা কাটাকাটি চলছে। আমার বর দেখি বাবাকে ভীষণ উল্টোপাল্টা কথা বলে অপমান করছে। দেখে তো ভীষণ খারাপ লাগলো।বরকে বললাম,-তুমি মানুষ না অমানুষ? দেখতে পাচ্ছ একজন বয়স্ক মানুষ। তুমি এভাবে বলছ তোমার লজ্জা করে না?আমার বর বলল,-তোমার তো বলার কোনো অধিকার নেই এখানে। তুমি যখন আমার মায়ের সাথে এই রকম খারাপ কথা বলতে, আমি তো তোমাকে কখনো কিছুই বলিনি। পরে তোমাকে শান্ত মেজাজে বুঝিয়েছি। তুমি কিন্তু আমার কথা বোঝনি। তাহলে আমাকে তুমি বোঝাচ্ছ কেন? আজ যদি এই টুকুতে তোমার খারাপ লাগে, তাহলে এই চার পাঁচ মাস ধরে আমার মাকে কত খারাপ কথা বলেছো, ভাবো তাহলে আমার কতটা খারাপ লেগেছে? আমি তো তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করিনি, তাই আজ তুমিও এভাবে আমাকে বলতে পারো না।এই ব্যাপারটার পর থেকে দেখলাম বাবা মায়ের মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা হয়ে যাচ্ছে। মায়ের বয়স বাড়ছে। সকাল সকাল উঠে রান্না করাটাও মায়েরও কষ্ট হচ্ছে। নিজেরই খারাপ লাগছিল বেশি। ভাবলাম আমিও সকাল সকাল উঠে মায়ের হাতে হাতে আমিও কাজটা করে দেব। কয়দিন করার চেষ্টা করলাম‌। দেখলাম আমার কাজ মায়ের ঠিক পছন্দ হচ্ছে না। মা কথায় কথায় বলতে লাগল, আমার সংসারে কাজ কম্ম আমি যতটা ভালো বুঝি, তুই অতটা বুঝবি না। গভীর ভাবে ভাবলাম এ সংসারটা আমার মায়ের, আমার নয়। মাকে কিছু বললাম না আর। নিজের ভুল বুঝতে পারলাম। নিজের মা যদি তার সংসারটা ছেড়ে না দেয়, শাশুড়িই বা সহজে ছেড়ে দেবে কেন? সংসারের দায়িত্ব পেতে গেলে শাশুড়ির কাছ থেকে পাওয়াটাই পরম্পরা। উপলব্ধি করলাম, মায়ের কষ্টটা যতটা সহজে বুঝতে পেরেছিলাম, শাশুড়িকে সেভাবে বুঝতে পারিনি। হয়তো আমাকে অনেক কথা বলেছে, কিন্তু তার থেকেও তো বেশি বলেছি আমি। খারাপ লাগছিল নিজের ভুলের জন্য। ক'দিন পর বরকে বললাম,-এখানে থাকব না। ও বাড়িতেই ফিরে যাব।বর বলল,-কেন? এখানে তো ভালোই আছি।-আমি ভালো নেই।-তাতে কি! আমি তো আছি।বরকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে একদিন সকালে ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে বেরোব বলে রেডি হয়েছি, দেখলাম আমার মায়ের মুখটা বেশ হাসি হাসি। আমি যে চলে যাচ্ছি তাতে মায়ের কোনো আক্ষেপ নেই। মা শুধু বলল, আবার আসিস। একটি বারের জন্য আটকালো না। আমি ফিরলাম শ্বশুর বাড়িতে।আমি ফিরে যাওয়াতে শাশুড়ি দেখলাম দারুণ খুশি। দুপুরে আমার পছন্দ মত রান্না করেছেন। আমি যেটা ভালোবাসি সেটাই রেঁধেছেন। আলু পোস্ত, মুসুর ডাল, বেগুন ভাজা আর আমের চাটনি। কি তৃপ্তি করে খেলাম। খাওয়ার পর শাশুড়ি আমার পাশে এসে বললেন,--এটা সংসার। এখানে এভাবেই যুদ্ধ করে থাকতে হয়। তরকারির কোনোটাতে ঝাল বেশি হবে, কোনোটাতে কম ঝালেও ভালো লাগে। তাই বলে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিলে হবে? ঝগড়া তো হবেই। ঝগড়া না হয় করো সংসারে থেকেই। সংসার থেকে বেরিয়ে গেলে যেখানেই যাও দুদিনের জন্য সেখানে ভালো লাগবে। কিন্তু তোমাকে কেউ সংসার দেবে না। মেয়েদের নিজের একটা সংসার লাগে। সেই সংসারটা তুমি এখানেই পাবে, আমি যেমনটা পেয়েছি আমার শাশুড়ির থেকে। বৌমাদের পছন্দের মানুষ শাশুড়ি কখনো হয় না আর শাশুড়ির পছন্দের মানুষ বৌমা কখনো হবে না। খুব কম মানুষই আছে দুজনের পছন্দে দুজন আছে। এই লড়াই চলে আসছেই সেই কোন কাল থেকেই। কোথাও কম, কোথাও বেশি। তারপরেও থাকতে হবে, সংসার করতে হবে। ঘটি বাটি পাশাপাশি থাকলে ঠোকাঠুকি তো হবেই। তাই বলে বেরিয়ে যেও না। এটাই জীবন। টোনা টুনির সংসারে শাশুড়ির মত চড়ুই পাখি একটা লাগে।তবেই না সংসার? ভালো আর মন্দ দুই মিলেই জীবন।তারপর থেকে তিরিশ বছর কাটিয়ে ফেলেছি। নিজের একটা সংসার হয়েছে। শাশুড়ির সাথে ঝগড়া করেছি। হয়তো দুদিন কথাও বলি নি। তবে সংসার ছেড়ে বেরিয়ে যাইনি। আজ পাঁচ বছর হলো শাশুড়ি নেই। ভীষণ মিস করি শাশুড়ি নামক প্রতিদ্বন্দ্বীকে। আজ খেলার মাঠ পুরো ফাঁকা।ভালো লাগে না এই ফাঁকা মাঠে গোল দিতে।জীবনটা ফুটবল খেলার মত। সংসার হল বড় মাঠ।প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে গোল দিয়ে কি মজা? অত বড়ো বাড়িটায় আমি একাই খেলছি। এ খেলাটা ঠিক জমছে না আর। কারণ জমানোর মানুষটাই তো নেই।মানুষটা ঝগড়া করত। শাসন করত।মাঝে মধ্যে রণ চণ্ডীর মূর্তি ধরে বাড়ি মাথায় করত। কিন্তু আমার অসুখ বিসুখ করুক, জ্বর সর্দি হোক, তুলসী পাতার রস, বাসক পাতার পাচক, জ্বরে মুখ খারাপ হয়ে গেলে পলতা পাতার বড়া, এগুলো মুখের কাছে ধরত ওই মানুষটাই। আমার জ্বর হলে মাঝ রাতে উঠে এসে দরজায় কড়া নেড়ে ছেলেকে বলত, মিটারটা দিয়ে দেখ। জ্বরটা আর আছে কি না? আমার শরীর খারাপ দেখলে ছেলেকে বলত, রোজ রোজ কিসের অফিস। কামাই কর একদিন। তোর বৌ তুই না দেখলে কে দেখবে?আজ এত গুলো বছর পরেও পুরো বাড়িটাই আমার নিজের, পুরো সংসারটাই আমার নিজের কিন্তু মন খারাপের একরাশ দুঃখ বুকের মধ্যে জমেছে। যার থাকাটা মাঝে মধ্যে অস্বস্তি লাগত, তার না থাকাটা কিছুতেই স্বস্তি দিচ্ছে না। আমরা মেয়েরা বাবার বাড়িতে যতটা অধীনে থাকি, তার থেকে বেশি মুক্ত থাকি নিজের সংসারে।শাশুড়ি মারা যাওয়ার আগে আমার মা চলে গেল পরপারে। তারপরে একদিন শাশুড়িও মায়া কাটিয়ে চলে গেল। শাশুড়ির বেশ কিছু গয়না, মারা যাওয়ার বছর তিনেক আগে আমাকে দিয়ে গেল। বলল, এগুলো সব তোমার‌। এই সীতা হারটা শুধু দুলকিকে দিও। দুলকি মানে আমার একমাত্র মেয়ে। আমার মেয়েরও বিয়ের ঠিক হয়েছে।সামনের ফাল্গুনে ওর বিয়ে। সেদিন সীতা হারটা বের করতে গিয়ে শাশুড়ির কাপড় জামা রাখার যে বাক্সটা ছিল ওটা খুলেছিলাম। আমাকে দেওয়া গয়না গুলো ওতেই আছে।গয়নার বাক্স বের করতে বাক্সের এক কোণে সযত্নে রাখা একটি চিঠি। চিঠিটা লিখেছে আমার মা আমার শাশুড়িকে। তখন তো আর মোবাইল ছিল না। চিঠিটা পড়তে গিয়ে আবিষ্কার করলাম তিরিশ বছর আগের একটি সত্যকে। মনের মধ্যে যা ছিল আবছা এক লহমায় সব কিছু পরিষ্কার হয়ে গেল।আমার মা লিখেছে,প্রিয় দিদি,মেয়ে আমার বাড়িতে পৌঁচেছে। তোমার কথা মত কাজ শুরু করে দিয়েছি। কথা দিচ্ছি এক মাসের মধ্যেই তোমার বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে পারব। বুঝতেই তো পারছো মেয়ে আমার উড়নচণ্ডী। এই উড়নচণ্ডী মেয়েকে নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। তোমার কথা মতই আমি ওকে বলেছি ওই বাড়ি ছেড়ে চলে এসে এখানে থাক। যেমনটি বলেছো ঠিক তেমনটিই করছি সব। ভয় হয় খুব, ওই মেয়ে কি করে সংসার করবে। তবে তুমি যখন আছো চিন্তা নেই। শ্বশুরবাড়িটা মেয়েদের বড় সম্মানের জায়গা।আমি চাই ওর একটা নিজের সংসার হোক। আর যাই হোক বাপের বাড়িতে মেয়েরা দিনের পর দিন থাকলেও মেয়েদের সংসারটা কিন্তু ওখানে হয় না।মনে পড়ে যাচ্ছিল সেই তিরিশ বছর আগে মায়ের কথা গুলো। মা যখন বলেছিল, সব ছেড়ে চলে আসতে, অবাক হলেও মায়ের ওই কথা গুলোর মধ্যে যে নিপুণ কৌশল ছিল, আমি সেদিন ধরতেই পারিনি। ধরতে পারিনি আমার বরের নিপুণ অভিনয়ও। ভেবেছিলাম মা আমাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।আমার ধারণাটাই ভুল ছিল। শ্বশুর বাড়ি থেকে যখন চলে এসেছিলাম তখন শাশুড়িমাকে দেখেছিলাম মুচকি মুচকি হাসতে, আবার শ্বশুর বাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে যখন ফিরছিলাম তখন মায়ের মুখেও ছিল হাসি। চিঠি পড়তে পড়তে বুঝতে পারছিলাম হাসির কারণটাও।শাশুড়ি মায়ের বুদ্ধির তারিফ না করে থাকতে পারছিলাম না তখন। সত্যিই তো ওই কৌশল প্রযোগ না করলে এমন সুন্দর করে সংসারটাও যে হত না আমার।এই দুই মা আমাকে উপহার দিয়ে গেছে নিজের একটা সংসার। শুধু মনের মধ্যে রয়ে গেছে এই দুই মায়ের জন্য শূন্যতা, একটা আক্ষেপ, যদি আবার ফিরে পেতাম।  

নন ফিকশন

নস্টালজিয়ায় চট্টেশ্বরী

চট্টলে এলাম বছর চারেক পর। মিথ্যে বলছি না, মধ্যখানে  এক ঝাঁপটা এসেছিলাম, তা মাত্র দিন দু'টির জন্যে। যে শহরে আমার বেঁড়ে উঠা, ধূলোয়-পাতায় শৈশব-কৈশরের পদচিহ্ন আঁকা; সেখানে ঝটিকা আসাকে আমি আসবার কায়দায় ফেলি না। সে যাকগে! ভিন্ন কথায় ফিরি। চট্টলে...

মোহাম্মদ বাহা উদ্দিন

মোহাম্মদ বাহা উদ্দিন

সহকারী পরিচালক, বিপিএটিসি, সাভার, ঢাকা

কবিতা

বিদায় করো পাপ

জঙ্গি জঙ্গি ধোঁয়া তুলে, সব করেছে শেষ,সাম্প্রদায়িক আখ্যা দিয়ে,লুটছে সবি বেশ।মুসলিম তুমি, দাঁড়াও ফের,উচ্চ করি শির,মজলুম ডাকে, অশ্রু বানে,খোঁজে বীর মহাবীর।শান্তি কেঁড়ে, নিলো অরি!বসতভিটা দখল করি!ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি!মহানবীর (সাঃ) ইজ্জত হরি!ভীরু কভু ছিলে নাকো,রক্ত শীতল কবে হলো!হুংকারে আজ জেগে ওঠো, লা শরীক...

কবিতা

শান্তি কানন

মোরা সাচ্চা মুসলমান, করি শান্তির আহ্বাণ, হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান,মানুষ সবাই সমান।মোরা প্রিয় সৃষ্টি সবাই,সুমহান আল্লাহর, ন্যায় বিচারে রয়বো রবে, সমাজ পরিবার।ধর্ম কর্ম একে অপরে,যাও যাবে সবে করে, ধর্মে ধর্মে সেতু গড়ে,সুখী জীবন তরে।সত্য ন্যায়ের অতুল রুপে,সঠিক পথের শান্তি-সুখে,আপন পর সবার আপন,গড়বে সবে শান্তি কানন।১৭-১১-২০২০রমনা,...

কবিতা

আনবো সুখের দেশ

খেলবে জুয়া সম্মান নিয়ে ,পাথর চোখে দেখবো চেয়ে!ভাবলে কেমন করে?জাতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলে,হেল তামাশা করে,বিনিময়ে চাস কীরে?সবার কলিজায় হাত দিয়ে,কী মাপার চেষ্টা করিস,একটু নিজে ভাবিস?এ পৃথিবী নয়রে কারো,একা ভোগের যতো পারো,পেট পুড়িলে বেশ!যে জিহ্বায় অসার কথা,কোটি প্রাণে আনে ব্যাথা,আনে বিপদ...

কবিতা

স্বাস্থ্য রবে বেশ

মিনার হতে মধুর সুরে,ঝরছে আযান ধ্বনি,ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন টুটে,ফজর আযান শুনি।নামাজ শেষে ঘরে ফিরে,কেউবা এসে কোরান পড়ে,কেউ ছুটে যায় দলের ভীঁড়ে,নিত্য নতুন ব্যায়াম করে।  কলকলিয়ে ডাকছে সবেহাতিরঝিলের জল,কিচিরমিচির গান বাজাল,ভোরের পাখির দল।ঘন সবুজ ঝাঁউ সারিতে,আসবে কারা আয়,সূর্য মামা ডাকছে সবে,বেলা...

কবিতা

ভাস্কর্য মূর্তি প্রতিমা

ভাস্কর্য মূর্তি প্রতিমা কোনদিন চাইনা মোরা চাইনা,সচেতন পূঁজারী অপূঁজারী জানে তা' কিসের বায়না।ক্বোরআন, বেদ ভগবত গীতায়, যা নেই তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে কারা?হোক হিন্দু, মুসলিম অমুসলিম আসলে কী চায় তারা?ইতিহাস খোল, ধর্ম গ্রন্থ পড়ো,এরপরেও কেনো অধর্ম এতো বড়ো।কত টাকা পয়সা...

কবিতা

সবাই সবার

ভালো থেকো সবাই মিলে,সুখ শান্তির ছায়া তলে,সাজাও জীবন নতুন করে,সফলতার মালা গলে।আজ প্রয়োজন পদে পদে, জোর আয়োজন পথে পথে,পাথেয় জোগাড় করো সবে,সফল সুফল সব মিলিবে।"তোমার" যখন হয় প্রয়োজন, বলছো তখন কর আয়োজন, "সবাই সবার" তন্ত্রে চয়ন,"সবাই মিলে" করো সাধন।"আমার" যখন খুব প্রয়োজন,যাও বয়ে...

কবিতা

কবিতার প্রেম

কবিতার প্রেমে পড়েছি,সেই দূরন্ত শৈশবে,অন্য সবার মতো,শুধু পড়তে ভালো লাগতো, অপরুপ রুপে বিমুগ্ধ চিত্তে,ছন্দের মনোহর কারুকার্য,শব্দের গঠনশৈলী, সুমিষ্ট সহজ উচ্চারণ, নিতুই করতো আকর্ষণ।কখনো গলা ছেড়ে আবৃত্তি করে,আনাড়ি কন্ঠে সুরে সুরে,সময়ে অসময়ে গেয়ে গেয়ে,ক্লান্তি নাশে আপন করে,দু'দন্ড প্রশান্তির তরে।বারো বছর বয়সে,লেখালেখির দুর্নিবার আকর্ষণ, মোহ গভীর...

কবিতা

দু'মুখো সাপ

দু'মুখো সাপ দেখো,আশেপাশে পাবে বহু,এক মুখে স্তুতি তব,অন্য মুখে দোষ যতো।মুখে মধু, সদা চলে,অন্তরে বিষ বলে।উপকার দূরে সেতো,অপকারের গোড়া শতো।পদে পদে ছলে কলে,কত কথা চলে বলে,প্রিয় জনের বেশ ধরে,মূল কাটে ধীরে ধীরে। অন্যের দোষ ত্রুটি,বলতে চায় যদি, শোনবেনা কোনদিন, সুযোগের ব্যবহারে,লাভবান হতে পরে,দোষ...

কবিতা

ভালো মানুষ

ভালো মানুষ ধরার আলো,আঁধার করে দূর, নিকচ কালো রাত্রি শেষে,আনে আলোর ভোর।কথা কাজে সকাল সাঁঝে,মধুর ব্যবহারে,শান্তি বয়ে চলে সদা,সব মানুষের তরে।কাছে দূরের নেই ভেদাভেদ, সবাই তাঁদের আপন,সবার তরে প্রাণের দোয়ার, খোলা সর্বক্ষণ।উপকারী মনোভাবে, হয়না অপকার,দেহ মনে চিন্তা ধ্যানে,সবার উপকার।ফুলের মতো জীবন তাদের,সুবাস ছড়ায় শতো,শান্তি...

কবিতা

ব্যস্ততা

এ কেমন ব্যস্ততা!বাঁচার জন্য প্রাণ সঁপে দেয়,মরার তরে সময় নেই! আত্নীয় স্বজনের বিপদাপদে,সুখ- দুঃখের ভাগিদার হতে, দাঁড়িয়ে পাশে স্বান্তনাতে, এক দন্ড ফুরসৎ নেই,দূরালাপনি দূরে ঠেলে, কাছের মানুষ রয়যে দূরে, কন্টাক্টলিষ্টের লম্বা বহর,কার বাদে কার নিবো খবর!দেনা পাওনা কোথায় কেমন, কম বেশি কোথায় খরচ!লাভ ক্ষতির অংক কষে, ছেট,...

কবিতা

নির্বাচনী

নির্বাচনী খোশ মেজাজে,ছুটছে সকাল সাঁঝে,প্রার্থী যারা বাড়ি বাড়ি, ঘুরছে ভোটের খোঁজে।পারায় পারায় ঘুরে বেড়ায়,প্রার্থী চাহে প্রার্থনা, দোয়া খায়ের করছে স্বজন,সাথে শুভ কামনা। কেউ ছুটে যায় নেতার আগে,কেউবা ছুটে পাছে,ইশতেহারের সব বিষয়েবলছে সবার কাছে।জনগনের দুঃখ সুখে,থাকবে সদা পাশে,রাত বিরাতে বিপদ কালে, রয়বে সবার আশে।গরীব ধনী,...

গল্প

ছোট গল্প ......."ছন্নছাড়া"

 ১ম পর্ব.................................জলঢাকা একটি উপজেলা শহর , এই শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট একটি নদী নাম তার আওলিয়াখানা । এই আওলিয়াখানা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে একটি ছোট উপজেলা শহর জলঢাকা । জলঢাকা নামের পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে । তবে...

উপন্যাস

রকযাত্রা

১একটা গিটার লাগবে আমার। মা কেন জানি রাজি হয়ে গেল আজ! আমি ভাবতেই পারছি না, আমার সত্যি নিজের একটা গিটার হতে যাচ্ছে! অবশ্য আমার এই ঘ্যান ঘ্যান অনেক দিন থেকে চলছিল। এই গিটার চাওয়া নিয়ে মা কত বকেছে আমাকে, কিন্তু...

মিলু আমান

মিলু আমান

রক যাত্রা, গানের মিলন, ফ্লয়েডিয়ান, বাংলার রক মেটাল

কবিতা

প্রকৃত সুখ

প্রিয়হারা আজ, অপ্রিয় কাজ,বিমর্ষ বিমলীন।বিরহ ব্যাথা, স্মৃতি চারিপাশ, হর্ষ-নিখিল বিলীন। সব সুখ আছে, সবার কাছে,প্রকৃত সুখ নাই!কোথা' গেলে পাবে, যুগ যুগ ধরে,খুঁজিয়া ফিরে যায়।বেলা বয়ে চলে, সকাল গড়ায়,দুপুরের পিছে সন্ধ্যা-তারায়,নীরব নিশি শেষ হয়ে যায়,আলো আঁধারের  খেলার ধাঁধায়।দখিনা বায়ু, নিরাক বেলায়,শান্তির পরশ খুঁজে...

কবিতা

হয়তো সেদিন

হয়তো সেদিন খুঁজবে সবে,আবার তুমি আসবে কবে?পরিতাপের ঋণ শোধনে,ছুটবে সবে কোন্ যতনে।মরলে পরে কবর গাহে,অশ্রু ফেলে দোয়া মাগে,একা ফেলে ফিরে গেহে, একই সত্য সবাই দেখে।হারিয়ে মানিক খুঁজে ফিরে, হেথায় হোথায় জীবন ঘিরে,আপন পরের দরদ নিয়ে, অশ্রু মুছে, বিদায় দিয়ে।বাঁচার সময় হাতটি ধরো,সুখে দুঃখে...

কবিতা

কোন পরিচয়ে

আমার আমিতে আমি,তুমার তুমিতে তুমি,বান্দা যে তোমার,বড়ই গোনাহগার, মাগে মাফি, ওগো গাফফার, দিদার চাহে, করুনার আধার।নানা ভাষায় কথা বলি,দলে দলে মানবজাতি,সুখে দুঃখে ভাগাভাগি, সব ভেদাভেদ ত্যাগি,নানা ভাষে দেশি-খেশী,খোঁজে তোমার খুশি।কোন ইশারায় আপন পরে,পর হয়ে যায় আপন তরে।আপন পরের ভেদ ভূলে, জীবন নামের বেলাভূমে।তোমার রাজি...

কবিতা

সবার সুখে

বিজন দুপুর রৌদ্র তাপে,হিজল বনের ছায়ায় বসে,নির্মল হাওয়া গায়ে মেখে,ভাবছি কতো স্বপ্ন দেখে।শয়ন স্বপন হৃদয় কাঁপন, প্রেম বিরহের জীবন যাপন,দিবানিশির স্বপ্নে নয়ন,আশায় আশায় সময় ক্ষেপণ।একলা ভেবে স্বপ্ন দেখে,মরবে কেহো হোঁচট খেয়ে,কেউবা রবে সুখের মাঝে,জীবন জুড়ে সকাল সাঁঝে।সবার মাঝে আমায় খুঁজি, স্বপ্ন বুনি...

কবিতা

সহানুভূতি

সহানুভূতি পায় ক'জন,জগতের সংসারে,সহানুভূতি চাই যারা,দু'হাতে দাও তাঁরে।কোমলের দাম যারা,জানেনি কোন দিন,ভালো ছেড়ে মন্দে,ডুবে রবে নিশিদিন।অনুভব অনুভূতি, সমানে বয়ে যায়,সদাচার বিনিময়ে, দু'জনে দু'জনার।সুখে যবে রয় সবে,সুখী হয় মিলেমিশে, দুঃখে নয় দূরে, রয় আশেপাশে।কদর করে ক'জন, সুন্দর সব মন,সদাচারী সদালাপী, সবার আপন।ভূলে যায়, উঁবে যায়,শতো কায় ক্লেশ,সাদা...

কবিতা

সবার সবি

ভালোবাসি দিবানিশি, থাকবো সবার কাছাকাছি,দুঃখ সুখে মিলেমিশি,রয়বো সবার পাশাপাশি। আমার আমার করে শুধু,নেই উপকার কারো,সবাই সবার একটু ভাবো,সবাই সবি পাবো।সবার সুখের ভাগ-ভাগীদার,আপন পরে সবে,তোমার দুঃখের ভাগী হতে,সবাই সবার হবে।আমার মতো আমার করে,আমার জীবন ভাবো,তোমার আছে অনেক কিছু, সেসব এখন রাখো।দুঃখ কারো বুঝতে হলে,ভালো...

কবিতা

সব আবেদন

আল্লাহর সাথে যার,ভাবের অভাব, অভাব তাহার সহচরী, কে আছো ভাই,মুক্তি পেতে চাই,আল্লাহর কাছে প্রকাশ করি।গোপন প্রকাশ সব চাহিদা, খুলে বলি তারি কাছে,দান অনুদান যা প্রয়োজন, পাবো সবি দয়ার সাথে।সৃষ্টি হয়ে স্রষ্টার কথা,কেমন করে ভূলি?সহজ সরল পথ ফেলে,কোন্ পথে আজ চলি?অভাব আমায় ঘিরে রাখুক,চাইযে মনে...

পোস্ট

ক-এর কারিশমা!

ক-এর কারিশমা!কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী কলেজের কনিষ্ঠ কেরাণী কার্তিক কুমার কর্মকারের কোকিল-কন্ঠী কন্যা কপিলা কর্মকার কাশিতে কাশিতে করুণ কন্ঠে কমল কাকাকে কহিল- কাকা, কড়ই কাঠের কেদারা কিংবা কারখানার কাপড় কেনাকাটায় কৃষাণীরা কিছুটা কৃচ্ছতা করিলেও কলকাতার কিশোরী কন্যাদের কাছে কুষ্টিয়ার কুচকুচে কালো কাতান...

কবিতা

অশ্রু ঝরে

অশ্রু ঝরে, খোশ খবরে, সুখের তরে,দুঃখ পেয়ে, সয়তে নারে।অশ্রু গড়ায়, নিজের দুঃখে,পরের সুখে,আপন পরে,সবার শোকে।অশ্রু মুছে, দ্রুত লয়ে, অগোচরে, আবার ঝরে, অশ্রু পড়ে, নয়ন বেয়ে।অশ্রু গড়ায়, কোন কারণে, দুই নয়নে;পাপের কথা,শাস্তি ভয়ে,কাঁপছে মনে।ধন্য হলো,অশ্রু যতো,পড়লো ঝরে, এক পলকে,তোমার তরে,সঁপে দিয়ে।জন্ম হতে,এত্তো দিনে,পাপের কণা,গুনে গুনে, শেষ হবেনা, ভোর বিহানে।রাহীম ছাড়া,নেইযে গতি,রহম তোমারসবার প্রতি,অঝোর ধারায়, ঝরাও আজি।এক...

পোস্ট

নকশীকাঁথা

সেদিন এক দুপুরবেলা চুপি চুপি এসেছিলো শ্যামা, তারে ভালোবাসিবো সে কথা ভেবেছিলো কেবা!রিক্ত দুপুর, কোকিলের ডাকে মুচকি হেসেছিলো চেনা-অচেনা। বাসর লতার রক্তলাল ফুলে ছেয়ে গেছে দৃশ্যপট,ফাল্গুনের হিমেল হাওয়ায় উড়ে গেছে শুকনো পাতা,বসন্তের সবুজ টিপে সাজানো নকশীকাঁথা। 

কবিতা

নন্দিত নরক

স্বাগতম! বন্ধু, নন্দিত নরকে,ভূলের বেড়াজালে আছো কে?তুমি না আমি ইনি, তিনি,তর্কের সব পাঠ চুকে ফেলি।চলো, ছিদ্রান্বেষী!ছিদ্র খুঁজে ফিরি, আর ফেরি করি।এ ব্যবসা বড়ই রমরমা,দিনে দিনে হয় জমা,কে কী হয়, কার কী আছে নাই,সঠিক বেঠিক, সত্য যাচাই!কী প্রয়োজন এতো দেখার!আমার আমি আছি, ভালো...

কবিতা

সত্য-ন্যায়ের ঝান্ডাধারী

মাথার 'পরে, সপ্ত আকাশ,আরশে আজীম জানো,স্বয়ং খোদার রহম করম,জীবন পথে মানো।পথ চলাতো, হলো শুরু,চিরকালের গোড়া হতে,পথে পথে অনেক পথে,ফিরবে সবে, ফের সে পথে।প্রিয়জনের কাছে ফিরে,চলবে সবে সদলবলে,দান-প্রতিদান, কড়ায় গন্ডায়,বুঝিয়ে দিবে তিলেতিলে।তোমার হাতের, মন মগজের, সব রকমের অত্যাচার,যে ভোগেছে, ধুঁকছে, ধুঁকে, দাঁড়িয়ে রবে...

গল্প

মরীচিকা

যদিও মরুভূমিতে জলের প্রচন্ড অভাব তবু শামছু মিয়ার চোখে জলের অভাব নেই। তার ঘোলাটে চোখ দিয়ে টলটলে স্বচ্ছ অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। মরুভূমির শুষ্ক মাটি তা নিমেষেই শুষে নেয়। শামছু মিয়া একবার তার হাতে রাখা দশ দিনারের নোটটির দিকে তাকায় আর...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (২৯)

১৪১ করেছি যা অপরাধ কদম-কদমে, প্রভু ক্ষমা করলে ক্ষমা মিলে অধমে।          হে খোদা আমায় মাফ করে দে, হে খোদা আমায় মাফ করে দে॥           শুনেছি দয়াল তুমি বড় দয়ালুতোমার দয়ার কাছে বড় না কিছু;          ক্ষমা করতে পারো তুমি বড় দোষীকে—         হে খোদা আমায় মাফ...

প্রবন্ধ

মানুষ ও লাইব্রেরির কথা

মানুষ কাকে বলে বা মানুষের সংজ্ঞা কী? মাথা, ধড়, এক জোড়া হাত-পা, চোখ-কান, ইত্যাদি শারীরিক কাঠামো বিশিষ্ট প্রাণীকেই কি মানুষ বলে? নাকি মানুষের সংজ্ঞা আরও ব্যাপক? একটি পশু বা পাখিকে পশু-পাখি হওয়ার জন্য কোনো চেষ্টা করতে হয় না, জ্ঞানার্জনের জন্য...

সাজ্জাদুল করিম

সাজ্জাদুল করিম

প্রাবন্ধিক, কলাম লেখক ও জেলা লাইব্রেরিয়ান, শেরপুর

কবিতা

সত্যের ডাক

তুমি আমি পরস্পরে ঘৃণা করি,কিংবা ভালোবাসি দিনমান চিরবধি;ঘৃনা ভালোবাসার খেলা দেখি আজোবধি!!!সত্য গ্রহণে নির্ভীক রবো সবাই নিরবধি।আলো, আঁধার স্পষ্ট সবার দেখছে দিবানিশি, আলো ছাড়িয়া আঁধার নিয়া নির্বোধ হাসাহাসি,সত্য ডাকিছে, সদা হাঁকিছে, রয়বে পাশাপাশি,আলোয় আলোয় পূর্ণ রবে, আঁধার পালাবে কাশি।বিশালতা প্রেমের সদা,...

কবিতা

বিপ্লবী  (২৬)

বিপ্লবী! পর্বতের ঐ চূঁড়া ছোঁয়ে,হিমবাহের গাত্র বেয়ে,জন্ম লভে চলতে হবে,সাগর পানে ছুটবে তবে। সবুজ শ্যামল পথের ধারা,চলতে চলতে পথের সারা,লক্ষ্যপথে সফল হওয়া,সকল বাঁধা, হলো হাওয়া।জাগছে দেখো, আসছে ধেয়ে,বিপ্লবীরা আকাশ ছেঁয়ে । বিপ্লবী! ঘন সবুজ কালো গায়ে,শুভ্র ধারা নামছে বেয়ে, উদাস মনে আকাশ পানে,ভাবের উদয়, কাছে...

বাংলা সাহিত্য

‘রৌজা’ গীতিকবিতা পর্ব (৩০)

১৪৬ প্রতিদানের আশা করছি না কোনো কিছু নেই আমার দানের প্রাপ্য। তবু তোমার দয়ার আশা রাখছি বড়          না থাক আমার এতটু পুণ্য॥  মিলে মিলুক-না স্থান ওই ওখানে এখানেও থাকবে প্রত্যাশা বড় মনে, যে-কোনো উপায়ে পার করবে তুমি          নাহলে তুমি রহমান কেন—         না থাক আমার এতটু পুণ্য॥  কিছু...

কবিতা

ধর্মনিরপেক্ষতা

ওদের শেখাও ধর্ম কর্ম,পক্ষ, বিপক্ষ, নিরপেক্ষ!মানুষ কী ধর্মের জন্য,না মানুষের জন্য ধর্ম?সবার ধর্ম সেরা রবে,সবাই যেমন ভাবে।একটু যাচাই করে নিবে,জীবন বিধান কী হবে?মানুষ তুমি সেরা সৃষ্টি, সাথে রবে পুতঃ দৃষ্টি,বাক্ বচনে সেরা কৃষ্টি, পাথেয় অতুল সংস্কৃতি। মানুষ নামের অমানুষে,কীটের মতো বসবাসে,মাঝে মাঝে মরতে...

কবিতা

আর কতোদিন

সর্বহারা বলবে কারে সব হারালো যারা,সব হারিয়ে প্রভুর প্রেমে দেখো পাগলপাড়া। আকসা তাদের হৃদয় জেনো, জন্মভূমি পরিচয়,জীবন দিবে শহীদ হবে, ছাড় দিবেনা নিশ্চয়।ভাইযে আমার মুসলিম ভাই, বাকি ভাইয়ের খবর কয়?কোলের শিশু, মজলুম নারী,বীর পুরুষেরা শহীদ হয়।আল্লাহর তরে নিখাঁদ প্রেমের আমল সালাত...

গল্প

গল্প করিম মিয়ার এইসব দিনরাত্রি

করিম মিয়ার এইসব দিনরাত্রিজালাল উদ্দিন লস্কর আছিয়া বেগমের মন ভাল নেই।পাঁচ জনের সংসারে আজ চুলা জ্বলবে না।ঘরে চাউল ডাল কিছুই নেই।দুইদিন ধরে আছিয়ার রিক্সাচালক স্বামী করিম মিয়ার শরীর খারাপ।কাজে যেতে পারে না।ডাক্তারের কাছে যাওয়ার চিন্তাও এদের কাছে বিলাসিতা।গ্রাম ডাক্তার  সমীর বাবুর...

পোস্ট

টিউশনির গপ্প

টিউশনির গপ্প....১৯৯৬ সালের দিকের কথা আমার এক ক্লাস থ্রীতে পড়া ছাত্রের সুন্নাতে খৎনা (মুসলমানি) করানো হবে। ছাত্রের মা, আন্টি আমাকে দাওয়াত দিলো। গিয়ে দেখি ছাত্র তো ভয়ে কাঁপতেছে। আন্টি আমাকে বললেন, বাবা ওকে একটু বুঝাও।আমি ওর পাশে গিয়ে বললাম,- সিফাত;...

কবিতা

ইবলিশ

আমি লোভ লালসা সীমাহীন,আমি অভিশপ্ত, বেপরোয়াশুদ্ধ শহর বিষাক্ত করেমৃত্যুর পথে করি আহ্বান। আমি মায়া ষড়যন্ত্রীভূমণ্ডল বক্ষে জড়াইশক্ত করে রাখিয়াছি বাধি,করি নাকো শির নত;আমি আদি অহংকারী। আমি অন্যায় অবিচার;পাড়া মহল্লায় অফিস আদালতেআমি নিয়ম আমি নীতি,আমার হাতে সবাই বন্দিআমি শ্রেষ্ঠ আমি বীরমহান আমি এই...

গল্প

বাবা, আমার নাক ফুলটা বিক্রি করে আমার কাফনের কাপড় কিনে দিও

বাবা, আমার নাক ফুলটা বিক্রি করে আমার কাফনের কাপড় কিনে দিও।বৃদ্ধাশ্রম থেকে একজন মায়ের চিঠিআমার আদর ও ভালোবাসা নিও। অনেক দিন তোমাকে দেখি না, আমার খুব কষ্ট হয়। কান্নায় আমার বুক ভেঙে যায়। আমার জন্য তোমার কী অনুভূতি, তা আমি...

চিন্তা

🍂 একাকিত্বতা 🍂

 কখনো কখনো খুব একাকিত্বতা ভালো লাগে। মন চায় নির্জন কোনো স্থানে একলা বসে সব চিন্তা ভুলে কেবল প্রকৃতি দেখি, গাঢ় সবুজ দেখি, নানা রকম ফুলের সুগন্ধে বিভোর হয়ে যাই। নরম সবুজ ঘাসে গা এলিয়ে দিয়ে সুবিশাল নীল আকাশ দেখি। পাখির কলতানে মুগ্ধ...

গল্প

Domestic Violence

উপর তলা থেকে চিৎকার করে কান্নার আওয়াজ আসছে… সাথে শোনা যাচ্ছে - আম্মা আর করবো না।বিষয়টা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। একটু আগেই তো তাদের বাসায় আমাদের দাওয়াত ছিলো। তার ছেলে চাকরি পেয়েছে নতুন সেজন্য। কত অমায়িক পরিবার। কি রেখে কি...

সমালোচনা

স্বামীর প্রতি অতিরিক্ত ভক্তি সম্পন্ন এক নারীর বয়ান

স্বামীর প্রতি অতিরিক্ত ভক্তি সম্পন্ন এক নারীর বয়ান-যারা একবারে মুক্ত, স্বাধীন মনা নারী এ লেখাটা হয়তো তাদের জন্য নয়। দয়া করে তারা ক্ষনিকের জন্য একটু দূরে থাকুন। আমার এক খালা প্রায়ই বলতেন, ঢাকা শহরে যত বুয়া, তাঁরা স্বামীর জন্য ভাত...

কবিতা

অভাব কী?

বাবা প্রায়শই বলতেন,পারিবারিকভাবে যখন বসতেন,অভাব কী? বলতে পারো?নিশ্চুপ সবজনে, দৃষ্টি নিচু।সহজ ভাষায় বলতে পারো, সমাধানের পথ যে পাবো।স্বর্গোদ্যান থেকে অবাধ্যতা,মালিকের সতর্কতা না শোনা,স্বেচ্ছায় ভুলে শয়তানের কথা মানা, অসাবধানতার মাশুল গোনা।সুন্দর সম্পর্কের ধারাবাহিকতা,স্রষ্টা-সৃষ্টির বিশ্বাস ঘাতকতা।আপন নিবাস, স্বর্গীয় সব,ছাড়তে হলো ছেড়ে দিলো। অভাব সবি জড়িয়ে...

কবিতা

আমানত

কথার কথা অনেক কথা,সুখের কথা, দুঃখের কথা,বলে বেড়ায় যথা তথা,কষ্ট ক্লেশের ব্যাথার কথা।পাশে পেলে কথা বলে,কথায় কথায় সময় চলে,রোদ গরমের কষ্ট ভূলে,অনেক কথার পথ চলে।কোন কথা টাকার মত,জমা রবে অবিরত,দুঃখ গাঁথা সবার মত,রেখে দিও তাঁর আমানত।তোমার অর্থ সম্পদ শতো,সম্মান, সম্পর্ক,...

কবিতা

ফারিহাতুন নিসা মা-মণিকেঃ

সব জান্তা মা-মণিটা,সবি ভালো জানে।"চাচ্চু, আমি জানতাম তুমি আইবা!স্নেহময়ীর বায়নানামা,জয়ের হাসি, নাচানাচি, দেখবা কতো দেখবা।মেজু চাচ্চু, আরিফ চাচ্চু, এই চাচ্চু, ও চাচ্চু",  হরেক নামের আয়োজনে, মিষ্টিমুখে শুনবো অনেক,ডাকো প্রিয় মা!স্বপ্ন-কানন, আশার আলো,সকল প্রাণের দুয়ার খুলো, নয়ন সুখে, ক্লান্তি নাশে,পুষ্প বদন মনে ভাসে,অপার শান্তি মা!বিশ্ব...

গল্প

বলদ নাম্বার ওয়ান (পর্ব : ৩)

বাসায় যাবার পর ,বাবা : ছি , ছি , তোর বাবা মায়ের নাম জানিস না । তোর বাবার নাম মন্টু মিয়া আর মায়ের নাম শেফালী বেগম । এরপর থেকে কেউ বাবা মায়ের নাম জিজ্ঞেস করলে এগুলোই বলবি । বুঝছো ?কুদ্দুস : আচ্ছা বাবা ।বাবা : কয়েকদিন পর তোর স্কুল যা যা লাগে আমাকে বলিস এনে দেবোনি । এখন দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমা ।কুদ্দুস : আচ্ছা বাবাবিকাল বেলা , কুদ্দুস : বাবা ও বাবা লিস্ট করা শেষ । লিস্ট নিয়ে মার্কেটে যাও আর এগুলো নিয়ে আসো ।বাবা : আচ্ছা । দাও দেখি । লিস্টে যা যা লেখা ছিল ১) ১২ টা খাতা২) ১২ টি রাবার৩) ১২ টি কাটার৪) ১২ টা কলম৫) ১২টি ব্যাগ৬)১২ টা পোশাক সবকিছু বারোটা কেন ?কুদ্দুস : কারণ নোট বারো মাস । বাবা :...

সাদাত হোসাইন

সাদাত হোসাইন

student of class 6 (Dhunat Adorsho Hight school )

চিন্তা

আমি ও সভ্যতা

আমার আমি যতো ভালো, পুরো দুনিয়া তত বা তার চেয়ে কম নয় বরং অনেক বেশী ভালো।তাই নিজেকেই জানতে হবে।নিজের সাথেই বুঝাপড়া করতে হবে প্রতিনিয়ত।আসলে আমি কী চাই? সেই চাওয়া পাওয়া কতটুকু বৈধ বা অবৈধ! আমার চাওয়া পাওয়ার জন্য যে সময়,...

চিন্তা

🍂 আমি আর আমার ছায়া 🍂

শিশির ভেজা ঘাসে আমি পথ হাঁটছি, কোমল মখমলের মত পথ, বড় উর্বর মৃত্তিকার এই পথ হঠাৎ থমকে দাঁড়ায়! ওই দূরে মরীচিকা দেখা যায়, শূন্য বালুচর মানবহীন, মহাকালের আবর্তনে বিলীন। তবু আমি পথ হাঁটি নির্জন, আমার একলার পথ; কোথাও উঁচু কোথাও নিচু,...

বাংলা সাহিত্য

আবেদন।

হয়ত স্বাধীন করে দাও।নাহয় মিথ্যা বলে দাও।অধরে এসে যা থেমেছেতা নির্দ্বিধায় বলে দাও। সাচ্ছন্দের বিষ আমি পান করতেই থাকবো।কাব্যিক নয়নের রক্তিম ভাবমূর্তিআমি সন্ধান করতেই থাকবো।তুমি সোপান না হলেও কিআমায় পরিতৃপ্ত করে দাও। স্বপ্ন স্থান পায়নি নয়নেতা পূর্ব হতে তৃপ্ত ছিল।যদি তোমায় না...

চিন্তা

হেরে যাওয়া

নিজেই নিজের হার মানতে না পারা ব্যক্তি নিজেকে কখনো নিজের কাছে হারতে দেওয়া উচিৎ নয়।কারণ অন্যের কাছে হেরে গেলে তার চোখের আড়াল হলেই শেষ, কিন্তু নিজের কাছে  নিজে হেরে গেলে মরার আগ পর্যন্তও শান্তি পাওয়া যাবেনা।

Razib Hosen

Razib Hosen

ডেভেলপার, ডিজাইনার এবং শিক্ষক

পোস্ট

বিষন্নতা

নিত্যান্তই অকারণে যখন মন খারাপ থাকে, তখন চেনা মানুষ চেনা পরিবেশটাকে বড্ড একঘেয়েমি লাগে। জীবনের রিক্ততা প্রতিটা ক্ষনে ক্ষনে জাগে। কিছু পাওয়ার আকাঙ্খা, কিছু অপূর্ণতা বড্ড অধৈর্য লাগে। চাঁদের আলোয় জ্বলজ্বলে রাতটাও নির্ঘুম কাটে। সময়ের আবর্তনে যখন আকাশের বুক থেকে...

কবিতা

ভালো লাগা

ভালো লাগে স্বপ্নটাকে রঙিন খামে রাখতে,নীল গগনের তারা হয়ে জ্বলতে ।ভালো লাগে পাখি হয়ে ডানা মেলে উড়তে,বাতাস হয়ে তোমার চুলে দুলতে ।ভালো লাগে শিশির হয়ে ঘাসের ডগায় জুমতে,প্রজাপতির হয়ে ফুলে ফুলে উড়তে ।ভালো লাগে জোনাক হয়ে আধার রাতে জ্বলতে,শ্যামা মেয়ের...

পোস্ট

অতঃপর

তুমি নেই বলে এই শহরের সকালে, শিশির জমে না ঘাসে। তুমি নেই বলে গাঢ় কুয়াশা গুলো বিষাদের শোকে হাসে। তুমি নেই জেনেও জীবন নদীতে শিউলি ফুল গুলো ভাসে।জীবনের অনেক ভুল, তাই ভাগ্য করে তোমায় আর পাওয়া হলো না। তুমি নেই...

বাংলা সাহিত্য

শঙ্খবীণা (১)

১ পরম করুণাময়—অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরুআমার প্রতিপালক নিশ্চয় ক্ষমাশীল ও দয়াবান; সকল প্রশংসা তোমার, তুমি সৃষ্টিকুলের স্রষ্টা প্রভুতুলনাহীন—কত সুন্দর কোরানের বাণী—ফুরকান॥  ‘আমরা তোমারই এবাদত করি এবং সাহায্য চাই আমাদেরকে সরলপথ দেখান’ যেপথে আছে ঠাঁই, ‘এ সেই গ্রন্থ, যাতে কোনো সন্দেহ নাই’ আশেকান ‘পুণ্যময় তিনি যার...

গল্প

মূল্যায়নের মনোভাব

আট দশ পদের রান্না করেছিলাম সেদিন, সব গুলো রান্না অমৃত হলেও একটাতে লবণ কম হওয়াতে শ্বাশুড়ী যখন মুখ বেকিয়ে বলল, - লবণ দেওয়ার সময় মন কোথায় থাকে? আমি বলেছিলাম, এতগুলো রান্নার মধ্যে একটা তো এদিক ওদিক হবে৷ আমি তো আর রোবট না। উনি পাত থেকে সে তরকারি ফেলে দিতে দিতে বলেছিলেন, বউ হতে গেলে রোবটের চেয়ে বেশি হতে হয়। ঘর ভর্তি গেস্টের সামনে আমি পানি দিয়ে ভাত আর রাগ দুইটায় গিলে খেয়েছিলাম। সবাই চুপ ছিলো কেউ কোন উত্তর দেয় নি আমার হয়ে। রাতের বেলা, শুধু সে তরকারির লবণ ঠিক রেখে অন্য সব তরকারির লবণ বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। সবাই বুঝে আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়েছিলো, যেন আমি একটা আতংক। আমি নির্বিকারে যে তরকারির জন্য সকালে কথা শুনানো হয়েছিলো সেটা দিয়ে খেয়ে নিলাম। পরে সবাই বলেছিলো, -সকালে সব ভালোই ছিলো৷ শুধু শুধু রাগালে মেয়েটাকে, কষ্ট করে রান্না করেছিলো। কিন্তু সকালে কেউ আমার হয়ে একটা কথা বলে নি। এরপর থেকে কেউ আমাকে এইভাবে বলার সাহস পেত না৷ এমন না যে আমি সমালোচনা শুনতে ভয় পাই। ব্যাপার টা হলো মূল্যায়নের। আমি যে এত কষ্ট করে এত রান্না করেছি, সেটার মূল্যায়ন তারা করে নি৷ নয় টা রান্নার গুন যখন একটাকে ছাপিয়ে যায় নি, সেখানে আমার মূল্যায়ন হয় নি। আমার কষ্টের মূল্যায়ন হয় নি।পরবর্তীতে এইরকম কিছু বলার আগে তারা ভেবেছে এবং ভাববে৷ প্রতিদিন বিকালে নানা রকম নাস্তা বানাই আমি, ঘরের এক সদস্য বলেছিলো, তার খেতে ইচ্ছে না। তবে সে খেত সব। তার যে ইচ্ছে করে না তা সে বাড়িয়ে চড়িয়ে বলত। পরবর্তীতে আমি তার জন্য ছাড়া সবার জন্য নাস্তা বানিয়েছে৷ বেশ ভালো পদের৷ শুধু তাকেই দেওয়া হলো না। এক গাল হেসে বলেছিলাম,- ভালো লাগে না যখন, কষ্ট করে কেন খাবেন রোজ? আপনার ও কষ্ট কমল আবার আমার ও। সে এমন দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো, যেন কোন শব্দেই খুঁজে পাচ্ছে না। তার বিরক্তি প্রকাশ করার জন্য। এমন না যে আমি তাকে অপছন্দ করি বা খাওয়াতে চাই না কিন্তু সে আমার যত্নটা দেখতো না। আমি রোজ নাস্তা বানাচ্ছি যত্ন করে নানা বাহারী সাজে, সেটার মূল্য দিতো না। আমার মূল্যায়ন সে করে নি। তাই আমি তাকে বুঝিয়েছি, কেউ যখন আপনার জন্য করছে তার মূল্যায়ন অবশ্যই দরকার৷ ভোর বেলা কেউ বের হচ্ছে, আমি রাতের র্নিঘুমতার শর্তেও ঘুম ঘুম চোখে উঠে কারো জন্য রুটি বানালাম, সে দেখল আমি বানাচ্ছি, নিষেধ করল না৷ সময় সুযোগ থাকার শর্তেও সে না খেয়ে চলে গেল৷ এরপরের বার থেকে আমি ঘুম থেকেই উঠি নি। যতই আমাকে ডাকা হোক। এমন না যে আমি উঠতে পারব না কারো জন্য। কিন্তু তার জন্য আমার উঠাটা তাকে মূল্যায়ন করতে হবে। আমার স্বামীর জন্য রাত অবধি ভাত নিয়ে বসে থাকার পর সে যখন আমি রান্না ঘর থেকে আসার আগেই খাওয়া শুরু দিতো, আমি খেয়েছি কিনা দেখতো ও না। পরের বার থেকে আমি আগেই ভালো পিস টা দিয়ে খেয়ে বসে থাকতাম। এমন না আমার অপেক্ষা করতে খারাপ লাগে, কিন্তু যে আমার অপেক্ষার মূল্যায়ন করবে না। তার জন্য আমি কেন বসে থাকবো? তার হাজার দোষ থাকার শর্তেও সে যখন আত্মীয় স্বজনের সামনে আমার ছোট্ট ভুলে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছে। আমি তার হাজার খানিক দোষ রসিয়ে রসিয়ে শুনিয়েছি সবাইকে। এমন না যে আমি প্রতিশোধ প্রবণ। কিন্তু তাকে বুঝিয়েছি, প্রিয় মানুষটার সম্মান রাখা নিজেরেই দায়িত্ব। আমাকেও মূল্যায়ন করতে হবে, সে আমার একটা দোষ জানলে আমি তার হাজার টা জানি, আমি যখন কাউকে বলছি না সে কেন তা নিয়ে অন্যদের সাথে হাসাহাসি করবে? এক আত্মীয়ের জন্য স্বেচ্চায় নিজেকে ছোট করেছিলাম, কিন্তু সে আড়ালেও আমাকে একটা ধন্যবাদ দেয় নি, এরপর থেকে আমি তার হাজার ডাকেও ফিরে তাকাই নি। কারণ সে আমার সম্মানের মূল্যায়ন করে নি। আমার ছোট হওয়াটা তার কাছে কিছুই ছিল না। যে বন্ধুটার মন খারাপে আমি রাত জেগে ছিলাম, কিন্তু ব্যস্ততার অজুহাতে যখন সে আমার মেসেজ সিন করে ফেলে রেখেছিলো, যখন আমার কাউকে দরকার ছিলো, আমি আবার তার মন খারাপের রাতে অনলাইন থেকেও তার কল রিসিভ করি নি৷ কারণ সে আমাকে ব্যবহার করেছে, মূল্যায়ন না৷ ঘরে হোক বা বাইরে যেকোন কাজে মূল্যায়ন দরকার। সেটা সংসার হোক বা কর্মক্ষেত্র। আপনি যখন অফিসের র্নিদিষ্ট কাজের বাইরে অন্য কাজ করবেন। যার জন্য আর্থিক মূল্য দেওয়া হবে না। তখন আপনার মূল্যায়ন দরকার। ঘরে সবাইকে খুশি আপনি করতে পারবেন না৷ কিন্তু যখন আপনি চেষ্টা করছেন তখন থেকেই যদি আপনার মূল্যায়ন না হয় মনে রাখবেন আপনার মূল্যায়ন কখনো হবে না। কোন দিনেই না। সংসার এইটা এমন একটা জায়গা যেখানে অন্যদের জন্য যখন করবেন তখন চাহিদা, প্রত্যাশা শুধু বাড়বেই। কখনো কমবে না। আপনি সব ঠিকঠাক করতে করতে সবাই এমন ভাব করবে যেন আপনি মানুষেই নয়, হয় ঈশ্বর নয় কোন যন্ত্র। কিন্তু ঈশ্বরের মূল্য ও আপনাকে দেওয়া হবে না। অকথ্য ভাষা বলতে দুইবার ভাববে না। সত্যি ভাববে না। বিশ্বাস করুন। তাই নিজেকে অত টা বিলিয়ে দেবেন না প্লিজ যেখানে সবাই মাড়িয়ে যাবে আর একটা শব্দ ও করবেন না। এতে যদি আপনি ঝগড়াটে বা বেয়াদব আখ্যা পান, মেনে নেবেন। বিশ্বাস করুন অনেক ফ্রেশ মাইন্ডে থাকবেন। এইসব মানসিক যন্ত্রনা থেকে দূরে থাকবেন৷ বেশি করে কথা শোনার চাইতে, কম করে দেখবেন বেশি সুনাম পাবেন যদি মূল্যায়নটা দাঁড় করাতে পারেন। অনেক পরিবারে দেখবেন কিছু মানুষ কে যা ইচ্ছে শোনানো যায়, কারণ তারা আবার ঠিক তাদের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করে। আবার কিছু মানুষ কে অন্যরা ভয় পায় কারণ তার মুখে কিছু আটকায় না। বললে রাগ করে ফেলে। ভুলেও কিছু বলে ফেললে রেশ থাকে অনেক দিন। এরা কিন্তু কম পরিশ্রমে বেশি সুনাম পায়। মূল্যায়ন চাওয়া মানে আপনাকে ঝামেলা করতে হবে না এমন না৷ স্রেফ নিজেও যে একটা আলাদা মানুষ। ভুল হবে, দোষ থাকবে, আবার ভালোও হবে সেটা বুঝাবেন হেসে৷ সড়ে গিয়ে, চুপ থেকে৷ কিংবা আমার মতো লবণ ঢেলে দিয়ে। কারণ মূল্যায়ন ব্যাপারটা কেউ এসে এইটা আপনাকে হাতে ধরিয়ে দিয়ে যাবে না। নিজেকেই করতে হবে সে জায়গা। সে মূল্যায়নের মনোভাব। তাই নিজেকে মাঝে মধ্যে স্বার্থপর ও বানান যাতে আপনি যে স্বার্থপর না সেটা অন্যরা বুঝে।  

প্রবন্ধ

শিল্পাচার্য

ছবি আঁকার বিরোধী নিম্ন-মধ্যবিত্ত ধার্মিক‌ ঘরের ছেলে জয়নুল ম্যাট্রিক ক্লাসে পড়ার সময় শুধু কলকাতার আর্ট স্কুলটা চোখে দেখার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে কলকাতায় আসেন। অনাত্মীয় মহানগর, হাতে মাত্র একটা টাকা সম্বল, কলকাতার ধর্মতলায় দুটো কমলালেবু নিয়ে বিস্তর দরাদরি, ফলে হঠাৎই দুগালে থাপ্পড় প্রাপ্তি! এতে কলকাতাকে বড়ই কঠিন ঠাঁই মনে হলো। অতএব চোখ মুছতে মুছতে শিয়ালদহে ফিরে গিয়ে বিনা টিকিটে স্বদেশ-যাত্রা। সেবার আর্ট স্কুল আর দেখা হলো না।নীতিবাগীশদের কাছ থেকেও কম বাধা আসেনি। ছেলে আর্ট স্কুলে ভর্তি হবে কোন বিধানে, ছবি আঁকা যে শরিয়তের বরখেলাপ!তার পরের বৎসর আর্ট স্কুলে ভর্তি হয়ে আবেদিনকে কয়েক মাস ওয়েলেসলি স্কয়ারের বেঞ্চিতে রাত্রিযাপন করতে হয়েছে। আর্ট স্কুলে ভর্তি হওয়াটাও ছিলো তাঁর জন্য সাত সমুদ্র তেরো নদী জয় করার মতো। তার মা তাঁর আগ্রহ দেখে নিজের গলার হার বিক্রি করে ছেলেকে আর্ট স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন। ভর্তি হলেন বটে কিন্তু থাকার জায়গা নেই, থাকবেন কোথায়?তাই পার্কে থাকতে হতো।কিন্তু সবচেয়ে কষ্টকর ছিল পার্কে ভোর হওয়ার পর শতরঞ্জি বাঁধা তোশকটা বগলে নিয়ে কোথায় রাখব কোথায় রাখব করে নিত্যনতুন জায়গার সন্ধান।আর্টপাগল ছেলেটি পরে জানতে পারেন, এক-একটি করে মসজিদের আঙিনাতে কয়েকটি করে রাত অনায়াসে কাটিয়ে দেওয়া যায়।শিল্পী জয়নুল আবেদিনকে এমনি ধারা অজস্র অভিজ্ঞতা নিয়ে এবং শহর ও গ্রামের সাধারণ জীবনধারার মধ্যে থেকে আর্টের সাধনা করতে হয়েছে। কি যে পরিশ্রম আর শ্রম তিনি দিয়েছেন তা অবর্ণনীয়। বলতেন , 'নদীর ছবি আঁকার আগে পানির দোলনই আগে বুঝতে হবে।’১৯৪৩-এর বাংলার দুর্ভিক্ষ জয়নুল আবেদিনকে একেবারে বদলে দেয়। গ্রাম-বাংলার রোমান্টিক নিসর্গ শিল্পীকে রূপান্তরিত করে ফেলে এক দুর্দান্ত বিদ্রোহী ব্যক্তিত্বে। তারপর থেকে সারাটি জীবনই বিক্ষুব্ধ থেকে গেছেন তিনি। দুর্ভিক্ষ শুরু হওয়ার পরপরই জয়নুল তাঁদের ময়মনসিংহের বাড়িতে ফিরে যান। সেখানেও দুর্ভিক্ষের যে মর্মান্তিক দৃশ্যাবলি দেখতে পান তাতে তিনি ভীষণভাবে ব্যথিত হন এবং আবার কলকাতায় ফিরে আসেন। কিন্তু দুর্ভিক্ষপীড়িত দুস্থ মানবতা যেন সে যাত্রায় তাঁর সঙ্গী হয়ে আসে। সেই আবেগই তাঁকে তাড়িত করে, বাধ্য করে অমানবিক পরিস্থিতির এক মানবিক নির্মাণে। তিনি রাতদিন শুধু কলকাতার দুর্ভিক্ষের সেসব নারকীয় দৃশ্যাবলির স্কেচ করতে থাকেন। জয়নুল তখন আর্ট স্কুলের একজন শিক্ষক, তাঁর আয় সামান্য। দুর্ভিক্ষের বাজারে উন্নতমানের শিল্পসামগ্রী তখন যেমন ছিল দুর্লভ তেমনি দুর্মূল্য। সে কারণে তিনি বেছে নেন শুধু কালো কালি আর তুলি। শুকনো তুলিতে কালো চীনা কালির টানে স্কেচ করতে থাকেন অতি সাধারণ সস্তা কাগজের ওপর। ব্যবহার করেছেন কার্টিজ পেপার। এসব কাগজ ছিল ঈষত্‍ পীত বর্ণের।এমনকি তিনি প্যাকেজিং কাগজও ব্যবহার করেছেন। সাধারণ স্বল্পমূল্যের এসব অঙ্কন সামগ্রী ব্যবহার করে তিনি যে শিল্প সৃষ্টি করলেন তাই পরিণত হলো অমূল্য সম্পদে।ভবিষ্যতে মানুষ যদি ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের বাংলাকে খানিকটা অনুভবে বুঝতে চায় তাহলে তাকে বিস্তর নথিপত্র ঘাঁটা ছাড়াও দুটি শিল্পবস্তুর নিশ্চয় সন্ধান নিতে হবে – বিজন ভট্টাচার্যের নাটক এবং আবেদিনের ছবি।কত গভীরভাবে এঁদের নাটক এবং ছবি ১৯৪৩ সালের বিপর্যয়কে লেখায় এবং রেখায় ফুটিয়ে তুলেছিল ওই দুজন শিল্পীর কথাতেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়।বিজন ভট্টাচার্যের নাটক দেখতে দেখতে জয়নুল আবেদিন বলেছিলেন, ‘তুলি এবং ব্রাশ ছুড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছে হয়।’ আর জয়নুলের ছবি দেখে বিজন ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ‘থাকত ওইরকম ব্রাশ আর তুলি।’ “এখন তো চারিদিকে রুচির দুর্ভিক্ষ! একটা স্বাধীন দেশে সুচিন্তা আর সুরুচির দুর্ভিক্ষ! এই দুর্ভিক্ষের কোন ছবি হয়না।” বলতেন তিনি।একবার এক সাক্ষাৎকার গ্রহীতা তাঁকে প্রশ্ন করলেন - "আপনি দুর্ভিক্ষের উপর ছবি আঁকলেন অথচ বন্যার ছবি আঁকলেন না কেন?""বন্যা প্রকৃতির। তাই এর বিরুদ্ধে করবার কিছুই নেই।দুর্ভিক্ষ মানুষের সৃষ্টি। মানবতার অপমান আমাকে ব্যথিত করেছিল। তাই দুর্ভিক্ষের ছবি একেছি।’’শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন উত্তর দিলেন। মুক্তিযুদ্ধ জয়নুলকে প্রচণ্ড আলোড়িত করেছিল। বিজয় অর্জনের পর পরই তিনি পূর্ণোদ্যমে লেগে যান শিল্পচর্চা সংগঠনের কাজে। এবারে লোকশিল্প তাঁর কাছে প্রাধান্য পেতে থাকে।স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের সরকার জয়নুল আবেদিনকে দায়িত্ব দেন বাংলাদেশের সংবিধানটির অঙ্গসজ্জার জন্যে। তিনি প্রবল উৎসাহের সাথে কাজটি সমাধা করেন। তাঁকে সাহায্য সহযোগিতা করেন আরও কয়েকজন শিল্পী।মৃত্যুর কয়েক দিন আগে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ারকেবলছিলেন, ‘মনোয়ার, দুর্ভিক্ষ হলে সে ছবি আঁকা যায়, নিরন্ন মানুষের হাহাকার ছবিতে দেখানো যায়। কিন্তু পাকিস্তানি শোষণের সময় মনের দুর্ভিক্ষ চলছে—এটা তো কোনো ছবিতে আঁকা যায় না।’মৃত্যুর দুদিন আগে মুস্তাফা মনোয়ার হাসপাতালে শিল্পাচার্যকে রং-তুলি এগিয়ে দিতেই তিনি কাগজের গায়ে কালো রঙে, কাঁপা হাতে একটি ছেলে আর একটি মেয়ের মুখ এঁকেছিলেন, সেই ছবিটির শিরোনাম ‘টু ফেসেস’। শিল্পাচার্য মুখ দুটি এঁকে সেদিন যেন আগামী দিনকে জানিয়ে দিলেন, এসব নতুন মুখই গড়ে তুলবে নতুন বাংলাদেশ।তিনি বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক চারুকলা শিক্ষার জনক‌। তাঁর ছোঁয়ায় গড়ে উঠলো ন্যাশনাল আর্ট কলেজ, চারুকলা ইনস্টিটিউট। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই তাঁর প্রতি। 

চিন্তা

ইসলাম ও বহুবিবাহ প্রসঙ্গ

বিবাহ মানব জিবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। মানব জাতির বংশবৃদ্ধি, সভ্যতার ধারাবাহিকতা রক্ষা, সামাজ চারিত উপায়ে জৈবিক চাহিদা মেটানো এবং সমাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় বিবাহের গুরুত্ব অসীম। প্রাচীন এবং মধ্যযুগে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এক সময় নারীকে একান্ত বিনোদনের বস্তু হিসেবে পরিগনিত হতো। ফলে পুরুষরা...

মোহাম্মদ বাহা উদ্দিন

মোহাম্মদ বাহা উদ্দিন

সহকারী পরিচালক, বিপিএটিসি, সাভার, ঢাকা

সত্তাশ্রয়ী

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ্ )

নাম: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া লেখালেখি: আরিফ ইবনে শামছ্ পিতা: বিশিষ্ট সমাজ ও সাহিত্যসেবক, কবি ক্বারী আলহাজ্ব শামছুল ইসলাম ভূঁইয়া (রাহঃ)।সহকারি প্রকৌশলী, বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন (বি.টি এন্ড টি- বি.টি.সি. এল)। মাতা: মোয়াল্লিমা হালীমা সাদীয়া ভূঁইয়া। ঠিকানা: ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, ভূঁইয়া...

সত্তাশ্রয়ী

Page-02.

পূর্বপুরুষদের পূর্বকথাঃ বৃহত্তর বিভাগ ময়মনসিংহের অন্তর্গত বেলগাঁও থানার দিলালপুরে বসবাস করতেন পাঁচ ভাই।দুই ভাই দ্বীনের কাজে বা ভ্রমনের উদ্দ্যেশ্যে দিলালপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া (ত্রিপুরা) জেলার সদর থানার অন্তর্গত ভাদুঘর গ্রামে আসেন।প্রাকৃতিক পরিবেশের অপূর্ব লীলানিকেতনের মোহে মোহাবিষ্ট হয়ে ভ্রাতাদ্বয় স্থায়ী বসবাসের সিদ্ধান্ত...

চিন্তা

PEACE, PEACE and Purity.

https://arifulislambhuiyan.blogspot.com/2014/11/peace-peace-and-purity.htmlPEACE, PEACE and Purity.How it's Possible!!!Firstly, All the sources should be pure. Like as Our Food &Products; Beverage, Goods &Commodities. The source of the inhabitants of WORLD; We know Easily the group of Mother,Sister & Daughter. They will make the...

চিন্তা

MUSLIM is the Second largest Nation in the World

https://arifulislambhuiyan.blogspot.com/2014/11/second-largest-nations-is-muslim-in.html Dear Reader, Learner & Muslim Brother - Sisters!We have to know already the position of MUSLIM by the numbers in the world with the below collected data.For decreasing the Muslim people from world, some competitive nations or community has made...

কবিতা

অধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান স্যার -এর বিদায় উপলক্ষ্যে:

https://arifulislambhuiyan.blogspot.com/2015/11/blog-post_30.htmlওগো উদার মনের অধিকারী,এ জীবনে ছুটেছি তোমার পানে,প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে, কভূ সীমানা পেড়িয়ে,সহাস্য কলরবে দানিলে সবি,তোমাকে প্রানভরে ভালবাসার রয়লো বাকী।মহাতরীর হে মহৎ নাবিক,সুবিশাল সাগর বেয়ে তীরে এসে আজ,নেমে গেলে তুমি, ছেড়ে দিলে হাল,কালের প্রয়োজনে তব আসন মাঝে,আসবে তোমার মতোই কামনা মনের...

চিন্তা

মুক্ত চিন্তা আজ মানদন্ডহীন!

আপনাকেই নির্বাচন করতে হবে আপনার জীবন ব্যবস্থা যাহা চিরশ্বাশ্বত,কল্যাণকর এবং চিরশান্তিময়।গভীর জ্ঞান অর্জন ও বাস্তব জীবনের দক্ষতা অভিজ্ঞতা, দৃষ্টিভঙ্গীর আলোকে বেছে নিন।ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব জ্বীন, মানব, সকল সৃষ্টির চূড়ান্ত লক্ষ্য, শান্তি, নিরাপত্তা ও সফলতার নিশ্চয়তা নিয়ে।ওদের অত্যাচার,অশ্লীল, নীচ ও জঘন্য...

কবিতা

জন্মদিন

জন্মদিন  যেদিন প্রথম মাতৃজঠর এর অন্ধকার পেরিয়ে চোখদুটো পৃথিবীর আলো দেখেছিল, কেমন ছিলো সে অনূভুতি?জানতে ইচ্ছে করে।চোখদুটো নিষ্পলক তাকিয়ে ছিল, না মিটিমিটি দেখছিল নীল গ্রহের আকাশ বাতাস।মস্তিষ্ক কিভাবে অনুবাদ করছিল লাল, নীল, হলুদ, কমলা! জলীয় প্রকোষ্ঠ থেকে বেরিয়ে প্রথম যখন শ্বাস নিলো...

কবিতা

সেই তোমাকে দেখেছি কবে?

টিএসসিতে চায়ের দোকানে      তোমাকে প্রথম দেখলুম,  লাল টুকটুকে তোমার অধর স্পর্শে    চায়ের পেয়ালা সলজ্জিত,উষ্ণ ধোঁয়া হাওয়ায় বিলীন হচ্ছেতোমার মুখমন্ডল স্নাত করে,নীল ফ্রেমের চশমা ছুয়ে,জুলফির কিনারা ঘেষে;কপালে আদ্র সিঁদুরে টিপ আরো রক্তিম হয়ে এলো।আমি প্রেমে পড়ে গেলুম।।           ...

মোহাম্মদ বাহা উদ্দিন

মোহাম্মদ বাহা উদ্দিন

সহকারী পরিচালক, বিপিএটিসি, সাভার, ঢাকা

কবিতা

অভিমান

অনেকটা সময় পাড় হয়ে গেছে,স্মৃতি গুলো ঝিমোচ্ছে ক্লান্ত নিঃশ্বাসে,তুমি কখন বাড়িয়ে দিবে হাত এই বিশ্বাসে।এখন চাহিদা গুলো বড্ড অভিমান করে,সময়ের মায়াজালে হারিয়ে যাচ্ছি অগোচরে।একটা সময় তোমাকে ভেবে ছবি আঁকতাম,এখন পেন্সিলের গ্রাফাইট আর তোমার ছবি আঁকে না। পুরনো ছবিগুলো আর আবেগে উচ্ছ্বসিত...

চিন্তা

Cost Cutting and Human Rights in the Corporate World

https://arifulislambhuiyan.blogspot.com/2023/02/cost-cutting-and-human-rights-in.html We are all known to the word of cost cutting and human rights in the corporate world. What’s kind of cost cutting practicing has started in the corporate culture!Branding & Advertising :Branding & Advertising is possible 100% successfully with Minimum cost throw All kinds of...

প্রবন্ধ

স্রষ্টা যেন তার আত্মাকে শান্তি দেন।

কিছু মানুষ পৃথিবীতে শুধু আসে কষ্ট পাওয়ার জন্য। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাদেরকে শুধু কষ্টই পেয়ে যেতে হয়। সুনেত্রা আমাদের চলচ্চিত্রের এক অনবদ্য তারকার নাম কিন্তু তার কথা আমরা ভুলে গেছি স্বার্থপরের মত। অভিনেতা জায়েদ খান নিজ উদ্যোগে সুনেত্রার পরপারে চলে যাওয়ার খবরটি আমাদের দিলেন। সুনেত্রার প্রয়াণ ঘটে গত "বিশই এপ্রিল দুই হাজার চব্বিশ এ’ অথচ আমরা সেই খবর জানলাম তাঁর মৃত্যুর প্রায় দেড় মাস পর। তা ও চিত্র নায়ক জায়েদ খানের মাধ্যমে। মিডিয়া বা সাংবাদিকদের এই মৃত্যু নিয়ে যেন কোনো মাথা ব্যথাই নেই। এই নতুন প্রজন্ম সুনেত্রাকে চেনে না। তারা চেনে নাম সর্বস্বহীন অর্ধ ন্যাংটো রাবিশ কুঅভিনেত্রীদের। ডাগর ডাগর চোখের কারণে আমি নিজে সুনেত্রাকে ভীষণ পছন্দ করতাম। মনে পড়ে "সর্পরানী"নামে তার একটা ছবি ছিল। সেই ছবিতে সুনেত্রার সর্পিল দৃষ্টিতে কলিজা শুকিয়ে গিয়েছিল ভয়ে। সুনেত্রার ডাবল রোল ছিল সম্ভাবত। তার মায়ের ভূমিকায় ছিলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী নীলো। সুনেত্রা ওপার বাংলা থেকে এসেছিলেন। যতগুলো সিনেমা তিনি করেছেন সবগুলোই দর্শক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ফারুক, জাফর ইকবাল, জসীম, ইলিয়াস কাঞ্চন, মাহমুদ কলিদের সাথে জুটি হিসেবে ছিলেন খুব স্বতস্ফুর্ত। এদেশের গুণী নির্মাতা আমজাদ আলী, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, শওকত হোসেন, দারাশিকোর মতো গুনী পরিচালকদের ছবিতে অভিনয় করে সকল দর্শকদের কাছে প্রচুর সমাদৃত হয়েছেন তিনি। সুনেত্রা তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অভিনেত্রী তন্দ্রা ইসলামের বাসায় ছিলেন অনেকদিন। তখন তিনি ছিলেন রিনা মন্ডল। একদিন এফডিসিতে তার সঙ্গে পরিচয় হয় শামসুল হক মোহন নামে এক ব্যক্তির। সুনেত্রার সাথে তার মন দেয়া নেয়া হয়। মোহন নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। সম্ভবত উনিশ শত অষ্টাশি সালে তারা গোপনে বিয়ে করেন। হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে রীনা মন্ডল থেকে হন ফাতেমা হক কিন্তু বিয়ের পর অল্প কিছুদিন তাদের সংসারে সুখ ছিল। কিন্তু এরপর বেরিয়ে আসে মোহনের আসল দানবীয় চেহারা। যেসব ছবিতে সুনেত্রা সাইন করতেন সেসব ছবির সাইনিং মানিসহ সব পারিশ্রমিক মোহন নিতেন। সুনেত্রাকে ফুটি কড়িও দিতেন না। প্রচন্ড হীনমন্যতায় ভুগতেন সুনেত্রা। এফডিসিতে যখন শ্যুটিং চলতো শ্যুটিংয়ের বাইরে সুনেত্রা তার কো-আর্টিস্টদের...

প্রবন্ধ

নিজের হাত- পায়ের শক্তির উপর ভরসা করতে শেখো

১. কথা হজম করতে শিখুন, এটা অনেক বড় গুণ- আপনাকে জিততে সহায়তা করবে! কথা না বাড়িয়ে নীরবে কাজ করে যান; আপনার কাজই আপনার হয়ে কথা বলবে। মন খারাপের কারণ অতীত আর টেনশন-এর কারণ ভবিষ্যৎ। তার চেয়ে বরং বর্তমানকে উপভোগ করুন; আনন্দে বাঁচুন!২. ঠেকতে ঠেকতে সোজা সরল ভালো মানুষটিও বুঝে যায়- কে তাকে সত্যিকারের ভালোবাসে আর কে তাকে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করে? আপনার সামনে যিনি আপনার প্রশংসা আর অন্যের সমালোচনা করেন, একটু পরেই তিনি অন্যের কাছে আপনাকে নিয়ে একই কাজ করবেন! ৩. পরম সমালোচনাকারী হচ্ছে- যিনি প্রতিনিয়ত আপনাকে আর্শীবাদ করেন ‘একজন’ হয়ে উঠার জন্য! সমালোকেরা নিঃসন্দেহে আপনার ভালো বন্ধু- বিনা পয়সায় ভুল ধরিয়ে দিতে সর্বদা তৎপর থাকেন। তাঁদের কখনোই অবহেলা করবেন না! আপনি বরং বিনয়ী হোন, মানুষকে সম্মান করুন ও গুরুত্ব দিন; সবকিছু বহুগুণ হয়ে আপনার কাছেই ফেরত আসবে!৪. কেউ যদি আমায় ঈর্ষা করে, আমি খুবই খুশি হই। কারণ আমি বুঝতে পারি যে, আমি সঠিক কাজটাই করছি! আপনার কাজ বা কথা নিয়ে কেউ কোনো মন্তব্য করল না, তার মানে আপনি সঠিক জায়গায় পৌঁছতে পারেননি! মানুষের জনপ্রিয়তার মাত্রা নির্গত হওয়া উচিত তার শত্রু ও সমালোচকের সংখ্যার ভিত্তিতে!৫. জিততে হলে কখনো কখনো হারতে হয়। আজকের হারই হয়ত ভবিষ্যতে বড় বিজয় এনে দেবে। কখনো বোকার সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না- এটা সময়ের অপচয়! সম্ভব হলে আপনি অন্যদেরকে জিতিয়ে দিন, জিতে গেছে ভেবে কেউ যদি খুশি হয়, আপনিও নীরবে একটুখানি হেসে নিন। অন্যের সুখে সুখী হতে পারলে আপনিই মহাসুখী!৬. চিতা বাঘ কখনো কুকুরের সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করে না। আপনি যে চিতা বাঘ তা বোঝানোর জন্য শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষায় থাকুন। হয়তো অনেক কিছু পারেন; তবে দরকার নেই তা বলে বেড়ানোর। নীরবে কাজ করে যান... যার প্রয়োজন তিনি আপনাকে ঠিকই খুঁজে নেবেন। তবে অযোগ্য কাউকে টেনে উপরে তুললে সে-ই এক সময় উল্টো আপনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিশোধ নেবে!৭. আপনি দুনিয়ার কাউকে বদলাতে পারবেন না, শুধু নিজেকে ছাড়া। আপাতত সেটাই করুন- নিজেকে বদলে ফেলুন; আর অন্তত দুজন অসহায় মানুষকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করুন। সবাই এই নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে কাজ করলে চারপাশের দুনিয়া এমনিতেই বদলে যাবে!৮. আপনার চিন্তা-ভাবনার ওপরে যারা আস্থা রাখতে পারে না, তাদেরকে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন- এটাই আপনাকে সবার মাঝে বিশ্বাসী ও আস্থাভাজন করে তুলবে; স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।৯. জীবনের পরীক্ষায় অনেকেই হেরে যান কারণ তারা অন্যকে copy করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাদের আসলে জানা নেই- প্রত্যেকের প্রশ্নপত্রটাই আলাদা! কোথায় জন্মেছেন- সেটা আপনার নিয়তি; কোথায় পৌঁছাবেন- সেটা আপনার কর্মফল!১০. আজকে থেকে ঠিক নয় শত নিরানব্বই দিন পরে আপনার অবস্থান কোথায় হবে- সবকিছুই নির্ভর করছে এখন কাদের সঙ্গে মিশছেন আর কী কী বই পড়ছেন, তার ওপর!১১. কোনো কথা শোনামাত্রই যাচাই না করে বিশ্বাস করবেন না। কেননা মিথ্যা কথা সব সময়ই সত্যের চাইতেও তীব্রতর। প্রমাণের ঝামেলা নেই বলে মিথ্যে কথা ও গুজব দ্বিগুণ গতিতে ছোটে। কিন্তু সত্যটা প্রমাণ করতে যথেষ্ট সময়ক্ষেপণ ও বেগ পেতে হয়!১২. জীবনটা বড্ড ক্ষণস্থায়ী, ভালো করারই সময় কম। মন্দ কাজ করার সুযোগ কই? ভালো মানুষ সাজার ভান না করে ভালো মানুষ হয়ে গেলেই তো হয়!১৩. আপনার স্বপ্ন নিয়ে কেউ যদি হাসা-হাসিই না করে, তবে বুঝে নেবেন- লক্ষ্যটা খুব ছোট হয়ে গেছে! আবার স্বপ্ন পূরণে বেশি কালক্ষেপণ করলে অন্য কেউ সেটা বাস্তবায়ন করে নিজের বলে চালিয়ে দিতে পারে..! তবে যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের শুরুতেই অন্যের সহযোগিতা নিতে হয় অর্থাৎ নিজে এগিয়ে নিতে পারেন না- সেই স্বপ্ন দেখবেন না।১৪. কেউ কেউ ইতিহাস গড়েন, বাকিরা সেই ইতিহাস পড়ে পরীক্ষায় পাস করেন! বিখ্যাত মানুষের সঙ্গে সেলফি তুলে পোস্ট না দিয়ে এমন কাজ করুন, যাতে অন্যেরা আপনার সঙ্গে ছবি তুলে সামাজিক গণমাধ্যমে পোস্ট করে।১৫. মানুষ মাটি দিয়ে তৈরি, মাটিজাত খাবার খেয়ে বাঁচে, মৃত্যুর পরে আবার মাটিতেই মিশে যাবে; তার কি অহংকার ও রাগ করা সাজে? মানুষের গ্রহণযোগ্যতা কখনো ফেসবুক-এ লাইক-এর সংখ্যা দিয়ে যাচাই করা যায় না; মৃত্যুর পর উনার জানাজায় ক’জন হাজির হলেন- সেটাও দেখার বিষয়!১৬. সুস্থ দেহ, প্রশান্ত মন = উপভোগ্য জীবন। শরীরের সুস্থতার জন্য চাই পরিমিত খাদ্যাভ্যাস আর মনের প্রশান্তির জন্য চাই রুচিশীল পাঠ্যাভ্যাস।১৭. জ্ঞানীরা বলেন কেননা তাঁদের কাছে বলার মতো কিছু কথা আছে; আর মূর্খরা বলেন কেননা তাদেরও কিছু বলতে ইচ্ছে করে! কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার আগে অন্তত তাঁর সমান যোগ্যতা অর্জন করে নিতে হয়!১৮. যে কাজের জন্য বিবেক প্রশ্নবিদ্ধ করে, সে কাজ থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। যা কিছু পেয়েছেন, তার জন্য শুকরিয়া আদায় করুন, ধৈর্য ধারণ করুন… ভবিষ্যতে আরো ভালো দিন আসবে!১৯. প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মাঝে যে সমন্বয় ঘটাতে পারে, সে-ই প্রকৃত সুখী। হবে না, পারবো না, আমার কপালে নেই কথাগুলো প্রায়ই বলে থাকি। কিন্তু মজার ব্যাপার- নিজেকে জিজ্ঞেস করলে যে উত্তর পাওয়া যাবে, তা কিন্তু একেবারেই উল্টো। আমি পারবো, আমাকে দিয়েই হবে- এই শক্তি অন্তরে লুকিয়ে থাকে, জীবন যুদ্ধে শক্ত হাতে হাল ধরতে পারাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। নেতিবাচক ভাবনার টানুন ইতি, বেড়ে যাবে জীবনের গতি!২০. মস্তিষ্ক কখনো অলস সময় কাটাতে পারে না, সর্বক্ষণ কিছু না কিছু চিন্তা করবেই। মজার ব্যাপার হলো- আপনি যখনি আগের চিন্তা ডাউনলোড করে ফেলবেন (অর্থাৎ কাগজ-কলম নিয়ে লিখে ফেলবেন এবং কাজে প্রয়োগ করবেন), মস্তিষ্ক কেবলমাত্র তখনি নতুন কিছু ভাববার সুযোগ পায়, নচেৎ আগের চিন্তাটাই মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে। কোনো একটা চিন্তা কাজে পরিণত না করে মাথায় নিয়ে বসে থাকলে নতুন চিন্তা মাথায় আসে না (ঢোকার জায়গা পায় না)। কোনো পরিকল্পনাই গ্রহণযোগ্য নয়, যতক্ষণ না সেটি বাস্তবায়িত হচ্ছে…! তাই মাথায় যত বুদ্ধি আসে, যত দ্রুত সম্ভব কাজে লাগান; হয় লাভ হবে নইলে অভিজ্ঞতা হবে! অর্জন হিসেবে কোনোটাই মন্দ নয়।২১. পৃথিবীতে এমন কোনো কাজ নেই- যা করলে জীবন ব্যর্থ হয়। জীবন এতই বড় ব্যাপার যে একে ব্যর্থ করা খুবই কঠিন! যারা কোনোকালেই কিছু করবে না- তারাই কেবল বলে অসম্ভব। এ জগতে মানুষের কাছে অসম্ভব বলে কিছুই নেই- থাকতে পারে না। এ পৃথিবীতে অসম্ভব বলে যদি কিছু থাকে, সেটা আছে কেবল মূর্খ ও অলসদের অভিধানে!এই জগত সংসারে কারো উপর ভরসা না করে নিজের হাত- পায়ের শক্তির উপর ভরসা করতে শেখো, তাহলেই না জীবনে সফলতা আসবে। 

কবিতা

হারাম

 হারামে হারামে গড়িলে গতর!গতর কি আরসেই আছে!সেই গতরেবাস করে এখননানান অসুখ রোগে!হারাম রক্ত!হারাম গোস্ত!হারাম দেহখানা!আর কবে খুলবে তোমারখুলবে বিবেকখানা!!!কিসের লোভে!কিসের নেশায়!হারামে সুখ খুঁজো!দুদিনের এই দুনিয়াতেকিসে ডুবে থাকো!মরবো যেদিন!বুঝবো সেদিন!হারামের কি জ্বালা!ইহকালেও কিছু বুঝবো তারআছে যে তার ছিটেফোঁটা!এখনও সময় আছে বিবেকটাকে খুলেহালাল পথে...

পোস্ট

একজন স্ত্রীকে খুশি করা একটি গুরুতর ব্যাপার।

আপনার স্বামীকে কিভাবে খুশি করবেন:১. তাকে খাওয়ান২. তার সাথে ঘুমান৩. তাকে শান্তিতে ছেড়ে দিন৪. তার গতিবিধি নিয়ে তাকে বিরক্ত করবেন না৫. ঘর পরিষ্কার করুন৬. তার কাপড় ধোয়া৭. সর্বদা তার জন্য প্রার্থনা করুনকিভাবে আপনার স্ত্রীকে খুশি করবেনএটা সত্যিই খুব কঠিন নয়...

উপন্যাস

অমৃতের সন্তানেরা

যে কথা কোনো শিক্ষক কখনো বলেননি, যে কথা কোনো বাবামাও শেখাননি, গল্পের ছলে এই উপন্যাসে সেই শিক্ষা, সেই সত্যের মুখোমুখি হবে কিশোর ও তরুণরা, সাথে অবশ্যম্ভাবীভাবে তাদের বাবামারা। ধর্মের অপব্যাখ্যা, শ্বাসপ্রশ্বাসের হারানো ঐতিহ্য, বই পড়ার উপকারিতা, লাইব্রেরির গুরুত্ব, স্পর্শের শক্তি,...

গল্প

এসির ভালোবাসা

দুই ঘন্টা যাবত একটা ফ্রুট জুস রেস্টুরেন্টে বসে আছি, পঞ্চাশ টাকার এক গ্লাস জুস হাতে নিয়ে। বাহিরে যে পরিমান গরম আর রোদ, তার উপরে আবার লোডশেডিং। বিদ্যুৎ সে তো আজকাল দুষ্প্রাপ্য আলাদিনের চেরাগ হয়ে দাড়িয়েছে। পাঁচ মিনিটের জন্য হাজির হয়ে পাঁচ ঘন্টার জন্য আবার গায়েব হয়ে যাচ্ছে। একটু আগে এক চা দোকানের পাশ দিয়ে আসার সময় লোডশেডিং হওয়া তে কি গাল মন্দটাই না করলো এক মুরুব্বি!সে সব কথা মুখে আনাও কিঞ্চিৎ শরমের ব্যাপার।আমার দেখা পৃথিবীর বুকে এই একমাত্র গোবেচারা হলো বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারীরা। যারা কারণে অকারণে মানুষের গাল মন্দ গোগ্রাসে হজম করে।গ্রীষ্মকালীন এই সময়টাতে ঘরের চাইতে আধুনিক এসিওয়ালা রেস্টুরেন্টগুলো শত গুনে অনেক ভালো। কিছু একটা অর্ডার দিয়ে কয়েক ঘন্টা এসিতে বসে থেকে গরম থেকে তো...

পোস্ট

হোয়াট এ কো ইনসিডেন্ট!

উজবেকিস্তানের খাজনা বোর্ডের এক বড় কর্তার সন্তান একটি দুম্বা কিনছে তা নিয়ে সারা দেশ জুড়ে হইচই পড়ে গেল। ওই দেশের রাজার সভাসদরাও হালকা চাপে পড়ে গেল। খাজনা বোর্ডের অন্য নাদুসনুদুস কর্তারাও এই কাতারে আড়ালে আবডালে ঘাড়াইতে লাগলো। তারা বললো, ‘‘এ...

চিন্তা

বেকার জীবন-২

হৃদয়ের এক অংশে উত্তাল বাতাস,মেঘ,বৃষ্টি,ঝড়,গলা সমান পানি।আরেক অংশে প্রচন্ড উত্তাপে ফেটে যাওয়া শক্ত মাটি।কি অসমতা!কিন্তু হৃদয়ের ছোট্ট আনন্দের অংশের সাথে যুদ্ধ করে কি লজ্জাহীন ভাবে,বিশ্রী ভাবে সবার সাথে হেসে হেসে কথা বলে যাচ্ছি!প্রতিবার হাস্যোজ্জ্বল সুন্দর ব্যবহারের ফলে মনে হচ্ছে বন্যার...

বাংলা সাহিত্য

শঙ্খবীণা (২)

৬ হে আমার জন্মভূমি দিনরাত মনে পড় তুমি         দিনরাত ভাবি তোমার ছবি। তোমার নদীপাড়ের হাওয়া তোমার দিঘিজলে নাওয়া          তোমার খালেবিলে যাওয়া ভুলতে পারি না আমি—                  হে আমার জন্মভূমি॥  তোমার শহর তোমার বন্দর তোমার গ্রামগঞ্জ কী মনোহর          তোমার জমিনে নেই কিছু কমি। হাটখোলা রথখোলা বটতলা টিলটিলা বনবনানী শৈলশীলা         দেখে দেখে...

গল্প

মার্থা

প্রত্যেক মানুষের একান্ত নিজের এক গল্প থাকে।একেকটা সাময়িক জীবনের গল্প। যেখানে এক কাব্যের লেখক নিজের অজান্তে অন্য অনেক কাব্যে চরিত্র বনে যায়।পৃথিবীর উপলক্ষ্যে গল্পগুলো প্রবাহিত হয় মানুষ থেকে মানুষের কাছে।সেখানে জীবিতরা মারা যায়, গল্পরা বেঁচে থাকে সাক্ষী হয়ে।তেমনি এক খ্যাত...

সমালোচনা

ছড়াটির অন্তর্নিহিত ব্যাখ্যা জেনে আমিও সমৃদ্ধ হলাম

ছড়াটির অন্তর্নিহিত ব্যাখ্যা জেনে আমিও সমৃদ্ধ হলাম...“ইকড়ি মিকড়ি চাম-চিকড়ি,চামের কাঁটা মজুমদার,ধেয়ে এল দামোদর।দামোদরের হাঁড়ি-কুঁড়ি,দাওয়ায় বসে চাল কাঁড়ি।চাল কাঁড়তে হল বেলা,ভাত খাওগে দুপুরবেলা।ভাতে পড়ল মাছি,কোদাল দিয়ে চাঁছি।কোদাল হল ভোঁতা,খা কামারের মাথা।”ছোটবেলায় আমরা অনেকেই এই ছড়াটি পড়েছি। কিন্তু কখনো কি ভেবেছি নান্দনিক...

গল্প

স্ক্রু টাইট টেকনিক

ছেলের বউ অন্তরাকে পেপের ঝোল আর কাঁচাকলা সেদ্ধ করতে দেখে মল্লিকাদেবী জিজ্ঞেস করলেন, বউমা, এমন রোগীর খাবার কার জন্য রাঁধছো?  - আপনার ছেলের জন্য মা, আজকাল পেট বড্ড খারাপ থাকে ওর তাই এসব খাওয়াচ্ছি। বউমা তোমাদের বিয়ের আগে অমর যখন আমার হাতের রান্না খেতো তখন ওর পেট এতো খারাপ হয়নি, এখন কেনো যে হচ্ছে বুঝছি না। শাশুড়ির ঠান্ডা মাথায় দেওয়া খোঁচাটা অন্তরা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে। খোঁচার পাল্টা জবাবে সে হাসি মুখে বললো, - আসলে মা বিয়ের আগে ওর ভালোমন্দ খাওয়ার অভ্যাস তেমন ছিলো না তো তাই এখন একটু ভালো কিছু খেলেই পেট খারাপ করে। বউয়ের পাল্টা জবাব শুনে মল্লিকাদেবী কিছু না বলে মুখ গোমড়া করে নিজের ঘরে চলে গেলেন। সন্ধ্যা সময় বাড়িতে ঢুকতেই বাড়ির কাজের লোক টুসুপিসি দুপুরে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা অমরকে জানালো। টুসুপিসি খবর সরবরাহ করতে ভালোবাসে, তার একমাত্র শখ ব্রেকিং নিউজ দেওয়া। এইসব নিউজ সবসময় পুরোপুরি সত্য হয় না, এর ভিতর তার নিজস্ব কিছু সৃজনশীল উপাদান থাকে। যা খবরটাকে আরো চটকদার বানায়। অমরের মা আর বউয়ের ভালো একটা দিক তারা নিজেরা সরাসরি কখনো ঝগড়া চুলোচুলি টাইপ কিছু করে না। কিন্তু সেটার ঝাল দুজনেই অমরের উপরে ঝাড়ে।খুব থমথমে চেহারা নিয়ে অমর অন্তরার ঘরে ঢুকলো, রাগে তার চোখ লাল হয়ে আছে, গম্ভীর গলায় অন্তরাকে বললো, "অন্তরা, ব্যাগপত্র সব গুছিয়ে নাও তো, এতো অপমান সহ্য করে এই বাড়িতে আর এক মূর্হুত থাকবো না আমরা।" অমরের এমন কথার জন্য অন্তরা তৈরি ছিলো না, সে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে জিজ্ঞেস করলো- বাড়ি ছেড়ে যাবে মানে, কোথায় যাবে? - বস্তিতে ঘর নিয়ে থাকবো, তাও না হলে গাছতলায় থাকবো তবু তোমাকে এই বাড়িতে রেখে আর অপমানিত হতে দেবো না। বর এভাবে তার সার্পোট দেওয়াতে অন্তরা খুশি হলেও ব্যাপারটা বিরাট টেনশনের হয়ে দাঁড়ালো। এতো বড় বিশাল বাড়ির দাবি ছেড়ে চলে গেলে পুরো বাড়িটা অন্তরার ননদ পেয়ে যাবে, এ ছাড়াও শাশুড়ির গহনার একটা ভাগ তার পাওয়ার কথা সেটাও যাবে৷ সামান্য ঝগড়ার কারনে এতো বড় লোকসান করা মোটেও উচিত হবে না। কিন্তু এদিকে অমর তার মায়ের সাথে বোঝাপড়া করতে গেছে। অমর চোখমুখ কালো করে মল্লিকাদেবীর রুমে ঢুকলো। - মা এই অপমানজনক কথাবার্তা আর সহ্য করা যায় না, এই কোন মেয়েকে তুমি আমার জন্য পছন্দ করলে বলো তো? মল্লিকাদেবী ছেলেকে তার সাপোর্টে পেয়ে মনে মনে ব্যাপক খুশি, কিন্তু সেটা তিনি প্রকাশ করলেন না। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, - ঐখানেই তো ভুল করেছিরে বাবা, এখন তো সহ্য করা ছাড়া উপায় নেই। অমর গলা নিচু করে মায়ের কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বললো, উপায় আছে তো মা। ধরো তুমি আর আমি মিলে মাঝরাতে অন্তরারে গলা টিপে মেরে দিলাম, তারপর ওর বডি আমাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নদীতে ভাসিয়ে দিলাম বা কুয়োয় ফেলে দিলাম। পরে আমরাই পুলিশের কাছে মিসিং ডাইরি করবো, সাংবাদিক ডেকে কান্নাকাটি করবো। কিছুদিন খোঁজাখুঁজি চলবে তারপর ধীরে ধীরে সব ঠান্ডা হয়ে যাবে। - হায় ভগবান, এসব কি বলিস বাবা? বাড়ির বউকে খুন করাবি আমাকে দিয়ে? এই বয়সে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারবি নাকি আমাকে? - আরে মা ভয় পাচ্ছো কেনো? ধরা পরলে তোমায় তো পুলিশ খুনি বলে ধরবে না, ধরলে আমারে ধরবে কিন্তু আমি তো অবস্থা খারাপ দেখলে বিদেশে পালিয়ে যাবো । তোমায় খুব বেশি হলে খুনে সহায়তার জন্য ধরতে পারে। ওটার সাজাও চার পাঁচ বছর । এরপর সব ঠান্ডা হলে আমি দেশে এসে আরেকটা ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে করবো, তুমি জেল থেকে বের হয়ে দুটো নাতি-নাতনি সহ নতুন বৌমা নিয়ে সংসার করবে। ছেলের কথা শোনার পর থেকে মল্লিকাদেবীর হাত পা কাঁপাকাঁপি শুরু হয়েছে, বউয়ের সাথে শুরু করা কোল্ড ওয়ার এখন ওর্য়াল্ড ওয়ারের রুপ নিতে চলেছে। যা মোটেও ভালো হচ্ছে না, মল্লিকাদেবী যেভাবেই হোক এটা থামানোর চিন্তা করলেন। কিছুক্ষন পর রাতে খাবার টেবিলে সবাই খেতে বসেছে, মল্লিকাদেবী ও অন্তরা দুইজনে টেবিলে খাবার পরিবেশনে ব্যাস্ত। খাবার টেবিলে অমরের আজ বিশেষ যত্ন হচ্ছে, তার মা তাকে বড় একটা মাছ ভেজে দিয়েছেন । অন্তরা তার জন্য তড়িঘড়ি করে চিকেনকারি তৈরি করছে। মল্লিকাদেবী ও অন্তরা নিজেদের মধ্যে হাসি মুখে কথা বলছে, পরিবেশ স্বাভাবিক করতে তারা দুইজনেই খুবই তৎপর। কারন তারা দুইজনেই জানেন অমরের আজ মাথার ঠিক নেই সে খুবই ক্ষিপ্ত, যে কোনো মূহুর্তে ভয়াবহ কিছু একটা ঘটতে পারে। অমর খেতে খেতে মনে মনে ভাবছে যাক প্ল্যান কাজ করেছে।  

গল্প

একজন সফল ইউটিউবার হয়ে উঠার গল্প

জনপ্রিয় ইউটিউবার হওয়ার স্বপ্ন দেখা মৌলভীবাজারের হাসান আহমেদ পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার জন্য সিএনজিচালকের পেশা বেছে নিয়েছিলেন।মৌলভীবাজারের একটি প্রত্যন্ত গ্রামের চব্বিশ বছর বয়সী যুবকের কাছে মেসেঞ্জারে তার গল্প শুনতে চাইলে তিনি এই কথাগুলো দিয়েই তার গল্প বলা শুরু করেন।"আমি হাসান আহমেদ। আমি সবসময় একজন জনপ্রিয় ইউটিউবার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি কিন্তু আমার পরিবার আর্থিকভাবে সচ্ছল না থাকায় আমাকে সিএনজি চালাতে হয়েছিল।"হাসান একজন উঠতি ভ্লগার যার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব এবং টিকটকে প্রায় পঞ্চান্ন হাজার ফলোয়ার রয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে শুধু ফেসবুক থেকেই চব্বিশ হাজার টাকা আয় করতে পেরেছেন।কিন্তু হাসানের যাত্রা এত সহজ ছিল না।'তুমি কখনোই একজন ইউটিউবার হতে পারবে না'হাসান টানা তিন বছর সিএনজি চালানোর পাশাপাশি ছোট ছোট ভিডিও তৈরি করতেন এবং এই সময়ের মধ্যে অন্তত ৬-৭টি ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু কোনো চ্যানেল থেকেই তিনি কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের দেখা পাচ্ছিলেন না।হাসান বলেন, "আমি সাফল্য না পাওয়ায় আমার পরিবারের সদস্যরা, আত্মীয়স্বজন এমনকি বন্ধুরা আমাকে এসব বন্ধ করার কথা বলতে থাকেন। তারা বিশ্বাস করেনি যে আমি যা করতে চাই, তা করতে পারব। প্রায় সব ভাবেই তারা আমাকে নিরুৎসাহিত করেন কিন্তু আমি হাল ছেড়ে দেইনি।"তিনি আরো বলেন, "একদিন আমার বাবা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। সেই দিনটি ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ দিন। আমি সেদিন অনেক কেঁদেছিলাম।"হাসান তার স্বপ্নপূরণ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন এবং হাল ছেড়ে দেয়ার কোনো ইচ্ছে ছিল না তার। তিনি সিএনজি চালানোর পাশাপাশি মোটিভেশনাল ভিডিও তৈরি করতে থাকেন।"কান্না থেকে আমি আমার স্বপ্ন নিয়ে আরো দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হই। আমি ভিডিও তৈরি করার ব্যাপারে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ ছিলাম, এমনকি আমার পরিবার থেকে আমাকে বের করে দিলেও। এবং তারপরেই আমার মাথায় নতুন বুদ্ধি আসে।"নিজের সংগ্রামকেই কন্টেন্টে রূপান্তর করেন হাসানযেহেতু হাসান আগে থেকেই সংগ্রাম করছিলেন, তাই তিনি সেই সংগ্রামকেই কন্টেন্টের বিষয়বস্তুতে পরিণত করার কথা ভেবেছিলেন। এই নিয়ে কন্টেন্ট বানিয়ে প্রথমবারের মতো তিনি সাড়া পেতে শুরু করেন।সময়টা ছিল দুই হাজার তেইশ সালের নভেম্বর মাস।তিনি বলেন, "আমি সিএনজি চালানোর সময় ব্লগ বানানো শুরু করি। তাই এতে আমার অতিরিক্ত সময় ব্যয় করার দরকার ছিল না। আমি আমার পরিবারকে জানাতে পারিনি যে আমি এখনও ভিডিও তৈরি করছি। তাই আমাকে ভয়েসওভারটি গোপনে রেকর্ড করতে হয়েছিল।"হাসান বলেন, "আমার ভিডিওতে মাত্র দুইশ থেকে চারশ ভিউ পাওয়ার পাশাপাশি অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করতেন। কিন্তু আমি হঠাৎ করে টিকটকে গড়ে এক থেকে তিন লাখ ভিউ পাওয়া শুরু করি।"প্রথমে এক হাজার ফলোয়ার পেতে তার প্রায় দুই থেকে তিন মাস সময় লেগেছিল। কিন্তু তারপর দ্রুতই তার ফলোয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকে। টিকটকে তার কন্টেন্ট দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং ফলোয়াররা তাকে ফেসবুকে এবং ইউটিউব রিলস-এ নিয়মিত দেখতে পান।হাসান আহমেদ এখন পর্যন্ত মার্চ ও এপ্রিল মাসে ফেসবুকের দুটি পে চেক থেকে চব্বিশ হাজার টাকা আয় করেছেন।সিএনজি চালিয়ে প্রতি মাসে প্রায় বিশ হাজার টাকা আয় করার পাশাপাশি কন্টেন্ট থেকে প্রাপ্ত টাকা হাসানকে অর্থনৈতিকভাবে অনেকটা সচ্ছল করেছে।সিএনজির আয় থেকে কেনা সেটআপভ্লগ তৈরির জন্য হাসান খুবই সহজ সেটআপ ব্যবহার করেন। তার কাছে একটি স্মার্টফোন, একটি ল্যাপটপ, একটি ট্রাইপড, একটি সবুজ পর্দা এবং একটি বয়া এম ১ মাইক্রোফোন আছে।পঞ্চাশ হাজার টাকায় একটি ল্যাপটপ কিনতে তার প্রায় এক বছর লেগেছিল। শুরুতে তিনি ইনফিনিক্স ব্রান্ডের একটি দশ হাজার টাকার স্মার্টফোন ব্যবহার করে তার ভিডিও রেকর্ড করতেন।এই ল্যাপটপটি ছিল তার প্রথম বিনিয়োগ। দ্বিতীয় বিনিয়োগ তিনি করেছিলেন একটি নতুন স্মার্টফোনের ওপর যা তার জন্য অনেকটা উপহারের মতো ছিল। কিন্তু এজন্য তার ভালো পরিমাণ টাকা খরচ করতে হয়েছে।হাসান বলেন, "আমার এক মামা বিদেশে থাকেন। আমি প্রায়ই আমার মাকে আমার মামার মাধ্যমে একটি ফোন আনানোর জন্য অনুরোধ করতাম। আমি কথা দিয়েছিলাম, আমার সিএনজি চালানোর আয় থেকে অল্প করে ফোনের টাকা ফেরত দিয়ে দেব।"পুরো টাকা ফেরত দিয়েছেন কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, তিনি কিছু টাকা ফেরত দিয়েছেন। কিন্তু তিনি কত টাকা দিয়েছেন তা খেয়াল নেই।হাসান বলেন, "আমি আগেই বলেছিলাম যে আমি আমার পরিবারের কাছ থেকে কোনও সমর্থন পাইনি। কিন্তু এখন আমি কিছুটা সমর্থন পেয়েছি। এই স্যামসাং এ ফিফটি টু স্মার্টফোনটি আমাকে দুর্দান্তভাবে সাহায্য করেছেন। আমি নিজে এটা কিনতে পারতাম না।" ফেসবুক থেকে প্রথম উপার্জন তুলে দেন মায়ের হাতেহাসান ফেসবুক থেকে আয় করা দুই মাসের পেচেকের টাকা মায়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।তিনি বলেন, "মা খুব খুশি হয়েছিলেন। তারা এই টাকায় আমাদের ঘর মেরামত করেন। আমরা একটা পারটেক্স সিলিং বসিয়েছি এবং আমি একটা কুলার (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র) কিনেছি।" হাসান জানিয়েছেন, তার পরিবার এখন তার স্বপ্নকে এখন আগের থেকে আরো বেশী সম্মান করে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার এক ফলোয়ার তাকে ইনস্টাগ্রামে উপহার হিসেবে এগারো হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন।তিনি বলেন, "আমার অনেক ফলোয়ার আমাকে বিদেশ থেকে উপহার পাঠাতে চায়। আমি সাধারণত তা নেই না। কিন্তু তিনি খুব জেদি ছিলেন।"হাসান এখন খুশি। পরবর্তী পে চেক পাওয়ার পর হাসান তার বাবা-মায়ের ঘর থেকে শুরু করে তার বাড়ির বাকি ঘরগুলো নতুন ভাবে সাজানোর পরিকল্পনা করছেন।লুকিয়ে তাকে আর ভিডিও বানাতে হচ্ছে না এবং তার পরিবার তার কাজের প্রতি সম্মান দেখানো শুরু করেছে, হাসানের কাছে এর থেকে আনন্দের আর কিছু নেই। 

গল্প

বাবা, আমাকে লাইফ লাইন শিখিয়ে দিলেন।

বাবার সাথে প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে ব্যাংকে বসে আছি। বিরক্ত হচ্ছি খুব। যতটা না নিজের উপর, তার চেয়ে বেশি বাবার উপর। অনেকটা রাগ করেই বললাম- "বাবা, কতবার বলেছি,অনলাইন ব্যাঙ্কিংটা শিখো।"বাবা বললেন- এটা শিখলে কি হবে?- ঘরে বসেই তুমি এই সামান্য কাজটা করতে পারতে। শুধু ব্যাংকিং না, শপিংটাও তুমি অন- লাইনে করতে পারো।  ঘরে বসে ডেলিভারি পেতে পারো, খুবই সহজ কিন্তু এই সহজ জিনিসটাই তুমি করবে না।বাবা জানতে চাইলেন- শোন এই অনলাইন ব্যাংকিং করলে আমাকে ঘরের বাইরে বের হতে হতো না-তাই না?- হ্যাঁ, বাবা তাই। এখানে এসে ঘন্টা খানেক অনর্থক বসে থাকতে হতো না। এরপর বাবা যা বললেন, তাতে আমি নির্বাক হয়ে গেলাম। বাবা বললেন- এতো সময় বাঁচিয়ে তোমরা কি করো? ফোনেই তো সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকো। কবে শেষ দিন তুমি তোমার পিসির সাথে কথা বলেছো? দশ হাত দূরে প্রতিবেশী- বৃদ্ধ সেজো কাকার খবর নিয়েছো?অথচ, আপন জনের সাথে দেখা করতে আমরা দশ মাইল পথ হেঁটেছি।সময় বাঁচানোর চিন্তা করিনি। মানুষ যদি মানুষের পাশেই না যায়-  তবে এতো সময় বাঁচিয়ে কি হবে বলো? বাবার কথা পাশ থেকে ব্যাংকে থাকা সব মানুষেরা শুনছেন।  আমি বাবার পাশে চুপচাপ করে বসে আছি।বাবা বললেন- ব্যাংকে প্রবেশের পর থেকে চারজন বন্ধুর সাথে কুশল বিনিময় করেছি। তুমি জানো, আমি ঘরে একা। তাই ঘর থেকে বের হয়ে আসাটাই আমার আনন্দ। এইসব মানুষের সাহচর্যটাই আমার সঙ্গ। আমার তো এখন সময়ের কমতি নেই কিন্তু মানুষের সাহচর্যেরই কমতি আছে। ডিভাইস, হোম-ডেলিভারি হয়তো হাতেই এনে দেবে অনেক কিছু, কিন্তু মানুষের সাহচর্য তো আমায় এনে দেবে না। তোমার কি মনে পড়ে, দু বছর আগে আমি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। যে দোকান থেকে আমি দৈনন্দিন কেনাকাটা করি, তিনিই আমাকে দেখতে গিয়েছিলেন। আমার পাশে বসে থেকে মাথায় হাত রেখেছিলেন। তখন আমার চোখ অশ্রুসিক্ত হয়েছিলো। তোমার ডিভাইস বড়জোড় একটা যান্ত্রিক ইমেইল পাঠাবে, কিন্তু আমার পাশে বসে থেকে চোখের জল তো মুছে দেবে না, বরং মনের কষ্ট আরও বাড়াবে, তাই না । চোখের জল মুছে দেয়ার মতো কোনো ডিভাইস কি তৈরি হয়েছে? আজ সকালে হাঁটতে গিয়ে তোমার মা পড়ে গিয়েছিলেন।  কে তাকে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলো? অনলাইন মানুষের একাউন্ট চেনে, সে তো মানুষ চেনে না! মানুষের ঠিকানা চেনে, কিন্তু রাস্তায় পড়ে থাকা মানুষের ঘর তো চেনে না! এই যে মানুষ আমার শয্যাপাশে ছিলো, তোমার মাকে ঘরে পৌঁছে দিলো, কারণ- দৈনন্দিন নানা প্রয়োজনে একজন আরেকজনকে চিনেছি। সবকিছু অনলাইন হয়ে গেলে- মানুষের "হিউম্যান টাচটা" কোথায় পাবে বলো? জীবন যতই যান্ত্রিক হোক না কেন, মানুষের প্রয়োজন ছিলো, থাকবে।আর যন্ত্র সেটা করতে পায় না বলেই- পাশের ঘরে মানুষ মরে গিয়ে লাশ হয়ে থাকে, দুর্গন্ধ না আসা পর্যন্ত  কেউ কারো খবরও আর রাখে না। বড় বড় অ্যাপার্টমেন্টগুলো আমাদের...

উপন্যাস

স্বয়ম্বরা (১ম পর্ব)

চোখ খুলে আবিষ্কার করলাম, আমি শুয়ে আছি। বার কয়েক চোখ পিটপিট করে আলোটা সইয়ে নিলাম। বুঝতে অসুবিধা হল না যে, আমি নিজের ঘরে নেই। মাথাটা একটু ঝিমঝিম করলেও জ্ঞান পুরোপুরিই ফিরেছে। ইনস্টিংট বশে প্রথমেই নিজের দিকে তাকালাম। ড্রেসটা আমার। মানে…...

কবিতা

বিদ্রোহের নগরী

শোষক আর শোষিতের এই বিশ্বে, শোষকের দ্বারা শোষিত আমার নগর,নগরের প্রতি পদে পদে বঞ্চিত অধিকার সনদ।শোষিতের রক্ত ধারার সাথে মিশেএকাকার হয়েছে এই আপামর জনতা,অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলে উঠেছে,ছাত্র সমাজ আর শোষিত সমাজ,বজ্রকন্ঠে মুষ্টিবদ্ধ লাখো মানুষের আওয়াজ। গনতন্ত্রের মানদণ্ডে, আজ অন্যায়ের পাল্লা ভারি,বুকের পাজরে...

পোস্ট

ভুল কে ভুলে গিয়ে

টমাস আলভা এডিসনকে একবার  জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, আপনি জীবনে ভুল করেছেন? তিনি বলছিলেন, 'অসংখ্যবার!' তা শুনে প্রশ্নকর্তা বলেছিলেন, 'তাহলে তো আপনার মাথায় বুদ্ধি কম?' উত্তরে এডিসন যে উত্তর করেছিলেন তা এমন, 'মাথায় বুদ্ধি কম ছিলো কিন্তু অসংখ্যবার ভুল করার কারণে তা বেড়ে অসংখ্য গুণ হয়ে গিয়েছে!'ব্যাপারটা এমন, প্রতিবার ভুলের পর এডিসন নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করতেন। এভাবে সৃষ্ট সফল আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে।কানাডিয়ান বিখ্যাত লেখক রবিন শর্মা বলেছিলেন, 'ভুল বলে কিছু নেই সবই নতুন শিক্ষা।'বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, 'কেউ যদি বলে সে কখনো ভুল করেনি, তার মানে সে কখনো চেষ্টাই করেনি।''How to change a life' বইটি একবার দ্বিতীয় সংস্করণে নামের ভুলে 'How to change a wife' হয়ে বের হয়েছিলো, তারপর তা বেস্ট সেলার হয়ে গিয়েছিল!কথায় আছে, মাঝে মাঝে ভুল বলো না হলে তুমি বুঝতে পারবে না যে, লোকে তোমার কথা শুনছে কি না?মাঝে মাঝে ভুল লিখো তাহলে যে তোমাকে জিন্দেগীতে কমেন্ট করবে না বলে পণ করেছে সে ও কমেন্ট করবে।বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছিলেন, 'উন্নয়ন হলো চেষ্টা এবং ভুলের একটি সমন্বিত পক্রিয়া।'বিজনেস গুরু রিচার্ড ব্রানসনের মতে, 'নিয়ম মেনে কেউ হাঁটা শিখতে পারে না বরং চেষ্টা এবং বার বার ভুল পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে হাঁটা শিখতে হয়।'কলিন পাওয়েলের মতে, 'যোগ্য নেতা জন্ম নেয় না তৈরী হয় চেষ্টা, ভুল এবং অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে।'অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ মাইকেল জর্ডান বলেছিলেন, 'আমি অসংখ্যবার ভুল করেছি এবং ফেইল করেছি বলে আমি আজ সফল।'হেনরি ফোর্ড বলেছিলেন, 'ভুল হলো একমাত্র সুযোগ যার মাধ্যমে নতুন করে শুরু করার আরো সুযোগ পাবেন।'এক প্রেমিকের ভাষ্য, 'ভুল মানুষের প্রেমে পড়া মানে আরেকটি শুদ্ধ মানুষের প্রেমে পড়ার অন্যতম সুযোগ।'কথায় আছে, সত্যিকার মানুষ কখনো নির্ভুল হতে পারে না!যদি সবকিছু নির্ভুল থাকে তাহলে তুমি কখনো কিছু শিখতে পারবে না!পেন্সিল মানসিকতা হওয়ার চেষ্টা করো, যাতে ভুল হলে পিছন দিয়ে ঘষে মুছে নতুন করে চেষ্টা করার সুযোগ থাকবে! মুছা না গেলে চিত্র হয় না!কলম মানসিকতার মানুষগুলো নিজেকে নির্ভুল ভাবে ! তাই কলম দিয়ে সুন্দর চিত্র হয় না!তাই আসুন আমরা ভুল কে ভুলে গিয়ে আবার নতুনভাবে চেষ্টা করে ফুলের মত জীবন গড়ি। 

গল্প

শুয়োরের বাচ্চাদের অর্থনীতি

আমার এক পরিচিত ভাই রোডস অ্যান্ড হাইওয়েতে আছে। ৩ কোটি টাকা দিয়ে আমাদের গ্রামের বাড়িতে বাড়ি করছে!আমি বললাম, আপনার ভাইয়ের বেতন কত?গর্বে ভরা চেহারাটা মুহূর্তে ছাই হয়ে গেলো।দোস্তো বলিস না, এই শালা ট্রাফিক পুলিশ, শালারা দুই টাকারও ঘুষ খায়!দোস্তো, তোদের...

উপন্যাস

ব্ল্যাকহোল

মহাকাশে একটা দুর্ঘটনায় হারিয়ে যায় একটা স্কাউটশিপ। স্কাউটশিপের একমাত্র জীবিত সদস্য নিজেকে আবিষ্কার করে এক অজানা জগতে। সে কি পারবে পৃথিবীতে ফিরতে? 

Sabit Hasan

Sabit Hasan

Student in Govt. Azizul Haque College

কবিতা

সাত আসমানের মালিক

সাত আসমানের মালিকমোঃ আবুল কালাম আজাদ  ওগো সাত আসমানের মালিক ?নভোমণ্ডল,ভূমণ্ডলে আছে যা সৃষ্টি,সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মালিক, সুমহান অধিপতি ।শরীক নেই , তোমি এক, অদ্বিতীয়,নেই কোন সমকক্ষ ?সবার চাইতে বড় ?তোমারই ইশারায় চলে সবি ।তোমারি খুশিতে বারে বারে ,উপাসনা মোর কল্যাণে মোদেরওম্মতে...

মো:আবুল কালাম আজাদ

মো:আবুল কালাম আজাদ

Work as an Asst.General Manager in a well known company

কবিতা

নুন আগুনের সংসার

কাব্যগ্রন্থ: নুন আগুনের সংসারদেবীর কপালেআঁধার রঙের প্রদীপ চন্দন,চাঁদবনে আজ দেবতার প্রিয় গ্রহণ।ছায়া-বৃক্ষের গহীন নির্জনেমহুয়াবনে ঝর্ণার জলসিঁথানেঅথবা রতিক্লান্ত দুপুরের নুন-আগুনেআগুনে... সিঁথানে... বনে...শুধুই আঁধারের আগুন তার নষ্টমনে।মেঘের আঁচলে লাল ঢেলেঅনল জলের বর্ষায় ভেজেন।আসক্তির শুকনো হাড়ে বিষ ঢেলেস্বর্গীয় তৃপ্তিতে জিভ ভেজান।তিনি পোড়া রক্তের...

আলতাফ শেহাব

আলতাফ শেহাব

কবি ও গল্পকার

বাংলা সাহিত্য

শঙ্খবীণা (৩)

১১ জান জান হে আমার জান          তুমি আমার প্রাণ তোমার ভালোবাসার যায় না দেয়া  কোনো প্রতিদান—                  জান জান হে আমার জান। তুমি হাসলে মুক্তা ঝরে          তুমি বললে প্রাণ কাড়ে তোমার হাঁটাচলা                   চাহাচাহানচোখের দেখা দেখে পারে কে নিজেকে          ঠিক রাখান—                  জান জান হে আমার জান॥  প্রিয় হে...

কবিতা

শঙ্খের জিভের খোঁজে জল

কাব্যগ্রন্থ: নুন আগুনের সংসারশঙ্খটি সমুদ্রপাড়ের বালিঝুলির হাটে কেনা। অজস্র কাঁটার শরীর; আদরে আদরে শঙ্খের জিভ খুঁজি। বারবার শঙ্খের কাছে যাবার আকুতি। ঝড় ওঠে। ভাবি- শঙ্খটির পুরুষ ছিল, ছিল আদর করার মানুষ। সে আমাকে সুড়সুড়ি দেয় পুরুষ ভেবে। পুরুষ হয়ে উঠি...

আলতাফ শেহাব

আলতাফ শেহাব

কবি ও গল্পকার

কবিতা

অনল জলের চিহ্নগুলো

কাব্যগ্রন্থ: নুন আগুনের সংসারশহরের সব কৃষ্ণচূড়া এবং রাধাচূড়ার শরীরযেন আজ গোধূলির বিষণ্ন কাফনের মতো।জামরুলের রসালো শরীরে জমে আছেচৈত্রের দুপুরের মতো অদ্ভুত বিরক্তির জলপাই।প্রিয়সর্বনাশের ক্লান্ত বেদনার মতো মুখটিরস্মৃতির ঢেউয়ে অসহায় ডুবসাঁতার।সর্পিল বক্রতায় হেঁটে চলে ধোপানীর ধাতব তাপযন্ত্রঈশ্বরীর দেহে কামনার খই ফোটে...

আলতাফ শেহাব

আলতাফ শেহাব

কবি ও গল্পকার

কবিতা

গন্তব্য ঘুম নয়

কাব্যগ্রন্থ: নুন আগুনের সংসারআমি যখন আবার আকাশের মেঘ-নৃত্যে বিভ্রান্ত হই, সময়ের অনন্ত চোখে বিদ্রুপের হাসিই খেলে যাওয়ার কথা। কিন্তু সে দুপুরের অন্তরঙ্গ শরীরে বয়সের ভারে কুঁজো হ’য়ে জলের সাথে কথা বলে। আমাদের বয়েসি শরীর তাকে আবার গর্ভবতী হবার কথা ভাবায়।...

আলতাফ শেহাব

আলতাফ শেহাব

কবি ও গল্পকার

কবিতা

এ মৃত্যুর উৎসবে

কাব্যগ্রন্থ: নুন আগুনের সংসারএকদিন মৃত্যুর যোনির ভেতর গ’লে যায় মানুষ; সাদা বরফের মতোনজল হ’য়ে যায় সকল সম্ভাবনাএ মৃত্যুর উৎসবেআমি আবার একা হ’য়ে যাইনির্জন দুপুরে অশ্বত্থের প্রাচীন বিবর্ণ শরীরেপাখিদের মিছিলে একা আমিপাতার শরীরে ভাঙ্গে আলাপের প্লাবনদুপ্ করে জ্বলে ওঠে বিভীষিকা ভয়অলৌকিক বর্ষণে...

আলতাফ শেহাব

আলতাফ শেহাব

কবি ও গল্পকার

কবিতা

একাগ্র চাতক আমি এক

কাব্যগ্রন্থ: নুন আগুনের সংসারএক ঝড়োসন্ধ্যায় হন্তদন্ত ছুটে এসে বলেছিলে গানদু’টি শুনিও; এমন আকুতি-উত্তাপআর কোন দৃষ্টিতে দেখিনিএকাগ্র চাতক আমি একনদী এবং তোমার গল্পে অনন্ত শোকযে ফুল আমি ভালবাসিআর যা কিছু তোমার আমারনরম রোদের নগ্ন বিকেলখোঁপার কাঁটায় বিষের ছোবলদীর্ঘ যাত্রার ক্ষুদ্র দু’এক মূহুর্তকালযাওয়া কিংবা...

আলতাফ শেহাব

আলতাফ শেহাব

কবি ও গল্পকার

কবিতা

দূরতম জোছনা এবং সকাল

কাব্যগ্রন্থ: নুন আগুনের সংসারনা বুঝে কারে তুমি ভাসালে আঁখিজলে                          -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরদায়হীন সন্ধ্যার মতো মুছে যায়দূরতম জোছনা এবং সকালপ্যাঁচার চোখের মতোদীর্ঘ সময় ব্যায় করা যায়কখনো কোন-কোন অনাঘ্রাত চকোলেটেনিশীপাওয়া মানুষের...

আলতাফ শেহাব

আলতাফ শেহাব

কবি ও গল্পকার

কবিতা

ছুটে আসে অশ্বারোহী তিরন্দাজ

কাব্যগ্রন্থ: নুন আগুনের সংসারপ্রতিটি হলুদ দুপুরেতন্দ্রার ভেতর চলে যায়                        একটি মায়া হরিণচন্দ্রাহত রূপালী মেঘখণ্ডের মতোগহীন অরণ্যে ছুটে আসে                       ...

আলতাফ শেহাব

আলতাফ শেহাব

কবি ও গল্পকার

কবিতা

আমায় তোমরা নিও

কাব্যগ্রন্থ: নুন আগুনের সংসারদিন এবং রাতের আর সন্তাপ নেই; ক্ষ্যাপাযারা তোমরা কান্না দেখো, কাঁদোআমায় তোমরা নিওভেতর এবং বাইরে আর বৃষ্টি নেই; শুকনোযারা তোমরা কাছের মানুষ, কাছে থাকোআমায় তোমরা নিওচোখ এবং দেখায় আর স্বস্তি নেই; আঁধারযারা তোমরা স্বপ্ন দেখাও, দেখোআমায় তোমরা...

আলতাফ শেহাব

আলতাফ শেহাব

কবি ও গল্পকার

কবিতা

বিকেলে ঘাসের ’পরে

কাব্যগ্রন্থ: নুন আগুনের সংসারপ্রানান্তকর সংগ্রাম শেষে একেকদিনতাহাদের সাথে বিকেলে ঘাসের ’পরেবিদির্ণ হ’তে হ’তে বিষে; পথহারা শ্রান্ত পথিকের মতো নির্জন বিকেলেরা অথচ পুনর্বার নির্মোহ হয়ে উঠেনানগরে প্রতদিনই পথে পথে বিবিধ মঞ্চেএরকম জড়ো হয় জমির দালাল, প্রেমিক জুটিঅনভিজ্ঞ কবি ও অচেনা গন্ধে বকুলের তামশা সকলের...

আলতাফ শেহাব

আলতাফ শেহাব

কবি ও গল্পকার

কবিতা

এইসব ব্যধিগুলো নিত্যদিনের

কাব্যগ্রন্থ: নুন আগুনের সংসারসকালের রোদবৃক্ষের মাথা ছোঁয় সবার আগেঅথচ ঘনজঙ্গলেভোরের আলো ছুটোছুটি করে ভূমিসংলগ্ন ঘাস ফুলের পায়ে পায়েপৃথিবীর যে কোন গণিত বলে দেবেতাপ আর আলোর দ্বন্দ্বে আলোই বেশী যায়তবুও কিছু পথিক হাঁটেন ...প্রিয় জারুলের শুশ্রূষায়জলের আসা-যাওয়া পতনের রঙ ধরেপ্রসিদ্ধ স্টেশন হ’তে...

আলতাফ শেহাব

আলতাফ শেহাব

কবি ও গল্পকার

কবিতা

ভালবাসার কাহন

এখন আমি আর নিঃসঙ্গ নইনিঃসঙ্গ নই বলেই কবিতারা সাড়া দেয়। ভালবাসার খোঁজে বহতা নদীর মতই চঞ্চল ছিলাম একদিনখরস্রোতের তোড়ে ভাসতে ভাসতেতোমাকে পেলাম। জীবন নদীতে তুমি ভেলা হয়েআমাকে তুলে নিলেআর আমি পেলাম নবজীবনের হাতছানি। কী ভীষন দুর্বল ছিলাম আমিভীতুও ছিলাম বেশকম্পিত হাতদু'টি ধরে টেনে...

আব্দুল হাফিজ

আব্দুল হাফিজ

কবিতায় সব। সঁপেছি এ মন ও প্রাণ

কবিতা

প্রেম আমাকে কবেই ছেড়ে গেছে

প্রেম আমাকে কবেই ছেড়ে গেছে প্রেম আমাকে কবেই ছেড়ে গেছেযখন ছিল আমার বিষন্ন দুপুরবেলাএকমুঠো অন্নের জ্বালা পোড়াতো আমার পেটের তলা। প্রেম আমাকে কবেই ছেড়ে গেছেযখন ছিল নিরন্ন সকালমায়ের কোলে বসে থেকে দেখেছি চোখের জল। প্রেম আমাকে কবেই ছেড়ে গেছেযখন ছিল অভাগা বিকেলবেলাসততার অগ্নিরথে...

আব্দুল হাফিজ

আব্দুল হাফিজ

কবিতায় সব। সঁপেছি এ মন ও প্রাণ

গল্প

মরুভূমির বিপদ (পর্ব : ১)

একটি ছেলে বেড়াতে গেছে মরুভূমিতে । তারসাথে ছিল তার দুইবন্ধু । কিন্তু হঠাৎ সেখানে বালু ঝড় হয় এবং তাদের ব্যাগগুলো উড়ে যায় । প্রায় আধ ঘন্টার মতো ঝড় হয় তারপর তারা দেখে তাদের ব্যাগগুলো নেই । কি আর করার তারা...

সাদাত হোসাইন

সাদাত হোসাইন

student of class 6 (Dhunat Adorsho Hight school )

কবিতা

এই বৃষ্টি আমার

আজ এই বৃষ্টির সাথেই আমার প্রেম,প্রচন্ড ব্যাকুলতায় আলিঙ্গনে জড়াজড়ি করে                      বুকে মেশাই তারে, তার জলে মাখামাখি করে ঝরে পড়ে আমার হৃদয়ের অব্যাক্ত সব নোনাজল। আজ এইসব কালো মেঘ আমার, বুকের চাপা বজ্রপাতে যে জীবন পোড়ে তারই...

মোঃ আল আমিন

মোঃ আল আমিন

কবি ও গল্পকার

কবিতা

অষ্টাদশীর শুকতারা হলো আজ পথহারা

 আমি একটুখানি দেখবদুচোখ মেলে দেখবতোমাদের এই শহরটাকে দেখবএই শহরের মানুষগুলো দেখবধ্বসে পড়া অট্টালিকা ছুঁয়ে দিবপলেস্তারা উঠা হসপিটালের দেওয়ালটাকে দেখবধূলিধূসরিত তোমাদের পূণ্য ভূমিকে দেখব।আমি একটুখানি দেখব,একটু দেখেই চলে যাবকথা দিচ্ছি আমার দ্বারা তোমাদের কোনো ক্ষতি হবে নাআমি কিছুই ধ্বংস করব নাআমার দ্বারা...

কবিতা

ভালোবেসে

ভালোবেসে আসলে কাছে, আদর দিয়ে রাখিস ধরে। তোর একটু অবহেলায়, পড়ান পাখি যাবে মরে।  কালে কালে সুখ খুঁজেছে, প্রেমের মাঝে লক্ষ জনে। কে কতটা সুখ পেয়েছে, তার হিসাবটা কে বা জানে। কে বা তোকে ভালো বাসে, তুই বা বাসিস কাকে ছড়িয়েছিস কতো আলো, জীবনের কোন বাঁকে।  চাওয়া পাওয়ার ভুল হিসেবে, কতো জীবন গেছে...

গল্প

এক্সপেরিমেন্ট-১৫ (সাইকো থ্রিলার)

বিকেল গড়িয়ে যাচ্ছে।আর কিছুক্ষনের মধ্যেই সন্ধ্যা  নেমে আসবে এই ব্যাস্ত শহরে। অফিস আওয়ার শেষ। রাস্তায় ধিরে ধিরে গাড়ি এবং লোকজনের সংখ্যা বাড়ছে।ফুটওভার ব্রীজের উপর থেকে এই ব্যাস্ততা দেখতে ভালোলাগে খুব। পা টনটন করে ব্যাথা করছে। হয়তো অনেকদিন পর বেশ  হাটাহাটি করে...

শাহরিয়ার মোর্শেদ

শাহরিয়ার মোর্শেদ

Deputy Company Secretary, Navana CNG Limited.

ফিকশন

২০৬০ সাল

বিছানায় শুয়ে শুয়ে বোরিং হয়ে গেছি। বেড বক্সের উপর থেকে চশমাটা হাতরে নিলাম আর খাটের পাশ থেকে লাঠিটা নিয়ে নাতনীর ঘরে গেলাম গল্প করব বলে।গিয়ে দেখি, ল্যাপটপে কিছু একটা করছে। আমি যেতেই বলল, দাদুন তুমি! বসো বসো। আমি টিউশনে যাবো। বসলাম ওর ঘরে। ল্যাপটপটা খোলাই ছিল।চশমা চোখে দিয়েও ভালো দেখতে পারি না। হঠাৎ মনে পড়ল আজ কত যুগ ধরে ফেসবুকে যাই না।অথচ যে ছেলেটা না এখনকার বুড়োটা একসময় দিন রাত ফেসবুকে চ্যাটিং, ছবি আপলোড দেওয়া নিয়ে ব্যাস্ত থাকতো। অনেক কষ্টে পাসওয়ার্ডটা মনে করলাম।আইডিটা লগ ইন করে দেখি ইনবক্সে আট হাজার ছয় শত আটাত্তরটা ম্যাসেজ। আইডিটা চেনাই যাচ্ছে না। সব অপরিচিত লাগছে। ফ্রেন্ড সংখ্যা ছিল চার হাজার সাতশত অষ্টাশি জন কিন্তু এখন চ্যাট লিস্টে আছে আটাশ জন। বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ায় হয়তো ওরাও এখন আর ফেসবুক চালায় না। ইনবক্সে ঢুকতেই আমার ক্লোজ কয়েকটা ফ্রেন্ডের ম্যাসেজ।বন্ধুর শরীরটা আজকাল আর ভালো নেই। বেশিদিন হয়ত বাঁচব না। ম্যাসেজটা ছিল ৫ বছর আগে। খবর পেয়েছি ৪ বছর আগেই সে মারা গেছে। আমার বেস্টিও ৯ বছর আগে মারা গেছে। ওর সাথে চ্যাটিং গুলো পড়ে খুব ভালো লাগছিল। গ্রুপে ফ্রেন্ডদের সাথে কত মজা, আড্ডা এ সবই পড়ে আছে।ওদের অধিকাংশইই মারা গেছে। এরপর চ্যাট লিস্টের একদম শেষে পেলাম তার ম্যাসেজ। হ্যাঁ আমার সেই পুরোনো "একতরফা" ভালোবাসা। ওর কোন খবরই জানি না।কত ভালোবাসতাম দুজন দুজনকে কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে বিয়েটা হয়নি। আজ অনেক দিন পর তার কথা মনে পড়ছে। তার আইডিটায় ঢুকলাম লাস্ট পোস্ট ছিল ষোল বছর আগে।তার নাতনীর সাথে ছবি। আরো একটু নিচে যেতে দেখলাম তার ফ্যামিলির ছবি। সে, তার স্বামী, মেয়ে, ছেলে আর নাতী- নাতনী। খুব ছিমছাম হ্যাপি ফ্যামিলি।ওকে যেদিন শেষ দেখেছিলাম- চুলগুলো সেই রকম স্টাইল দেওয়া, পড়নে লাল শাড়ী ছিল, ভাগ্যক্রমে এখন তার ছিল অন্য কিন্তু এখন এই ছবি গুলোতে সাদা শাড়ি পড়া, চুলগুলো সব সাদা কিছু কিছু আবার মেহেদী দিয়ে লাল করা হঠাৎ মোবাইলের স্ক্রীনে নিজের ছবিটা দেখলাম। হ্যাঁ, আমিও তো বুড়ো হয়ে গেছি। ও দেখলে নিশ্চয়ই বলত, বুড়ো দাদু।আচ্ছা ও কি আজও বেঁচে আছে? জানি না! ওর আইডিটায় শেয়ার করা একটা পোস্ট পেলাম।একজন ওর আইডির স্ক্রীনশট দিয়ে লিখেছে, দাদী গতকাল আনুমানিক বিকেল ৫ টায় হৃদযন্ত্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন, উনি যেনো স্বর্গ লাভ করেন এই আমার প্রার্থনা।পোস্ট পড়েই থমকে গেলাম। পাঁচ বছর আগের পোস্ট। ও মারা গেছে তাহলে? হায়রে! কোথায় সেই একসাথে বাঁচবো বলে কথা দেওয়া দিনগুলো। মনের অজান্তেই চোখের কোনে পানি এলো। এরপর পরিচিত ফ্রেন্ডদের আইডিটা দেখছিলাম। ওদের আইডিটা এখনো প্রানবন্ত কিন্তু ওরা এখন আর প্রানবন্ত না। অনেকেই হয়তো দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেছে। যে ফ্রেন্ডটা রোজ নতুন নতুন সেলিফি আপলোড দিত ও বিশ বছর আগে ক্যান্সারে মারা গেছে। খবর শুনে দেখতে গেছিলাম।মজার মজার জোক পোস্ট করা ফ্রেন্ডটার খবর জানি না। লেখক ফ্রেন্ডটা ৮ বছর আগেও একটা পোস্ট দিয়েছে ওর ছেলে ওকে বৃদ্ধা আশ্রমে ফেলে এসেছে এই নিয়ে। ওর সাথে এখন আর যোগাযোগ নেই। এরপর আমার আইডিটায় গেলাম। এত ট্যাগের ভিড়ে নিজের শেষ পোস্টটা পাচ্ছিলাম না।এইতো অনেক কষ্ট খুঁজে পেয়েছি তেত্রিশ বছর আগে আমার স্ত্রী আর মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে গেছিলাম। সেই খানকার কয়েকটা পিক। আরো প্রিভিয়াস পোস্টগুলো পড়ে কখনো হাসলাম, কখনো কাঁদলাম।হঠাৎ নাতনী ডাক দিল দাদু আমি রেডি। টিউশনে যাব, ল্যাপটপটা দাও।আমি: ল্যাপটপ নিয়ে টিউশনে যাবি?নাতনী: আরে তুমি আদি যুগের মানুষ বোঝো না? আমরা তো ভার্চুয়াল ক্লাস করি।আমি: ওহ! তা বই খাতা লাগে না?নাতনী: ধূর! কি বল? ক্লাস করতে বই খাতা লাগে?আমি: ওহ! লাগে না?নাতনী: তোমাদের সময় লাগতো?আমি: হ্যাঁ লাগতো তো। তবে তখন আমরা বইয়ে পড়তাম দেশে ভার্চুয়াল ক্লাস হবে।নাতনী: হা হা হা। টিউশনে খাতা - কলম লাগতো! দারুন ফানি! আচ্ছা আমি যাই টিউশন শেষে তোমাদের কালের গল্প শুনবো।হ্যাঁ এখনকার আধুনিক আমরা দুই হাজার ষাট সালের আদিম আমরা। আমাদেরও ওই যুগের ছেলে মেয়েরা আদি কালের মানুষ বলবে। "জানি না, দুই হাজার ষাট সাল পর্যন্ত বাঁচবো কি না? যদি বেঁচে থাকি তাহলে টাইমলাইন এ এসে লেখাটা আরো একবারের জন্য পড়বো আর এই সুন্দর দিনগুলোর কথা মনে করবো।" 

গল্প

মতিভ্রম (সাইকো থ্রিলার)

 মাত্র খুট খুট করে শব্দটা আবার শুনলাম। নাহ!আর সম্ভব না এই অবস্থায় ঘুমানো। সমস্ত দুপুর ঘুমিয়ে কাটার পর মাত্র মনে হল যে ক্ষুধা লেগেছে। আর তাছাড়া এই অবেলায় ঘুমিয়ে থকলে শরীরও খারাপ লাগবে। সময় জানতে ইচ্ছে হল। কিন্তু কষ্ট করে...

শাহরিয়ার মোর্শেদ

শাহরিয়ার মোর্শেদ

Deputy Company Secretary, Navana CNG Limited.

গল্প

একতরফা ভালোবাসা

আমাদের যোগাযোগটা ছিলো ফেসবুকে কিন্তু তার সাথে রিলেশনের এক বছর আগে থেকেই আমি তার ফেসবুকে ফ্রেন্ড ছিলাম।কখনো কথা হতো না বা চিনতাম ও না তাকে। আমি যদি কোন স্টোরি দিতাম সব সময় কারো ইমুজি কমেন্ট না আসলেও আমার ইনবক্স এ তার ইমুজিটা ঠিকই আসত, দেখে হাসতাম লোকটা কে যে আমি যা স্টোরি ছাড়ি সব কিছুতে রিয়েক্ট দেয়। কেউ দিক বা না দিক, সে অন্তত দেবে। এভাবে হঠাৎ একদিন কথা হলো-ফ্রেন্ডলি কথা হলো, সে ভালোই আমি আমার ফ্যামিলি স্ট্যাটাস এর বিষয়ে কথা বললাম আমার ইমোশনের জিনিসগুলি নিয়ে কথা বললাম। আমার মনে হলো সে আমাকে বুঝে তো আমার খুব ভালো লাগল তাকে কিন্তু এ কথা বলিনি, তার বাসা আমার...

বাংলা সাহিত্য

শঙ্খবীণা (৪)

১৬          শরৎ এসেছে          সাজিয়ে দিয়েছে রাঙিয়ে গিয়েছে নানান ফুলে এ ধরণি।          আকাশে ভেসেছে          শুভ্রতা হেসেছে ফুলে ফুলে গাঁথি চল প্রেমের মালাখানি॥           ওগো এস-না         পাশে বস-নামনের কথা কই দুজনা,          এ সময় আর         এ রাত পারপাবে না পাবে না গো তুমি         খুঁজলেও মশাল জ্বালি, ফুরাইয়ে...

গল্প

স্বপ্নদোষের শ্বদন্ত

"ঘড়িতে ছয়টা বেজে গিয়েছে ভেবে আজ অনেক দিন বাদে চারটা চব্বিশ এ ঘুম ভেঙে উঠে ঠিক সময়ে প্রাত:প্রার্থনা করতে পেরেছি।গতকাল অনেকটা আগে ঘুমিয়েছি, রাতে গুরুভোজ হলেও সারাদিনের জার্নি আর সকাল-বিকেলের গার্ডনিং-এ পুষিয়ে গিয়েছে সেটা। কাজেই তীব্র পা ব্যথা সত্ত্বেও ঘুমটা হয়েছে ভালো। ঘুমের মাঝে দু'দুটো মানুষকে নিয়ে মনে আছে, এমন স্বপ্ন দেখেছি। একজন মানুষ আর আরেকজন মানুষী।দু'টো পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটক নয়, ক্ষুদ্রায়তন নাটিকা দেখলাম। প্রথমজনের সাথে কাজ করেছি কিছু একটা আর দ্বিতীয়জন বান্ধবীর খোদ মার্কিন মুলুক থেকে আনা তরল দুধ ব্যবহার করে আমার জন্যে হাতব্যাগে ভরা টিফিন বক্সে নিয়ে এসেছেন গোলাপি, হলদে আর নীলচে--এই তিন রঙের প্লে ডোর মতো দেখতে হালুয়া টাইপ মিষ্টি। দু'জনের কেউই আর কোন সুবাদে নেই আমার জীবনে। এরা এমন অতীত, যাদের আমি সক্ষমতা দিয়েছিলাম চিরতরে আমার বর্তমানটা বিষিয়ে দিতে। জীবনের সব সবুজ আর মিঠে স্বাদ খয়েরী আর তেতো করে দিয়েছিলেন এরা--কারণ প্রয়োজনাতিরিক্ত পাত্তা দিয়ে এদের মাথায় তুলেছিলাম আমি। সহ্য করেছিলাম এদের শোষণ মুখ বুঁজে।প্রকৃতির প্রতিশোধ ভয়ংকর হয়ে থাকে আর অত্যাচারিতের দীর্ঘশ্বাস বলে কাঁপিয়ে দেয় স্রষ্টার আরশ। তাই আপাত সাফল্য আর সমৃদ্ধি সত্ত্বেও সামাজিক ও পারিবারিক অঙ্গহানি দিয়ে এদের দু'জনের মেটাতে হয়েছে নিজেদের নীচতার দায় আর আমি আপাত অক্ষমের ক্ষমাশীলতা আঁকড়ে সকৌতুকে দেখেছি মনুষ্যরূপধারী এই মুখোশদের কীটাণু কোটায় জীবনের রেশন থেকে রসদ তুলতে।ক্লীন ব্রেক আর নিউ হীলিং সমার্থক মনে হয় আমার সব সময়--জীবনে এগিয়ে চলবার জন্য ক্লোজার ইম্পর্ট্যান্ট। তাই মানসিক স্বাস্থ্য স্বাভাবিক রাখতেই আমি গ্রাজ পুষি না--আমার মুখের ত্বকে বা চোখের কোলে লাফ লাইন আর ক্রোজ ফীট হোক, তবে তার দায় আমার নিজের হলেই ভালো--তিক্ত লোকের মাপে কম পড়া ভদ্রতা তাতে ভাগ বসাক, চাই না একদম।তাই নিজ গরজে মলাটে বন্দী করে বইয়ের তাকে সাজিয়েছি দু'জনকেই- I know every page of both of their playbooks. এরা দু'জনেই আমার জীবনে নিজেদের গুরুত্ব জানে, যদিও অফিসিয়ালি সেটা গোণায় ধরে না--আবার দু'জনেই জানে অন্যজনের একজনের প্রতি একটা সফট কর্নার আর অন্যজনের প্রতি আদা-কাঁচকলা ধরণের বিবমিষাময় সমীকরণ আছে আমার।যেটা আমিও জানতাম না, তা হল আমি নিজে মুভ অন করে গিয়েছি অনেক আগে আর নিজেকে মোল্ড করেছি এমন এক নতুন ধাতুতে, যা সংকর নয় একেবারে অন্য ধাঁচের, অন্য গ্রহের আগ্নেয়শিলার গলিত রূপের কঠিন বর্তমান। তাই তাদের কারোর কষ্ট কল্পনাই আর নাগাল পায় না আমার। সত্যি বলতে কী, আমি নিজেও মাঝে মধ্যে পাই না।একটা নীল নকশা তৈরি থাকে মহাকালের--আমাদের সকলকে ঘিরে। তাতে কতগুলো ডটেড ডেসটিনেশন হাইলাইটেড হয় অন লুকার্সদের চোখে--চেকলিস্টে টিক মার্ক পরে সেই অনুযায়ী--পরিবার, পড়াশোনা, পেশা, প্রতিষ্ঠা, পোষ্য আর প্রেমের নাম দিয়ে আমরা তাদের চোখের আয়নায় দেখে নিই নিজেদের প্রতিবিম্ব--জীবনভর।আমার জীবনে এই দর্শকদের ভর কাটিয়ে মহাসমুদ্রে ডুব দিয়ে অন্য এক এভারেস্ট জয় করে ভেসে উঠেছে যেই মানুষটা--যার আমিত্ববোধে অহং আর আত্মা দুইই বড্ড অনায়াসে ইন আর ইয়ান হয়ে অধিকাংশের চক্ষুশূল হয়েও দিব্যি নিজের আস্ত ভাস্কর্য গড়ে নিয়েছে, সে এক নিরাভরণ আমিই।অথচ তাতে অলংকারিক কখনও দেখেন রূপসায়র, কখনও গুণে নেন শিল্পের মানদণ্ড--আবার কখনও দণ্ডী কাটেন এমন কোন মন্দিরের জাগ্রত অবতারে, যা কবির মনন বা পটুয়ার তুলিতে ধরা দেয় ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের আলোকচ্ছটায়।অপটু হাতে আঁকা মেহেদীর নকশায় যে রঙ ধরে হাতের তালুতে, নেইল বেডে তাকে যেমন অনাকাঙ্ক্ষিত ভেজিটেবল ডাইয়ের আনইভেন শেড মনে হয়, তেমনি জীবন কখনও দু'হাত ভরে দেয়, কখনও একটু আড়ালে রেখে দেয় নিজের মহামূল্য সর্পমণি।যে মণি কেবল সাত রাজার ধন নয়--সাত রাণীরও শৃঙ্গার।ছাদ বাগানের শিশুগাছের কোমল পাতা কালচে খয়েরি নয়, উজ্জ্বল কমলা যে হিউ দিল হাতে, ওভারনাইট শুকোবার পরও--সেটাই আসলে আমি।প্রাচীন নই।নবীনও নয়।নিত্য। নশ্বর কালের আঁচড় যার এতটুকু নষ্ট করবার দু:সাহস দেখায়নি। একতাল গোময়ের মতো যে নতুন কিশলয় তৈরি করেছে, ঘুঁটে হয়ে জীবাশ্ম জ্বালানীর নিয়তি মেনে নিতে চায়নি বলে।দ্বিতীয় প্রাতঃপ্রার্থনা সেরে সজনে ডাঁটার কলম দেখে আসি গিয়ে ছাদে। মোরিঙ্গা এখন মহামূল্য ওষধি, তাকে অবহেলা করা চলে না।আর সাদা জবা, লিলি, অপরাজিতার নতুন আবাদও খুব টানছে--ঘিয়ে জবা আবার ফুটবার আগে সেই শুভ্রজিৎ সফেদ ভোর সকলের জীবন আলোয় ভরে রাখুক।ঈদের ছুটি সেরে প্রাণের শহরে পলিউশন ফিরছে।আমরা যাদের মানুষ বলি।ফিরুক।নইলে ভীষণ ফাঁকা লাগে।" 

গল্প

ছোট গল্প...... "বৃষ্টি ভেজা রাত'

 জানালার পাশে বসে বৃষ্টি দেখার একটা আলাদা মজা আছে। জানালার বাইরের হালকা বাতাস গায়ে এসে লাগে ।শরীর শীতল হয়ে যায়।সেই সময় হামিদ এসে বলল আর এক ঘন্টা পর ট্রেন ছাড়বে। বৃষ্টি কিছুটা কমেছে ।চলো ,এই সময় বেরিয়ে পড়ি ।গ্রীষ্মের ছুটিতে...

কবিতা

ফিবোনাচ্চি রাশিমালা

 ফিবোনাচ্চি রাশি মালা আছো তুমি মিশেসূর্যমুখী ফুলের পাপড়ির বিন্যাসে !নটিলাস ঝিনুকের খোলেমৌমাছির পরিবার তন্ত্র ঘিরে !পাইন গাছের রহস্যময় মোচাতেফুলকপির বিন্যাসে কচি পাতাতে !বিভিন্ন গাছের শাখা বিন্যাসেপ্রকৃতির মূল রহস্য এই রাশিমালাতে !

গল্প

বলদ নং : ১ (পর্ব ৪ )

স্কুলেরদিন ,“ স্যার আসসালামু আলাইকুম “ স্যার : ওয়ালাইকুমুস সালাম । সবাই বসো এখন শোনো আগে আমার পরিচয় দিই তারপর এক এক করে তোমাদের পরিচয় নেব । তো আমার নাম মোঃ লোকমান হাকিম । আমি তোমাদের বাংলা ক্লাস নেব । তোমরা কি বুঝছো...

সাদাত হোসাইন

সাদাত হোসাইন

student of class 6 (Dhunat Adorsho Hight school )

কবিতা

আমার একটা গল্প ছিলো

আমার কিছু গল্প ছিলো,সে গল্পে অনেক স্বপ্ন ছিলো।আমার কিছু স্মৃতি ছিলো,স্মৃতির পাতায় একরাশ ভালোবাসা ছিলো।আমার কিছু ইচ্ছে ছিলো,সে ইচ্ছের ডানায় কত কল্পনা ছিলো।আমার কিছু দুঃখ ছিলো, সে দুঃখে কত অভিপ্রায় ছিলো।আমার কিছু গান ছিলো,সে গানে কত শত কলি ছিলো।আমার কিছু সত্য...

কবিতা

পাপ

কবিতার বুকের মধ্যে-তীব্র অবসাদবারুদের গন্ধমৃত্যুর যন্ত্রণালোক দেখানো শোকসভা বেশ্যাবাড়ি, নষ্ট নারীভন্ড প্রেমিকআহ্লাদী প্রেমঅসভ্য সমাজব্যবসায়ী শিক্ষককুখ্যাত রাজনৈতিক নেতা আর অমানুষের কারবারীআমি মানুষ হতে চেয়েছিলামবন্ধ্যা রাষ্ট্রে মানুষ হওয়া পাপ!

সাইফুল ইসলাম

সাইফুল ইসলাম

চিন্তা করা

কবিতা

খুন হবার মুহুর্তে

সব দ্যাখা হচ্ছে গাঢ় অন্ধকারে জানালার বাইরে এক ফালি চাঁদ হাসছেপাপ কান্না অনুশোচনার শোকে দেহকপাট আহ ভারী হয়ে ওঠে।আকাশের খোলাচাঁদ ঘিরে সব নক্ষত্ররা মুক্তোর ন্যায় ছড়িয়ে আছে—সকলেই আজ মৃত্যু উৎসব উদযাপন করবে যদিও কিছুকাল পূর্বেও যাদেরকেফুসফুস পুড়িয়ে দিয়েছি জ্বলন্ত কয়লা—দূর...

সব্যসাচী

সব্যসাচী

কবি ও লেখক

উপন্যাস

পত্রোপন্যাস ।। গুহা (পর্ব- চার)

রোববার১৭ জুলাই ২০১১ খ্রি.সন্ধ্যাগাবতলী বগুড়া।শুভ্রতোমাকে আবার চিঠি লিখবো এটা আমি কখনো ভাবিনি। ভাবার কোনো কারণও ছিলো না। কিন্তু লিখছি। তবে এটা চিঠি কিনা বুঝতে পারছি না। গত সপ্তাহে তোমার একটা চিঠি পেলাম। সেটাকে চিঠি না বলে একটা চিরকুট বলা ভালো। আমি...

কবিতা

অমসৃণ পৃথিবী

পৃথিবীর পথে পথে হাজারো গল্প তৈরী হয়,জেগে উঠে শত শত স্বপ্ন;গল্পের চিত্রপটে কেউ জর্জরিত, কেউ বা আবার হাসি-আনন্দে মুখরিত। প্রতিটি ইটের দেয়ালে লেখা হয়;উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্ত-নিম্মবিত্ত।উঁচু নিচু এই অমসৃণ পৃথিবীতে, এক বৃত্তে আবদ্ধ জাতি, ধর্ম, বর্ণ আর কর্ম,এখানে খুব অস্পষ্ট জীবনের মর্ম।এখানে আমরা অতি নগন্য...

কবিতা

শোষণের মুক্তভূমি

 কে বলেছে বৃটিশরা চলে গেছে! চলে গেছে আমার ন্যায্য স্বাধিকার দিয়ে!না! স্বাধীনতা পাইনি নৈতিকভাবে,রক্ত দিয়েছি! সম্ভ্রম দিয়েছি! মোরা পেয়েছি  এক টুকরো ভূ-খণ্ড মাত্র!বৃটিশ বেনিয়ারা চলে গেছে, অত্যাচারী পাকিরাও গেছে  চলে !কিন্তু রেখে গেছে -তাদের উত্তরসূরি ভয়ংকরী প্রেতাত্মা!তারা এখন আর নীলচাষ করে না!করের বোঝা বাড়িয়ে...

পোস্ট

অসাড় তাড়াহুড়ো করে আমরা কত অমূল্য জিনিস হারিয়ে ফেলছি

ওয়াশিংটন ডিসিতে, একটি মেট্রো স্টেশনে দুই হাজার সাত সালের জানুয়ারি মাসের এক ঠান্ডা সকালে, বেহালা সহ একজন ব্যক্তি প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিটের জন্য ছয়টি গানের সুর বেহালায় বাজিয়েছিলেন। সেই সময়ে, আনুমানিক  দুই হাজার  লোক স্টেশনের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল, তাদের বেশিরভাগই তাদের...

গল্প

অপ্রাসঙ্গিক

আজ অনেকদিন পরে রাহুল ঢাকা শহরে- প্রায় নয় বছর। শহরটা বেশ বদলে গেছে। নিউইয়র্কের সাথে বেশ একটা পার্থক্য খুঁজে পায় না। যদিও পার্থক্য অনেক। তবুও রাহুলের কাছে বাহ্যত একই মনে হচ্ছে। রাস্তায় হলুদ ট্যাক্সি ক্যাব, কিছুদূর পর পর ফার্ষ্টফুড এর...

গল্প

রক্তকে অবহেলা

আমি বাবার প্রেসক্রিপশন আর রেনিটিডিন ঔষধের পাতাটা হাতে নিয়ে ভাইয়ার রুমে গেলাম। রুমে ঢুকে দেখি ভাইয়া বিছানায় শুয়ে ফোন টিপছে আর ভাবী আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল ঠিক করছে। আমাকে দেখে ভাইয়া বললো,- কি রে, তুই কিছু বলবি?আমি তখন বললাম,- ভাইয়া, তুমি হয়তো ভুল করে ফেলেছো। প্রেসক্রিপশনে ডাক্তার সারজেল ট্যাবলেটের কথা লিখেছে তুমি ভুল করে রেনিটিডিন ঔষধ নিয়ে এসেছো! আমার কথা শুনে ভাইয়া বললো,- আমি ভুল করে না, জেনেই এনেছি। দুইটাই তো গ্যাসের ট্যাবলেট, কাজ যেহেতু দুইটার একই সেহেতু শুধু শুধু দামী ঔষধ কিনে টাকা নষ্ট করার মানে নেই!ভাবী, আয়নার দিকে তাকিয়ে থেকেই বললো,- শুধু যে দামী ঔষধ ভালো হবে তা কিন্তু না। মাঝে মধ্যে কম দামী ঔষধও ভালো কাজ করে, তাই না? আমি আর কিছু না বলে চুপচাপ ভাইয়ার রুম থেকে বের হয়ে আসলাম। ভাইয়া তো আগে এমন ছিলো না কিন্তু বিয়ে করার পর থেকেই ভাইয়া এমন হয়ে গেছে! বাবার রুমে এসে দেখি বাবা খবরে কাগজ পড়ছেন। খবরের কাগজের দিকে তাকিয়ে একটু অবাক হয়ে বাবাকে বললাম,- দুই দিন আগের পত্রিকা পড়ে কি মজা পাচ্ছো? তারচেয়ে বরং আজকের খবরের কাগজটা পড়ো।বাবা পত্রিকার কাগজ থেকে মুখটা সরিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে শুধু একটু মুচকি হাসলো। বাসায় বসে থেকে দম বন্ধ লাগছিলো তাই ভাবলাম বাহির থেকে একটু হেঁটে আসি। বাসার সামনে যেতেই খেলায় করলাম পত্রিকা ডেলিভারির ছেলেটা পাশের বাসায় ঠিকই পত্রিকা দিলো কিন্তু আমাদের বাসায় না দিয়ে চলে যাচ্ছিলো। আমি পত্রিকা ডেলিভারির ছেলেটাকে ডাক দিয়ে বললাম,- কি রে, আমাদের বাসায় পত্রিকা না দিয়েই চলে যাচ্ছিস যে?পত্রিকার ডেলিভারির ছেলেটা আমাকে বললো,- আপনার আব্বা মানে খালুজান তো বলেছে প্রতি শুক্রবার শুধু খবরের কাগজ দিতে!আমি অবাক হয়ে বললাম,- বাবা তোকে কবে এই কথা বললো?ছেলেটি বললো,- তিন দিন আগেই তো আমাকে বলেছে আমি কিছু না বলে চুপচাপ বাবার রুমে গিয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম,- তুমি নাকি পত্রিকার ছেলেটাকে বলেছো শুধু শুক্রবারে পত্রিকা দিতে? বাবা মুচকি হেসে বললো,- আর বলিস না শুক্রবারে যে খবরটা ছাপা হয় পুরো সপ্তাহ জুড়ে শুধু এই খবরটাই ঘুরিয়ে পেছিয়ে লেখা হয় তাই বলেছি শুধু শুক্রবারের পত্রিকাটাই দিতে। শুধু শুধু টাকা নষ্ট করে কোন লাভ নেই! আমি যা বুঝার বুঝে গিয়েছিলাম, ভাইয়া নিশ্চয়ই বাবাকে কিছু বলেছে তাই বাবা খরচ বাঁচাচ্ছেন। আমার কিছু করার ছিলো না তখন কারণ ইন্টার পড়ুয়া একটা ছেলে তখন আর কি-ই বা করতে পারে?রাতে খাবার টেবিলে বসে সবাই যখন খাচ্ছি তখন ভাবী ভাইয়াকে ইশারা করলো বাবাকে কিছু একটা বলার জন্য। ভাইয়া তখন বাবাকে বললো,- বাবা, তুমি কিছু মনে না করলে একটা কথা বলতাম। আসলে আমাদের রুমটা খুব ছোট হয়ে গেছে। তুমি তো একাই থাকো তাই তুমি যদি আমাদের রুমে এসে পরতে আর তোমার রুমটা আমাদের দিয়ে দিতে তাহলে খুব ভালো হতো!বাবা তখন অসহায়ের মত ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,- আমি আর তোর মা ২৮ টা বছর এই রুমটাতে কাটিয়েছি। এখন তোর মা বেঁচে নেই কিন্তু এই রুমটার ভিতর ঘুমালে মনে হয় তোর মা আমার সাথে আছে!বাবার এমন কথা শুনে ভাবী কাঁশতে লাগলো তখন ভাইয়া বাবাকে বললো,- ঠিক আছে বাবা, তুমি তোমার রুমেই থেকো কিন্তু তোমার রুমের এসিটা আমায় দিয়ে দাও কারণ তৃনার (ভাবী) হাই প্রেসারের একটু সমস্যা আছে তাছাড়া তোমার তো এখন এসির দরকার পরে না! বাবা তখন নিচের দিকে তাকিয়ে বললো, - আচ্ছা, ঠিক আছে আড় চোখে তাকিয়ে দেখি ভাইয়া আর ভাবীর মুখে বিজয়ের হাসি। মনে হচ্ছিলো ওরা যুদ্ধ জয় করে ফেলেছে। ইচ্ছে করছিলো ভাইয়ার মুখে থুথু মারি কিন্তু বড় ভাই বলে কথা। আজ যদি ছোট ভাই হয়ে বড় ভাইয়ের মুখে থুথু মারি তাহলে কাল আমাকে নিয়ে বিচার বসবে আর সমাজ আমাকে দোষী বানাবে। তাই নিজের থুথু নিজের মুখেই রেখে খাবার টেবিল থেকে চুপচাপ উঠে চলে গেলাম... কয়েকদিন পর আমি আর বাবা রুমে বসে কথা বলছি হঠাৎ ভাইয়া রুমে এসে বাবার দিকে শপিংব্যাগ এগিয়ে দিয়ে বললো,-বাবা, তোমার আর পিয়াসের জন্য দুইটা পাঞ্জাবি কিনেছি। পরে দেখো তো তোমাদের ঠিক ঠাক হয় কি না?এই কথা বলে ভাইয়া অন্য রুমে চলে গেলো। বাবা পাঞ্জাবিগুলো বের করে ভালো ভাবে দেখে আমায় বললো,- দেখলি তোর ভাইয়া আমার আর তোর জন্য কত দামী পাঞ্জাবি কিনে এনেছে। পাঞ্জাবি সম্পর্কে আমার অনেক ভালো আইডিয়া আছে। কম করে হলেও দুইটা পাঞ্জাবির দাম ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা হবে। তুই শুধু শুধু তোর ভাইয়াকে ভুল বুঝিস, নিজের রক্ত বলে কথা!এই কথা বলে বাবা পাঞ্জাবিটা পরলো। এমন সময় ভাবী আর ভাইয়া তড়িঘড়ি করে রুমে ঢুকলো। ভাইয়া বাবাকে বললো,- সরি বাবা, আমি ভুল করে তোমাকে আর পিয়াসকে আমার শ্বশুর আর শালার জন্য কিনে আনা পাঞ্জাবিগুলো দিয়ে ফেলেছি। তোমাদের পাঞ্জাবি গুলো এইখানে এই প্যাকেটে আছে।বাবা হাসতে হাসতে বললো,- সমস্যা নেই, খোকা। আমি আরো ভুল করে পরে ফেললাম।বাবা শরীর থেকে পাঞ্জাবিটা খুলে দিলে ভাইয়া আর ভাবী পাঞ্জাবিটা নিয়ে অন্য রুমে চলে যায়। আমি রেখে যাওয়া শপিংব্যাগ থেকে পাঞ্জাবিগুলো বের করে বাবাকে দেখিয়ে বললাম,- তোমার মত পাঞ্জাবি সম্পর্কে আমার এত আইডিয়া না থাকলেও মোটামুটি একটা আইডিয়া আছে। দুইটা পাঞ্জাবি সর্বোচ্চ হলে ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা হবে। আমি বাবাকে বললাম দিন শেষে দেখা যায় নিজের রক্তই, বাবা তোমার সাথে বেঈমানী করে!বাবা কিছু বললো না শুধু জানালার গ্রীল ধরে বাহিরের আকাশটার দিকে তাকিয়ে রইলো...ভাইয়া অফিসের একটা কাজে চট্টগ্রাম গিয়েছিলো। এর মধ্যে হঠাৎ করে ভাবীর শরীর খারাপ হয়ে যায়। আমি ভাইয়াকে ফোন দিয়ে বললাম,- ভাবীর শরীর খারাপ মনে হয় প্রসব ব্যথা উঠেছে। আমি ভাবীকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছি,ভাইয়া তখন আমাকে বললো,- সরকারি হাসপাতালে না নিয়ে তুই তোর ভাবীকে কোন বড় একটা প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যা। সরকারি হাসপাতালগুলোতে নাকি ভালো চিকিৎসা হয় না! আমি আমতা আমতা করে বললাম,- প্রাইভেট হাসপাতালে তো অনেক খরচ!ভাইয়া তখন আমাকে বললো,- যত টাকা লাগে আমি দিবো তুই আগে তো নিয়ে যা,হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর ডাক্তার কিছু ঔষধ দিলে আমি ভাইয়াকে ফোন করে বললাম,- ভাইয়া, ডাক্তার যে ঔষধগুলো দিয়েছে সেই একই ঔষধগুলো অন্য কোম্পানির অনেক কম দাম। কাজ যেহেতু একই আমি অন্য কোম্পানির ঔষধ গুলো নিয়ে যাই? শুধু শুধু টাকা নষ্ট করে লাভ কি?আমার কথা শুনে ভাইয়া রেগে গিয়ে বললো,- তুই কি এমবিবিএস ডাক্তার নাকি? এত বেশি বুঝিস কেন? ডাক্তার যেগুলো দিয়েছে সেগুলোই নিয়ে যা। ভালো জিনিসের দাম একটু বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক!আমি আর কিছু না বলে মুচকি হেসে ফোনটা রেখে দিলাম!ভাইয়া এই মুহুর্তে তার সন্তানকে কোলে নিয়ে বসে আছে। ভাইয়ার চোখে মুখে আনন্দের হাসি। ভাবীর এখনো জ্ঞান ফিরেনি। আমি ভাইয়ার কাছে গিয়ে বললাম,- কোন বাবাই তার সন্তানের জন্য কৃপণতা করে না। সব বাবাই তার অবস্থান থেকে সবচেয়ে ভালোটা তার সন্তানকে দিতে চায় কিন্তু সেই সন্তান যখন বড় হয় তখন কেন বাবার জন্য কৃপণতা করে বলতে পারো? আমি ভাবীকে কোন দোষ দিবো না। ভাবী অন্য রক্তের তাই উনার আমাদের প্রতি টান না থাকাটাই স্বাভাবিক কিন্তু তুমি তো আমাদের রক্তের তুমি কি করে পারলে বাবার জন্য কম দামী ঔষধ আনতে, রুম থেকে এসিটা নিয়ে যেতে, বাবার গা থেকে পাঞ্জাবিটা খুলে নিয়ে যেতে? তুমি যেমন তোমার সন্তানের জন্য ছটফট করছিলে তেমনি আমার বাবাও তোমার আমার জন্য এমন ছটফট করেছিলো। সেই তুমি কি করে এতটা অকৃতজ্ঞ হতে পারলে?ভাইয়া, আমার কথা শুনে কোন উত্তর না দিয়ে চুপ করে বসে রইলো। আমি তখন ভাইয়ার কাঁধে হাত রেখে বললাম,- মনে রেখো, তুমিও ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছো হাসপাতালে বাহিরে এসে যখন রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছি তখন বাবা আমার পিছন থেকে হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে বললো,- চল, আজ বাবা আর ছেলে একসাথে কিছুটা পথ হাটি!হটার সময় খেয়াল করছিলাম বারবার বাবার সাদা গ্লাসের চশমাটা ঝপসা হয়ে যাচ্ছিলো হয়তো বাবা কাঁদছিলো তাই। আচ্ছা, আমিও কি ভাইয়ার মত অকৃতজ্ঞ সন্তান হবো। কি জানি, দিন শেষে আমিও হয়তো অন্যের রক্তের ঘ্রাণ পেয়ে নিজের রক্তকে অবহেলা করবো। 

গল্প

ইন্টারভিউ

ধবধবে দরজাটা খুলে একজন বেরিয়ে আসতেই সবাই ঘিরে ধরল৷ কী হল, কী হল ভেতরে৷ সে কারো দিকে না তাকিয়ে সোজা হেঁটে বেরিয়ে গেল৷বুকটা ধ্বক করে উঠল, না জানি কি হয়৷ ওর সিরিয়াল আর একজন পরেই৷ ভেতরে হচ্ছেটা কি কিছুই জানা...

কবিতা

আবেগ .....

 কিছু আকাঙ্ক্ষা থাকে অবচেতন মনেকিছু স্মৃতি জমা থাকে মস্তিষ্কে,কিছু চিন্তা - দুশ্চিন্তা আর কিছু স্বপ্নসবগুলোই গুরুমস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে ।বাকি আবেগগুলো আমার কে নিয়ন্ত্রণ করে বলতে পারো?আমি যদি বলি বাকি আবেগগুলো তুমি নিয়ন্ত্রণ করো, তাতে কি আমার ভুল বলা হবে...

কবিতা

স্বচ্ছ ভালোবাসা

যখন আমার চিন্তা জগতে তোমার ভালোবাসার গল্প,তখন বিষাদের বিষে উল্লাসিত হয় আমার সকাল,হৃদপিন্ডের প্রকোষ্ঠগুলো নীল হয়ে থাকে তোমার ভালোবাসার আবেশে।দখিনা বাতাসে ঝড়ে যাওয়া পাতার ভাঁজে তোমাকে খোঁজা হয়না,আমি তোমায় খুঁজে বেড়াই নীল আকাশের গভীরতায়। তোমাকে ভালোবাসায় আমার মন বিষন্ন হয়না, তোমার ভালোবাসায় আমার মন শিশিরের...

বাংলা সাহিত্য

শঙ্খবীণা (৫)

২১ ধোঁকা খেয়ে খেয়ে আনলে জীবনের শেষপ্রান্তে আর কত ধোঁকা খাব—খাওয়াবে বিধি বল হে?          যারা ধোঁকা দিচ্ছে          তাদের কপাল লিখলে প্রসন্নে তা হলে তোমার সুবিচার বলে কথা কথার মাঝে?।  বাবা নিয়ে গেলে অকালে মাথায় ওঠালে সংসারের বোঝা যাদের দায়িত্ব চাপালে কাঁধে তাদের থেকে খাবালে ধোঁকা!         ...

কবিতা

সময়ের হাত ধরে

 সময়ের হাত ধরে -উল্কাগতিতে ছুটে চলুক না বয়সটা! যাক না পেরিয়ে হাজার বছর !তবুও একটা ছেলেমানুষি থাকুক,থাকুক সবুজ মনের ভেতর,,,ঐ যেমন থাকে- কালো কালির আঁচরে লেখামায়াবী চিঠিখানা- সযতনে হলুদ খামের মাঝে!প্রজাপতির ডানায় ভর করে -সেই ছেলেমানুষটা হারিয়ে যাক!হারিয়ে যাক না,সকল ব্যস্ততা ভুলে প্রেয়সীর...

ফিকশন

বজ্রতটের কিংবদন্তী (পর্ব ৩)

              বজ্রতটের কিংবদন্তী-৩ মিরলাই থেকে দক্ষিণে যাত্রা করা গজদলের যাত্রাপথ এতটা মসৃণ ছিল না। রুক্ষ মরু অঞ্চলের উত্তরের কিছু মরুদ্যান আর তৃণভূমিতে তারা আটকে ছিল বছরের পর বছর। বৃহদাকার বীর সংহার মরুভূমি পাড়ি দেওয়ার মতো...

গল্প

আমার ভাবী

ভাবী, আমাদের বাড়িতে বিয়ে হয়ে আসার তিন মাসের মাথায় মা মারা যান। তখন আমার বয়স হয়তো আট কী নয়, ক্লাস থ্রিতে পড়ি আমি।ঘরে বোন নাই, বাবা তো সেই কবে থেকেই শয্যাশায়ী রোগী। সংসারটা কেমন যেন এলোমেলো হয়ে উঠতে চাইলো হঠাৎ।সবাই বললো, এবার ওদের সংসার ভাঙবেই ভাঙবে, সবাই যখন আমাদের সংসার ভাঙার লীলা দেখার প্রস্তুতি নিলো তখন ভাবী দেখিয়ে দিলেন উল্টো লীলা।মায়ের মৃত্যুর পর যেন নতুন মা হয়ে ফিরে এলেন তিনি।গায়ের সাজসজ্জা, বাহারি নেলপলিশ, চুড়ি, টিপ সবকিছু ছুঁড়ে ফেলে নিজের হাতে তুলে নিলেন তিনি আলমারির চাবির গোছা, রান্না ঘরের হাড়ি পাতিল, আব্বার সেবা যত্ন, ঔষধ খাওয়ানো,আমার পড়া তৈরি করে দেয়া, গোসল করানো, খাইয়ে দেয়া, ঘুম পাড়ানো, সব, সবকিছু। মা হারানোর শোক কী জিনিস তা আমি আদৌ বুঝতে পারলাম না।অবশ্য প্রথম প্রথম একটু খারাপ লাগতো। মায়ের শরীরের গায়ের গন্ধ নিয়ে যে পৃথিবীতে আর দ্বিতীয় কেউ আসতে পারে না, তাই! কিন্তু ভালোবাসা নিয়ে অনেকেই আসতে পারে। আমরা বলি না যে ইনি আমায় ঠিক ছেলের মতোই দেখেন! ভাবী ছিলেন এরও বেশি।কতদিন আমি দুষ্টুমি করে ঘরের এটা ওটা ভেঙে দিয়েছি এর জন্য ভাইয়া রাগ করলেও ভাবী কিন্তু মোটেও রাগ করতেন না। ভাইয়াকে বরং বুঝিয়ে বলতেন, 'ছোট সময় মানুষ এমন কত কী ই তো করে, তুমি আমি করে এসেছি, নয়নও তো তেমনই, ও ছোট মানুষ। ওর কী এখনও সেই ধরনের বোঝ এসেছে বলো?ভাইয়া বলতেন, 'লাই দিয়ে দিয়ে তো তুমি সবসময় মাথায় তুলছো বাদরটাকে।'ভাবী হাসতেন আর বলতেন, 'তুমি দেখো, বাদরটা একদিন অনেক বড় হবে।'বাবা, একটু পর পর ভাবীকে ডাকতেন।একবার ঔষুধের জন্য, একবার মাথা গরম হয়ে গেছে বলে একটু জল ঢেলে দিতে আবার একটু শরবতের জন্য আরো কত কী! ভাবী হাসিমুখে সব করে দিতেন, কোনবদিন তাকে আমি  বিরক্ত হতে দেখি নি কিন্তু ভাবীর মনে একটা দুঃখ ছিল। অবশ্য এই দুঃখ তিনি কখনো প্রকাশ করতেন না। মানুষ ভাবীকে বলতো, 'খেয়া, তোমার যে সন্তান সন্ততি নাই তোমার মন খারাপ হয় না এতে?'ভাবী অবাক হয়ে বলতেন, 'কে বলেছে আমার সন্তান নাই? নয়ন তাহলে কী, ও কি আমার সন্তান না?'প্রতিবেশীরা বলতো, 'এই সব শুধু মুখের কথাই হয়, বাস্তবে হয় না। পরের সন্তান কী আর নিজের সন্তান হয় কোন দিন?'ভাবী তখন চুপ হয়ে যেতেন আর তারপর ঘরে এসে সেদিন আমায় পড়াতে বসে মাথায় বিলি কাটতে কাটতে বলতেন, 'নয়ন, তুই আমার কী হস বলতো?'আমি অনেক্ষণ ভেবে বলতাম, 'ভাই।'ভাবী তখন মুখটা কালো করে ফেলতেন। বলতেন, 'আর কখনো ভাই বলবি না, বলবি সন্তান, তুই আমার একমাত্র সন্তান।'আমি ডান দিকে মাথা নুইয়ে ভদ্র ছেলের মতো হ্যাঁ বলতাম।দীর্ঘদিন রোগে ভোগে বাবা মারা গেলেন, আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি। ভাবীও এ বাড়িতে অনেকটা পুরনো হয়ে গেছেন। এতদিনে তার শরীরে সত‍্যিকারের মা, মা একটা গন্ধ এসেছে।চেহারা থেকে বৌ, বৌ রুপটা একেবারেই মিলিয়ে গেছে। এই বৌ, বৌ মার্কা রুপটা মিলিয়ে যাওয়ায় বোধহয় ভাবীর জন্য কাল হলো, ওদিকে বাবাও নাই।আমি ও তখন ছোট, এই সুযোগে ভাইয়া যেন কেমন হয়ে উঠলেন। ভাবীকে আজকাল তিনি একদম সহ্য করতে পারেন না, বন্ধ‍্যা বলে দূরে সরিয়ে রাখেন।আমার বড় ভাই, এক খাটে শুতে পর্যন্ত যান না। ভাবী কাছে আসলে বলেন, 'তুই আমার কাছে আসবি না, তোরে দেখলে আমার মাথায় আগুন ধরে।'ভাবী, অসহায়ের মতো বলতেন, 'কই যাবো বলো আমি। তুমি ছাড়া আমার আর কে আছে?''এই মা** ভনিতা করা ছাড়, দূরে যাইয়া ভাব দেখা। আমার কাছে তোর কোন জায়গা নাই।'ভাবী বলতেন, 'মাইয়া মাইনষের বিয়ের পর ঠিকানা একটাই। তার স্বামীর বাড়ি, এই বাড়ি ছাইড়া আমি কই যাব, আমি আর কোথাও যাবো না।'ভাইয়া রাগে গজগজ করতে করতে বলতেন,' খান*, মা* যাইবি যাইবি, তুই একশো একবার যাইবি, তোর যাওয়ার জন্য আমি জিনিস আনতেছি।'ভাবী ভেবেছিলেন ভাইয়া বুঝি ওইদিন এমনিতেই এই কথা বলেছিলেন। কিন্তু কদিন পরেই দেখা গেলো এমনি এমনি নয়।ভাইয়া সত‍্যিকারেই একটা মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেছেন, সেই বউ সাথে করে বাড়িতেই তুলে এনেছেন। এবার শুরু হলো বাড়িতে অন‍্য লীলা।যারা আমাদের বাড়ির সংসার ভাঙার লীলা দেখতে চেয়ে আশাহত হয়েছিল আগে এখন যেন তারা নতুন দৃশ্য দেখার জন্য একটু আড়মোড়া ভেঙেই বসলো। নতুন ভাবী সাধারণ মেয়েদের মতো অত হাসিখুশির মানুষ নন। তিনি সব সময় চুপচাপ থাকেন।বাড়িতে তার যা কথা হয় শুধু ভাইয়ার সাথেই আর এদিকে খেয়া ভাবী হয়ে গেলেন এ বাড়ির আসবাবপত্রের মতো।তার সাথে কেউ কখনো কথাও বলে না, তার কোন প্রয়োজনের কথাও কেউ কখনো ভাবে না।ভাইয়ার সাথে কথা বলতে গেলে তার অপমানিত হতে হয়, বেশ কয়েকবার মাইর খেতেও হয়েছে কতবার। কোন কারণ ছাড়াই ভাইয়া হাত উঠাতে পারেন ভাবীর উপর।স্বামীর অধিকার নাকি, স্বামীর অধিকারটা ছিল শুধু তার ভাবীকে মারের বেলায়, অন‍্য কোন বেলায় নয়। ভাবী ইচ্ছে করলে বাড়িতে সালিশ ডাকতে পারতেন। প্রতিবেশীরা বলতো, 'সালিশ ডাকো বউ, তোমারে না জানাইয়া বিয়া করছে এর জন্য ওর কঠিন শাস্তি হওন দরকার কিন্তু ভাবী কোন মতেই আশেপাশের কারো কথা শুনলেন না বা মানলেন না। তিনি বললেন, 'জোর খাটাইয়া আর যায় হোক ভালোবাসা আদায় হয় না। যে মানুষ আমারে দূরে সড়াইয়া দিবো তারে জোর করে কাছে রাখা যাইবো না, রাখলেও থাকবো না। একদিন দূরেই যাইবো।'হঠাৎ একদিন আমাদের বাড়িতে আনন্দের সংবাদ এলো। নতুন ভাবীর সন্তান হবে। ভাইয়া এতে কী যে খুশি! খেয়া ভাবীও খুশি। ঘরে সন্তান আসবে।তাকে না হোক ভাইয়াকে তো বাবা বাবা বলে ডাকার কেউ আসবে পৃথিবীতে। খেয়া ভাবী, অনেক আনন্দে বাড়িতে হুজুর দাওয়াত করলেন।নানান পদের ভালো ভালো খাবার রান্না করে নিজের হাতে তাদের খাওয়ালেন কিন্তু আনন্দে এইসব খাওয়ানো আরও কাল হলো তার জন্য।নতুন ভাবী ভাইয়ার কানে বললেন, খেয়া ভাবী নাকি তাদের অমঙ্গলের জন্য দোয়া করিয়েছেন। শুনে সাত পাঁচ না ভেবেই ভাইয়া ভাবীর উপর হাত তুললেন।ভাবীকে সে রাতে সাফ সাফ জানিয়ে দিলেন, 'আমি তোরে তালাক দিবো।'ভাবী কেঁদে কেটে ভাইয়ার পা ধরলেন। বললেন, 'বিশ্বাস করো, আমি মঙ্গলের জন্য দোয়া করাইছি।'ভাইয়া বিশ্বাস করলেন না। সে রাতেই ভাইয়া,এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক, বাইন তালাক বলে ভাবীর সাথে তার সমস্ত সম্পর্কের অবসান ঘটালেন।সে রাতে আমি ছিলাম প্রচন্ড ঘুমে। সেই ঘুম ভাঙিয়ে ভাবী আমার কপালে চুমু খেলেন, তারপর কান্না ভেজা গলায় বললেন, 'নয়ন, আমার সব শেষ হয়ে গেল রে! আমি কোনদিন ভাবিনি তোদের ছেড়ে চলে যেতে হবে এভাবে! এই বাড়ি থেকে যে মৃত্যুর আগে বেরিয়ে যাবো তা আমার কল্পনাতেও আসেনি।' কথাগুলো শেষ করতে পারলেন না ভাবী। কান্নায় ভেঙে পড়লেন। অনেক্ষণ পর কান্না থামিয়ে ভাবী বললেন, 'তোর ভাইয়ার সাথে তো আর এখন আমার কোন সম্পর্ক না, সব ভেঙে গেছে রে।তুই কী এখন একবার আমায় মা বলে ডাকতে পারবি না নয়ন?'আমার চোখ কেমন ছলছল করে উঠছে হঠাৎ। বুক ফেটে, চোখ ভেঙে কেমন কান্না এসে যাচ্ছে। অনেক অনেক দিন পর আমার মনে হলো মায়ের কথা।স্পষ্ট মনে হলো, আমার আপন মা আমায় মা ডাক শেখাচ্ছেন। বলছেন, 'খোকা, বলো তো, মা।'আমি উচ্চারণ করতাম,'ম ম মা ম্মা।' সেই দিনের মতো আমি ফের উচ্চারণ করলাম ভাঙা ভাঙা শব্দে‌,'ম ম মা ম্মা।'ভাবী চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে। ভাইয়া আর নতুন ভাবী তাদের মতো করে জীবন যাপন করতে লাগলেন, শুধু উল্টে গেল আমার জীবন।মা, বাবার মৃত্যুর এই এতদিন পর আমার মনে হলো অনেক অনেক দিন পর আমি এতিম হয়েছি। মনে হলো এই বাড়িতে এখন আর আমার আপন কেউ নাই।আমি অপেক্ষা করতে থাকি শুধু বড় হওয়ার জন্য। আমার প্রবল বিশ্বাস, আমি একদিন বড় হবো। সেদিন ভাবীকে খুঁজে কোথাও না কোথাও পাবো। তাকে ফিরিয়ে আনবো আমার ঘরে।সেদিন অবশ্য তার আর আমার পরিচয় দেবর-ভাবীর থাকবে না।পরিচয়টা থাকবে মা-ছেলের, সেদিন আর ভাঙা শব্দে নয়, তাকে স্পষ্ট করে ডাকবো 'মা মা মা' বলে।  

কবিতা

🍂 সিগারেট 🍂

গ্যাস লাইটের ধোঁয়ায় প্রজ্বলিত সিগারেট,ছোটো একটা উল্কার মতো শক্তি তার।কারো কাছে তা শখের জিনিস,কারো কাছে নেশা;কখনো বা নিভিয়ে দেয় জীবনের দিশা।গাড়ো ধোঁয়ার মাঝে কখনো কষ্ট কথা বলে,ছোটো ছোটো বেদনা উল্কার মতো জ্বলে।কখনো শুষ্ক ধোঁয়ায় উষ্ণ সুখ পাওয়া যায়,কখনো বা জীবন...

কবিতা

হরিলুট

যেই দেশেতে জন্ম নিয়ে বল জন্ম ধন্য হলো,সেই দেশের ই ভাবমূর্তি কেমন করে পায়ে দল।শিক্ষাটাকে ধ্বংস করে, প্রতিবাদের ভাষা ভুলে। সুশিক্ষার জন্য আবার বিদেশ পাঠাও নিজের ছেলে।আমরা যারা খুব অসহায় বিদেশ যাবার পয়সা নাইদেশের জন্য বোঝা মোরা বেঁচে থাকার অর্থ নাই।বিধি...

পোস্ট

শুধুমাত্র মনুষ্যত্ব একজন ভালো ম‌নের মানুষের প্রথম সা‌র্টি‌ফি‌কেট।

বড় প্রতিষ্ঠানে পড়া, ভারী কিছু সার্টিফিকেট অর্জন করা, পদস্থ কর্মকর্তা হওয়া আর দালান বাড়ি থাকা মানেই যদি একজন মানুষের যোগ্যতা হয়, তবে অব্যশই প্রশ্ন উঠবে আপনার শারীরিক আকৃতি নিয়ে, বংশ মর্যাদা নিয়ে!আপনার সার্টিফিকেট, আপনার পদ ও সামা‌জিক অবস্থান যদি আপনার...

পোস্ট

আমার বন্ধু আবির

আজ অনেকদিন পর আবিরের সাথে দেখা হল, আবির আমার কাছের বন্ধুদের একজন। আবির ঢা.বির একজন তুখোর মেধাবী ও দেখতে অসম্ভব সুদর্শন ছাত্র ছিল। জন্মে মকর রাশির জাতক হলেও ওকে সেই রকম মেয়ে খোর বলা ভুল হবে কারণ আমি দেখেছি মেয়েরাই...

চিন্তা

পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব কি সৃষ্টিকর্তা তৈরি করেছেন?

নাস্তিক প্রফেসর ক্লাসে ঢুকেই তার ছাত্রদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, "পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব কি সৃষ্টিকর্তা তৈরি করেছেন?"একজন ছাত্র বেশ আত্নবিশ্বাসের সাথেই উত্তর দিলো, জ্বী স্যার। সবকিছুই সৃষ্টিকর্তা তৈরি করেছেন।"তাই নাকি! ছাত্রটির উত্তর শুনে মুচকি হাসেন প্রফেসর। সৃষ্টিকর্তা সত্যিই...

গল্প

এক সময় পূর্ণতা আসবেই

এক তরুণী তার বাবাকে সাথে নিয়ে গাড়ি ড্রাইভ করছিলো। কিছুক্ষণ পর আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেলো হঠাৎ করে তুমুল ঝড় এবং বৃষ্টি শুরু হলো। এবার তরুণীটি ভয় পেয়ে বাবাকে জিজ্ঞাসা করলো, বাবা কি করবো!পাশের সিট থেকে বাবা মেয়েকে সাহস যোগালেন,...

গল্প

অমরত্ব

০৭ জুলাই, ২০৫৬। ভোর ৪:০০ টা। সুলিভান তার কস্কোভাস রোডের বাসার বারান্দায় একা বসে আছে। রাস্তার পাশে ল্যাম্পপোস্টের নিচে একটা কুকুর ঘুমোচ্ছে। আশেপাশের অস্বাভাবিক নিস্তব্ধতা জীবনের অস্তিত্ব নিয়েই সন্দেহ তৈরি করে মাঝে মাঝে! বছর চারেক হলো কস্কোভাস রোডের এই বাড়িটা সুলিভান...

কবিতা

আষাঢ়ে গল্প

আষাঢ়ে গল্প  আষাঢ় -শ্রাবণ বর্ষাকাল চারিদিকে টালমাটাল কালো মেঘের আনাগোনা যখন তখন বৃষ্টি।  চারিদিকে কাদা-জল থেকে থেকে নামে ঢল একটানা বাদলায় কী যে অনাসৃষ্টি!  ফোটে ফুল কদম-কেয়া গুড় গুড় ডাকে দেয়া বিজলির চমকানি কেঁপে যায় প্রাণ।  ঝাঁকে ঝাঁকে দেশি মাছ আনন্দে করে নাচ ব্যাঙগুলো গলা ছেড়ে গেয়ে যায় গান।  এমন আষাঢ়ে গল্প নয় এ কাহিনী কল্প বাস্তবে দেখেছি অতীতকালে, কত কী...

মো আনছার আলী

মো আনছার আলী

Former Principal Officer, Sonali Bank Plc.

কবিতা

কবিতা সময় প্রপঞ্চ

সময়-প্রপঞ্চ জালাল উদ্দিন লস্কর  নয়ন ভরে অন্ধেরা দেখে এই সময়ে-খেমটাতালে কোমর দুলিয়ে নাচে খঞ্জ।বধিরেরও মন মজে মোজার্ট-লালিত্যে-বোবারাই দাপিয়ে কাঁপিয়ে তুলে মঞ্চ। প্রপঞ্চ, প্রতারক সময়ের এ মহা-প্রপঞ্চ।নষ্টরা এখন উল্লাসে মাতে করে  নির্লজ্জ উৎসবনষ্টদের জয়জয়কার সর্বত্র নষ্টরা দখলে নেয় সব।

বাংলা সাহিত্য

শঙ্খবীণা (৬)

২৬ এসেছিলাম পৃথিবীতে          পৃথিবীর মন জয় করতে, মানুষের জীবন হবে একটা          বিশ্বে দৃষ্টান্ত থাকবে এতটা; আফসোস রইল যত যেতে যেতে—                  পৃথিবী দূরে থাক নিজের উঠোনের যতনের ঘাস          আপন করে পারলাম না যেতে। এসেছিলাম পৃথিবীতে          পৃথিবীর মন জয় করতে॥  আমার ধারণাই ভুল          জুয়ারির মতো আশাকুল, আজ নাহয় কাল...

কবিতা

🍂 নির্বাসিত এ শহর 🍂

ফুরিয়ে যাচ্ছে বসন্ত,শিমুল-পলাশের গন্ধ মেখে।মাটির ভাজে পাতার ফসিলের মতোআমি কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছি।নির্বাসিত এ শহরে,আমি বারবার তোমার কন্ঠস্বর শুনছি;কী মায়া জড়িয়ে দিলে গৃহহীন এ শূণ্য বুকে,আমি শতবার হারিয়ে যাই ভালোবাসার সুখে। আমার দোষ কী বলো.?তোমাকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে,অষ্টপ্রহরের দিন-রাত্রী ধরে।এক খন্ড...

গল্প

এ কেমন প্রতারণা

১বছর পাঁচেক আগে প্রথম যখন শ্রীমঙ্গলে আসি তখন শ্রীমঙ্গলকে যেমনটা দেখেছি এবারও ঠিক তেমনটাই দেখছি। তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পর্যটন নগরী। পাহাড় আর টিলার মাঝ দিয়ে আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু রাস্তা। দু পাশে সবুজের সমারোহ। রেললাইনটা যেন চলে গেছে...

সমালোচনা

ভারতকে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট দেয়ায় বাংলাদেশের লাভ না ক্ষতি?

সম্প্রতি আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়ে ট্রানজিট বিষয়ে নেতিবাচক পোস্ট দেখছি। তাই বিষয়টির বিশদ বিশ্লেষণ জরুরি। প্রথমেই আমাদেরকে Transit, Transshipment, Corridor সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।ট্রানজিটঃপ্রথম দেশ, দ্বিতীয় দেশের ভূখণ্ড (Land) ব্যবহার করে যখন তৃতীয় দেশের জন্য পণ্য বহন করে নিয়ে যায়, তখন তা প্রথম দেশটির জন্য দ্বিতীয় দেশ থেকে পাওয়া ট্রানজিট সুবিধা বিবেচিত হয়৷ যেমন- বাংলাদেশকে ভারত ট্রানজিট দিলে, বাংলাদেশের পণ্যবাহী গাড়ি ভারতের ভূমি ব্যবহার করে নেপাল বা তৃতীয় কোন দেশে যেতে পারবে। অর্থাৎ Transit হতে অন্তত ৩টি দেশ হতে হয়। এখানে শুধু ২য় একটি দেশের ভূমি ব্যবহার করা হয়। যানবাহন ১ম দেশটিরই হয়।ট্রান্সশিপমেন্টঃএকটি দেশের পণ্যবাহী যানবাহনগুলো প্রতিবেশী একটি দেশের সীমান্তবর্তী বন্দরে গিয়ে মালামালগুলো ঐ দেশের নিজস্ব যানবাহনে তুলে দিবে।সেই যানবাহন গুলো মালামাল পরিবহন করে অন্যপ্রান্তের সীমান্তে অপেক্ষমান সে দেশের যানবাহনে তুলে দিয়ে আসবে নির্ধারিত ভাড়ার বিনিময়ে- এটাই ট্রান্সশিপমেন্ট। যেমন-ভারতের পণ্যবাহী জাহাজগুলো বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে এসে তাদের পণ্য গুলো খালাস করে। তারপর বাংলাদেশের ট্রাকগুলো সেই পণ্য বহন করে ভারতের আসাম-ত্রিপুরার সীমান্ত পর্যন্ত গিয়ে আবার ভারতের ট্রাকে তুলে দিয়ে আসে। ট্রান্সশিপমেন্ট স্থল বন্দর দিয়েও করা যায় এবং এতে অর্থনৈতিক ভাবে বেশি লাভবান হওয়া যায়।অর্থাৎ Transshipment এ ভূমি যার, যানবাহনও তার হতে হবে।করিডোরঃএকটি দেশের যানবাহন অন্য একটি দেশের উপর দিয়ে নিজের দেশের অন্য অংশে পৌঁছানোর সুযোগ পেলে যে দেশটির উপর দিয়ে গেল সেটা হলো তাদের জন্য করিডোর। যেমন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাদের কোন যানবাহন বাংলাদেশের উপর দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে গেলে ‘বাংলাদেশ’ হলো তাদের জন্য করিডোর। বাংলাদেশ ভারতকে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট দিয়েছেঃ ২০১০ সালে বাংলাদেশের সড়কপথ ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি হয়।ভারতকে বাংলাদেশ মূলত মাল্টিমোডাল বা বহুমাত্রিক ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিতে শুরু করেছে ২০১০ সালে৷ দুদেশের মধ্যকার নৌ প্রটোকলের আওতায় আশুগঞ্জ নৌবন্দর ব্যবহার করে এটি শুরু হয়৷ প্রথমে কলকাতা থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত নৌপথে, তারপর আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া-আগরতলা পর্যন্ত সড়কপথে ভারতীয় পণ্য পরিবহন করা হয় পরীক্ষামূলকভাবে ৷ এরপর ২০১৬ সালে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়মিত ব্যবস্থা হিসেবে চালু করা হয়৷বাংলাদেশের সড়ক ব্যবহারের জন্য ২০১৬ সালে নাম মাত্র মাসুল (টন প্রতি ১৯২ টাকা) ধার্য করা হয়।২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোয় নিয়মিতভাবে পণ্য আনা-নেয়ার দ্বার পুরোপুরি খুলে দিয়েছে বাংলাদেশ৷ এতে করে বাণিজ্যিকভাবে এই দুটি বন্দর ব্যবহার করতে পারছে ভারত৷ ভারতের প্রধান ভূখণ্ড থেকে জাহাজে আসা পণ্যগুলো বাংলাদেশি যানবাহনে তুলে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভেতরে আটটি রুট দিয়ে চারটি স্থলবন্দর হয়ে ভারতেরউত্তর পূর্ব রাজ্যগুলোয় নেওয়ার কাজটি হলো মূলত ট্রান্সশিপমেন্ট৷ একইভাবে ঐ রাজ্যগুলো থেকেও পণ্য চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে আবার ভারতে নেওয়া যাবে৷ ভবিষ্যতে কখনো যদি তৃতীয় দেশ (যেমন: সিঙ্গাপুর) থেকে আমদানিকৃত পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে খালাস করে ত্রিপুরা বা মেঘালয়ে নেয়া হয়, তাহলে তা একটি পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক ট্রানজিট ব্যবস্থায় রূপ নেবে৷এই সুবিধার আওতায় মূলত ভারতের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পণ্য আনা-নেয়া করা যাবে বাংলাদেশকে নির্ধারিত মাশুল (Toll) প্রদান করে৷ বাংলাদেশ ভূখণ্ডে পরিবহনের সময় বাংলাদেশী যানবাহন ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ভারতীয় কন্টেইনার পরিবহনে ন্যূনতম Toll (মাশুল) নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৮৯ টাকা।নেপাল ও ভুটানের সাথে ট্রান্সশিপমেন্টনেপাল ও ভুটান যথাক্রমে ১৯৭৬ ও ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশের সাথে ট্রানজিট চুক্তি করেছিল৷ কিন্তু তা কাজ করেনি নানা প্রতিবন্ধকতায়৷ এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে স্থলবন্দর ও ট্রানজিট রুটের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে ২০১০ সালের পর৷ বর্তমানে নেপাল ও ভুটানের ট্রাক ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত পণ্য বহণ করতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের ভেতর প্রবেশ করে মোংলা বা চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারে না৷ এক্ষেত্রে বাংলাদেশি ট্রাকে পণ্য নিয়ে ভারতীয় সীমান্তে গিয়ে তা খালাস করা হয়৷ তারপর আবার ভারতীয়, নেপালি বা ভুটানি ট্রাক তা তুলে নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে চলে যায়৷ এই ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবস্থা অনেকদিন থেকেই চালু আছে৷ বাংলাদেশকেও ফ্রি ট্রানজিট দিয়েছে ভারতঃ ইতোমধ্যে ২০২২ সালে ভারত বাংলাদেশকে বিনা মাশুলে তাদের স্থলবন্দর, বিমানবন্দর ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য পরিবহনের প্রস্তাব দিয়েছে৷ এতে করে বাংলাদেশের পণ্যবাহী ট্রাক এখন ভারতের নির্দিষ্ট স্থলবন্দর ও পথ হয়ে নেপাল ও ভুটানে যেতে পারবে৷ অবশ্য এর আগেই মাশুল দিয়ে ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে নেপালে সার রপ্তানিতে ট্রানজিট সুবিধা দিয়েছে ভারত৷ তবে এখনো সার্বিক ট্রানজিট ও ফ্রি ট্রানজিট সুবিধা পাওয়া যায়নি৷ নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে৷ বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) মোটরযান চুক্তি বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশের জন্য হয়তো আরেকটু সুবিধা হতে পারে৷ ভুটান অবশ্য এখনো এই চুক্তি অনুস্বাক্ষর করেনি৷রেল ট্রানজিট বা করিডোর ২৩শে জুন, ২০২৪ বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে রেল ট্রানজিট বিষয়ে আলোচনা হয়।ভারতের ট্রেন এতদিন বাংলাদেশের সীমান্তে এসে ইঞ্জিন পরিবর্তন করে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডের ওপর বাংলাদেশের ইঞ্জিনে চলতো কিন্তু এখন ভারতের রেলগাড়ি বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতের পূর্ব-পশ্চিমে সংযোগ স্থাপন করতে পারবে। MoU (Memorandum of Understanding) এর মূল বিষয়বস্তু হলো regional connectivity। ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্যই এমওইউ সই করা হবে।ভারতের সুবিধাঃ ১) ভারতের পশ্চিম পাশের রাজ্যগুলো থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহন খরচ অনেক কমে যাবে।ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার সঙ্গে কলকাতার দূরত্ব ১৬৮০ কিলোমিটার৷ আর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আগরতলার দূরত্ব মাত্র ২৪৮ কিলোমিটার৷ মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের সঙ্গে কোলকাতার দূরত্ব ১১৫০ কিলোমিটার হলেও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এ দূরত্ব ৫৭০ কিলোমিটার৷ মিজোরামের রাজধানী আইজলের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ৬৫৫ কিলোমিটার আর কলকাতার দূরত্ব ১৫৫০ কিলোমিটার৷ নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমার সঙ্গে বন্দরের দূরত্ব ৮৮০ কিলোমিটার হলেও কলকাতার দূরত্ব ১৪৫০ কিলোমিটার৷ কলকাতা থেকে অন্যান্য রাজ্যের দূরত্বও চট্টগ্রামের তুলনায় গড়ে তিন গুণের বেশি৷ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে পণ্য পরিবহণে ভারত সরকারের সময় ও অর্থ দুটিই বেশি যাচ্ছে৷ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে সাত রাজ্যে পণ্য পরিবহণ শুরু হওয়ায় এখন আগের চেয়ে ভারতের খরচ কমে যাবে৷ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যে পণ্য নিতে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে ৷ সময় এবং দূরত্বেও লাভবান হবে তারা৷ ২) ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারত মিয়ানমারসহ ASEAN ভুক্ত দেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে পারবে।৩) India এর "Look East Policy" এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের লাভ কী?কূটনীতির হাতিয়ারঃ ভারতকে প্রদত্ত এ বিশেষ সুবিধাটি ভারতকে ব্যাপকভাবে লাভবান করবে এবং ভারত বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। ভারতের এ নির্ভরতাকে বাংলাদেশ Bargaining Tool হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। যেমনঃ কোন এক সময় বাংলাদেশ বলল, তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি না হলে আমরা ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করে দেবো৷ তখন কিন্তু ভারত Consider করতে বাধ্য হতে পারে। ইতোমধ্যে ২০২৪ সালের ২৩ জুন স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকে তিস্তা প্রকল্পের বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। LDC উত্তরণে CEPA এর অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবেঃ ২০২৬ সালে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে Least Developed Country থেকে উত্তরণ করে Developing...

পোস্ট

🍂 বিষাদের গল্প 🍂

সকালের হিমশীতল কুয়াশা গুলো যখন বিন্দু বিন্দু শিশির কণা হয়ে প্রতিটা সবুজ ঘাসে জমা হয়; তখন পৃথিবীর অপর প্রান্তে আকাশের নীলিমায় কারো বিষাদের গল্প লেখা হয়। সে বিষাদ কতটা গভীর?হয়তো সমুদ্রের মত নয়তো মরুভূমির মত বিশাল। সে বিষাদের গল্পে লুকায়িত কাল-মহাকাল।...

কবিতা

বন্দী বিষন্ন

একটা শেষ সিগারেট জ্বলতে জ্বলতে পুড়ে যায় নিঃসঙ্গতা একটা রাত ফুরিয়ে আসতে আসতেজেগে যায় বন্দী বিষন্নতাএকটা হৃদয় কাঁপতে কাঁপতেভেসে যায় শূন্যতাএকটা চোখ শুকাতে শুকাতে নেমে যায় বৃষ্টিএকটা পাখি উড়তে উড়তেহেসে যায় শিকারীএকটা ঘোড়া ছুটতে ছুটতে শেষ হয় জীবনএকটা মুখোশ ভাবতে ভাবতেআমরা যা হই আমরা...

গল্প

জীবনবৃক্ষ

(অধ্যায় ১) জীবনবৃক্ষ  কেউ কখনও ভাবতেও পারেনি পৃথিবীর একদিন এমন পরিণতি হবে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নে যদিও আজ পৃথিবী অনেক এগিয়ে, কিন্তু তা স্বত্বেও মানবজাতি দুটো দলে বিভক্ত। সাধারণ জনগণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুন্দর জীবন-যাপন করতে চায়। আর অন্যদিকে এক অশুভ চক্র নিজেদের হীন...

মিলু আমান

মিলু আমান

রক যাত্রা, গানের মিলন, ফ্লয়েডিয়ান, বাংলার রক মেটাল

গল্প

Tree of Life

(chapter 1) Tree of Life No one ever imagined that one day the Earth would have such a catastrophic fate. Although the world as we know today, has come a long way in terms of technological innovations, yet it has divided the...

মিলু আমান

মিলু আমান

রক যাত্রা, গানের মিলন, ফ্লয়েডিয়ান, বাংলার রক মেটাল

পোস্ট

স্বামী স্ত্রী দুইজনারই পড়া উচিৎ এই লেখাটি।

স্বামী স্ত্রী দুইজনারই পড়া উচিৎ এই লেখাটি।সংসার একটা অভ্যেস, যা একসাথে থাকতে থাকতে গড়ে ওঠে, একে অপরের সাথে কথা বলতে বলতে, একে অপরকে সহ্য করতে করতে এইঅভ্যেস গড়ে ওঠে।সংসার মানে হলো একসাথে থাকতে থাকতে একে অপরের গায়ের গন্ধটা আত্মস্থ করে নেওয়া। সংসার মানে হলো মানুষটা মুখের সামনে এসে দাঁড়ালেই মানুষটার মনের ভেতর কি চলছে, সেটা বুঝে ফেলা।সংসার মানে হলো বর অফিস থেকে ফিরলে এক গ্লাস জল রোজই মুখের সামনে তুলে ধরা।সংসার মানে হলো ছেঁড়া বোতাম সেলাই করতে করতে নিজেদের ভেতর ভুল বোঝাবুঝি গুলো মাঝে মধ্যে সেলাই করে নেওয়া।সংসার মানে হলো এডজাস্টমেন্ট, "তোমার আমার" থেকে আমাদের হয়ে ওঠা। সংসার মানে মাছের ঝোলে নুন বেশি হলেও চুপচাপ হাসি মুখে খেয়ে ফেলা, সংসার মানে হলো রোজই বিছানার উপর রাখা নিজের পার্টনারের ভেজা গামছাটা মেলে দেওয়া।সংসার মানে হলো বিয়ের ডেট, একে অপরের জন্মদিনের তারিখ ভুলে গেলেও মানিয়ে...

পোস্ট

শিক্ষাকে ধ্বংস করতে পারলে বাকী যে সকল গুন থাকে তা ধ্বংস হ‌য়ে যা‌বে

স্মার্ট যু‌গের শিক্ষক‌দের সা‌থে কথা ব‌লে যা জানলাম তা হল শ্রেণি কক্ষে তিনি অ‌নেকটা অসহায়।ক্লাস রুম কন্ট্রোল করা যেন রীতিমতো যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ করার মত অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্লাসের সামনের সারির কিছু শিক্ষার্থী শিক্ষকদের কথা শুনলেও পেছনের দিকের সবাই নিজেদের ব্যক্তিগত...

পোস্ট

জীবনে যা কিছু করো নিজেকে খুশি রাখার

আমার এক শিক্ষক বলতেন, জীবনে যা কিছু করো নিজেকে খুশি রাখার মাধ্যম অন্য কারো মাঝে খোঁজার চেষ্টা করো না।কখনো কারো উপর এত এক্সট্রিম লেভেলের নির্ভরশীল হবে না যাতে তোমার এক্সপেকটেশন পূরণ না হলে মন ছোট হয়। বিশেষ করে মানসিকভাবে। তোমার মন খারাপ তুমি হেমন্তের গান শুনো, রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজ্রুল গীতি শুনো, নিজেকে এক কাপ গরম কফি বানিয়ে দাও, বিকেল বেলা মিষ্টি রোদে আপন মনে নিজের সাথে কথা বলো, পছন্দের লেখকের ব‌ই পড়ো। নিজের কোন বিশেষ ক্রিয়েটিভিটি থাকলে সেটা নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখো। অন্যকে ব্যঙ্গ করে স্ট্যাটাস লেখা, নিজের দুঃখ, দুর্বলতা জনসম্মুখে প্রকাশ করা কোন বুদ্ধিমান মানুষের কাজ নয়। খুব বেশি মন খারাপ হলে রুম অন্ধকার করে চুপচাপ বসে থাকো।যার যার ধর্ম অনুসারে প্রার্থনা করো।পুরানো কোন স্মৃতি মনে করো, হাসো, কাঁদো যাই করো নিজের সাথে নিজের এমন একটা সুন্দর সম্পর্ক তৈরি করো যাতে নিজের মন খারাপের দিনগুলোতে একটা কাঁধের প্রয়োজন না হয়। যদি কোন কাজে সফল হ‌ও নিজেকে ট্রিট দাও, যদি অকৃতকার্য হ‌ও নিজের সাথে অভিমান করো, নিজের সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হ‌ও।তবে অন্য কারো চোখে নিজের পারফেকশন খোঁজার চেষ্টা করো না। অন্যের চোখ তোমার ত্রুটিগুলোর মাঝে যখন তোমার গুণগুলো খুঁজে পাবে না তুমি কষ্ট পাবে, পারলে তুমিই পারবে।রেস্টুরেন্টে একা বসে খাওয়াটাকে নরমালাইজ করতে হবে, পার্কে নিজের সাথে সময় কাটাতে চাওয়াকে হাস্যকর কেন মনে হবে? যদি সম্ভব হ‌য় ফিনানসিয়ালিও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত  করতে হবে।যাতে তীব্র মুড সুয়িংয়ে নিজেকে একটা চকলেট উপহার দিতে পার, নিজের জন্মদিনে নিজেকে গিফট দিতে পারো অথবা পাড়ার সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে জন্মদিনের আনন্দ ভাগাভাগিকরো, নিজের পছন্দের ড্রেসটা টাকা জমিয়ে হলেও নিজের জন্য কিনতে দিতে পারো। মাঝে মাঝে নিজেকে কিছু ফুল দিবে। ঘরের এক কোণায় ফুল থাকবে, সুন্দর একটা গন্ধ ছড়াবে মন আপনা আপনি ভাল হয়ে যাবে।সবাইকে খুশি রাখাও তোমার দায়িত্ব না, দুনিয়ার কারো পক্ষেই সবাইকে খুশি করা সম্ভব না। যেখানে পারবে না, "না" বলাও শিখতে হবে। আমার বাবা- মা আমাকে এপ্রিসিয়েট করে না, আমার বন্ধু আমাকে সময় দেয় না, আমার কাছের প্রিয়জন আমার সাথে ঠিকমত কথা বলে না, আমার জন্য সময় নেই এসব উপদ্রবের সৃষ্টি করবে না।আমাদের ভাষায় যেটা এটেনশন অন্যের জন্য এই চাওয়াগুলো অযথা টেনশন মাত্র। কেন নিজেকে অন্যের বিরক্তির কারণ বানাবেন? একটা সুন্দর ব্যক্তিত্ব থাকার জন্য খুব কঠিন হ‌ওয়ার দরকার নেই শুধু নিজেকে অতটুকু ভালবাসলেই হবে যাতে অন্যের চোখে নিজের জন্য ভালবাসা খোঁজার প্রয়োজন না হয়।বর্তমান এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে মানুষের মন প্লাস্টিকের মতোই, কখন জানি রূপ বদলায় কারণে বদলায়, অকারণে বদলায়।তাই মনে হয় নিজের মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখা তুলনামূলক ভালো। 

পোস্ট

বাচ্চা জন্মের পর আমাদের দেশের বেশীরভাগ স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কেই ভাটা পড়ে

বাচ্চা জন্মের পর আমাদের দেশের বেশীরভাগ স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কেই ভাটা পড়ে। ২ জন বা ৩ জন বাচ্চা হলে তো কথাই নেই। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হয়ে যায় অনেকটা আবার ভাই-বোনের মতো। বাচ্চার পিছনে দৌড়ে দৌড়ে, সংসারের কাজ করে করে স্বামীর সাথে রোমান্টিক সম্পর্কের মুড আর তখন থাকে না। সম্পর্কে শুরু হয় নতুন করে  তিক্ততা।এদিকে দেশীয় কালচারে বাচ্চা নিয়ে ঘুমানো প্রায় সব পরিবারেই দেখা যায়। বাচ্চার বয়স ৫/৬/৭, কিন্তু মা বাবার সাথে শোয়।যেখানে আড়াই বা তিন হলেই বাচ্চাকে আলাদা করে দেয়া উচিত কারন এরপর বাচ্চারা বুঝতে পারে অনেক কিছুই। রাতে ঘুম ভেংগে সে মা-বাবাকে অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখলে তার মনে যেমন প্রশ্নের উদ্রেক হবে, তেমনি উল্টো দিকে বাচ্চার সাথে একসাথে শোবার কারনে দাম্পত্যে বিঘ্ন তৈরি হয়।বাচ্চার বয়স আড়াই বা তিন হলেই তাকে আলাদা করে দিন। এতে বাচ্চা কিন্তু কষ্ট পাবে না, কষ্ট পাবেন আপনি, বাচ্চা দূরে সরে যাবে মনে হবে। কিন্তু না, আসলে বাচ্চা দূরে সরে যায় না। এটা বাচ্চার ভালোর জন্য, আপনাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো থাকার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। বাচ্চার জন্য আলাদা বিছানা রেডি করুন। ওর রুমটাকে ওর পছন্দ মতো সাজিয়ে দিন।রাতে গল্প শুনিয়ে বা বই পড়িয়ে ওকে ঘুম পাড়ান। ঘুমিয়ে গেলে চলে আসুন আপনার রুমে। ও আপনার অনুপস্থিতি টেরও পাবে না।রাতে ও উঠতে পারে এই ভয় থাকলে একটা বেবি মনিটর কিনে নিন, দাম বেশি নয়। ওর মাথার কাছে মনিটর রেখে রিসিভার আপনার নিজের বালিশের কাছে রাখুন।রাতে উঠলে আপনি সাথে সাথে টের পাবেন, যেমনটা পেতেন আপনার সাথে ঘুমালে। আপনি তো জানেনই সকালে কখন উঠে। তার একটু আগে গিয়ে ওর সাথে শোবেন।ও ঘুম হতে উঠেও আপনাকে পাবে। রাতে যে আপনি ছিলেন না, তা ও বুঝবেই না।দ্বিতীয় সন্তান হলে বেশীর ভাগ মায়েরা প্রথম সন্তানকে অবহেলা শুরু করে। সব আদর যেন ছোট জনের জন্য, অথচ সে আদরের কিছুই বোঝে না আর যে বোঝে সেই বড় জনকে কথায় কথায় ডাক দেয়া, বকা দেয়া চলতে থাকে। মারের কথা তো বাদই দিলাম। স্বাভাবিকভাবেই তার মনে ছোট বাচ্চাটার প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়।ভাবে, ও না থাকলেই ভালো হতো, মা আদর করতো। অথচ মায়ের উচিত এই সময়ে বড় জনকে একটু বেশি করে সময় দেয়া, আদর করা। বড় জনকে বোঝানো যে তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা একটুও কমেনি। আপনি আর আপনার স্বামী দুজনেরই দায়িত্ব এটা।কখনো দুই বাচ্চার মাঝে তুলনা করবেন না কারন তারা দুজনই সম্পুর্ন আলাদা মানুষ। দুই বাচ্চার জন্য আলাদা নিয়ম বানাবেন না।একজনকে মোবাইল দেখিয়ে খাওয়াবেন, আরেকজনকে বলবেন খাওয়ার সময় নো ডিভাইস, তাহলে তো হবে না। দুই জনের বেড টাইম যেন এক হয়।কোন জিনিস কিনলে একজনের জন্য নয়, দুইজনের জন্যই কিনবেন। ছোটটির বয়স যখন আড়াই হবে তখন ওকেও আলাদা করে দিন, বড় জনের সাথে। দুই জন একসাথে ঘুমুবে বা একই রুমে দুটো বিছানায়।দিনে এক হতে দেড় ঘন্টা আলাদা করে রাখুন যখন পরিবারের সবাই মিলে সময় কাটাবেন। হাসি আনন্দ করবেন। বাচ্চাদের সাথে স্বামী স্ত্রী একসাথে খেলবেন।নিজের পার্টনারের দিকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে তাকাবেন। মেজাজ যদি বেশি খারাপ থাকে অকারণে, সরে যান প্রিয় মানুষগুলোর কাছ হতে তাদের আ*ঘাত করার আগেই।আলাদা রুমে বা বারান্দা বা ছাদে গিয়ে মেডিটেশন করুন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন যে কারনে আপনার মেজাজ খারাপ তা কতটা যুক্তিযুক্ত। গভীর নিঃস্বাস নিন।মন খারাপকে ছড়িয়ে দিন বাতাসে।সংসার তৈরি হয় স্বামী স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে। সংসারের কাজ করতে করতে এই মানুষগুলোই যেন অবহেলিত না হয় সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই। সকলের ভালোবাসার সম্পর্কগুলো অটুট থাকুক। 

পোস্ট

সারাদিন পরিশ্রম শেষে একজন স্বামী বাসায় ঢুকে কী প্রত্যাশা করে?

সারাদিন পরিশ্রম শেষে একজন স্বামী বাসায় ঢুকে কী প্রত্যাশা করে?একজন পুরুষ সারাদিন বাইরে কাজ করে আসে। সে হয় চাকরি করে অথবা ব্যবসা।রাস্তায়, অফিসে, মানুষের সাথে লেনদেনে কতো ঝামেলা পার করে সে যখন বাসায় প্রবেশ করে, তখন আশা করে যে- "বাসায় গিয়ে হয়তো একটু 'শান্তি' পাবো।"সারাদিন সে বসের ঝাড়ি খেয়েছে বা পাওয়ানাদারের কাছ থেকে কটু কথা শুনেছে। অন্তত আর না হোক রিক্সাওয়ালার সাথে দর কষাকষি নিয়ে তার মেজাজ খারাপ হয়েছে।এমন অবস্থায় সে চায় বাসায় গিয়ে একটু মেজাজ ঠান্ডা হোক। নারীরা সারাদিন ঘরে অনেক পরিশ্রম করে। ঘরের কাজ যতোই করা হোক না কেন, কখনো শেষ হয় না; হবেও না। আপনার স্বামী যখন ঘরে ঢুকবে, প্রথম অন্তত ১ ঘণ্টা সময় তাকে দিন শুধু মাত্র তাকে।পানি বা শরবত এগিয়ে দেয়া থেকে শুরু করে তোয়ালে এগিয়ে দেয়া, নাস্তা খেতে চাইলে সেটার ব্যবস্থা করা, রুমের ফ্যান চালু না থাকলে ফ্যান চালু করা ইত্যাদি।অর্থাৎ, প্রথম ১ ঘণ্টা সময় নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করুন, যেন সে সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে যেতে পারে। ঐ সময় ভুলেও স্বামীর মেজাজ খারাপ হয়, এমন কথা বলবেন না। যেমন:আজ প্লেট ভেঙ্গে গেছে, টাকা দিওআমাদের বাসা ভাড়া, কারেন্ট বিল কি দেয়া হইছে?সারাদিন কী করো? একটা বারও ফোন দিলা না?বাসার বাজার তো শেষ হয়ে গেছে। আজকে বাজার করবা?স্বামী বাসায় আসার পর অনেক স্ত্রী তোড়জোড় করে কাজ শুরু করেন। ছোটো সন্তানকে একটু পরে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো গেলেও স্ত্রী সেই মুহূর্তেই এটাকে প্রায়োরিটি দেন; অনেক স্ত্রী-স্বামীর কিছু লাগবে কিনা সেদিকে ভ্রুক্ষেপই করেন না। একজন স্বামীর কাছে যদি মনে হয় বাইরে থাকা আর ঘরে থাকা সমান বা ঘরের চেয়ে বাইরে থাকলেই মেজাজ ভালো থাকে; তাহলে স্ত্রী হিসেবে এটা আপনার ব্যর্থতা।টক্সিক হাজবেন্ড ছাড়া একজন সুস্থ-স্বাভাবিক হাজবেন্ডের সাথে যদি আপনি আয়োজন করে সুখী হতে চান, আপনি অনেকটাই সুখী হতে পারবেন। স্বামী ঘরে ঢুকার পর প্রথম ১ ঘণ্টা যদি নিজেকে তার জন্য ব্যস্ত রাখেন, তর্ক-ঝগড়া করার উপলক্ষ্য আসা সত্ত্বেও যদি চুপ করে থাকেন, তাহলে আপনি কিছুই হারাবেন না।বরং এই এক ঘণ্টার এফোর্টের ফলে সারারাতের জন্য আপনি আপনার স্বামীকে পাবেন, আবদার করার এমনকি ঝগড়া করার জন্যও রাতের কয়েক ঘণ্টা পাবেন।ঐ যে আপনি আপনার স্বামীকে খুব ভালোভাবে প্রায়োরিটি দিলেন, সে যদি আসলেই ভালো স্বামী হয় বা চেষ্টা করে, তাহলে অন্তত আপনার সাথে ঐ দিন ভালো ব্যবহার করবেই করবে। খাওয়া শেষে বলতে পারে- "থাক, আজকে আমিই তোমাকে চা বানিয়ে খাওয়াই।" দেখুন, একজন পুরুষের কাছে টাকা থাকলে বিল-ভাড়া সে পেন্ডিং রাখে না।এসব তাগাদা আপনি রাতে খাওয়া শেষেও দিতে পারেন। স্বামী সারাদিন কেনো ফোন দিতে পারেনি এটার পেছনেও স্ট্রং কারণ থাকতে পারে।সেই নিজ থেকে বলবে সারাদিন কীভাবে কাটিয়েছে। স্বামী ঘরে ঢুকার পর তাকে ওয়েলকাম করার জন্য আপনি কতোটা আন্তরিক, নিজের ইগো ১ ঘণ্টার জন্য হলেও বিসর্জন দিতে প্রস্তুত কি-না সেটার ওপর নির্ভর করবে ঘরে-ফেরা স্বামীর সাথে আপনার দিনের বাকি অংশ অর্থাৎ জীবনের বাকি অংশ কীভাবে কাটবে।  

গল্প

সুখ এবং দুঃখ দুটিই আমাদের জীবনের অংশ।

জাপানের তাকামায়া গ্রামে একজন জ্ঞানী ও বৃদ্ধ কৃষক বাস করতেন। কৃষক লোকটির একটা সুন্দর ও শক্তিশালী ঘোড়া ছিল। কৃষি কাজে, ভারী জিনিস বহনে ও নিত্য দিনের চলা ফেরায় ঘোড়াটিকে তিনি ব্যবহার করতেন। একদিন ঘোড়াটি হারিয়ে গেলো। তাকে আর খুঁজে পাওয়া গেলো না। কৃষকের স্ত্রীর খুব মন খারাপ। কিন্তু কৃষক লোকটির কোন অস্থিরতা নেই। তার কোন আফসোস নেই।হারিয়ে যাওয়া ঘোড়ার জন্য তার কোন দুঃচিন্তা নেই। তাকে দেখে মনে হচ্ছে কোন কিছুই যেন হারায়নি। আসে পাশের প্রতিবেশীরা এসে বললো, "তোমার কি দুর্ভাগ্য ! একটা মাত্র ঘোড়া তা ও হারিয়ে গেলো " এই কথা শুনে কৃষক লোকটি একটু মৃদু হেসে বললো, "হতে পারে!" তার কিছুদিন পর ঘোড়াটি আবার কৃষকের বাড়ি ফিরে আসলো এবং তার সাথে আরোও তিনটি বন্য ঘোড়া। কৃষকের বাড়িতে অনেক আনন্দ। শুধু হারানো ঘোড়া ফিরে আসেনি, তার সাথে আবার আরোও তিনটা ঘোড়া। প্রতিবেশীরা আবার দেখতে আসলো। সবাই লোকটিকে বলতে থাকলো, "তোমার কি সৌভাগ্য, হারানো ঘোড়া ফিরে পেয়েছো সেই সাথে আবার তিনটা বাড়তি ঘোড়া!"কৃষক আগের মতই হাসি মুখে বললো, "হতে পারে!"দুই দিন পর কৃষকের একমাত্র ছেলে একটা বন্য ঘোড়ায় চড়তে চেষ্টা করে কিন্তু ঘোড়া থেকে ছিটকে পড়ে যায় এবং পড়ে গিয়ে তার পা ভেঙে ফেলে। এই খবর শুনে প্রতিবেশীরা এসে খুবই আফসোস করলো। কৃষককে দুঃখ করে বললো, "এমন করে ছেলের পা ভেঙে গেলো, সত্যিই বড় দুর্ভাগ্য!"কথা শুনে কৃষক লোকটি মুচকি হেসে বললো, "হতে পারে!" পরদিনই কৃষকের বাড়িতে রাজার সৈন্যরা এসে হাজির। যুদ্ধের জন্য তারা গ্রামের যুবক ছেলেদেরকে ধরে নিয়ে যেতে এসেছে।কিন্তু কৃষকের ছেলের ভাঙা পা দেখে তাকে না নিয়েই চলে গেলো। এইবার প্রতিবেশিরা এসে সবাই বললো, "তোমার তো দেখছি অনেক বড় সৌভাগ্য, ছেলেকে আর যুদ্ধে গিয়ে মরতে হবে না"মৃদু হেসে কৃষকের সেই একই উত্তর, "হতে পারে!" আমাদের জীবনের ঘটনাগুলোও অনেকটা একইরকম। কোন ঘটনা কি প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে তা আমরা আগে থেকে জানি না বা জানতে পারি না।তাই, সাময়িক যে ঘটনা ভালো সেটা পরে ভালো না ও থাকতে পারে, ঠিক তেমনি ভাবে খারাপ ঘটনার পিছনেও অনেক ভালো কোনো ফল থাকতে পারে। জীবনে অন্ধকার যেমন আসবে, ঠিক তেমনিভাবে আলোও আসবে। সুখ এবং দুঃখ দুটিই আমাদের জীবনের অংশ। 

কবিতা

🍂 জলাঞ্জলী 🍂

ওরে ও পাষণ্ড!  চেয়ে দেখ ঐ মানুষ গুলো ;বোমার আঘাতে ভেঙ্গে চুরমার রক্তকণিকা গুলো।                যার চিবুক চিঁড়ে জীবন নিলি, মানবতা, ভালোবাসা দিলি জলাঞ্জলি,         তোর বুলেটে ঝাঁঝরা হাজারো প্রাণ,                তবুও নির্দয় তোর পাষণ্ড প্রাণ।যে বোমায় জ্বালিয়ে দিলি হাজারো প্রাণের দেশ,মানুষরুপী নেকড়ে তোরা,...

বাংলা সাহিত্য

শঙ্খবীণা (৭)

৩১ আমি ভুলিনি—না, ভুলিনি         আজও মনে পড়ে তোমাকে তুমি কেমনি—হাঁ, কেমনি         সহজে ভুলে গেলে আমাকে!                   এতটু কি মনে নেই? অবশ্য না থাকার কথাও যে          হলে সুখের জিন্দেগি সবই ভুলা যায় সহজে—         আমি ভুলিনি—না, ভুলিনি                   আজও মনে পড়ে তোমাকে॥  জানতে চাইনি—না, চাইনি         বাতাসে এনে দেয় খবর...

কবিতা

নীল নকশা

 হয়তো কোন একদিন কুয়াশা ভেঁজাকিংবা সোনালি আলো ঝড়া,কোন এক শুভ্র সকালে,কিংবা বিষন্ন দুপুরে তোমায় এক নজরদেখেই ভালোবেসেছিলো সে।তারপর কোন একদিন সময়ের ব্যবধানেতাকে ফেরাতে পারো নি তুমিও,,তোমার জন্মদিন, গোলাপ দিবস,চকোলেট দিবস, ভালোবাসা দিবস,কিংবা হঠাৎ কোন কারন ছাড়াই অনেক অনেক গোলাপ দিয়েছে সে,তোমায়...

কবিতা

নিমন্ত্রন

 প্রথম দেখাতে চোখ ফেরাতে পারিনি,পারিনি মনের দরজায় চাইনিজ কিংবাজাপানি মডেলের কোন দামী তালা ঝোলাতে।নায়াগ্রা জলপ্রোপাতের মতোইপিটুইটারি গ্রন্থির হরমোন,শুষ্ক নদীর ধুঁ ধুঁ বালির চর পড়া বুকে,প্রেমের জোয়ার তুলেছে বারবার।কৃষ্ণচূড়ায় ফুল ফুটেছে বছরের পর বছর,সোনালু ফুলও থেমে থাকেনি ফুটেছে সেও,থেমে থাকেনি জারুল...

চিন্তা

🍂 সফলতার মানে 🍂

আমার কাছে জীবনের মানে হচ্ছে অনুধাবন করা, মানুষ হিসাবে মানবিক শক্তি গুলোকে যতটুকু পারা যায় উন্মোচিত করা। মানবিক শক্তি গুলোকে যতটুকু সম্ভব সঠিক ব্যবহার করা। আমি ছোটবেলা থেকেই প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে, আমার মতে আমার প্রতিযোগী কেবল মাত্র আমি। নিজের প্রয়োজনে অর্থের পেছনে ছুটবো,...

গল্প

পেশা দেখে যেমন কাউকে বিচার করা যায় না, তেমনি বইয়ের মলাট দেখেও বই যাচাই করা যায় না।

পেশা দেখে যেমন কাউকে বিচার করা যায় না, তেমনি বইয়ের মলাট দেখেও বই যাচাই করা যায় না। রিক্সা থেকে নেমে ভাড়া দেওয়ার জন্য পকেটে হাত দিতে যাবো হঠাৎ দেখলাম রবিন চোখ মুছছে। ভাবলাম গামছা দিয়ে হয়তো ঘাম মুছছে কিন্তু ভাংতি টাকা ফেরত নেওয়ার সময় দেখলাম রবিন চোখের জল আটকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে। রবিন আমাদের এলাকায় সবার খুব পরিচিত রিক্সাওয়ালা আর পাঁচ জন রিক্সাওয়ালার মতো সে নেশা করে না। সারা দিনের উপার্জন সে রাতে এসে স্ত্রীর হাতে তুলে দেয়।গৃহিণীর সুনিপুণ পরিচালনায় তার সংসার দিব্যি চলে যায়। তাদের যাবতীয় স্বপ্ন একমাত্র সন্তান রাসুলকে নিয়ে। পড়াশোনায় দক্ষ রাসুল স্কুলের শিক্ষকদের কাছে খুবই প্রিয়।রবিন ও একসময় অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল কিন্তু ভাগ্য আজ তাকে ধাক্কা দিতে দিতে কোন এক সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাটুয়াটুলির রিক্সা স্ট্যান্ডে এনে ফেলেছে।এখন সে সারাদিন রিক্সা চালায় আর সুযোগ পেলেই মনের টানে কাগজ কলম নিয়ে বসে যায় ছড়া/কবিতা লিখতে।কৌতূহলী হয়ে একদিন জিজ্ঞাসা করলাম-"কি ব্যাপার রবিন? কাঁদছো কেন? বাড়িতে কোনো বিপদ?"-"ও কিছু না দাদা।" বলে জোর করে হেসে ভিতরের আবেগটাকে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলো কিন্তু ওর সমস্যাটা না শোনা পর্যন্ত শান্তি পাবো না। তাই বললাম-"চলো রবিন বাড়ি থেকে এক গ্লাস ঠান্ডা জল খেয়ে যাবে। যা ভ্যাপসা গরম পড়েছে আর পারা যাচ্ছে না।" রবিন কোনো দ্বিরুক্তি না করে আমার সঙ্গে সঙ্গে এলো।ঘরে ঢুকে গৃহিণীকে বললাম-"দুইজনকে ঠান্ডা জল দাও তো।" কিছুক্ষণের মধ্যেই দুইজনের জন্য লাড্ডু সহযোগে ঠান্ডা জল এলো। জল পান করতে করতে বললাম- "হ্যাঁ এবার বলো তো রবিন তোমার সমস্যা টা কি?" লজ্জায় মাথা নত করে রবিন সেই একই জবাব দেয়- "ও কিছু নয় গো দাদা।" তার পিঠে হাত রেখে স্বস্নেহে বললাম-"দেখো রবিন তুমি নির্দ্বিধায় আমাকে সমস্যার কথা বলতে পারো। পারলে সুপরামর্শই দেবো কিন্তু কোনো ক্ষতি করবো না।" আশ্বস্ত হয়ে রবিন হঠাৎ পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে বলে-"দেখো তো দাদা এই লেখাটা কেমন?" সাগ্রহে তৎক্ষনাৎ পড়ে বললাম-"বাহ! খুব ভালো তো কবিতাটা!"-"এই কবিতাটা আবৃত্তি করে আমাদের রাসুল বংশাল থানা জোনে প্রথম হয়েছে।"-"তাই! কার লেখা কবিতাটা? আগে তো কোনোদিন দেখিনি বা শুনিনি। " প্রশ্নটা এড়িয়ে রবিন কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বললো-"কিন্তু রাসুলদের স্কুল থেকে বলে দিয়েছে সাব ডিভিসনে এই কবিতা আর চলবে না আরো ভালো কোনো কবিতা তৈরী করতে হবে।"-"সে তো বুঝলাম কিন্তু এই কবিতাটা চলবে না কেন?" বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞাসা করতে আমতা আমতা করে রবিন বলে- "দাদা, ওটা আমি লিখেছি তো তাই।ওদের স্কুলের স্যার বলেছেন কোনো বিখ্যাত কবির কবিতা মুখস্থ করতে। তা না হলে প্রতিযোগিতায় দাঁড়াতে পারবে না।" রবিনের এই টুকটাক সাহিত্য চর্চার খবর আমরা শুনেছিলাম।কিন্তু কোনো দিন পরখ করিনি।অবাক বিস্ময়ে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম যে ছেলেটা সারাদিন রিক্সা চালায় তার কলম থেকে এমন কবিতা কি করে বের হয়! নয় নয়ে করে আমার বয়স তো কম হলো না। গল্প, উপন্যাস, কবিতা কম তো পড়িনি। তাই তার গুণাগুণ সম্বন্ধে একটু আধটু ধারনা তো হয়েছে। রবিনের এই কবিতা যে কোনো নাম করা কবির কবিতা অপেক্ষা কম নয় কিন্তু শুধু রিক্সাওয়ালার লেখা বলে তাকে স্বীকৃতি দিতে এতো দ্বিধা। মনের মধ্যে হঠাৎ একটা জেদ চেপে বসলো।চোয়ালটা শক্ত হয়ে এলো। রবিনের পিঠ চাপড়ে বললাম- "রবিন হাল ছেড়ো না। তোমার ছেলেকে নিয়ে আজ বিকেলেই আমার কাছে এসো। দেখি আমি কি করতে পারি।"সন্ধ্যার মুখে রাসুলকে নিয়ে হাজির রবিন। জানতে পারলাম স্কুল থেকে ওকে কবি সুকান্তের একটি কবিতা মুখস্থ করতে দিয়েছে।কিন্তু রাসুলের খুব ইচ্ছা সে তার বাবার কবিতা আবৃত্তি করবে।তার বিশ্বাস যে কবিতা তাকে বংশাল জোনে প্রথম পুরস্কার এনে দিয়েছে সেই কবিতাই তাকে সাব ডিভিসনে ও পুরস্কার এনে দেবে, কিন্তু ... সব শুনে রাসুলকে বললাম-"শোনো বাবা, সুকান্তর কবিতাটা তুমি মুখস্থ করো। স্কুলে ধরলে তুমি ওটাই বলবে। কিন্তু মনে মনে প্রস্তুতি নাও যে, তোমার বাবার কবিতাটাই তুমি সাব ডিভিসনে আবৃত্তি করবে।" আমার কথা শুনে চমকে ওঠে রবিন।- "কি বলো গো দাদা.. তাহলে.স্কুলে আর আমার ছেলেকে ঢুকতে দেবে?"- "চিন্তা কোরো না রবিন। এ যুগে পুরস্কারটাই কি সব?...

প্রবন্ধ

দেশ বিক্রি বনাম জাতি বিক্রি

দেশ আর জাতি যেমন এক বিষয় না, তাই বাংলা দেশ বিক্রি আর বাঙালি জাতি বিক্রিও এক বিষয় না।দেশ বিক্রি হয় জমিতে, জাতি বিক্রি হয় মগজে। জমি বিক্রি করলে মানুষ দেখতে পায়, চিৎকার করে, গল্পে-কবিতায় লেখে, ফেইসবুকে পোস্ট দেয়, পত্রিকায় ছাপায়...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

প্রবন্ধ

কে কার 'স্যার'?

 ঘটনা-০১২০০৮ সাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। লোক প্রশাসন বিভাগ।ভর্তির কাজ সম্পন্ন। অফিসে প্রবেশ করে সেখানে বসে থাকা ভদ্র লোককে জিজ্ঞাসা করলাম, " মামা, ক্লাস শুরু হবে কবে?" ভদ্রলোক নারাজ হয়ে ভ্রূ কুঁচকালেন, "আপনি আমাকে মামা বললেন কেন? এটাতো লোকাল বাস না?"আমি গ্রাম...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

প্রবন্ধ

রবি ঠাকুরের 'গোরা' পাঠ শেষে

 এক. গ্যেটে একটা কথা বলেছিলেন, "The decline of literature indicates the decline of a nation." গোরা পাঠ করতে করতে বারবার শুধু এটাই ভাবছিলাম যে, জাতি হিসেবে আমাদের যে অধপতনের যে কারণ তা গ্যোটের ঐ বাক্যেই বলা আছে। শুধু ভাষার সাহিত্যমান নয়,...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

কবিতা

ধূসর আঁধার

 অর্ধমৃত লাশটাকে ছিঁড়ে খায় শকুনেরা!ছোঁ মেরে যায় বাজপাখীদের দল! চোখ বুজে ঘুমায়- গদগদে শুকুরেরা!শুষ্কতা দিকেদিকে!বৃষ্টির তীব্রতা!তবুও যেনো চৌঁচির চারদিক!আতঙ্কিত বাবুই পাখীচুপটি করে থাকে সবুজখাঁচায়!ডানামেলার সাহস হারিয়ে ফেলে,মেরুদন্ড খুঁজে সহসায়!উত্তর আকাশ ঘনমেঘে ছাওয়া,ধূসর আঁধার! আলো নেই! নেই ক্ষ্ণীণ আশা!অর্ধমৃত লাশটাকে ছিঁড়ে খায় শকুনেরা!তবুও গদগদে...

প্রবন্ধ

আপনি, তুমি, তুইঃ সম্বোধনের খেলায় সামাজিক সম্পর্ক ও আধিপত্যের স্বরূপ বিশ্লেষণ

প্রারম্ভিকাসম্বোধন বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ।এর কিছু প্রচলিত নিয়ম আছে, কিন্তু প্রতিবেশভেদেনিয়মের চেয়ে ব্যতিক্রম অনেক বেশি। যেমন- ছেলে বাবাকে ‘আপনি’ বলে, বাবা ছেলেকে,‘তুই’ বা ‘তুমি’ বলে, কখনো ‘আপনি’ বলে না। এটা নিয়ম, তবে, ছেলে বাবাকে ‘আপনি’ না বলে ‘তুমি’ বলতে শোনা যায় অহরহ,...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

প্রবন্ধ

খাবার টেবিলে বসে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়

কোন এক বিখ্যাত মনীষী বলেছিলেন "বাঙালিদের খাবার জন্য খাদ্য আছে, পশ্চিমাদের খাদ্যের পাশাপাশি টেবিল ম্যানার আছে।" কথাটা গায়ে লাগার মতো কিন্তু কিছুক্ষন পরই মনে পড়লো অফিসিয়াল প্রোগ্রামে যখন কাউকে কাউকে পানির গ্লাসে ডাল ঢেলে নিয়ে তা আঙুল দিয়ে ঘুটে ঘটঘট...

প্রবন্ধ

ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়

আমি আমার বিশ্বাসের জায়গা থেকে বলি, আপনি আজকে যেখানে এসে দাঁড়িয়েছেন, আপনি মনে করেন আপনি এখানে আসতে চাননি, আপনি আরো বড় জায়গায় যেতে পারতেন, কিন্তু, আপনার জীবনে অনেক সমস্যা, অনেক বাঁধা। তাই আপনি আপনার কাঙ্খিত জায়গায় যেতে পারেনি। আমি বলি, আপনার...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

প্রবন্ধ

কাজী নজরুল সম্পর্কে যে ২০টি তথ্য আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন।

কাজী নজরুল সম্পর্কে যে ২০টি তথ্য আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন।কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ছিল বিচিত্র আর বহুবর্ণিল। তাঁর সেই জীবনের কতটুকুই-বা আমরা জানি? নজরুল-গবেষকদের লেখা বিভিন্ন বই ও পত্রিকা ঘেঁটে এখানে বিদ্রোহী কবি-সম্পর্কিত এমন ২০টি তথ্য তুলে ধরা হলো,...

ফিকশন

উদ্বাস্তু

পর্ব ০১ঃ রুমে ঢুকেই মনটা খাঁখাঁ করে উঠলো। ওর উপস্থিতি আমাকে বারবার মনে করিয়ে দিলো ও আর আমার জীবনে নেই। কাঁধ থেকে ব্যাগটা রেখে নাকেমুখে পানি দিলাম। একাকীত্বের ঘরটা মোটেও সুন্দর কিছু নয়। একটা একলা ঘর, দিনের আলো দেখে না, রাতে...

কবিতা

🍂 বঞ্চিত অধিকার 🍂

এই মানবের প্রতি ধিক্কার,প্রতি পদে বঞ্চিত অধিকার। সমাজের পথে পথে চলে কত অনাচার, নিশ্চুপ মানুষের পাশে হয় কত পাপাচার ;সমাজের পথে-ঘাটে শুধু বঞ্চিত অধিকার। এখানে মানুষের নেই কোনো আস্থা, একা একা পথ চলা বিপদের রাস্তা। চারপাশে হাহাকার, নেই কোনো প্রতিকার, ভয় থাকে শুধু জীবন টা হারাবার।এখানে...

প্রবন্ধ

পাক সার জমিন সাদ বাদ ও একজন হুমায়ূন আজাদ

"পাক সার জমিন সাদ বাদ ও একজন হুমায়ুন আজাদ" একজন লেখক বা সাহিত্যিকের কোন সাহিত্যকর্ম নিয়ে সমালোচনা করা যতটা না কঠিন তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন কাজ ঐ ব্যক্তিকে নিয়ে সমালোচনা করা। আমাদের বাঙালিদের মধ্যে প্রকৃত অর্থে কোন সমালোচক শ্রেণি গড়ে...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

প্রবন্ধ

সুন্দর জীবনের জন্যঃ অধ্যায়-০১

"যে সমস্যার কোন সমাধান নেই, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা পরিহার করুন।" আপনার সুন্দর ও সুস্থ জীবনের জন্য আপনাকে অবশ্যই কতগুলো নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে। সুস্থতা সৃষ্টিকর্তার এক বিশাল নিয়ামত এবং আমি বিশ্বাস করি, সবচেয়ে বড় নিয়ামতগুলোর মধ্যে একটি। সুন্দর জীবন, সুস্থ জীবন...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

প্রবন্ধ

সুন্দর জীবনের জন্যঃ অধ্যায়-০২

মুখ গোমড়া করে থাকবেন না- সর্বদা হাস্যমুখ থাকুন "========================================"শান্তির শুরুটা একটা হাসির মাধ্যমেই হয়"- মাদার তেরেসা।হাসিমাখা মুখের দুইটা খুব বড় প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, আপনার সদাহাস্যমুখ সবার কাছে আপনার একটি ইতিবাচক ইমেইজ তৈরী করবে। কারণ, মানুষ আপনাকে দেখে পুলকিত হবে। মনে...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

পোস্ট

বই পড়ুন জীবনের জন্য

বই পড়লেই কেউ জ্ঞানী হয়ে যাবে ব্যাপারটা আসলে তা না। বই পড়লে অনেক কিছু বদলে যায় এবং সুবিধা পাওয়া যায়। নিচের দশটি কারণে প্রতিটি মানুষেরই সময় পেলেই নিয়মিত বই পড়া দরকার-১) মানসিক উদ্দীপনা বাড়াতে: স্থবির মনের উদ্দীপনা বাড়াতে বইয়ের চেয়ে...

সমালোচনা

" শিক্ষা ব্যবস্থা এবং হতাশাগ্রস্ত ছাত্র সমাজ "

এইযে প্রগতিশীল প্রগতিশীল বলে কিছু মানুষ দিনরাত মাথা খুঁড়ে মরে আসলে কোথায় প্রগতি? প্রগতি হিসেবে আমি দেখতে পাচ্ছি ২৫ লাখের অধিক বেকার জনগোষ্ঠী, প্রগতি হিসেবে দেখতে পাচ্ছি  বাংলাদেশে স্নাতক পাশ বেকারের সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ, মোট বেকারের ১২ শতাংশ  উচ্চ শিক্ষিত,...

কবিতা

রৌদ্র দিনে

 প্রিয়তমা কোন এক রৌদ্রঝরা দিনে, ঘামে ভেঁজা টি শার্ট আরহাতে একটা ব্যাগ নিয়ে,এলোমেলো উষ্কখুষ্ক চুলেদেখবে ঠিকই হাজির হয়েছিতোমার সদর গেটে ।কলিংবেলের শব্দে,মনের গহীন কোন হতেউপলব্ধি করবে তুমি, দাঁড়িয়ে আছি আমি।দেখা হবে প্রিয়তমা উত্তপ্ত রোদেতোমার আমার,মুচকি হেসে বলবে তুমি," ভিতরে  এসো,ঠিকানা খুঁজে পেয়েছো তবে...

প্রবন্ধ

পাঠ, পাঠাভ্যাস ও পাঠক

আজকাল একটা কথা আমরা হরহামেশাই শুনতে পাই যে, পাঠাভ্যাস ও পাঠক সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। কথাটি এক অর্থে হয়তো ঠিকই আছে কিন্তু আমি কথাটির সাথে একমত নই বা ঢালাওভাবে এই কথার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে আপত্তি করছি। এই আপত্তির...

সাজ্জাদুল করিম

সাজ্জাদুল করিম

প্রাবন্ধিক, কলাম লেখক ও জেলা লাইব্রেরিয়ান, শেরপুর

পোস্ট

তোমাদের মধ্যে যে অংকটি পারবে তাকে আমি এক জোড়া জুতো গিফট করব।

অংকের শিক্ষক একটি অংক দিয়ে বলল - তোমাদের মধ্যে যে অংকটি পারবে তাকে আমি এক জোড়া জুতো গিফট করব।সকল ছাত্র অংকটি সঠিক উত্তর দিল।শিক্ষক: আমি তো একজনকে জুতো দিতে পারব। একটা কাজ কর, লটারি করি। বাক্সের মধ্যে তোমরা তোমাদের নাম...

প্রবন্ধ

🍂 ভালোবাসা আসলে কী?

নিজেকে কখনো প্রশ্ন করেছেন কেনো আমরা একজনকে ভালোবাসি; কিসের উপর ভিত্তি করে অপর একটি মানুষকে পছন্দ করি বা আকর্ষিত হই? প্রশ্ন টা কখনো হয়তো নিজেকে করা হয় না;আজকে নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন, ঠিক কী রকম উত্তর আপনার অন্তস্থল থেকে বের...

সমালোচনা

🍂 সৃজনশীলতা নাকি অশ্লীলতা?

এমন এক যুগে অবস্থান করছি যেখানে মনুষ্য প্রজাতি নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরার জন্য অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে নিজেকে খ্যাতনামা প্রমাণ করার জন্য এমন এক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেছে; যেখানে তারা বুঝতেই পারছে না কোনটি সৃজনশীলতা আর কোনটি অশ্লীলতা। রুচির...

চিন্তা

🍂 সবকিছু পাওয়া টা কি জীবনের পূর্ণতা?

সুখ/দুঃখ ব্যাপারটা আপেক্ষিক।পাওয়া না পাওয়ার হিসেব দিয়ে সুখ-দুঃখ মাপাটা বেশ কঠিন আবার বোকামিও। এই যেমন, বর্তমানে যে জিনিস টা আপনি  পেলেন নাহ অথবা ব্যর্থ হলেন,  তার জন্য আপনার নিদারুণ কষ্ট/যন্ত্রণা হচ্ছে। অথচ জীবনের কোনো এক ভবিষ্যতে দাঁড়িয়ে আপনি অতীতের এই...

সমালোচনা

🍂 দেশাত্মবোধ নাকি ভণ্ডামি?

ছোটবেলা থেকে দেখে দেখে বড় হয়েছি; প্রভাত ফেরী, মিছিল/মিটিং, দেয়ালিকা, পতাকা- নিশান, খালি পায়ে হেঁটে স্কুলে যাওয়া, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ মিনারে শত ফুলের তোড়া উৎসর্গ করতে, শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে....!!খুব সম্ভবত আমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময়, জীবনে একবার, কেবল একবারই...

চিন্তা

🍂 হাঁটতে হবে অনেকটা পথ 🍂

আপাত দৃষ্টিতে আমরা সবাই কোনো না কোনো দিক থেকে সৃজনশীল তবে কারো সৃজনশীলতা সুপ্ত কারো সৃজনশীলতা বিকশিত। মানুষ হিসেবে আমাদের কাজ নিজের শক্তিকে আবিষ্কার করা, নিজের সুপ্ত-গুপ্ত-অবিরুদ্ধ সেই আমিত্ব কে উন্মোচিত করা। যে আমিত্বের মাঝে লুকায়িত এই সৃষ্টির যত রহস্য...

পোস্ট

সময়ের প্রয়োজনে নিজেকে পরিবর্তন করাই প্রফেশনালিজম।

ভদ্রলোক নতুন চাকরিতে জয়েন করেছেন। চাকুরী পরিবর্তন করে খুবই চিন্তায় পড়ে গেছেন, এমনই চিন্তা যে সেটা মানসিক এবং পারিবারিক জীবনে ভয়ংকর প্রভাব ফেলছে। আমার সাথে যোগাযোগ করলেন সেই কারনেই। ভদ্রলোক জানালেন, তার ডিপার্টমেন্টাল হেড খুবই ডিমান্ডিং, সেটা সমস্যা না। সমস্যা...

গল্প

নিঃসঙ্গতার ক্ষণ

ছবি: ইন্টারনেট এক.ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা। লেকের একটুসখানি দূরে ছ’তলা একটি ভবন। বাউন্ডারি দেয়াল দিয়ে চারপাশ ঘেরা। বাউন্ডারির ভেতরে বেশ খানিকটা জায়গা খালি। রাস্তার পাশে বাউন্ডারি দেয়ালের ঠিক মধ্যখানে সুন্দর ডিজাইন করা একটা গেইট। গেটে ইউনিফর্ম পরা দারোয়ান। হোলস্টারে লাইসেন্স করা পিস্তল।...

বাংলা সাহিত্য

শঙ্খবীণা পর্ব (৮)

৩৬          যত দুঃখ যত কষ্ট এ এক জীবনেই দিলে তুমি                   তবু আনন্দ তবু খুশি দুঃখেই তো সব মহৎ কর্মী।          আকাশে যাকে দিলে স্থান হয়তো রাখলে না তার ভালো অবস্থান                   দুখীর সাথে তুমি আছ জেনে—দুঃখে বড় সন্তুষ্ট আমি॥           নাও নাও সব কেড়ে নাও আর কিছু যা...

গল্প

ঠান্ডা ঘর

এটিএম মেশিনের সামনে দাঁড়িয়ে বৃদ্ধা এক মা, ঝুঁকে পড়েছেন বয়সের ভারে। হাতে একটা ছোট কাপড়ের ব্যাগ আর এক হাতে এক সাধারন এক ফোন। ব্যাগের ভিতর কিছু প্রয়োজনীয় দলিল ও কাগজপত্র হবে হয়তো তাই বাইরে উঁকি দিচ্ছে।আমি বুথের ভিতর ঢুকতে যাচ্ছি এমন সময় হঠাৎ করে বৃদ্ধা টেনে ধরলেন হাতটা!বাবা, তুমি কি টাকা তুলবে?আমি ভাবলাম, এবার গেল বোধ হয় কিছু!বললাম হ্যাঁ, বলুন আপনার কি চাই? ক্ষণিকেই আমার ধারণা মিথ্যা প্রমানিত করে বৃদ্ধা বললেন, আমার কিছু টাকা তুলে দেবে কি- বাবা? আমি ওই ঘরে ঢুকতে কেন না জানি খুব ভয় পাই। আমার এই টাকাটার খুবই প্রয়োজন।আমি বললাম, চলুন ভেতরে।বৃদ্ধা বললেন, না বাবা আমি ওই ঠান্ডা ঘরে যেতে পারবো না। আমি বাইরে থাকছি তুমি আমাকে একটু কষ্ট করে যদি টাকাটা তুলে এনে দাও, এই নাও এটিএম কার্ড আর টাকা তোলার পিন নম্বরটা হল ১২১২।আমি তো অবাক, এই ভাবে কেউ কি এটিএম এর পিন বলে দেয় নাকি?বললাম, এই পিন নম্বর তো কাউকেই বলতে নেই।উনি বললেন, তাতে কি হয়েছে- বাবা? তুমি কি ওখান হতে বেশী টাকা তুলে নেবে, নাকি? না, না আমার মনে হয় সেটা হয়তো তুমি করতে পারবে না।অগত্যা বললাম, ঠিক আছে বলুন কত টাকা তুলবেন?বাবা, তুমি নয় হাজার টাকা তুলবে।হঠাৎ করে একটা দুষ্টু বুদ্ধি খেলে গেল মাথায়। আমি পরপর নয় হাজার টাকা তিন বার তুললাম। নয় হাজার এর বেশী হলে ফোনে আলাদা এমাউন্টের মেসেজ যাবে জানি। সেই জন্যই নয় হাজার করেই তুললাম অর্থাৎ দুইবারে বৃদ্ধার একাউন্ট হতে আঠারো হাজার টাকা পেলাম। আমি ভাবলাম এতে আর কি এমন পাপ হবে? এমন খারাপ কাজ জীবনে আর আমি কখনো করি নি কিন্তু আজ কেন না জানি আর লোভ সামলাতে পারলাম না। আগামীকাল বাবার অপারেশনের খরচটা এ টাকায় হয়ে যাবে। বাবা ছাড়া তো আমার আর কেউ নেই এই পৃথিবীতে, মাকে তো অনেক আগেই হারিয়েছি। বাবা আবার আগের মতো করে ভালো করে হাঁটতে পারবেন, নিলাম টাকাটা। গরীবের তো সব সময় ন্যায় নীতি দেখলে চলে না। এরপর নিজের একাউন্ট হতে দুই হাজার টাকা তুললাম। বাইরে বেরিয়ে নয় হাজার টাকা বৃদ্ধার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললাম- নিন মা!নয় হাজারই তুললাম, একটু মুচকি হেসে বৃদ্ধা টাকাটা নিলেন। সেই মুচকি হাসির কি অর্থ হতে পারে তা আমার জানা নেই। এটিএম কার্ডটাও ফেরৎ দিলাম। বৃদ্ধা আমাকে অনেক আর্শীবাদ করলেন।তারপর বললেন, এতগুলো টাকা আমি নিয়ে যাবো?আমার বড় ভয় হচ্ছে, একটু সাথে যাবে তুমি-বাবা? তুমি তো বাস থেকে নামলে দেখলাম। তোমার তো সাথে গাড়ি নেই, তাই না?ঐ সামনেই বোস পাড়ার বোধোদয় ক্লাবের উপর তলায় আমি থাকি। নীচের তলাটা ছেড়ে দিয়েছি ওদের ক্লাব করার জন্য। অনেক দিন ধরেই আমাকে অনুরোধ করে বলছিল ছেলেগুলো। অনেক ছেলে থাকে ক্লাবে সবসময়। ওরাই তো আমায় দেখে সময়ে- অসময়ে। একা মানুষ, এত বড় বাড়ি! ওখানে পৌঁছে দিলেই হবে- বাবা। ওই যে, টোটোটা যাচ্ছে ডাকতো বাবা ওটাকে। বৃদ্ধাকে সহ আমি উঠে বসলাম টোটোতে‌।বৃদ্ধা খুঁটিয়ে সব জিজ্ঞেস করতে লাগলেন।বললাম একটি বেসরকারি কোম্পানির ছোট কর্মচারী আমি, মাসে মাইনে তো আর বেশী পাই না, বিয়ে করেছি, একটি ছেলেও আছে, ওকে স্কুলে ভর্তি করব এবার, সংসারে মা নেই, সেই ছোট বেলায় মা মারা গিয়েছে, বাবা ও অসুস্থ, প্রায়ই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়, স্নায়ুর গোলমালের রোগ, কলকাতা নিয়ে গিয়ে অপারেশন করালে সারবে। এখন হাঁটতে পারে না তবে অপারেশন হলে হাঁটতে পারবে কিন্তু কুড়ি হাজার টাকা খরচ, কোথায় পাবো? চেষ্টা করছি যদি কোন ভাবে টাকা জোগাড় করতে পারি তাহলে বাবা আবার আগের মত সুস্থ হয়ে যাবেন। স্বাভাবিক ভাবে আগের মতো হাঁটতে পারবেন।কথা বলতে বলতে এসে গেছি উনার বাড়ীর কাছে।আমি এবার বললাম, আমি আজ তাহলে আসি- মা। কিন্তু বৃদ্ধা মা কিন্তু কিছুতেই ছাড়বেন না। উনি বললেন, তাই কি হয় বাবা?আমার বাড়িতে এসে একটু মিষ্টি মুখ না করে তুমি কি করে চলে যাবে?চলো ওপরে, নীচে সিঁড়ির পাশে ক্লাব ঘর, ক্লাব ভর্তি অনেক ছেলে, সবাই দেখছে আমাদের, সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে গেলাম। একটি মেয়ে মোটামুটি দেখতে সুন্দরী মেয়ে দরজা খুলে দিল।আমি বৃদ্ধাকে প্রশ্ন করলাম তবে যে বললেন, "একা থাকি‌?"বৃদ্ধা মা বললেন- ও কমলা, কথা বলতে পারে না তবে সব শুনতে পায়।আমার রান্না বান্না থেকে সব ওই করে, শুধু টাকা তোলার কাজটা করতে পারে না। বিরাট বড় বাড়ি, সামনের ঘরে আমাকে বসতে দিয়ে ভেতরে ঢুকে গেলেন বৃদ্ধা।একবার ভাবলাম পালিয়ে যাই কিন্তু না তা আর হল না।বৃদ্ধা মা ইশারা করতেই কমলা কয়েকটা মিষ্টি এনে দিল। অনেকগুলো বাহারী পদের মিষ্টি, সাথে কয়েকটা কাজু ও কিসমিস আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেললাম। আমি তাড়াতাড়ি পালিয়ে যেতে পারলে যেন বেঁচে যাই।বললাম, আমি এবার তাহলে আসি মা। বৃদ্ধা বললেন, একটু দাঁড়াও বাবা- আমি এক্ষুনি আসছি। এই বলে আবার ঢুকে গেলেন ভিতরে।বৃদ্ধা যখন ফিরে এলেন তখন ওনার হাতে দুই হাজার টাকা।বললেন বাবা, এটা নাও ।আমি বললাম এটা আবার কেন দিচ্ছেন?আমি আপনাকে টাকা তুলতে একটু সাহায্য করেছি মাত্র। তার জন্য আবার টাকা কেন?আমাকে অবাক করে দিয়ে বৃদ্ধা বললেন ওই যে, তোমার বাবার অপারেশন করাতে কুড়ি হাজার খরচ বললে। তোমার কাছে তো আঠারো হাজার আছে এই দুই হাজার না নিলে তো হবে না। তুমি যখন টাকা তুললে তিনবার, তখন আমার ফোনে পরপর তিন বার ম্যাসেজ এল যে, নয় হাজার করে তিনবার তোলা হল।আমি তো একজন রিটায়ার্ড শিক্ষিকা, মূর্খ তো আর নই। আমার স্বামী কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। এটিএম এর ঠান্ডা ঘরে টাকা তুলতে গিয়ে আমার চোখের সামনেই স্ট্রোক করে মারা যান। সেই থেকে আমি এটিএম এর ঐ ঠান্ডা ঘরে ঢুকি না। তারপর থেকে এটিএম এ যাই না। ওখানে ঢুকলে আমার মন খারাপ হয়ে যায় মনে হয় এই সেই ঠান্ডা ঘর যেখানে চির ঘুমে ঢলে পড়েছিল আমার প্রানবন্ধু, প্রান নাথ। তাছাড়া আমার কোন সন্তান সন্ততি নেই তাই আমার এই অঢেল সম্পত্তি কে ভোগ করবে? আমি প্রতিনিয়ত ভালো লোকের সন্ধান করার জন্য লোক খুঁজে চলছি যাকে আমার এই সম্পত্তির উত্তরাধিকার হিসেবে আমার সকল সম্পত্তি দান করে দিয়ে যাব। তোমাকে আমার বাড়িতে এনেছিলাম তোমার কাছ হতে টাকাটা ফেরৎ নেব বলে, আমি মনে ভেবেছিলাম তুমি অসৎ। ক্লাবের ছেলেদের বললে ওরাই তো টাকটা আদায় করে দিত তোমার কাছ থেকে কিন্তু তোমার চুরি করার উদ্দেশ্য শুনে বুঝলাম তুমি চোর নও। ভীষণ ভালোবাসো তোমার বাবাকে।যে সন্তান চুরি করে বাবার চিকিৎসার জন্য সে তো আর যাই হোক চোর নয়, বাবা। সে এক অসহায়, অসামর্থ্য সন্তান যার ইচ্ছা থাকার পরও বাবার চিকিৎসা করাতে পারে না।আমি নতজানু হয়ে বৃদ্ধা মায়ের পা এর কাছে ব্যাংক থেকে নেওয়া টাকাগুলো রেখে পা দুটো জড়িয়ে ধরে বললাম, আমাকে ক্ষমা করে দিন মা আর কখনো এমন করবো না।উনি আমাকে তুলে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। আমার দুই চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়তে লাগলো জল। চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে উনি বললেন যাও- বাবাকে সুস্থ করে তোল আরো টাকা লাগলে বলো আর আজ থেকে আমি তোমার মা, আমার সকল সম্পত্তি আজ থেকে তোমার নামে করে দিয়ে যাবো।এক করুনাময়ী এক নারীর মাতৃ স্নেহে স্নান করে শপথ নিলাম জীবনে আর কোন দিন কোন অন্যায় কাজ করব না। 

সমালোচনা

" সভ্যতার ছদ্মবেশ "

সভ্যতা মানুষকে বদলায় না মানুষ সভ্যতা কে বদলায়। তাই ক্ষীন সভ্যতার ছদ্মবেশ নয়, নিজেকে এবং নিজের দৃষ্টিকে সুন্দর সভ্যতার আদলে গড়ে তুলি।বর্তমান সভ্য সমাজে একটা জিনিস খেয়াল করলে দেখা যাবে, আমাদের দেশের ছেলেমেয়ে নায়ক-নায়িকা বা মডেলদের মত হতে চায়, তাদের...

পোস্ট

খুব আজব এক সময় এই ২২-২৮ বছর বয়সটা।

২২-২৮ বছর এই বয়সটা খুব অদ্ভুত একটা সময়। এই সময়ে দেখবেন কারো বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, কেউ জীবন নিয়ে খুব স্ট্রাগল করছে, কেউ হঠাৎ করে এই কম বয়সে সফলতার দেখা পাচ্ছে আবার কেউ কিছুই করতে না পেরে খুব হতাশ হয়ে যাচ্ছে।...

কবিতা

একা

আমি হারিয়েছি সব !না পাওয়াকে পাবার আশায়,অচেনা কে দেখিবার আশায়,শ্যাওলার মতো ভেসেছি সমুদ্র জলে,টুকরো সাদা মেঘের মতো ভেসেছি নীল গগনে,তবু পাইনি বৃষ্টির দেখা ,সব হারিয়ে আজ আমি একা  ।

কবিতা

আবেগি ভালোবাসা

আজ মন ছুঁতে চাই তোমায় । কালো কাজলে ঘেরা এ মায়াবী চোখের ভাষা বুঝতে চায় ।এ রাঙ্গা ঠোঁটের হাসির মাঝে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে চাই ।দোলনার মতো দোলা এ ঝুমকা কানের দুলে আমি দোল খেতে চাই ।তোমার পরনের লাল শাড়ির মতো নিজেকে...

পোস্ট

আল্লাহ যদি কারো মৃত্যু গভীর সমুদ্রে লিখে রাখেন

অসীম ক্ষমতাধর সৃষ্টিকর্তার অপূর্ব সৃষ্টি অপার রহস্যের আধার এই সাগর। সাগরের সব জায়গায় বিচরণ করার সামর্থ্য মানুষের হয় নি এখনও।ইচ্ছে করলেই মানুষ যখন তখন পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থান মাউন্ট এভারেস্টে উঠছে; কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও সাগরের সর্বনিম্ন স্থানে মানুষ পৌঁছাতে পারছে না।সাগরের সবচেয়ে গভীরতম স্থান মারিয়ানা ট্রেঞ্চের ‘চ্যালেঞ্জার ডিপ’। গভীরতা ১০৯৯৪ মিটার (৩৬০৭০ ফুট)। হিমালয় পর্বতকে (২৯০২৮ ফুট) অনায়াসে লুকিয়ে রাখা যাবে এখানে আর সাগরে ব্যপ্তি ও প্রসারতার পরিমাণ এখনো অপরিমেয়।সুবিশাল গভীর সমুদ্রে কত জাতের, কত বর্ণের, কত আকারের কত রকম প্রাণী যে বিদ্যমান তা একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন। গভীর সমুদ্রের নীচে নিকষ কালো অন্ধকার।পূর্বে মানুষের পক্ষে সর্বোচ্চ ২০-৩০ মিটার পর্যন্ত যাওয়া যেতো।মানুষ, বিশেষত: যারা সমুদ্রে মুক্তা সংগ্রহ করে, সাধারণত সমুদ্রের ২০ থেকে ৩০ মিটার পর্যন্ত গভীরে ডুব দেয়, যেখানে তারা সবকিছু পরিষ্কার দেখতে পায়। আলো যখন সাতটি রং (বেগুনী, নীল, সবুজ, কমলা, লাল, আসমানী, হলুদ) নিয়ে পানিতে প্রবেশ করে তখন প্রতি ১৫-২০ মিটার পরপর এক একটি অদৃশ্য হতে শেষ পর্যন্ত বেগুনি রংটি পানির ২০০ মিটার পর হারিয়ে যায়। গভীর সমুদ্র ও মহাসমুদ্রসমূহের গভীরে ২০০ মিটার ও তারও নীচে এক আঁধার পরিবেশ বিরাজ করে। এ পরিমাণ গভীরতায় প্রায় কোন আলো নেই আর প্রায় ১০০০ মিটার (৩২৮০ ফুট) গভীরতায় একদমই কোন আলো থাকে না। মহাসাগরকে দু’টি স্তরে বিন্যস্ত করা যায়। একটি হল উপরিভাগ আরেকটি হল নিম্নভাগ।সাধারণত উপরিভাগ বিশেষভাবে আলো ও উষ্ণতাপূর্ণ।অপর দিকে গভীরাংশ অন্ধকার ও শীতলতায় পূর্ণ আবার উপরিভাগ ঢেউ দ্বারা চিহ্নিত আর নীচের অংশ শান্ত বলেই পরিগণিত তবে কোন কোন সময় নীচের অংশেও প্রচন্ড ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। যা মেরিন বিজ্ঞানীরা ১৯০০ সনে আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। সমুদ্রের গহীন অন্ধকারে এবং অতল গভীরে মাছেরাও দেখতে পায় না।অন্য কোন প্রাণীর দেখার বিষয়টি তো প্রশ্নই আসে না। বিজ্ঞান এসব তথ্য আবিষ্কার করেছে অতি সম্প্রতি অথচ বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছে ১৪০০ বৎসর পূর্বেই।তরঙ্গের ওপর তরঙ্গ, ঢেউয়ের ওপর ঢেউ, বিষয়টি উপলব্ধির জন্য আমরা নিম্নোক্ত বর্ণনাটির প্রতি লক্ষ্য করতে পারি।এমন এক যুগে এ সকল তথ্য দেয়া হয়েছিল তখন সে যুগে এখনকার মতো ছিল না কোন ডুবুরি। না ছিল কোন জাহাজ, না ছিল কোন আবিষ্কৃত বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি।সেই যুগের মানুষের জানা ছিল না যে সাগরের অভ্যন্তরীণ তরঙ্গ রয়েছে।সাগরের গভীর তলদেশে রয়েছে অন্ধকার একথাও ছিল তাদের অজানা, আসলে এ ধরনের জ্ঞান সেই যুগে কোন মানুষেরই থাকা সম্ভব ছিল না।এখন দেখা যাক, বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ কতটা স্পষ্টভাবে এ বিষয়গুলো র্ব্ণনা করেছিল ১৪০০ বছর পূর্বে।"অথবা (তাদের কর্ম) প্রমত্ত সমুদ্রের বুকে গভীর অন্ধকারের ন্যায়, যাকে উদ্বেলিত করে তরঙ্গের উপর তরঙ্গ, যার উপরে ঘন কালো মেঘ আছে। একের উপর এক অন্ধকার।যখন সে তার হাত বের করে, তখন তাকে একেবারেই দেখতে পায় না। সৃষ্টিকর্তা যাকে জ্যোতি দেন না, তার কোন জ্যোতিই নেই।" (সুরা-আন নূর ৪০)আজকের যুগের সর্বাধুনিক বৈজ্ঞানিক তথ্য ও জ্ঞানের ভিত্তিতে প্রকাশিত যে, গভীর সাগরের তলদেশ অত্যধিক অন্ধকারচ্ছন্ন এবং সেখানে রয়েছে তরঙ্গ বা ঢেউ যেমন ঢেউ রয়েছে পানির  উপরিভাগে।উপগ্রহের মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক ছবি সংগ্রহ করে বিজ্ঞানীরা এসব তথ্য আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন অথচ আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বে পবিত্র কুরআন এ আজকের আধুনিক বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক আবিষ্কারগুলোর কথা নিখুঁত সত্যতার সাথে বলে দিয়েছে আর আল্লাহ যদি কারো মৃত্যু গভীর সমুদ্রে লিখে রাখেন তাহলে সে যেভাবেই হোক সেখানে পৌছে যাবে।টাইটান আর টাইটানিকের পরিণতি থেকে শেখার আছে অনেক কিছু। 

কবিতা

রক্ত দিয়ে কেনা

 রক্ত দিয়ে পেয়েছি মাটি! রক্ত দিয়ে দেশ! দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে,হোক না জীবন শেষ!ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি শুধু নয়এ যে আমার মাতৃভূমি !সকল বৈষম্যের অবসান করে,গাই স্বাধীনতার জয়ধ্বনি!দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত হোক,সবার মনে প্রাণে!তবেই যেনো অর্থবহ হবে! আমাদের স্বাধীনতার মানে! 

পোস্ট

শ্রদ্ধেয় আহমদ ছফার কিছু ঘটনা

শ্রদ্ধেয় আহমদ ছফার কিছু ঘটনা-একবার খালেদা জিয়া আহমদ ছফাকে ফোন করে দাওয়াত করেছিলেন। তিনি বেগম জিয়াকে বলেছিলেন, 'যেতে পারি এক শর্তে, আমাকে নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াতে হবে। কিছু দিন আগে শেখ হাসিনার কাছে গিয়েছিলাম, তিনি আমাকে রান্না করে খাইয়েছিলেন।...

কবিতা

বিপন্ন গনতন্ত্র

 চারদিকে চলছে খুনিদের তান্ডব,ধর্ষনের স্বর্গরাজ্য যেনো দেশ।অপরাজনীতির নীল বিষে পঁচে গেছে শির,অনৈতিকতার থকথকে পোঁকা,মস্তিস্কে করে ভীর। নির্যাতিতার আত্মত্যাগ -নাইলন রশির প্যাঁচে,কিংবা চলন্ত ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে। দুষ্ট ক্ষমতার পেশিশক্তিতে,আইন আদালত আজ নির্লিপ্ত,বিচারের নামে চলে প্রহসন!আইনের দালালগুলোর মিথ্যে প্রচার,অপরাধীকে নির্দোষ প্রমান করার।এ যেনো টাকার...

পোস্ট

ছেলেকে দেওয়া একজন আদর্শ বাবার উপদেশ

ছেলেকে দেওয়া একজন আদর্শ বাবার উপদেশঃ১. জুতা সেলাই বা রং করতে চাইলে মেরামতকারীর দোকানের সামনে পা বাড়িয়ে দিওনা, বরং জুতাটা খুলে নিজে একবার মুছে দিও।২. কখনও কাউকে কামলা, কাজের লোক বা বুয়া বলে ডেকোনা। মনে রেখো তারাও কারো না কারো...

কবিতা

নীলাবতী

 নীলাবতী নীলাঞ্জনা,আকাশের সমস্ত নীলে রঞ্জিত তুমি,তুমি সাগরের নীলে স্নাত, এক নীল পরী।তুমি নদী বিধৌত পলিমাটির, এক জীবন্ত কবিতা।

সমালোচনা

" ইংরেজি শেখা এবং শিক্ষিত হওয়া "

১৬০০ সালে ভারতবর্ষে বাণিজ্যের জন্য ইংল্যান্ডের একদল বণিক East india company গঠন করে। তারপর ১৬০৮ সালে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে ইংরেজরা সুরাটে প্রথম বাণিজ্যিক কুঠি স্থাপনের অনুমতি পায়। ধীরে ধীরে ১৭১৫ সালে মোঘল দরবার থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কে নিজস্ব...

পোস্ট

সফল ব্যক্তিরা প্রতিদিন একই পোশাক পরেন কেন?

সফল ব্যক্তিরা প্রতিদিন একই পোশাক পরেন কেন?★ সময়ের অপচয় রোধঃযখন আমাদের অনেক কাপড় থাকে, তখন আমরা সহজেই বিভ্রান্ত হই এবং কোন পোশাকটি পরবো তা বেছে নিতে সময় লাগে কিন্তু যদি আপনার পোশাকে শুধুমাত্র কালো টি-শার্ট এবং একই রঙের জিন্স থাকে...

গল্প

দুই "জেনারেশন" এর মধ্যে তুলনা...

দুই "জেনারেশন" এর মধ্যে তুলনা...একজন যুবক তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করেছিল: "আপনারা আগে কীভাবে থাকতেন?শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যানবাহন নেই, ওয়াইফাই নেই, কোন ইন্টারনেট নেই, কম্পিউটার নেই, অনলাইন শপিং নেই, টিভি নেই, মোবাইল ফোন নেই, শপিং মল নেই, মাল্টিপ্লেক্স নেই!"তার বাবা উত্তর দিলেন:"ঠিক...

গল্প

কি লাগবে বাজী!

ব্যাংকে এসে এক বুড়ি মহিলা ব্যাংক ম্যানেজারকে বললঃ আমি কিছু টাকা ব্যাংকে রাখতে চাই...ম্যানেজার জিজ্ঞেস করলঃ তা কত আছে?বুড়ি বললঃ হবে ১০ লাখের মত....ম্যানেজার বললঃ বাহ! আপনার কাছে বেশ ভালোই টাকা আছে। আপনি করেন কি?বুড়ি বললঃ তেমন কিছু না, খোকা।ক্রিকেটসহ...

গল্প

শ্ব শু ড় বাড়ি

শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখলাম শ্বাশুড়ির মন বিস্মিত এবং দুঃখিত। মুখে হাসি নেই, কেমন না জানি চুপচাপ হয়ে গেছে। ব্যাপার কি?স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্বাশুড়ি মা বিড়বিড় করে কি যেন বলছে। ওনার কথায় স্ত্রী একটু রাগান্বিত হলো মনে হলো। কিছু দুর্ঘটনা কি ঘটেছে গেছে এই বাড়িতে? স্ত্রী ফিরলো মুখ ভার করে। জিগ্যেস করলাম "কিছু হয়েছে কি?"স্ত্রী মুখে মিথ্যা হাসি এনে বললো "না, কি আবার হবে। তুমি রাতে কি খাবে?""তুমি তো জানো আমি বাছবিচারহীন। তাহলে আবার জিগ্যেস করছো কেন?""না এমনি। তুমি বসো আমি রান্না ঘরে মায়ের সাথে আছি।"এটা বলে স্ত্রী চলে গেলো। মনের খটকা আরো বাড়তে লাগলো। কথা বলার ভঙ্গিতে ফোনটা কানে রেখে রান্না ঘরের পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম।স্ত্রী বললো "এতোদিন পর লোকটা তোমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসলো আর বাড়িতে রান্নার কিচ্ছুই নেই! কি ভাববে বলতো লোকটা?"মা দুঃখীত স্বরে বললো "তোর ভাইয়ের কলেজে টাকা দিয়ে খুব হাত টানের উপর আছি রে মা। কি যে করি, বল তো?"স্ত্রী বললো "আচ্ছা, ডাল আর ডিম ভাজাই করো। ওর খাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা নাই।"মা চাপা স্বরে বললো "নতুন জামাই আসলো বাড়িতে। অথচ ভালো মন্দ খাওয়ানোর সামর্থ্য ও নাই যে আমাদের!"এসব শুনে ভীষণ ব্যথিত হলাম। আমাকে খাওয়ানো নিয়ে কেউ যে এতোটা ব্যস্ত হয়ে পড়তে পারে সেটা আমার ধারণাও ছিলো না।রাতেই বেড় হলাম বাজারের উদ্দেশ্যে। বাজার থেকে মাছ, তরিতরকারি, রান্নার উপকরণ যা লাগে সব কিনে বাড়ি ফিরলাম। হাত ভর্তি বাজারের ব্যাগ দেখে স্ত্রী বললো "তুমি কি বাজার করলে?""হ্যাঁ, আসার সময় দেখলাম বড় মাছটা রেখেছে, দেখে ভিষণ লোভ হলো। তাই নিয়ে এলাম।"ব্যাগ থেকে মাছটা বের করে উঠোনে রেখে বললাম "মা, কোথায় গেলেন?"মা এসে বাজার ভর্তি ব্যাগ দেখে বললো "ওমা, এতোসব বাজার কে আনলো?"স্ত্রী বললো "কে আবার, তোমাদের জামাই আনছে।"মা বোধহয় লজ্জা পেলেন কিন্তু...

গল্প

মেয়েদের সুখী হবার গোপন সূত্র

একজন স্বামী তার স্ত্রীকে কখন পাগলের মত ভালোবাসে জানেন? এক বৃদ্ধা মহিলার সাক্ষাৎকার। যিনি তাঁর স্বামীর সাথে সফলতার সাথে কাটিয়ে দিলেন দীর্ঘ পঞ্চাশটি বছর। তাদের জীবন শান্তিতে ভরপুর ছিল।ঝগড়া তো দুরের কথা, দাম্পত্য জীবনে কখনো কথা কাটাকাটি পর্যন্ত হয়নি। একজন সাংবাদিক এই বৃদ্ধার কাছে তার পঞ্চাশ বছরের স্থায়ী সফলতার রহস্যের ব্যপারে জানতে চাইলেন।কী ছিল সে রহস্য? মজার মজার খাবার বানানো? দৈহিক সৌন্দর্য? বেশী সন্তান জন্ম দেয়া? নাকি অন্য কিছু?বৃদ্ধা বললেন, দাম্পত্য জীবনের সুখ শান্তি প্রথমত সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছার উপর অতঃপর একজন স্ত্রীর হাতেই।একজন স্ত্রী চাইলে তার ঘরটাকে স্বর্গ বানাতে পারেন আবার চাইলে এটাকে নরকেও পরিনত করতে পারেন।কীভাবে? অর্থ দিয়ে? তা তো হতে পারে না। কেননা অনেক অর্থশালী মহিলা আছেন, যাদের জীবনে দুঃখ দুর্দশার শেষ নেই, যাদের স্বামী তাদের কাছেই ভিড়তে চান না।সন্তান জন্ম দান? না, তাও নয়। কারণ, অনেক মহিলা আছেন, যাদের অনেক সন্তান আছে, অথচ স্বামী পছন্দ করেন না। এমনকি এ অবস্থায় স্ত্রীকে দেওয়ার নজিরও কম নয়।ভালো খাবার বানানো? এটাও না, কারণ অনেক মহিলা আছেন, যারা রান্না বান্নায় বেশ দক্ষ, সারা দিন রান্না ঘরে কাজ করে, অথচ স্বামীর দুর্ব্যবহারের সম্মুখীন হন।তার কথায় সাংবাদিক বিস্মিত হয়ে গেলেন। বললেন, তাহলে আসল রহস্যটা কী? বৃদ্ধা বললেন, যখনই আমার স্বামী রেগে গিয়ে আমাকে বকাবকি করতেন, আমি অত্যন্ত সম্মান দেখিয়ে নীরবতা অবলম্বন করতাম এবং অনুতপ্ত হয়ে মাথা দুলিয়ে তার প্রতিটি কথায় সায়  দিতাম।সাবধান! বিদ্রুপের দৃষ্টিতে কখনো চুপ হয়ে থেকো না, কেননা পুরুষ মানুষ বিচক্ষণ হয়ে থাকে, এটা সহজেই বুঝতে পারে।সাংবাদিক: ঐ সময় আপনি ঘর থেকে বের হয়ে যান না কেন? বৃদ্ধা: সাবধান! সেটা কখনো করবেন না। তখন তিনি মনে করবেন, আপনি তাঁর কথায় বিরক্ত হয়ে পালাতে চাচ্ছেন।আপনার উচিত, চুপ থেকে ওর প্রতিটি কথায় হ্যাঁ সুচক সায় দেওয়া, যতক্ষণ না তিনি শান্ত হন।অতপর আমি তাকে বলি, আপনার শেষ হয়েছে? এবার আমি যেতে পারি? তারপর আমি চলে যাই, আর আপন কাজে লেগে যাই।কারণ চিৎকার করে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, তার বিশ্রাম প্রয়োজন।সাংবাদিক: এরপর কি করেন? এক সপ্তাহ খানেক তার থেকে দূরে থাকেন, এবং কথা বলা বন্ধ রাখেন নিশ্চয়?বৃদ্ধা: সাবধান! এধরনের বদভ্যাস থেকে দূরে থাকুন। যা দুধারী তরবারির চেয়েও মারাত্মক। স্বামী যখন আপনার সাথে আপোষ করতে চান তখন যদি আপনি তার কাছে না যান, তখন তিনি একা থাকতে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন।কখনো কখনো এ অবস্থা তাকে প্রচন্ড জিদের দিকে ঠেলে দেবে।সাংবাদিক: তাহলে কি করবেন তখন?বৃদ্ধা: দুই ঘন্টা পর এক গ্লাস দুধ বা এক কাপ গরম চা নিয়ে তার কাছে যাই আর বলি, নিন, এগুলো খেয়ে নিন, আপনি খুব ক্লান্ত। এসময় তার সাথে অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলি।তারপর তিনি বলেন, রাগ করেছো? আমি বলি, না।তারপর, তার দূর্ব্যবহারে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং স্নেহ ও ভালোবাসার কথা বলেন।সাংবাদিক: আপনি কি তার কথা তখন বিশ্বাস করেন?বৃদ্ধা: অবশ্যই। কেন নয়? শান্ত থাকা অবস্থায় যা বলেন তা বিশ্বাস না করে, রাগান্বিত অবস্থায় যা বলেন তা বিশ্বাস করবো?সাংবাদিক: তাহলে আপনার ব্যক্তিত্ব?বৃদ্ধা: আমার স্বামীর সন্তুষ্টিই আমার ব্যক্তিত্ব। আমাদের স্বচ্ছ সম্পর্কই আমাদের ব্যক্তিত্ব আর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোন ব্যক্তিত্ব থাকে না।যার সামনে তুমি পুরোপুরি ভাবে বস্ত্রমুক্ত হয়েছ, তার কাছে আবার কিসের ব্যক্তিত্ব?সংসারে সাড় বলতে কিছুই নেই, সবই অসাড়। তাই সংসারে সুখের বিষয়ে উভয়কেই ত্যাগ, সম্মান ও মর্যাদা প্রকাশ করা বাঞ্চনীয়। সব সময় মনে রাখবেন, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। 

সমালোচনা

Give and Take

Give &Take অথবা দেয়া-নেয়া ;এই শব্দ দুটোর সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আচ্ছা বলুন তো এই পৃথিবীতে এমন কয়টা সম্পর্ক রয়েছে যেখানে এই দুটো শব্দের প্রভাব নেই?মায়ের ভালোবাসা থেকে শুরু করে সমাজের নানা সম্পর্কের সাথে আষ্টেপৃষ্টে জরিয়ে...

ফিকশন

" দ্বৈত সত্তা এবং সিজোফ্রেনিয়া "

সিজোফ্রেনিয়া " শব্দ টি  অনেকের কাছেই হয়তো নতুন। তবে নতুন শব্দ হলেও এই রোগটি অপ্রচলিত নয়। রোগটি একটি মানসিক রোগ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের “সিজোফ্রেনিয়াক” [Schizophreniac] বলা হয়।সিজোফ্রেনিয়া শব্দটির উৎপত্তি গ্রীক শব্দ “সিজো” এবং “ফ্রেনিয়া” হতে। গ্রীক শব্দ “সিজো” অর্থ...

কবিতা

সু-প্রভাত

সু-প্রভাত --          কেমন আছো তুমি? ঘুম হয়েছে ঠিকমতো! সারাদিনের ক্লান্ত দেহখানা কুসুম রোদের আলোয় ঝরঝরে হয়েছো তো! নাকি শীতের দিনের মতো জবুথবু এখনো!আমি বেশ আছি- রাজহংসের মতো স্বচ্ছজলে সাঁতার কাটি,নীল আকাশে ডানামেলে দেই -শঙ্কচিল ঈগলের মতো।ছুটে চলি...

কবিতা

চলে এসো প্রিয়তমা

প্রিয়তমা--           তোমার শহরে চলে-নীল আকাশ দখলের প্রতিযোগিতা!চলে চাঁদের আলোর সাথে, সোডিয়াম বাতির অভিযোগ অভিমান!তোমার শহরে পাখী ডাকে না,বসন্তের আগমন নেই হাজার বছর ধরে!চারদিক রুক্ষ শুষ্ক মলিন! সেখানে এখন বসে না প্রজাপতির মেলা!রাতের স্নিগ্ধতা রুপ নিয়েছে রুক্ষতায়!মানুষ মানুষের ভেদাভেদ...

কবিতা

আমি বাঁচতে চাই

 এখানে আলো আছে!আলোর স্নিগ্ধতা নেই!আলোর মাঝে দেখি- ঘন আঁধারের হাতছানি!এখানে বাতাস আছে!বাতাসে বিশুদ্ধতা নেই!বাতাসের মাঝে দেখি - বিষের মাখামাখি!এখানে নীল আকাশ আছে!নীলের মাঝে শুভ্রতা নেই!খোলা আকাশে দেখি- পাখীদের পায়ে বেড়ি!এখানে জল আছে!জলের মাঝে নেই জীবনের ছোঁয়া!জলের মাঝে দেখি- মৃত্যুর প্রতিচ্ছবি!আমি সোনালী...

সমালোচনা

" শিক্ষা, অপশিক্ষা এবং অপসংস্কৃতি "

সহজ ভাবে বলতে গেলে আচরণের ইতিবাচক পরিবর্তন হলো শিক্ষা। শিক্ষা হলো ব্যক্তির অন্তর্নিহিত সম্ভাবনার পরিপূর্ণবিকাশের অব্যাহত অনুশীলন। তবে শিক্ষিত হওয়ার চেয়েও ভালো মানুষ হওয়া যে খুব বেশি প্রয়োজন এতে সন্দেহ নেই। কারণ - "প্রাণ থাকলে প্রাণী হয়, মন না থাকলে মানুষ...

পোস্ট

জীবনে প্রচন্ড আঘাত পাওয়া মানুষগুলো

জীবনে প্রচন্ড আঘাত পাওয়া মানুষগুলো একসময় ম্যাচিউর হয়। দিনের পর দিন অতি প্রত্যাশিত জায়গাগুলো থেকে যখন একের পর এক অপমান, আঘাত, লাঞ্চনা পেতে থাকে তখন এই মানুষগুলো বুঝতে শিখে, এই পৃথিবীতে অতি প্রত্যাশিত জায়গাগুলো থেকে কেবল মাত্র অপমান আর লাঞ্চনা...

সমালোচনা

" ধর্মে নয় কর্মে মুসলিম হও "

চেতনা কে লালন করে আপনি একজন দেশপ্রেমিক হয়ে উঠবেন ঠিকই কিন্তুু ইসলাম কে লালন করে যদি আপনি খাঁটি মুসলিম হতে না পারেন তবে আপনার চেয়ে দূর্ভাগা আর কে হতে পারে?বাঙ্গালী জাতি বড় কঠিন জিনিস! জাতির দিক থেকে আমরা সংকর জাতি, আচরণগত...

সমালোচনা

" বিবাহ এবং মডারেট মুসলিম "

আপনি যদি ভেবে থাকেনবিয়ে মানেই বন্দী জীবন এবং নির্ভরশীল জীবন তবে আপনি ভুল ভাবছেন। বিবাহ সমাজের সবচেয়ে সুন্দর একটি জিনিস। তবে একটি সংসার বা পরিবার ভালো কিংবা খারাপ;  তা নির্ভর করে কোনো পুরুষ কীভাবে একটি পরিবারকে নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং কীভাবে...

পোস্ট

" প্রেম এবং প্রেমিকা "

কোনো এক ব্যক্তিকে কৌতুহল বশত একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছিলাম- ভাই আপনার প্রেমিকা যখন তার ছেলেবন্ধুদের সাথে আলাদা ভাবে ঘুরাফেরা করে তখন সেই মুহূর্ত গুলোতে আপনার কেমন অনুভব হয়? উত্তর : আমাদের রিলেশনের প্রথম দিকে আমি আমার - গার্লফ্রেন্ড কে কখনো তেমন কিছু...

সমালোচনা

" আধুনিক সমাজ এবং আমাদের ভুলগুলো "

একটা স্বাভাবিক বিষয় ; অথচ আমরা ক্রমাগত  ভুল করে যাচ্ছি। অবশ্য এই ভুল গুলো তৈরীর মূল কারিগরি আমাদের সমাজের ইতর-ভদ্র টাইপের কিছু মানব-মানবী এবং সোশ্যাল মিডিয়া। যারা নিজেদের কে আধুনিক, স্মার্ট এবং তথাকথিত জ্ঞানী মানুষ মনে করে থাকেন। এরা ভাবে...

প্রবন্ধ

" নগ্নতা ও সভ্যতা এবং পোশাক "

নগ্নতা ও সভ্যতা একে অপরের বিপরীত হলেও একটি শব্দের থেকে আরেকটি শব্দের যে বিবর্তন, তার পরিধি ব্যাপক। নগ্নতা তো আমরা সবাই বুঝি কিন্তুু সভ্যতা?সভ্যতা বলতে শুধু আগুন আবিষ্কার কে বোঝায় না, সভ্যতা বোঝায় দিনে দিনে মানুষের চিন্তাধারা ও মননের ব্যাপকতা।...

প্রবন্ধ

" ভালোবাসার এপিঠ ওপিঠ "

আল্লাহর এই সৃষ্টি জগতে ভালোবাসাই হলো প্রথম সম্পাদিত ক্রিয়া বা কর্ম। ভালোবাসা মৌলিক মানবীয় গুণাবলির একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ গুণ। মানবীয় গুণাবলি বিকাশে বা উত্তম চরিত্রের উৎকর্ষ সাধন ও সুকুমারবৃত্তি অর্জনের মূলে রয়েছে বিশ্বাস, আশা ও ভালোবাসা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম...

গল্প

বাজার বিড়ম্বনা

সত্যিই বলছি! পাগল করে দিল! জীবনটা একেবারে বরবাদ করে দিল!এই যে শোনো সকাল থেকে যে মোবাইল নিয়ে খুটখুট করছো, বাজারটা কখন যাবে শুনি?এই তো, রেডি হচ্ছি, কী কী লাগবে?কিছুই তো নেই সবই লাগবে।দাঁড়াও ফর্দ করে নিচ্ছি।এই কয়টা মাল তাও ফর্দ? মেমোরি তোমার এতই কম?ঠিক আছে বলো কী কী লাগবে?শোনো- আলু আনবে দুই কেজি, মাঝারি সাইজের চন্দ্রমুখী, সবুজ, দাগী যেন না হয়। পটল পাঁচশো, বড় দেখে, কিন্তু বীজ যেন না হয়। ঢ্যাঁড়স আড়াইশো, কচি দেখে, আঙ্গুল দিয়ে ডগা ভেঙে দেখে আনবে। উচ্ছে দুশো, করলা আনবে না কিন্তু!আর কিছু?হ্যাঁ, আদা শুকনো দেখে একশো, পিঁয়াজ পাঁচশো, গোলাপী দেখে নেবে, পচা আর সাদাটে দেখলে নেবে না, সজনে ডাঁটা সরু দেখে একশো, টমেটোর কথা তো তোমার মনেই থাকে না যবে থেকে দাম বেড়েছে, লঙ্কা নেবে একশো সরু দেখে, পারলে একটা ভেঙে খেয়ে দেখবে, পেঁপে নেবে বড় দেখে একটা, কয় দিন ধরে খুব রিচ খাওয়া হয়েছে, একবার নখ দিয়ে খুঁচিয়ে দেখে নেবে আঠা বেরোচ্ছে কি না?আর?একটু শাক নিয়ে নিয়ো, তবে দেখো জল দেওয়া যেন না হয় আর বেগুন নেবে দুই তিনটা, কানা বা পোকা যেন না হয় আর ভিতরে বীজ যেন না হয়!বেগুনের ভেতর ঢুকবো কীভাবে?তুমি চুপ করো, সবাই তোমায় ঠকায়, যত পচা-ধচা মাল তোমায় গছিয়ে দেয়!আর কিছু লাগবে?একটু ফল এনো, কলা, কালো আর কাঁচা যেন না হয়, পেয়ারা আনবে ডাঁসা দেখে কটা আর শসা অবশ্যই আনবে, তবে হাইব্রিড নয়।মাছ টাছ কিছু লাগবে না?ও মা, সেটা আবার আলাদা করে বলতে হবে নাকি?কাটা পোনা পাঁচশোর মত নেবে আর জ্যান্ত মাছ যদি নাও অবশ্যই কাটিয়ে আনবে, যদি পারো তো একটু ঘুষো চিংড়ি নিয়ো আর চিকেন কিছুটা নিয়ে এসো, তবে হাড় দেখে আনবে।এবারে বেরোই তাহলে?হ্যাঁ যাও, একটু টক দই এনো তো আর কিছু মিষ্টি এনে রেখো।সিঁড়ি দিয়ে নামতে ভেসে এল একটা সর্ষে গুড়োর প্যাকেট আর অল্প গরম মশলা এনো কিন্তু।বাজারে পৌঁছে ফোনে ভেসে এল একটু পাকা তেঁতুল, কালো দেখে আর নতুন ফুলকপি উঠেছে পাশের বাসার মাসীমা বলছিলেন, পারলে দুটো নিয়ে এসো।বাজার সেরে মুদি দোকানে ঢুকতেই ফোন, একটা চিকেন মশলা আর একশো বড়ি নেবে, বিউলির ডাল দিয়ে তৈরী কি না ভালো করে জিজ্ঞেস করে নেবে।বাড়ির পথে রওনা হতে হতে ভাবছিলাম আজকে কী মেমরি টেস্টে পাশ করবো, না কি ফেল!ঘরে থলে রাখতে না রাখতেই শুনতে পেলাম সেই এত করে তোমাকে বললাম যে, অল্প পোস্ত আর পাঁচফোড়ন আনবে সেই ভুলেই গেলে!কখন বললে?কেন তুমি যখন সিঁড়ি দিয়ে নামছিলে তখন! এই সামান্য কয়টা জিনিস ও মনে থাকে না তোমার!!! 

পোস্ট

যারা দাম্পত্য জীবন নিয়ে অশান্তিতে আছেন 

যারা দাম্পত্য জীবন নিয়ে অশান্তিতে আছেন লেখাটি তাদের জন্য।সম্পর্কের প্রথমে হলো বিশ্বাস। এই বিশ্বাসটাই একটা সম্পর্কের মূল, যে সম্পর্কে বিশ্বাস নেই সে সম্পর্ক টিকে থাকে না।সম্পর্কের দ্বিতীয় হলো সন্মান। যে সম্পর্কে সন্মান নেই একজন একজনকে সন্মান দেয় না, সে সম্পর্ক টিকে থাকে না।সম্পর্কের তৃতীয় হলো সেক্রিফাইস। এই সেক্রিফাইসটা যদি দু'জন দু'জনকে সেক্রিফাইস করতে না পারে, সে সম্পর্ক টিকে থাকে না।সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় ব্যাক্তি। সম্পর্কের মধ্যে কখনো তৃতীয় মানুষকে সুযোগ দিবেন না।তাহলে ওই সম্পর্ক টিকে থাকবে না।এবার আসি মূল কথায়একটা সম্পর্কের মধ্যে উপরের ৪টি কথাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিবাহিত জীবন শুরু করা খুবই কষ্টকর, যদি না আপনি উপরের তিনটি কথা মানতে না পারেন।বিবাহিত জীবনে নানান সমস্যা হবে সবকিছুকে দোষ ভেবে আলাদা হয়ে যাবেন না। দোষ কোথায় সেটা খোঁজার চেষ্টা করুন। দেখবেন নিজেই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আপনি জানেন আপনার দোষ তারপর ও আপনি চুপ থাকেন, দেখবেন অনেক সহজ হয়ে গেছে সবকিছু। এক/দুই কথায় সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় মানুষকে আসতে দিবেন না। নিজেরা বসে সমাধান করার চেষ্টা করুন।কখনো ডিভোর্সের কথা কখনো মাথায় ও আনবেন না। ডিভোর্সে কখনো শান্তি আনতে পারে না। আপনি মনে করেন যে, ডিভোর্স দিলে হয়তো আমি মুক্তি পেয়ে যাবো, আসলে তা কখনো হয় না, সমাজের এক/দুইটা ডিভোর্সী ভাই বোনদের দুই- একজনকে প্রশ্ন করে দেখুন যে, তারা কেমন আছেন? তাদের নিজ পরিবার এবং সমাজের মানুষের সাথে কেমন সম্পর্ক এবং সমাজ তাদেরকে কোন চোখে দেখে সেটা একবার কল্পনা  করুন, নিজেই তার প্রমাণ পেয়ে যাবেন। আপনাদের সম্পর্কের মধ্যে কি সমস্যা? কি কারণে বিছিন্ন হতে চাচ্ছেন এগুলোর সমাধান খুঁজুন। ওই বিষয়গুলো ত্যাগ করতে চেষ্টা করুন, দেখবেন সমাধান আপনার হাতেই।রাগ / অহংকার / জেদ এই গুলো ত্যাগ করে প্রিয় মানুষের সাথে সংসার করতে শিখুন। দেখবেন পৃথিবীতে আপনার মতো সুখী মানুষ আর কেউ হবে না। এসব কথাগুলো যদি আপনি মানতে না পারেন, তাহলে আপনার জন্য সংসার নয়। আপনি কখনোই কোথাও সুখী হবেন না।ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল সম্পর্কের মানুষগুলো। ভালো থাকুক প্রিয় মানুষগুলো। 

গল্প

ঘাড়ের বোঝা

গতকাল আমার বেতন হলো। সেলফোনে ম্যাসেজটি পেতেই, বরের কাছে ছুটে গিয়ে বলেছিলাম─ "আমার বেতন হয়েছে, সংসার-খরচে আমি সহযোগিতা করতে চাই, কতো দেবো?"সে হয়তো ভেবেছিলো আমি মজা করছি, কিংবা তার সাথে প্রতিযোগিতায় নামতে চাইছি; খুব সম্ভবত এই কারণেই, আমার কাছ থেকে...

পোস্ট

স্বামী হল আসামি

বউ ঠকানোর সহজ ট্রিকস!বৌঃ দেখো, পাশের বাড়ির সাব্বির একটা ৫৬ ইঞ্চির টিভি কিনেছে, তুমিও একটা কিনে আনো?স্বামীঃ প্রিয়তমা, যার কাছে তোমার মতো সুন্দরী বৌ আছে সে কেন ফালতু টিভি দেখে সময় নষ্ট করবে?বৌঃ ওহ, তুমি না, যাই এখন তোমার জন্যে...

কবিতা

চা বাগানের জীবন

 এ যেনো এক টুকরো বাংলাদেশের ভিতর,আর এক টুকরো বাংলাদেশ।এখানে সবুজের মাঝে,রক্তক্ষরণ মজুরের!বোবাকান্না আর হতাশা এখানে নিত্যকাল।এখানে গনতন্ত্র নয়, রাজতন্ত্র বিদ্যমান!এখানে মানবতা নয়! অমানবিকতাই সংবিধান!এখানে চলে -শোষণ আর শোষকের বিনির্মাণ। চলে একদিকে রক্ত শোষন, অন্যদিকের অট্টালিকা,পাহাড় সমান!কুয়াশা ঝরে! বৃষ্টি পরে! একই ঘরে -গরু মানুষে গাদাগাদি করে মরে!যুগের...

গল্প

প্রতি উত্তর

 সেই কাক ডাকা ভোরে জাগরণ আমার, এই উষ্ণতার দিনেও  দখিণা জানালার খোলা হাওয়ায় শীতল মনপ্রাণ।            কর্ম আমায় বেশিক্ষণ বিছানায় থাকতে দেয়নি। দেয়নি অলসতায় আড়মোড় ভেঙে আর একটু ঘুমের ফুরসৎ।            সামান্যটুকু অন্ন...

কবিতা

রক্ত গ্রহ

 নীল পৃথিবী আজ রক্তাক্ত,পানি নেই, পানি নেই কোথাও, যেনো নদীতে বয়ে চলে,মানবতা আর মানুষেরইলাল রক্তের স্রোত।গোলাপ ফোটে, শিউলী ফোটে,ফোটে রজনীগন্ধা গন্ধরাজ।কিন্তু সুবাস কোথায় তাতে, বাতাসে ভাসে তো পোঁড়া লাশের গন্ধ।শালিক ময়না ঘুঘু কোকিল কিংবাদোয়েলের মধুর সুর আর কানে শুনি না,শুনি না রাখালের করুন বাঁশির সুর।কানে...

সত্তাশ্রয়ী

এটাই কি স্বাধীনতা

 সেই ছোট্টবেলা থেকেই দেখছি- ভাষা দিবস!- স্বাধীনতা দিবস!- বিজয় দিবস! এ জাতিয় দিনগুলো এলেই- লাল নীল হলুদ সবুজ পোস্টারে পোস্টারেছেঁয়ে যায় পথের পাশের দেওয়ালগুলো।তাতে বাণীতে বাণীতে জ্বলজ্বল করে উঠেরঙিন কালির আঁচর।- সভা হয়! - মিছিল হয়!- বক্তৃতায় বক্তৃতায় দেশপ্রেম যেনো উথলে উঠে,- দেশের...

চিন্তা

সন্তানকে সুরক্ষিত রাখাও বাবা-মায়ের পবিত্র দায়িত্ব।

সন্তান বড় হলে, সন্তানের বিছানা আলাদা করা অবশ্য কর্তব্য! কেন করবেন?রিবা (ছদ্ম নাম) বয়স সাত, ক্লাস ওয়ানে পড়ে, ধবধবে ফর্সা, মাথা ভর্তি কোকড়ানো চুল, টলটলে চোখ, দেখে মনে হয় এখুনি একটু ছুঁয়ে দিলেই ব্যস। চোখের মায়া আবীর হয়ে হাতে লেগে যাবে,...

গল্প

খাটোলা

গল্প------খাটোলা""""""""আমার পূর্বপুরুষরা ছিলেন কাঠের বা বাঁশের তৈরি। এখন তাদের আর দেখা যায়না বললেই হয়। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বদলে গেছে আমাদের শরীর। আমাদের শরীর এখন তৈরি হয় চকচকে স্টেইনলেস স্টীলে। যাকে বলে এস. এস। এখন পচে যাওয়ার বা জোরার লোহায়...

কবিতা

কবি গুরু

কবিগুরু করে গেলে,কত রকম খেলা,ভাসিয়েছো তুমি নালার জলে, কত রকম ভেলা।কত নারীর পানে তাকিয়ে তুমি,কত মন করেছো গোপনে চুরি।দেখছো কে বা নদীর ঘাটে নিতেছে জল ভরি।কত বসন্তে সাজিয়েছ মন, কত ফুলের ডালা পড়ি।কুড়ায়েছ কত সাগর তীরে, ঝিনুক শামুক কিংবা নুড়ি।ছয়...

চিন্তা

কোনো গরীব সৎ নিশ্চিন্ত মনের লোককে অনেক টাকা দিয়ে উপকার কর, তাহলেই দেখবি তোর মনে শান্তি আসবে।

এক কোটিপতি ব্যবসায়ী ভদ্রলোক দামী গাড়ি চেপে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন। হঠাৎ করে দেখেন ফুটপাতের এক কোণে ইটের ওপর মাথা রেখে একটা লোক অঘোরে ঘুমোচ্ছে। তিনি অবাক, এই চৈত্রের চড়া গরম, গাড়ির আওয়াজ, ধুলো বালির মধ্যে লোকটার ঘুম আসে কিভাবে?তিনি গাড়ি...

পোস্ট

সকলের জন্য সাধারন সতর্কবার্তা

জীবন চলার পথে কথাগুলো হয়তো কাজে লাগবে-১. কখনো বাসে জানালার পাশে বসে মোবাইল টিপবেন না। কখন নিয়ে যাবে,টের পাবেন না।২. রিকশাতে বসে কোলে ব্যাগ রাখবেন না। পাশ থেকে মটরসাইকেল কিংবা গাড়িতে করে এসে হ্যাচকা টান দেবে।৩. রাস্তায় কিছু খাবেন না, কিছুই না। দূরপাল্লার যাত্রা হলে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসুন অথবা প্যাকেটজাত কিছু খান।পাশের যাত্রী কিছু দিলে খান না, তাতে কি?হয়তো যে পানি বা ডাব কিনলেন বা অন্যকিছু তাতেই থাকতে পারে ঔষধ।৪. ট্রেন জার্নিতে দরজার পাশে, দুই বগির পাশে দাড়াবেন না। কিংবা যতোই ভালো লাগুক দরজায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খাবেন না। ট্রেনের ছাদে চলাচল যতোই রোমান্টিক লাগুক, যে গ্যাং গুলো ছিনতাই করে, তারা খুবই নির্দয় এবং বেপরোয়া। অনেকযাত্রীর লাশ পাওয়া যায় সারাদেশের ট্রেন লাইনের আশেপাশে। বেশিরভাগই বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে ফেলা হয়।৫. কপাল খারাপ হলে ছিনত্যাইয়ের শিকার হবেন। ধরা যাক হলেন। কি করবেন? ছিনতাইকারী বেশ কয়েকজন। আপনি একা, চারপাশে কেউ নেই। আপনাকে ঘেরাও করে রেখেছে। আপনার পকেটে দামী ফোন। এসবক্ষেত্রে ভালো হয় ফোনের মায়া ত্যাগ করা। কারণ যারা ছিনতাইকারী তাদের বেশির ভাগই নেশাগ্রস্থ।আপনার জীবনের দাম পৃথিবীর যেকোনো দামী ফোনের চেয়েও অনেক বেশি।৬. বান্ধবী বা মেয়ে বন্ধুর সাথে রেস্টুরেন্ট বা পার্কে যাচ্ছেন। হঠাৎ দেখবেন আপনার চারপাশে একদল ছেলের আবির্ভাব। এরা কিন্তু একটা গ্যাং।দেখবেন আপনাদের নিয়ে নানান রকম আজে বাজে কথা বলছে, বাজে ইঙ্গিত দিচ্ছে। আসলে ওরা চাইছেই আপনাকে উত্তেজিত করে একটা ঝামেলায় বাধাতে।এতে ওদের লাভ, সেটা কি রকম ?ধরা যাক, আপনি মাথা গরম করে ঝামেলায় জড়ালেন। ওরা আপনাকে অপমান করেছে বলে আপনি পাল্টা কিছু বললেন বা করলেন। এই পেয়ে গেলো সুযোগ। ওরা তখন বাইরে থেকে নেতা গোছের কাউকে ধরে আনবে। যিনি এসেই আপনাকে আপনার বান্ধবীর সামনেই নানান রকমভাবে জেরা করবে। তারপর তাদের করা বিচারে আপনাকেই দোষী বানিয়ে দেবে। অতঃপর মিটমাট করার নাম করে আপনার কাছ থেকে জরিমানা বাবদ টাকা পয়সা কিংবা দামী ঘড়ি, ফোন অথবা ল্যাপটপটা রেখে দেবে। তাই এসব জায়গায় কথা বাড়ানো মানেই ঝামেলা ডেকে আনা আর নির্জন জায়গা হলে এদের দেখা মাত্রই সরে পড়ুন। সকল প্রকার অবৈধ সম্পর্ক যুক্ত কারো সাথে কখনো কোথাও যাবেন না। ৭. ভোর রাতে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। সাহস দেখিয়ে রাস্তায় নেমে পড়তে যাবেন না। বাসস্টপে বা ট্রেন স্টেশনেই অপেক্ষা করুন। সকালে যখন রাস্তায় যথেস্ট মানুষ থাকবে তখন বের হন।৮. ট্রেন স্টেশনে বা সদরঘাটে নিজে নিজে বয়ে নিয়ে যেতে পারেন না এমন বোঝা নিয়ে এসেছেন তো মরেছেন। মাথায় করে পৌঁছে দেয়ার নামে আপনার কাছ থেকে চাঁদার মতো ৪০০-৫০০ টাকা খসিয়ে ছাড়বে কুলিরা। তাই সাবধানে থাকুন,দরদাম করে তারপর কুলি ঠিক করুন।৯. গুলিস্থান, নিউমার্কেটবা নীলক্ষেতের মত জায়গায় কেনা কাটা করতে গেলে খুবই সাবধান। কৌতুহলের বশে কোনো কিছুর দাম জিজ্ঞেস করলেও এখানে আপনাকে পাল্টা দাম বলার জন্য জোরাজুরি করবে। মনে রাখবেন এখানে মেজাজ দেখিয়ে লাভ নাই, এখানকার দোকানীরা সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করে।১০. বাসে উঠলে প্যান্টের পিছনের পকেটে মোবাইল, মানিব্যাগ এসব কিছু রাখা নিরাপদ না। দেখবেন ভিড়ের মাঝে বাসে ওঠতেছেন যে কেউ টান মেরে নিয়ে যেতে পারে টের ও পাবেন না। তাই সামনের পকেটে এসব জিনিস রাখুন।১১. বাণিজ্যমেলা, চিড়িয়াখানা, চন্দ্রিমা উদ্যান কিংবা শিশুপার্কে গিয়ে দাম খুব ভালো করে না জেনে কিচ্ছু খাবেন না। দেখা যাবে একটা সিংগাড়া কিংবা আধা প্লেট বিরিয়ানি খাইয়ে ৪০০-৫০০ টাকার বিল ধরিয়ে দেবে আপনাকে।১২. রাতে ঘোরাঘুরি না করাই ভালো। ছিনতাইকারী ধরলে তো কথাই নেই। এমনকি ‌(কিছু বিপথগামী) পুলিশ (সক‌লেই নয়) ধরলেও বিপদ। যতই নির্দোষ হন, পুলিশ যদি বুঝতে না চায় আর আপনাকে আটকে রাখার নিয়ত যদি থাকে, তাহলে আপনার কিছুই করার থাকবে না।১৩. বাসস্ট্যান্ডেদাঁড়িয়ে আছেন, হঠাৎ একটা মাইক্রোবাস এসে থামলো আপনার সামনে। সেটা প্রাইভেট গাড়িও হতে পারে। আপনাকে চালক বলবে, সে গ্যারেজে ফেরার পথে বাড়তি কিছু ‘ট্রিপ’ নিচ্ছে। খুব অল্প ভাড়ায় আপনাকে পৌছে দেবার কথা বলবে। আপনি এসব গাড়িতে একদম উঠবেন না আর সেই গাড়িতে যদি আগে থেকে মেয়ে মানুষ থেকে থাকে তবে তো আরো আগে না।১৪. রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন হঠাৎ ভদ্রবেশী কেউ এসে, সে হতে পারে ছেলে বা মেয়ে বা বয়ষ্ক পুরুষ কিংবা মহিলা, আপনার ফোন চাইলো।বললো, উনার কোন একটা সমস্যার কথা, এক্ষুনি একটা ফোন দিতে হবে কাউকে। আপনি বিশ্বাস করে ফোনটা দিলেন, দেখবেন পরক্ষণেই হুট করে বাইকে উঠে হাওয়া।১৫. সাথে সব সময় ভোটার আইডি,...

পোস্ট

সন্তানের কাছে লেখা এক বাবার চিঠি

সন্তানের কাছে বাবার চিঠিঃনিজে পড়ুন এবং আপনার সন্তানকে অন্তত একবার চিঠিটি পড়িয়ে শুনান---আমার প্রিয় সন্তান,আমি তোমাকে ৩ টি কারণে এই চিঠিটি লিখছি...১। জীবন, ভাগ্য এবং দুর্ঘটনার কোন নিশ্চয়তা নেই, কেউ জানে না সে কতদিন বাঁচবে।২। আমি তোমার বাবা, যদি আমি তোমাকে এই কথা না বলি, তবে অন্য কেউ বলবে না।৩। আমি আজ যা লিখলাম, তা আমার নিজের ব্যক্তিগত তিক্ত অভিজ্ঞতা- এটা হয়তো তোমাকে অনেক অপ্রয়োজনীয় কষ্ট পাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।জীবনে চলার পথে নিম্নোক্ত কথাগুলো মনে রাখার চেষ্টা করবে---১) যারা তোমার প্রতি সদয় ছিল না, কখনো তাঁদের উপর অসন্তোষ পুষে রেখো না। কারন তোমার মা এবং আমি ছাড়া, তোমার প্রতি সুবিচার করা কারো দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।আর যারা তোমার সাথে ভালো ব্যবহার করেছে- তোমার উচিত সেটার সঠিক মূল্যায়ন করা এবং কৃতজ্ঞ থাকা।তবে তোমাকে সর্বদাই সতর্ক থাকতে হবে এই জন্য যে, প্রতিটি মানুষেরই প্রতি পদক্ষেপের নিজ নিজ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। একজন মানুষ আজ তোমার সাথে ভালো- তার মানে এই নয় যে সে সব সময়ই বা আজীবনের জন্য ভালো থাকবে। কালকেই হয়তো তার প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে বা যেতে পারে। কাজেই খুব দ্রুত কাউকেই তোমার প্রকৃত বন্ধু ভেবো না।২) জীবনে কিছুই কিংবা কেউই "অপরিহার্য" নয়, যা তোমার পেতেই হবে। একবার যখন তুমি এ কথাটির গভীরতা অনুধাবন করবে, তখন জীবনের পথ চলা অনেক সহজ হবে-বিশেষ করে যখন বহুল প্রত্যাশিত কোন কিছু হারাবে, কিংবা তখন তোমার তথাকথিত আত্মীয়-স্বজনকে তোমার পাশে পাবে না। ৩) জীবন সংক্ষিপ্ত: আজ তুমি জীবনকে অবহেলা করলে, কাল জীবন তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে।কাজেই জীবনকে তুমি যতো তাড়াতাড়ি মূল্যায়ন করতে শিখবে, ততোই বেশী উপভোগ করতে পারবে। ৪) ভালোবাসা একটি ক্ষণস্থায়ী অনুভূতি ছাড়া কিছুই নয়। মানুষের মেজাজ আর সময়ের সাথে সাথে এই অনুভূতি বিবর্ণ হবে, পরিবর্তন হবে।যদি তোমার তথাকথিত কাছের মানুষ তোমাকে ছেড়ে চলে যায়, ধৈর্য ধরো, সময় তোমার সব ব্যথা-বিষন্নতা কে ধুয়ে-মুছে দেবে। কখনো প্রেম-ভালোবাসার মিষ্টতা এবং সৌন্দর্যকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে না, আবার কখনো ভালোবাসা হারিয়ে বিষণ্ণতায়ও ডুবে যাবে না।৫) অনেক সফল লোক আছেন যাদের হয়তো উচ্চশিক্ষা ছিল না- এর অর্থ এই নয় যে, তুমিও কঠোর পরিশ্রম বা শিক্ষালাভ ছাড়াই সফল হতে পারবে! তুমি যতোটুকু জ্ঞানই অর্জন করো না কেন, তাই হলো তোমার জীবনের অস্ত্র।কেউ ছেঁড়া কাঁথা থেকে কোটি টাকার অধিকারী হতেই পারে, তবে এজন্য তাকে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে অথবা প্রতারনা করতে হবে।৬) আমি আশা করি না যে, আমার বার্ধক্যে তুমি আমাকে আর্থিক সহায়তা দিবে আবার আমিও তোমার সারাজীবন ধরে তোমাকে অর্থ সহায়তা দিয়ে যেতে পারব না।যখনি তুমি প্রাপ্তবয়স্ক হবে, তখনি বাবা হিসেবে আমার অর্থ-সহায়তা দেবার দিন শেষ। তারপর, তোমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে-তুমি কি পাবলিক পরিবহনে যাতায়াত করবে, নাকি নিজস্ব লিমুজিন হাঁকাবে; গরীব থাকবে নাকি ধনী হবে। ৭) তুমি তোমার কথার মর্যাদা রাখবে, কিন্তু অন্যদের কাছে তা আশা করো না। মানুষের সাথে ভালো আচরন করবে, তবে অন্যরাও তোমার সাথে ভালো থাকবে- তা প্রত্যাশা করবে না। যদি তুমি এটি না বুঝতে পারো, তবে শুধু অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রণাই পাবে। ৮) আমি অনেক বছর ধরে লটারি কিনেছি, কিন্তু কখনও কোন পুরষ্কার পাইনি। তার মানে হলো এই যে- যদি তুমি সমৃদ্ধি চাও তবে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।বিনামূল্যে কোথাও কোন কিছু জুটবে না। ৯) তোমার সাথে আমি কতোটা সময় থাকবো- সেটা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। বরং চলো আমরা আমাদের একসাথে কাটানো মুহুর্তগুলো উপভোগ করি, যথাযথ এর মূল্যায়ন করি। ইতি,ভালোবাসা সহ তোমার বাবা।এই বাবাটি হলেন একজন চাইল্ড সাইকোলজিষ্ট এবং হংকং-এর প্রখ্যাত টিভি সম্প্রচারকারী।তার কথাগুলো বয়োজ্যেষ্ঠ, বয়োকনিষ্ঠ, বৃদ্ধ কিংবা তরুণ, শিশু, আমাদের সবার জন্যই প্রযোজ্য।

গল্প

🍂 নীরার দুঃস্বপ্ন 🍂

হঠাৎ খুব ভয় পেয়ে ঘুম ভাঙ্গে নীরার; কিছুক্ষন বসে থেকে কি জানো ভাবছে নীরা। বেশ কয়েকদিন হলো নীরা কেমন জানি উলট পালট স্বপ্ন দেখছে। আগের স্বপ্নগুলো ভয়ঙ্কর ছিলো না কিন্তুু ইদানিং সে প্রতিরাতে অথবা সকালে স্বপ্নে ভয় পাচ্ছে; নীরা খুব...

পোস্ট

আপনি কি স্যাপিওসেক্সুয়াল?

মানুষ যখন কারও প্রেমে পড়ে তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই সে চেহারা, বাহ্যিক সৌন্দর্য ইত্যাদি দেখে প্রেমে পড়ে কিন্তু এমন কিছু মানুষ আছেন যারা চেহারা কিংবা শারীরিক সৌন্দর্য নয়, শুধু বুদ্ধিমত্তা দেখেই প্রেমে পড়েন তারা। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘স্যাপিওসেক্সুয়াল’।স্যাপিওসেক্সুয়ালদের প্রেম ও যৌনতার অনুভূতি আবর্তিত হয় মস্তিষ্ককে ঘিরে। শারীরিক সৌন্দর্য বা সামাজিক অবস্থানের চেয়ে তাদের কাছে অনেক বড় হয়ে দাঁড়ায় অপর দিকের মানুষটির বুদ্ধিমত্তা। অপর দিকের মানুষটির গভীর চিন্তাশক্তি, কৌতূহলী মনোভাব, প্রচলিত ব্যবস্থাকে প্রশ্ন করার মানসিকতা তাদের প্রচণ্ড আকৃষ্ট করে।মনস্তাত্ত্বিক, রাজনৈতিক, দার্শনিক আলোচনা থেকে তারা রসদ সংগ্রহ করেন এবং মনে করেন কারো যৌন আকর্ষণ শরীরে নয়, বরং তার মেধায় লুকিয়ে থাকে।আপনিও কি এমন? একটু মিলিয়ে নিন তো...স্যাপিওসেক্সুয়ালেরা কখনোই হুট করে প্রেমে পড়েন না। যেহেতু শারীরিক সৌন্দর্য তাদের টানে না, তাই প্রেমে পড়তে তাদের সময় লাগে। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আগে বন্ধুত্ব হয়।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক ও বৌদ্ধিক সংযোগ হলে তবেই আসে প্রেমের প্রশ্ন।মেধা বা বুদ্ধির আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি হলেও শারীরিক আকর্ষণ যে একেবারেই নেই, তা নয়  কিন্তু স্যাপিওদের কাছে শারীরিক আকর্ষণটা খুবই সাময়িক।দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের জন্য কখনোই চেহারাটা বড়ো হয়ে দাঁড়ায় না তাদের কাছে।স্যাপিওদের কাউকে পছন্দ মানে সত্যিই পছন্দ। এর একটা কারণ স্যাপিওদের সহজে কাউকে পছন্দ হয় না, অনেকটা সময় লাগে। উলটো দিকের মানুষটার সঙ্গে মেধা ও বৌদ্ধিকভাবে সংযোগ স্থাপনের পরই আসে তাকে ভালোলাগার প্রশ্ন। ফলে যখন কাউকে তাদের ভালো লাগে, তখন সেটা বেশ সিরিয়াসই হয়।স্যাপিওসেক্সুয়ালদের সব সম্পর্কই শুরু হয় বন্ধুত্ব দিয়ে, সেখানে প্রেমের ছিটে ফোঁটাও থাকে না।তাই যখন আপনার মনে প্লেটোনিক স্তর পেরিয়ে প্রেমের সূত্রপাত হয়, তখন আপনার বন্ধুও একইরকম ভাবছেন কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।ফলে বন্ধুকে মনের কথা বলবেন কি বলবেন না, তা নিয়ে আপনার মনে সংশয় তৈরি হয়।যারা অতিরিক্ত চিৎকার, মেজাজ দেখানো, কিংবা বোকামী করে তারা স্যাপিওদের দুইচোক্ষের বিষ।যারা নিজেদের অনুভূতিকে যুক্তির সাহায্যে ব্যাখ্যা করতে পারেন, যারা চট করে মেজাজ হারান না, জটিল পরিস্থিতিকেও শান্তভাবে সমাধান করার চেষ্টা করেন, সেরকম মানুষকেই পছন্দ করেন স্যাপিওরা।খুব বেশি মানুষের সঙ্গে আপনার ঘনিষ্ঠতা হয় না সচরাচর। প্রেমের সংখ্যাও আপনার খুবই কম। সাধারণত নিজের ছোট বৃত্তেই থাকতে পছন্দ করেন আপনি।তাই আশপাশের অনেকেই আপনাকে অহঙ্কারী বলে ভুল করেন। তাতে আপনার মোটেই বিচলিত হওয়ার কারণ নেই, নিজের পছন্দ আর ধ্যান ধারণায় স্থির থাকুন।শারীরিক সৌন্দর্য আমাকে টানে না। মুগ্ধ হই গুনে বুদ্ধিমত্তায়। আমি জানি আমি স্যাপিওসেক্সুয়াল। আর আপনি?এবার ভাবুন তো...

পোস্ট

🍂 বিষন্নতা 🍂

কিছু পাওয়ার আকাঙ্খা, কিছু অপূর্ণতা মাঝে মাঝে বড্ড অধৈর্য লাগে, চাঁদের আলোয় জ্বলেজ্বলে রাতটাও নির্ঘুম কাটে। সময়ের আবর্তনে যখন আকাশের বুক থেকে একটা একটা করে তাঁরা খসে পরে;তখন জীবনের প্রতিটা অতীত কথা বলে।নুয়ে পরা শব্দ গুলো ভীষণ আবেগেচাঁদের আলো জরিয়ে ধরে।

পোস্ট

একটি সাইকোলজিকেল টেস্ট

সাইকোলজির প্রফেসর আজ ক্লাসে ঢুকেই বললেন-আজ আর পড়াবো না, সবাই খুব খুশি। প্রফেসর ক্লাসের মাঝে গিয়ে একটা ব্রেঞ্চে বসলেন। বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে, বেশ গল্প গুজব করার মতো একটা পরিবেশ। স্টুডেন্টদের মনেও আজকের জন্য পড়াশোনার কোনো তেমন চাপ নেই। টিচার...

কবিতা

একশ বছরের সীমানা (১)

একশ বছরের সীমানা  আর বড়জোর বাঁচতে পারি একপল হয়তো এক দিন কিবা একশ বছর? তারপর নিশ্চিহ্ন এ দরবার এ হাটবাজার  কোথায় ঠিকানা হিসাবের খাতায় বারবার শূন্য জীবনমাঠে নেমে আসছে আঁধার রাজনীতির মাঠে চলছে এখনো নৃত্য মৃত্যুর ডাক শোনা যাচ্ছে না কোলাহলে আনন্দে মাতোয়ারা আজও দেশ ভাবছে না কেউ...

কবিতা

যে মেয়েটিকে আমি ভালোবাসতাম

যে মেয়েটাকে আমি ভালোবাসতাম সে আমার প্রেমিকা ছিলোনা কোনদিন,আসার লগনে এক ছাতা চেপে দুজনার রমনার রাজপথ ঘুরে বেড়ানো,সোহরাওয়ার্দীর সবুজ অরণ্যের আঁকে বাঁকে হেটে চলা_পাশাপাশি বসা,আঙুলে আঙুল চেপে কিছু ধীর প্রগাঢ় নিশ্বাসের আলাপন,এর সবই ছিলো আমাদের মাঝে তবু মেয়েটা আমার প্রেমিকা...

মোঃ আল আমিন

মোঃ আল আমিন

কবি ও গল্পকার

কবিতা

দুঃস্বপ্ন অথবা স্মৃতির মগডালে দুঃসহ অন্ধকার!

সকাল থেকে বুলেটটা মগজের মধ্যে নড়চড় করে যাচ্ছেচিৎকারেও বেরুচ্ছেনা আওয়াজ, একটা শব্দও পাচ্ছিনা কানে,আঘাতটা মাথায় নাকি বুকে তা বুঝতেই আজান শোনা গেলোকিসের আজান তাও বোঝা যাচ্ছেনা।বুক থেকে ঝরঝর করে রক্ত ঝরে যাচ্ছেভেজা শার্টেও দেখা যাচ্ছে পুরনো রক্তের দাগ_তবে কি এর...

মোঃ আল আমিন

মোঃ আল আমিন

কবি ও গল্পকার

চিন্তা

তাঁরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে ও কাজে মহিয়ান।

এই সমাজে অনেক স্ত্রী ও মা আছে যারা সন্তান কিংবা স্বামীকে প্রশ্ন করে তুমি কাকে বেশি ভালোবাসো? একজন মা তার ছেলেকে জন্ম দেন নাড়ী থেকে,একজন স্ত্রী সেই ছেলেকেই স্বামী হিসেবে গ্রহন করে হৃদয় থেকে।একজন মা তার অদেখা ছেলেকে অনুভব করেন পেটে হাত রেখে দশ মাস,একজন স্ত্রী সেই অচেনা ছেলেকেই অনুভব করেন বুকে হাত রেখে সারাটা জীবন।একজন মা জন্ম দেন একজন শিশু পুত্রকে,একজন স্ত্রী তৈরী করে একজন পরিণত পুরুষকে।একজন মা তার সন্তানকে হাত ধরে হাঁটতে শেখান,একজন স্ত্রী সেই সন্তানের হাত ধরেই জীবনের সমস্ত পথটা হাটেন।একজন মা তার সন্তানকে কথা বলতে শেখান,একজন স্ত্রী প্রিয় বন্ধু হয়ে সারাজীবন তার কথা বলার সঙ্গী হয়ে ওঠেন।সন্তানের দায়িত্ব কাঁধে আসতেই মা তার সমস্ত পৃথিবী ভুলে যান,আবার স্ত্রী সেই সন্তানের দায়িত্ব নেবেন বলেই তার সমস্ত পৃথিবীটা ছেড়ে একদিন চলে আসেন।সন্তান না খেতে পারলে পাতের সেই উচ্ছিষ্ট খাবার মা এবং স্ত্রী উভয়েই খান, আবার সন্তান এবং স্বামীর মঙ্গল কামনায় উপবাস মা এবং স্ত্রী দুজনেই করে থাকেন।সন্তানকে বড় করেও সন্তানের থেকে প্রতিটা মাকেই আঘাত পেতে হয়।আবার স্বামীকে বিয়ে করেও প্রত্যেকটি স্ত্রীকে এক না একদিন নির্যাতিত হতেই হয়।মায়ের কাছে সন্তানের জীবনে দায়িত্ব নেওয়ার শুরু প্রায় কুড়ি বছর।স্ত্রীর কাছে স্বামীর জীবনের দায়িত্ব নেভানোর শেষ বাকি ষাটটি বছর (কখনো কখনো হয়তো সেটি আশি বছরেও যেতে পারে যদি আয়ু একশো বছর হয়)।সন্তানের শৈশবে তার মল মুত্র মাই পরিস্কার করেন।সন্তান যখন বৃদ্ধ হন তখন তার এই একই দায়িত্ব স্ত্রীর কাঁধেই বর্তায়।মায়ের কোল হল সেই কোল যেখানে সন্তানের জন্ম হয় অর্থাৎ প্রথম বিছানা।স্ত্রীর কোল হল সেই কোল যেখানে আমাদের মৃত্যু হয় অর্থাৎ শেষ বিছানা।কিন্তু সমাজ এবং পরিস্থিতি আজ এমনই যে ছেলেটির বিয়ের পর মায়ের সাথে স্ত্রীর তুলনা করে প্রতিটা মুহূর্তে মাকেই শীর্ষস্থানে রাখেন, যেখানে দুজনের ভূমিকাই সমান সেখানে সামাজিক নজরে কেন মা আর স্ত্রীর মাঝে তুলনামূলক দ্বন্দ্বে বারবার পাঁচিল উঠবে বলতে পারেন?গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়াটাই মা ও স্ত্রীর মধ্যে যদি সবচেয়ে বড় পার্থক্য হয়ে থাকে তাহলে শেষ কথা একটাই বলব-"একজন আপনাকে গর্ভে ধারণ করেছেন,অন্যজন আপনার জন্য গর্ভধারণ করবেন।""একজন আপনাকে জন্ম দিয়ে মা হয়েছেন,অন্যজন আপনার জন্য আরেক জনকে জন্ম দিয়ে মা হবেন।"বাকিটা আপনাদের সিধান্ত নিতে হবে। মা ও স্ত্রী একে অন্যের পরিপূরক। কারো সাথে কারো কোন তুলনা চলে না। তাঁরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে ও কাজে মহিয়ান।

কবিতা

ভালোবাসবে কেমন করে

 তুমি যে ভালোবাসার, শীতল জলে ভিঁজতে চেয়েছো,তা আজ দূষিত কালোজল,অশ্লীলতার ছোঁয়ায়।যেখানে তুমি ফোটাতে চেয়েছোহাজারো লাল গোলাপ, সে ভালোবাসার দোঁআশ মাটিওআজ অনুর্বর ঊষর।সেখানে এখন গোলাপ ফোটে না, সে মাটি আজ মরুভূমিতে পরিনত,আধুনিক কালের ডিজিটালভালোবাসার দূষণে পড়ে।এখানে জন্মে এখন যন্ত্রনাময়বিষাক্ত ক্যাকটাস ।যে  উন্মুক্ত নীল আকাশে সাদা...

কবিতা

তালাশ

 কৃষ্ণকলি তোমার অনলআজ আর ভালো নেই,পুড়তে পুড়তে সে এখনবাসি ছাই হয়েছে যেনো।তার জীবন সুখের পদ্ম পুকুরজরাজির্ণ আগাছা পূর্ণ, তলানি জমে জমে,হাটুজলও আর নেই।বাইশ বছর আগে সেদিনতোমার অনল ছিল টগবগেস্বপ্ন বিলাসি ক্ষমতা লোভীদাম্ভীক এক যুবক।প্রেম ভালোবাসা স্পর্শকরেনি তাকে।ফুলের ঘ্রাণ টানেনি তাকে,টেনেছিল প্রানহীন...

পোস্ট

তারপর না হয় বাকি সব দেখা যাবে।

প্রতি মাসে বিশ হাজার টাকা দিয়ে যাদের সংসার চলে তাদের কেউ একজনকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, শেষ কবে খাসির মাংস বা ইলিশ মাছ খেয়েছেন?সে উত্তর দিবে সেই যে কবে খেয়েছি তা মনে নেই।এরপর জিজ্ঞাসা করেন, আপনার এলাকায় ফলের দোকান কোন দিকে? সে আমতা আমতা করবে। কারণ ফলের দোকানে যাওয়ার রাস্তাটা সে ভুলে গেছে অনেক আগেই। সারা বছরে কিছু আম- কাঁঠাল ছাড়া আর কোন ফল তাদের কপালে জোটে না।লিচুর দোকানের পাশ দিয়ে তারা মাথা নিচু করে হেঁটে যায়। আপেল- কমলা- আঙুরের ঘ্রাণ সে তো তারা অনেক আগেই ভুলে গেছে। এর নিচে যাদের আয় আছে তাদের কথা না হয় আজকের মতো বাদই দিলাম।মাছে- ভাতে বাঙালী ইলিশ মাছ এখন স্বপ্নেও দেখে না। রুই- কাতলাও এখন তাদের কাছে দিবাস্বপ্নের মত। শিং মাছ এখন সারাজীবনে একবার কেনা হয়। হ্যাঁ, তারাও মাছ খায়।ঘাস টাইপের তেলাপিয়া, সিলভার কারপ আর পাঙ্গাস মাছও এখন বিলাসিতা। পাঙ্গাস তাদের কাছে হয়তো জাতীয় মাছ!দাম এত কেন? এইটা জিজ্ঞাসা করবেন? সেই উপায় নাই। দোকানদারদের রেডিমেড উত্তর আছে। তারা বলবে, বেতন বাড়ছে, বেতন ডাবল হইছে। অথচ বেতন বাড়ছে গড়ে মাত্র ৭% মানুষের।সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন যেদিন ডাবল করা হল তার আগের সপ্তাহে খাসির মাংস ছিল সাতশত পঞ্চাশ টাকা...

কবিতা

পুনর্জন্ম

হাজার বছর পরে          হয়তো আবার দেখা পাবে আমার          এ করুণার বাসভূমে হয়তো আর আসব না ফিরে          এ বাংলার লোকালয় তখন হয়তো রবে না          রবে না হয়তো এদেশের কোনো চিহ্নপ্রতীকরবে না          রবে না হয়তো জাতিভেদের কোনো ভেদাভেদ          রবে না রবে না...

গল্প

স্বপ্নপূরণ

পর্ব-০১ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত যে জমির আলী একটি পারিবারিক শৌচাগার নির্মাণ করবেই; আর সেটা হবে অবশ্যই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট, সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন এবং বিলাসবহুল। তবে, এটাও সত্য কথা যে, এই ধরনের শৌচাগার নির্মাণের আর্থিক সামর্থ জমির আলীর নেই...

রাকিব হাসান

রাকিব হাসান

শিক্ষক ও লেখক

কবিতা

খোলা চিঠি

 প্রিয়ংবদা, বড় অসময়ে এলে তুমি।পুব আকাশের তরুন সূর্যটা আলো ছড়াতে ছড়াতে ম্লান হয়েযখন পশ্চিম দিগন্তে ঢলে পড়ছে, তখন তোমার আগমন।জীবন নদী যখন শুকাতে ব্যস্ত, চারদিকে যখন চর জাগছে,ধুঁ ধুঁ বালুঝর আর লু হাওয়ায়অস্পষ্ট চারদিক, তখন তুমি এলে।কি দিবো তোমায় বলো আর,আমার বুকে কিছু কাশ...

কবিতা

মোমকন্যা

 মোমকন্যা হও যদি তুমিআসবো না আর কাছে,মনের কথা তোমায় ছাড়াশুনি বলবো কার সাথে?জোনাক যদি হও গো তুমি! জ্বলবে বনে বনে,কেমন করে পাবো তোমায়আমার মনের মাঝে?সুবাস যদি হও গো তুমিছড়াবে বাতাসে, কেমন করে পাবো বলোআমার বুকের মাঝে?বলছো তুমি বাসর হবেতোমার সাথে আমার,দুর আকাশের...

কবিতা

মানব রোবট

 বাঁশের বেড়া খড়ের ঘরে,মানুষ ছিলো তখন!পাকা ঘরে মানুষ নেই,রোবট থাকে এখন!কাঁচা ছিলো সবই তখনমনও ছিলো কাঁচা! হিংসা বিদ্বেষ ছিলো যতটুকুমানুষ ছিলো সাচ্চা!সভ্যতার হাত ধরে আজ,পাকা হলো ঘর, মানুষগুলো পাল্টে গেলোহয়ে গেলো সব পর।

কবিতা

অনুশোচনা

 চুল পেকেছে গোঁফ পেকেছেবয়সও গেছে পেকে,মনের মধ্যে এখন শুধুভয় লেগে থাকে, না জানি কখন আবারমরন এসে ধরে।এ বয়সেও মরতে আমার ভীষন ভয় করে। বর্ষাকাল এলে পড়েঅস্থির লাগে মনে।চারদিক পানিতে ভরামাটি নরম থাকে,কবর খুড়তে ভেঙে পড়ে,পানিতে  যায় ভরে।লাশটা আমার রাখবে সেথায়পানিতে  যাবে ডুবে,অন্ধকার কবর...

কবিতা

বর্তমানের কথা

জীবন গেলো অস্তাচলে, ভাবি বসে এই বিরলে সবই গেলো বৃথা। দিবানিশি ছুটছি চলে, কাকে নিয়ে কাকে ফেলে। যা দেখেছি খুব সামান্য,নিজেকেই তো হয়নি দেখা। দেখছি আলো বিন্দু মাত্র, আড়ালে সব আলোক পাত্র। সকল কিছু দেখব ঘুরে-আছে কি সেই ভাগ্য রেখা? ভবিষ্যৎ আর অতীত নিয়ে জীবনটাকে দেই বিলিয়ে।ভাবছিনা তো একটি বার...

কবিতা

যৌবন বিদায়

বয়স আর কত হলো এখন, এইতো তিন যুগ পার করলাম সবেনা হয় একটু বেশি বা কম। এখনো জীবন চলে হেসে খেলে।পার্থক্য শুধু এটুকুই যা - এখন আর সেই হাসি দেখে কেউ হয় না পাগলমিষ্টি করে বলে না কেউ, অপূর্ব তোমার হাসি । এখনো হাসলে...

গল্প

স্কুল জীবন: নিনাদ এবং দীপিকার প্রেমের গল্প

নিনাদ যখন দশম শ্রেণীতে উঠল, তার বাবার চাকরির বদলির কারণে তাকে নতুন শহরে আসতে হলো। নতুন শহর, নতুন পরিবেশ, নতুন স্কুল, সবকিছুই তার কাছে নতুন। প্রথম দিন স্কুলে ঢুকে সে কিছুটা নার্ভাস ছিল, কিন্তু তার মধ্যে ছিল অজানা উত্তেজনা। ক্লাসরুমে...

গল্প

রহস্যময় রাত

নিনাদ বসে আছে নৌকার গলুইয়ে। পা ঝুলিয়ে রেখেছে, আর নৌকা দুলছে। মাঝে মাঝে নদীর ঠান্ডা পানিতে তার পা ডুবে যাচ্ছে, আর সেই শীতলতা শরীরের ভেতর দিয়ে শিরশির করে ছুটে যাচ্ছে। নিনাদ অবাক হয়ে ভাবছে, এই নদীর পানি এত ঠান্ডা কেন?...

গল্প

বিয়ে কেন করছিলাম?

ভাতের মধ্যে সাড়ে তিন হাত লম্বা চুল দেখে গা শিউরে উঠলো। নতুন বউ, এখনো তাকে পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি। কিছু বলা উচিত হবে কি না বুঝতেছি না। তবুও সাহস করে বলে ফেললাম, 'ভাতের মধ্যে একটা চুল পাইছি!'বউ তখন, সরি, আমি...

কবিতা

বিষাদসংগীত

ঘুমিয়ে গেছ বিশ্ববিবেক তুমি?আমার চোখে ঘুম নেই—ঘুমাতে পারছি নে আমি!ঘুমালে কানে আসে চিৎকার—মৃত্যুকূপের আর্তনাদ ‘বাঁচাও আল্লাহ’ ধ্বনি কান্নার॥চুপ কেন মুসলিমবিশ্ব?আর কত দেখবে হায়েনার আস্ফাল—কারবালার দৃশ্য!রক্তের কাফনে ঢাকা মানবতাদেখতে পারছি নে আর বিশ্বমানবের এ নীরবতা॥দেখ দেখ চেয়ে—ওরে পাষাণ—কীভাবে মরছে কোলের শিশু—দুধের...

কবিতা

অনন্ত শূন্যতার অসীম চক্র

অনন্ত শূন্যতার অসীম চক্র-----------////-------------এই অনন্ত শূন্যতার অসীম চক্রেকিছুক্ষণ সময়ের জীবন দীর্ঘক্ষণ সময়ের ফিরা কোথাও যাচ্ছি না কিংবা আসছি না এখানেই ছিলাম এই শূন্যতায় আদিতে কিংবা শেষে শক্তিতে কিংবা রুপান্তরেকখনো জেগে কিংবা কখনো ঘুমিয়েএখানেই ছিলাম এই শূন্যতায়রক্তে কিংবা আগুনেযুদ্ধে কিংবা লাশেঅস্ত্রে কিংবা ফুলে কখনো রাজত্বে কিংবা...

চিন্তা

মা তোমার জন্য

প্রিয় মা,      মানুষের জীবনে এমন কতগুলো সম্পর্কের সৃষ্টি হয়, যা হয়তো আল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা কতৃক নির্ধারিত, তা না হলে তোমার সাথে আমার পরিচয় হবে কেন বলো।          জানো মা সেদিন যখন আমায় বললে - আজ...

চিন্তা

বিবেকের রিমোট ওদের হাতে

 আমরা হাসি অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে! আমরা কাঁদিও অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে!আমাদের আচরনও তেমন,যেমন তারা চালায়!দেশ আজ চঢ়ম সংকটে!চারদিকে ক'রোনার তান্ডব!শিক্ষালয়গুলো বন্ধ!সন্তানরা অশিক্ষায় হাবুডুবু খায়!পড়ালেখার টেবিল ছেড়ে তারাআজ অনৈতিকতায় লিপ্ত!বসে থেকে মানুষ আজ মানসিক রোগি! ক'রোনা আক্রান্ত মানুষ মরছে দলে দলে!অক্সিজেন নেই!ডাঃ...

কবিতা

কোথায় জানাবে আবেদন!

 কোন গ্যারান্টি নেই "মা"!নেই কোন নিরাপত্তা!হয়তো তুমি দাঁড়িয়ে থাকবে,হাজার লক্ষ কোটি বছর,শিশু থেকে তুমি কৈশর পেড়িয়ে যাবে,তোমার পায়ে গজাবে শত শত শিকড়,তবুও ধর্ষকরা থেমে থাকবে না,পিশাচরা চালিয়ে যাবে তাদের পশুত্ব,তাদের অশুভ কামনার নষ্ট নখড়েছিন্নভিন্ন হবে নারীর দেহ।একাত্তরে দেশ ছিলো পরাধীন,ধর্ষণ...

কবিতা

থামাবে কেমন করে?

 অবশেষে প্রতিবাদের আর একটি বৃক্ষের মূলোৎপাটন করা হলো,ন্যায় বিচারের কফিনে যুক্ত হলো,আরও একটি ধাতব পেরেক।স্বৈরনীতির বীজ বপিত হলো, আরও একটি,অপমৃত্যু ঘটানো হলো মানবতার,কন্ঠস্বর চেঁপে ধরা হলো,বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকারের।সে বৃক্ষ থেকে ন্যায়ের, দাবী আদায়েরপ্রতিবাদের সুবাস ছড়াবে না আর! ধরবে না কোন ফল, হবে...

কবিতা

অমানুষ

 রাতের আঁধারে যখন ওরাবৌকে ঘরে ফেলে,রাত্রি কাটায় বেশ্যালয়ে কিংবা হোটেল।দিনের বেলায় কোট টাই আর দামি গাড়ি চড়ে,ভদ্রতার মুখোশ পড়েসমাজে বাস  করে,এরাই ইতর নীচ প্রাণীঅভদ্র বলি তারে।রূপের ডালি নিয়ে কিছুডাইনি আছে ঘরে,নারীর বেশ নিয়ে তারাঅত্যাচারে মাতে।পান থেকে চুন খসলেকাজের মেয়ের সাথেবর্বরতার শেষ সীমায়যায়...

কবিতা

আবার..

১ আমাকে দেখে আর মুখ লুকাতে হবে না তোমার হুঁচোট আর কত খাবে তাড়াহুড়ো করে মুখ লুকোতে গিয়ে চলে যাব অচিরেই অবজ্ঞার এ শহর ছেড়ে দূরে—অনেক দূরে আমাকে মশাল জ্বেলেও খুঁজে কোনো দিন পাবে না আর তুমি সুখে থেকো—তোমার সুখের জন্যে আমার এ প্রস্থান সুখ যদিওবা দিতে পারিনি—দুঃখ বিন্দুপরিমাণ রেখে যাব না তবে তবে? আমার কবরে ভালোবাসার চুমে একটি গোলাপ না-ই দিলে শুনে—ঘৃণার আগুনটি নিভায়ো তবে দুফোঁটা চোখের পানি ফেলে এতটুকু অনুরোধ—তারপর নাহয় ভুলে যেয়ো চিরতরে আমাকে আবার তোমাকে দুঃখ দিতে কখনো আর আসব না এই পৃথিবীতে ২ আমাকে খুঁজছ? খুঁজতে পারো—পাবে না আর জগৎ চষেআমি হাসতে হাসতে ভেসে এসেছি সেদিন কান্নাবানের জলে অই নক্ষত্রের দেশে—চিরকুয়াশার আঁধার নগরে আমার বাস নিশিথে ফুটে যে-কুসুম তারই ঘ্রাণে হয়তো হয়তোবা অনুভূত হতে পারে আমার ঘ্রাণ একদিন সত্যিকারের হৃদয়ে ফুটফুটে জোছনার আবছায়াতে আমার ছায়া দেখবে না আর অই যে তোমার চলাচলের পথে—পদ্মদিঘির কালো নীরে রক্তকমল হয়ে ফুটছি আমি আবার—তোমার হাঁটাচলা চাহাতে হয়তো ঘাসফুল—চোরকাঁটা জড়ায়েছি তোমার লাল-পাড়-শাড়িতে টের পাবে না তুমি—ভুঁইফোঁড় দলে যাচ্ছ কিবা যাবে বারবার ৩আমাকে দেখেও হয়তো চিনতে পারবে না আর এখানে—আমি ছায়াহীন বালিকার নিগূঢ় প্রেমে মজে দিনরাত খেলব—খেলছি লুকোচুরি বেদনার বাগানে সেখানে—দূরে—বহুদূরে—হয়তো আরও দূরেচিরকুমারীদের দলে ছুটছি সমান্তরালের ময়দানে এ জীবনের না পাওয়ার বেদনা হয়তো সেদিনও রবে থাক-না তবে—আবার আমি তোমার কথা মনে করে হাসনাহেনা হয়ে ফুটতে পারি মোহনলালের কার্নিশে তার ঘ্রাণের টানে তুমি যখন পাগল হবে মৃগহরিণীর মতো তোমার অস্থিরতায় আমিও তখন অস্থির কস্তুরির সুগন্ধে ৪                 আমাকে অনুভব করতে পারো—পারবে না হয়তো আমি তোমার হাসির ঝলকে মুক্তা হয়ে ঝরতে ঝরতে সুখাকুল সুখে সমুদ্রতল গভীরতলে ডুবে যাচ্ছি কিবা যাব কিবা আবার ভেসে ওঠছি—ওঠব তোমার নাম ধরে সৃষ্টির সমস্ত রঙে মিশে গিয়ে আবার আমি রাঙাতে আসছি আসব—আসব না সাজাতে আর বিষাদের রংহীন সংসার আমার কথা নাইবা মনে রাখলে তুমি—নাইবা রাখলে স্মরণআমি তোমার কথা মনে করে আসছি—আসব আবার ভুলে যাব সেদিন বিরহজ্বালার সেসব—অইসব নীলদংশন দেখব বিস্ময়ে নিশ্চয়তার অভূতপূর্ব আদর আর আদর ৫ আমাকে দেখতে পাবে—হয়তো অন্যরূপে তোমার শুভ্রজীবন রাঙানো হবে যখন চিরচিত্রণে কানিজের সৎপুত্র মালিজের সাথে কিবা ভ্রাতুষ্পুত্রে অথবা সোয়াতির আগপুত্র সুখেন্দ্রের সঙ্গে দুনিয়া এককরে প্রার্থনারত ভ্রমর এক আত্মহারা দেখো—দেখবে পুষ্পনিকুঞ্জে যাত্রা শুভ হোক—ভেনিস শহরের কিবা সিলন-সেরেনদ্বীপেরঅথবা হিমাচল থেকে নীলাচল নীলগিরি নীলাদ্রি জাফলঙেরমধুঝরা সেই মধুচন্দ্রিমার অই প্রমোদনগরের ঘাটে ঘাটে তোমার স্বর্গসুখের ভবে—আনন্দ-ঘন-মুহূর্তের একান্ত কুঠরিতে ভূত হয়ে দাঁড়াব না—দাঁড়াবে না কখন আমার ছায়া ভয়ঙ্করে ৬আমাকে হয়তো দেখতে পাবে তুমি আবার—পাবে না—বৈরৎ বেইজিং বার্লিন বুখারেস্ট বেগাওয়ান বার্ন মানামা মস্কো মস্কাট ওয়াশিংটন সিউল সিডনি প্যারিস লন্ডন টোকিও রোমে এ বেতবনে বাঁশঝাড়ে হিজলতলায়—ডুমুরের ঝুঁকে পড়া ভাসাডালে ‘ডাক’‘ডাক’ ডাকছে দেখবে ডাহুক এক প্রিয়তমে প্রিয়তমায়কিবা খঞ্জন এক পুচ্ছ নাচাচ্ছে মহেন্দ্রদেবের ডেউয়াগাছটিতেহয়তো জলপিপি এক ওড়ছে দেখবে তোমার মাথার ওপরেকিবা ঘুঘু শালিক দোয়েল এক খুঁটছে দানা জগেন্দ্র উঠোনে‘দূর’‘দূর’ করে দূরে তাড়াচ্ছ তুমি তারে বারবার বারেবারে বারবার আমি আসছি ধেয়ে—আসছি তোমার মূঢ়দৃষ্টে আবার ১২/৮/২০১৬—মানামা, আমিরাত

কবিতা

খ্যাতির লোভে

বুকের ছাতিতে আছে জমা যে প্রেমমুখের বচন হয়ে আসেনা। তেলাকচু ঠোঁট তেল ঝরিয়ে যায়।প্রেমের সোহাগে শুধু  ভাসে না।দৃষ্টির সীমানায় কৃষ্টি ভুলে গিয়েদেখি শুধু শুয়োরের আস্তানা।সস্তা খ্যাতির লোভে বিলিয়ে দিচ্ছি সবআসলে তো জীবন এতো সস্তা না।

সমালোচনা

শাহরুখ খান তাঁর এক ইন্টারভিউতে বলেছিলেন

শাহরুখ খান তাঁর এক ইন্টারভিউতে বলেছিলেন, আমি সাদামাটা জীবন কখনও পছন্দ করি নি। আমি কখনো বাস বা ট্রেনে ঝুলে ঝুলে যাওয়া, কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাত খাওয়া এগুলো ভুলেও ভাবতাম না। আমি সব সময় ভাবতাম, আমার সাথে সবসময় পাঁচজন বডিগার্ড থাকবে,...

কবিতা

হলুদ খাম

 আসছে দিনে,আমার হৃৎপিন্ডটা,পাঁজর কেটে বের করে,হলুদ খামে পুড়ে , ডাকযোগে পাঠিয়ে দিবো তোমায়।তুমি নির্জনে বসে, আমার হৃদয়ের কথাগুলো পড়িও, পড়িও আমার সমস্ত আবেগ অনুভূতিকথাগুলো।হৃৎপিন্ডটা পাঠিয়ে দিবো তোমায়,তুমি নির্জনে বসে,রক্তবিন্দুর শেষ ফোটাটারস্পর্শ নিও!অনুভব করিও, আমার ভালোবাসার উষ্ণতা!আসছে দিনে ডাকযোগে পাঠিয়ে দিবোআমার হৃৎপিন্ডটা!হলুদ খাম খুলে সুবাস...

কবিতা

আলেকিত হও নিজ কর্মে

 নিজের কর্মে আলোকিত হও!অন্যের পরিচয়ে নয়!সৎ পথের কান্ডারি হও -অসৎ পথের নয়!ভেবেছো তুমি অন্যের আলোয়,আলোকিত হবে!অন্যের পরিচয়ে মানুষ তুমি,প্রভাব খাটাবে!জেনে রেখো নও তো তুমি,আসমানের ঐ চাঁদ,সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়েকরবে জীবন মাত!মানুষ তুমি লোভ লালসায়পরিপূর্ণ এক জীব!অন্যের ক্ষমতা দেখাতে গিয়েহয়েও না...

সমালোচনা

আমার ভাবনা-১

আমার ভাবনাগুলো -১লিংকনআমরা পাপ করতে করতে এমন একটা জায়গায় উপস্থিত হয়েছি যে, পাপ যে করছি বুঝতেই পারছি না।            এই যেমন ধরুন কোন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে আছি, টাকা মেরে দেওয়ার অনেক সুযোগ, মেরেও দিচ্ছি, কারন আগে যে...

কবিতা

প্রতি উত্তর

প্রতি উত্তর""""''""""""""""""""""""""লিংকনপ্রিয়তমা সুস্মিতা, জানি আমি, অনুভব করেছি হৃদয়ের গভীর হতে তোমার ভালোবাসার উষ্ণতা,যেখানে অলিন্দ নিলয়ে খেলা করেলাল নীল গাঢ় রক্ত । তাইতো আমার ধমনি শিরাহেমিস্ফিয়ারে তোমার স্বপ্নখেলা করে স্বর্গীয় সুখ নিয়ে।নীল সভ্যতায় সৃষ্টি  তোমার যে ভালোবাসা,তারও  আগে সৃষ্টি আমার,তোমায় পাবো বলে।গ্যালাক্সিতে বসে থাকাকোন প্রেম মানবী...

ভ্রমণ

কিছু মানুষ ট্রেনের ডিব্বাটাকে নিজের বাড়ি বানিয়ে ফেলেন

দূর পাল্লার কোন ট্রেনে ওঠার পর কিছু মানুষ ট্রেনের ডিব্বাটাকে নিজের বাড়ি বানিয়ে ফেলেন, ঘটনাটা একটু খুলে বলি। একবার দার্জিলিং মেইলে বাড়ি ফিরছি। ওদিকের লোয়ার বার্থে এক ভদ্রলোক উঠেছেন। ট্রেনে উঠেই উনি ব্যাগ থেকে গামছা বার করে বাথরুমে গেলেন। যখন...

প্রবন্ধ

পরিশ্রমই একমাত্র সফলতার চাবিকাঠি।

পরিশ্রমই একমাত্র সফলতার চাবিকাঠি।জীবনটা কিন্তু পুষ্পশয্যা নয়, প্রত্যেকের জীবনে কাঁটাযুক্ত। আমরা হয়তো কারোর টা দেখি আর কারোরটা দেখি না। কাটার আঘাত সহ্য করতে পারলে যেমন গাছ থেকে ফুল নেয়া যায়, তেমনি পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনের কাঁটাগুলোকে সরাতে পারি। যে...

কবিতা

সৃষ্টির মাঝে স্বর্গ

আমাকে নির্বাসন দাও তা হলে দাও স্বর্গের সেই বাসস্থানসেই মধুময়ীরাত মুগ্ধপ্রভাত নিঝুমদুপুর সন্ধ্যার স্নিগ্ধতানির্ভয়ে ফিরছে পথিক বাড়ি—নীড়ে ফিরছে পাখিএমন ইষ্টকালের প্রার্থী আমি  মায়ের পাশে ঘুমিয়ে আছে যে-শিশুটিবারবার হাসে মায়ের মৃত্যুতে—সেই পুষ্পহাসির জীবন চাই-মরণের বাস কদিনের জিন্দেগি—কেন তবে হিংসার জ্বলাজ্বলি চল—পৃথিবীতে কায়েম করি শান্তির স্বর্গনগরী  সমস্ত সৃষ্টির মাঝে স্বর্গ, সৃষ্টি প্রার্থনা করে স্বর্গেরঅন্ধকারাগার খুঁজবে রশ্মি এটাই ধর্ম প্রকৃতির দুঃখসমুদ্দর সাঁতারিতে পারলে সুখের জিন্দেগিনিজের কর্মের মাঝে ভালোমন্দের আবাসপাপপুণ্যের হিসাব করে চলো মুসাফির ২/৯/২০১৬—মানামা, আমিরাত

কবিতা

হাজার পৃষ্ঠার চিঠি

প্রতিদিন তোমার ঠিকানায় এক পৃষ্ঠা চিঠি লিখেছিলাম প্রতিদিন তার আশ্রয় হয়েছিল কি জানি ডাস্টবিনে? হাজার পৃষ্ঠার চিঠি লিখে ক্লান্ত হয়েছিলাম আমি অশেষ তোমার কৌতূহল তবু জন্মেনি একটু ডাস্টবিনের কোণে!  আমার চাহাতের ঘোড়া তবু ছুটেছিল শূন্যতার প্রান্তরে আমি চেয়েছিলাম মাটির সংসার উত্তরে দেখালে তুমি আকাশ! ছায়াপথ ঘুরে নক্ষত্রদেশ জয় করে নিয়ে এসেছিলাম চাঁদ বললে—শত ব্যবধান যেখানে লিখা থাকে পরিষ্কার অক্ষরে মিলনের গান গাওয়া সেখানে মাতালের দিগন্তপার!  বুঝলাম—জীবনে অনেক কিছু জানার থাকে বাকি জানতে পারলে হয়তো অনেকে হয় অপরাধী অনেকের গর্বে ভরে ওঠে বুক—ভরে যায় হৃদয় আমার পরাজয়—এখানে পরাজিত আমি—সবার কপালে লেখা থাকে না সোনালি অধ্যায়!  বুঝি—কেউ আকাশে গেলে টেকে না আর মাটিতে শুনেছি—কেউ আকাশ থেকে মাটির গন্ধ শুঁকে!মানুষ ও মানুষে যেখানে ভেদ নয়—বিরাট প্রভেদ সেখানে চাহা ও চাহাতের দূরত্ব অতি স্বাভাবিক।  দুনিয়ার রীতি—আঁধারের পর আসে যখন প্রহর বাস্তব আঁধারের কথা কারও আর থাকে না স্মরণ ও স্মরণে! আমার জানা ছিল সব মনে—মরেছি বিশ্বাসের প্রান্তরেতোমার স্মরণে লক্ষ বছর ধরে কাঁদছে—কাঁদবে এ সমাধি কালো সিন্দুকে বন্দি আমার জীবনী হাজার পৃষ্ঠার চিঠিতে। ২০/৯/২০১৬—মানামা, আমিরাত 

গল্প

অভিশপ্ত কক্ষ

১৯৭৬ সাল, দেশ স্বাধীন হবার পাঁচ বছর হয়ে গেল। পুরান ঢাকার মোগলটুলীর একটা বিরাট বাড়ি, সেই বাড়িতে বসবাস করে সৈয়দ পরিবারের সদস্যবৃন্দ। আসলে বাড়িটা সৈয়দদের নয়, এই বাড়িটা ছিল এক হিন্দু জমিদারের। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় বাড়ির মালিক ঢাকা ছেড়ে কোলকাতায় পাড়ি জমান। আবার সেই সময় সৈয়দ পরিবারের সদস্যরা বরিশাল থেকে ঢাকায় চলে আসে। তখন পুরান ঢাকার এক সর্দার এর মারফতে তারা বাড়িটা পেয়ে যায় বাড়ির প্রধান কর্তা সৈয়দ হাফিজুর রহমান একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, বয়স ৫৬, উচ্চতায় লম্বা, কাঁচা পাকা কোকড়া চুল,ঘন গোফ,বেশ সুদর্শন চেহারা,খুব সৎ এবং ধর্মপরায়ন একজন মানুষ। এলাকার মানুষেরা তাকে খুব মান্য গণ্য করেন। হাফিজ সাহেবের বাবা মা অনেক আগেই মারা গেছেন, তখন তার বয়স ২০ বছর। এক বড় বোন আর ছোট দুই ভাই, বড় বোনের বিয়ে পরে হাফিজ সাহেব দেন। ছোট ভাইদের মানুষ করতে গিয়ে তার আর বিয়ে করা হয়নি। মা,বাবার পর তিনি সবচেয়ে বেশি মানেন তার বড় বোন হালিমা বেগম আর দুলাভাই সিরাজুল আলম কে। হালিমা বেগমের বয়স ৬০ বছর, একজন গৃহিণী জমিদার বাড়ির মেয়ে হয়েও খুব সাধারন জীবনযাপন করেছেন, স্বামীর অল্প টাকার চাকরির ব্যপারে কখনও স্বামীকে কথা শোনাননি। কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের আর তিন ভাইদের মানুষ করেছেন। । হালিমা বেগমের স্বামী সিরাজুল আলম একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, তিনি ঢাকা কলেজ, কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজ,রাজশাহী কলেজ,এডওয়ার্ড কলেজ সহ বাংলাদেশের নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেছেন। তিনি ইতিহাসের শিক্ষক, রিটায়ার করেছেন ঢাকা কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবে। সিরাজ সাহেবের বয়স ৬৫ বছর, একজন সাধারন এবং নীতিবান মানুষ। জীবনেও তিনি তার নীতির সাথে আপোষ করেননি, কঠিন সময়েও তিনি তার নীতির উপর অটল থেকেছেন। হাফিজ সাহেবের মেঝ ভাই সৈয়দ বদিউর রহমান, পেশায় একজন উকিল, বয়স ৫০ বছর, স্ত্রী শাহানা আর বড় মেয়ে নীলু, দুই ছেলে শহীদ আর মনসুর কে নিয়ে তার সংসার। একজন দক্ষ ও সৎ আইনজীবি হিসেবে তার সুনাম আছে। বদির স্ত্রী শাহানা শিক্ষিত, মার্জিত এবং ভদ্র স্বভাবের, সংসারটাকে সুন্দর করে গড়ে তুলেছেন। সৈয়দ পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, পেশায় একজন ডাক্তার, স্ত্রী শারমিন আর দুই ছেলে সাজ্জাদ আর জহির কে নিয়ে তার সংসার। শারমিন একজন গৃহিণী, খুব বিচক্ষণ এবং মার্জিত মহিলা। দুই বউ সবসময় মিলে মিশে থাকে, তাদের মধ্যে কোনদিন দ্বন্দ হয়নি। পুরো সৈয়দ পরিবার মিলেমিশে থাকে।   তারা যখন এই বাড়িতে ওঠে, আলম সর্দার বলেছিলো যে নীচের একটা ঘরে যাতে কেউ না ঢোকে। কিন্তু কেন ঢোকা যাবে না, তা কেউ জানতে পারেনি। রাত ৩টা, হালিমা বেগমের বড় ছেলে শাহেদ এর ঘুম ভেঙ্গে যায়, ভাবলো যে নীচে গিয়ে একটু পায়চারি করবে, নীচে যখন হাটছিলো সে লক্ষ করলো যে সেই রহস্যময় ঘর থেকে কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, শাহেদ ভাবলো এত রাতে কে কাঁদছে, দরজার ফুটো দেখলো এক অপরূপ সুন্দরী মেয়ে, পরনে তার মসলিনের শাড়ী, মাথায় ঘোমটা দেয়া অঝোড় নয়নে কাঁদছে। শাহেদ দৌড়ে উপরে গিয়ে শুয়ে পড়লো। শাহেদ খুব মেধাবী ছাত্র, দেখতেও সুদর্শন,সুঠাম দেহের অধিকারী, বয়স ১৯ বছর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পড়াশোনা করছে, খুব সাহসী কিন্তু এই দৃশ্য দেখে ভয় পেয়ে গেছে। পরদিন সকালে ফজরের নামাজের পরে শাহেদ হাফিজ সাহেবকে বললো মামা, রাতে নীচের একটা ঘর থেকে এক মেয়ের কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়েছি, হাফিজ সাহেব বললো কার কান্নার আওয়াজ? শাহেদ বললো জানি না মামা, শুনে  কেমন অস্বস্তি লাগছিলো।  হাফিজ সাহেব চিন্তায় পড়ে গেল, শাহেদ পরে হাফিজ সাহেব এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ক্লাসে চলে গেল। কিছুক্ষন পর হালিমা বেগম দেখলো হাফিজ সাহেব কে জিজ্ঞেস করলো কী রে হাফিজ, তুই কী নিয়ে চিন্তা করছিস ? হাফিজ সাহেব বললো আপা, শাহেদ বলছিলো যে নীচের একটা ঘর থেকে সে এক মেয়ের কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়েছে, হালিমা বেগম আশ্চর্য হয়ে বললো কী বলিস! এ তো আসলেই চিন্তার বিষয়। এর মধ্যে এলো সিরাজ সাহেব, এসেই বললেন কী ব্যপার,কী নিয়ে আলাপ হচ্ছে? হাফিজ সাহেব বললেন দুলাভাই, শাহেদ নাকি নীচের ঘর থেকে একটা মেয়ের কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়েছে। , সিরাজ সাহেব বললো হায় আল্লাহ! এটা তুই কী বললি, আসলেই তো চিন্তা করার বিষয়। হাফিজ সাহেব নাস্তা করার সময় এই ব্যপারটা সবাইকে বললো, বদি বলে উঠলো  কী বলেন ভাইজান, কার কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়েছে শাহেদ? আমরা বাদে তো এত বড় বাড়িতে কেউ থাকে না, নিশ্চয়ই কেন রহস্য আছে। তখন মাহবুব বলে উঠলো না মেঝ ভাই, মনে হয় শাহেদ এর কোন ভ্রম হয়েছে। এই কথার মাঝখানে শাহানা বললো না মাহবুব,এটা তো শুনেছি হিন্দু জমিদারদের বাড়ি ছিলো সেই ১৫০-২০০ বছর পুরনো, মনে হয় জমিদারের বাঈজী বা রক্ষিতার ঘর ছিলো সেটা, এই জমিদারেরা তো ছিলো লম্পট আর ব্যভিচারী কোন না কোন পুরুষ সেই নারীর সাথে কোন অন্যায় করেছিলো বা তাকে হত্যাও করতে পারে সেই সময়ের জমিদার। শারমিন বললো তোমার কথায় যুক্তি আছে ভাবী, দেখি একবার রাতে আমি,তুমি,মীনু,আর বাকিরা গিয়ে দেখে আসবো ঘরের রহস্য টা কী? শাহানা বললো ঠিক আছে,তুই যখন বলছিস,আমরা গিয়ে দেখবো কী ব্যপার। শাহেদ বাড়ি ফিরুক, তারপর ওর সাথে আলাপ করবো। নাস্তা শেষ করে বদি আর মাহবুব কাজে চলে গেলো।  হাফিজ সাহেব কিছুটা নিঃসঙ্গ, ভাই-বোন, ভাগ্না-ভাগ্নীদের দেখে রাখার জন্য তার আর বিয়ে করা হলো না। অবশ্য ছাত্র জীবনে এক মেয়ের প্রেমে পড়েছিলো , কিন্তু পরে সেই মেয়েটার বিয়ে অন্যখানে ঠিক হয়ে যায় , সেই প্রথম প্রেম ভূলতে না পেরে আর বিয়ে করেননি তিনি। তবে ভাই বোন, ভাগ্না-ভাগ্নী, ভাতিজা-ভাতিজীদের নিয়ে তার সময় খুব সুন্দর ভাবে কেটে যায়। এছাড়া তিনি একটা সাদা বেড়াল পোষেন যার নাম মিনি, হালিমা বেগমের বড় মেয়ে মিনু, বয়স ২২ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্রী, মেধাবী এবং স্পষ্টভাষী, ভদ্র এবং দেখতে খুব সুন্দর। মিনু সবার খুব আদরের। হালিমা বেগমের মেঝ ছেলে খালেদ ঢাকা কলেজের ছাত্র, বড় ভাই শাহেদের মত মেধাবী না হলেও একজন তুখোড় খেলোয়ার। দালিমা বেগমের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান ফরিদ, ক্লাস ১০ এ পড়ে, মেধাবী ছাত্র এবং কিছুটা ডানপিটে স্বভাবের। বদিউর রহমানের বড় মেয়ে নীলু, বয়স ১৪ ক্লাস এইট এ পড়ে, সাহসী এবং সবার প্রিয়, নীলুর পরে শহীদ, ক্লাস সিক্স এ পড়ে যেমন চঞ্চল তেমন মেধাবী। বদিউর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র মনসুর, ক্লাস ফাইভে পড়ে সবার ছোট আর সবার আদরের। মাহবুবের দুই ছেলে জাফর আর সাজ্জাদ। জাফর আর শহীদ সমবয়সী এবং সাজ্জাদ আর মনসুর সমবয়সী।  শাহেদের কথাটা নিয়ে চিন্তা করার পর হাফিজ সাহেব এর মনে পড়লো যখন তারা প্রথম এই বাড়িতে ওঠে তখন আলম সর্দার বলেছিলো নীচের  সেই ঘরে কাউকে ঢুকতে দিতে না। এবার হাফিজ সাহেব চিন্তা করলো কেন আলম সর্দার ঐ ঘরটার ব্যপারে এমন কথা বলেছিলো। আজ আলম সর্দার বেঁচে নেই, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় পাক সেনারা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। যেহেতু আলম সর্দার নেই, ভাবলো অন্য কারও কাছে এই ব্যপারে জিজ্ঞেস করবে। সিরাজ সাহেব হাফিজ সাহেবের পাশে বসে বললো হাফিজ, তোর মনে আছে আলম সর্দার একবার বলেছিলো যে ঐ ঘরে কাউকে ঢুকতে দিতে না হাফিজ সাহেব বললো জ্বী দুলাভাই, মনে আছে। কেনো বলেছিলো তার রহস্য অতি শীঘ্রই উদঘাটন করতে হবে। সিরাজ সাহেব বললো কখন করবি? হাফিজ সাহেব বললো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করবো। রাত ১:৩০ টা, বাড়ির সবাই গভীর ঘুমে। এর মধ্যে শাহানা বিছানা থেকে উঠলো, পাশে মাহবুবের ঘরের পেছনের জানালা থেকে শারমিন কে ডাকলো, শারমিন উঠে মিনু, শাহেদ,খালেদ,ফরিদ,নীলু,শহীদ,মনসুর, জাফর আর সাজ্জাদ কে ডাকলো। সবাই নীচে নেমে সেই রহস্যময় ঘরের দিকে এগুলো। শাহানা আর শারমিন ঘরের দরজার ফুটো দিয়ে দেখলো সেই মসলিন শাড়ী পরিহিতা সুন্দরী মেয়েটিকে, তখনও সে কাঁদছিলো। শাহানা শাহেদ কে বললো শাহেদ, তুই তো ঠিক বলেছিস, এ তো আসলেই কাঁদছে। কিন্তু সে কে সেটাই তো জানিনা। শাহেদ বললো মামী, তোমার ধারনা ঠিক হতে পারে সে নিশ্চয়ই জমিদার বাড়ির রক্ষিতা ছিলো। কিছুক্ষন পর তানপুরার সুর বেজে উঠলো, তারপর সেই মেয়েটির কন্ঠে গান শোনা যায়। এবার শারমিন কান পেতে দিলো দরজার সামনে, তানপুরা বাজিয়ে মেয়েটি গাইছিলো পথহারা পাখি কেঁদে ফিরে একা আমার জীবনে শুধু আঁধারের রেখা। শারমিন মুগ্ধ হয়ে গান শুনছিলো, গান শেষ হবার পরে বললো যে যাই বলুক গানটা ভারি সুন্দর হয়েছে। শাহানা সবাইকে নিয়ে উপরে গিয়ে আবার শুয়ে পড়লো। পরদিন সকালে নাস্তা শেষ খাবার সময় হাফিজ সাহেব বললো আজ দুলাভাই আর আমি পেনশন নিতে যাচ্ছি, বাড়ি ফেরার পথে হারুনের বাড়িতে গিয়ে ঐ ঘরের বিষয়ে আলাপ করবো। সিরাজ সাহেব বললো একবার তো আমাদেরকেও দেখতে হবে। হাফিজ সাহেব বললো তা ভূল বলেননি দুলাভাই, চলেন রাতে আপনি,আমি আর আপা গিয়ে ঐ ঘরটার রহস্য দেখে আসি। বদি বললো ভাইজান, মাহবুব আর আমিও দেখতে চাই। হাফিজ সাহেব বললো  ঠিক আছে তোরাও থাকিস। সবার নাস্তা শেষ, হাফিজ সাহেব আর সিরাজ সাহেব নিজ নিজ ঘরে চলে গেলো। কিছুক্ষন পর হাফিজ সাহেব বের হয়ে এলো ঘর থেকে, তার হাতে একটা কালো লাঠি, পরনে সাদা পাঞ্জাবী, ঢোলা পায়জামা, পাঞ্জাবীর ওপর একটা হাটু পর্যন্ত কালো আচকান আর মাথায় একটা সাদা কিস্তি টুপি। পাশ দিয়ে শারমিন হঁটে যাচ্ছিলো, দেখলো হাফিজ সাহেব কে, জিজ্ঞেস করলো ভাইজান কোথাও যাচ্ছেন? হাফিজ সাহেব বললো হ্যা বৌমা,দুলাভাইকে নিয়ে নিয়ে পেনশন তুলতে যাচ্ছি,তিন মাসের পেনশন বাকি, তোমার জন্য কিছু আনবো? শারমিন বললো না ভাইজান, আনতে হবে না। আপনি তো প্রায়ই আমাদের জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসেন।এবার আপনার জন্য কিছু একটা কিনেন। হাফিজ সাহেব বললো আমার আর কী লাগবে, তাও টুকটাক কিনে নেবো। হাফিজ সাহেব হালিমা বেগমের ঘরে গিয়ে ডাক দিলো কই দুলাভাই! দেরি হয়ে যাচ্ছে তো। সিরাজ সাহেব ঘর থেকে বের হয়ে এলেন, তার পরনে সাদা কিস্তি টুপি, ঢোলা পায়জামা, সাদা পাঞ্জাবী, হাতে একটা বাদামী লাঠি, আর পাঞ্জাবীর ওপর একটা হাটু পর্যন্ত সাদা আচকান। দুজন একসাথে বের হলো। বের হবার আগে হাফিজ সাহেব ডাক দিলো বশির,বশির! বশির এ বাড়ির কাজের লোক, প্রায় ২০ বছর যাবত সৈয়দ পরিবারে কর্মরত। বাড়ি ফরিদপুর, বয়স ৫০ বছর। বাড়ির সবাই তাকে কখনও চাকরের মত দেখেনি, দেখেছে তাদের পরিবারের সদস্যের মত। হাফিজ সাহেবের দ্বরাজ কন্ঠের ডাক ভেসে ওঠার পর বশির ছুটে এলো, এসে বললো ভাইজান, আমারে ডাকছেন? সিরাজ সাহেব বললো হ্যা, আমরা পেনশন তুলতে যাচ্ছি। তোর কিছু লাগবে? বশির বললো না দুলাভাই, প্রায়ই তো আনেন তয় আমার লাইগা একটা শার্ট নিয়া আইসেন। ভালো কোন শার্ট নাই, সব ছিড়া গেছে।  সিরাজ সাহেব বললো  ঠিক আছে, তা নিয়ে আসবো।  সব কথা সেরে তারা চলে গেলো পেনশন অফিসে।   পেনশন অফিসে গেল, এক লোক তাদের ফাইল দেখলো, পুরো তিন মাসের পেনশন বাকি ছিল। হাফিজ সাহেবের পেনশন মাসে ৩০০ টাকা আর সিরাজ সাহেবের মাসে ২৫০ টাকা পেনশন, সর্বমোট হাফিজ সাহেব ৯০০ টাকা পেলেন আর সিরাজ সাহেব তুললেন ৭৫০ টাকা। শালা-দুলাভাই মিলে পরিবারের সবার জন্য কিছু না কিছু নিলো। শাহানা আর শারমিন খু্ব বই পড়তে পছন্দ করে, হাফিজ সাহেব ওদের জন্য নীহাররঞ্জন গুপ্তের দুইখানা বই কিনলো  একটা উত্তরফাল্গুনী আর আরেকটা কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী।   সিরাজ সাহেব তার তিন ছেলের জন্য প্যান্টপিস কিনলেন, স্ত্রীর জন্য একটা শাড়ী, মেয়ের জন্য সালোয়ার কামিজের কাপড়, হাফিজ সাহেব সব ভাগ্না আর ভাতিজাদের জন্য নিলেন প্যান্ট পিস আর সিরাজ সাহেব তার তিন ছেলে আর ভাতিজাদের জন্য আর বশিরের জন্য নিলেন শার্ট পিস। হাফিজ সাহেব তার দুই ভাইয়ের জন্য দুটো মানিব্যাগ কিনলো। পরে সিরাজ সাহেবকে বললো দুলাভাই, চলেন এক কাপ চা খাই। সিরাজ সাহেব বললো হ্যা, মন্দ হবে না। সিরাজ সাহেব তার দুই শালার জন্য দুটো দামি মানিব্যাগ কিনলো। তারপর দুই শালা-দুলাভাই মিলে মালাই চা খেলো। বাড়ি যাবার পর বশিরের কাছে সব জিনিস দিয়ে বললো এগুলো লুকিয়ে রাখ, আমি আসার পর এগুলো সবাইকে দেবো, আমরা একটু বাইরে যাচ্ছি। বশির বললো  ঠিক আছে ভাইজান। পরে তারা হারুন সাহেবের বাসায় গেল, হারুন সাহেব হাফিজ সাহেবের বন্ধু, মোগলটুলীতেই থাকেন। হাফিজ সাহেবের সমবয়সী, পেশায় আইনজীবি। সৎ, ধর্মভীরু, এবং বন্ধুবৎসল একজন মানুষ। সিরাজ সাহেব হাফিজ সাহেবকে বললো এতদিন পর হারুনের বাসায় যাচ্ছি, কিছু একটা কিনে নিয়ে যাই। হাফিজ সাহেব বললো ঠিক আছে, পাশের দোকান থেকে মিষ্টি কিনে নেই।  মিষ্টি নিয়ে গেলো হারুন সাহেবের বাড়িতে। হাফিজ সাহেব দরজার কড়া নাড়লেন, দরজা খুললো হারুন সাহেবের স্ত্রী সালেহা বেগম। সিরাজ সাহেব বললো সালেহা, হারুন বাড়িতে আছে? সালেহা বেগম বললো জ্বী সিরাজ ভাই ও আছে। আপনারা বসেন আমি জহিরের আব্বাকে ডেকে দিচ্ছি। হারুন সাহেব বসার ঘরে এসে খুশি হয়ে বললো আরে হাফিজ, অনেকদিন পর। কেমন আছো, কেমন আছেন সিরাজ ভাই?  সিরাজ সাহেব বললো আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। হাফিজ সাহেব বললো হারুন, একটা জরুরী বিষয়ে তোমার কাছে এসেছি। ৪৭ সালে যখন আমরা এখানে আসি তখন আলম সর্দার বলেছিলো যে আমাদের বাড়ির নীচতলায় নাকি একটা ঘর আছে, সেই ঘরে কেউ যেন না যায়। একদিন আমার ভাগ্নের ঘুম ভেঙ্গে যায়, সে নীচে যখন পায়চারি করছিলো তখন দেখতে পায় সেই ঘর থেকে এক মেয়ের কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। পরে আমার ভাগ্না-ভাগ্নী, ভাতিজা-ভাতিজি আর দুই ভাইয়ের বউ একই দৃশ্য দেখে। একটু চিন্তায় আছি, আলম সর্দার থাকলে তাঁর কাছেই যেতাম কিন্তু সে তো নাই। তুমি কিছু জানো এই ব্যপারে। হারুন সাহেব বললো  আমি জানি, আসলে এই ব্যপারটা অনেকেই জানে কিন্তু কেউ বলে নাই। আজ আমি তোমাদের বলছি, এই বাড়িটা প্রায় ১৫০-২০০ বছর আগের বাড়ি। আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে তোমাদের ঐ বাড়িটা ছিল জমিদার প্রতাপ নারায়ন রায় চৌধুরীর বাড়ি, তাঁর ছেলে শশাঙ্ক নারায়ন রায় ঐ বাড়িরই এক বাঈজী চন্দ্রমুখীর প্রেমে পড়ে যায়, ওদের সম্পর্ক অনেকদিন চলছিলো। শশাঙ্ক চন্দ্রমুখীকে কথা দিয়েছিলো যে সে তাকে বিয়ে করবে, কিন্তু সে কোন কথা রাখে নাই। সেই দুঃখে চন্দ্রমুখীআত্মহত্যা করে, এই খবর জানাজানি হবার পর প্রতাপ নারায়ন রায় চৌধুরী আদেশ দেয় চন্দ্রমুখীরলাশটা দেয়ালের ভেতরে গেঁড়ে দিতে। পুরো কাহিনী শোনার পর হাফিজ সাহেব বললো সর্বনাশ! এই জমিদার গুলো তো আচ্ছা রকমের লম্পট ছিলো। আল্লাহর কাছে হাজার শুকুর যে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক সাহেবের মত নেতারা জমিদারী প্রথার বিরুদ্ধে অবদান রেখেছেন। সিরাজ সাহেব বললো ঠিক বলেছিস, না হলে এই লম্পটগুলো আজও সমাজে থাকতো। বেশ কিছুক্ষন গল্প করার পর হাফিজ সাহেব আর সিরাজ সাহেব হারুন সাহেবের বাড়ি থেকে চলে গেলো।  যাবার পথে সিরাজ সাহেব এর হঠাৎ মনে হলো যে নীলু,শহীদ, মনসুর, জাফর আর সাজ্জাদ এর জন্য কিছু নেওয়া হয় নাই। হাফিজ সাহেব বললো আমরা তো বাচ্চাদের জন্য কিছু নিলাম না, চল কিছু একটা কিনি ওদের জন্য। হাফিজ সাহেব রাজি হয়ে গেলেন দোকানে, সিরাজ সাহেব বাচ্চাদের জন্য কয়েকটা বাকরখানি কিনলেন আর হাফিজ সাহেব বাচ্চাদের জন্য কয়েকটা লজেঞ্চুস কিনে আনলেন। বাড়ি ফেরার পর হাফিজ সাহেব সবাইকে ডাকলেন, সবাই হাজির হলো, সবাইকে সবার জিনিস তারা দিলো। যেদিন সিরাজ সাহেব আর হাফিজ সাহেব বাড়ির সবার জন্য জিনিস কিনে আনেন সেদিন বাড়িতে ঈদের আনন্দ হয়। বাড়িতে ভালো রান্না করা হয়। হাফিজ সাহেব দুই ভাইয়ের বউদের নিজের ছোটবোনের মত স্নেহ করে, ওদের হাতে যখন বই দেয়া হলো তখন শাহানা আর শারমিন খুশিতে আত্মহারা, বললো ভাইজান, এই বইটা ভাবছিলাম পড়বো, কিন্তু আপনার ভাইয়েরা সময় পায় নাই সেই জন্য পড়া হয়নি। এবার প্রাণ খুলে বইগুলো পড়বো। বদি বললো ভাইজান, আপনি কেন আমাদের জন্য কেনেন, নিজের জন্য অন্তত একটুয খরচ করুন। আপনারও তো শখ আছে। মাহবুব বললো মেঝ ভাই ঠিক বলেছে ভাইজান, আপনি তো সারাজীবন আমাদের জন্য করে গেলেন। নিজের জন্য কিছু একটা কেনেন।  হাফিজ সাহেব বললো এই দুনিয়ায় এক তোরা বাদে আমার আর কে আছে। জানি আল্লাহ সব বান্দার আপন। কিন্তু আমার স্ত্রী নেই, সন্তান নেই, তোরাই তো এই দুনিয়ায় আমার ভাই, আমার সন্তান। তিন মাসের পেনশন পেয়েছি, সব টাকা ফুরিয়ে যায়নি, এখনও অনেক টাকা বাকি আছে। আমি তো আর তাজমহল বা কোহিনুর কিনে আনি নাই। এগুলো তো সামান্য জিনিস। শারমিনের চোখে পানি চলে এলো, বললো আল্লাহ যেন প্রতিটা ঘরে আপনার মত বড় ভাই পাঠায় যে পরিবারের প্রতি দ্বায়িত্বশীল, যে তার ভাই-বোনদের খুব ভালোবাসে। হাফিজ সাহেব হাসলেন, বশিরকে আদেশ দিলেন পোলাও আর কোরমা রান্না করতে। আজ সবাই খুব আনন্দ করলো। পরদিন সকালে শাহেদ সিরাজ সাহেবকে বললো  আব্বা, ঐ ঘরের রহস্যের ব্যপারে কিছু জানতে পেরেছেন? সিরাজ সাহেব বললো হ্যা জানতে পারলাম, কিন্তু এখন যাছাই বাছাই করতে হবে। খালেদ এসে বললো জানেন আব্বা, ঐ ঘরের মেয়েটা খুব সুন্দর গায়, কিন্তু কেন জানি কাঁদে সারা রাত। ফরিদ এসে বললো মেঝ ভাই ঠিক বলেছে আব্বা, আমিও সেইদিন মামীদের সাথে ছিলাম। মীনু ঘর থেকে বের হয়ে এলো, সিরাজ সাহেব বললো কী রে মা মীনু, তুই এই সময় কই যাচ্ছিস? মীনু বললো ক্লাসে যাচ্ছি আব্বা । সিরাজ সাহেব বললো ভালো, শাহেদ তোর ক্লাস নেই? শাহেদ বললো  আজ আর নেই, স্যার ছুটিতে গেছেন। কিছুক্ষন পর হঠাৎ হারুন সাহেব বাড়িতে এলো হাফিজ সাহেবের সাথে দেখা করতে। শাহানা দরজা খুলে সালাম দিয়ে বসতে বললো, শাহানা হাফিজ সাহেবকে ডাকলো ভাইজান, হারুন ভাই এসেছেন। হাফিজ সাহেব ঘর থেকে ঘর থেকে বেরিয়ে এলো, তার পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবী আর চেক লুঙ্গী। হারুন সাহেব কে দেখে বললো আরে হারুন, এ সময়ে হঠাৎ? হারুন সাহেব বললেন তোমাদের নীচতলার সেই রহস্যময়ী ঘরের আরেকটা কাহিণী আছে যা আমি বলতে ভূলে গেছি। লোকমুখে আরেকটি কাহিণীর প্রচলন আছে, সেটা হলো চন্দ্রমুখীকে শশাঙ্ক হত্যা করে, আর আরেকটা তো কালকেই বললাম। এই ঘটনার পর থেকেই ঐ ঘরের নাম হয় অভিশপ্ত কক্ষ। হাফিজ সাহেব বললো কোনটা যে সত্যি আল্লাহই জানে, রহস্যটা একবার উদঘাটন করবো। হাফিজ সাহেব আর হারুন সাহেবের কথোপকথনের সময় হালিমা বেগম সেখানে হাজির হন, হারুন সাহেব তাকে দেখে সালাম দিলো। হালিমা বেগম বললো কী হারুন মিয়া, অনেকদিন তোমার সাথে দেখা হয় না । কেমন আছো? হারুন সাহেব বললো আলহামদুলিল্লাহ, কয়েকদিন একটা জটিল মামলা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম তাই সময় হয়নি আপা। পরে বদি আর মাহবুব সেখানে হাজির হলো, বেশ কিছুক্ষন গল্প করার পর হারুন সাহেব, বদি মাহবুব একসাথে বিদায় নেয়। পরে রাতে খাবার শেষ করে হাফিজ সাহেব সবাইকে নিয়ে বসার ঘরে বসলেন, বসে বললেন  ভাবছি আজ আপা,দুলাভাই আর আমি সেই রহস্যময় ঘরের ব্যপারটা দেখে আসবো। বশির তুইও থাকিস। বশির বললো না ভাইজান, আমার ডর করে।  নীলু বললো না বশির চাচা, ভয় পাবেন না, আপনারা তো আর ঘরে যাচ্ছেন না খালি দরজার ফুটো দিয়ে দেখবেন। মাহবুব বললো  আল্লাহই জানে আসলে ব্যপারটা কী, তাও একবার দেখে আসি। মীনু বললো মেয়েটাকে দেখে মনে হয়েছে খুব সুশীল, আদব কায়দা জানা। শারমিন বললো এমনই তো হবার কথা কারণ আগের দিনের বাঈজীরা খুব ভদ্র ছিলো, সুন্দর করে কথা বলতো আজকাল তো এমনটা নেই। মাহবুব বললো তা ভূল বলোনি শারমিন।  পরে রাত ৩টা বেজে গেলো। সিরাজ সাহেব আর হালিমা বেগম হাফিজ সাহেব কে ডাকতে...

কবিতা

ব্যারিস্টার সুমন

ব্যারিষ্টার সুমন       স্বপন বিশ্বাস জন্ম নিছে একটা ছেলে শত বছর পরেসুমন নামের সে ছেলেটা সবার হৃদয় মাঝে। হবিগঞ্জ এক মায়ের কোলে বেড়ে ওঠা তারস্বর্গ সুখের সমাজ গড়তে তুললা নাই যার।ধর্ম বর্নের বিভেদ মুছে গড়তে সুন্দর মানুষ বিলিয়ে দিয়ে ভালবাসা ছুটছে অহর্নিশ। যুগে যুগে এমন ছেলে এক দুইটা আসেযার আদর্শ...

গল্প

আয়নাকান্ত

আয়নাকান্তদারুস সালাম মাসুদ মনের ভেতর কী যেন সারাক্ষণ তাড়িয়ে বেড়ায় লিটন সাহেবকে। গাড়ির ঘূর্ণমান চাকার মতো প্রতিদিন তিনি যন্ত্রের বেগে দৌড়ান। আজতো আরও অস্থির। এম.ডি. স্যার বলেছেন অফিসে নয়টার আগে উপস্থিত থাকতে।বাইরে বেশ ঠান্ডা বাতাস। হিম হয়ে গেছে পুরো পৃথিবীর দেহ।...

কবিতা

তবুও কেন

 যেখানে ভাগ্য লেখা হয়েছে মানব সৃষ্টির সেই হাজার হাজার বছর আগে!যেখানে রিজিকের ফায়সালাহয়ে আছে নির্ধারিত!নির্ধারিত হয়ে এসেছে -যেখানে মৃত্যুর পয়গাম!তবুও কেনো মানুষ মোরা,ছুটে চলি অবিরামভাবে!ছুটে চলি সময়কে পিছনে ফেলেমরনকে ভুলে গিয়ে!তবুও কেনো লোভ লালসার পাতানো ফাঁদে পা দিয়েছুটে চলা নিষিদ্ধ পথে!তবুও কেনো স্বার্থের...

কবিতা

তুমি রাগ করো না

 কোন এক পড়ন্ত বিকেলে,যদি বলি - চলো কোথাও বেড়িয়ে আসি!নদীর পাড় কিংবা বিলের ধারে,শীতল জলে পা ডুবাতে ! তুমি রাগ করো না।ধরো! ভর দুপুরে বর্ষার ঘনঘটা,তোমায় যদি বলি- চলো ঝুম বৃষ্টিজলে নাইবো আজতুমি রাগ করো না।কখনও যদি বলি -তোমার হাত ধরে ঐ নীল আকাশটাকে...

কবিতা

হারিয়ে গেছো তুমি

 শীতের সকালে কুয়াশা ভেদ করা,রক্তিম লাল সুর্যের মতো,আমার জীবনে অপ্রত্যাশিত,সুখপাখি হয়ে এসেছিলে তুমি।আঁধার রাতের ভরা পুর্ণিমার মতো,আলোকিত জীবন আমার,শুধু তুমি এসেছিলে বলে।স্বপ্নগুলো আমার গোলাপের পাপড়ির মতো  প্রস্ফুটিত হয়েছিল,সুবাস ছড়িয়ে পরেছিল আকাশে বাতাসে,শুধু তুমি এসেছিলে বলে।কতো কবিতা কতো গান,লিখেছি আমি তোমায় নিয়ে।নিজের...

কবিতা

শেষ প্রহর

শেষ প্রহর -----*-----নিঃসঙ্গ অন্ধ বুড়ো বসে কাঁদে হায়বয়স ঘনিয়ে আঁধারে পোকা খায় চোখে শূন্যতায় ফুরিয়ে আসে ডাকভয়ার্ত কাতর সময়ে চেহারা নিংড়ে চলে যায়আকাশ ভারি হয়ে ভেঙে বৃষ্টি ঝরে হায়আলোর দেখা শেষ হবার দিনের অপেক্ষায়চুপি চুপি দুশ্চিন্তার রাত্রি নেমে সফল ঘোড়া হেরে যায়অর্জন-গর্জন...

কবিতা

স্মৃতিতে নন্দিতা

 নন্দিতা প্রিয়তমা আমার,মনের বদ্ধ কুঠুরিতেরক্ত মাংসের দেয়ালে এখন বারবার প্রতিধ্বনি হয়, কেমন আছো তুমি?কতদিন দেখা হয় না,কথা হয় না,হয় না চৌপথির মোরেসেই ভাংগা দোকানে বসেমিষ্টি চা পান করা। প্রিয়তমা তোমার মনে পড়ে? কোন এক বৃষ্টি দিনে,রিক্সার হুট নামিয়ে বর্ষা খেলায় মেতেছিলাম,ভিঁজেছিলাম সারাটি পিচঢালা পথে।বৃষ্টির রিনিঝিনি...

কবিতা

সাগর কন্যা

শ্যমল বরন কন্যা তুমি,সাগর পাড়ে থাকোশামুক ঝিনুক দিয়ে তুমি,রুপের রানী সাঁজো।দীঘল কালো কেশ তোমার,হাওয়ায় দোল খায়,দু'একটি কোমল গালে,আদর দিয়ে যায়।গভীর কালো চোখে তোমার,এতোই আছে মায়া ,যতোই দেখি তবুও,তৃষা মেঠে না।অস্ত যাওয়া সুর্যটারক্তজবা হয়ে,ললাট তোমার পুর্ন করে টিপের মতো করে।সাগরের চেয়েও গভীর তোমার...

চিন্তা

আমার ভাবনাগুলো -২

আমার ভাবনাগুলো - ২ আমি মনে করি, কোন পুরুষ মানুষের শিক্ষকতা (বেসরকারি) পেশায় আসা উচিৎ নয়।কেননা মাত্র ১২- ১৬ হাজার টাকায় কিংবা ২২ -২৩ হাজার টাকায় আর যাই হোক পেট চলে না, চলে না পরিবার। সন্তানের পড়ালেখা!এটাই বাস্তবতা।       তাই...

পোস্ট

জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত

জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বিয়ে প্রতি রাতের মাত্র ত্রিশ থেকে চল্লিশ মিনিটের জন্য না। বাকি তেইশ ঘন্টা ত্রিশ থেকে বিশ মিনিটের কথাটাও মাথায় রাখা উচিত। একজন আদর্শ জীবন সঙ্গী যেমন আপনাকে অকুল দরিয়াতে ভাসাতে পারে...

সমালোচনা

আমার ভাবনাগুলো - ৬

আমার ভাবনাগুলো - ৬ভবিষ্যতের স্বপ্নে- বর্তমান ধ্বংস!---  বলছিলাম আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ, আমাদের স্বপ্ন অনেক বড়, কিন্তু তা বেশিরভাগই সাধ্যের বাইরে। আমরা নিজ অবস্থান উপলব্ধি না করেই স্বপ্ন দেখা শুরু করি।                  আমরা...

কবিতা

হারিয়ে ফেলেছি মেরুদন্ডখানা

হারিয়ে ফেলেছি মেরুদন্ডখানা!খুঁজেছি এদিক সেদিক! কোথাও যেনো পাইনা খুঁজেআমি যে নির্যাতিতের প্রতীক!নিত্যপণ্য উর্ধগতিওষুধের দামেও চড়া!পড়ালেখা আজ যাচ্ছে ডুবেজাতি আজ দিশেহারা!কোটি কোটি টাকা পাচার হয়হয় যে বেগমপাড়া!মোদের রক্ত চুষে খাচ্ছে ওরামোরাই আজ সর্বহারা!প্রশ্নপত্র হচ্ছে ফাঁস,দুর্নীতিও হচ্ছে বেশ!চারদিকে আজ নীরব দুর্ভীক্ষকাটছে ঘোরের রেশ! তবুও...

কবিতা

ছাইভস্ম জীবন

তোমাকে বারবার চেয়েছি বলেই তুমি আমাকে কেমন সস্তা সস্তা ভাবো। অথচ, পুরো পৃথিবী আমাকে চেয়ে পায়নি। আমি কারোরই হইনি, এমনকি নিজেরও না। আমি আমাকে ছাইভস্ম করে উড়িয়ে দিয়েছি হাওয়ায় হাওয়ায়। হাহাহা। ভাবছো ফালতু প্রলাপ বকছি? নিজের ভালোতো পাগলেও চায়! অথচ...

কবিতা

রেপিস্ট

 সব পুরুষ রেপিস্ট নয়!নয় কামুকতায় পূর্ণ এক ভয়ংকর পশু!সে হয় বাবা -কলিজা ছেঁড়া সন্তানের বাবা!সে হয় ভাই-আদরের মাখানো বোনের ভাই!সে হয় সন্তান - স্নেহ মমতায় জড়ানো বাবা-মায়ের সন্তান।সে হয় প্রেমিক -ভালোবাসার অনন্ত শিখা জ্বালিয়ে রাখে বিক্ষুব্ধ সাগরে বাতিঘরের মতো!সব পুরুষ রেপিস্ট...

কবিতা

বুদ্ধির বটগাছ

হাত বাড়ালেই ধরতে পারি আকাশ মনে হয়? এবার ধরেই ফেলল নাকি! সবকিছু নাগালে থাকলে দখল করা যায় এমন ভাবলে ভুল নয়—বড় বোকামি।  চোখের দেখাও হতে পারে কখনো ভুল আয়না পরিষ্কার—ছায়া কি দেখা যায় হুবহু? যত ব্যবধান তুমি বজায় রাখতে চাও তার থেকে শত দূরত্বে আছি আমি জেনো।  কেউ...

কবিতা

কবি ও কবিতা

কবি ও কবিতা--------*-----------ছুটতে ছুটতে হারিয়ে গিয়ে খুঁজে পেয়েছি তোমায়ভালোবাসায় নদী শুকালে শূন্যতা কি কাঁদায়বৃষ্টি ঝরে নদী ভাঙে ভেসে যায় মেঘকাছে যেতে যেতে ক্রমশ যাই দূরে সরেনিঃসঙ্গতায় জাগে চাঁদ আঁধারেই ডুবেজোছনায় ফুল ভিজেনা অঝোরেই মরেরাত আসে জোনাকি নিভে হেসে যায় জীবনধরতে...

নন ফিকশন

হ্যালো

আপনারা দেখতে পারছেন যেই মানুষটাকে তার নাম হচ্ছে পার্থ, একজন লেখক এবং ফ্রিল্যান্সার। এখন সে ঢাকাতে যাচ্ছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্নে।ঝিনাইদহ টার্মিনালে কিছুক্ষণ পরে বাস থামে। এবং বাসের সুপারভাইজার বলে উঠে ১০ মিনিটের জন্য এখানে আমরা থামবো। আপনাদের কোন কাজ...

চিন্তা

||বিয়ে||

||বিয়ে|| বিয়ে খুব বিরক্তিকর।বিয়ে করলেই সঙ্গম করতে হয়।সঙ্গম করতে গেলে আবার ধস্তাধস্তি করতে হয়,নারীর যোনিতে পুরুষের যৌনাঙ্গ স্থাপন করতে হয়!কত শত ক্যালরি শক্তির অপচয় করতে হয় বীর্যপাতের অপেক্ষায়!আবার বীর্যপাতও বিতিকিচ্ছিরি একটা অবস্থা!বাজে গন্ধযুক্ত তরল কিভাবে একটা সুশ্রী পরিচ্ছন্ন দেহকে কর্দমাক্ত করে...

কবিতা

অসুস্থ্য আত্মা

 রক্তের সম্পর্ক থেকে যখন,আত্মার বন্ধনগুলো দূর্বল হয়,তখন সম্পর্কটা শুধু মাত্রদায়িত্বের হয়ে যায়!সেখানে থাকে না - দৃঢ় কোন টান!নিষ্প্রভ তারার মতো যতটুকু থাকে,তা শুধু মাঝেমাঝে চিনচিন করে উঠেবুকের ভিতর থেকে,ফুসফুস ভেদ করে বেড়িয়ে আসতে চায়সমস্ত বাঁধা অতিক্রম করে! কিন্তু সময়ের স্রোতে তা-আবার...

গল্প

যান্ত্রিকতা

মনে পড়ে কি তোমার?কতোদিন  তুমি আমি, সূর্যের প্রখর আলোয়,রিক্সার হুট তুলে দিয়ে,এখানে সেখানে কতো বেড়িয়েছি,পারি দিয়েছি এগলি সেগলি ।কি মজা ছিল তখন,ঘন্টা ধরে রিক্সাভাড়া।মনে পড়ে তোমার,পহেলা ফাল্গুন উৎযাপন করবো বলে,তুমি আমি তপু লিনা,মোরা সবাই গিয়েছিলাম, সেই নাছনিয়ার বিলে।অবশ্য তোমার সঙ্গে তখন,আমার সম্পর্কই...

কবিতা

বিক্ষিপ্ত

খা খা করছে প্রকৃতি আজ , কোথাও নেই ছায়া,হঠাৎ তোমার হারিয়ে যাওয়ায়,আর নেই কোন মায়া।তীব্র রোদের ঝাঁঝালো আলো, পড়ছে দেখো চেয়ে,তাহার মাঝে যাচ্ছে তরী, মাঝ নদীটায় বেয়ে।বসন্তেও আজ ফোটেনি কোন, হলুদ রঙের ফুল,প্রকৃতি কেন করছে এত, বস্ত বড় ভুল।আমি আজো...

গল্প

আত্মার আত্মীয়

বিয়ে করতে গেছি, হঠাৎ করে শ্বশুর এসে বললেন, "তা বাবা, তোমাদের না ১০০ বরযাত্রী আনার কথা ছিলো?"আমি বললাম "বাবা, আমি তো পরিবারের ছোট ছেলে। সবার শখ বিয়েতে আসবে। কি করে কাকে রেখে কাকে না বলি বলুন তো? "" সে না হয় ঠিক আছে। আগে থেকে বললে একটু ভালো হতো। এখন ওদেরকে একটু বলে দাও খাবারে সামান্য দেরী হবে। সবার আয়োজন করে একসাথে না হয় খেতে দিবো।""বাবা আপনি ও...

গল্প

বউ পাগল

আপনারা স্ত্রীকে ভালোবাসা যতটা সহজ ভাবেন বিষয়টা এতোটা সহজ নয়। দুটো উদাহরণ দিলে বিষয়টা খুব সহজে বুঝতে পারবেন।বিয়ের পর মোবাইলের ওয়াল পেপারে স্ত্রীর ছবি রেখেছিলাম। বন্ধুদের সাথে আড্ডায় এক বন্ধু সেটা দেখলো।তারপর সে হাসতে হাসতে অন্য বন্ধুদের বললো, "রিফাতের মোবাইল দেখ। বউয়ের ছবি দিয়ে রেখেছে। আরে ব্যাটা তো দেখছি বউ পাগলা।" সঙ্গে সঙ্গে সবার মধ্যে হাসির ধুম পড়ে গেলো।এমন বিব্রত হয়ে পড়লাম যে, বলার মতো নয়।বিব্রত অবস্থা থেকে বাঁচার জন্য ওদের বললাম, "তোরা যা ভাবছিস আসলে তা না। আসলে অন্য একটা ছবি সিলেক্ট করতে গিয়ে ভুলে এই ছবিটা পোস্ট হয়ে গেছে।আমি নিজেও খেয়াল করি নি। এই দেখ ছবিটা এখনই আমি ডিলিট করে দিচ্ছি।"তারপর ওদের দেখিয়ে স্ত্রীর ছবিটা বদলে বন্ধুদের নিয়ে তোলা একটা ছবি মোবাইলের ওয়ালপেপারে দিলাম।স্ত্রীর পরিশ্রম যেনো কম হয় এজন্য মাছ মুরগী কিনলে বাজার থেকে কেতে-কুটে আনতাম। স্ত্রীকে রান্নায় সাহায্য করতাম। অনেক সময় ছাদে শুকাতে দেয়া কাপড় নিয়ে আসতাম।মা এসব প্রায়ই দেখতেন এবং মার চোখ দেখে বুঝতে পারতাম তিনি এসব পছন্দ করছেন না।তবে তিনি কিছু বলতেন না কিন্তু যেদিন স্ত্রীর কাপড় ধুলাম সেদিন তিনি আর চুপ থাকতে পারলেন না।কাটা কাটা উচ্চারণে বললেন, "বিয়ে করতে না করতেই বউ পাগলা হয়ে গেছিস! বউয়ের কষ্ট আর সহ্য হচ্ছে না, তাই না? ঘরের এসব কাজ আমরা সারা জীবন কি করি নি?"এমন নয় যে, আমি শুধু স্ত্রীকে ঘরের কাজে সাহায্য করি, মাকেও সাহায্য করি। কিন্তু স্ত্রীকে সাহায্য করাটা তিনি কেনো যেনো নিতে পারতেন না।আমি 'বউ পাগলা', মায়ের কাছ থেকে এই কথাটা গেলো খালাদের কাছে আর খালাদের কাছ থেকে এক সময় পুরো আত্মীয় মহলে রটে গেলো।তারপর থেকে আমার আড়ালে এবং সামনে, ঘরে কিংবা বাইরে, হয় রেগে নয়তো কটাক্ষ করে, আত্মীয়দের মধ্যে কেউ না কেউ বলতো,"রিফাত তো বউয়ের আঁচল ধরে ঘোরে।ও তো বউ পাগল হয়েছে, সত্যিকারের পুরুষ হতে পারে নি।"যখন তারা এসব বলতো, তখন লজ্জায়- অপমানে একেবারে নিঃশেষ হয়ে যেতাম।এই লজ্জা এবং অপমান থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবং নিজেকে পুরুষ প্রমাণ করার জন্য স্ত্রীকে সাহায্য করা বন্ধ করে দিলাম। এবার আরেকটা ঘটনা বলি।বিয়ের শুরুর দিকে প্রতিদিন অফিসের লাঞ্চের সময় স্ত্রীকে ফোন করতাম। সে খেয়েছে কি না জানতে চাইতাম। সে ও সময় করে আমাকে ফোন দিতো।ফোনের এই কথপোকথন সবসময় কলিগদের এড়িয়ে করতাম। তবু কী করে যেনো এক কলিগ ব্যাপারটা বুঝতে পারলো আর তারপরই পুরো অফিসে ছড়িয়ে পড়লো, রিফাত সাহেব বউ পাগল।এরপর থেকে আমাকে দেখলে অফিসের সবাই ঠোঁট টিপে হাসতো।কী যে জ্বালাময়ী সে হাসি! সেই হাসির যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অফিস থেকে স্ত্রীকে ফোন করা বন্ধ করে দিলাম আর সে ফোন করলে সবাইকে শুনিয়ে রূঢ় ভাষায় বলতাম,"প্রয়োজনছাড়া কখনো ফোন দেবে না। অফিস তো কাজ করার জায়গা, ডেটিং করার জায়গা না।"তাই বলছিলাম, স্ত্রীকে ভালোবাসা সহজ নয়। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝলাম, আমি পৃথিবীর সব কিছু ভালোবাসতে পারবো। মা, বাবা, ভাই, বোন, সন্তান, বন্ধু, আত্মীয়, পশু, পাখি, এমন কি জড় পদার্থকেও এবং এসবের জন্য কেউ তো আমাকে আর ব্যঙ্গ করবে না, আমার ওপর ক্ষিপ্ত ও হবে না কিন্তু স্ত্রীকে ভালোবাসতে গেলেই সঙ্গে সঙ্গে হয়ে যাবে সর্বনাশ! শাস্তি হিসেবে জুটবে 'বউ পাগল' উপাধি আর একজন পুরুষের জীবনে এই উপাধির চেয়ে ভয়াবহ আর কিছুই নেই।যাই হোক, এবার মূল...

কবিতা

অগ্রন্থিত ওহী • রনক জামান • Download PDF

 অগ্রন্থিত ওহী (২০১৯) কবিতাগ্রন্থ পিডিএফ সম্পুর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করুন : পিডিএফ ➩ অগ্রন্থিত ওহী  Titleঅগ্রন্থিত ওহীAuthorরনক জামানPublisherতিউড়ি প্রকাশনISBN9789849324522Edition1st, 2019Number of Pages৪৮CountryবাংলাদেশLanguageবাংলা রনক জামানের অন্যান্য বই ➪ রকমারি.কম 

কবিতা

ব্যবধান

সেই একটা সময় ছিলতোমার বৈঠকখানায় না গেলেরাতের খাওয়া-ঘুম হারাম এই একটা সময় এসেছেজীবনের অনেক বেড়াজালে আটকেতোমার থেকে বহু দূরে বিরহব্যথার কত যে দরদদূরে গেলে বোঝা যায় আপনহারা বেদনা কীপদেপদে হয় ব্যথার উপলব্ধি আহা রে দিন চক্রকারঘূর্ণিপাকে ঘোর বিপাকে পড়েভুলতে হয় চেনা পথ এপারে আমার...

গল্প

অতৃপ্ত ভালোবাসা

 অতৃপ্ত ভালোবাসা"""""""""""""""""""""""""দেখতে দেখতে বয়স অনেক হয়ে গেল। কখন যে সময় পেরিয়ে গেল বুঝতেই পারিনি।  এইতো সেদিন,  তুমি আষ্টম শ্রেণীতে আর আমি নবমে। প্রতিদিনের মত বিকেলবেলা খেলতে গিয়ে তোমায় দেখা। ঠিক যেন  স্বর্গ থেকে নেমে আসা এক পরীকন্যা। শেষ বিকেলের মেয়ে...

গল্প

নিঃসঙ্গতা

ছোটগল্প ---নিঃসঙ্গতা"""""''""""""""""""""""""""""""""বয়স কতো হবে তখন। হাঁটিহঁটি পা পা করে কেবল বিদ্যালয়ে যাওয়া শিখেছি। এ বয়সেই আমার মতো সন্তানরা চায় বাবা মায়ের আদর, স্নেহ, শাসন ভালোবাসা। যতোটুকু মনে হয় এ সময়ই বাবা মা ভাই বোন, চাচা চাচি, ফুপুদের সঙে রক্তের সম্পর্কের...

কবিতা

কানা দূরবীন

 হারিয়েছো হৃদয় তোমার হারিয়েছো মন,শেষ বেলার গোধুলি লগ্নে,করেছো আমায় দান।দখিনা বাতাসে দখিনা ঘরেসেদিন সন্ধ্যেবেলা,তোমার আমার চার চক্ষুতেহয়েছে মিলনমেলা।রক্তিম ঠোঁটে তোমারছিল যতো সুধা,প্রেমের আলিঙ্গনে আমায়দিয়েছো তুমি তা।শুষ্ক জীবন আমারশুষ্ক ছিলো মন,সজীব সতেজ হলোফিরে পেলো প্রান।আমিও দিয়েছি তোমায়ছিলো যতো আমার,দেহখানি ছাড়া আজকিছুই নেই...

কবিতা

সাধ ছিলো

 বড় সাধ ছিলো আমার,কোন একদিন দুপুরবেলা,ক্ষুধার্ত দেহে অপ্রত্যাশিতভাবেআসবো তোমার বাসায়।কলিংবেলে আওয়াজ তুলবো,টিং টিং টংটং টিং।ভিতর থেকে বলবে - কে?বলবো - "দরজা খুলে দেখো "এগলি সেগলি খুঁজে খুঁজেতোমার সামনে আমি"।বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে বলবে," তুমি! বাসা খুঁজে পেয়েছো তবে,ভিতরে এসো "অপ্রস্তুতের মতো,পা...

কবিতা

কৃষ্ণকলি

 ও বিদেশিনী কৃষ্ণকলি,দিবে তোমার ঝুমকোকানের দুল। বুক পকেটে রাখবো আমার,তোমায় দিবো বকুল ফুল।মায়ায় পড়ে গেছি আমি তোমার কাজলকালো চোখে,ইচ্ছে করে সারাজীবনবেঁধে রাখি বুকে।তোমার গোলাপরাঙ্গাঠোঁটের হাসিতে ঝর্না যেন নাচে,রাত্রিবেলা জ্যোৎস্না আসে আঁধার ভূবন জুড়ে।দিবে কি আমায় তাএকটু ভালোবেসে !উদাস করা মন যে আমারঠাঁই যে কোথাও...

বাংলা সাহিত্য

ফাগুনের ক্ষত

 ফাগুনের ক্ষত(উৎসর্গঃ ২০১৮ সালের নেপাল বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের ) ফাগুন চলে গেলেরেখে গেলে নির্মম স্মৃতিসন্তানের নিউরনেপিতা-মাতার ব্যথিত বিস্মৃতি। প্রথম প্রভাত নিষ্ঠুর আঘাতধ্বংসযজ্ঞ উড়োযানঅগ্নিময় সারা দেহহৃদয়ে লোনাজল প্রপাত। অক্ষি শুকিয়ে মরাকাঠপ্রেমহীন, শূন্য বাড়িঘরফ্রেমে বন্দি ভালোবাসার জলছবিহু হু করে কাঁদে দরজার চৌকাঠ। বেনাপোল২ চৈত্র, ১৪২৪১৬/০৩/২০১৮

আব্দুল হাফিজ

আব্দুল হাফিজ

কবিতায় সব। সঁপেছি এ মন ও প্রাণ

কবিতা

সিটি বেজে যায়

সিটি বেজে যায় রাতের শেষ প্রহরগন্তব্যস্থান জানা লোকেরা উঠে পড়ে প্রতিদিন ভাসমান জাহাজেযে জাহাজ ভেসে চলেছে অগণিত যাত্রীর প্রত্যাশায়। জাহাজের অসংখ্য সিটকোন ঘাটতি নেই অত্যাধুনিক সুবিধাসমূহের,প্রতি কামরায় অসংখ্য সিট খালিঅথচ হাতেগোনা দু'চারজন যাত্রী। সেকেন্ডে সেকেন্ডে বেজে চলেছে সিটিযাত্রী নেবার সতর্কতায়তবু বোচকা বাঁধতে ব্যস্ত...

আব্দুল হাফিজ

আব্দুল হাফিজ

কবিতায় সব। সঁপেছি এ মন ও প্রাণ

কবিতা

মাঘ ও আমার অস্তিত্ব

মাঘ ও আমার অস্তিত্ব কোন এক কার্তিকে আমার জন্মজন্ম থেকেই ছিলাম হাড্ডিসার।আমার খুব প্রিয় প্রয়াত মানুষ আমাকে ফড়িং বলে ডাকতেনফড়িংয়ের মতই চঞ্চল ছিলাম আমি।যুদ্ধ বিধস্ত দেশঅভাবের তাড়না ছিলো সব পরিবারেই,আমার বাবাও ব্যতিক্রম ছিলেননা।শিক্ষক হিসেবে নামডাক ছিল তারআমার দাদা নাম রেখেছিলেন ভূষণভূষণ পন্ডিত নামেই ছিলেন পরিচিত।আমার...

আব্দুল হাফিজ

আব্দুল হাফিজ

কবিতায় সব। সঁপেছি এ মন ও প্রাণ

বাংলা সাহিত্য

একদিন সকলেই মাটি হয়ে যাব।

একদিন সকলেই মাটি হয়ে যাব। রক্তমাংসে গড়া শরীরঅথচ মাটির দেহ সম্পূর্ণটা। আত্মা অদৃশ্য, অস্পৃশ্যউড়াল দিলেই নিথর দেহতখন মাটি, সব-ই মাটি। মাটির তলে মাটিপুড়ে ছাই হলেও অবশেষে মাটিজলের তলায় গেলেও মাটি। মাটি, সব-ই মাটিএটাই খাঁটি। দেহ মাটি হবেআত্মাঅজানা ফ্লাইওভার পাড়ি দিয়েফিরবে নিজস্ব গন্তব্যে। তখন সকলেই মেঘ হয়ে যাবোশুভ্র শাদা শরতের...

আব্দুল হাফিজ

আব্দুল হাফিজ

কবিতায় সব। সঁপেছি এ মন ও প্রাণ

কবিতা

সৃষ্টির উল্লাস

সৃষ্টির উল্লাস কবিতার সাথে হাঁটু গেঁড়ে বসেছি বলেই তোমাকে ভালোবাসি,কবিতা লিখতে গেলেই তোমাকে অনুভব করি। তোমাকে অনুভব করলেই পৌষ শীতে কুঁকড়ে যাওয়াসমস্ত শব্দ জটলা পাকিয়ে ছুটে আসে। শব্দগুলোকে আমি সাজাই, যেমন ভাবে আমি তোমার বাসন্তিক সাজ দেখতে চাইতখনি কবিতা আসে, আসে পৌষেও ফাল্গুনী হাওয়া। স্বার্থকতা আসে আমার...

আব্দুল হাফিজ

আব্দুল হাফিজ

কবিতায় সব। সঁপেছি এ মন ও প্রাণ

কবিতা

ছলনাহীন ভালোবাসা

ছলনাহীন ভালোবাসা( উৎসর্গ –স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসকে) সোনা দানা নয়হীরের কোন নোলক নয়তোমায় এনে দিব প্রিয়তমামাঠে মাঠে ঘুরে ঘাসের মাঝে থেকেএকটি ঘাসফুল। তোমার ভালোবাসায় রঙ এনে দিবগোলাপের কয়েকটি পাঁপড়ি অথবাসুরম্য অট্টালিকার সিংহ দুয়ার থেকেএক গুচ্ছ মালতি লতাতাই দিয়ে পরাবো তোমার কানে দুল। আমার ভালোবাসায় কোন খাদ নেইনেই কোন...

আব্দুল হাফিজ

আব্দুল হাফিজ

কবিতায় সব। সঁপেছি এ মন ও প্রাণ

কবিতা

কবিতাটি যার জন্য

কবিতাটি যার জন্য কবিতাটি তার জন্য প্রযোজ্যযে আমার থেকে অবিভাজ্য। যার সাথে প্রায়ই খুনসুটিরাগ ঝাল ও মাঝে কথা কাটাকাটি। সে থাকে হৃদয়ে, টেনে নিই বুকেঅভিমান ভাঙাতে পর্বত ভাঙ্গিঅনুরাগে, ভালোবাসায়সব যায় চুকে। কবিতাটি তার জন্য প্রযোজ্যযে আমার সব ভুল করে সহ্যসে আমার থেকে অবিভাজ্য। খুটিনাটি ভুল ত্রুটিসব খায় লুটোপুটিঅনুরাগ, বিরাগেভালোবাসা হয় খাঁটি। সব...

আব্দুল হাফিজ

আব্দুল হাফিজ

কবিতায় সব। সঁপেছি এ মন ও প্রাণ

কবিতা

প্রিয়তমা তোমাকে

প্রিয়তমা তোমাকে আমি উদাসীন বলে তুমি ব্যথিত হওপ্রিয়তমা- সে আমি বেশ বুঝি। আমি উন্নাসিক বলেইআমার হৃদয় গহীনেএকমাত্র তুমিই আছো। আমি কবিতার মানুষকবিতা আমার প্রাণআমার সব কবিতায়আছে তোমার প্রেমের অনুরণন। আমি যতটুকু পারিততটুকুই তোমাকে দিইএই ততটুকুতেই আছে বিশালত্ব। উদাসীন বলে ব্যথিত হয়ো নাপ্রিয়তমা,আমার উদাসীনতার মাঝেইপ্রতিক্ষণ লুকিয়ে রাখিতোমার জন্য বর্ষাবিধৌত...

আব্দুল হাফিজ

আব্দুল হাফিজ

কবিতায় সব। সঁপেছি এ মন ও প্রাণ

কবিতা

আমি বাঁচতে চাই আরো বহুবছর

আমি বাঁচতে চাই আরো বহুবছর( উৎসর্গ –শ্রমজীবী মানুষ ) মৃত্যুর সময় অসময় বলে কিছু নেইপাকড়াও করতে পারে যে কোন সময়। তবু মানুষের দীর্ঘদিন বাঁচার ইচ্ছে থাকে,সেটা আমারো আছে। আমি আরো বেশ কিছু দিন বাঁচতে চাইআমার ছোট মিষ্টি কন্যার জন্যযে স্বয়ং একটি মহাকাব্য। আমার পুত্র সন্তানের জন্যযে স্বয়ং একটি...

আব্দুল হাফিজ

আব্দুল হাফিজ

কবিতায় সব। সঁপেছি এ মন ও প্রাণ

গল্প

রাগারাগি, ঝগড়া করে ভালোবাসা

অফিসে যাওয়ার জন্য যখন তৈরি হচ্ছিলাম তখন আমার স্ত্রী শ্রাবণী রান্নাঘর থেকে কড়াই এনে আমার সামনে রেখে বললো- "বলো তো কড়াইয়ের মধ্যে কি আছে?"আমি শার্টের বোতাম লাগাতে লাগাতে কড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে বললাম- পানিই তো মনে হচ্ছে।শ্রাবণী আমার চোখে চোখ রেখে...

কবিতা

বিদায়

বিদায় মানে কষ্ট,যন্ত্রণার পাহাড় বুকে চাপা দেওয়া।বিদায় মানে বিষাদসিন্ধু,চলে যাওয়ার লগ্নে যে কষ্ট পাওয়া।বিদায় মানে সেই ভালোবাসা,যে ভালোবাসায় বন্ধী ছিল কিছু বেলা।বিদায় মানে বুকে ব্যথা,যে ব্যথা বুঝানোর নেই কারো ক্ষমতা।বিদায় মানে চলে যাওয়ার ক্ষণে মুখ মলিন করে রাখা,বিদায় মানে সেই...

কবিতা

যেই লাউ সেই কদু

ঘামে ভিজে গা, ঝিঝি ধরে পা,বসে থেকে জ্যামে।নেই কোন মজা; পোহাচ্ছি সাজা,ঘোরতর অপরাধে পরে আছি জেলে।কোথায় গন্তব্য যাচ্ছি সব ভুলেদীর্ঘশ্বাস ফেলি আকাশেতে মুখ তুলে।কেউ বলে চিৎকারে কেউ বলে কেশে কেশে,এই দেশে জন্মেছি কি জানি কার পাপে।সোনার বাংলায় আজ জীবনটা তামাতামা,জ্যামজট...

পোস্ট

শয়তান আসলে স্রষ্টারই একটা অংশ

মুসলিম ও খ্রীষ্টানদের মধ্যে 'শয়তান' সম্পর্কে যথেষ্ট আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। ফেসবুকের পাতায় অনেক বিতর্ক হতেও দেখেছি। মানবধর্ম~ 'মহাধর্ম' এর দৃষ্টিতে এই মহাবিশ্ব অস্তিত্বই হলো আমাদের স্রষ্টা। এই মহাবিশ্বে স্রষ্টা ছাড়া আর কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই‌। জীব ও উদ্ভিদ সহ সমস্ত...

পোস্ট

আপনার সন্তানকে যদি যথেষ্ট বিকশিত মানুষ করে তুলতে চান

সন্তান যথেষ্ট বিকশিত মানুষ হয়ে না ওঠার জন্য সাধারণত সন্তানকেই দায়ী করা হয়ে থাকে। কিন্তু তার জন্য অনেকাংশেই দায়ী হলো সন্তানের পিতা-মাতা। পিতা-মাতা নিজেরাই যদি যথেষ্ট বিকশিত মানুষ না হয়, সন্তানকে কিভাবে যথেষ্ট বিকশিত মানুষ করে তুলতে হয় সেই পদ্ধতি...

পোস্ট

তোমার স্বধর্ম~ মানব ধর্মে ফিরে এসো!

তোমার স্বধর্ম~ মানবধর্মে ফিরে এসো! প্রতিটি মানুষই মানব বিকাশের স্বাভাবিক ধর্ম~ চিরন্তন ও মৌলিক ধর্ম নিয়েই~ মানবধর্মী হয়েই জন্মায়। অন্ধবিশ্বাসী মোহগ্রস্ত বিপথগামী কুটিল সমাজ সংসার, জন্মের পর তাকে বিভিন্ন মিথ্যাশ্রিত কৃত্রিম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে থাকে, অথবা কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সে...

কবিতা

বিমানবালা

ও-চাহনি প্রাণহীন দেহে দিতে পারে প্রাণউড়ন্তপথিক দেখে চঞ্চুর টুকটুকে হাসিমনোরমার সুভাষে বিমোহিত যাত্রীযাত্রার পরিসমাপ্তিশেষে কাঁদে মনপায়রাকামনার কল্লোলে ভাসে অচেনা পথিক— সৃষ্টি এত কমনীয় কেন রে বুঝি নাসৃষ্টির দিকে তাকালে দেখতে পাই অপূর্বতাবিধাতার হাতে গড়া কারুকাজ স্বর্গসুন্দরী—অপ্সরা যেন দাঁড়িয়ে আছে সামনে মদিরা পান করায়—পান...

কবিতা

রাতের গল্প

 গভীর রাতের নিস্তব্ধতা চারদিক,ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদের আলোয় আলোকিত বসুন্ধরা ।তারায় তারায় সুসজ্জিত আকাশ,যেনো রাজকন্যার বিয়ে আজ।লক্ষীপেঁচা শিকার ধরবে বলে,সদ্য পাতা গজানো নিমগাছটারমগডালে বসে আছে স্থির হয়ে।নিঃসঙ্গ এবড়োথেবড়ো রাস্তায়মানুষজন কিংবা যানবাহন নেই বললেই চলে, তবুও দু'একটা রিক্সার টুংটাং আওয়াজরাতের নিরবতা ভেঙ্গে কানে আসছে।আর ল্যাম্পপোস্ট...

সমালোচনা

আমার ভাবনাগুলো - ৭

আমার ভাবনাগুলো -৭কিছু কিছু মানুষ আছে যারা টাকার জন্য নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দিতেও কার্পণ্য করে না।      এরা চকচকে শার্ট প্যান্ট পড়ে, এক পোশাক দুবার পড়তে চায় না,  সদাসর্বদা ক্লিন সেভ থাকে। এরা এদের লাইফ স্টাইলটাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যায়,...

কবিতা

অমানিশার আঁধার কাটবেই, সূর্যের আলো ফুটবেই

ধর ধর, মার মারমার-কাট, কাট-মারহৈ হল্লা আসছেরোদে পোড়া বট তলা রক্তস্নানে ভাসছে ধর-পাকড় চলছেধর-পাকড় চলছে। 'ওগো, শুনছ ছেলেরা আবার জেগেছে মনে হয়ঘরের ফাঁক-ফোকর দিয়ে মশালের আলো আসেঐ তো ধড়-পাকড় শুরু হতে চলছেদলে দলে এপার-ওপার সবাই এগিয়ে আসছেআমরা কীভাবে বসে রই? চল চলএগিয়ে যাই। একজন আহতকে সেবা করতে পারলেও ইতিহাসের নাম লেখা হবে আমার-তোমার, তোমার-আমার, সবার'। ফিসিফিসিয়ে আলাপন করে নববধূ পাশেই অবাক বসে থাকে স্বামী আরবার। মাথা নাড়ে, হুম মাথা নাড়েস্বীকৃতি জানায় নব স্বাধীনতার অবশেষে দুজনেই বের হয়ে আসেততক্ষণে পিচ ঢাকা কালো রাস্তা রক্তের জোয়ার ভাসেচাপ চাপ রক্ত পড়ে থাকে এখানে সেখানেকেউ কাতরায়, কারো মাথা নেইহাত নেই, পা নেই, চোখ নেই, মুখ নেইকথা বলার কণ্ঠ নেই, অনুভূতি নেইঅসারশূণ্য, আহা শুধুই কষ্টচিৎকার, হাহাকার, আর্তনাদ, ভয়অমানুষ ওরা।তাইতো মায়ের বুকে রোলার স্টিমার চালায়ভাইয়ের পিঞ্জিরা ভেঙে চুরমার করেবোনের শাড়ির আঁচল দলিয়ে-মলিয়েকাঁটাতারের মাঝে ঢিল ছুড়ে মারে। সন্ধ্যারাতে নিলু এসেছিল হোস্টেলের গেটেসাঈদ বেরিয়ে আসে, এক পলক দেখেকে জানে? আর যদি দেখা না হয়!স্বৈরাচারের গুলিতে যদি জীবন হয় ক্ষয়!নয়ন ভরে দেখে নেয় দুজন দুজনকেঅবোঝ মনে...

কবিতা

এদেশ আমার নয়

 আমি এ কেমন দেশে জন্মেছি!কেনই বা জন্মেছি এদেশে! এ দেশ কি সত্যিই আমার!নাকি ভুল করে জন্মেছি এদেশে ! এটাই কি আমার স্বদেশ মাতৃভূমি!এ দেশের জন্যই কি, শেখ মুজিব বারবার জেল খেটেছেন!আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলারপ্রধান আসামী হয়েছেন!এই দেশের জন্যই কি তবে৭ মার্চের ভাষন এসেছিলো! এসেছিলো মুক্তির...

গল্প

ধুম্রজাল

অনেকদিন পর যশোর যাওয়ার পথে বাল্যবন্ধু  সমিরের সাথে বাসের মধ্যেই হঠাৎ দেখা। স্বাস্থ্য ভেঙে পরেছে তার, বেশ উস্কখুস্ক,  আনমনা। এত অল্প বয়সেও যেন বার্ধক্য চেপে ধরেছে তাকে। চোখের দিকে তাকিয়েও কথা বলতে পারছিল না যেন। ওকে দেখে ভাল লাগার চেয়ে...

কবিতা

কৃতজ্ঞতা তোমার প্রাপ্য

কৃতজ্ঞতা তোমার প্রাপ্য সার্কাডিয়ান রিদম - এ অভ্যস্ত হয়ে গেছি আমিনীল রশ্মি চোখে আসে, আমার শরীরে সংকেত পাঠিয়ে দেয়,এখন রাত, অতএব ঘুমাতে যাও।তোমার দেওয়া কঠিন কষ্ট বুকে জমাট বেঁধেছিল একদিনঘুম হারিয়েছিল বহুমাত্রিকতায়।এখন জমাট কষ্ট আছে, তবে রেজিস্টেন্ট হয়ে গেছেজীবানুপ্রতিষেধক যেমন ভাবে দেহে এন্টিবডি তৈরি...

আব্দুল হাফিজ

আব্দুল হাফিজ

কবিতায় সব। সঁপেছি এ মন ও প্রাণ

কবিতা

ভোরের প্রার্থনা

ভোরের প্রার্থনা ১।যে অসহায় লোকটিহাত পেতেছিল আপনার কাছেএকমুঠো ভাতের আশায়সে ভিক্ষুক ছিলোনা ;স্বয়ং ঈশ্বর ফিরে গেছেলাঠিতে ভর করে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। ২।খুব-খুবই ভোরেজেগে উঠেছিলামএকটি স্বপ্নঘোরে,একটি হাতের উপরেআরেকটি হাতদুই নয়নে ছিলহিমশীতল জলপ্রপাত।হারিয়েছিলাম -অনুভুতির অন্তরালেআচানক নতুন অনুভূতিচুম্বন কপালে।জ্বলে উঠলো ঐশী আলোআমার হৃদয় -মৃদুমন্দ সমীরণ ন্যায়বারংবার নেচে...

আব্দুল হাফিজ

আব্দুল হাফিজ

কবিতায় সব। সঁপেছি এ মন ও প্রাণ

কবিতা

একজন বেশ্যাও একজন মানুষ

একজন বেশ্যাও একজন মানুষ মাননীয় সভাপতিকিছু মনে করবেন নাকিছু মনে করলেও আমার কিছুই আসে যায়না।আপনারা যাদের কে বেশ্যা বলে জানেনআমি তাদের মা বলে জানি।আমার মায়ের যেমন জটায়ু রয়েছেতেমনি একজন বেশ্যারও রয়েছে।আমার মা সন্তান জন্মদানে সক্ষমতেমনি তারাও ;শুধু আমার মায়ের সংসার আছেতাদের সংসার...

আব্দুল হাফিজ

আব্দুল হাফিজ

কবিতায় সব। সঁপেছি এ মন ও প্রাণ

গল্প

Let them fly in their sky.

গুলশান থেকে বাড্ডা লিংক রোড। গত পরশুদিন রাত ঠিক এগারটা পঁয়ত্রিশ এর মতোন হবে। অনেকদিন পর বৃষ্টি হয়ে চারিদিকে শান্ত পরিবেশ। সুন্দর এই পরিবেশে একটু হাঁটার জন্য বের হলাম। গেট থেকে বের হতেই ঐ ছেলেটিকে রাস্তার পাশে বসে থাকতে দেখলাম।...

প্রবন্ধ

নিজেকে কিভাবে সবার চাইতে সেরা বানানো যায়

১. যদি পারেন তবে আপনি জিমে যান তা না করতে পারলে অন্তত নিদেনপক্ষে দৌড়ান। এগুলো কিছুই সম্ভব না হলে ঘণ্টাখানেক হাঁটুন আর খাবারের তালিকা থেকে একবারে ভাজাপোড়া বাদ দিন। একান্তই খেতে ইচ্ছে করলে বাড়িতে বানিয়ে খান। তবে একবার ভাজার পর...

কবিতা

অপেক্ষা তোমার জন্য

অপেক্ষা তোমার জন্য কোন এক সন্ধ্যায় তুমি আসবে বলেছিলেবলেছিলে আমি তোমারই,অতঃপর তুমি এলে নাতবুও আমি তোমারই প্রিয় চাহনিতে, প্রিয় হাসি নিয়ে অপেক্ষায় আছি।এ অপেক্ষা যদিও সুনীল দহন,জ্বালা অন্তরেতবুও যে, এ অপেক্ষা মধুময়, অন্তত আমার কাছে।বেনাপোল১০/০১/২০২২

আব্দুল হাফিজ

আব্দুল হাফিজ

কবিতায় সব। সঁপেছি এ মন ও প্রাণ

চিন্তা

জালালউদ্দিন রুমির শিক্ষা

একদিন জালালউদ্দিন রুমী এক বনভূমির মাঝ দিয়ে যাওয়ার সময় একটা বড় কালো তিতির পাখি ধরে ফেলেন। রুমি যখন ভাবছেন যে, পাখিটাকে কীভাবে খাবেন; আগুনে ঝলসে; নাকি তরকারি রান্না করে! তখন পাখিটি বলে ওঠে, ওহে  রুমী তুমি তোমার এই জীবনে এতো গোশত খেয়েছো; অথচ তোমার এই আমিষ খাবার...

কবিতা

গান ০০০১

বধু, ভালোবাসা চাই।তোমারই ভালোবাসা নিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে দুজনার জীবন পূর্ণ করে যাই।। আমি তপস্যা করি, সাধনা করি, কামনা করি সর্বদাই।তোমাতে আমাতে ভালোবাসা দিয়ে পূর্নিমায় ভেসে বেড়াই।ফুলে ফুলে, দোলে দোলে, গানে গানে, সুরে সুরে দুজনায় মিলে যাই।অন্তরে অন্তরে কামনার ও সুরে আনন্দে...

তারিক হোসেন

তারিক হোসেন

সহযোগী অধ্যাপক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা।

কবিতা

গান ০০০২

বধু কোন আশায়বধু কোন আশায়, কিসের নেশায় এমন তুমি হও?আমার ঘরের মোমবাতি অন্য ঘরে জ্বালো?আমার ঘরের আলো তুমি অন্য আলয় ঢালো?আমার বুকে সেল বিদিয়া অন্য ঘরে যাও? বধু কাহার কথায়বধু কাহার কথায়, কিসের নেশায় এমন তুমি কর?আমার ঘরের বাঁধন তুমি একটু...

তারিক হোসেন

তারিক হোসেন

সহযোগী অধ্যাপক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা।

গল্প

পৃথিবীর সকল বাবার প্রতি রইলো আমার অবিরাম প্রনাম, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

একমাত্র ছেলে তার বাবাকে প্রথম বারের মতো বৃদ্ধাশ্রমে রেখে ফিরছিল। রাস্তার মাঝে বৌয়ের ফোন এলো। তার বউ ফোন করে বলছে- তুমি আর একবার বৃদ্ধাশ্রমে ফিরে যাও একটা কথা বলতে ভুল হয়ে গেছে।বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে তুমি তোমার বাবাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে এসো, পূজো-পার্বন...

গল্প

প্রবাসীর দুঃখ

ছয় বছর প্রবাস জীবন পার করার পর যখন দেশে ফিরলাম তখন বাবা মা খুব করে চাইলেন আমি যেন বিয়ে করি। আমিও ভেবে দেখলাম বয়স তো কম হলো না। তাই বিয়ে করার জন্য রাজি হলাম।আমার খালাতো ভাই সুজনকে সাথে নিয়ে এক...

কবিতা

হয়তো বলবে

হয়তো বলবে তোমরা !লিংকন২৬/০৭/২০১৮হয়তো তোমরা বলবে আমায়, এক রাষ্ট্রদোহী আমি,হয়তো বা বলবে, কোন ভীনদেশীএক দালাল আমি।তবুও বলবো, কেননা আমার,হৃদয়ের যে রক্তক্ষরণ,যে যন্ত্রনা, গলাকাটা মানুষের মতোছটফট করছে, তা বন্ধ করবো কেমন করে?তাইতো আজ কষ্টগুলো, আক্ষেপগুলো,প্রশ্ন হয়ে বেড়িয়ে আসে বারবার।প্রতিদিন বিদ্যালয়গুলোতে গাওয়া হয়,জাতীয় সংগীত...

কবিতা

নতুন বিশ্ব

 এত রক্ত!এত লাশ!ফেরার পথ আর নেই!নতুন বাংলা গড়বে তোমরা!এটাই মোদের বিশ্বাস!তোমরা হারলে, হারবে বাংলা!অস্তমিত হবে সূর্য!তোমরাই দেশের কান্ডারি বন্ধুসামনে এগিয়ে চলো!আসুক যতো কামান গোলা আসুক নলার গুলি আসুক যতো চোখ রাঙ্গানি থোরাই কেয়ার করি!তোমার রক্তে জন্ম নিবেহাজার শহিদ ভাইজালিমের বুকে কাঁপন ধরাবেওদের কোন নিস্তার...

কবিতা

অসীম শূণ্যতা

গভীর রাত,চারদিক নিরব নিস্তব্ধ, সেই নিস্তব্ধতার মাঝে মাটি ফুঁড়ে বেড়িয়ে আসছেঝিঝিপোকার সাথী হারানো করুন সুর।হয়তো অচেনা পথিকের আগমন! পথের ধারের বেওয়ারিশ কুকুরের আর্তচিৎকার!ক্ষণিক পরে আবারও নিস্তব্ধতা!চাঁদ যেনো আজ পরিপূর্ণ রূপ নিয়েছে।তার আলোর জোঁয়ারে মেতে উঠেছে প্রকৃতি।তারই কিছু ছটা ছিঁটকে পরেছেআমার পুব জানালা ভেদ...

কবিতা

ঠিকানাটা দিও

 স্মৃতিগুলো আজি উঁকি দিলো, তোমার মনে পড়ে,অনুকাল যেনো হারিয়ে গেলাম,কিশোর বেলার মোহে!কতোদিন, কতো বছর পেড়িয়ে,এসেছিনু তোমার খোঁজে,ইট কাঠ পাথরের বাড়ি দেখি,সাজানো রাস্তার দু'ধারে!কোথায় সেই অশ্বথ, সেগুন,কোথায় লিচু বাগান,সবকিছু যেনো প্রাণহীন আজ,যেনো হয়েছে সব বিরাণ।অলিগলি দেখি অনেক বেড়েছেঅট্টালিকা বেড়েছে যতো,অচেনা মানুষের ভীরে...

কবিতা

আসবো তোমার কাছে

আসবো তোমার কাছে"""""""'""""""""""""""""""""""""""""""লিংকনপ্রিয়তমা অনুযোগকরেছো তুমি!  অস্বীকার করি না তা,জানো, আমি কেন অভিমানী ?সময়ের লাগি চেয়েছি তোমায়চেয়েছি সঙ্গখানি,ভালোবাসার চেয়েছি ছোঁয়া,দাও নি একটুখানি।শৈশবে আমি মুগ্ধ ছিলামতোমার পানে চেয়ে,কৈশরে এসে পরেছি আমি,তোমরা প্রেমের মাঝে।যুবক বয়সে চাইলাম তোমায়হারিয়ে গেলে শেষে।তাইতো আমি চলেই এলামদুর পরবাসে।এখন...

কবিতা

স্বপ্নে দেখি

 ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখিআছো বুকের মাঝে,সারারাত তোর ঠোঁটের বিষনিচ্ছি যেন তুলে।তোর ঠোঁটের বিষে নীলচে আমি,নীলচে আমার মন,ভালোবাসার ছোঁয়ায় আজফিরে পেলাম প্রান।উড়ছি যেন  হাওয়ায় আমিনীল আকাশের কোলে,পাখিরা সব উড়ছে দেখোআমায় কাছে পেয়ে।নদীর কূলে দাঁড়িয়ে আছিতোমার হাতটি ধরে,মাঝির ভাটিয়ালী গানের সুরেহৃদয় মোদের নাচে।তোর...

কবিতা

অনুকাব্য

দুরে কেন প্রিয়া তুমি,পাশে এসে বসো।হাতে হাত রেখে তুমি,মনের কথা বলো ।নয়নজুড়ে দেখবো আমি,তোমার চোখের পানে,আমায় যতো ভালোবাস,রেখেছ মনের মাঝে।তোমার বুকের হৃদস্পন্দনে ,শিহরিত হবো আমি।দেখবে তখন তোমায় আমি,কতো ভালোবাসি। 

গল্প

সায়েন্স ফিকশন: ক্ষুদ্র ফাতিনদের ভয়াবহ আক্রমন

ক্ষুদ্র ফাতিনদের ভয়াবহ আক্রমনআবিদ হোসেন এক.ফাতিন রাজ্যের রাজদরবারে। ফাতিন জাতির সম্রাট সিংহাসনে আসীন। তিনি গভীর ঘুমে নিমগ্ন। গু-র-র ফু-স গু-র-র ফ-ুস। নাক ডাকছেন। এ সময় ঘোষক ঘোষনা শুরু করলেন ‘ফাতিন জাতীর মহামান্য সম্রাট কিনফিনতিনের রাজ দরবারে প্রবেশ করছেন বিজ্ঞ বিজ্ঞান মন্ত্রী...

আবিদ হোসেন

আবিদ হোসেন

শিক্ষকতা

কবিতা

ক্ষণ জন্মা

“ হে বাংলার ছাত্র যুবসমাজ!” তোমরা আছো বলেই তোবাংলাদেশ আছে!তোমরা আছো বলেই তোপতাকা আছে!তোমরা আছো বলেই তোযালিমের সিংহাসনথরথর কাঁপে!তোমরা আছো বলেই তোস্বস্তির নিঃশ্বাস পরে!তোমারদের হাত ধরেই তোএগিয়ে যায় বাংলাদেশ!তোমাদের হাত ধরেপথ চলি আমরা!স্যালুট তোমাদের - জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান তোমরা!তোমরা যুগে যুগে জন্ম...

কবিতা

সোনার বিশ্ব

এত রক্ত!এত লাশ!ফেরার পথ আর নেই!নতুন বাংলা গড়বে তোমরা!এটাই মোদের বিশ্বাস!তোমরা হারলে, হারবে বাংলা!অস্তমিত হবে সূর্য!তোমরাই দেশের কান্ডারি বন্ধুসামনে এগিয়ে চলো!আসুক যতো কামান গোলা আসুক নলার গুলি আসুক যতো চোখ রাঙ্গানি থোরাই কেয়ার করি!তোমার রক্তে জন্ম নিবেহাজার শহিদ ভাইজালিমের বুকে কাঁপন ধরাবেওদের কোন নিস্তার...

প্রবন্ধ

জীবনের উপমা, দর্শন ও বাস্তবতা

আমি সাধারণত গল্প করতে পারি না। গল্প করতে বসলে কঠিন কঠিন সব কথা চলে আসে। যদিও কঠিন কঠিন কথা বলার মত জ্ঞান বা বয়স কোনোটাই আমার হয়নি। তবে মাঝে মাঝে পছন্দের কাউকে পেলে তার কাছ থেকে গল্প শুনতে চেষ্টা করি।...

সাজ্জাদুল করিম

সাজ্জাদুল করিম

প্রাবন্ধিক, কলাম লেখক ও জেলা লাইব্রেরিয়ান, শেরপুর

প্রবন্ধ

ডু সামথিং ডিফরেন্ট

"আগামীকাল আপনি মৃত্যুবরণ করবেন, এমন খবর পেলে কি করবেন?"- একটা ভাইভা বোর্ডের এমন প্রশ্ন ছিল।জবাবে উত্তরকারী বলেছিল- "বেছে বেছে আমার শত্রুদের সাথে সাক্ষাৎ করব।"জবাব শুনে ভাইভা বোর্ডের লোক অবাক হয়ে ব্যাখ্যা চাইলেন।কারন হিসেবে উত্তরকারী বলেছিল- "যারা আমার আপন মানুষ তাদের সাথে আর মায়া বাড়ানোর কোন...

চিন্তা

হয়তো পার্থক্যটা শুধু আমাদের চিন্তায়

দিল্লিতে একজন সমুচাওয়ালা ছিল এবং তাঁর দোকানের সামনে একটি বড় কর্পোরেট কোম্পানির অফিস ছিল। একদিন সেই কোম্পানির এক ম্যানেজার সেই সমুচাওয়ালার দোকানে সমুচা খেতে গেল। হাতে দুইটা সমুচা নিয়ে সামুচাওয়ালাকে প্রশ্ন করলো যে, তুমি তো খুব সুন্দর করে দোকানটা সাজিয়েছো, তোমার সিস্টেমগুলো ভালো, তোমার এতো সুন্দর এডমিনিষ্ট্রেশন, তাহলে...